অনলাইন ডেস্ক
পাঁচ বছর পর আবারও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরে ফিরেছে জনপ্রিয় ব্যাটল রয়্যাল গেম ‘ফোর্টনাইট’। অ্যাপল ও গেম নির্মাতা এপিক গেমসের দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই এই প্রত্যাবর্তন ঘটেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ মে) থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এপিক গেমস স্টোর ও অল্টস্টোরে পাওয়া যাচ্ছে ফোর্টনাইট। এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে এপিক গেমস জানিয়েছে, শিগগির অ্যাপ স্টোরে খোঁজ করলে দেখা যাবে গেমটি।
২০২০ সালে এপিক গেমস তাদের ফোর্টনাইট গেমের একটি ওয়েবভিত্তিক আপডেটের মাধ্যমে ইন-অ্যাপ কেনাকাটার জন্য সরাসরি পেমেন্ট নেওয়ার ব্যবস্থা করে। এতে অ্যাপলের নিজস্ব পেমেন্ট-ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সাধারণত ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ফি কাটে অ্যাপল। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে ফোর্টনাইটকে অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে দেয় অ্যাপল এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি আইনি লড়াই শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আদালত পরে এপিকের পক্ষেই রায় দেন। বিচারক জানান, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিযোগিতাবিরোধী দামের নিয়ম ভেঙেছে। গত মাসে ওই বিচারক বলেন, অ্যাপলকে এখন থেকে ডেভেলপারদের অ্যাপ স্টোরের বাইরেও পেমেন্ট সংগ্রহের সুযোগ দিতে হবে এবং তাতে কোনো অতিরিক্ত ফি ধার্য করা যাবে না।
ফোর্টনাইট আবার যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরে ফিরতে চাইলে সেটিকে অ্যাপলের অ্যাপ রিভিউ প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে হয়। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে অ্যাপল কর্মীরা নতুন অ্যাপ বা আপডেট যাচাই করেন, যেন সেগুলো অ্যাপলের নীতিমালা অনুসারে চলে।
৯ মে এপিক ফোর্টনাইট অ্যাপটি আবার অ্যাপলে জমা দেয়। এরপর অ্যাপল অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব করে। তখন এপিক অভিযোগ তোলে, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে গেমটি আটকে রেখেছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতের বিচারক ইভন গঞ্জালেজ রজার্স বলেন, অ্যাপলকে হয় এপিকের গেম অনুমোদন দিতে হবে, নতুবা সেটা আটকে রাখার জন্য আইনগত যুক্তি দেখাতে হবে। এতে এপিক গেমসের পক্ষেই পরিস্থিতি কিছুটা ঝুঁকে পড়ে।
অ্যাপ স্টোরে নতুন করে আসা ফোর্টনাইট সংস্করণেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন রয়েছে। গেমের ভেতরে যাঁরা অ্যাপলের পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার না করে সরাসরি এপিক গেমসের মাধ্যমে কেনাকাটা করবেন, তাঁরা ২০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাবেন। অর্থাৎ এপিকের নিজস্ব পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করলে গেমারেরা আগের মতোই ছাড়ের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
গত মাসের রায়ের পর অ্যামাজন ও স্পটিফাইয়ের মতো বড় অ্যাপ নির্মাতারা তাদের অ্যাপে পরিবর্তন আনে। উদাহরণস্বরূপ, এখন আইফোনে কিনডেল অ্যাপ ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা সরাসরি কিনডেল বই কিনতে পারেন।
এপিক যখন অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করে, তখন অ্যাপল শুধু ফোর্টনাইট সরিয়েই দেয়নি, বরং এপিকের ডেভেলপার অ্যাকাউন্টও বাতিল করেছিল। তবে ডিজিটাল মার্কেট আইনের কারণে ইউরোপে এপিক একটি নতুন ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে সক্ষম হয় এবং এখন একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে ফোর্টনাইট অ্যাপ সরবরাহ করছে।
ইউরোপ ছাড়াও বিশ্বব্যাপী আইফোন ব্যবহারকারীরা ক্লাউড গেমিং পরিষেবার মাধ্যমে ফোর্টনাইট খেলতে পারেন।
অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে যে ফি নেয়, তা তাদের ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি ‘সার্ভিসেস’ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞাপন, অ্যাপলকেয়ার, পেমেন্ট সেবা ও সাবস্ক্রিপশন। গত মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে এই বিভাগ থেকে অ্যাপল প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ ও সিএনবিসি
পাঁচ বছর পর আবারও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরে ফিরেছে জনপ্রিয় ব্যাটল রয়্যাল গেম ‘ফোর্টনাইট’। অ্যাপল ও গেম নির্মাতা এপিক গেমসের দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই এই প্রত্যাবর্তন ঘটেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ মে) থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এপিক গেমস স্টোর ও অল্টস্টোরে পাওয়া যাচ্ছে ফোর্টনাইট। এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে এপিক গেমস জানিয়েছে, শিগগির অ্যাপ স্টোরে খোঁজ করলে দেখা যাবে গেমটি।
২০২০ সালে এপিক গেমস তাদের ফোর্টনাইট গেমের একটি ওয়েবভিত্তিক আপডেটের মাধ্যমে ইন-অ্যাপ কেনাকাটার জন্য সরাসরি পেমেন্ট নেওয়ার ব্যবস্থা করে। এতে অ্যাপলের নিজস্ব পেমেন্ট-ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সাধারণত ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ফি কাটে অ্যাপল। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে ফোর্টনাইটকে অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে দেয় অ্যাপল এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি আইনি লড়াই শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আদালত পরে এপিকের পক্ষেই রায় দেন। বিচারক জানান, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিযোগিতাবিরোধী দামের নিয়ম ভেঙেছে। গত মাসে ওই বিচারক বলেন, অ্যাপলকে এখন থেকে ডেভেলপারদের অ্যাপ স্টোরের বাইরেও পেমেন্ট সংগ্রহের সুযোগ দিতে হবে এবং তাতে কোনো অতিরিক্ত ফি ধার্য করা যাবে না।
ফোর্টনাইট আবার যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরে ফিরতে চাইলে সেটিকে অ্যাপলের অ্যাপ রিভিউ প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে হয়। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে অ্যাপল কর্মীরা নতুন অ্যাপ বা আপডেট যাচাই করেন, যেন সেগুলো অ্যাপলের নীতিমালা অনুসারে চলে।
৯ মে এপিক ফোর্টনাইট অ্যাপটি আবার অ্যাপলে জমা দেয়। এরপর অ্যাপল অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব করে। তখন এপিক অভিযোগ তোলে, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে গেমটি আটকে রেখেছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতের বিচারক ইভন গঞ্জালেজ রজার্স বলেন, অ্যাপলকে হয় এপিকের গেম অনুমোদন দিতে হবে, নতুবা সেটা আটকে রাখার জন্য আইনগত যুক্তি দেখাতে হবে। এতে এপিক গেমসের পক্ষেই পরিস্থিতি কিছুটা ঝুঁকে পড়ে।
অ্যাপ স্টোরে নতুন করে আসা ফোর্টনাইট সংস্করণেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন রয়েছে। গেমের ভেতরে যাঁরা অ্যাপলের পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার না করে সরাসরি এপিক গেমসের মাধ্যমে কেনাকাটা করবেন, তাঁরা ২০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাবেন। অর্থাৎ এপিকের নিজস্ব পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করলে গেমারেরা আগের মতোই ছাড়ের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
গত মাসের রায়ের পর অ্যামাজন ও স্পটিফাইয়ের মতো বড় অ্যাপ নির্মাতারা তাদের অ্যাপে পরিবর্তন আনে। উদাহরণস্বরূপ, এখন আইফোনে কিনডেল অ্যাপ ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা সরাসরি কিনডেল বই কিনতে পারেন।
এপিক যখন অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করে, তখন অ্যাপল শুধু ফোর্টনাইট সরিয়েই দেয়নি, বরং এপিকের ডেভেলপার অ্যাকাউন্টও বাতিল করেছিল। তবে ডিজিটাল মার্কেট আইনের কারণে ইউরোপে এপিক একটি নতুন ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে সক্ষম হয় এবং এখন একটি তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে ফোর্টনাইট অ্যাপ সরবরাহ করছে।
ইউরোপ ছাড়াও বিশ্বব্যাপী আইফোন ব্যবহারকারীরা ক্লাউড গেমিং পরিষেবার মাধ্যমে ফোর্টনাইট খেলতে পারেন।
অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে যে ফি নেয়, তা তাদের ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি ‘সার্ভিসেস’ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞাপন, অ্যাপলকেয়ার, পেমেন্ট সেবা ও সাবস্ক্রিপশন। গত মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে এই বিভাগ থেকে অ্যাপল প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ ও সিএনবিসি
কয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের তৈরি ‘ক্লদ ওপাস’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিল এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। এবার আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে—এই প্রবণতা শুধু ক্লদে নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ এআই মডেলগুলোর মধ্যেই এই ঝুঁকি রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেভূগর্ভস্থ পানির পাইপে কোনো ছিদ্র বা ফাটল খুঁজে বের করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়ই এই কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে হয়। তবে এ চিত্র বদলে দিতে পারে ক্ষুদ্রাকৃতির এক রোবট, যা নিজে থেকেই পাইপে ঢুকে ছিদ্র শনাক্ত করে মেরামত করতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এই ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬ শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত...
১০ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি মানুষের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর বিজ্ঞানীরা। প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতনামা মিডিয়া ল্যাব পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা লেখালেখির কাজে...
১২ ঘণ্টা আগে