ক্রীড়া ডেস্ক
প্যারিসের ক্লে কোর্ট থেকে উইম্বলডনের ঘাসের কোর্ট—কোনখানে ছিলেন না তাঁরা! ছিলেন এবং শেষ দুটি গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে কাব্যিক দুটি টেনিস ম্যাচের জন্ম দিয়েছেন ইয়ানিক সিনার ও কার্লোস আলকারাজ। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া ইউএস ওপেনেও কি তেমন একটি ধ্রুপদি ফাইনালের জন্ম দিয়ে ব্যক্তিদ্বৈরথ ‘সিনকারাজ’কে নতুন উচ্চতায় নেবেন তাঁরা!
ছেলেদের টেনিসে ‘বড় তিন’-এর যুগ এখন অতীত। আগেই খেলা ছেড়েছেন রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেদেরার। বড় তিনের শেষ সদস্য নোভাক জোকোভিচ খেলা চালিয়ে গেলেও তাঁর ক্যারিয়ার সূর্যটা মধ্যগনন থেকে হেলে পড়েছে অস্তের দিকে। তবে তাঁদের শূন্যতা পূরণে এসে গেছেন নতুন তারকা সিনার ও আলকারাজ। এ পর্যন্ত গ্র্যান্ড স্লামে পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরা এবং এমন সব লড়াই উপহার দিয়েছেন, যা তাঁদের সোনালি সময়ে ফেদেরার-নাদাল-জোকোভিচদের সেরা সব দ্বৈরথের কথাই মনে করিয়ে দেয়। গত জুনে দুজনের ফ্রেঞ্চ ওপেনের ম্যারাথন ফাইনালে আলকারাজ-সিনার লড়াই করেন ৫ ঘণ্টা ২৯ মিনিট। পরের গ্র্যান্ড স্লাম উইম্বলডনের ফাইনালেও প্রায় তিন ঘণ্টা লড়াই করেছিলেন তাঁরা। দুজনের ‘নেভার সে ডাই’ মানসিকতায় দুটি ফাইনালেই রূপ নিয়েছিলেন ধ্রুপদি ম্যাচের। ক্লে-কোর্টে আলকারাজ জিতলেও ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্লামে টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আলকারাজকে হারিয়ে শিরোপা জেতেন সিনার। মজার ব্যাপার, উইম্বলডনে আলকারাজের টানা দুটি শিরোপা জোকোভিচের রাজত্বের শেষ টেনে দেয়!
ইউএস ওপেনের প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট সিনসিনাটি হাজার মাস্টার্সের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিলেন নতুনের কেতন ওড়ানো আলকারাজ-সিনার। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রথম সেটেই কোর্ট ছেড়ে উঠে যান সিনার। এখন তিনি পুরোপুরি ফিট কি? শুক্রবার, অনুশীলনের সময় ঠিক এই প্রশ্নটাই করা হয়েছিল তাঁকে। উত্তরে ইতালিয়ান তারকা বলেছিলেন, ‘শারীরিকভাবে ভালো বোধ করছি। আমি প্রায় সেরে উঠেছি, তবে এখনো এক শ ভাগ নই। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে তা ঠিক হয়ে যাবে।’
ফ্ল্যাশিং মিডোতেও আছে দুজনের ম্যারাথন ম্যাচের ইতিহাস। ২০২২ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁদের ম্যাচটি স্থায়ী হয়েছিল ৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। সেই ম্যাচ জিতে পরে ফাইনালও জিতেছিলেন আলকারাজ। কিন্তু এবার টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সিনার। টানা দুবার উইম্বলডনের ফাইনালে জোকোভিচকে হারিয়ে দেওয়া আলকারাজকে যখন এবার ঘাসের কোর্টের ফাইনালে ফেবারিট ভাবা হয়েছিল, তখন সৃজনশীলতার সঙ্গে পেশি শক্তির দারুণ সমন্বয়ে সিনার হারিয়ে দেন আলকারাজকে। আর দুজনের এমনই নিবিড় দ্বৈরথ যে একজনের বিপরীতে আরেকজনকে এগিয়ে রাখা কঠিন। এটা কীভাবে সম্ভব? সিনার ও আলকারাজ—দুজনই বলছেন তাঁরা পরস্পরকে দেখে শেখেন, কোর্টে মুখোমুখি হলে জয়ের জন্য নিজের সেরাটা বের করে আনেন।
দুজনের এই ব্যক্তিদ্বৈরথটাকে টেনিসের জন্য আশীর্বাদ বলছেন রড লেভার। অস্ট্রেলিয়ান এই টেনিস গ্রেট বলেন, ‘তাঁদের দ্বৈরথ আমাদের খেলাটার জন্য একটা উপহার। আর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পরস্পরের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাবোধ। জিতুক কিংবা হারুক, আনন্দের সঙ্গে মর্যাদা ও স্পোর্টসম্যানশিপ নিয়ে লড়াই করেন তাঁরা। আর এটাই তাঁদের চ্যাম্পিয়ন বানায়।’
ইউএস ওপেনে শুধু শিরোপাই নয়, যোগ হয়েছে এক নম্বরের লড়াইও।
প্যারিসের ক্লে কোর্ট থেকে উইম্বলডনের ঘাসের কোর্ট—কোনখানে ছিলেন না তাঁরা! ছিলেন এবং শেষ দুটি গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে কাব্যিক দুটি টেনিস ম্যাচের জন্ম দিয়েছেন ইয়ানিক সিনার ও কার্লোস আলকারাজ। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া ইউএস ওপেনেও কি তেমন একটি ধ্রুপদি ফাইনালের জন্ম দিয়ে ব্যক্তিদ্বৈরথ ‘সিনকারাজ’কে নতুন উচ্চতায় নেবেন তাঁরা!
ছেলেদের টেনিসে ‘বড় তিন’-এর যুগ এখন অতীত। আগেই খেলা ছেড়েছেন রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেদেরার। বড় তিনের শেষ সদস্য নোভাক জোকোভিচ খেলা চালিয়ে গেলেও তাঁর ক্যারিয়ার সূর্যটা মধ্যগনন থেকে হেলে পড়েছে অস্তের দিকে। তবে তাঁদের শূন্যতা পূরণে এসে গেছেন নতুন তারকা সিনার ও আলকারাজ। এ পর্যন্ত গ্র্যান্ড স্লামে পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরা এবং এমন সব লড়াই উপহার দিয়েছেন, যা তাঁদের সোনালি সময়ে ফেদেরার-নাদাল-জোকোভিচদের সেরা সব দ্বৈরথের কথাই মনে করিয়ে দেয়। গত জুনে দুজনের ফ্রেঞ্চ ওপেনের ম্যারাথন ফাইনালে আলকারাজ-সিনার লড়াই করেন ৫ ঘণ্টা ২৯ মিনিট। পরের গ্র্যান্ড স্লাম উইম্বলডনের ফাইনালেও প্রায় তিন ঘণ্টা লড়াই করেছিলেন তাঁরা। দুজনের ‘নেভার সে ডাই’ মানসিকতায় দুটি ফাইনালেই রূপ নিয়েছিলেন ধ্রুপদি ম্যাচের। ক্লে-কোর্টে আলকারাজ জিতলেও ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্লামে টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আলকারাজকে হারিয়ে শিরোপা জেতেন সিনার। মজার ব্যাপার, উইম্বলডনে আলকারাজের টানা দুটি শিরোপা জোকোভিচের রাজত্বের শেষ টেনে দেয়!
ইউএস ওপেনের প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট সিনসিনাটি হাজার মাস্টার্সের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিলেন নতুনের কেতন ওড়ানো আলকারাজ-সিনার। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রথম সেটেই কোর্ট ছেড়ে উঠে যান সিনার। এখন তিনি পুরোপুরি ফিট কি? শুক্রবার, অনুশীলনের সময় ঠিক এই প্রশ্নটাই করা হয়েছিল তাঁকে। উত্তরে ইতালিয়ান তারকা বলেছিলেন, ‘শারীরিকভাবে ভালো বোধ করছি। আমি প্রায় সেরে উঠেছি, তবে এখনো এক শ ভাগ নই। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে তা ঠিক হয়ে যাবে।’
ফ্ল্যাশিং মিডোতেও আছে দুজনের ম্যারাথন ম্যাচের ইতিহাস। ২০২২ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁদের ম্যাচটি স্থায়ী হয়েছিল ৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। সেই ম্যাচ জিতে পরে ফাইনালও জিতেছিলেন আলকারাজ। কিন্তু এবার টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সিনার। টানা দুবার উইম্বলডনের ফাইনালে জোকোভিচকে হারিয়ে দেওয়া আলকারাজকে যখন এবার ঘাসের কোর্টের ফাইনালে ফেবারিট ভাবা হয়েছিল, তখন সৃজনশীলতার সঙ্গে পেশি শক্তির দারুণ সমন্বয়ে সিনার হারিয়ে দেন আলকারাজকে। আর দুজনের এমনই নিবিড় দ্বৈরথ যে একজনের বিপরীতে আরেকজনকে এগিয়ে রাখা কঠিন। এটা কীভাবে সম্ভব? সিনার ও আলকারাজ—দুজনই বলছেন তাঁরা পরস্পরকে দেখে শেখেন, কোর্টে মুখোমুখি হলে জয়ের জন্য নিজের সেরাটা বের করে আনেন।
দুজনের এই ব্যক্তিদ্বৈরথটাকে টেনিসের জন্য আশীর্বাদ বলছেন রড লেভার। অস্ট্রেলিয়ান এই টেনিস গ্রেট বলেন, ‘তাঁদের দ্বৈরথ আমাদের খেলাটার জন্য একটা উপহার। আর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পরস্পরের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাবোধ। জিতুক কিংবা হারুক, আনন্দের সঙ্গে মর্যাদা ও স্পোর্টসম্যানশিপ নিয়ে লড়াই করেন তাঁরা। আর এটাই তাঁদের চ্যাম্পিয়ন বানায়।’
ইউএস ওপেনে শুধু শিরোপাই নয়, যোগ হয়েছে এক নম্বরের লড়াইও।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অজিরা ধবলধোলাই এড়াতে পারে কি না, সেটাই ছিল দেখার। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া জ্বলে উঠল বারুদের মতো। ম্যাকের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনাতে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের কাছে পাত্তাই পায়নি প্রোটিয়া
২ ঘণ্টা আগে২০ আগস্ট বাংলাদেশ নারী দলকে ৮৭ রানে হারিয়েছিল ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৫ দল। সেই ম্যাচে ১৮২ রানের লক্ষ্য পেলেও নারী ক্রিকেট দল গুটিয়ে গিয়েছিল ১০০-এর আগেই। এক সপ্তাহ না যেতেই কিশোরদের কাছে ফের বাজেভাবে হেরেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি-নাহিদা আক্তাররা।
২ ঘণ্টা আগেভারতের হয়ে ৫ ওয়ানডে খেললেও সবশেষ এই সংস্করণে চেতেশ্বর পূজারা খেলেছিলেন ২০১৪ সালে। খেলতেন শুধু টেস্ট। সেই সংস্করণেও গত দুই বছর ধরে ছিলেন তিনি ব্রাত্য। অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন পূজারা।
২ ঘণ্টা আগেপিছিয়ে থেকে ম্যাচ জয়ের ‘ওস্তাদ’ মনে করা হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। যখনই ভক্ত-সমর্থকেরা নির্দিষ্ট এক অবস্থার পর ম্যাচের ফল অবশ্যম্ভাবী ধরে নেন, সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা গতকাল তেমন কিছুই করে দেখিয়েছে। বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক এখানে দারুণ ক্যারিশমা দেখিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে