নাসিম আহমেদ

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে স্টারশিপ লঞ্চ সিস্টেম, যা সংক্ষেপে স্টারশিপ নামে পরিচিত।
এদিকে নাসার পারসেভারেন্সের পাশাপাশি সম্প্রতি চীনের ঝুরং রোভার রোবোটও মঙ্গলে অবতরণ করেছে। এই মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রেও আশার আলো দেখাচ্ছে স্টারশিপ সিস্টেম।
স্টারশিপ কী?
স্পেসএক্সের স্টারশিপ হচ্ছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহার ক্ষমতাসম্পন্ন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। সম্প্রতি এই ব্যবস্থা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এতে রয়েছে এক ধরনের রকেট ও স্পেসক্রাফটের সমন্বয়, যা প্রায় এক শ জন মানুষ নিয়ে মঙ্গল পর্যন্ত যেতে পারে। এই রকেট ও স্পেসক্রাফট মিলিয়ে পুরো স্টারশিপ সিস্টেমের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১২০ মিটার মতো, যা আগের যেকোনো অনুরূপ ব্যবস্থার চেয়ে বেশি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্টারশিপের রয়েছে দুটি ধাপ। এর নিচের অংশটিকে বলা হচ্ছে বুস্টার স্টেজ। এই বুস্টার স্টেজেই থাকে রকেট। এই রকেটকে বলা হচ্ছে সুপার হেভি। আর অন্য অংশ বা ধাপটি হচ্ছে আপার স্টেজ। এটি মহাকাশযান বা স্পেসক্রাফট ধারণ করে।
নিচের রকেটটি বুস্ট করে মহাকাশযানকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সেটি মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে যায়। স্টারশিপের রকেটটি ৭০ মিটারের মতো লম্বা। এটি ২৮টি র্যাপচার ইঞ্জিন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ১০০–১৫০ টন ভারী বস্তুকে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের কক্ষপথে উড়িয়ে নিতে পারে। এত সক্ষমতা এর আগের কোনো রকেটের ছিল না।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ সিস্টেম
স্টারশিপ হচ্ছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। আগে এ ধরনের উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা একবারই ব্যবহার করা যেত। কালণ রকেট উৎক্ষেপণের পর পুরো ব্যবস্থাটি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু স্টারশিপ এ ক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা। এর মূল হার্ডওয়্যার ধ্বংস হয় না। ফলে এর মাধ্যমে এ ধরনের মিশনের বাণিজ্যিক খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
স্পেসএক্সের পরিকল্পনা
স্পেসএক্স নিয়ে ইলোন মাস্কের স্বপ্ন আকাশছোঁয়া। টেসলা প্রধানের স্বপ্ন—এই স্টারশিপের মাধ্যমে ১০০ জন নভোচারীকে একবারে মঙ্গলে পাঠাবেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে তিনি স্টারশিপের মাধ্যমে মঙ্গলে নভোচারীবিহীন ভ্রমণ পরিচালনারও পরিকল্পনা করেছেন। এরই মধ্যে সম্প্রতি প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেটের সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে স্পেসএক্স, যা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করেছেন ইলোন মাস্ক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক তাঁর এই প্রাইভেট রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স নির্মিত স্টারশিপের মাধ্যমে দ্রুতই সহজে মহাকাশ ভ্রমণ চালু করতে চান। ২০২৩ সালে তিনি স্টারশিপে করে জাপানি ধনকুবের ইউসাকু মাজাওয়াকে চাঁদের চারপাশে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবেন। ২০১২ সাল থেকে স্টারশিপ সিস্টেম তৈরি শুরু করে স্পেসএক্স, যা এখন স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রক্সাসের বোকাচিকা এলাকায় স্টারশিপের মূল স্থাপনা থেকে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে স্পেসএক্স।
কথা হলো এই প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট আদতে কী? বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পলীক্ষা খুব বড় ব্যাপার। আর কোনো একটি মডেল বা কনসেপ্টের পরীক্ষামূলক টেস্ট চালানো হয় এই প্রোটোটাইপ বানানোর মাধ্যমে। স্টারশিপ এখন পর্যন্ত যেসব প্রোটোটাইপ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে, সেগুলোর সাফল্য–ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করেই স্পেসএক্স তাদের মূল মিশনের কার্যক্রম নির্ধারণ করবে। এখন পর্যন্ত নির্মিত প্রোটোটাইপ স্টারশিপ ব্যবস্থার মধ্যে স্টারহুপার, এমকে, এমকে২, এমকে৩ (এসএন১), এমকে৪ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এরই মধ্যে চারবার ব্যর্থ হওয়ার পর প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণে সাফল্য পেয়েছে স্পেসএক্স। গত ৫ মে প্রথমএ ইসাফল্য আসে, যা মানুষকে মহাকাশ ভ্রমণ, মঙ্গলে বসতি স্থাপনসহ নানা রকম স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ দেখাচ্ছে।
আগেই বলা হয়েছে আন্তঃগ্রহ ভ্রমণ, মঙ্গলে বসতি স্থাপন প্রভৃতি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই স্টারশিপ রকেটগুলো বানিয়েছে স্পেসএক্স। এ ক্ষেত্রে প্রথম সাফল্য আসে গত ৫ মে। এ দিন স্টারশিপ এসএন১৫ মাটি থেকে পরিকল্পনামাফিক ১০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে আবার সঠিকভাবে ফিরে আসে। এই সাফল্যকে অনেক বড় করে দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলোন মাস্ক। বিবিসিকে তিনি বলেন, স্টারশিপ রকেটের মাধ্যমে চাঁদ ও মঙ্গলে মানুষের ভ্রমণের যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেখানে এই ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
স্পেসফ্লাইট ইনসাইডার লিখেছে, প্রোটোটাইপ রকেট এসএন১৫–এর সাফল্য অনেক বড়। বাস্তবিক অর্থে কবে নাগাদ স্টারশিপের মাধ্যমে মহাকাশে ভ্রমণ করা যাবে, তা নির্ধঅরণে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যাবে।
হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম
চাঁদের জন্য নাসার পরবর্তী মিশন হচ্ছে আর্টেমিস মিশন। বিবিসি জানায়, এই মিশনের জন্য স্টারশিপে একটি বিশেষ সংযোজন করতে যাচ্ছে স্পেসএক্স। তারা স্টারশিপে হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম সংযুক্ত করতে যাচ্ছে। ফলে চাঁদের পৃষ্ঠে বা যেকোনো গ্রহে সুন্দরভাবে অবতরণ করতে পারবে স্টারশিপ। এর পর মানুষ সহজেই স্টারশিপ থেকে চাঁদে বা গ্রহে নামতে পারবে।
স্টারশিপে রয়েছে বিশেষ ধরনের ইঞ্জিন। একে বলা হয় র্যাপচার ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন মিথেন ও অক্সিজেন দিয়ে চলে। প্রোপেলার ট্যাংক থেকে র্যাপচার ইঞ্জিনে মিথেন ও অক্সিজেন পাঠানো হয়। মিথেন জ্বালানি হিসেবে এবং অক্সিজেন দহনকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ বিষয়ক এক সেমিনারে ইলোন মাস্ক জানিয়েছিলেন, মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে থাকা পানি ও বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে মিথেন সংশ্লেষ করা হবে। এভাবে মঙ্গলে গেলে জ্বালানি নিয়ে স্পেসক্রাফটটি আবার সক্রিয় হতে পারবে।
নিজেদের মিশনে নাসা যেমন স্পেসএক্সের সহায়তা পাচ্ছে, তেমনি নাসাও স্পেসএক্সকে অর্থ সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে। শুরুতে নিজস্ব অর্থ দিয়েই স্টারশিপ সিস্টেম চালু করেছিল। এখন সাফল্য ধরা দেওয়ায় নাসাকেও পাশে পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে স্পেসএক্সের মহাকাশবিষয়ক কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে।
শেষ কথা
সৃষ্টির সেই শুরু থেকেই মানুষ মহাকাশে রেখেছে চোখ। তারার রাজ্য তাকে হাতছানি দিয়ে ডেকেছে। কত শত কল্পনা এসে ভিড় করেছে তার মনে। সেই কল্পনার রাজ্যে হাজির হওয়ার একটা সুযোগ যদি নাসা বা স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এনে দেয়, তবে তো দারুণ ব্যাপার ঘটবে। কিন্তু এই অভিযানগুলোর গল্প শুনতে যতটা সহজ মনে হয়, তত সহজ এগুলো নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু বিজ্ঞানীর শ্রম, অর্থ। এমনকি এ নিয়ে রাজনীতিও হচ্ছে বিস্তর। মহাকাশেও আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে এখন নেমেছে বিশ্ব শক্তিগুলো। পৃথিবীর বুকে যে ক্ষমতার লড়াই, তার ঝাঁঝ সম্পর্কে আমরা সবাই কম–বেশি অবহিত। মহাকাশে এর সম্প্রসারণ হলে তা মানুষের অস্তিত্বের জন্যও এমনকি নেতিবাচক হতে পারে। প্রত্যাশা শুধু এই যে, মানুষ শুভ কাজেই নিজেদের প্রাযুক্তিক এই দক্ষতাকে কাজে লাগাবে।

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে স্টারশিপ লঞ্চ সিস্টেম, যা সংক্ষেপে স্টারশিপ নামে পরিচিত।
এদিকে নাসার পারসেভারেন্সের পাশাপাশি সম্প্রতি চীনের ঝুরং রোভার রোবোটও মঙ্গলে অবতরণ করেছে। এই মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রেও আশার আলো দেখাচ্ছে স্টারশিপ সিস্টেম।
স্টারশিপ কী?
স্পেসএক্সের স্টারশিপ হচ্ছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহার ক্ষমতাসম্পন্ন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। সম্প্রতি এই ব্যবস্থা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এতে রয়েছে এক ধরনের রকেট ও স্পেসক্রাফটের সমন্বয়, যা প্রায় এক শ জন মানুষ নিয়ে মঙ্গল পর্যন্ত যেতে পারে। এই রকেট ও স্পেসক্রাফট মিলিয়ে পুরো স্টারশিপ সিস্টেমের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১২০ মিটার মতো, যা আগের যেকোনো অনুরূপ ব্যবস্থার চেয়ে বেশি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্টারশিপের রয়েছে দুটি ধাপ। এর নিচের অংশটিকে বলা হচ্ছে বুস্টার স্টেজ। এই বুস্টার স্টেজেই থাকে রকেট। এই রকেটকে বলা হচ্ছে সুপার হেভি। আর অন্য অংশ বা ধাপটি হচ্ছে আপার স্টেজ। এটি মহাকাশযান বা স্পেসক্রাফট ধারণ করে।
নিচের রকেটটি বুস্ট করে মহাকাশযানকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সেটি মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে যায়। স্টারশিপের রকেটটি ৭০ মিটারের মতো লম্বা। এটি ২৮টি র্যাপচার ইঞ্জিন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ১০০–১৫০ টন ভারী বস্তুকে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের কক্ষপথে উড়িয়ে নিতে পারে। এত সক্ষমতা এর আগের কোনো রকেটের ছিল না।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ সিস্টেম
স্টারশিপ হচ্ছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। আগে এ ধরনের উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা একবারই ব্যবহার করা যেত। কালণ রকেট উৎক্ষেপণের পর পুরো ব্যবস্থাটি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু স্টারশিপ এ ক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা। এর মূল হার্ডওয়্যার ধ্বংস হয় না। ফলে এর মাধ্যমে এ ধরনের মিশনের বাণিজ্যিক খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
স্পেসএক্সের পরিকল্পনা
স্পেসএক্স নিয়ে ইলোন মাস্কের স্বপ্ন আকাশছোঁয়া। টেসলা প্রধানের স্বপ্ন—এই স্টারশিপের মাধ্যমে ১০০ জন নভোচারীকে একবারে মঙ্গলে পাঠাবেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে তিনি স্টারশিপের মাধ্যমে মঙ্গলে নভোচারীবিহীন ভ্রমণ পরিচালনারও পরিকল্পনা করেছেন। এরই মধ্যে সম্প্রতি প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেটের সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে স্পেসএক্স, যা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করেছেন ইলোন মাস্ক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক তাঁর এই প্রাইভেট রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স নির্মিত স্টারশিপের মাধ্যমে দ্রুতই সহজে মহাকাশ ভ্রমণ চালু করতে চান। ২০২৩ সালে তিনি স্টারশিপে করে জাপানি ধনকুবের ইউসাকু মাজাওয়াকে চাঁদের চারপাশে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবেন। ২০১২ সাল থেকে স্টারশিপ সিস্টেম তৈরি শুরু করে স্পেসএক্স, যা এখন স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রক্সাসের বোকাচিকা এলাকায় স্টারশিপের মূল স্থাপনা থেকে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে স্পেসএক্স।
কথা হলো এই প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট আদতে কী? বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পলীক্ষা খুব বড় ব্যাপার। আর কোনো একটি মডেল বা কনসেপ্টের পরীক্ষামূলক টেস্ট চালানো হয় এই প্রোটোটাইপ বানানোর মাধ্যমে। স্টারশিপ এখন পর্যন্ত যেসব প্রোটোটাইপ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে, সেগুলোর সাফল্য–ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করেই স্পেসএক্স তাদের মূল মিশনের কার্যক্রম নির্ধারণ করবে। এখন পর্যন্ত নির্মিত প্রোটোটাইপ স্টারশিপ ব্যবস্থার মধ্যে স্টারহুপার, এমকে, এমকে২, এমকে৩ (এসএন১), এমকে৪ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এরই মধ্যে চারবার ব্যর্থ হওয়ার পর প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণে সাফল্য পেয়েছে স্পেসএক্স। গত ৫ মে প্রথমএ ইসাফল্য আসে, যা মানুষকে মহাকাশ ভ্রমণ, মঙ্গলে বসতি স্থাপনসহ নানা রকম স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ দেখাচ্ছে।
আগেই বলা হয়েছে আন্তঃগ্রহ ভ্রমণ, মঙ্গলে বসতি স্থাপন প্রভৃতি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই স্টারশিপ রকেটগুলো বানিয়েছে স্পেসএক্স। এ ক্ষেত্রে প্রথম সাফল্য আসে গত ৫ মে। এ দিন স্টারশিপ এসএন১৫ মাটি থেকে পরিকল্পনামাফিক ১০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে আবার সঠিকভাবে ফিরে আসে। এই সাফল্যকে অনেক বড় করে দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলোন মাস্ক। বিবিসিকে তিনি বলেন, স্টারশিপ রকেটের মাধ্যমে চাঁদ ও মঙ্গলে মানুষের ভ্রমণের যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেখানে এই ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
স্পেসফ্লাইট ইনসাইডার লিখেছে, প্রোটোটাইপ রকেট এসএন১৫–এর সাফল্য অনেক বড়। বাস্তবিক অর্থে কবে নাগাদ স্টারশিপের মাধ্যমে মহাকাশে ভ্রমণ করা যাবে, তা নির্ধঅরণে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যাবে।
হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম
চাঁদের জন্য নাসার পরবর্তী মিশন হচ্ছে আর্টেমিস মিশন। বিবিসি জানায়, এই মিশনের জন্য স্টারশিপে একটি বিশেষ সংযোজন করতে যাচ্ছে স্পেসএক্স। তারা স্টারশিপে হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম সংযুক্ত করতে যাচ্ছে। ফলে চাঁদের পৃষ্ঠে বা যেকোনো গ্রহে সুন্দরভাবে অবতরণ করতে পারবে স্টারশিপ। এর পর মানুষ সহজেই স্টারশিপ থেকে চাঁদে বা গ্রহে নামতে পারবে।
স্টারশিপে রয়েছে বিশেষ ধরনের ইঞ্জিন। একে বলা হয় র্যাপচার ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন মিথেন ও অক্সিজেন দিয়ে চলে। প্রোপেলার ট্যাংক থেকে র্যাপচার ইঞ্জিনে মিথেন ও অক্সিজেন পাঠানো হয়। মিথেন জ্বালানি হিসেবে এবং অক্সিজেন দহনকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ বিষয়ক এক সেমিনারে ইলোন মাস্ক জানিয়েছিলেন, মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে থাকা পানি ও বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে মিথেন সংশ্লেষ করা হবে। এভাবে মঙ্গলে গেলে জ্বালানি নিয়ে স্পেসক্রাফটটি আবার সক্রিয় হতে পারবে।
নিজেদের মিশনে নাসা যেমন স্পেসএক্সের সহায়তা পাচ্ছে, তেমনি নাসাও স্পেসএক্সকে অর্থ সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে। শুরুতে নিজস্ব অর্থ দিয়েই স্টারশিপ সিস্টেম চালু করেছিল। এখন সাফল্য ধরা দেওয়ায় নাসাকেও পাশে পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে স্পেসএক্সের মহাকাশবিষয়ক কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে।
শেষ কথা
সৃষ্টির সেই শুরু থেকেই মানুষ মহাকাশে রেখেছে চোখ। তারার রাজ্য তাকে হাতছানি দিয়ে ডেকেছে। কত শত কল্পনা এসে ভিড় করেছে তার মনে। সেই কল্পনার রাজ্যে হাজির হওয়ার একটা সুযোগ যদি নাসা বা স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এনে দেয়, তবে তো দারুণ ব্যাপার ঘটবে। কিন্তু এই অভিযানগুলোর গল্প শুনতে যতটা সহজ মনে হয়, তত সহজ এগুলো নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু বিজ্ঞানীর শ্রম, অর্থ। এমনকি এ নিয়ে রাজনীতিও হচ্ছে বিস্তর। মহাকাশেও আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে এখন নেমেছে বিশ্ব শক্তিগুলো। পৃথিবীর বুকে যে ক্ষমতার লড়াই, তার ঝাঁঝ সম্পর্কে আমরা সবাই কম–বেশি অবহিত। মহাকাশে এর সম্প্রসারণ হলে তা মানুষের অস্তিত্বের জন্যও এমনকি নেতিবাচক হতে পারে। প্রত্যাশা শুধু এই যে, মানুষ শুভ কাজেই নিজেদের প্রাযুক্তিক এই দক্ষতাকে কাজে লাগাবে।
নাসিম আহমেদ

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে স্টারশিপ লঞ্চ সিস্টেম, যা সংক্ষেপে স্টারশিপ নামে পরিচিত।
এদিকে নাসার পারসেভারেন্সের পাশাপাশি সম্প্রতি চীনের ঝুরং রোভার রোবোটও মঙ্গলে অবতরণ করেছে। এই মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রেও আশার আলো দেখাচ্ছে স্টারশিপ সিস্টেম।
স্টারশিপ কী?
স্পেসএক্সের স্টারশিপ হচ্ছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহার ক্ষমতাসম্পন্ন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। সম্প্রতি এই ব্যবস্থা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এতে রয়েছে এক ধরনের রকেট ও স্পেসক্রাফটের সমন্বয়, যা প্রায় এক শ জন মানুষ নিয়ে মঙ্গল পর্যন্ত যেতে পারে। এই রকেট ও স্পেসক্রাফট মিলিয়ে পুরো স্টারশিপ সিস্টেমের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১২০ মিটার মতো, যা আগের যেকোনো অনুরূপ ব্যবস্থার চেয়ে বেশি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্টারশিপের রয়েছে দুটি ধাপ। এর নিচের অংশটিকে বলা হচ্ছে বুস্টার স্টেজ। এই বুস্টার স্টেজেই থাকে রকেট। এই রকেটকে বলা হচ্ছে সুপার হেভি। আর অন্য অংশ বা ধাপটি হচ্ছে আপার স্টেজ। এটি মহাকাশযান বা স্পেসক্রাফট ধারণ করে।
নিচের রকেটটি বুস্ট করে মহাকাশযানকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সেটি মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে যায়। স্টারশিপের রকেটটি ৭০ মিটারের মতো লম্বা। এটি ২৮টি র্যাপচার ইঞ্জিন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ১০০–১৫০ টন ভারী বস্তুকে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের কক্ষপথে উড়িয়ে নিতে পারে। এত সক্ষমতা এর আগের কোনো রকেটের ছিল না।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ সিস্টেম
স্টারশিপ হচ্ছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। আগে এ ধরনের উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা একবারই ব্যবহার করা যেত। কালণ রকেট উৎক্ষেপণের পর পুরো ব্যবস্থাটি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু স্টারশিপ এ ক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা। এর মূল হার্ডওয়্যার ধ্বংস হয় না। ফলে এর মাধ্যমে এ ধরনের মিশনের বাণিজ্যিক খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
স্পেসএক্সের পরিকল্পনা
স্পেসএক্স নিয়ে ইলোন মাস্কের স্বপ্ন আকাশছোঁয়া। টেসলা প্রধানের স্বপ্ন—এই স্টারশিপের মাধ্যমে ১০০ জন নভোচারীকে একবারে মঙ্গলে পাঠাবেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে তিনি স্টারশিপের মাধ্যমে মঙ্গলে নভোচারীবিহীন ভ্রমণ পরিচালনারও পরিকল্পনা করেছেন। এরই মধ্যে সম্প্রতি প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেটের সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে স্পেসএক্স, যা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করেছেন ইলোন মাস্ক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক তাঁর এই প্রাইভেট রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স নির্মিত স্টারশিপের মাধ্যমে দ্রুতই সহজে মহাকাশ ভ্রমণ চালু করতে চান। ২০২৩ সালে তিনি স্টারশিপে করে জাপানি ধনকুবের ইউসাকু মাজাওয়াকে চাঁদের চারপাশে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবেন। ২০১২ সাল থেকে স্টারশিপ সিস্টেম তৈরি শুরু করে স্পেসএক্স, যা এখন স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রক্সাসের বোকাচিকা এলাকায় স্টারশিপের মূল স্থাপনা থেকে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে স্পেসএক্স।
কথা হলো এই প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট আদতে কী? বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পলীক্ষা খুব বড় ব্যাপার। আর কোনো একটি মডেল বা কনসেপ্টের পরীক্ষামূলক টেস্ট চালানো হয় এই প্রোটোটাইপ বানানোর মাধ্যমে। স্টারশিপ এখন পর্যন্ত যেসব প্রোটোটাইপ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে, সেগুলোর সাফল্য–ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করেই স্পেসএক্স তাদের মূল মিশনের কার্যক্রম নির্ধারণ করবে। এখন পর্যন্ত নির্মিত প্রোটোটাইপ স্টারশিপ ব্যবস্থার মধ্যে স্টারহুপার, এমকে, এমকে২, এমকে৩ (এসএন১), এমকে৪ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এরই মধ্যে চারবার ব্যর্থ হওয়ার পর প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণে সাফল্য পেয়েছে স্পেসএক্স। গত ৫ মে প্রথমএ ইসাফল্য আসে, যা মানুষকে মহাকাশ ভ্রমণ, মঙ্গলে বসতি স্থাপনসহ নানা রকম স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ দেখাচ্ছে।
আগেই বলা হয়েছে আন্তঃগ্রহ ভ্রমণ, মঙ্গলে বসতি স্থাপন প্রভৃতি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই স্টারশিপ রকেটগুলো বানিয়েছে স্পেসএক্স। এ ক্ষেত্রে প্রথম সাফল্য আসে গত ৫ মে। এ দিন স্টারশিপ এসএন১৫ মাটি থেকে পরিকল্পনামাফিক ১০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে আবার সঠিকভাবে ফিরে আসে। এই সাফল্যকে অনেক বড় করে দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলোন মাস্ক। বিবিসিকে তিনি বলেন, স্টারশিপ রকেটের মাধ্যমে চাঁদ ও মঙ্গলে মানুষের ভ্রমণের যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেখানে এই ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
স্পেসফ্লাইট ইনসাইডার লিখেছে, প্রোটোটাইপ রকেট এসএন১৫–এর সাফল্য অনেক বড়। বাস্তবিক অর্থে কবে নাগাদ স্টারশিপের মাধ্যমে মহাকাশে ভ্রমণ করা যাবে, তা নির্ধঅরণে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যাবে।
হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম
চাঁদের জন্য নাসার পরবর্তী মিশন হচ্ছে আর্টেমিস মিশন। বিবিসি জানায়, এই মিশনের জন্য স্টারশিপে একটি বিশেষ সংযোজন করতে যাচ্ছে স্পেসএক্স। তারা স্টারশিপে হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম সংযুক্ত করতে যাচ্ছে। ফলে চাঁদের পৃষ্ঠে বা যেকোনো গ্রহে সুন্দরভাবে অবতরণ করতে পারবে স্টারশিপ। এর পর মানুষ সহজেই স্টারশিপ থেকে চাঁদে বা গ্রহে নামতে পারবে।
স্টারশিপে রয়েছে বিশেষ ধরনের ইঞ্জিন। একে বলা হয় র্যাপচার ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন মিথেন ও অক্সিজেন দিয়ে চলে। প্রোপেলার ট্যাংক থেকে র্যাপচার ইঞ্জিনে মিথেন ও অক্সিজেন পাঠানো হয়। মিথেন জ্বালানি হিসেবে এবং অক্সিজেন দহনকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ বিষয়ক এক সেমিনারে ইলোন মাস্ক জানিয়েছিলেন, মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে থাকা পানি ও বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে মিথেন সংশ্লেষ করা হবে। এভাবে মঙ্গলে গেলে জ্বালানি নিয়ে স্পেসক্রাফটটি আবার সক্রিয় হতে পারবে।
নিজেদের মিশনে নাসা যেমন স্পেসএক্সের সহায়তা পাচ্ছে, তেমনি নাসাও স্পেসএক্সকে অর্থ সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে। শুরুতে নিজস্ব অর্থ দিয়েই স্টারশিপ সিস্টেম চালু করেছিল। এখন সাফল্য ধরা দেওয়ায় নাসাকেও পাশে পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে স্পেসএক্সের মহাকাশবিষয়ক কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে।
শেষ কথা
সৃষ্টির সেই শুরু থেকেই মানুষ মহাকাশে রেখেছে চোখ। তারার রাজ্য তাকে হাতছানি দিয়ে ডেকেছে। কত শত কল্পনা এসে ভিড় করেছে তার মনে। সেই কল্পনার রাজ্যে হাজির হওয়ার একটা সুযোগ যদি নাসা বা স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এনে দেয়, তবে তো দারুণ ব্যাপার ঘটবে। কিন্তু এই অভিযানগুলোর গল্প শুনতে যতটা সহজ মনে হয়, তত সহজ এগুলো নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু বিজ্ঞানীর শ্রম, অর্থ। এমনকি এ নিয়ে রাজনীতিও হচ্ছে বিস্তর। মহাকাশেও আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে এখন নেমেছে বিশ্ব শক্তিগুলো। পৃথিবীর বুকে যে ক্ষমতার লড়াই, তার ঝাঁঝ সম্পর্কে আমরা সবাই কম–বেশি অবহিত। মহাকাশে এর সম্প্রসারণ হলে তা মানুষের অস্তিত্বের জন্যও এমনকি নেতিবাচক হতে পারে। প্রত্যাশা শুধু এই যে, মানুষ শুভ কাজেই নিজেদের প্রাযুক্তিক এই দক্ষতাকে কাজে লাগাবে।

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে স্টারশিপ লঞ্চ সিস্টেম, যা সংক্ষেপে স্টারশিপ নামে পরিচিত।
এদিকে নাসার পারসেভারেন্সের পাশাপাশি সম্প্রতি চীনের ঝুরং রোভার রোবোটও মঙ্গলে অবতরণ করেছে। এই মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রেও আশার আলো দেখাচ্ছে স্টারশিপ সিস্টেম।
স্টারশিপ কী?
স্পেসএক্সের স্টারশিপ হচ্ছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহার ক্ষমতাসম্পন্ন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। সম্প্রতি এই ব্যবস্থা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এতে রয়েছে এক ধরনের রকেট ও স্পেসক্রাফটের সমন্বয়, যা প্রায় এক শ জন মানুষ নিয়ে মঙ্গল পর্যন্ত যেতে পারে। এই রকেট ও স্পেসক্রাফট মিলিয়ে পুরো স্টারশিপ সিস্টেমের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১২০ মিটার মতো, যা আগের যেকোনো অনুরূপ ব্যবস্থার চেয়ে বেশি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্টারশিপের রয়েছে দুটি ধাপ। এর নিচের অংশটিকে বলা হচ্ছে বুস্টার স্টেজ। এই বুস্টার স্টেজেই থাকে রকেট। এই রকেটকে বলা হচ্ছে সুপার হেভি। আর অন্য অংশ বা ধাপটি হচ্ছে আপার স্টেজ। এটি মহাকাশযান বা স্পেসক্রাফট ধারণ করে।
নিচের রকেটটি বুস্ট করে মহাকাশযানকে উড়িয়ে দেওয়ার পর সেটি মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে যায়। স্টারশিপের রকেটটি ৭০ মিটারের মতো লম্বা। এটি ২৮টি র্যাপচার ইঞ্জিন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায় ১০০–১৫০ টন ভারী বস্তুকে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের কক্ষপথে উড়িয়ে নিতে পারে। এত সক্ষমতা এর আগের কোনো রকেটের ছিল না।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ সিস্টেম
স্টারশিপ হচ্ছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। আগে এ ধরনের উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা একবারই ব্যবহার করা যেত। কালণ রকেট উৎক্ষেপণের পর পুরো ব্যবস্থাটি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু স্টারশিপ এ ক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা। এর মূল হার্ডওয়্যার ধ্বংস হয় না। ফলে এর মাধ্যমে এ ধরনের মিশনের বাণিজ্যিক খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
স্পেসএক্সের পরিকল্পনা
স্পেসএক্স নিয়ে ইলোন মাস্কের স্বপ্ন আকাশছোঁয়া। টেসলা প্রধানের স্বপ্ন—এই স্টারশিপের মাধ্যমে ১০০ জন নভোচারীকে একবারে মঙ্গলে পাঠাবেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে তিনি স্টারশিপের মাধ্যমে মঙ্গলে নভোচারীবিহীন ভ্রমণ পরিচালনারও পরিকল্পনা করেছেন। এরই মধ্যে সম্প্রতি প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেটের সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে স্পেসএক্স, যা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করেছেন ইলোন মাস্ক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক তাঁর এই প্রাইভেট রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স নির্মিত স্টারশিপের মাধ্যমে দ্রুতই সহজে মহাকাশ ভ্রমণ চালু করতে চান। ২০২৩ সালে তিনি স্টারশিপে করে জাপানি ধনকুবের ইউসাকু মাজাওয়াকে চাঁদের চারপাশে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবেন। ২০১২ সাল থেকে স্টারশিপ সিস্টেম তৈরি শুরু করে স্পেসএক্স, যা এখন স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রক্সাসের বোকাচিকা এলাকায় স্টারশিপের মূল স্থাপনা থেকে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে স্পেসএক্স।
কথা হলো এই প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট আদতে কী? বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পলীক্ষা খুব বড় ব্যাপার। আর কোনো একটি মডেল বা কনসেপ্টের পরীক্ষামূলক টেস্ট চালানো হয় এই প্রোটোটাইপ বানানোর মাধ্যমে। স্টারশিপ এখন পর্যন্ত যেসব প্রোটোটাইপ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে, সেগুলোর সাফল্য–ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করেই স্পেসএক্স তাদের মূল মিশনের কার্যক্রম নির্ধারণ করবে। এখন পর্যন্ত নির্মিত প্রোটোটাইপ স্টারশিপ ব্যবস্থার মধ্যে স্টারহুপার, এমকে, এমকে২, এমকে৩ (এসএন১), এমকে৪ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এরই মধ্যে চারবার ব্যর্থ হওয়ার পর প্রোটোটাইপ স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণে সাফল্য পেয়েছে স্পেসএক্স। গত ৫ মে প্রথমএ ইসাফল্য আসে, যা মানুষকে মহাকাশ ভ্রমণ, মঙ্গলে বসতি স্থাপনসহ নানা রকম স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ দেখাচ্ছে।
আগেই বলা হয়েছে আন্তঃগ্রহ ভ্রমণ, মঙ্গলে বসতি স্থাপন প্রভৃতি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই স্টারশিপ রকেটগুলো বানিয়েছে স্পেসএক্স। এ ক্ষেত্রে প্রথম সাফল্য আসে গত ৫ মে। এ দিন স্টারশিপ এসএন১৫ মাটি থেকে পরিকল্পনামাফিক ১০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে আবার সঠিকভাবে ফিরে আসে। এই সাফল্যকে অনেক বড় করে দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলোন মাস্ক। বিবিসিকে তিনি বলেন, স্টারশিপ রকেটের মাধ্যমে চাঁদ ও মঙ্গলে মানুষের ভ্রমণের যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেখানে এই ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
স্পেসফ্লাইট ইনসাইডার লিখেছে, প্রোটোটাইপ রকেট এসএন১৫–এর সাফল্য অনেক বড়। বাস্তবিক অর্থে কবে নাগাদ স্টারশিপের মাধ্যমে মহাকাশে ভ্রমণ করা যাবে, তা নির্ধঅরণে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যাবে।
হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম
চাঁদের জন্য নাসার পরবর্তী মিশন হচ্ছে আর্টেমিস মিশন। বিবিসি জানায়, এই মিশনের জন্য স্টারশিপে একটি বিশেষ সংযোজন করতে যাচ্ছে স্পেসএক্স। তারা স্টারশিপে হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম সংযুক্ত করতে যাচ্ছে। ফলে চাঁদের পৃষ্ঠে বা যেকোনো গ্রহে সুন্দরভাবে অবতরণ করতে পারবে স্টারশিপ। এর পর মানুষ সহজেই স্টারশিপ থেকে চাঁদে বা গ্রহে নামতে পারবে।
স্টারশিপে রয়েছে বিশেষ ধরনের ইঞ্জিন। একে বলা হয় র্যাপচার ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন মিথেন ও অক্সিজেন দিয়ে চলে। প্রোপেলার ট্যাংক থেকে র্যাপচার ইঞ্জিনে মিথেন ও অক্সিজেন পাঠানো হয়। মিথেন জ্বালানি হিসেবে এবং অক্সিজেন দহনকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ বিষয়ক এক সেমিনারে ইলোন মাস্ক জানিয়েছিলেন, মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে থাকা পানি ও বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে মিথেন সংশ্লেষ করা হবে। এভাবে মঙ্গলে গেলে জ্বালানি নিয়ে স্পেসক্রাফটটি আবার সক্রিয় হতে পারবে।
নিজেদের মিশনে নাসা যেমন স্পেসএক্সের সহায়তা পাচ্ছে, তেমনি নাসাও স্পেসএক্সকে অর্থ সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে। শুরুতে নিজস্ব অর্থ দিয়েই স্টারশিপ সিস্টেম চালু করেছিল। এখন সাফল্য ধরা দেওয়ায় নাসাকেও পাশে পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে স্পেসএক্সের মহাকাশবিষয়ক কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে।
শেষ কথা
সৃষ্টির সেই শুরু থেকেই মানুষ মহাকাশে রেখেছে চোখ। তারার রাজ্য তাকে হাতছানি দিয়ে ডেকেছে। কত শত কল্পনা এসে ভিড় করেছে তার মনে। সেই কল্পনার রাজ্যে হাজির হওয়ার একটা সুযোগ যদি নাসা বা স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এনে দেয়, তবে তো দারুণ ব্যাপার ঘটবে। কিন্তু এই অভিযানগুলোর গল্প শুনতে যতটা সহজ মনে হয়, তত সহজ এগুলো নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু বিজ্ঞানীর শ্রম, অর্থ। এমনকি এ নিয়ে রাজনীতিও হচ্ছে বিস্তর। মহাকাশেও আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে এখন নেমেছে বিশ্ব শক্তিগুলো। পৃথিবীর বুকে যে ক্ষমতার লড়াই, তার ঝাঁঝ সম্পর্কে আমরা সবাই কম–বেশি অবহিত। মহাকাশে এর সম্প্রসারণ হলে তা মানুষের অস্তিত্বের জন্যও এমনকি নেতিবাচক হতে পারে। প্রত্যাশা শুধু এই যে, মানুষ শুভ কাজেই নিজেদের প্রাযুক্তিক এই দক্ষতাকে কাজে লাগাবে।

প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলেছে। সাংবাদিকতাও এর বাইরে নয়। আজকের দিনে সংবাদ সংগ্রহ, তথ্য বিশ্লেষণ, শিরোনাম তৈরি, এমনকি পুরো প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিপফেকের ছড়াছড়ি। ডিপফেক বলতে ভুয়া, এআই জেনারেটেড, এডিট করে তৈরি অডিও, ভিডিও ও ছবিকে বোঝায়। এগুলো দেখতে বা শুনতে বাস্তবের মতো মনে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যা, গুজব ছড়াতে বা জালিয়াতির জন্য এসব ব্যবহৃত হয়। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—অনেকে এই ডিপফেকের ভুক্তভোগী।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাতজন অগ্রদূতের মধ্যে একমাত্র নারী তিনি। সম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ কুইন এলিজাবেথ ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার (২০২৫) গ্রহণ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ফেই-ফেই লি। ব্রিটেনের রাজা চার্লসের হাত থেকে সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার
১৮ ঘণ্টা আগেশাহারিয়া নয়ন

প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলেছে। সাংবাদিকতাও এর বাইরে নয়। আজকের দিনে সংবাদ সংগ্রহ, তথ্য বিশ্লেষণ, শিরোনাম তৈরি, এমনকি পুরো প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে এ প্রযুক্তি সাংবাদিকতার জন্য শুধু সুযোগ নয়, নতুন ধরনের হুমকিও সৃষ্টি করেছে।
বিশ্বের বড় সংবাদমাধ্যমগুলো ইতিমধ্যে এআই ব্যবহার শুরু করেছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের অটোমেটেড ইনসাইট, রয়টার্সের রয়টার্স নিউজ ট্রেসার, ফোর্বসের বার্টি এবং ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি সাংবাদিকদের বিপুল তথ্য দ্রুত বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করছে। এ প্রযুক্তি পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ; যেমন খেলাধুলা, ব্যবসা বা দৈনন্দিন সংবাদ তৈরি করার সময় কমিয়ে দিচ্ছে এবং তথ্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াকে দ্রুত করছে। বিশ্বের স্বনামধন্য মিডিয়া হাউসগুলো; যেমন ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি, রয়টার্স, ব্লুমবার্গ, নিউইয়র্ক টাইমস সংবাদ প্রক্রিয়ায় এআই ব্যবহার করছে।
এআই নিউজরুমে শুধু সংবাদ তৈরি করতে নয়, পাঠকের শ্রেণি অনুযায়ী পছন্দসই কনটেন্ট, ট্রান্সক্রাইবিং, ছবি, ভিডিও ও অডিও কনটেন্ট তৈরিতেও ব্যবহার হচ্ছে। একাধিক তথ্য মিশ্রণ করে প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদকাঠামো অনুসারে সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করা এবং দর্শকদের রুচি অনুযায়ী উপস্থাপন করা সহজ হয়ে গেছে এ প্রযুক্তির কল্যাণে। এআইচালিত অ্যালগরিদম পাঠকের আগ্রহ ও পছন্দ অনুসরণ করে সংবাদ পৌঁছে দিতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা চলে, ‘দ্য টাইমস’-এর জেমস প্রোগ্রাম পাঠকের অভ্যাস অনুযায়ী নোটিফিকেশন পাঠায়। এতে পছন্দের সংবাদে পাঠকের সংযোগ বাড়ছে এবং মিডিয়া হাউসগুলোকে আরও প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট সরবরাহের সুযোগ দিচ্ছে।
এআইচালিত স্বয়ংক্রিয় ফ্যাক্ট চেকিং টুলও সংবাদমাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ভেরিফাই, রয়টার্সের রয়টার্স ফ্যাক্ট চেক, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর হিলিওগ্রাফ, ‘টাইমস অব লন্ডন’-এর ফ্যাক্টমেটা, ‘দ্য গার্ডিয়ান’ ও ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর ফ্যাক্টচেকিং টুলগুলো ভুয়া সংবাদ প্রতিহত করতে অনেক বেশি সক্ষম এখন।
বর্তমানে বাংলাদেশেও স্বনামধন্য গণমাধ্যমগুলোর পাশাপাশি অসংখ্য অনলাইন মিডিয়া ও অনলাইন সংবাদ পোর্টাল সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। সংবাদমাধ্যমের এই ভিড়ে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা চলছে—কে কত দ্রুত সংবাদ পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। দ্রুত সংবাদ পরিবেশনের এই দৌড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ছোট ছোট তথ্য একত্র করে মুহূর্তের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ সংবাদ তৈরি করা সম্ভব। এতে শুধু আকর্ষণীয় শিরোনামই থাকে না, সংবাদের মূল কাঠামোও মানদণ্ড মেনে উপস্থাপিত হয়।
তবে এআই সাংবাদিকতার জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমত, অনেক সংবাদকর্মীর চাকরি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। ‘মিডিয়া মেটামরফোসিস: এআই অ্যান্ড বাংলাদেশি নিউজরুমস ২০২৪’ শিরোনামের এক জরিপে দেখা গেছে, সাংবাদিকদের মধ্যে চাকরি হারানোর উদ্বেগও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা প্রেসঅ্যাটের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, ২ শতাংশ সাংবাদিক ইতিমধ্যে এআই ব্যবহারের কারণে চাকরি হারিয়েছেন। প্রায় ৫৭ দশমিক ২ শতাংশ সাংবাদিক আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে এআই সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে আরও ব্যাপক হারে চাকরিচ্যুতি ঘটাতে পারে।
দ্বিতীয়ত, সঠিক নির্দেশনা দিলে এআই সঠিক তথ্য বিশ্লেষণ করে সংবাদ তৈরি করতে পারে। কিন্তু ভুল নির্দেশনা দিলে সংবাদে ভুল বা পক্ষপাতমূলক তথ্য স্থান পেতে পারে। এ ছাড়া বড় বা পূর্ণাঙ্গ লেখা সংক্ষেপিত করলে তথ্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা সংবাদের কাঠামোকে প্রভাবিত করে। এআই শিরোনাম পরিমার্জন করতে পারলেও নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে শিরোনাম সাজাতে সক্ষম নয়।
মানুষের অনুসন্ধানী মনোভাব ও সংবেদনশীলতাকে এআই পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারবে কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে অ্যাকটিভেট রাইটস ইনফরমেশন, রাইটস অ্যান্ড টেকনোলজির রিসার্চ লিড মিনহাজ আমান বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে সেটা সম্ভব নয়। তবে একেবারেই পারবে না, এটাও এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।’
‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ নীতি গ্রহণ, ডিজিটাল বিভাগ বৃদ্ধি এবং দক্ষ জনবল নিয়োগ করার মাধ্যমে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো ডিজিটাল পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিউজরুমে এআই প্রযুক্তি প্রয়োগ করছে। সংবাদ সোর্সিং, সংবাদ লেখা, উপস্থাপনা, বণ্টন, বিজ্ঞাপনসহ নানা ক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তর দৃশ্যমান।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সাংবাদিকতার সহায়ক টুল হিসেবে ব্যবহার করা হলে নিউজরুম আরও গতিশীল, তথ্যভিত্তিক এবং আধুনিক হবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন সুস্পষ্ট নৈতিক মানদণ্ড, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, সাংবাদিকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, শিক্ষাক্রমে এআই ও ডিজিটাল লিটারেসি অন্তর্ভুক্তকরণ এবং তথ্য যাচাই-বাছাই, ফ্যাক্টচেকিং ও সাইবার সিকিউরিটির দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাংবাদিকতার জন্য একদিকে সুযোগ, অন্যদিকে চ্যালেঞ্জ। এটি মানব সাংবাদিকদের কাজকে প্রতিস্থাপন না করে; বরং সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা গেলে সংবাদ জগৎ আরও সমৃদ্ধ ও আধুনিক হবে।
সূত্র: প্রেসঅ্যাট, এমআরডিআই, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ভার্জ, এপি
প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলেছে। সাংবাদিকতাও এর বাইরে নয়। আজকের দিনে সংবাদ সংগ্রহ, তথ্য বিশ্লেষণ, শিরোনাম তৈরি, এমনকি পুরো প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে এ প্রযুক্তি সাংবাদিকতার জন্য শুধু সুযোগ নয়, নতুন ধরনের হুমকিও সৃষ্টি করেছে।
বিশ্বের বড় সংবাদমাধ্যমগুলো ইতিমধ্যে এআই ব্যবহার শুরু করেছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের অটোমেটেড ইনসাইট, রয়টার্সের রয়টার্স নিউজ ট্রেসার, ফোর্বসের বার্টি এবং ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি সাংবাদিকদের বিপুল তথ্য দ্রুত বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করছে। এ প্রযুক্তি পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ; যেমন খেলাধুলা, ব্যবসা বা দৈনন্দিন সংবাদ তৈরি করার সময় কমিয়ে দিচ্ছে এবং তথ্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াকে দ্রুত করছে। বিশ্বের স্বনামধন্য মিডিয়া হাউসগুলো; যেমন ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি, রয়টার্স, ব্লুমবার্গ, নিউইয়র্ক টাইমস সংবাদ প্রক্রিয়ায় এআই ব্যবহার করছে।
এআই নিউজরুমে শুধু সংবাদ তৈরি করতে নয়, পাঠকের শ্রেণি অনুযায়ী পছন্দসই কনটেন্ট, ট্রান্সক্রাইবিং, ছবি, ভিডিও ও অডিও কনটেন্ট তৈরিতেও ব্যবহার হচ্ছে। একাধিক তথ্য মিশ্রণ করে প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদকাঠামো অনুসারে সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করা এবং দর্শকদের রুচি অনুযায়ী উপস্থাপন করা সহজ হয়ে গেছে এ প্রযুক্তির কল্যাণে। এআইচালিত অ্যালগরিদম পাঠকের আগ্রহ ও পছন্দ অনুসরণ করে সংবাদ পৌঁছে দিতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা চলে, ‘দ্য টাইমস’-এর জেমস প্রোগ্রাম পাঠকের অভ্যাস অনুযায়ী নোটিফিকেশন পাঠায়। এতে পছন্দের সংবাদে পাঠকের সংযোগ বাড়ছে এবং মিডিয়া হাউসগুলোকে আরও প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট সরবরাহের সুযোগ দিচ্ছে।
এআইচালিত স্বয়ংক্রিয় ফ্যাক্ট চেকিং টুলও সংবাদমাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ভেরিফাই, রয়টার্সের রয়টার্স ফ্যাক্ট চেক, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর হিলিওগ্রাফ, ‘টাইমস অব লন্ডন’-এর ফ্যাক্টমেটা, ‘দ্য গার্ডিয়ান’ ও ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর ফ্যাক্টচেকিং টুলগুলো ভুয়া সংবাদ প্রতিহত করতে অনেক বেশি সক্ষম এখন।
বর্তমানে বাংলাদেশেও স্বনামধন্য গণমাধ্যমগুলোর পাশাপাশি অসংখ্য অনলাইন মিডিয়া ও অনলাইন সংবাদ পোর্টাল সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। সংবাদমাধ্যমের এই ভিড়ে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা চলছে—কে কত দ্রুত সংবাদ পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। দ্রুত সংবাদ পরিবেশনের এই দৌড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ছোট ছোট তথ্য একত্র করে মুহূর্তের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ সংবাদ তৈরি করা সম্ভব। এতে শুধু আকর্ষণীয় শিরোনামই থাকে না, সংবাদের মূল কাঠামোও মানদণ্ড মেনে উপস্থাপিত হয়।
তবে এআই সাংবাদিকতার জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমত, অনেক সংবাদকর্মীর চাকরি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। ‘মিডিয়া মেটামরফোসিস: এআই অ্যান্ড বাংলাদেশি নিউজরুমস ২০২৪’ শিরোনামের এক জরিপে দেখা গেছে, সাংবাদিকদের মধ্যে চাকরি হারানোর উদ্বেগও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা প্রেসঅ্যাটের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, ২ শতাংশ সাংবাদিক ইতিমধ্যে এআই ব্যবহারের কারণে চাকরি হারিয়েছেন। প্রায় ৫৭ দশমিক ২ শতাংশ সাংবাদিক আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে এআই সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে আরও ব্যাপক হারে চাকরিচ্যুতি ঘটাতে পারে।
দ্বিতীয়ত, সঠিক নির্দেশনা দিলে এআই সঠিক তথ্য বিশ্লেষণ করে সংবাদ তৈরি করতে পারে। কিন্তু ভুল নির্দেশনা দিলে সংবাদে ভুল বা পক্ষপাতমূলক তথ্য স্থান পেতে পারে। এ ছাড়া বড় বা পূর্ণাঙ্গ লেখা সংক্ষেপিত করলে তথ্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা সংবাদের কাঠামোকে প্রভাবিত করে। এআই শিরোনাম পরিমার্জন করতে পারলেও নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে শিরোনাম সাজাতে সক্ষম নয়।
মানুষের অনুসন্ধানী মনোভাব ও সংবেদনশীলতাকে এআই পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারবে কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে অ্যাকটিভেট রাইটস ইনফরমেশন, রাইটস অ্যান্ড টেকনোলজির রিসার্চ লিড মিনহাজ আমান বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে সেটা সম্ভব নয়। তবে একেবারেই পারবে না, এটাও এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।’
‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ নীতি গ্রহণ, ডিজিটাল বিভাগ বৃদ্ধি এবং দক্ষ জনবল নিয়োগ করার মাধ্যমে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো ডিজিটাল পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিউজরুমে এআই প্রযুক্তি প্রয়োগ করছে। সংবাদ সোর্সিং, সংবাদ লেখা, উপস্থাপনা, বণ্টন, বিজ্ঞাপনসহ নানা ক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তর দৃশ্যমান।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সাংবাদিকতার সহায়ক টুল হিসেবে ব্যবহার করা হলে নিউজরুম আরও গতিশীল, তথ্যভিত্তিক এবং আধুনিক হবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন সুস্পষ্ট নৈতিক মানদণ্ড, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, সাংবাদিকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, শিক্ষাক্রমে এআই ও ডিজিটাল লিটারেসি অন্তর্ভুক্তকরণ এবং তথ্য যাচাই-বাছাই, ফ্যাক্টচেকিং ও সাইবার সিকিউরিটির দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাংবাদিকতার জন্য একদিকে সুযোগ, অন্যদিকে চ্যালেঞ্জ। এটি মানব সাংবাদিকদের কাজকে প্রতিস্থাপন না করে; বরং সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা গেলে সংবাদ জগৎ আরও সমৃদ্ধ ও আধুনিক হবে।
সূত্র: প্রেসঅ্যাট, এমআরডিআই, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ভার্জ, এপি

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে
১৬ মে ২০২১
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিপফেকের ছড়াছড়ি। ডিপফেক বলতে ভুয়া, এআই জেনারেটেড, এডিট করে তৈরি অডিও, ভিডিও ও ছবিকে বোঝায়। এগুলো দেখতে বা শুনতে বাস্তবের মতো মনে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যা, গুজব ছড়াতে বা জালিয়াতির জন্য এসব ব্যবহৃত হয়। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—অনেকে এই ডিপফেকের ভুক্তভোগী।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাতজন অগ্রদূতের মধ্যে একমাত্র নারী তিনি। সম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ কুইন এলিজাবেথ ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার (২০২৫) গ্রহণ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ফেই-ফেই লি। ব্রিটেনের রাজা চার্লসের হাত থেকে সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার
১৮ ঘণ্টা আগেটি এইচ মাহির

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিপফেকের ছড়াছড়ি। ডিপফেক বলতে ভুয়া, এআই জেনারেটেড, এডিট করে তৈরি অডিও, ভিডিও ও ছবিকে বোঝায়। এগুলো দেখতে বা শুনতে বাস্তবের মতো মনে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যা, গুজব ছড়াতে বা জালিয়াতির জন্য এসব ব্যবহৃত হয়। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—অনেকে এই ডিপফেকের ভুক্তভোগী।
উৎস পরীক্ষা করা
সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ছবি বা ভিডিও ভাইরাল হলে আগের এর উৎস যাচাই করুন। যে অ্যাকাউন্ট বা আইডি থেকে পোস্টটি এসেছে, তা যাচাই করুন। আইডি দেখে বোঝা যায়, সেটি আসল কি না।
মুখের দিকে তাকানো
ডিপফেক ছবি বা ভিডিও যাচাই করতে ভিডিও কিংবা ছবির মুখের দিকে তাকান। ভিডিও থামিয়ে চোখ কিংবা মুখের প্রান্ত এবং চুলের রেখা দেখুন। ডিপফেকে মানব চরিত্রগুলোর অস্বাভাবিকভাবে চোখের পলক ফেলা, মুখের অদ্ভুত রূপরেখা বা চুল থাকতে পারে। ছবিতে হাত ও পায়ের আঙুল, চোখ, দাঁত ও কান পরীক্ষা করুন। এসব জায়গায় অসামঞ্জস্য চোখে পড়বে।
আলো, ছায়া খেয়াল করা
সন্দেহজনক ভিডিও বা ছবির আলো, ছায়া ও প্রতিফলন খেয়াল করুন। পরিবেশের সঙ্গে বস্তু বা ব্যক্তির ওপর আলোর প্রভাব অস্বাভাবিক লাগছে কি না যাচাই করুন। এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও ও ছবিতে আলোর প্রতিফলন অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক হয়।
কণ্ঠস্বর শোনা
ডিপফেক অডিও বা ভিডিওর কণ্ঠস্বর মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এআই জেনারেটেড অডিওগুলোতে অধিকাংশ সময় অস্বাভাবিক বিরতি ও শ্বাস-প্রশ্বাস এবং সিনথেটিক সুর থাকে। তাতে কণ্ঠস্বর রোবটিক মনে হয়। আবার ভয়েস ক্লোনিং যাচাই করতে ভিডিওর ব্যক্তির অন্যান্য কণ্ঠস্বরের সঙ্গে যাচাই করুন।
ভিডিওর ফ্রেম যাচাই
ভিডিও থামিয়ে বারবার ফ্রেমগুলো যাচাই করে নিতে হবে। যেমন আগের ফ্রেমের সঙ্গে ভিডির পরের ফ্রেমের বস্তু কিংবা ব্যক্তির আকৃতি বা মুখ পরিবর্তন হচ্ছে কি না, দেখুন। মুখের চারপাশে ছোট ছোট ঝাপসা দাগ, খাঁজকাটা প্রান্ত, ফ্রেম পরিবর্তনের সময় নড়াচড়া ইত্যাদি যাচাই করুন।
মেটাডেটা মূল্যায়ন করা
মেটাডেটা হলো কোনো ছবি, ভিডিও বা ফাইলের লুকোনো তথ্য। এর মাধ্যমে ফাইলটি কীভাবে তৈরি হয়েছে, কখন, কারা, কীভাবে সেটি তৈরি করেছে, তা জানা যায়। ছবির মেটাডেটায় ছবি তোলার তারিখ, লোকেশন, ক্যামেরা মডেল, ক্যামেরা সেটিং ইত্যাদি তথ্য থাকে। ভিডিও ক্ষেত্রেও অনেকটা একই। এসব তথ্য জানা যাবে ফাইল সেভ করার পর ফাইলের ইনফো অপশন থেকে।
স্ক্যান করা
সন্দেহজনক ছবি চোখে পড়লে সেটির স্ক্রিনশট নিন বা ডাউনলোড করুন। তারপর সেটি গুগল বা অন্যান্য মাধ্যমে দিয়ে আসল ছবির খোঁজ করুন। এতে আসল ছবি পাওয়া যাবে।
টুল ব্যবহার
ছবি, ভিডিওর জন্য ফোটোফরেনসিক, ডিপওয়্যার এআই, মিডিয়াইনফো ইত্যাদি ওয়েবসাইট ও টুলের মাধ্যমে ডিপফেক যাচাই করা যায় অনলাইনে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিপফেকের ছড়াছড়ি। ডিপফেক বলতে ভুয়া, এআই জেনারেটেড, এডিট করে তৈরি অডিও, ভিডিও ও ছবিকে বোঝায়। এগুলো দেখতে বা শুনতে বাস্তবের মতো মনে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যা, গুজব ছড়াতে বা জালিয়াতির জন্য এসব ব্যবহৃত হয়। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—অনেকে এই ডিপফেকের ভুক্তভোগী।
উৎস পরীক্ষা করা
সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ছবি বা ভিডিও ভাইরাল হলে আগের এর উৎস যাচাই করুন। যে অ্যাকাউন্ট বা আইডি থেকে পোস্টটি এসেছে, তা যাচাই করুন। আইডি দেখে বোঝা যায়, সেটি আসল কি না।
মুখের দিকে তাকানো
ডিপফেক ছবি বা ভিডিও যাচাই করতে ভিডিও কিংবা ছবির মুখের দিকে তাকান। ভিডিও থামিয়ে চোখ কিংবা মুখের প্রান্ত এবং চুলের রেখা দেখুন। ডিপফেকে মানব চরিত্রগুলোর অস্বাভাবিকভাবে চোখের পলক ফেলা, মুখের অদ্ভুত রূপরেখা বা চুল থাকতে পারে। ছবিতে হাত ও পায়ের আঙুল, চোখ, দাঁত ও কান পরীক্ষা করুন। এসব জায়গায় অসামঞ্জস্য চোখে পড়বে।
আলো, ছায়া খেয়াল করা
সন্দেহজনক ভিডিও বা ছবির আলো, ছায়া ও প্রতিফলন খেয়াল করুন। পরিবেশের সঙ্গে বস্তু বা ব্যক্তির ওপর আলোর প্রভাব অস্বাভাবিক লাগছে কি না যাচাই করুন। এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও ও ছবিতে আলোর প্রতিফলন অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক হয়।
কণ্ঠস্বর শোনা
ডিপফেক অডিও বা ভিডিওর কণ্ঠস্বর মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এআই জেনারেটেড অডিওগুলোতে অধিকাংশ সময় অস্বাভাবিক বিরতি ও শ্বাস-প্রশ্বাস এবং সিনথেটিক সুর থাকে। তাতে কণ্ঠস্বর রোবটিক মনে হয়। আবার ভয়েস ক্লোনিং যাচাই করতে ভিডিওর ব্যক্তির অন্যান্য কণ্ঠস্বরের সঙ্গে যাচাই করুন।
ভিডিওর ফ্রেম যাচাই
ভিডিও থামিয়ে বারবার ফ্রেমগুলো যাচাই করে নিতে হবে। যেমন আগের ফ্রেমের সঙ্গে ভিডির পরের ফ্রেমের বস্তু কিংবা ব্যক্তির আকৃতি বা মুখ পরিবর্তন হচ্ছে কি না, দেখুন। মুখের চারপাশে ছোট ছোট ঝাপসা দাগ, খাঁজকাটা প্রান্ত, ফ্রেম পরিবর্তনের সময় নড়াচড়া ইত্যাদি যাচাই করুন।
মেটাডেটা মূল্যায়ন করা
মেটাডেটা হলো কোনো ছবি, ভিডিও বা ফাইলের লুকোনো তথ্য। এর মাধ্যমে ফাইলটি কীভাবে তৈরি হয়েছে, কখন, কারা, কীভাবে সেটি তৈরি করেছে, তা জানা যায়। ছবির মেটাডেটায় ছবি তোলার তারিখ, লোকেশন, ক্যামেরা মডেল, ক্যামেরা সেটিং ইত্যাদি তথ্য থাকে। ভিডিও ক্ষেত্রেও অনেকটা একই। এসব তথ্য জানা যাবে ফাইল সেভ করার পর ফাইলের ইনফো অপশন থেকে।
স্ক্যান করা
সন্দেহজনক ছবি চোখে পড়লে সেটির স্ক্রিনশট নিন বা ডাউনলোড করুন। তারপর সেটি গুগল বা অন্যান্য মাধ্যমে দিয়ে আসল ছবির খোঁজ করুন। এতে আসল ছবি পাওয়া যাবে।
টুল ব্যবহার
ছবি, ভিডিওর জন্য ফোটোফরেনসিক, ডিপওয়্যার এআই, মিডিয়াইনফো ইত্যাদি ওয়েবসাইট ও টুলের মাধ্যমে ডিপফেক যাচাই করা যায় অনলাইনে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে
১৬ মে ২০২১
প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলেছে। সাংবাদিকতাও এর বাইরে নয়। আজকের দিনে সংবাদ সংগ্রহ, তথ্য বিশ্লেষণ, শিরোনাম তৈরি, এমনকি পুরো প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
১ ঘণ্টা আগে
গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাতজন অগ্রদূতের মধ্যে একমাত্র নারী তিনি। সম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ কুইন এলিজাবেথ ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার (২০২৫) গ্রহণ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ফেই-ফেই লি। ব্রিটেনের রাজা চার্লসের হাত থেকে সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল সারা দেশের তরুণ মেধাবীদের এমন প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান তৈরি করতে উৎসাহিত করা, যা বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আরও স্মার্ট ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করবে।
এই প্রতিযোগিতায় ‘ইশারা: বাংলা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেটর’ প্রকল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ওয়াটার মেলন। টিম ওপিয়ন তাদের ‘এআই ড্রিভেন নিউজ ক্রেডিবিলিটি প্ল্যাটফর্ম’ প্রকল্পের জন্য হয়েছে প্রথম রানারআপ। টিম সিন্যাপজ তাদের ‘এআই ইনক্লুশন ফর ডিফারেন্টলি অ্যাবলড লার্নারস’ প্রকল্প এবং টিম লাস্তা তাদের ‘দিশা: ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন থ্রো এআই’ প্রকল্পের জন্য যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমরা যখন এআইনির্ভর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, তখন তরুণ প্রজন্মকে সে পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও মানসিকতা অর্জনে সহায়তা করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা পুরস্কারের পাশাপাশি গ্রামীণফোনের শীর্ষ প্রতিভা উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোতে দ্রুত অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল সারা দেশের তরুণ মেধাবীদের এমন প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান তৈরি করতে উৎসাহিত করা, যা বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আরও স্মার্ট ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করবে।
এই প্রতিযোগিতায় ‘ইশারা: বাংলা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেটর’ প্রকল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ওয়াটার মেলন। টিম ওপিয়ন তাদের ‘এআই ড্রিভেন নিউজ ক্রেডিবিলিটি প্ল্যাটফর্ম’ প্রকল্পের জন্য হয়েছে প্রথম রানারআপ। টিম সিন্যাপজ তাদের ‘এআই ইনক্লুশন ফর ডিফারেন্টলি অ্যাবলড লার্নারস’ প্রকল্প এবং টিম লাস্তা তাদের ‘দিশা: ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন থ্রো এআই’ প্রকল্পের জন্য যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমরা যখন এআইনির্ভর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, তখন তরুণ প্রজন্মকে সে পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও মানসিকতা অর্জনে সহায়তা করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা পুরস্কারের পাশাপাশি গ্রামীণফোনের শীর্ষ প্রতিভা উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোতে দ্রুত অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে
১৬ মে ২০২১
প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলেছে। সাংবাদিকতাও এর বাইরে নয়। আজকের দিনে সংবাদ সংগ্রহ, তথ্য বিশ্লেষণ, শিরোনাম তৈরি, এমনকি পুরো প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিপফেকের ছড়াছড়ি। ডিপফেক বলতে ভুয়া, এআই জেনারেটেড, এডিট করে তৈরি অডিও, ভিডিও ও ছবিকে বোঝায়। এগুলো দেখতে বা শুনতে বাস্তবের মতো মনে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যা, গুজব ছড়াতে বা জালিয়াতির জন্য এসব ব্যবহৃত হয়। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—অনেকে এই ডিপফেকের ভুক্তভোগী।
২ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাতজন অগ্রদূতের মধ্যে একমাত্র নারী তিনি। সম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ কুইন এলিজাবেথ ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার (২০২৫) গ্রহণ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ফেই-ফেই লি। ব্রিটেনের রাজা চার্লসের হাত থেকে সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাতজন অগ্রদূতের মধ্যে একমাত্র নারী তিনি। সম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ কুইন এলিজাবেথ ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার (২০২৫) গ্রহণ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ফেই-ফেই লি। ব্রিটেনের রাজা চার্লসের হাত থেকে সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রাপ্ত সাতজনের মধ্যে একমাত্র নারী হতে পেরে তিনি গর্বিত। মূলত এই ‘মেনস ক্লাব’-এর মধ্যে ‘ব্যতিক্রম হতে পেরে তিনি গর্বিত’।
অধ্যাপক লি-এর সঙ্গে যাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন: অধ্যাপক ইয়োশুয়া বেঙ্গিও, ড. বিল ড্যালি, ড. জেফরি হিন্টন, অধ্যাপক জন হপফিল্ড, এনভিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জেনসেন হুয়াং এবং মেটা-এর প্রধান এআই বিজ্ঞানী ড. ইয়ান লেকান। আধুনিক মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির অগ্রগতিতে যুগান্তকারী অবদানের জন্য তাঁদের এই সম্মান জানানো হলো।
‘গডমাদার’ অধ্যাপক লি
ড. হিন্টন, অধ্যাপক বেঙ্গিও এবং ড. ইয়ান লেকানকে সাধারণত ‘এআই গডফাদার’ বলা হয়ে থাকে। সেখানে অধ্যাপক ফেই-ফেই লি হলেন একমাত্র ‘এআই গডমাদার’। প্রথমে এই উপাধি প্রত্যাখ্যান করতে চাইলেও, পরে তিনি তা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন।
অধ্যাপক লি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি নিজেকে কোনো কিছুর গডমাদার বলতাম না। কিন্তু কয়েক বছর আগে যখন লোকে আমাকে এই নামে ডাকতে শুরু করে, তখন বুঝতে পারি, যদি এটা প্রত্যাখ্যান করি, তবে নারী বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের এমনভাবে সম্মানিত হওয়ার একটি সুযোগ হাতছাড়া হবে। কারণ পুরুষদের সহজেই গডফাদার বা প্রতিষ্ঠাতা পিতা বলা হয়।’
লি বলেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করা তরুণী এবং ভবিষ্যতের মেয়েদের প্রেরণা হতেই তিনি এখন এই উপাধি গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
চীনে জন্মগ্রহণকারী লি কৈশোরে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুতই কম্পিউটার বিজ্ঞানে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেন। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান-সেন্টার্ড এআই ইনস্টিটিউটের সহ-পরিচালক এবং ওয়ার্ল্ড ল্যাবসের সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
কম্পিউটার ভিশনের ক্ষেত্রে প্রধান অগ্রগতি এনে দেওয়া তাঁর বিখ্যাত কাজ ‘ইমেজনেট’ (ImageNet) প্রকল্পের জন্যই তিনি মূলত পরিচিত। তিনি ও তাঁর শিক্ষার্থীরা এই বৃহৎ-স্কেলের ছবি শনাক্তকরণ ডেটাসেট তৈরি করেন, যার ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে বহু এআই প্রযুক্তি গড়ে উঠেছে। তাঁর মতে, এই ডেটাসেটটিই ‘ডেটা-চালিত এআই বিস্তারের দ্বার উন্মুক্ত’ করে দিয়েছে। বলতে গেলে, তাঁর কারণেই এখন এত এত এআই বাজারে দেখা যাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারছে।
এদিকে পুরস্কারপ্রাপ্ত সাতজন বিজ্ঞানীর মধ্যে, বিশেষ করে ‘গডফাদার’-দের মধ্যে এআই-এর সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে প্রকাশ্যেই তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। ড. হিন্টন এআই-কে ‘মানব প্রজাতির বিলুপ্তির স্তরের হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করলেও, মেটার ইয়ান লেকান এই ধরনের চরম সতর্কতাকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে মনে করেন।
অধ্যাপক লি এই বিতর্কে একটি ‘বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি’ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতবিরোধ থাকাটা ‘স্বাস্থ্যকর’। তবে তিনি এআই নিয়ে চরমপন্থী বক্তব্য পরিহার করে আরও সংযত হওয়ার পক্ষে। বিজ্ঞান-ভিত্তিক এবং তথ্য-নির্ভর আলোচনার পক্ষে তাঁর অবস্থান।
তিনি মনে করেন, এআই-এর পরবর্তী মাইলফলক তখনই অর্জিত হবে যখন এটি এর চারপাশের জগতের সঙ্গে সরাসরি মিথস্ক্রিয়া করতে সক্ষম হবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাতজন অগ্রদূতের মধ্যে একমাত্র নারী তিনি। সম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ কুইন এলিজাবেথ ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার (২০২৫) গ্রহণ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ফেই-ফেই লি। ব্রিটেনের রাজা চার্লসের হাত থেকে সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রাপ্ত সাতজনের মধ্যে একমাত্র নারী হতে পেরে তিনি গর্বিত। মূলত এই ‘মেনস ক্লাব’-এর মধ্যে ‘ব্যতিক্রম হতে পেরে তিনি গর্বিত’।
অধ্যাপক লি-এর সঙ্গে যাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন: অধ্যাপক ইয়োশুয়া বেঙ্গিও, ড. বিল ড্যালি, ড. জেফরি হিন্টন, অধ্যাপক জন হপফিল্ড, এনভিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জেনসেন হুয়াং এবং মেটা-এর প্রধান এআই বিজ্ঞানী ড. ইয়ান লেকান। আধুনিক মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির অগ্রগতিতে যুগান্তকারী অবদানের জন্য তাঁদের এই সম্মান জানানো হলো।
‘গডমাদার’ অধ্যাপক লি
ড. হিন্টন, অধ্যাপক বেঙ্গিও এবং ড. ইয়ান লেকানকে সাধারণত ‘এআই গডফাদার’ বলা হয়ে থাকে। সেখানে অধ্যাপক ফেই-ফেই লি হলেন একমাত্র ‘এআই গডমাদার’। প্রথমে এই উপাধি প্রত্যাখ্যান করতে চাইলেও, পরে তিনি তা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন।
অধ্যাপক লি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি নিজেকে কোনো কিছুর গডমাদার বলতাম না। কিন্তু কয়েক বছর আগে যখন লোকে আমাকে এই নামে ডাকতে শুরু করে, তখন বুঝতে পারি, যদি এটা প্রত্যাখ্যান করি, তবে নারী বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের এমনভাবে সম্মানিত হওয়ার একটি সুযোগ হাতছাড়া হবে। কারণ পুরুষদের সহজেই গডফাদার বা প্রতিষ্ঠাতা পিতা বলা হয়।’
লি বলেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করা তরুণী এবং ভবিষ্যতের মেয়েদের প্রেরণা হতেই তিনি এখন এই উপাধি গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
চীনে জন্মগ্রহণকারী লি কৈশোরে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুতই কম্পিউটার বিজ্ঞানে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেন। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান-সেন্টার্ড এআই ইনস্টিটিউটের সহ-পরিচালক এবং ওয়ার্ল্ড ল্যাবসের সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
কম্পিউটার ভিশনের ক্ষেত্রে প্রধান অগ্রগতি এনে দেওয়া তাঁর বিখ্যাত কাজ ‘ইমেজনেট’ (ImageNet) প্রকল্পের জন্যই তিনি মূলত পরিচিত। তিনি ও তাঁর শিক্ষার্থীরা এই বৃহৎ-স্কেলের ছবি শনাক্তকরণ ডেটাসেট তৈরি করেন, যার ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে বহু এআই প্রযুক্তি গড়ে উঠেছে। তাঁর মতে, এই ডেটাসেটটিই ‘ডেটা-চালিত এআই বিস্তারের দ্বার উন্মুক্ত’ করে দিয়েছে। বলতে গেলে, তাঁর কারণেই এখন এত এত এআই বাজারে দেখা যাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারছে।
এদিকে পুরস্কারপ্রাপ্ত সাতজন বিজ্ঞানীর মধ্যে, বিশেষ করে ‘গডফাদার’-দের মধ্যে এআই-এর সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে প্রকাশ্যেই তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। ড. হিন্টন এআই-কে ‘মানব প্রজাতির বিলুপ্তির স্তরের হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করলেও, মেটার ইয়ান লেকান এই ধরনের চরম সতর্কতাকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে মনে করেন।
অধ্যাপক লি এই বিতর্কে একটি ‘বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি’ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতবিরোধ থাকাটা ‘স্বাস্থ্যকর’। তবে তিনি এআই নিয়ে চরমপন্থী বক্তব্য পরিহার করে আরও সংযত হওয়ার পক্ষে। বিজ্ঞান-ভিত্তিক এবং তথ্য-নির্ভর আলোচনার পক্ষে তাঁর অবস্থান।
তিনি মনে করেন, এআই-এর পরবর্তী মাইলফলক তখনই অর্জিত হবে যখন এটি এর চারপাশের জগতের সঙ্গে সরাসরি মিথস্ক্রিয়া করতে সক্ষম হবে।

মানুষের চন্দ্রাভিযান নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায়। এ জন্য তারা পরিচালনা করছে বিশেষ মিশন আর্টেমিস। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেসএক্স। আর এই স্পেসএক্স নাসার চন্দ্রাভিযান সফল করার জন্য বানাচ্ছে
১৬ মে ২০২১
প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলেছে। সাংবাদিকতাও এর বাইরে নয়। আজকের দিনে সংবাদ সংগ্রহ, তথ্য বিশ্লেষণ, শিরোনাম তৈরি, এমনকি পুরো প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিপফেকের ছড়াছড়ি। ডিপফেক বলতে ভুয়া, এআই জেনারেটেড, এডিট করে তৈরি অডিও, ভিডিও ও ছবিকে বোঝায়। এগুলো দেখতে বা শুনতে বাস্তবের মতো মনে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যা, গুজব ছড়াতে বা জালিয়াতির জন্য এসব ব্যবহৃত হয়। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—অনেকে এই ডিপফেকের ভুক্তভোগী।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে