Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

খ্যাতি না পেলে দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ নেই

জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নোশিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার। এর আগে পেরোতে হবে আন্তর্জাতিক মাস্টারের পথ। সেসব নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ২১ বছর বয়সী ফিদেমাস্টার নোশিন আনজুম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ

আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৩

প্রশ্ন: জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলেন, তিন শিরোপার মধ্যে কোনটি এগিয়ে রাখবেন?

নোশিন আনজুম: প্রথমবার। আসলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা স্পেশাল, ওটা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তবে এবারেরটা কঠিন ছিল। ১২ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জনই তরুণ ছিল এবং সবার রেটিং প্রায় কাছাকাছি। তো এমন একটা অবস্থা ছিল, যে কেউ যে কারোর সঙ্গে হারতে পারে। তাই আমার মনে হয়েছিল যে এবার একটু কঠিন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেহেতু সামনে অলিম্পিয়াড আছে, সুতরাং জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আসলে।

প্রশ্ন: আপনার খেলায় সিসিলিয়ান ডিফেন্স কৌশলের ছাপ দেখা যায়?

নোশিন: আসলে সিসিলিয়ান কৌশলে আমি এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলেছি। দাবার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে আমি রুই লোপেজ কৌশলে খেলেছি। সিসিলিয়ান কৌশলে শুরু করেছি, দেখা যাক সামনে কেমন করি। সিসিলিয়ান দেখতে ভালো লাগে আরকি। কিন্তু আমি ওই রকম ভালো খেলিনি কখনো। আমি আসলে ভার্সেটাইল খেলোয়াড়।

প্রশ্ন: আপনি অনেকটা সময় নেন, তারপরই আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন...

নোশিন: হ্যাঁ, শুরুতে আক্রমণাত্মক থাকলে সেটা অনেক সময় বিফলে যায়। আগে নিজের পজিশন বুঝে নিতে হয় এবং আক্রমণের সুযোগ থাকলে তখন আক্রমণে যাওয়া উচিত। না হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।

প্রশ্ন: আপনার খেলার ধরনে ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন আছে কি না?

নোশিন: মানুষ বলে যে আমি শান্তশিষ্ট। তো খেলার বোর্ডে আমি এ রকমই থাকার চেষ্টা করি। খেলোয়াড়েরা বলেছে যে আমি বোর্ডে এত কুল থাকি কীভাবে? আসলে ভেতরে ভেতরে কিন্তু অনেক নার্ভাস থাকি, সেটা দেখাই না আরকি।

প্রশ্ন: নার্ভাসনেসটা কীভাবে সামলান?

নোশিন: আমি খেলার দুই-এক দিন আগে থেকে মানে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। নিজেকে নিজে কথা বলা। মোটিভেট করা। কিছু বিশেষ বিষয় খেলার আগে মাথায় রাখা। খেলার মাঝখানে হাঁটাহাঁটি করা। চা-কফি খাওয়া। এগুলোর ফলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। মেডিটেশনও হেল্প করে অনেকটা।

প্রশ্ন: ওয়ালিজার বিপক্ষে সপ্তম রাউন্ডে কালো ঘুঁটি ছিল আপনার। ৮৯ চালের পর জেতার অনুভূতিটা কেমন ছিল?

নোশিন: ম্যাচে জেতার সুবাস আমি পাই অনেক আগেই। কিন্তু তা কনভার্ট করা অতটা সহজ ছিল না। কাপাব্লাঙ্কা গেম আমাকে এখানে সহায়তা করেছে। কালো ঘুঁটি নিয়ে বিশেষ করে জেতাটা কঠিন। এটা অন্যতম কঠিন রাউন্ড ছিল আমার জন্য।

প্রশ্ন: গুকেশ দোম্মারাজু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, ফেসবুকে দেখলাম। তাঁকেই কি আদর্শ মানেন?

নোশিন: তাঁর গেম সেন্সটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করি। আমার আসলে বর্তমান খেলোয়াড়দের থেকে পুরোনো খেলোয়াড়দেরই ভালো লাগে বেশি। তাঁদের খেলা ফলো করি, বই পড়ি। বিশেষ করে কাপাব্লাঙ্কা (সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন) গেম আমার প্রিয়। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যেও আমি তাঁর বই পড়েছি। তিনি তো এন্ডগেমের মাস্টার ছিলেন। আমার পক্ষে তো মাস্টার হওয়া সম্ভব না, কিন্তু তাঁর মতো সরলতা রাখার চেষ্টা করতাম।

প্রশ্ন: ‘কুইনস গ্যাম্বিট’ ওয়েব সিরিজটা নিশ্চয় দেখেছেন। সেখানে নিজের মধ্যে কি কোনো মিল খুঁজে পান?

নোশিন: অনেক প্রেরণাদায়ক একটা সিরিজ আসলে। কয়েক দিন আগেও আবার দেখেছি নিজেকে মোটিভেট করার জন্য। নারী খেলোয়াড়দের অনেকে অবহেলা করে। আসলে ছেলেরা ভাবে যে আমরা তাদের সঙ্গে পারবই না। কুইনস গ্যাম্বিটে যেটা দেখায়, মেয়ে হয়েও সে ওপেন লেভেলে যেভাবে লড়াই করে এবং তো ওইটা অনেক প্রেরণাদায়ক আমার কাছে। আমিও চাই ওপেন লেভেলে এ রকম লড়াই করতে, রেটিং বাড়াতে চাই।

প্রশ্ন: মেয়েরা কোথায় পিছিয়ে আছে?

নোশিন: আমাদের দেশে এমনিতে নারী খেলোয়াড় কম। ওপেন টুর্নামেন্ট হলে আসলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে না। ৪০ ছেলের মধ্যে হয়তো ৫ নারী খেলোয়াড় থাকে। তো মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমাদের ফেডারেশনের ভেন্যুটা ছোট। ছোট জায়গায় আসলে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের খেলা একটু অস্বস্তিকর হতে পারে।

প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের খেলা বোঝার জন্য আপনি কোন জিনিসগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি নজর দেন?

নোশিন: খেলার আগে ওই প্রতিপক্ষের গেমগুলো ভালোভাবে ফলো করি। সে অ্যাটাকিং নাকি পজিশনাল খেলোয়াড়, সে কী ধরনের ভুল করে থাকে; সেসব মাথায় রেখে খেলার চেষ্টা করি।

প্রশ্ন: আপনার জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত কোনটা ছিল? যেটা পেরিয়ে আজকের নোশিন হয়ে উঠলেন?

নোশিন: প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা। কারণ সেবার আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। কোয়ালিফাই করাটা আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আসলে প্রত্যাশার বাইরে ছিল। আর সেটাও চ্যাম্পিয়ন হয়েও গেলাম।

প্রশ্ন: আপনি এখনো আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে পারেননি, বিষয়টা কতটুকু হতাশার?

নোশিন: হতাশার তো অবশ্যই। কারণ যেমনটা উন্নতি করার দরকার ছিল, সেটা করতে পারিনি। আক্ষেপ তো লাগেই। আশা করি শিগগির পারব। নিজেকে ৫-৬ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে দেখতে চাই।

প্রশ্ন: মহিলা দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?

নোশিন: আসলে দাবা খ্যাতি লাভ না করলে দেশে ভবিষ্যৎ নেই বলতে গেলে। কারণ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পরও এখানে সেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না, যা অন্য দেশে দেওয়া হয়। দুই-তিন বছর আগেও দাবায় একটা গ্ল্যামার ছিল।

প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আপনি। দাবায় তা কীভাবে কাজে লাগে আপনার?

নোশিন: আসলে নিজের ইচ্ছাতেই আমি এই বিষয়ে পড়ছি। দাবায় তো আমাদের ফিটনেসের ব্যাপার আছে। খাবারদাবার মেইনটেইন করা, কী কী খাব আর কী কী খাব না। এগুলো নিজের মধ্যে জানা থাকে। তাই খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াটা আমার জন্য বেশ সহায়ক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘বাংলাদেশিদের একদিন ফিলিস্তিনে স্বাগত জানাব ইনশা আল্লাহ’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকায় এসেছেন ফিলিস্তিনের আর্চার। ছবি: আর্চারি ফেডারেশন
ঢাকায় এসেছেন ফিলিস্তিনের আর্চার। ছবি: আর্চারি ফেডারেশন

বয়স ৪২। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার মতো খুব একটা আদর্শ বয়স নয়। আবার এই বয়সই ঠুনকো হয়ে যায় রাশা ইয়াহিয়া আহমেদের কাছে। যাঁর চোখে বয়স কোনো সীমা নয়, বরং পথচলার দূরত্ব। সেই চোখ দিয়ে নিশানা ঠিক করে তিনি মেতে ওঠেন তীর-ধনুকের খেলায়।

আগামী ৮-১৪ নভেম্বর ঢাকায় হবে ২৪তম তীর এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক আর্চারি প্রতিযোগিতায় খেলতে এসেছেন রাশা। ফিলিস্তিনের এই আর্চার লড়বেন রিকার্ভ নারী এককে। কম্পাউন্ডে আছেন তাঁর আরও তিন স্বদেশি।

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তা অজানা নয় ফিলিস্তিনিদের কাছে। পল্টনের আউটার স্টেডিয়ামে আজ সকালে অনুশীলন শেষে রাশা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন অনুভব করি। আপনাদের সমর্থন আমাদের কাছে পৌঁছায়। ইনশা আল্লাহ, একদিন আমরা আপনাদের ফিলিস্তিনে স্বাগত জানাতে চাই। সেখানে দেখা হবে।’

গাজায় জন্ম হলেও রাশা পড়াশোনা করেছেন ওমানে। মাসকটের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তোর ডিগ্রি সেরেছেন। বর্তমানে আরব আমিরাতে একটি প্রতিষ্ঠানের স্ট্র্যাটেজিক অফিস ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আছেন।

মাত্র বছর তিনেক আগে আর্চারিতে হাতে খড়ি রাশার। নিজের ক্যারিয়ার নিয়েও ভীষণ উচ্ছ্বসিত, ‘তিন বছর আগে থেকে আমি আর্চারি শুরু করেছি। এখানে আসার আগে আমি অনেক আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশ নিয়েছি। কোরিয়া, কাতারসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি, যেগুলো ছিল খুবই উঁচু পর্যায়ের আয়োজন। এখানকার প্রস্তুতি খুবই সুন্দর, সবকিছুই আন্তর্জাতিক মানের।’

রাশা আরও বলেন, ‘গাজা আমার শহর। একজন ফিলিস্তিনি হিসেবে বলছি সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি ভালো নয়, তারপরও আমরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি, পতাকা উঁচিয়ে ধরি, তখন আমরা ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করি। এজন্য আমাদের সবাই সাধুবাদ জানায।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় আসছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকায় আসছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় আসছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু। ছবি: সংগৃহীত

প্রদর্শনী ফুটবল টুর্নামেন্টে অতিথি হিসেবে ডিসেম্বরে ঢাকায় আসছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু। এএফবি লাতিন-বাংলা সুপার কাপের ব্যানারে টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের একটি করে দল। টুর্নামেন্টটি আয়োজন করবে এএফ বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল একবার করে একে অপরের মুখোমুখি হবে। ম্যাচ তিনটি হবে ৫, ৭ ও ১১ ডিসেম্বর। কাফু ঢাকায় থাকবেন ১০ ও ১১ ডিসেম্বর। খেলা হবে জাতীয় স্টেডিয়ামে।

কাফু ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন ১৯৯০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত। ২০০২ বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। সেলেসাওদের তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেননি আর কোনো ফুটবলার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারছে না পাকিস্তান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৭
২০২৬ সালেও পাকিস্তানে হচ্ছে না এসএ গেমস। ছবি: সংগৃহীত
২০২৬ সালেও পাকিস্তানে হচ্ছে না এসএ গেমস। ছবি: সংগৃহীত

হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালে, হয়নি। ২০২৪-২০২৫ এমনকি ২০২৬ সালেও এসএ গেমস আয়োজন করতে পারছে না পাকিস্তান। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতাটি নিয়ে বারবার স্থগিতের ঘোষণা জানাচ্ছে তারা।

আদৌ আসরটি হবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। আগামী বছরের জানুয়ারিতে তিন শহরে এসএ গেমস আয়োজনের কথা ছিল পাকিস্তানের জাতীয় অলিম্পিক কমিটির। ৩ মাস আগেও গেমস নিয়ে তাদের কোনো প্রস্তুতিই দেখা যায়নি। অথচ এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘটা করে তারা জানিয়েছিল আগামী জানুয়ারিতে আয়োজনের কথা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন ফেডারেশনও এসএ গেমসের জন্য শুরু করে ক্যাম্প। তা বাতিল করতে হয় অনিশ্চয়তা কারণে। গতকাল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল এ বি এম শেফাউল কবীর (অব.) বলেন, ‘পাকিস্তান ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিশ্চিত করবে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে এসএ গেমস হবে না।’

৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানকে জানাতেও হবে ২০২৭ সালের মধ্যে আয়োজন করতে পারবে কি না। এসএ গেমস সর্বশেষ হয়েছে ২০১৯ সালে নেপালে। এরপর থেকে ক্রমশই হিমাগারের দিকে ছুঁটছে গেমসটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৯
জাহানারা আলমের অভিযোগে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
জাহানারা আলমের অভিযোগে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম গত দুই দিনে একাধিক সাক্ষাৎকারে সতীর্থ, অধিনায়ক, কোচিং স্টাফ, নির্বাচক ও বিসিবির নারী বিভাগের সাবেক প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক ও টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু এবং বিসিবির নারী বিভাগের প্রয়াত সাবেক ইনচার্জ তৌহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মতো গুরুতর ও স্পর্শকাতর অভিযোগ এসেছে তাঁর সাক্ষাৎকারে। বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

জাহানারার অভিযোগ নিয়ে বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, তাঁর বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। আজ রাতে রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবশ্যই আমরা জানার চেষ্টা করব। এত মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ। আবার এখানে একটা প্রশ্ন, সবাই খারাপ, এটা হয় কীভাবে? অনেক সময় যারা দল থেকে বাদ পড়ে, তাদের ক্ষোভ থাকে। কিন্তু সে যেসব অভিযোগ তুলেছে, এটা ভয়াবহ। এখন বোর্ডের কী করা উচিত, আমাদের আলোচনা করতে হবে। সে শুধু বলতে থাকবে, আমরা শুনতে থাকব? এটা আমার পর্যায়ে নেই, বোর্ডের সবাইকে মিলে আলোচনা করতে হবে।’

বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আইসিসির সভায় যোগ দিতে এ মুহূর্তে দুবাই আছেন। তাঁর দেশে ফেরার কথা পরশু। রাজ্জাক বলেন, ‘আমি এর মধ্যে বুলবুল ভাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি ফিরলে আমরা আলোচনা করব।’

বাংলাদেশের হয়ে ৫২ ওয়ানডে ও ৮৩ টি-টোয়েন্টি খেলা জাহানারা সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন গত বছর ডিসেম্বরে। এর পর থেকে ৩২ বছর বয়সী পেসার আছেন অস্ট্রেলিয়ায়। জাহানারার বিস্ফোরক অভিযোগ ভাবমূর্তি সংকটে বিসিবি, বিশেষ করে, নারী ক্রিকেটে। এ ধরনের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না হলে দেশের নারী ক্রিকেটের বড় ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত