প্রযুক্তি ডেস্ক
পুরোনো গলিতে আটকে পড়া হলুদ রঙের ট্যাক্সির ছাদের ওপর দিয়ে ভোঁ করে উড়ে গেল আরেকটি হলুদ ট্যাক্সি। কিংবা ধরুন, সল্ট লেক থেকে ট্যাক্সি ধরে উড়ে গেলেন কফি হাউস। না, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বানানো কোনো সিনেমার কথা বলছি না। বলছি ভারতের উড়ন্ত ট্যাক্সির কথা।
আর মাত্র সাত থেকে আট মাস পরেই ভারতের আকাশে উড়বে ট্যাক্সি—এমনটাই জানিয়েছে দেশটির নিউজ ১৮, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। আর এর রূপকার ভারতের ‘ইলন মাস্ক’খ্যাত বাঙালি অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী। তিনি ই-প্লেন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মাদ্রাজের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিজ্ঞানী।
গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সত্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ভারতের ব্যস্ত শহরগুলোতে যানজটের সমস্যা দূর করতে পারবে এই বিশেষ ট্যাক্সি। ই-২০০ ট্যাক্সির একটি প্রতিরূপ ই-৫০ ইতিমধ্যে ওড়ার পরীক্ষায় পাস করেছে। সত্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, উড়ন্ত এই ট্যাক্সির প্রথম পরীক্ষামূলক সম্ভাব্য উড়ান হতে পারে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে।
এই ট্যাক্সি নির্মাণ বিষয়ে ই-প্লেন নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, উড়ন্ত ট্যাক্সিটি একটি এসইউভির আকারের এবং অবতরণের জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হবে না। দুই সিটের গাড়িটি চালাবেও মানুষ। একবার ব্যাটারি চার্জেই যাতে একাধিকবার স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করা যায়, সেদিকটাও খেয়াল রাখবে প্রতিষ্ঠানটি। ট্যাক্সিটির ওজন ২০০ কেজি এবং চারটি ডাক্টেড ফ্যান দিয়ে সজ্জিত, যা প্রপেলার হিসেবে কাজ করবে।
ফ্লাইং এই ট্যাক্সিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যাত্রীর নিরাপত্তায়। সেই অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ডিজাইন করা হয়েছে। চরম পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য ভুলগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেমন জরুরি পরিস্থিতিতে যাত্রীর সুরক্ষায় প্যারাসুট ও ইনফ্ল্যাটেবলের মতো জরুরি ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী। শুধু তা-ই নয়, উড়ানের সময় স্থিতিশীলতা এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য ভার্টিক্যাল রোটর ও অ্যারো ডাইনামিক ডিজাইন নীতির মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ট্যাক্সির বিভিন্ন উপাদান ও সাব সিস্টেমের পরীক্ষায় দেখা গেছে, ১০০ কোটি বারের মধ্যে মাত্র ১ বার ব্যর্থ হতে পারে সেগুলো। চরম পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য ব্যর্থতা সহ্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে এই ট্যাক্সি।
এ তো গেল ট্যাক্সির ধরন-ধারণের কথা। এমন দারুণ যানটিতে চাপতে হলে ভাড়া কেমন হবে? এ-সম্পর্কেও অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ওলা কিংবা উবারের দ্বিগুণ ভাড়া হলেও তবে তা থাকবে মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে। সমাজের সব স্তরের মানুষ যাতে ফ্লাইং ট্যাক্সি ব্যবহার করতে পারে, সেদিকটা বিবেচনায় রেখে ভাড়া ঠিক করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় খেয়াল রাখা হবে, কার্গো ও দৈনিক আন্তনগর যাতায়াত। তবে বাণিজ্যিকভাবে চালু করার আগে এর ডিজাইন ও প্রোটোটাইপকে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএর সঙ্গে সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টাইমস, নিউজ ১৮
পুরোনো গলিতে আটকে পড়া হলুদ রঙের ট্যাক্সির ছাদের ওপর দিয়ে ভোঁ করে উড়ে গেল আরেকটি হলুদ ট্যাক্সি। কিংবা ধরুন, সল্ট লেক থেকে ট্যাক্সি ধরে উড়ে গেলেন কফি হাউস। না, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বানানো কোনো সিনেমার কথা বলছি না। বলছি ভারতের উড়ন্ত ট্যাক্সির কথা।
আর মাত্র সাত থেকে আট মাস পরেই ভারতের আকাশে উড়বে ট্যাক্সি—এমনটাই জানিয়েছে দেশটির নিউজ ১৮, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। আর এর রূপকার ভারতের ‘ইলন মাস্ক’খ্যাত বাঙালি অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী। তিনি ই-প্লেন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মাদ্রাজের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিজ্ঞানী।
গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সত্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ভারতের ব্যস্ত শহরগুলোতে যানজটের সমস্যা দূর করতে পারবে এই বিশেষ ট্যাক্সি। ই-২০০ ট্যাক্সির একটি প্রতিরূপ ই-৫০ ইতিমধ্যে ওড়ার পরীক্ষায় পাস করেছে। সত্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, উড়ন্ত এই ট্যাক্সির প্রথম পরীক্ষামূলক সম্ভাব্য উড়ান হতে পারে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে।
এই ট্যাক্সি নির্মাণ বিষয়ে ই-প্লেন নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, উড়ন্ত ট্যাক্সিটি একটি এসইউভির আকারের এবং অবতরণের জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হবে না। দুই সিটের গাড়িটি চালাবেও মানুষ। একবার ব্যাটারি চার্জেই যাতে একাধিকবার স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করা যায়, সেদিকটাও খেয়াল রাখবে প্রতিষ্ঠানটি। ট্যাক্সিটির ওজন ২০০ কেজি এবং চারটি ডাক্টেড ফ্যান দিয়ে সজ্জিত, যা প্রপেলার হিসেবে কাজ করবে।
ফ্লাইং এই ট্যাক্সিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যাত্রীর নিরাপত্তায়। সেই অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ডিজাইন করা হয়েছে। চরম পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য ভুলগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেমন জরুরি পরিস্থিতিতে যাত্রীর সুরক্ষায় প্যারাসুট ও ইনফ্ল্যাটেবলের মতো জরুরি ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী। শুধু তা-ই নয়, উড়ানের সময় স্থিতিশীলতা এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য ভার্টিক্যাল রোটর ও অ্যারো ডাইনামিক ডিজাইন নীতির মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ট্যাক্সির বিভিন্ন উপাদান ও সাব সিস্টেমের পরীক্ষায় দেখা গেছে, ১০০ কোটি বারের মধ্যে মাত্র ১ বার ব্যর্থ হতে পারে সেগুলো। চরম পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য ব্যর্থতা সহ্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে এই ট্যাক্সি।
এ তো গেল ট্যাক্সির ধরন-ধারণের কথা। এমন দারুণ যানটিতে চাপতে হলে ভাড়া কেমন হবে? এ-সম্পর্কেও অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ওলা কিংবা উবারের দ্বিগুণ ভাড়া হলেও তবে তা থাকবে মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে। সমাজের সব স্তরের মানুষ যাতে ফ্লাইং ট্যাক্সি ব্যবহার করতে পারে, সেদিকটা বিবেচনায় রেখে ভাড়া ঠিক করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় খেয়াল রাখা হবে, কার্গো ও দৈনিক আন্তনগর যাতায়াত। তবে বাণিজ্যিকভাবে চালু করার আগে এর ডিজাইন ও প্রোটোটাইপকে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএর সঙ্গে সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টাইমস, নিউজ ১৮
বিশ্বজুড়ে প্রচলিত সার্চ ইঞ্জিনের বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জেনারেটিভ এআই টুল, যেমন—চ্যাটজিপিটি, গুগলের জেমিনি ও অ্যানথ্রপিকের ক্লদ। গ্রাহকরা এখন তথ্য খোঁজা থেকে শুরু করে কেনাকাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া পর্যন্ত এইসব কনভারসেশনাল এআইয়ের ওপরই ভরসা করছেন। তাই চ্যাটবটের সঙ্গে যুক্ত লিংকের মাধ্যমেই ওয়েবসাইট
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের অন্যতম ধনকুবের জেফ বেজোস ও তাঁর বাগদত্তা লরেন সানচেজ ভেনিসের সান জর্জিও দ্বীপে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। বিয়ের নির্দিষ্ট তারিখ গোপন রাখা হলেও তিন দিনের এই বিলাসবহুল অনুষ্ঠান (২৩ থেকে ২৫ জুন) ঘিরে ইতালির এই ঐতিহাসিক শহরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
৫ ঘণ্টা আগেঅবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় নামছে ইলন মাস্কের টেসলা কোম্পানির চালকবিহীন, স্বচালিত (সেলফ ড্রাইভিং) গাড়ি ‘রোবোট্যাক্সি’। গতকাল রোববার (২২ জুন) টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক এই সেবা।
৮ ঘণ্টা আগেছবি ও ভিডিও পোস্ট করার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামে মেসেজ আদান-প্রদানের জন্যও বেশ ব্যবহৃত হয়। অনেক সময় দ্রুত চ্যাটিংয়ের সময় টেক্সটে বানান ভুলের মতো অন্য কোনো ভুলও হদে পারে। তবে ইনস্টাগ্রাম এডিট করারও সুযোগ রেখেছে। ফলে কোনো ভুল মেসেজ পাঠানো হলেও তা খুব সহজেই সংশোধন করে নেওয়া যায়।
১০ ঘণ্টা আগে