অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘ ভ্রমণের আগে গাড়ির ট্যাংক পূর্ণ করাটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে আকাশপথে এ যুক্তি খুব একটা কার্যকর নয়। বাণিজ্যিক বিমান সাধারণত ওড়ার সময় তার ট্যাংকভর্তি করে জ্বালানি নেয় না এবং এটি কোনো ভুলে নয়—বরং সম্পূর্ণ পরিকল্পিত, হিসাব করা ও বিধি অনুসারে।
প্রতিটি বিমানের একটি নির্ধারিত সর্বোচ্চ উড্ডয়ন ওজন (ম্যাক্সিমাম টেকঅফ ওয়েট) রয়েছে। এই ওজনের মধ্যে যাত্রী, মালামাল ও জ্বালানির ওজন অন্তর্ভুক্ত। এই সীমা অতিক্রম করাটা শুধু অদক্ষতাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে তা বিপজ্জনক ও আইনের পরিপন্থী। জ্বালানি নিজেই বেশ ভারী—প্রতি গ্যালনে গড়ে ৬ দশমিক ৭ পাউন্ড। তাই অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করতে গিয়ে বিমান আরও বেশি জ্বালানি পুড়িয়ে ফেলে, যার ফলে খরচ বাড়ে, তবে লাভের পরিমাণ কমে যায়।
তাই ফ্লাইটের আগে পাইলট ও এয়ারলাইনসগুলো খুব সতর্কভাবে প্রয়োজনীয় জ্বালানির হিসাব করে। ফ্লাইটের দূরত্ব, আবহাওয়া পরিস্থিতি ও যাত্রীসংখ্যা—সবই বিবেচনায় নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত ‘কন্টিনজেন্সি ফুয়েল’ রাখতে হয়, যা বিকল্প বিমানবন্দরে অবতরণ ও অতিরিক্ত ৪৫ মিনিটের জন্য যথেষ্ট। এরপর ট্যাংক পুরোপুরি ভরার প্রয়োজন খুব কমই পড়ে।
জ্বালানি মানেই শুধু গন্তব্যে পৌঁছানো নয়—এটা একটি ভারসাম্যের, পদার্থবিদ্যা, নিরাপত্তা ও অর্থনীতির সমন্বয়ে চলার বিষয়।
বোয়িং ৭৩৭ বা এয়ারবাস এ৩২০-এর মতো ছোট ও মাঝারি দূরত্বের ফ্লাইটের জন্য বিমানে তুলনামূলক কম জ্বালানি লাগে। ফলে তারা বেশি যাত্রী নিয়ে ওজন সীমা অতিক্রম না করেই চলতে পারে। এদিকে বোয়িং ৭৪৭ বা এয়ারবাস এ৩৮০-এর মতো যেসব বৃহৎ উড়োজাহাজ দীর্ঘ দূরত্বে ওড়ে এবং ৪৭০ থেকে ৫৮০ জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করে, সেগুলো পুরো ট্যাংক জ্বালানি দিয়ে ভর্তি করে উড়লে ওজন সীমা অতিক্রম করে ফেলতে পারে। বিশেষ করে যাত্রী পুরোপুরি ভর্তি থাকলে।
এ কারণে এয়ারলাইনস ও পাইলটেরা প্রয়োজনীয় হিসাব করে বিমানে জ্বালানি ভরে। আবহাওয়ার মতো বিষয়গুলোতেও এ হিসাব বদলে যায়—পেছন থেকে বাতাস থাকলে জ্বালানি কম লাগে, আবার খারাপ আবহাওয়ার জন্য বেশি জ্বালানি রাখতে হয়। আকাশে ট্রাফিক কনজেশন থাকলেও বাড়তি জ্বালানি রাখা হয়।
২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী বিমান খাতে জ্বালানির পেছনে ব্যয় হয়েছে ২৭১ বিলিয়ন ডলার। এই ব্যয় প্রতিবছরই বাড়ছে। তাই কম খরচে বেশি লাভের কৌশল হিসেবে জ্বালানি ব্যয় কমানোর চেষ্টা করে এয়ারলাইনসগুলো। অনেক সময় তুলনামূলক সস্তা জ্বালানির জন্য এক বিমানবন্দর থেকে বেশি জ্বালানি ভরে নেওয়া হয়।
মাঝেমধ্যে জরুরি প্রয়োজনে উড়োজাহাজকে হঠাৎ অবতরণ করতে হয়। তখন ওজন কমাতে জ্বালানি ফেলার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও নিরাপদ ও পরিকল্পিত একটি পদ্ধতি। যেমন: ফ্লাইটে কারও হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা হলে বা যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মাঝআকাশে বিমানকে কখনো কখনো জ্বালানি ফেলে দিতেও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে উড়োজাহাজকে দ্রুত ওজন কমাতে হয়, তখন জ্বালানি ফেলে দেওয়া হয়, যার প্রযুক্তিগত নাম ফুয়েল জেটিসন। এটি শুনতে অপচয় বা বিপজ্জনক মনে হতে পারে। তবে বাস্তবে এটি একটি নিরাপদ ও পরিকল্পিত ব্যবস্থা, যা কেবল জরুরি অবস্থায়ই ব্যবহার করা হয়।
এ ধরনের জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে থাকতে পারে যাত্রীদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটি, যার ফলে ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ের আগেই অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
উড়োজাহাজ সাধারণত কম ওজন নিয়ে অবতরণের জন্য তৈরি হয়। বেশি ওজন নিয়ে অবতরণ করলে কাঠামোগত ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সব উড়োজাহাজে জ্বালানি ফেলার ব্যবস্থা নেই—শুধু বোয়িং ৭৪৭ বা এয়ারবাস এ৩৫০–এর মতো বড় আকারের উড়োজাহাজে এই সিস্টেম থাকে। ছোট উড়োজাহাজ, যেমন: এ৩২০ বা বোয়িং ৭৫৭-এ এ ব্যবস্থা থাকে না। তখন তারা আকাশে চক্কর দিয়ে অতিরিক্ত জ্বালানি জ্বালিয়ে ওজন কমায়।
জ্বালানি ফেলা হয় সাধারণত ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার ফুট উচ্চতায় এবং জনবসতিহীন এলাকার ওপর দিয়ে, যাতে তা বাতাসেই উবে যায় এবং মাটিতে না পড়ে। পরিবেশগত ক্ষতি এখানে খুবই নগণ্য। কারণ এ ধরনের ঘটনা খুবই কম ঘটে।
তথ্যসূত্র: স্ল্যাশগিয়ার
দীর্ঘ ভ্রমণের আগে গাড়ির ট্যাংক পূর্ণ করাটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে আকাশপথে এ যুক্তি খুব একটা কার্যকর নয়। বাণিজ্যিক বিমান সাধারণত ওড়ার সময় তার ট্যাংকভর্তি করে জ্বালানি নেয় না এবং এটি কোনো ভুলে নয়—বরং সম্পূর্ণ পরিকল্পিত, হিসাব করা ও বিধি অনুসারে।
প্রতিটি বিমানের একটি নির্ধারিত সর্বোচ্চ উড্ডয়ন ওজন (ম্যাক্সিমাম টেকঅফ ওয়েট) রয়েছে। এই ওজনের মধ্যে যাত্রী, মালামাল ও জ্বালানির ওজন অন্তর্ভুক্ত। এই সীমা অতিক্রম করাটা শুধু অদক্ষতাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে তা বিপজ্জনক ও আইনের পরিপন্থী। জ্বালানি নিজেই বেশ ভারী—প্রতি গ্যালনে গড়ে ৬ দশমিক ৭ পাউন্ড। তাই অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করতে গিয়ে বিমান আরও বেশি জ্বালানি পুড়িয়ে ফেলে, যার ফলে খরচ বাড়ে, তবে লাভের পরিমাণ কমে যায়।
তাই ফ্লাইটের আগে পাইলট ও এয়ারলাইনসগুলো খুব সতর্কভাবে প্রয়োজনীয় জ্বালানির হিসাব করে। ফ্লাইটের দূরত্ব, আবহাওয়া পরিস্থিতি ও যাত্রীসংখ্যা—সবই বিবেচনায় নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত ‘কন্টিনজেন্সি ফুয়েল’ রাখতে হয়, যা বিকল্প বিমানবন্দরে অবতরণ ও অতিরিক্ত ৪৫ মিনিটের জন্য যথেষ্ট। এরপর ট্যাংক পুরোপুরি ভরার প্রয়োজন খুব কমই পড়ে।
জ্বালানি মানেই শুধু গন্তব্যে পৌঁছানো নয়—এটা একটি ভারসাম্যের, পদার্থবিদ্যা, নিরাপত্তা ও অর্থনীতির সমন্বয়ে চলার বিষয়।
বোয়িং ৭৩৭ বা এয়ারবাস এ৩২০-এর মতো ছোট ও মাঝারি দূরত্বের ফ্লাইটের জন্য বিমানে তুলনামূলক কম জ্বালানি লাগে। ফলে তারা বেশি যাত্রী নিয়ে ওজন সীমা অতিক্রম না করেই চলতে পারে। এদিকে বোয়িং ৭৪৭ বা এয়ারবাস এ৩৮০-এর মতো যেসব বৃহৎ উড়োজাহাজ দীর্ঘ দূরত্বে ওড়ে এবং ৪৭০ থেকে ৫৮০ জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করে, সেগুলো পুরো ট্যাংক জ্বালানি দিয়ে ভর্তি করে উড়লে ওজন সীমা অতিক্রম করে ফেলতে পারে। বিশেষ করে যাত্রী পুরোপুরি ভর্তি থাকলে।
এ কারণে এয়ারলাইনস ও পাইলটেরা প্রয়োজনীয় হিসাব করে বিমানে জ্বালানি ভরে। আবহাওয়ার মতো বিষয়গুলোতেও এ হিসাব বদলে যায়—পেছন থেকে বাতাস থাকলে জ্বালানি কম লাগে, আবার খারাপ আবহাওয়ার জন্য বেশি জ্বালানি রাখতে হয়। আকাশে ট্রাফিক কনজেশন থাকলেও বাড়তি জ্বালানি রাখা হয়।
২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী বিমান খাতে জ্বালানির পেছনে ব্যয় হয়েছে ২৭১ বিলিয়ন ডলার। এই ব্যয় প্রতিবছরই বাড়ছে। তাই কম খরচে বেশি লাভের কৌশল হিসেবে জ্বালানি ব্যয় কমানোর চেষ্টা করে এয়ারলাইনসগুলো। অনেক সময় তুলনামূলক সস্তা জ্বালানির জন্য এক বিমানবন্দর থেকে বেশি জ্বালানি ভরে নেওয়া হয়।
মাঝেমধ্যে জরুরি প্রয়োজনে উড়োজাহাজকে হঠাৎ অবতরণ করতে হয়। তখন ওজন কমাতে জ্বালানি ফেলার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও নিরাপদ ও পরিকল্পিত একটি পদ্ধতি। যেমন: ফ্লাইটে কারও হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা হলে বা যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মাঝআকাশে বিমানকে কখনো কখনো জ্বালানি ফেলে দিতেও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে উড়োজাহাজকে দ্রুত ওজন কমাতে হয়, তখন জ্বালানি ফেলে দেওয়া হয়, যার প্রযুক্তিগত নাম ফুয়েল জেটিসন। এটি শুনতে অপচয় বা বিপজ্জনক মনে হতে পারে। তবে বাস্তবে এটি একটি নিরাপদ ও পরিকল্পিত ব্যবস্থা, যা কেবল জরুরি অবস্থায়ই ব্যবহার করা হয়।
এ ধরনের জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে থাকতে পারে যাত্রীদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটি, যার ফলে ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ের আগেই অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
উড়োজাহাজ সাধারণত কম ওজন নিয়ে অবতরণের জন্য তৈরি হয়। বেশি ওজন নিয়ে অবতরণ করলে কাঠামোগত ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সব উড়োজাহাজে জ্বালানি ফেলার ব্যবস্থা নেই—শুধু বোয়িং ৭৪৭ বা এয়ারবাস এ৩৫০–এর মতো বড় আকারের উড়োজাহাজে এই সিস্টেম থাকে। ছোট উড়োজাহাজ, যেমন: এ৩২০ বা বোয়িং ৭৫৭-এ এ ব্যবস্থা থাকে না। তখন তারা আকাশে চক্কর দিয়ে অতিরিক্ত জ্বালানি জ্বালিয়ে ওজন কমায়।
জ্বালানি ফেলা হয় সাধারণত ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার ফুট উচ্চতায় এবং জনবসতিহীন এলাকার ওপর দিয়ে, যাতে তা বাতাসেই উবে যায় এবং মাটিতে না পড়ে। পরিবেশগত ক্ষতি এখানে খুবই নগণ্য। কারণ এ ধরনের ঘটনা খুবই কম ঘটে।
তথ্যসূত্র: স্ল্যাশগিয়ার
নতুন যুগের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে হাজির ইলন মাস্কের স্টারলিংক। তাদের সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক না থাকার ভোগান্তি দূর হয়েছে। কোম্পানিটির ডাইরেক্ট-টু-সেল (ডি২সি) প্রযুক্তির মাধ্যমে চলন্ত অবস্থায় কিংবা একেবারে দুর্গম এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। এ জন্য কোনো রাউটার বা ওয়াইফাইয়ের
১৫ ঘণ্টা আগেচীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১৯ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
১ দিন আগে