Ajker Patrika

এটাই কি টেনিস ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন

এটাই কি টেনিস ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন

দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে যাবেন কার্লোস আলকারাস—এটা বোধ হয় কেউ ভাবতেই পারেননি। প্রতিপক্ষ ছিলেন অবাছাই নেদারল্যান্ডসের বোটিং ফন ডি জান্ডশুপ। র‍্যাঙ্কিংয়ের ৭৪ তম ডাচ এই প্রতিযোগীর কাছে ৬-১,৭-৫, ৬-৪ গেমে র‍্যাঙ্কিংয়ের তিনে থাকা আলকারাসের হারের পর টেনিস চ্যানেলের টুইট—এটাই কি টেনিস ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন? 

সবচেয়ে বড় হয়তো নয়, তবে বড় অঘটনগুলোর মধ্যে রাখতেই হবে এটাকে। গত ২৮ বছরে গ্র্যান্ড স্লামে কোনো ডাচ প্রতিযোগীর র‍্যাঙ্কিংয়ের তিনে থাকা খেলোয়াড়ের বিপক্ষে এটাই প্রথম জয়! এর আগে সবশেষ ডাচ খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৯৬ সালে রিচার্ড ক্রাজিচেক হারিয়েছিলেন র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে থাকা পিট সাম্প্রাসকে, উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে। 

জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ‘কী হতে কী হয়ে গেল’—এমন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলেন জান্ডশুপ। সেই ঘোর কাটিয়ে উঠে পরে বললেন, ‘কী বলব, আমি শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না...।’ পরে বলে গেলেন, ‘আগের ম্যাচের জয় আমার আত্মবিশ্বাসে পারদ ওপরে তুলে দিয়েছিল। প্রথম পয়েন্ট থেকেই আমি লড়ছিলাম। বুঝতে পারছিলাম, এই ম্যাচ জিততেও পারি আমি।’ 

এ বছর ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডন জিতেছেন আলকারাস। ভাবা হচ্ছিল, উন্মুক্ত যুগের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডনের পর হার্ডকোর্টের ইউএস ওপেনটাও জিতবেন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। ২০২১ সালের উইম্বলডনের পর এই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্লামের দ্বিতীয় রাউন্ডে হারলেন বিশ্ব টেনিসের নতুন সেনসেশন আলকারাস। 

প্রথম সেটে অখ্যাত জান্ডশুপের বিপক্ষেও আনাড়ি মনে হয়েছে আলকারাসকে। দ্বিতীয় সেটে ফেরার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তৃতীয় সেটেও সে চেষ্টায় ঘাটতি দেখেছেন দর্শকেরা! ম্যাচ শেষে স্প্যানিশ আলকারাস বললেন, ‘আজ (কাল) আমি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করেছি, লড়াই করেছি নিজের সঙ্গেও। অনেক আবেগ কাজ করেছে আমার মধ্যে, যা আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।’ 

আলকারাসের বিদায়ের দিনে ইউএস ওপেন থেকে ছিটকে পড়েছেন দুইবারের চ্যাম্পিয়ন নাওমি ওসাকাও। জাপানি কন্যাকে হারিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা মুচোভা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাদির স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি

আগের সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল সিলেট টাইটান্স-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স উদ্বোধনী ম্যাচ। তবে শুরুর দিনে ছোট করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে বলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সূচিতে পরিবর্তন এনেছে। টুর্নামেন্ট শুরুর প্রথম দিনই সিলেট স্টেডিয়ামে দেখা গেছে দর্শকদের উন্মাদনা।

সদ্য প্রয়াত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির স্মরণে আজ টসের আগে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। নীরবতা পালনের সময় মুশফিকুর রহিমকে দু্ই হাত তুলে দোয়া করতে দেখা গেছে। মঞ্চে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সিলেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম সিলেটবাসী। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য শুরু হচ্ছে ১২তম বিপিএল। দিনটা উদযাপন করুন ও দারুণ ক্রিকেট উপভোগ করুন। চলুন শুরু করি।’

বাংলাদেশ সময় আজ বেলা ২টা ৩০ মিনিটে হয়েছে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের টস। স্বাগতিক সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সিলেটের দুই ব্যাটার সাইম আইয়ুব ও রনি তালুকদার মাঠে নামতেই উপস্থিত দর্শকদের হর্ষধ্বনি শোনা গেছে। সাইম, রনির একেকটা বাউন্ডারিতে গ্যালারিতে দেখা যাচ্ছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৬ রান করেছে সিলেট। সাইম ১৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেছেন ২৮ রান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে তানজিম হাসান সাকিবকে টানা দুটি ছক্কা মেরেছেন সাইম। রনি করেছেন ১০ বলে ৮ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ ফাইনালের যে রেকর্ড ভাঙল অ্যাশেজে

ক্রীড়া ডেস্ক    
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) আজ দর্শকসংখ্যায় রেকর্ড হয়েছে। ছবি: ক্রিকইনফো
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) আজ দর্শকসংখ্যায় রেকর্ড হয়েছে। ছবি: ক্রিকইনফো

খেলা তো নয় যেন ব্লকবাস্টার সিনেমা—মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) আজ বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনের খেলা দেখে ভক্ত-সমর্থকেরা সেটা মনে করতেই পারেন। সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের আগুনের জবাব অস্ট্রেলিয়া দিয়েছে আগুনে। মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট পতনের দিনটা এমসিজির গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেছেন ৯০ হাজারেরও বেশি দর্শক।

মেলবোর্নে আজ একই দিনে দুইবার ব্যাটিংয়ে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনে সব মিলিয়ে ৭৬.১ ওভারের খেলা হয়েছে ও পড়েছে ২০ উইকেট। ৪৫৭ বলের এই খেলা গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেছেন ৯৩৪৪২ দর্শক। এমসিজিতে দিনের হিসেবে সবচেয়ে বেশি দর্শকের ম্যাচ দেখার রেকর্ড এটাই। এর আগে এমনটা হয়েছিল ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ফাইনালে। এমসিজিতে সেই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ গ্যালারিতে বসে দেখেছিলেন ৯৩০১৩ দর্শক।

মেলবোর্নে ৯৩৪৪২ দর্শকের খেলা দেখার রেকর্ডটা টেস্টে সব মিলিয়েই সর্বোচ্চ কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ১ লাখেরও বেশি দর্শক ভারত-পাকিস্তান টেস্ট উপভোগ করেছিলেন বলে শোনা গেছে। মেলবোর্নে সব মিলিয়ে এক লাখের মতো দর্শক গ্যালারিতে এক সঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারেন। এই মাঠে এর আগে ২০১৩-১৪ মৌসুমের অ্যাশেজে এক দিনে খেলা দেখেছিলেন ৯১১১২ দর্শক। ১২ বছর আগে সেই দিনটা ছিল প্রথম দিন।

এমসিসিতে আজ দর্শক সংখ্যার রেকর্ডের দিনটা দাপটের সঙ্গে শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে স্বাগতিকেরা ৪৫.২ ওভারে ১৫২ রানে গুটিয়ে গেছে। ইংল্যান্ডের পেসার জশ টাঙ নিয়েছেন ৫ উইকেট। এরপর অজিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংল্যান্ড ২৯.৫ ওভারে ১১০ রানে গুটিয়ে গেছে। ৪৬ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪ রান করেছে। এর আগে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ৯৩০১৩ দর্শকের সামনে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অজিরা।

অ্যাশেজে প্রথম তিন টেস্ট হেরে আগেভাগেই সিরিজ খুইয়েছে ইংল্যান্ড। পার্থ, ব্রিসবেনে দুই টেস্টেই ইংল্যান্ড হেরেছে ৮ উইকেট। অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্টে ইংলিশদের ৮২ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এখন বাকি দুই টেস্টে ইংলিশদের লক্ষ্য শুধু ধবলধোলাই এড়ানো। তবে মেলবোর্নে আজ চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনের যে অবস্থা, তাতে ইংল্যান্ডের ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা একটু কঠিনই হয়ে গেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেলবোর্নে প্রথম দিনে দুবার ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া, বিপদে ইংল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৩
অস্ট্রেলিয়ার আগুনে বোলিংয়ে ১১০ রানেই শেষ ইংল্যান্ড। ছবি: ক্রিকইনফো
অস্ট্রেলিয়ার আগুনে বোলিংয়ে ১১০ রানেই শেষ ইংল্যান্ড। ছবি: ক্রিকইনফো

মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট পড়েছে আজ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনে। স্বীকৃত স্পিনার ছাড়া কেন চার পেসার নিয়ে অস্ট্রেলিয়া একাদশ সাজিয়েছে, সেটা এখন স্পষ্ট। ইংল্যান্ডের আগুনে বোলিংয়ের পর ছেড়ে কথা বলেনি অস্ট্রেলিয়া। ২০ উইকেট পতনের দিনে বড্ড বেকায়দায় ইংলিশরা।

মিচেল স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ড, মাইকেল নেসার, ঝাই রিচার্ডসন—মেলবোর্নের সবুজ উইকেটে আজ শুরু হওয়া বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে আছেন এই চার পেসার। টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে ১৫২ রানে। এরপর অজিদের বোলিং তোপে ১১২ রানেই শেষ ইংলিশরা। একই দিনে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমেছে অজিরা। ৪৬ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া।

মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা অস্ট্রেলিয়া ৩১.২ ওভারে ৬ উইকেটে ৯১ রানে পরিণত হয়। বিপদে পড়া অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন ক্যামেরন গ্রিন-মাইকেল নেসের। সপ্তম উইকেটে ৬৫ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (গ্রিন-নেসের)। ৪৩তম ওভারের প্রথম ১৪ বলে গ্রিনের (১৭) ফেরায় ভেঙেছে এই জুটি। নন স্ট্রাইকার্স প্রান্তে ব্রাইডন কার্সের সরাসরি থ্রোতে ডাইভ দেওয়ার পরও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি গ্রিন।

গ্রিন-নেসেরের জুটিটাই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৯ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে অজিরা ৪৫.২ ওভারে ১৫২ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন নেসের। ৪৯ বলের ইনিংসে মেরেছেন সাত চার। ইংল্যান্ডের জশ টাঙ ১১.২ ওভারে ৪৫ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এই নিয়ে ইনিংসে তিনবার ৫ উইকেট নিয়েছেন। অজিদের আগুনে বোলিংয়ে ইংল্যান্ড ৮ ওভারে ১৬ রানে ৪ উইকেটে পরিণত হয়। চার নম্বরে নামা জো রুট রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার জ্যাক ক্রলি (৫), বেন ডাকেট (২) ও জ্যাকব বেথেল (১) এক অঙ্কের ঘরে রান করে বিদায় নিয়েছেন।

বিপর্যস্ত ইংল্যান্ড প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে হ্যারি ব্রুক ও স্টোকসের ব্যাটিংয়ে। ওয়ানডে মেজাজে পাল্টা আক্রমণ করেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর। পঞ্চম উইকেটে ৫৩ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (ব্রুক-স্টোকস)। ইংল্যান্ডের লড়াই এতটুকুই। ৪৪ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা ২৯.৫ ওভারে ১১০ রানে গুটিয়ে গেছে। ৩৪ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ব্রুকের ৪১ রানই ইংল্যান্ডের ইনিংসে সর্বোচ্চ। অস্ট্রেলিয়ার নেসের ১০ ওভারে ৪৫ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। বোল্যান্ড, স্টার্ক ও গ্রিন পেয়েছেন ৩, ২ ও ১ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া এরপর তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪ রান করেছে। এখানেই শেষ প্রথম দিনের খেলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

না ফেরার দেশে স্কটিশ কিংবদন্তি ফুটবলার

ক্রীড়া ডেস্ক    
৭২ বছর বয়সে মারা গেলেন জন রবার্টসন। ছবি: সংগৃহীত
৭২ বছর বয়সে মারা গেলেন জন রবার্টসন। ছবি: সংগৃহীত

জন রবার্টসনের সময়ই ফুটবল ইতিহাসের সেরা সময় কাটিয়েছিল নটিংহাম ফরেস্ট। ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে টানা দুইবার জিতেছে ইউরোপিয়ান কাপ। বর্তমানে যেটা চ্যাম্পিয়নস লিগ নামে পরিচিত। আজ ৪৫ বছরের পুরোনো ইতিহাসটা বলতে হচ্ছে জন রবার্টসনের কারণে। না ফেরার দেশে চলে গেলেন স্কটিশ এই কিংবদন্তি ফুটবলার।

৭২ বছর বয়সে গতকাল মারা গেলেন রবার্টসন। তাঁর মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে শোকপ্রকাশ করেছে নটিংহাম ফরেস্ট। ইংলিশ ক্লাবটি গতকাল নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছে, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে নটিংহাম ফরেস্টের কিংবদন্তি জন রবার্টসনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করছি। আমাদের ক্লাবের সত্যিকারের কিংবদন্তি তিনি। দুবার ইউরোপিয়ান কাপজয়ী জিতেছেন জন। তাঁর অসাধারণ প্রতিভা এবং ক্লাবের প্রতি তাঁর আত্মনিবেদন নটিংহাম ফরেস্ট সব সময়ই মনে রাখবে। জনের পরিবার, বন্ধু ও নিকট জনদের পাশে আমরা আছি। শান্তিতে ঘুমান আমাদের কিংবদন্তি রোব্বো।’

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগে জন গতকাল খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উৎসবের দিন মারা গেছেন বলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলেন, ‘জন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বড়দিনের সকালে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা তখন উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে লড়তে হার মেনেছেন তিনি ও তাঁর কন্যা জেসিকার সঙ্গে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। অনেকের কাছে তিনি ফুটবলের নায়ক। তবে আমাদের কাছে জন শুধুই একজন পিতা।’

চ্যাম্পিয়নস লিগের পূর্ববর্তী সংস্করণ ইউরোপিয়ান কাপে নটিংহাম ফরেস্ট ১৯৭৯, ১৯৮০ সালে টানা দুই বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রবার্টসনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই। ১৯৭৯ সালে ফাইনালে মালমোর বিপক্ষে ফরেস্ট ১-০ গোলে জিতেছিল। সেবার রবার্টসনের ক্রস থেকে জয়সূচক গোল করেছিলেন ট্রেভর ফ্রান্সিস। পরের বছর হামবুর্গের বিপক্ষে ফাইনালে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন রবার্টসন। এই ইউরোপিয়ান কাপও ১-০ গোলে জিতেছিল ফরেস্ট। স্কটল্যান্ডের তারকা ফুটবলারকে ‘পিকাসো’ উপাধি দিয়েছিলেন ফরেস্টের তৎকালীন কোচ ব্রায়ান ক্লফ। স্কটল্যান্ডের জার্সিতে পাঁচ বছরে ২৮ ম্যাচে ৮ গোল করেছিলেন রবার্টসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত