আজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নারীকে ভিডিও কলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে এক তরুণকে ৯ বছর ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। যুক্তরাজ্যের ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট ২০২৩’-এর আওতায় এটাই প্রথম কোনো অপরাধীর কারাদণ্ডের ঘটনা।
যুক্তরাজ্যের লেস্টারশায়ারের বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী টাইলার ওয়েব। তিনি রেডিটে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা বিষয়ে গঠিত এক ফোরামে এক নারীর সঙ্গে পরিচিত হন। পরে তাঁরা টেলিগ্রামে ভিডিও কলে কথা বলতেন। আদালতে বলা হয়, সেই কথোপকথনগুলো ছিল ‘বিকৃত মানসিকতার’।
সেই সময় ওই নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ওয়েব তাঁকে বারবার বলেন আত্মহত্যা করতে। তিনি চান, সেই আত্মহত্যা ভিডিও কলে দেখে নিতে। আদালতের ভাষায়, এ ছিল ‘পরিকল্পিত মানসিক নির্যাতন’।
লেস্টার ক্রাউন কোর্টে বিচারক টিমোথি স্পেনসার কেসি বলেন, ওয়েব মূলত যৌন তৃপ্তির জন্য এই কাজ করেছেন। আদালত তাঁকে ‘হাইব্রিড আদেশ’ দিয়েছে। অর্থাৎ, তিনি প্রথমে মানসিক হাসপাতালে থাকবেন, পরে উপযুক্ত মনে হলে কারাগারে পাঠানো হবে।
বিচারক বলেন, ‘তোমার প্ররোচনা দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে। এটা দুজনের মধ্যে কোনো আত্মহত্যা চুক্তি ছিল না। এটি ছিল অন্যের আত্মহত্যা দেখে নিজে আনন্দ পাওয়ার বিষয়।’
আদালতের শুনানির সময় ওয়েব মাথা নিচু করে, কান ঢেকে ডকে বসেছিলেন, পরে চেয়ার নিচে লুকিয়ে পড়েন। নিজের নাম বলতেও অস্বীকৃতি জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লুইস ওকলি আদালতে বলেন, ওয়েব ওই নারীকে আত্মহত্যা করতে বলেন, কারণ এটা তাঁকে ‘উত্তেজিত করত’। তিনি বলেন, ওই নারী যখন আত্মহত্যা করতে চাইছিলেন, ওয়েব তা দেখে ‘উপভোগ’ করতেন।
আদালতে জানানো হয়, একবার ওই নারী আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন—ফাঁসিতে ঝুলে পড়েন। তবে ব্যর্থ হলে ওয়েব আবার বলেন, ‘আবার চেষ্টা করো।’
এরপর গত বছরের ৩ জুলাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই নারী। তিনি ভয় পেয়েছিলেন, ওয়েব অন্য কাউকেও এমন করতে উৎসাহ দিতে পারেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ওই নারী আদালতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি এটাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলব না, এটা মানসিকভাবে হত্যার চেষ্টা। সে আমাকে তার কথার মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। আমার জীবনের ওপর এটা চিরস্থায়ী ক্ষতি করেছে।’
ওকলি আরও জানান, ওয়েবের রেডিট প্রোফাইল ছিল ‘**u/EmpathicNarcissist**’। অ্যাকাউন্টটিতে পাওয়া গেছে নানা অ্যানিমে ও গেমিং চরিত্র, যাদের অনেককে যৌন উদ্দীপক ভঙ্গিতে এবং মারাত্মক আহত বা মৃত অবস্থায় দেখানো হয়েছে।
তবে ওয়েব নিজে ভিডিও কলে তাঁর ক্যামেরা চালু করতেন না। কারণ, ওয়েব জানতেন, তিনি যা করছেন তা বেআইনি। আদালতে ওয়েবের আইনজীবী জোয়ি কওং জানান, ওয়েব নিজে একসময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন এবং অনলাইনে পাওয়া বিকৃত কনটেন্ট দেখে এমন আচরণ রপ্ত করেন।
তাঁর চিকিৎসক আজিথ গুরুসিংহে জানান, ওয়েব অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এসিডি), ওসিডি, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা রোগে আক্রান্ত। তিনি এখন মানসিক হাসপাতালে আছেন এবং পুরোপুরি অনুতপ্ত নন। তবে কিছুটা অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন।
ডিটেকটিভ কনস্টেবল লরেন হ্যাম্পটন বলেন, ‘এটি শুধু ভয়াবহ নয়, বরং অতি উদ্বেগজনক। এক নারী যখন অনলাইনে সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়েছিলেন, তখন ওয়েব তাঁর বিশ্বাস নিয়ে খেলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তিনি জানতেন, তাঁর কথায় ওই নারী আত্মহত্যা করতে পারেন—তবুও বারবার সে তা বলে গেছে।’
তথ্যসূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

এক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নারীকে ভিডিও কলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে এক তরুণকে ৯ বছর ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। যুক্তরাজ্যের ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট ২০২৩’-এর আওতায় এটাই প্রথম কোনো অপরাধীর কারাদণ্ডের ঘটনা।
যুক্তরাজ্যের লেস্টারশায়ারের বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী টাইলার ওয়েব। তিনি রেডিটে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা বিষয়ে গঠিত এক ফোরামে এক নারীর সঙ্গে পরিচিত হন। পরে তাঁরা টেলিগ্রামে ভিডিও কলে কথা বলতেন। আদালতে বলা হয়, সেই কথোপকথনগুলো ছিল ‘বিকৃত মানসিকতার’।
সেই সময় ওই নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ওয়েব তাঁকে বারবার বলেন আত্মহত্যা করতে। তিনি চান, সেই আত্মহত্যা ভিডিও কলে দেখে নিতে। আদালতের ভাষায়, এ ছিল ‘পরিকল্পিত মানসিক নির্যাতন’।
লেস্টার ক্রাউন কোর্টে বিচারক টিমোথি স্পেনসার কেসি বলেন, ওয়েব মূলত যৌন তৃপ্তির জন্য এই কাজ করেছেন। আদালত তাঁকে ‘হাইব্রিড আদেশ’ দিয়েছে। অর্থাৎ, তিনি প্রথমে মানসিক হাসপাতালে থাকবেন, পরে উপযুক্ত মনে হলে কারাগারে পাঠানো হবে।
বিচারক বলেন, ‘তোমার প্ররোচনা দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে। এটা দুজনের মধ্যে কোনো আত্মহত্যা চুক্তি ছিল না। এটি ছিল অন্যের আত্মহত্যা দেখে নিজে আনন্দ পাওয়ার বিষয়।’
আদালতের শুনানির সময় ওয়েব মাথা নিচু করে, কান ঢেকে ডকে বসেছিলেন, পরে চেয়ার নিচে লুকিয়ে পড়েন। নিজের নাম বলতেও অস্বীকৃতি জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লুইস ওকলি আদালতে বলেন, ওয়েব ওই নারীকে আত্মহত্যা করতে বলেন, কারণ এটা তাঁকে ‘উত্তেজিত করত’। তিনি বলেন, ওই নারী যখন আত্মহত্যা করতে চাইছিলেন, ওয়েব তা দেখে ‘উপভোগ’ করতেন।
আদালতে জানানো হয়, একবার ওই নারী আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন—ফাঁসিতে ঝুলে পড়েন। তবে ব্যর্থ হলে ওয়েব আবার বলেন, ‘আবার চেষ্টা করো।’
এরপর গত বছরের ৩ জুলাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই নারী। তিনি ভয় পেয়েছিলেন, ওয়েব অন্য কাউকেও এমন করতে উৎসাহ দিতে পারেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ওই নারী আদালতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি এটাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলব না, এটা মানসিকভাবে হত্যার চেষ্টা। সে আমাকে তার কথার মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। আমার জীবনের ওপর এটা চিরস্থায়ী ক্ষতি করেছে।’
ওকলি আরও জানান, ওয়েবের রেডিট প্রোফাইল ছিল ‘**u/EmpathicNarcissist**’। অ্যাকাউন্টটিতে পাওয়া গেছে নানা অ্যানিমে ও গেমিং চরিত্র, যাদের অনেককে যৌন উদ্দীপক ভঙ্গিতে এবং মারাত্মক আহত বা মৃত অবস্থায় দেখানো হয়েছে।
তবে ওয়েব নিজে ভিডিও কলে তাঁর ক্যামেরা চালু করতেন না। কারণ, ওয়েব জানতেন, তিনি যা করছেন তা বেআইনি। আদালতে ওয়েবের আইনজীবী জোয়ি কওং জানান, ওয়েব নিজে একসময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন এবং অনলাইনে পাওয়া বিকৃত কনটেন্ট দেখে এমন আচরণ রপ্ত করেন।
তাঁর চিকিৎসক আজিথ গুরুসিংহে জানান, ওয়েব অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এসিডি), ওসিডি, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা রোগে আক্রান্ত। তিনি এখন মানসিক হাসপাতালে আছেন এবং পুরোপুরি অনুতপ্ত নন। তবে কিছুটা অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন।
ডিটেকটিভ কনস্টেবল লরেন হ্যাম্পটন বলেন, ‘এটি শুধু ভয়াবহ নয়, বরং অতি উদ্বেগজনক। এক নারী যখন অনলাইনে সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়েছিলেন, তখন ওয়েব তাঁর বিশ্বাস নিয়ে খেলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তিনি জানতেন, তাঁর কথায় ওই নারী আত্মহত্যা করতে পারেন—তবুও বারবার সে তা বলে গেছে।’
তথ্যসূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নারীকে ভিডিও কলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে এক তরুণকে ৯ বছর ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। যুক্তরাজ্যের ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট ২০২৩’-এর আওতায় এটাই প্রথম কোনো অপরাধীর কারাদণ্ডের ঘটনা।
যুক্তরাজ্যের লেস্টারশায়ারের বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী টাইলার ওয়েব। তিনি রেডিটে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা বিষয়ে গঠিত এক ফোরামে এক নারীর সঙ্গে পরিচিত হন। পরে তাঁরা টেলিগ্রামে ভিডিও কলে কথা বলতেন। আদালতে বলা হয়, সেই কথোপকথনগুলো ছিল ‘বিকৃত মানসিকতার’।
সেই সময় ওই নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ওয়েব তাঁকে বারবার বলেন আত্মহত্যা করতে। তিনি চান, সেই আত্মহত্যা ভিডিও কলে দেখে নিতে। আদালতের ভাষায়, এ ছিল ‘পরিকল্পিত মানসিক নির্যাতন’।
লেস্টার ক্রাউন কোর্টে বিচারক টিমোথি স্পেনসার কেসি বলেন, ওয়েব মূলত যৌন তৃপ্তির জন্য এই কাজ করেছেন। আদালত তাঁকে ‘হাইব্রিড আদেশ’ দিয়েছে। অর্থাৎ, তিনি প্রথমে মানসিক হাসপাতালে থাকবেন, পরে উপযুক্ত মনে হলে কারাগারে পাঠানো হবে।
বিচারক বলেন, ‘তোমার প্ররোচনা দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে। এটা দুজনের মধ্যে কোনো আত্মহত্যা চুক্তি ছিল না। এটি ছিল অন্যের আত্মহত্যা দেখে নিজে আনন্দ পাওয়ার বিষয়।’
আদালতের শুনানির সময় ওয়েব মাথা নিচু করে, কান ঢেকে ডকে বসেছিলেন, পরে চেয়ার নিচে লুকিয়ে পড়েন। নিজের নাম বলতেও অস্বীকৃতি জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লুইস ওকলি আদালতে বলেন, ওয়েব ওই নারীকে আত্মহত্যা করতে বলেন, কারণ এটা তাঁকে ‘উত্তেজিত করত’। তিনি বলেন, ওই নারী যখন আত্মহত্যা করতে চাইছিলেন, ওয়েব তা দেখে ‘উপভোগ’ করতেন।
আদালতে জানানো হয়, একবার ওই নারী আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন—ফাঁসিতে ঝুলে পড়েন। তবে ব্যর্থ হলে ওয়েব আবার বলেন, ‘আবার চেষ্টা করো।’
এরপর গত বছরের ৩ জুলাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই নারী। তিনি ভয় পেয়েছিলেন, ওয়েব অন্য কাউকেও এমন করতে উৎসাহ দিতে পারেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ওই নারী আদালতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি এটাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলব না, এটা মানসিকভাবে হত্যার চেষ্টা। সে আমাকে তার কথার মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। আমার জীবনের ওপর এটা চিরস্থায়ী ক্ষতি করেছে।’
ওকলি আরও জানান, ওয়েবের রেডিট প্রোফাইল ছিল ‘**u/EmpathicNarcissist**’। অ্যাকাউন্টটিতে পাওয়া গেছে নানা অ্যানিমে ও গেমিং চরিত্র, যাদের অনেককে যৌন উদ্দীপক ভঙ্গিতে এবং মারাত্মক আহত বা মৃত অবস্থায় দেখানো হয়েছে।
তবে ওয়েব নিজে ভিডিও কলে তাঁর ক্যামেরা চালু করতেন না। কারণ, ওয়েব জানতেন, তিনি যা করছেন তা বেআইনি। আদালতে ওয়েবের আইনজীবী জোয়ি কওং জানান, ওয়েব নিজে একসময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন এবং অনলাইনে পাওয়া বিকৃত কনটেন্ট দেখে এমন আচরণ রপ্ত করেন।
তাঁর চিকিৎসক আজিথ গুরুসিংহে জানান, ওয়েব অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এসিডি), ওসিডি, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা রোগে আক্রান্ত। তিনি এখন মানসিক হাসপাতালে আছেন এবং পুরোপুরি অনুতপ্ত নন। তবে কিছুটা অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন।
ডিটেকটিভ কনস্টেবল লরেন হ্যাম্পটন বলেন, ‘এটি শুধু ভয়াবহ নয়, বরং অতি উদ্বেগজনক। এক নারী যখন অনলাইনে সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়েছিলেন, তখন ওয়েব তাঁর বিশ্বাস নিয়ে খেলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তিনি জানতেন, তাঁর কথায় ওই নারী আত্মহত্যা করতে পারেন—তবুও বারবার সে তা বলে গেছে।’
তথ্যসূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

এক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নারীকে ভিডিও কলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে এক তরুণকে ৯ বছর ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। যুক্তরাজ্যের ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট ২০২৩’-এর আওতায় এটাই প্রথম কোনো অপরাধীর কারাদণ্ডের ঘটনা।
যুক্তরাজ্যের লেস্টারশায়ারের বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী টাইলার ওয়েব। তিনি রেডিটে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা বিষয়ে গঠিত এক ফোরামে এক নারীর সঙ্গে পরিচিত হন। পরে তাঁরা টেলিগ্রামে ভিডিও কলে কথা বলতেন। আদালতে বলা হয়, সেই কথোপকথনগুলো ছিল ‘বিকৃত মানসিকতার’।
সেই সময় ওই নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ওয়েব তাঁকে বারবার বলেন আত্মহত্যা করতে। তিনি চান, সেই আত্মহত্যা ভিডিও কলে দেখে নিতে। আদালতের ভাষায়, এ ছিল ‘পরিকল্পিত মানসিক নির্যাতন’।
লেস্টার ক্রাউন কোর্টে বিচারক টিমোথি স্পেনসার কেসি বলেন, ওয়েব মূলত যৌন তৃপ্তির জন্য এই কাজ করেছেন। আদালত তাঁকে ‘হাইব্রিড আদেশ’ দিয়েছে। অর্থাৎ, তিনি প্রথমে মানসিক হাসপাতালে থাকবেন, পরে উপযুক্ত মনে হলে কারাগারে পাঠানো হবে।
বিচারক বলেন, ‘তোমার প্ররোচনা দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে। এটা দুজনের মধ্যে কোনো আত্মহত্যা চুক্তি ছিল না। এটি ছিল অন্যের আত্মহত্যা দেখে নিজে আনন্দ পাওয়ার বিষয়।’
আদালতের শুনানির সময় ওয়েব মাথা নিচু করে, কান ঢেকে ডকে বসেছিলেন, পরে চেয়ার নিচে লুকিয়ে পড়েন। নিজের নাম বলতেও অস্বীকৃতি জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লুইস ওকলি আদালতে বলেন, ওয়েব ওই নারীকে আত্মহত্যা করতে বলেন, কারণ এটা তাঁকে ‘উত্তেজিত করত’। তিনি বলেন, ওই নারী যখন আত্মহত্যা করতে চাইছিলেন, ওয়েব তা দেখে ‘উপভোগ’ করতেন।
আদালতে জানানো হয়, একবার ওই নারী আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন—ফাঁসিতে ঝুলে পড়েন। তবে ব্যর্থ হলে ওয়েব আবার বলেন, ‘আবার চেষ্টা করো।’
এরপর গত বছরের ৩ জুলাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই নারী। তিনি ভয় পেয়েছিলেন, ওয়েব অন্য কাউকেও এমন করতে উৎসাহ দিতে পারেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ওই নারী আদালতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি এটাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলব না, এটা মানসিকভাবে হত্যার চেষ্টা। সে আমাকে তার কথার মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। আমার জীবনের ওপর এটা চিরস্থায়ী ক্ষতি করেছে।’
ওকলি আরও জানান, ওয়েবের রেডিট প্রোফাইল ছিল ‘**u/EmpathicNarcissist**’। অ্যাকাউন্টটিতে পাওয়া গেছে নানা অ্যানিমে ও গেমিং চরিত্র, যাদের অনেককে যৌন উদ্দীপক ভঙ্গিতে এবং মারাত্মক আহত বা মৃত অবস্থায় দেখানো হয়েছে।
তবে ওয়েব নিজে ভিডিও কলে তাঁর ক্যামেরা চালু করতেন না। কারণ, ওয়েব জানতেন, তিনি যা করছেন তা বেআইনি। আদালতে ওয়েবের আইনজীবী জোয়ি কওং জানান, ওয়েব নিজে একসময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন এবং অনলাইনে পাওয়া বিকৃত কনটেন্ট দেখে এমন আচরণ রপ্ত করেন।
তাঁর চিকিৎসক আজিথ গুরুসিংহে জানান, ওয়েব অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এসিডি), ওসিডি, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা রোগে আক্রান্ত। তিনি এখন মানসিক হাসপাতালে আছেন এবং পুরোপুরি অনুতপ্ত নন। তবে কিছুটা অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন।
ডিটেকটিভ কনস্টেবল লরেন হ্যাম্পটন বলেন, ‘এটি শুধু ভয়াবহ নয়, বরং অতি উদ্বেগজনক। এক নারী যখন অনলাইনে সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়েছিলেন, তখন ওয়েব তাঁর বিশ্বাস নিয়ে খেলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তিনি জানতেন, তাঁর কথায় ওই নারী আত্মহত্যা করতে পারেন—তবুও বারবার সে তা বলে গেছে।’
তথ্যসূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ

হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১৬ ঘণ্টা আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১৭ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়।
১৮ ঘণ্টা আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ এশিয়ার হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মার্কেটিং তানভীর আহমেদের মুখোমুখি হয়েছে আজকের পত্রিকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু।
মোস্তাফিজ মিঠু

বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা স্মার্টফোন দিয়ে হুয়াওয়েকে চেনে। যদিও এটি হুয়াওয়ের একটি অংশমাত্র। পুরো প্রতিষ্ঠান নিয়ে শুরুতে সংক্ষেপে জানতে চাইব।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে হুয়াওয়ের জনপ্রিয়তা আসে মোবাইল ফোন দিয়েই। আমাদের হ্যান্ডসেটগুলো বরাবরই জনপ্রিয়। ডিভাইসের ডিজাইন, টেক্সচার, ক্যামেরা কোয়ালিটি—সবকিছুই গ্রাহকের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। আমি বহু মানুষকে এখনো হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখছি। কিন্তু হুয়াওয়ের যাত্রাটা আসলে মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু হয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র তিন লাখের মতো টাকা দিয়ে চীনে হুয়াওয়ের যাত্রা শুরু করেন। আমাদের মূল ব্যবসা টেলিকম নেটওয়ার্ক সল্যুশন। টেলিকম প্রযুক্তি আর প্রজন্ম নিয়ে আমরা কাজ করি। এই যে টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি, ফাইভ-জি বা সিক্স-জি—এমন প্রতিটি টেলিকম জেনারেশন উদ্ভাবনে আমরা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখি এবং এই প্রযুক্তিগুলো সরবরাহ করি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে আমাদের সরঞ্জাম প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে মোবাইল টাওয়ারগুলোয় জিএসএম সল্যুশন ব্যবহার করা হয়।
এখন তো বাংলাদেশের বাজারে হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন নেই। বর্তমানে আপনারা কোন সেবাগুলো নিয়ে কাজ করছেন?
নেটওয়ার্ক সল্যুশন থেকে প্রযুক্তি, বিভিন্ন খাতে হুয়াওয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট ক্যামেরা সল্যুশন দিয়েছি; যার মাধ্যমে পুলিশ কন্ট্রোল রুম মনিটর করতে পারছে, কোনো নির্দিষ্ট রুটে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কি না, কোনো আইন কেউ ভাঙল কি না ইত্যাদি বিষয়। আমরা শুধু হার্ডওয়্যারই দিই না। এর সঙ্গে সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড সল্যুশনসহ কাস্টমাইজড সমাধান দিয়ে থাকি। যেমন বিকাশকে আমরা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরবরাহ করছি। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেটওয়ার্কিং ল্যাব গড়ে তুলেছি। মেডিকেল সেক্টরে ডেটাবেইস ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট দিয়ে থাকি; যাতে হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট সেবা আরও দক্ষভাবে পরিচালিত হয়।
আপনারা দেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতেরও একটি সহযোগী। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে প্রযুক্তি সরবরাহ করাও আমাদের বড় একটি ব্যবসায়িক দিক। ২০২০ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশের তৎকালীন সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়। আমরা সেই প্রকল্পে পিভি ইনভার্টার প্রযুক্তি ও সমাধান দিয়েছি। সেখানে এখন প্রতিদিন প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে রুফটপ সোলার সল্যুশন, পিভি ইনভার্টার এবং এনার্জি স্টোরেজ সল্যুশন সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে আমরা ইউআইইউ ও সিইআরের সঙ্গে ইউআইইউতে সম্মিলিতভাবে একটি সোলার পাওয়ার ল্যাব চালু করেছি। সেখানে শিক্ষানবিশ ও পেশাদারেরা সোলার এনার্জি উৎপাদন, প্রকল্পের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে টেলিকম অপারেটরদের যে টাওয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে সৌরবিদ্যুৎনির্ভর করে তুলতে আমরা অনেক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণদের জন্য আপনাদের কয়েকটি উদ্যোগ রয়েছে। সেগুলোর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাই।
সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে তরুণদের উন্নয়নের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মাধ্যমে যেন তারা একটি গাইডলাইন বা প্ল্যাটফর্ম পায়। এ রকম আমাদের বেশ কিছু আয়োজন আছে। সেগুলোর মধ্যে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্যোগ। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ১২ জনের একটি ব্যাচ বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য চীনে পাঠানো হয়। এখানে নারী-পুরুষের সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ডিজাইন থিংকিং, ডিপ-থিংকিং মেথডোলজি, টিমওয়ার্ক, সেলফ প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে উৎকর্ষ অর্জন করেন। এগুলো ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগে। সাবেক অংশগ্রহণকারীরা গ্লোবাল এবং রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়। অন্যদিকে আমরা নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম করি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরা এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশে এখন ফাইভ-জি চলে এসেছে। এর সঙ্গেও হুয়াওয়ের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনাদের ভূমিকার বিষয়টি পাঠকদের জানাতে চাই।
সম্প্রতি বাংলাদেশে দুটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইভ-জি ঘোষণার পর মূলত এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে; যাদের সল্যুশন দিচ্ছে হুয়াওয়ে। যদিও এই আলোচনার শুরু ২০১৮ সালে। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনা করে হুয়াওয়ে। তখন আমাদের
সঙ্গে ছিল রবি। ২০২০ সালে আমরা এক প্রদর্শনীতে ফাইভ-জি নিয়ে জনসমক্ষে এর অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেছিলাম। সম্প্রতি দুই টেলিকম অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি বাজারে নিয়ে আসে। এখন যেকোনো অপারেটরকেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির সাপোর্ট দিতে হুয়াওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এআইকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে। আপনারা কোন ধরনের কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন?
এখন আসলে এআইয়ের সময়। আমাদের বিভিন্ন সমাধানের উচ্চক্ষমতা নিশ্চিত করতে সেগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী এআই রয়েছে। যেমন সোলার পাওয়ার সিস্টেমে পিভি
ইনভার্টার ও উৎপাদন ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্টের অ্যালগরিদমগুলো এআইভিত্তিক। এতে উৎপাদন, ম্যানেজমেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউশন আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করা যায়। হুয়াওয়ে ক্লাউডেও অনেক রকম এআইয়ের ইন্টিগ্রেশন রয়েছে, যা এর ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়।
বাংলাদেশে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? নতুন বছরে বিশেষ কিছু আসছে?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি অবকাঠামো, বিশেষত ক্লাউড, নবায়নযোগ্য শক্তি, এআই ও শিক্ষা খাতে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্টার্টআপ ও শিল্প খাতের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন সল্যুশন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। লক্ষ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো। আমরা প্রথম থেকে বাংলাদেশের আইসিটির অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চেয়েছি। আমাদের মূল ভিশন হলো ‘বিল্ডিং আ ফুললি কানেক্টেড, ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাব।
বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা স্মার্টফোন দিয়ে হুয়াওয়েকে চেনে। যদিও এটি হুয়াওয়ের একটি অংশমাত্র। পুরো প্রতিষ্ঠান নিয়ে শুরুতে সংক্ষেপে জানতে চাইব।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে হুয়াওয়ের জনপ্রিয়তা আসে মোবাইল ফোন দিয়েই। আমাদের হ্যান্ডসেটগুলো বরাবরই জনপ্রিয়। ডিভাইসের ডিজাইন, টেক্সচার, ক্যামেরা কোয়ালিটি—সবকিছুই গ্রাহকের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। আমি বহু মানুষকে এখনো হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখছি। কিন্তু হুয়াওয়ের যাত্রাটা আসলে মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু হয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র তিন লাখের মতো টাকা দিয়ে চীনে হুয়াওয়ের যাত্রা শুরু করেন। আমাদের মূল ব্যবসা টেলিকম নেটওয়ার্ক সল্যুশন। টেলিকম প্রযুক্তি আর প্রজন্ম নিয়ে আমরা কাজ করি। এই যে টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি, ফাইভ-জি বা সিক্স-জি—এমন প্রতিটি টেলিকম জেনারেশন উদ্ভাবনে আমরা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখি এবং এই প্রযুক্তিগুলো সরবরাহ করি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে আমাদের সরঞ্জাম প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে মোবাইল টাওয়ারগুলোয় জিএসএম সল্যুশন ব্যবহার করা হয়।
এখন তো বাংলাদেশের বাজারে হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন নেই। বর্তমানে আপনারা কোন সেবাগুলো নিয়ে কাজ করছেন?
নেটওয়ার্ক সল্যুশন থেকে প্রযুক্তি, বিভিন্ন খাতে হুয়াওয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট ক্যামেরা সল্যুশন দিয়েছি; যার মাধ্যমে পুলিশ কন্ট্রোল রুম মনিটর করতে পারছে, কোনো নির্দিষ্ট রুটে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কি না, কোনো আইন কেউ ভাঙল কি না ইত্যাদি বিষয়। আমরা শুধু হার্ডওয়্যারই দিই না। এর সঙ্গে সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড সল্যুশনসহ কাস্টমাইজড সমাধান দিয়ে থাকি। যেমন বিকাশকে আমরা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরবরাহ করছি। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেটওয়ার্কিং ল্যাব গড়ে তুলেছি। মেডিকেল সেক্টরে ডেটাবেইস ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট দিয়ে থাকি; যাতে হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট সেবা আরও দক্ষভাবে পরিচালিত হয়।
আপনারা দেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতেরও একটি সহযোগী। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে প্রযুক্তি সরবরাহ করাও আমাদের বড় একটি ব্যবসায়িক দিক। ২০২০ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশের তৎকালীন সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়। আমরা সেই প্রকল্পে পিভি ইনভার্টার প্রযুক্তি ও সমাধান দিয়েছি। সেখানে এখন প্রতিদিন প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে রুফটপ সোলার সল্যুশন, পিভি ইনভার্টার এবং এনার্জি স্টোরেজ সল্যুশন সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে আমরা ইউআইইউ ও সিইআরের সঙ্গে ইউআইইউতে সম্মিলিতভাবে একটি সোলার পাওয়ার ল্যাব চালু করেছি। সেখানে শিক্ষানবিশ ও পেশাদারেরা সোলার এনার্জি উৎপাদন, প্রকল্পের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে টেলিকম অপারেটরদের যে টাওয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে সৌরবিদ্যুৎনির্ভর করে তুলতে আমরা অনেক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণদের জন্য আপনাদের কয়েকটি উদ্যোগ রয়েছে। সেগুলোর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাই।
সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে তরুণদের উন্নয়নের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মাধ্যমে যেন তারা একটি গাইডলাইন বা প্ল্যাটফর্ম পায়। এ রকম আমাদের বেশ কিছু আয়োজন আছে। সেগুলোর মধ্যে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্যোগ। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ১২ জনের একটি ব্যাচ বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য চীনে পাঠানো হয়। এখানে নারী-পুরুষের সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ডিজাইন থিংকিং, ডিপ-থিংকিং মেথডোলজি, টিমওয়ার্ক, সেলফ প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে উৎকর্ষ অর্জন করেন। এগুলো ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগে। সাবেক অংশগ্রহণকারীরা গ্লোবাল এবং রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়। অন্যদিকে আমরা নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম করি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরা এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশে এখন ফাইভ-জি চলে এসেছে। এর সঙ্গেও হুয়াওয়ের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনাদের ভূমিকার বিষয়টি পাঠকদের জানাতে চাই।
সম্প্রতি বাংলাদেশে দুটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইভ-জি ঘোষণার পর মূলত এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে; যাদের সল্যুশন দিচ্ছে হুয়াওয়ে। যদিও এই আলোচনার শুরু ২০১৮ সালে। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনা করে হুয়াওয়ে। তখন আমাদের
সঙ্গে ছিল রবি। ২০২০ সালে আমরা এক প্রদর্শনীতে ফাইভ-জি নিয়ে জনসমক্ষে এর অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেছিলাম। সম্প্রতি দুই টেলিকম অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি বাজারে নিয়ে আসে। এখন যেকোনো অপারেটরকেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির সাপোর্ট দিতে হুয়াওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এআইকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে। আপনারা কোন ধরনের কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন?
এখন আসলে এআইয়ের সময়। আমাদের বিভিন্ন সমাধানের উচ্চক্ষমতা নিশ্চিত করতে সেগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী এআই রয়েছে। যেমন সোলার পাওয়ার সিস্টেমে পিভি
ইনভার্টার ও উৎপাদন ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্টের অ্যালগরিদমগুলো এআইভিত্তিক। এতে উৎপাদন, ম্যানেজমেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউশন আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করা যায়। হুয়াওয়ে ক্লাউডেও অনেক রকম এআইয়ের ইন্টিগ্রেশন রয়েছে, যা এর ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়।
বাংলাদেশে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? নতুন বছরে বিশেষ কিছু আসছে?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি অবকাঠামো, বিশেষত ক্লাউড, নবায়নযোগ্য শক্তি, এআই ও শিক্ষা খাতে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্টার্টআপ ও শিল্প খাতের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন সল্যুশন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। লক্ষ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো। আমরা প্রথম থেকে বাংলাদেশের আইসিটির অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চেয়েছি। আমাদের মূল ভিশন হলো ‘বিল্ডিং আ ফুললি কানেক্টেড, ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাব।

এক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নারীকে ভিডিও কলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে এক তরুণকে ৯ বছর ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। যুক্তরাজ্যের ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট ২০২৩’-এর আওতায় এটাই প্রথম কোনো অপরাধীর কারাদণ্ডের ঘটনা।
০৫ জুলাই ২০২৫
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১৬ ঘণ্টা আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১৭ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেটি এইচ মাহির

সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটগুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো থেকে ৩০ সেকেন্ডের কম সময়ে তারা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।
‘পিক্সন্যাপিং’ নামে নতুন ধরনের এই হ্যাকিং কীভাবে হচ্ছে, তা আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ও কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাইওয়ানের ৩২তম এসিএম কম্পিউটার ও যোগাযোগ সুরক্ষা সম্মেলনে এই গবেষণা প্রকাশ করেন তাঁরা।
অনুমতি ছাড়া তথ্য চুরি সম্ভব
পিক্সন্যাপিং নামে এই নতুন হ্যাকিং কৌশলে একধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দিয়ে তথ্য চুরি করা হয়। অ্যাপটির জন্য মোবাইল ফোনসেটের কোনো সিস্টেমের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এই ক্ষতিকর অ্যাপ ডিভাইসে থাকা অন্যান্য অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ভিজিটের তথ্য পড়তে পারে। পাশাপাশি জিমেইল ও গুগল অথেনটিকেটরের মতো নন-ব্রাউজার অ্যাপ থেকেও তথ্য চুরি করতে পারে। গবেষকেরা পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটকে গবেষণায় ব্যবহার করেছেন। গুগল পিক্সেল সিরিজের ৬, ৭, ৮, ৯ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫, এই ডিভাইসগুলোতে ঝুঁকি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। অন্যান্য ফোনসেট এখনো আক্রমণের শিকার হয়নি। কিন্তু হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেননি গবেষকেরা। গুগল ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও গবেষকেরা বলছেন, হ্যাকাররা পরিবর্তিত কৌশল ব্যবহার করতে পারে।
লিংক পাঠানোর কৌশল
হ্যাকাররা এই আক্রমণ করার সময় প্রথমে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করে। এই অ্যাপ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে লিংক পাঠিয়ে এই অ্যাপ ডাউনলোড করানো হতে পারে। ভুক্তভোগী এসব লিংকে ক্লিক করলে ফোনসেটে অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যাবে। কখনো নকল অ্যাপ স্টোর, বিজ্ঞাপন, কিউআর কোডের মাধ্যমেও ফোনসেট ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হতে পারে। মোবাইল ফোনসেটে হ্যাকারদের অ্যাপ ইনস্টল হলে তার পিক্সেলের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তথ্য চুরি করা হয়।
পিক্সন্যাপিং হলো একটি চতুর কৌশল, যেখানে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ফোনসেটের গ্রাফিকস সিস্টেম থেকে ক্ষুদ্র সংকেতগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং ধাপে ধাপে অন্য অ্যাপগুলো স্ক্রিনে কী করছে তা বের করে।
এটি টু ফ্যাক্টর কোড বা মেসেজ প্রিভিউর
মতো সংক্ষিপ্ত এবং সংবেদনশীল জিনিসগুলো দেখতে পারে। এটি সিস্টেমের কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই কাজ করে। এই সাইবার আক্রমণ অনেকটা ২০২৩ সালের জিপিইউ ডট জিপ আক্রমণের মতো।
পিক্সন্যাপিং নামে নতুন এই সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন প্যাচ, আপডেট বা সিকিউরিটি আপডেট এলে তা ইনস্টল করা উচিত। বেনামি অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। ফোনসেট ডাউনলোড করা সব অ্যাপের সিস্টেম পারমিশন যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং অ্যাপগুলোতে একাধিক সিকিউরিটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন পিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি আলাদা একটি অ্যাপ লক ব্যবহার করা যায়। যদি সম্ভব হয়, তাহলে ফিজিক্যাল কি ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ, দ্য রেজিস্ট্রার

সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটগুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো থেকে ৩০ সেকেন্ডের কম সময়ে তারা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।
‘পিক্সন্যাপিং’ নামে নতুন ধরনের এই হ্যাকিং কীভাবে হচ্ছে, তা আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ও কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাইওয়ানের ৩২তম এসিএম কম্পিউটার ও যোগাযোগ সুরক্ষা সম্মেলনে এই গবেষণা প্রকাশ করেন তাঁরা।
অনুমতি ছাড়া তথ্য চুরি সম্ভব
পিক্সন্যাপিং নামে এই নতুন হ্যাকিং কৌশলে একধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দিয়ে তথ্য চুরি করা হয়। অ্যাপটির জন্য মোবাইল ফোনসেটের কোনো সিস্টেমের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এই ক্ষতিকর অ্যাপ ডিভাইসে থাকা অন্যান্য অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ভিজিটের তথ্য পড়তে পারে। পাশাপাশি জিমেইল ও গুগল অথেনটিকেটরের মতো নন-ব্রাউজার অ্যাপ থেকেও তথ্য চুরি করতে পারে। গবেষকেরা পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটকে গবেষণায় ব্যবহার করেছেন। গুগল পিক্সেল সিরিজের ৬, ৭, ৮, ৯ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫, এই ডিভাইসগুলোতে ঝুঁকি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। অন্যান্য ফোনসেট এখনো আক্রমণের শিকার হয়নি। কিন্তু হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেননি গবেষকেরা। গুগল ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও গবেষকেরা বলছেন, হ্যাকাররা পরিবর্তিত কৌশল ব্যবহার করতে পারে।
লিংক পাঠানোর কৌশল
হ্যাকাররা এই আক্রমণ করার সময় প্রথমে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করে। এই অ্যাপ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে লিংক পাঠিয়ে এই অ্যাপ ডাউনলোড করানো হতে পারে। ভুক্তভোগী এসব লিংকে ক্লিক করলে ফোনসেটে অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যাবে। কখনো নকল অ্যাপ স্টোর, বিজ্ঞাপন, কিউআর কোডের মাধ্যমেও ফোনসেট ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হতে পারে। মোবাইল ফোনসেটে হ্যাকারদের অ্যাপ ইনস্টল হলে তার পিক্সেলের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তথ্য চুরি করা হয়।
পিক্সন্যাপিং হলো একটি চতুর কৌশল, যেখানে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ফোনসেটের গ্রাফিকস সিস্টেম থেকে ক্ষুদ্র সংকেতগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং ধাপে ধাপে অন্য অ্যাপগুলো স্ক্রিনে কী করছে তা বের করে।
এটি টু ফ্যাক্টর কোড বা মেসেজ প্রিভিউর
মতো সংক্ষিপ্ত এবং সংবেদনশীল জিনিসগুলো দেখতে পারে। এটি সিস্টেমের কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই কাজ করে। এই সাইবার আক্রমণ অনেকটা ২০২৩ সালের জিপিইউ ডট জিপ আক্রমণের মতো।
পিক্সন্যাপিং নামে নতুন এই সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন প্যাচ, আপডেট বা সিকিউরিটি আপডেট এলে তা ইনস্টল করা উচিত। বেনামি অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। ফোনসেট ডাউনলোড করা সব অ্যাপের সিস্টেম পারমিশন যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং অ্যাপগুলোতে একাধিক সিকিউরিটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন পিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি আলাদা একটি অ্যাপ লক ব্যবহার করা যায়। যদি সম্ভব হয়, তাহলে ফিজিক্যাল কি ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ, দ্য রেজিস্ট্রার

এক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নারীকে ভিডিও কলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে এক তরুণকে ৯ বছর ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। যুক্তরাজ্যের ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট ২০২৩’-এর আওতায় এটাই প্রথম কোনো অপরাধীর কারাদণ্ডের ঘটনা।
০৫ জুলাই ২০২৫
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১৭ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
নতুন এই মডেল ডিজাইনের লেয়ার ও ফরম্যাট বুঝে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এনেছে নতুন কিছু ফিচার, স্প্রেডশিট টুলস, মিনি অ্যাপ তৈরির সুবিধা।
ডিজাইন মডেলে বড় পরিবর্তন
ক্যানভা জানিয়েছে, তাদের নতুন ডিজাইন মডেলটি নিজেরাই তৈরি করেছে। এটি সাধারণ বা সমতল ছবি তৈরি করা ছাড়াও লেয়ার, অবজেক্টসহ ডিজাইন করতে পারে। এর ফলে যাঁরা অ্যাপটি ব্যবহার করবেন, তাঁরা চাইলে সহজে নিজের মতো সম্পাদনা করতে পারবেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, প্রেজেন্টেশন, হোয়াইট বোর্ড বা ওয়েবসাইট—সব জায়গায় কাজ করবে। ক্যানভার প্রোডাক্টের প্রধান রবার্ট কাওয়ালস্কি বলেছেন, ‘আগে আমরা শুধু সাধারণ ছবি তৈরি করতাম। তবে এখন ব্যবহারকারীরা চান প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করতে এবং সেটি তাঁদের নিজের মতো সম্পাদনা করতে; যাতে ডিজাইন আরও প্রয়োজন অনুযায়ী হয়।’
আরও উন্নত ক্যানভা এআই
ক্যানভায় এর আগেও এআই-সুবিধা চালু ছিল। যাকে বলা হতো ক্যানভা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। এখানে শুধু লেখা প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করা যেত। কিন্তু নতুন আপডেটে ব্যবহারকারীরা আরও উন্নত উপায়ে ছবি তৈরি করতে পারবেন।

স্প্রেডশিট ও অ্যাপ সংযুক্তির নতুন সুবিধা
ক্যানভা তাদের স্প্রেডশিট ও মিনি অ্যাপ ফিচার এনেছে একসঙ্গে। এর ফলে স্প্রেডশিটে রাখা তথ্য ব্যবহার করে সহজে চার্ট, গ্রাফ বা অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উইজেট তৈরি করা যাবে। এটি ডিজাইন কিংবা প্রেজেন্টেশনে ব্যবহার করা যাবে। ফলে ডেটা উপস্থাপনা অনেক সহজ ও দ্রুত হবে।
ক্যানভা বলছে, এই নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা শুধু একটি সাধারণ ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম নয়, এআই-চালিত সম্পূর্ণ ডিজাইন ইকোসিস্টেমে পরিণত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাডোবির মতো পেশাদার টুলসের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্যানভা।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
নতুন এই মডেল ডিজাইনের লেয়ার ও ফরম্যাট বুঝে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এনেছে নতুন কিছু ফিচার, স্প্রেডশিট টুলস, মিনি অ্যাপ তৈরির সুবিধা।
ডিজাইন মডেলে বড় পরিবর্তন
ক্যানভা জানিয়েছে, তাদের নতুন ডিজাইন মডেলটি নিজেরাই তৈরি করেছে। এটি সাধারণ বা সমতল ছবি তৈরি করা ছাড়াও লেয়ার, অবজেক্টসহ ডিজাইন করতে পারে। এর ফলে যাঁরা অ্যাপটি ব্যবহার করবেন, তাঁরা চাইলে সহজে নিজের মতো সম্পাদনা করতে পারবেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, প্রেজেন্টেশন, হোয়াইট বোর্ড বা ওয়েবসাইট—সব জায়গায় কাজ করবে। ক্যানভার প্রোডাক্টের প্রধান রবার্ট কাওয়ালস্কি বলেছেন, ‘আগে আমরা শুধু সাধারণ ছবি তৈরি করতাম। তবে এখন ব্যবহারকারীরা চান প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করতে এবং সেটি তাঁদের নিজের মতো সম্পাদনা করতে; যাতে ডিজাইন আরও প্রয়োজন অনুযায়ী হয়।’
আরও উন্নত ক্যানভা এআই
ক্যানভায় এর আগেও এআই-সুবিধা চালু ছিল। যাকে বলা হতো ক্যানভা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। এখানে শুধু লেখা প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করা যেত। কিন্তু নতুন আপডেটে ব্যবহারকারীরা আরও উন্নত উপায়ে ছবি তৈরি করতে পারবেন।

স্প্রেডশিট ও অ্যাপ সংযুক্তির নতুন সুবিধা
ক্যানভা তাদের স্প্রেডশিট ও মিনি অ্যাপ ফিচার এনেছে একসঙ্গে। এর ফলে স্প্রেডশিটে রাখা তথ্য ব্যবহার করে সহজে চার্ট, গ্রাফ বা অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উইজেট তৈরি করা যাবে। এটি ডিজাইন কিংবা প্রেজেন্টেশনে ব্যবহার করা যাবে। ফলে ডেটা উপস্থাপনা অনেক সহজ ও দ্রুত হবে।
ক্যানভা বলছে, এই নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা শুধু একটি সাধারণ ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম নয়, এআই-চালিত সম্পূর্ণ ডিজাইন ইকোসিস্টেমে পরিণত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাডোবির মতো পেশাদার টুলসের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্যানভা।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

এক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নারীকে ভিডিও কলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে এক তরুণকে ৯ বছর ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। যুক্তরাজ্যের ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট ২০২৩’-এর আওতায় এটাই প্রথম কোনো অপরাধীর কারাদণ্ডের ঘটনা।
০৫ জুলাই ২০২৫
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১৬ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়। তাই সারা রাত ধরে শতভাগ চার্জ দেওয়া হয়। বিষয়টি ফোনসেটের ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর।
আর দ্বিতীয় সমস্যাটি হলো, ব্যাটারির স্বাভাবিক বয়স বেড়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া।
ফোনসেটে ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারিগুলোর ভেতরে থাকে দুটি স্তর—একটি গ্রাফাইট, আরেকটি লিথিয়াম-কোবাল্ট অক্সাইড। এই দুই স্তরের মাঝামাঝি থাকে একটি তরল ইলেকট্রোলাইট।
সমস্যার মূল কারণ হলো, ইলেকট্রোলাইট ক্রিস্টালাইজেশন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির ইলেকট্রোলাইট সলিউশনে থাকা লবণ জমে কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। সেগুলো আয়নের পথ আটকে দেয়। আয়ন চলতে না পারলে ইলেকট্রন তৈরি হয় কম। তাতে ব্যাটারি আগের মতো শক্তি দিতে পারে না।
সম্পূর্ণভাবে ব্যাটারি অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয় না। তবে কিছুটা হলেও এই প্রক্রিয়া ধীর করা যায় কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করলে—
ধীরে ধীরে, প্রতিটি চার্জ সাইকেলের সঙ্গে একটু একটু করে শক্তি হারায়।
সূত্র: পিসিম্যাগ

মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়। তাই সারা রাত ধরে শতভাগ চার্জ দেওয়া হয়। বিষয়টি ফোনসেটের ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর।
আর দ্বিতীয় সমস্যাটি হলো, ব্যাটারির স্বাভাবিক বয়স বেড়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া।
ফোনসেটে ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারিগুলোর ভেতরে থাকে দুটি স্তর—একটি গ্রাফাইট, আরেকটি লিথিয়াম-কোবাল্ট অক্সাইড। এই দুই স্তরের মাঝামাঝি থাকে একটি তরল ইলেকট্রোলাইট।
সমস্যার মূল কারণ হলো, ইলেকট্রোলাইট ক্রিস্টালাইজেশন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির ইলেকট্রোলাইট সলিউশনে থাকা লবণ জমে কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। সেগুলো আয়নের পথ আটকে দেয়। আয়ন চলতে না পারলে ইলেকট্রন তৈরি হয় কম। তাতে ব্যাটারি আগের মতো শক্তি দিতে পারে না।
সম্পূর্ণভাবে ব্যাটারি অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয় না। তবে কিছুটা হলেও এই প্রক্রিয়া ধীর করা যায় কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করলে—
ধীরে ধীরে, প্রতিটি চার্জ সাইকেলের সঙ্গে একটু একটু করে শক্তি হারায়।
সূত্র: পিসিম্যাগ

এক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নারীকে ভিডিও কলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে এক তরুণকে ৯ বছর ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। যুক্তরাজ্যের ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট ২০২৩’-এর আওতায় এটাই প্রথম কোনো অপরাধীর কারাদণ্ডের ঘটনা।
০৫ জুলাই ২০২৫
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১৬ ঘণ্টা আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১৭ ঘণ্টা আগে