আয়শা আফরোজা
১৭ বছরের কিশোর ম্যাক হোল্ডসওয়ার্থ। বাড়ি অস্ট্রেলিয়ার কোনো এক শহরে। ২০২৩ সালে ম্যাক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। এমনকি, তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গ ছবিও বিনিময় হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে জানা যায়, ছদ্মবেশী তরুণী ছিল ৪৭ বছর বয়সের এক পুরুষ!
পরবর্তী সময়ে সেই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ম্যাকের কাছে বড় অঙ্কের অর্থ দাবি করেন সেই পুরুষ। কিন্তু ম্যাক সে অর্থ দিতে ব্যর্থ হয়ে দিন দিন মানসিকভাবে অসুস্থ হতে থাকে। একসময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ১৭ বছরের এই কিশোর।
ছেলে হারানোর শোকে ম্যাকের বাবা ওয়েন হোল্ডসওয়ার্থ ভেঙে না পড়ে। বরং তিনি উঠেপড়ে লাগলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই ভয়াবহতা থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে। এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েন বলেন, ‘আমি দেখেছি, আমার সন্তান ম্যাক কীভাবে সামাজিক মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। দিন দিন কীভাবে তার মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ছিল। আমি তাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করতাম, সব ঠিক আছে কি না। ম্যাক কখনো কিছু বলেনি। কিন্তু আমি বুঝতে পারতাম।’
প্রথমে ওয়েন বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন স্কুলের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন। তাদের বেশির ভাগেরই মতামত ছিল, ১৬ বছরের কম বয়সীদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকা উচিত।
ওয়েন জানান, তিনটি স্কুলের কয়েকজন মেয়ে তাঁকে জানায়, তারা অনলাইনে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। একজন তত দিনে তার মা-বাবার ২ হাজার ৫০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার প্রতারকের হাতে তুলে দিয়েছিল।
ওয়েন এই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন। ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে এবং হয়রানির শিকার হয়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে তিনি প্রচারণা চালাতে শুরু করেন। এই প্রচারণার খরচ চালানোর জন্য ‘স্ম্যাক টক’ নামে একটি দাতব্য সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
ওয়েন হোল্ডসওয়ার্থ সরকারের কাছে পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। যেখানে শিশুদের নিরাপত্তার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ কেন জরুরি, তার বর্ণনা আছে। তাতে অস্ট্রেলিয়ার মা-বাবাসহ রাজনৈতিক দলগুলোরও সমর্থন পাওয়া যায়।
পরবর্তী সময়ে অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড গত ২১ নভেম্বর সংসদে এ নিয়ে একটি আইন উপস্থাপন করেন। ইতিমধ্যে সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়। আইনটি কার্যকর শুরু হলে ১৬ বছরের কম বয়সীরা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না।
একটি পুরো দেশের আইন বদলে ফেলার মতো ঘটনা খুব সহজে ঘটে না। তার পেছনে ওয়েন হোল্ডসওয়ার্থের মতো কারও না কারও শ্রম থাকে। বলে রাখা ভালো, শুধু এই আইন পাস করানোর জন্য ওয়েন আইন পেশায় যুক্ত হয়েছিলেন।
সূত্র: এবিসি নিউজ
১৭ বছরের কিশোর ম্যাক হোল্ডসওয়ার্থ। বাড়ি অস্ট্রেলিয়ার কোনো এক শহরে। ২০২৩ সালে ম্যাক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। এমনকি, তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গ ছবিও বিনিময় হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে জানা যায়, ছদ্মবেশী তরুণী ছিল ৪৭ বছর বয়সের এক পুরুষ!
পরবর্তী সময়ে সেই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ম্যাকের কাছে বড় অঙ্কের অর্থ দাবি করেন সেই পুরুষ। কিন্তু ম্যাক সে অর্থ দিতে ব্যর্থ হয়ে দিন দিন মানসিকভাবে অসুস্থ হতে থাকে। একসময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ১৭ বছরের এই কিশোর।
ছেলে হারানোর শোকে ম্যাকের বাবা ওয়েন হোল্ডসওয়ার্থ ভেঙে না পড়ে। বরং তিনি উঠেপড়ে লাগলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই ভয়াবহতা থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে। এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েন বলেন, ‘আমি দেখেছি, আমার সন্তান ম্যাক কীভাবে সামাজিক মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। দিন দিন কীভাবে তার মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ছিল। আমি তাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করতাম, সব ঠিক আছে কি না। ম্যাক কখনো কিছু বলেনি। কিন্তু আমি বুঝতে পারতাম।’
প্রথমে ওয়েন বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন স্কুলের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন। তাদের বেশির ভাগেরই মতামত ছিল, ১৬ বছরের কম বয়সীদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকা উচিত।
ওয়েন জানান, তিনটি স্কুলের কয়েকজন মেয়ে তাঁকে জানায়, তারা অনলাইনে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। একজন তত দিনে তার মা-বাবার ২ হাজার ৫০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার প্রতারকের হাতে তুলে দিয়েছিল।
ওয়েন এই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন। ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে এবং হয়রানির শিকার হয়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে তিনি প্রচারণা চালাতে শুরু করেন। এই প্রচারণার খরচ চালানোর জন্য ‘স্ম্যাক টক’ নামে একটি দাতব্য সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
ওয়েন হোল্ডসওয়ার্থ সরকারের কাছে পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। যেখানে শিশুদের নিরাপত্তার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ কেন জরুরি, তার বর্ণনা আছে। তাতে অস্ট্রেলিয়ার মা-বাবাসহ রাজনৈতিক দলগুলোরও সমর্থন পাওয়া যায়।
পরবর্তী সময়ে অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড গত ২১ নভেম্বর সংসদে এ নিয়ে একটি আইন উপস্থাপন করেন। ইতিমধ্যে সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়। আইনটি কার্যকর শুরু হলে ১৬ বছরের কম বয়সীরা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না।
একটি পুরো দেশের আইন বদলে ফেলার মতো ঘটনা খুব সহজে ঘটে না। তার পেছনে ওয়েন হোল্ডসওয়ার্থের মতো কারও না কারও শ্রম থাকে। বলে রাখা ভালো, শুধু এই আইন পাস করানোর জন্য ওয়েন আইন পেশায় যুক্ত হয়েছিলেন।
সূত্র: এবিসি নিউজ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশাল অ্যান্টি ট্রাস্ট জরিমানা এড়াতে সার্চ রেজাল্টে প্রতিযোগীদের আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। সংশ্লিষ্ট কিছু নথির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঅ্যাপলের বিরুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি সংক্রান্ত অগ্রগতির তথ্য অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে মামলা করেছে বিনিয়োগকারীরা। গত শুক্রবার দায়ের করা এই ক্লাস অ্যাকশন মামলায় বলা হয়, আইফোনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সিরিতে অ্যাডভান্সড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিসংক্রান্ত অগ্রগতির ব্যাপা
৭ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সার্ভার তৈরি জন্য মানবাকৃতি রোবট ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে তাইওয়ানের ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা ফক্সকন ও যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অবস্থিত ফক্সকন কারখানায় রোবটগুলো ব্যবহার করা হতে পারে। দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য
৮ ঘণ্টা আগেবর্তমানে যেকোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে আইটি অবকাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, আইটি ডিভাইসের যথাযথ যত্ন না নেওয়া গেলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই এগুলো কর্মক্ষমতা হারায়; ফলে, ডেটা হারানোর ঝুঁকি বাড়ে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
১০ ঘণ্টা আগে