Ajker Patrika

হেডফোন ছাড়া অডিও শোনা যাবে জাপানের এয়ারলাইনসে, কাজ করবে যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক
সরাসরি সিটের হেডরেস্টে বসানো স্পিকারের মাধ্যমেই অডিও শোনা যাবে। ছবি: সাফরান
সরাসরি সিটের হেডরেস্টে বসানো স্পিকারের মাধ্যমেই অডিও শোনা যাবে। ছবি: সাফরান

বিমান ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য দ্রুত গতিতে গন্তব্যে পৌঁছানো হলেও আধুনিক যুগে যাত্রা অভিজ্ঞতা আগের তুলনায় অনেক বেশি আরামদায়ক ও উপভোগ্য। এর পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে—বিমানের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমের উন্নতি। মোবাইল বা ট্যাবলেটের ওপর নির্ভর না করেই যাত্রীরা এখন বিমানে বসেই সিনেমা, টিভি শো বা গান উপভোগ করতে পারেন। এমনকি চাইলে বিমানে স্ক্রিনে ব্লুটুথ হেডফোনও সংযুক্ত করা যায়।

তবে এবার এই হেডফোন ঝামেলা ছাড়াই যাত্রীরা বিমানে অডিও উপভোগ করতে পারবেন। কারণ, জাপান এয়ারলাইনস চালু করেছে এক নতুন প্রযুক্তি—ইউফোনি (Euphony)। এতে হেডফোন বা ইয়ারফোনের প্রয়োজন নেই, সরাসরি সিটের হেডরেস্টে (মাথা যেখানে এলিয়ে দেওয়া হয়) বসানো স্পিকারের মাধ্যমেই অডিও শোনা যাবে। অর্থাৎ প্রতিটি যাত্রীর সামনে স্ক্রিনে যা দেখা যাবে, সেই মিডিয়ার অডিও এই স্পিকারে বাজবে।

প্রযুক্তিটি দেখতে সাধারণ মনে হলেও কার্যকারিতার দিক দিয়ে এটি একটি অভিনব উদ্যোগ। কারণ, হেডরেস্টে বসানো স্পিকারে অডিওর মান, শব্দ ছড়িয়ে পড়া বা আশপাশের যাত্রীদের বিরক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

জানা গেছে, ইউফোনি প্রযুক্তি এখন জাপান এয়ারলাইনসের ‘এয়ারবাস এ৩৫০–১০০০’ বিমানের বিজনেস ও ফার্স্ট ক্লাস যাত্রীদের জন্যই চালু হয়েছে। এটি তৈরি হয়েছে ফরাসি বিলাসবহুল অডিও ব্র্যান্ড ডেভিয়ালেট (Devialet) এবং সাফরান সিটস (Safran Seats)-এর যৌথ উদ্যোগে। প্রতিটি হেডরেস্টের দুই পাশে বসানো হয়েছে ডেভিয়ালেট-এর বিশেষভাবে ডিজাইন করা দুটি করে ডিরেকশনাল স্পিকার, যেগুলোর অবস্থান যাত্রী নিজের ইচ্ছেমতো সমন্বয় করতে পারেন।

এই প্রযুক্তির ব্যবহারিক দিক নিয়ে ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য মাইললায়ন–এর এক পর্যালোচনা প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, ইউফোনি প্রযুক্তি আশানুরূপভাবে কাজ করছে। যদিও শব্দের তীব্রতা ও গভীরতা হেডফোনের মতো নয়, তবে দীর্ঘ সময় ব্যবহারে এটি অনেক বেশি আরামদায়ক এবং ঝামেলামুক্ত অভিজ্ঞতা দেয়।

এই প্রযুক্তির ফলে অন্য যাত্রীদের কাছে শব্দ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও নেই বললেই চলে। ছবি: সাফরান
এই প্রযুক্তির ফলে অন্য যাত্রীদের কাছে শব্দ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও নেই বললেই চলে। ছবি: সাফরান

পর্যালোচনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শব্দ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও নেই বললেই চলে। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো অপেক্ষাকৃত আলাদা হওয়ায় এবং ইঞ্জিনের স্বাভাবিক শব্দের কারণে পাশের যাত্রীদের বিরক্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

তবে প্রযুক্তিটি এখনো কিছুটা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে বলে স্বীকার করেছে জাপান এয়ারলাইন্স। এজন্য চাইলে যাত্রীরা এখনো প্রচলিত হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন এবং নিজেদের ব্লুটুথ ইয়ারবাড সংযুক্ত করারও সুযোগ রয়েছে।

তথ্যসূত্র: স্ল্যাশগিয়ার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত