
মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার। এর আগে পেরোতে হবে আন্তর্জাতিক মাস্টারের পথ। সেসব নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ২১ বছর বয়সী ফিদেমাস্টার নোশিন আনজুম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ—
আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলেন, তিন শিরোপার মধ্যে কোনটি এগিয়ে রাখবেন?
নোশিন আনজুম: প্রথমবার। আসলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা স্পেশাল, ওটা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তবে এবারেরটা কঠিন ছিল। ১২ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জনই তরুণ ছিল এবং সবার রেটিং প্রায় কাছাকাছি। তো এমন একটা অবস্থা ছিল, যে কেউ যে কারোর সঙ্গে হারতে পারে। তাই আমার মনে হয়েছিল যে এবার একটু কঠিন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেহেতু সামনে অলিম্পিয়াড আছে, সুতরাং জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আসলে।
প্রশ্ন: আপনার খেলায় সিসিলিয়ান ডিফেন্স কৌশলের ছাপ দেখা যায়?
নোশিন: আসলে সিসিলিয়ান কৌশলে আমি এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলেছি। দাবার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে আমি রুই লোপেজ কৌশলে খেলেছি। সিসিলিয়ান কৌশলে শুরু করেছি, দেখা যাক সামনে কেমন করি। সিসিলিয়ান দেখতে ভালো লাগে আরকি। কিন্তু আমি ওই রকম ভালো খেলিনি কখনো। আমি আসলে ভার্সেটাইল খেলোয়াড়।
প্রশ্ন: আপনি অনেকটা সময় নেন, তারপরই আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন...
নোশিন: হ্যাঁ, শুরুতে আক্রমণাত্মক থাকলে সেটা অনেক সময় বিফলে যায়। আগে নিজের পজিশন বুঝে নিতে হয় এবং আক্রমণের সুযোগ থাকলে তখন আক্রমণে যাওয়া উচিত। না হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনার খেলার ধরনে ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন আছে কি না?
নোশিন: মানুষ বলে যে আমি শান্তশিষ্ট। তো খেলার বোর্ডে আমি এ রকমই থাকার চেষ্টা করি। খেলোয়াড়েরা বলেছে যে আমি বোর্ডে এত কুল থাকি কীভাবে? আসলে ভেতরে ভেতরে কিন্তু অনেক নার্ভাস থাকি, সেটা দেখাই না আরকি।
প্রশ্ন: নার্ভাসনেসটা কীভাবে সামলান?
নোশিন: আমি খেলার দুই-এক দিন আগে থেকে মানে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। নিজেকে নিজে কথা বলা। মোটিভেট করা। কিছু বিশেষ বিষয় খেলার আগে মাথায় রাখা। খেলার মাঝখানে হাঁটাহাঁটি করা। চা-কফি খাওয়া। এগুলোর ফলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। মেডিটেশনও হেল্প করে অনেকটা।
প্রশ্ন: ওয়ালিজার বিপক্ষে সপ্তম রাউন্ডে কালো ঘুঁটি ছিল আপনার। ৮৯ চালের পর জেতার অনুভূতিটা কেমন ছিল?
নোশিন: ম্যাচে জেতার সুবাস আমি পাই অনেক আগেই। কিন্তু তা কনভার্ট করা অতটা সহজ ছিল না। কাপাব্লাঙ্কা গেম আমাকে এখানে সহায়তা করেছে। কালো ঘুঁটি নিয়ে বিশেষ করে জেতাটা কঠিন। এটা অন্যতম কঠিন রাউন্ড ছিল আমার জন্য।
প্রশ্ন: গুকেশ দোম্মারাজু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, ফেসবুকে দেখলাম। তাঁকেই কি আদর্শ মানেন?
নোশিন: তাঁর গেম সেন্সটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করি। আমার আসলে বর্তমান খেলোয়াড়দের থেকে পুরোনো খেলোয়াড়দেরই ভালো লাগে বেশি। তাঁদের খেলা ফলো করি, বই পড়ি। বিশেষ করে কাপাব্লাঙ্কা (সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন) গেম আমার প্রিয়। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যেও আমি তাঁর বই পড়েছি। তিনি তো এন্ডগেমের মাস্টার ছিলেন। আমার পক্ষে তো মাস্টার হওয়া সম্ভব না, কিন্তু তাঁর মতো সরলতা রাখার চেষ্টা করতাম।
প্রশ্ন: ‘কুইনস গ্যাম্বিট’ ওয়েব সিরিজটা নিশ্চয় দেখেছেন। সেখানে নিজের মধ্যে কি কোনো মিল খুঁজে পান?
নোশিন: অনেক প্রেরণাদায়ক একটা সিরিজ আসলে। কয়েক দিন আগেও আবার দেখেছি নিজেকে মোটিভেট করার জন্য। নারী খেলোয়াড়দের অনেকে অবহেলা করে। আসলে ছেলেরা ভাবে যে আমরা তাদের সঙ্গে পারবই না। কুইনস গ্যাম্বিটে যেটা দেখায়, মেয়ে হয়েও সে ওপেন লেভেলে যেভাবে লড়াই করে এবং তো ওইটা অনেক প্রেরণাদায়ক আমার কাছে। আমিও চাই ওপেন লেভেলে এ রকম লড়াই করতে, রেটিং বাড়াতে চাই।
প্রশ্ন: মেয়েরা কোথায় পিছিয়ে আছে?
নোশিন: আমাদের দেশে এমনিতে নারী খেলোয়াড় কম। ওপেন টুর্নামেন্ট হলে আসলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে না। ৪০ ছেলের মধ্যে হয়তো ৫ নারী খেলোয়াড় থাকে। তো মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমাদের ফেডারেশনের ভেন্যুটা ছোট। ছোট জায়গায় আসলে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের খেলা একটু অস্বস্তিকর হতে পারে।
প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের খেলা বোঝার জন্য আপনি কোন জিনিসগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি নজর দেন?
নোশিন: খেলার আগে ওই প্রতিপক্ষের গেমগুলো ভালোভাবে ফলো করি। সে অ্যাটাকিং নাকি পজিশনাল খেলোয়াড়, সে কী ধরনের ভুল করে থাকে; সেসব মাথায় রেখে খেলার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: আপনার জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত কোনটা ছিল? যেটা পেরিয়ে আজকের নোশিন হয়ে উঠলেন?
নোশিন: প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা। কারণ সেবার আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। কোয়ালিফাই করাটা আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আসলে প্রত্যাশার বাইরে ছিল। আর সেটাও চ্যাম্পিয়ন হয়েও গেলাম।
প্রশ্ন: আপনি এখনো আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে পারেননি, বিষয়টা কতটুকু হতাশার?
নোশিন: হতাশার তো অবশ্যই। কারণ যেমনটা উন্নতি করার দরকার ছিল, সেটা করতে পারিনি। আক্ষেপ তো লাগেই। আশা করি শিগগির পারব। নিজেকে ৫-৬ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে দেখতে চাই।
প্রশ্ন: মহিলা দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?
নোশিন: আসলে দাবা খ্যাতি লাভ না করলে দেশে ভবিষ্যৎ নেই বলতে গেলে। কারণ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পরও এখানে সেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না, যা অন্য দেশে দেওয়া হয়। দুই-তিন বছর আগেও দাবায় একটা গ্ল্যামার ছিল।
প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আপনি। দাবায় তা কীভাবে কাজে লাগে আপনার?
নোশিন: আসলে নিজের ইচ্ছাতেই আমি এই বিষয়ে পড়ছি। দাবায় তো আমাদের ফিটনেসের ব্যাপার আছে। খাবারদাবার মেইনটেইন করা, কী কী খাব আর কী কী খাব না। এগুলো নিজের মধ্যে জানা থাকে। তাই খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াটা আমার জন্য বেশ সহায়ক।
প্রশ্ন: জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলেন, তিন শিরোপার মধ্যে কোনটি এগিয়ে রাখবেন?
নোশিন আনজুম: প্রথমবার। আসলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা স্পেশাল, ওটা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তবে এবারেরটা কঠিন ছিল। ১২ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জনই তরুণ ছিল এবং সবার রেটিং প্রায় কাছাকাছি। তো এমন একটা অবস্থা ছিল, যে কেউ যে কারোর সঙ্গে হারতে পারে। তাই আমার মনে হয়েছিল যে এবার একটু কঠিন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেহেতু সামনে অলিম্পিয়াড আছে, সুতরাং জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আসলে।
প্রশ্ন: আপনার খেলায় সিসিলিয়ান ডিফেন্স কৌশলের ছাপ দেখা যায়?
নোশিন: আসলে সিসিলিয়ান কৌশলে আমি এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলেছি। দাবার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে আমি রুই লোপেজ কৌশলে খেলেছি। সিসিলিয়ান কৌশলে শুরু করেছি, দেখা যাক সামনে কেমন করি। সিসিলিয়ান দেখতে ভালো লাগে আরকি। কিন্তু আমি ওই রকম ভালো খেলিনি কখনো। আমি আসলে ভার্সেটাইল খেলোয়াড়।
প্রশ্ন: আপনি অনেকটা সময় নেন, তারপরই আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন...
নোশিন: হ্যাঁ, শুরুতে আক্রমণাত্মক থাকলে সেটা অনেক সময় বিফলে যায়। আগে নিজের পজিশন বুঝে নিতে হয় এবং আক্রমণের সুযোগ থাকলে তখন আক্রমণে যাওয়া উচিত। না হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনার খেলার ধরনে ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন আছে কি না?
নোশিন: মানুষ বলে যে আমি শান্তশিষ্ট। তো খেলার বোর্ডে আমি এ রকমই থাকার চেষ্টা করি। খেলোয়াড়েরা বলেছে যে আমি বোর্ডে এত কুল থাকি কীভাবে? আসলে ভেতরে ভেতরে কিন্তু অনেক নার্ভাস থাকি, সেটা দেখাই না আরকি।
প্রশ্ন: নার্ভাসনেসটা কীভাবে সামলান?
নোশিন: আমি খেলার দুই-এক দিন আগে থেকে মানে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। নিজেকে নিজে কথা বলা। মোটিভেট করা। কিছু বিশেষ বিষয় খেলার আগে মাথায় রাখা। খেলার মাঝখানে হাঁটাহাঁটি করা। চা-কফি খাওয়া। এগুলোর ফলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। মেডিটেশনও হেল্প করে অনেকটা।
প্রশ্ন: ওয়ালিজার বিপক্ষে সপ্তম রাউন্ডে কালো ঘুঁটি ছিল আপনার। ৮৯ চালের পর জেতার অনুভূতিটা কেমন ছিল?
নোশিন: ম্যাচে জেতার সুবাস আমি পাই অনেক আগেই। কিন্তু তা কনভার্ট করা অতটা সহজ ছিল না। কাপাব্লাঙ্কা গেম আমাকে এখানে সহায়তা করেছে। কালো ঘুঁটি নিয়ে বিশেষ করে জেতাটা কঠিন। এটা অন্যতম কঠিন রাউন্ড ছিল আমার জন্য।
প্রশ্ন: গুকেশ দোম্মারাজু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, ফেসবুকে দেখলাম। তাঁকেই কি আদর্শ মানেন?
নোশিন: তাঁর গেম সেন্সটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করি। আমার আসলে বর্তমান খেলোয়াড়দের থেকে পুরোনো খেলোয়াড়দেরই ভালো লাগে বেশি। তাঁদের খেলা ফলো করি, বই পড়ি। বিশেষ করে কাপাব্লাঙ্কা (সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন) গেম আমার প্রিয়। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যেও আমি তাঁর বই পড়েছি। তিনি তো এন্ডগেমের মাস্টার ছিলেন। আমার পক্ষে তো মাস্টার হওয়া সম্ভব না, কিন্তু তাঁর মতো সরলতা রাখার চেষ্টা করতাম।
প্রশ্ন: ‘কুইনস গ্যাম্বিট’ ওয়েব সিরিজটা নিশ্চয় দেখেছেন। সেখানে নিজের মধ্যে কি কোনো মিল খুঁজে পান?
নোশিন: অনেক প্রেরণাদায়ক একটা সিরিজ আসলে। কয়েক দিন আগেও আবার দেখেছি নিজেকে মোটিভেট করার জন্য। নারী খেলোয়াড়দের অনেকে অবহেলা করে। আসলে ছেলেরা ভাবে যে আমরা তাদের সঙ্গে পারবই না। কুইনস গ্যাম্বিটে যেটা দেখায়, মেয়ে হয়েও সে ওপেন লেভেলে যেভাবে লড়াই করে এবং তো ওইটা অনেক প্রেরণাদায়ক আমার কাছে। আমিও চাই ওপেন লেভেলে এ রকম লড়াই করতে, রেটিং বাড়াতে চাই।
প্রশ্ন: মেয়েরা কোথায় পিছিয়ে আছে?
নোশিন: আমাদের দেশে এমনিতে নারী খেলোয়াড় কম। ওপেন টুর্নামেন্ট হলে আসলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে না। ৪০ ছেলের মধ্যে হয়তো ৫ নারী খেলোয়াড় থাকে। তো মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমাদের ফেডারেশনের ভেন্যুটা ছোট। ছোট জায়গায় আসলে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের খেলা একটু অস্বস্তিকর হতে পারে।
প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের খেলা বোঝার জন্য আপনি কোন জিনিসগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি নজর দেন?
নোশিন: খেলার আগে ওই প্রতিপক্ষের গেমগুলো ভালোভাবে ফলো করি। সে অ্যাটাকিং নাকি পজিশনাল খেলোয়াড়, সে কী ধরনের ভুল করে থাকে; সেসব মাথায় রেখে খেলার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: আপনার জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত কোনটা ছিল? যেটা পেরিয়ে আজকের নোশিন হয়ে উঠলেন?
নোশিন: প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা। কারণ সেবার আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। কোয়ালিফাই করাটা আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আসলে প্রত্যাশার বাইরে ছিল। আর সেটাও চ্যাম্পিয়ন হয়েও গেলাম।
প্রশ্ন: আপনি এখনো আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে পারেননি, বিষয়টা কতটুকু হতাশার?
নোশিন: হতাশার তো অবশ্যই। কারণ যেমনটা উন্নতি করার দরকার ছিল, সেটা করতে পারিনি। আক্ষেপ তো লাগেই। আশা করি শিগগির পারব। নিজেকে ৫-৬ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে দেখতে চাই।
প্রশ্ন: মহিলা দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?
নোশিন: আসলে দাবা খ্যাতি লাভ না করলে দেশে ভবিষ্যৎ নেই বলতে গেলে। কারণ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পরও এখানে সেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না, যা অন্য দেশে দেওয়া হয়। দুই-তিন বছর আগেও দাবায় একটা গ্ল্যামার ছিল।
প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আপনি। দাবায় তা কীভাবে কাজে লাগে আপনার?
নোশিন: আসলে নিজের ইচ্ছাতেই আমি এই বিষয়ে পড়ছি। দাবায় তো আমাদের ফিটনেসের ব্যাপার আছে। খাবারদাবার মেইনটেইন করা, কী কী খাব আর কী কী খাব না। এগুলো নিজের মধ্যে জানা থাকে। তাই খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াটা আমার জন্য বেশ সহায়ক।

মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার। এর আগে পেরোতে হবে আন্তর্জাতিক মাস্টারের পথ। সেসব নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ২১ বছর বয়সী ফিদেমাস্টার নোশিন আনজুম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ—
আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলেন, তিন শিরোপার মধ্যে কোনটি এগিয়ে রাখবেন?
নোশিন আনজুম: প্রথমবার। আসলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা স্পেশাল, ওটা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তবে এবারেরটা কঠিন ছিল। ১২ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জনই তরুণ ছিল এবং সবার রেটিং প্রায় কাছাকাছি। তো এমন একটা অবস্থা ছিল, যে কেউ যে কারোর সঙ্গে হারতে পারে। তাই আমার মনে হয়েছিল যে এবার একটু কঠিন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেহেতু সামনে অলিম্পিয়াড আছে, সুতরাং জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আসলে।
প্রশ্ন: আপনার খেলায় সিসিলিয়ান ডিফেন্স কৌশলের ছাপ দেখা যায়?
নোশিন: আসলে সিসিলিয়ান কৌশলে আমি এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলেছি। দাবার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে আমি রুই লোপেজ কৌশলে খেলেছি। সিসিলিয়ান কৌশলে শুরু করেছি, দেখা যাক সামনে কেমন করি। সিসিলিয়ান দেখতে ভালো লাগে আরকি। কিন্তু আমি ওই রকম ভালো খেলিনি কখনো। আমি আসলে ভার্সেটাইল খেলোয়াড়।
প্রশ্ন: আপনি অনেকটা সময় নেন, তারপরই আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন...
নোশিন: হ্যাঁ, শুরুতে আক্রমণাত্মক থাকলে সেটা অনেক সময় বিফলে যায়। আগে নিজের পজিশন বুঝে নিতে হয় এবং আক্রমণের সুযোগ থাকলে তখন আক্রমণে যাওয়া উচিত। না হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনার খেলার ধরনে ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন আছে কি না?
নোশিন: মানুষ বলে যে আমি শান্তশিষ্ট। তো খেলার বোর্ডে আমি এ রকমই থাকার চেষ্টা করি। খেলোয়াড়েরা বলেছে যে আমি বোর্ডে এত কুল থাকি কীভাবে? আসলে ভেতরে ভেতরে কিন্তু অনেক নার্ভাস থাকি, সেটা দেখাই না আরকি।
প্রশ্ন: নার্ভাসনেসটা কীভাবে সামলান?
নোশিন: আমি খেলার দুই-এক দিন আগে থেকে মানে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। নিজেকে নিজে কথা বলা। মোটিভেট করা। কিছু বিশেষ বিষয় খেলার আগে মাথায় রাখা। খেলার মাঝখানে হাঁটাহাঁটি করা। চা-কফি খাওয়া। এগুলোর ফলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। মেডিটেশনও হেল্প করে অনেকটা।
প্রশ্ন: ওয়ালিজার বিপক্ষে সপ্তম রাউন্ডে কালো ঘুঁটি ছিল আপনার। ৮৯ চালের পর জেতার অনুভূতিটা কেমন ছিল?
নোশিন: ম্যাচে জেতার সুবাস আমি পাই অনেক আগেই। কিন্তু তা কনভার্ট করা অতটা সহজ ছিল না। কাপাব্লাঙ্কা গেম আমাকে এখানে সহায়তা করেছে। কালো ঘুঁটি নিয়ে বিশেষ করে জেতাটা কঠিন। এটা অন্যতম কঠিন রাউন্ড ছিল আমার জন্য।
প্রশ্ন: গুকেশ দোম্মারাজু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, ফেসবুকে দেখলাম। তাঁকেই কি আদর্শ মানেন?
নোশিন: তাঁর গেম সেন্সটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করি। আমার আসলে বর্তমান খেলোয়াড়দের থেকে পুরোনো খেলোয়াড়দেরই ভালো লাগে বেশি। তাঁদের খেলা ফলো করি, বই পড়ি। বিশেষ করে কাপাব্লাঙ্কা (সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন) গেম আমার প্রিয়। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যেও আমি তাঁর বই পড়েছি। তিনি তো এন্ডগেমের মাস্টার ছিলেন। আমার পক্ষে তো মাস্টার হওয়া সম্ভব না, কিন্তু তাঁর মতো সরলতা রাখার চেষ্টা করতাম।
প্রশ্ন: ‘কুইনস গ্যাম্বিট’ ওয়েব সিরিজটা নিশ্চয় দেখেছেন। সেখানে নিজের মধ্যে কি কোনো মিল খুঁজে পান?
নোশিন: অনেক প্রেরণাদায়ক একটা সিরিজ আসলে। কয়েক দিন আগেও আবার দেখেছি নিজেকে মোটিভেট করার জন্য। নারী খেলোয়াড়দের অনেকে অবহেলা করে। আসলে ছেলেরা ভাবে যে আমরা তাদের সঙ্গে পারবই না। কুইনস গ্যাম্বিটে যেটা দেখায়, মেয়ে হয়েও সে ওপেন লেভেলে যেভাবে লড়াই করে এবং তো ওইটা অনেক প্রেরণাদায়ক আমার কাছে। আমিও চাই ওপেন লেভেলে এ রকম লড়াই করতে, রেটিং বাড়াতে চাই।
প্রশ্ন: মেয়েরা কোথায় পিছিয়ে আছে?
নোশিন: আমাদের দেশে এমনিতে নারী খেলোয়াড় কম। ওপেন টুর্নামেন্ট হলে আসলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে না। ৪০ ছেলের মধ্যে হয়তো ৫ নারী খেলোয়াড় থাকে। তো মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমাদের ফেডারেশনের ভেন্যুটা ছোট। ছোট জায়গায় আসলে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের খেলা একটু অস্বস্তিকর হতে পারে।
প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের খেলা বোঝার জন্য আপনি কোন জিনিসগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি নজর দেন?
নোশিন: খেলার আগে ওই প্রতিপক্ষের গেমগুলো ভালোভাবে ফলো করি। সে অ্যাটাকিং নাকি পজিশনাল খেলোয়াড়, সে কী ধরনের ভুল করে থাকে; সেসব মাথায় রেখে খেলার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: আপনার জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত কোনটা ছিল? যেটা পেরিয়ে আজকের নোশিন হয়ে উঠলেন?
নোশিন: প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা। কারণ সেবার আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। কোয়ালিফাই করাটা আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আসলে প্রত্যাশার বাইরে ছিল। আর সেটাও চ্যাম্পিয়ন হয়েও গেলাম।
প্রশ্ন: আপনি এখনো আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে পারেননি, বিষয়টা কতটুকু হতাশার?
নোশিন: হতাশার তো অবশ্যই। কারণ যেমনটা উন্নতি করার দরকার ছিল, সেটা করতে পারিনি। আক্ষেপ তো লাগেই। আশা করি শিগগির পারব। নিজেকে ৫-৬ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে দেখতে চাই।
প্রশ্ন: মহিলা দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?
নোশিন: আসলে দাবা খ্যাতি লাভ না করলে দেশে ভবিষ্যৎ নেই বলতে গেলে। কারণ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পরও এখানে সেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না, যা অন্য দেশে দেওয়া হয়। দুই-তিন বছর আগেও দাবায় একটা গ্ল্যামার ছিল।
প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আপনি। দাবায় তা কীভাবে কাজে লাগে আপনার?
নোশিন: আসলে নিজের ইচ্ছাতেই আমি এই বিষয়ে পড়ছি। দাবায় তো আমাদের ফিটনেসের ব্যাপার আছে। খাবারদাবার মেইনটেইন করা, কী কী খাব আর কী কী খাব না। এগুলো নিজের মধ্যে জানা থাকে। তাই খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াটা আমার জন্য বেশ সহায়ক।
প্রশ্ন: জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলেন, তিন শিরোপার মধ্যে কোনটি এগিয়ে রাখবেন?
নোশিন আনজুম: প্রথমবার। আসলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা স্পেশাল, ওটা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তবে এবারেরটা কঠিন ছিল। ১২ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জনই তরুণ ছিল এবং সবার রেটিং প্রায় কাছাকাছি। তো এমন একটা অবস্থা ছিল, যে কেউ যে কারোর সঙ্গে হারতে পারে। তাই আমার মনে হয়েছিল যে এবার একটু কঠিন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যেহেতু সামনে অলিম্পিয়াড আছে, সুতরাং জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল আসলে।
প্রশ্ন: আপনার খেলায় সিসিলিয়ান ডিফেন্স কৌশলের ছাপ দেখা যায়?
নোশিন: আসলে সিসিলিয়ান কৌশলে আমি এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলেছি। দাবার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে আমি রুই লোপেজ কৌশলে খেলেছি। সিসিলিয়ান কৌশলে শুরু করেছি, দেখা যাক সামনে কেমন করি। সিসিলিয়ান দেখতে ভালো লাগে আরকি। কিন্তু আমি ওই রকম ভালো খেলিনি কখনো। আমি আসলে ভার্সেটাইল খেলোয়াড়।
প্রশ্ন: আপনি অনেকটা সময় নেন, তারপরই আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন...
নোশিন: হ্যাঁ, শুরুতে আক্রমণাত্মক থাকলে সেটা অনেক সময় বিফলে যায়। আগে নিজের পজিশন বুঝে নিতে হয় এবং আক্রমণের সুযোগ থাকলে তখন আক্রমণে যাওয়া উচিত। না হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্রশ্ন: আপনার খেলার ধরনে ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন আছে কি না?
নোশিন: মানুষ বলে যে আমি শান্তশিষ্ট। তো খেলার বোর্ডে আমি এ রকমই থাকার চেষ্টা করি। খেলোয়াড়েরা বলেছে যে আমি বোর্ডে এত কুল থাকি কীভাবে? আসলে ভেতরে ভেতরে কিন্তু অনেক নার্ভাস থাকি, সেটা দেখাই না আরকি।
প্রশ্ন: নার্ভাসনেসটা কীভাবে সামলান?
নোশিন: আমি খেলার দুই-এক দিন আগে থেকে মানে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। নিজেকে নিজে কথা বলা। মোটিভেট করা। কিছু বিশেষ বিষয় খেলার আগে মাথায় রাখা। খেলার মাঝখানে হাঁটাহাঁটি করা। চা-কফি খাওয়া। এগুলোর ফলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। মেডিটেশনও হেল্প করে অনেকটা।
প্রশ্ন: ওয়ালিজার বিপক্ষে সপ্তম রাউন্ডে কালো ঘুঁটি ছিল আপনার। ৮৯ চালের পর জেতার অনুভূতিটা কেমন ছিল?
নোশিন: ম্যাচে জেতার সুবাস আমি পাই অনেক আগেই। কিন্তু তা কনভার্ট করা অতটা সহজ ছিল না। কাপাব্লাঙ্কা গেম আমাকে এখানে সহায়তা করেছে। কালো ঘুঁটি নিয়ে বিশেষ করে জেতাটা কঠিন। এটা অন্যতম কঠিন রাউন্ড ছিল আমার জন্য।
প্রশ্ন: গুকেশ দোম্মারাজু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন, ফেসবুকে দেখলাম। তাঁকেই কি আদর্শ মানেন?
নোশিন: তাঁর গেম সেন্সটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করি। আমার আসলে বর্তমান খেলোয়াড়দের থেকে পুরোনো খেলোয়াড়দেরই ভালো লাগে বেশি। তাঁদের খেলা ফলো করি, বই পড়ি। বিশেষ করে কাপাব্লাঙ্কা (সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন) গেম আমার প্রিয়। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যেও আমি তাঁর বই পড়েছি। তিনি তো এন্ডগেমের মাস্টার ছিলেন। আমার পক্ষে তো মাস্টার হওয়া সম্ভব না, কিন্তু তাঁর মতো সরলতা রাখার চেষ্টা করতাম।
প্রশ্ন: ‘কুইনস গ্যাম্বিট’ ওয়েব সিরিজটা নিশ্চয় দেখেছেন। সেখানে নিজের মধ্যে কি কোনো মিল খুঁজে পান?
নোশিন: অনেক প্রেরণাদায়ক একটা সিরিজ আসলে। কয়েক দিন আগেও আবার দেখেছি নিজেকে মোটিভেট করার জন্য। নারী খেলোয়াড়দের অনেকে অবহেলা করে। আসলে ছেলেরা ভাবে যে আমরা তাদের সঙ্গে পারবই না। কুইনস গ্যাম্বিটে যেটা দেখায়, মেয়ে হয়েও সে ওপেন লেভেলে যেভাবে লড়াই করে এবং তো ওইটা অনেক প্রেরণাদায়ক আমার কাছে। আমিও চাই ওপেন লেভেলে এ রকম লড়াই করতে, রেটিং বাড়াতে চাই।
প্রশ্ন: মেয়েরা কোথায় পিছিয়ে আছে?
নোশিন: আমাদের দেশে এমনিতে নারী খেলোয়াড় কম। ওপেন টুর্নামেন্ট হলে আসলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করে না। ৪০ ছেলের মধ্যে হয়তো ৫ নারী খেলোয়াড় থাকে। তো মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমাদের ফেডারেশনের ভেন্যুটা ছোট। ছোট জায়গায় আসলে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের খেলা একটু অস্বস্তিকর হতে পারে।
প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের খেলা বোঝার জন্য আপনি কোন জিনিসগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি নজর দেন?
নোশিন: খেলার আগে ওই প্রতিপক্ষের গেমগুলো ভালোভাবে ফলো করি। সে অ্যাটাকিং নাকি পজিশনাল খেলোয়াড়, সে কী ধরনের ভুল করে থাকে; সেসব মাথায় রেখে খেলার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: আপনার জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত কোনটা ছিল? যেটা পেরিয়ে আজকের নোশিন হয়ে উঠলেন?
নোশিন: প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা। কারণ সেবার আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। কোয়ালিফাই করাটা আমার কাছে অনেক কঠিন ছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আসলে প্রত্যাশার বাইরে ছিল। আর সেটাও চ্যাম্পিয়ন হয়েও গেলাম।
প্রশ্ন: আপনি এখনো আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে পারেননি, বিষয়টা কতটুকু হতাশার?
নোশিন: হতাশার তো অবশ্যই। কারণ যেমনটা উন্নতি করার দরকার ছিল, সেটা করতে পারিনি। আক্ষেপ তো লাগেই। আশা করি শিগগির পারব। নিজেকে ৫-৬ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হিসেবে দেখতে চাই।
প্রশ্ন: মহিলা দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?
নোশিন: আসলে দাবা খ্যাতি লাভ না করলে দেশে ভবিষ্যৎ নেই বলতে গেলে। কারণ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পরও এখানে সেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না, যা অন্য দেশে দেওয়া হয়। দুই-তিন বছর আগেও দাবায় একটা গ্ল্যামার ছিল।
প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আপনি। দাবায় তা কীভাবে কাজে লাগে আপনার?
নোশিন: আসলে নিজের ইচ্ছাতেই আমি এই বিষয়ে পড়ছি। দাবায় তো আমাদের ফিটনেসের ব্যাপার আছে। খাবারদাবার মেইনটেইন করা, কী কী খাব আর কী কী খাব না। এগুলো নিজের মধ্যে জানা থাকে। তাই খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াটা আমার জন্য বেশ সহায়ক।

২০২৬ বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগেই পরিবেশ উত্তপ্ত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ অনুশীলনের মাঝপথেই রাগান্বিত অবস্থায় মাঠ ছেড়ে চলে যান নোয়াখালী এক্সপ্রেসের দুই কোচ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুর দৃষ্টিতে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাওয়া নোয়াখালী
৬ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ বছরের ১৯ মে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির পর জাতীয় দলের জার্সিতে আর খেলার সুযোগ মেলেনি তাঁর। শান্ত তাই এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) পাখির চোখ করছেন। কারণ, এই বিপিএল শেষ হতে না হতেই শুরু হবে দশম টি-টোয়েন্টি
৭ ঘণ্টা আগে
১২তম বিপিএল শুরু হতে ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। সিলেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় সিলেট টাইটান্স-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে নতুন বিপিএল। তার আগেই আজ পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ক্ষোভে মাঠ ছাড়লেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের।
৮ ঘণ্টা আগে
বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একের পর এক গোল করে ওলটপালট করে দিচ্ছেন রেকর্ড বইয়ের পাতা। ৪০ পেরোনোর পরও যেভাবে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। ফুটবলপ্রেমীরা তো বটেই, ছন্দে থাকা রোনালদোকে দেখে প্রতিপক্ষ দলের মুখেও শোনা যায় প্রশংসা।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৬ বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগেই পরিবেশ উত্তপ্ত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ অনুশীলনের মাঝপথেই রাগান্বিত অবস্থায় মাঠ ছেড়ে চলে যান নোয়াখালী এক্সপ্রেসের দুই কোচ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুর দৃষ্টিতে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাওয়া নোয়াখালী অপেশাদার আচরণ করেছে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বাস থেকে ক্রিকেটাররা নামছিলেন। হঠাৎ করেই ক্ষুব্ধ অবস্থায় স্টেডিয়াম ছাড়তে দেখা যায় প্রধান কোচ সুজন ও সহকারী কোচ তালহাকে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে যখন তাঁরা (সুজন-তালহা) মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন সাংবাদিকদের বুম-ক্যামেরা ঘিরে ধরে তাঁদের। শোনা যায়, দলটির অনুশীলনের সময় বল নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়েছে। নোয়াখালীর এমন ঘটনা প্রসঙ্গে সিলেটে আজ বিকেলে সাংবাদিকদের মিঠু বলেন, ‘এটার অর্থ তারা অপেশাদার। এটা তো আমি গভর্নিং কাউন্সিল বলি তাদের ১০টা বল দেন...আমরাই তো দিয়ে দিতাম। অবশ্যই অপেশাদার। এমনকি কোচকেও যদি বলত অন্য দল থেকে যদি না এসে থাকে। এটা খুবই সাধারণ সমাধান। না এলে অন্য দল থেকে আজকে চালিয়ে পরে ফেরত দেওয়া যেত। এটা তো অনেকবার হয়েছে।’
নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বল-কাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা আগে চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা ছেড়ে দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্বত্বাধিকারী আবদুল কাইয়ুম। শুধু তা-ই নয়, বিপিএল শুরুর আগের দিন অধিনায়কদের আনুষ্ঠানিক সম্মেলন, ফটোসেশন কোনো কিছুই হয়নি। এত অগোছালো অবস্থার মধ্যে বিপিএল আয়োজন করাটা কি ভুল হয়েছে—মিঠুর কাছে আজ এমন প্রশ্ন করেছেন সাংবাদিকেরা। যেখানে আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু একই সঙ্গে বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব। উত্তরে বিসিবি পরিচালক বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এত অল্প সময়ে, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যে সময়টা আমরা পেয়েছি, অক্টোবরের ১২-১৩ তারিখে দায়িত্ব পেয়েছি; আজ দেখেন এত শর্ট টাইমে এত কিছু করা, এ রকম হতো যে আগে দল ছিল, তাহলে কিন্তু খুব সহজ হতো। এখন নতুন করে দল দিতে হয়েছে। কারণ, আগের চুক্তিগুলো শেষ হয়ে গিয়েছিল। এত কিছু করে এই দুই মাসে এত বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা, সত্যিই অনেক কঠিন।’
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই যখন এত বিতর্ক, তখন বিপিএল কি আয়োজন না করলে ভালো হতো—সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিঠু বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত তো আমার না। সম্মিলিতভাবে ওপর মহল থেকে নেওয়া হয়েছে।’ বল কেলেঙ্কারিতে অনুশীলনের মাঝপথে ক্ষুব্ধ অবস্থায় সুজন-তালহার মাঠ ছাড়ার মতো ঘটনাকে মিঠু অপেশাদার বলছেন ঠিকই, তবে ম্যাচ শুরুর আগে ক্রিকেটারদের ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দেওয়ায় নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রশংসা করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব, ‘ভালো কথা হচ্ছে, তারা (নোয়াখালী) পারিশ্রমিকটা দিয়ে ফেলেছে। রংপুর রাইডার্স অর্ধেক দিয়েছে। রাজশাহী ও ঢাকা ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়েছে। একটু আগে শুনলাম, নোয়াখালী ২৫ শতাংশ দিয়েছে। বিকেলে সিলেট দেবে।’ আগমুহূর্তে স্বত্বাধিকারী শূন্য হয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম রয়্যালসের দায়িত্ব এখন বিসিবির। হাবিবুল বাশার সুমন চট্টগ্রামের টিম ডিরেক্টর, মিজানুর রহমান বাবুলকে কোচ ও নাফিস ইকবালকে ম্যানেজার করে চট্টগ্রাম রয়্যালসের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে বলে মিঠু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
১২তম বিপিএল শুরু হচ্ছে সিলেট পর্ব দিয়ে। শেষ হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। বিপিএল শেষে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ভারত-শ্রীলঙ্কায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২ লাখ টাকা দাম উঠেছে হৃদয়ের। তাঁকে কিনেছে রংপুর রাইডার্স। একই দল লিটনকে কিনেছে ৭০ লাখ টাকায়। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নেই এবারের বিপিএলে। নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালকেও দেখা যাবে না ২০২৬ বিপিএলে।

২০২৬ বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগেই পরিবেশ উত্তপ্ত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ অনুশীলনের মাঝপথেই রাগান্বিত অবস্থায় মাঠ ছেড়ে চলে যান নোয়াখালী এক্সপ্রেসের দুই কোচ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুর দৃষ্টিতে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাওয়া নোয়াখালী অপেশাদার আচরণ করেছে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বাস থেকে ক্রিকেটাররা নামছিলেন। হঠাৎ করেই ক্ষুব্ধ অবস্থায় স্টেডিয়াম ছাড়তে দেখা যায় প্রধান কোচ সুজন ও সহকারী কোচ তালহাকে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে যখন তাঁরা (সুজন-তালহা) মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন সাংবাদিকদের বুম-ক্যামেরা ঘিরে ধরে তাঁদের। শোনা যায়, দলটির অনুশীলনের সময় বল নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়েছে। নোয়াখালীর এমন ঘটনা প্রসঙ্গে সিলেটে আজ বিকেলে সাংবাদিকদের মিঠু বলেন, ‘এটার অর্থ তারা অপেশাদার। এটা তো আমি গভর্নিং কাউন্সিল বলি তাদের ১০টা বল দেন...আমরাই তো দিয়ে দিতাম। অবশ্যই অপেশাদার। এমনকি কোচকেও যদি বলত অন্য দল থেকে যদি না এসে থাকে। এটা খুবই সাধারণ সমাধান। না এলে অন্য দল থেকে আজকে চালিয়ে পরে ফেরত দেওয়া যেত। এটা তো অনেকবার হয়েছে।’
নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বল-কাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা আগে চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা ছেড়ে দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্বত্বাধিকারী আবদুল কাইয়ুম। শুধু তা-ই নয়, বিপিএল শুরুর আগের দিন অধিনায়কদের আনুষ্ঠানিক সম্মেলন, ফটোসেশন কোনো কিছুই হয়নি। এত অগোছালো অবস্থার মধ্যে বিপিএল আয়োজন করাটা কি ভুল হয়েছে—মিঠুর কাছে আজ এমন প্রশ্ন করেছেন সাংবাদিকেরা। যেখানে আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু একই সঙ্গে বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব। উত্তরে বিসিবি পরিচালক বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এত অল্প সময়ে, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যে সময়টা আমরা পেয়েছি, অক্টোবরের ১২-১৩ তারিখে দায়িত্ব পেয়েছি; আজ দেখেন এত শর্ট টাইমে এত কিছু করা, এ রকম হতো যে আগে দল ছিল, তাহলে কিন্তু খুব সহজ হতো। এখন নতুন করে দল দিতে হয়েছে। কারণ, আগের চুক্তিগুলো শেষ হয়ে গিয়েছিল। এত কিছু করে এই দুই মাসে এত বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা, সত্যিই অনেক কঠিন।’
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই যখন এত বিতর্ক, তখন বিপিএল কি আয়োজন না করলে ভালো হতো—সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিঠু বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত তো আমার না। সম্মিলিতভাবে ওপর মহল থেকে নেওয়া হয়েছে।’ বল কেলেঙ্কারিতে অনুশীলনের মাঝপথে ক্ষুব্ধ অবস্থায় সুজন-তালহার মাঠ ছাড়ার মতো ঘটনাকে মিঠু অপেশাদার বলছেন ঠিকই, তবে ম্যাচ শুরুর আগে ক্রিকেটারদের ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দেওয়ায় নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রশংসা করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব, ‘ভালো কথা হচ্ছে, তারা (নোয়াখালী) পারিশ্রমিকটা দিয়ে ফেলেছে। রংপুর রাইডার্স অর্ধেক দিয়েছে। রাজশাহী ও ঢাকা ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়েছে। একটু আগে শুনলাম, নোয়াখালী ২৫ শতাংশ দিয়েছে। বিকেলে সিলেট দেবে।’ আগমুহূর্তে স্বত্বাধিকারী শূন্য হয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম রয়্যালসের দায়িত্ব এখন বিসিবির। হাবিবুল বাশার সুমন চট্টগ্রামের টিম ডিরেক্টর, মিজানুর রহমান বাবুলকে কোচ ও নাফিস ইকবালকে ম্যানেজার করে চট্টগ্রাম রয়্যালসের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে বলে মিঠু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
১২তম বিপিএল শুরু হচ্ছে সিলেট পর্ব দিয়ে। শেষ হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। বিপিএল শেষে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ভারত-শ্রীলঙ্কায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২ লাখ টাকা দাম উঠেছে হৃদয়ের। তাঁকে কিনেছে রংপুর রাইডার্স। একই দল লিটনকে কিনেছে ৭০ লাখ টাকায়। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নেই এবারের বিপিএলে। নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালকেও দেখা যাবে না ২০২৬ বিপিএলে।

মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।
০২ নভেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ বছরের ১৯ মে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির পর জাতীয় দলের জার্সিতে আর খেলার সুযোগ মেলেনি তাঁর। শান্ত তাই এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) পাখির চোখ করছেন। কারণ, এই বিপিএল শেষ হতে না হতেই শুরু হবে দশম টি-টোয়েন্টি
৭ ঘণ্টা আগে
১২তম বিপিএল শুরু হতে ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। সিলেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় সিলেট টাইটান্স-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে নতুন বিপিএল। তার আগেই আজ পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ক্ষোভে মাঠ ছাড়লেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের।
৮ ঘণ্টা আগে
বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একের পর এক গোল করে ওলটপালট করে দিচ্ছেন রেকর্ড বইয়ের পাতা। ৪০ পেরোনোর পরও যেভাবে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। ফুটবলপ্রেমীরা তো বটেই, ছন্দে থাকা রোনালদোকে দেখে প্রতিপক্ষ দলের মুখেও শোনা যায় প্রশংসা।
৯ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ বছরের ১৯ মে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির পর জাতীয় দলের জার্সিতে আর খেলার সুযোগ মেলেনি তাঁর। শান্ত তাই এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) পাখির চোখ করছেন। কারণ, এই বিপিএল শেষ হতে না হতেই শুরু হবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
সবশেষ বিপিএলে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশালে খেলেছিলেন শান্ত। চ্যাম্পিয়ন বরিশাল লিগ পর্ব থেকে শুরু করে ফাইনাল পর্যন্ত ১৪ ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু শান্ত কেবল পাঁচ ম্যাচে বরিশালের একাদশে ছিলেন। ৫ ম্যাচে ১১.২ গড় ও ১১৯.১৪ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ৫৬ রান। বছর ঘুরতেই এবারের বিপিএলে শান্ত খেলবেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হয়ে। এদিকে এ বছর বাংলাদেশ ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেললেও তিনি কেবল এক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এ সময় শান্তহীন বাংলাদেশ লিটন দাসের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এমনকি শান্তর খেলার সুযোগ হয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাতে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে।
সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল বিপিএল অভিযান শুরু করবে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। ম্যাচের আগে আজ সিলেটে সাংবাদিকদের শান্ত বলেন, ‘রাজশাহী দলটা ব্যক্তিগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে দলের হয়ে অবদান রাখতে পারছি, সেটাই লক্ষ্য। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সব দিক দিয়ে অবদান রাখতে চাচ্ছি। রাজশাহীতে অবদান রাখতে পারি। এরপর সামনে বিশ্বকাপ। যদি এখানে ভালো করতে পারি, তাহলে বড় সুযোগ। তবে এটা নির্বাচকেরা বুঝবেন। ম্যানেজমেন্ট আছেন। আমার কাজ হলো কীভাবে নিয়মিত পারফর্ম করতে পারি।’ সবশেষ বিপিএলে শান্ত বরিশালের হয়ে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবার কি দেখা যাবে বোলার শান্তকে—এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মজার ছলে রাজশাহী অধিনায়ক বলেন, ‘আগের বছর তো উইকেটরক্ষকের কাজ করেছিলাম। দেখি এবার বোলিংও করব।’
সিলেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল সিলেট টাইটানস-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ১২তম বিপিএল। স্বাগতিক দর্শকদের বিপক্ষে খেলাটা যে চ্যালেঞ্জিং, সেটা জানা আছে শান্তরও। বিপিএল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সব ম্যাচেই সিলেটের গ্যালারি পূর্ণ হয়ে ওঠে। সিলেটে আজ সংবাদমাধ্যমকে রাজশাহী অধিনায়ক বলেন, ‘স্বাগতিক দর্শকদের বিপক্ষে খেলাটা রোমাঞ্চকর। আমার দলের ক্রিকেটাররা এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’
১২তম বিপিএল শুরু হচ্ছে সিলেট পর্ব দিয়ে। শেষ হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। বিপিএল শেষে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ভারত-শ্রীলঙ্কায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২ লাখ টাকা দাম উঠেছে হৃদয়ের। তাঁকে কিনেছে রংপুর রাইডার্স। একই দল লিটনকে কিনেছে ৭০ লাখ টাকায়। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নেই এবারের বিপিএলে। নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালকেও দেখা যাবে না ২০২৬ বিপিএলে।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ বছরের ১৯ মে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির পর জাতীয় দলের জার্সিতে আর খেলার সুযোগ মেলেনি তাঁর। শান্ত তাই এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) পাখির চোখ করছেন। কারণ, এই বিপিএল শেষ হতে না হতেই শুরু হবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
সবশেষ বিপিএলে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশালে খেলেছিলেন শান্ত। চ্যাম্পিয়ন বরিশাল লিগ পর্ব থেকে শুরু করে ফাইনাল পর্যন্ত ১৪ ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু শান্ত কেবল পাঁচ ম্যাচে বরিশালের একাদশে ছিলেন। ৫ ম্যাচে ১১.২ গড় ও ১১৯.১৪ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ৫৬ রান। বছর ঘুরতেই এবারের বিপিএলে শান্ত খেলবেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হয়ে। এদিকে এ বছর বাংলাদেশ ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেললেও তিনি কেবল এক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এ সময় শান্তহীন বাংলাদেশ লিটন দাসের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এমনকি শান্তর খেলার সুযোগ হয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাতে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে।
সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল বিপিএল অভিযান শুরু করবে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। ম্যাচের আগে আজ সিলেটে সাংবাদিকদের শান্ত বলেন, ‘রাজশাহী দলটা ব্যক্তিগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে দলের হয়ে অবদান রাখতে পারছি, সেটাই লক্ষ্য। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সব দিক দিয়ে অবদান রাখতে চাচ্ছি। রাজশাহীতে অবদান রাখতে পারি। এরপর সামনে বিশ্বকাপ। যদি এখানে ভালো করতে পারি, তাহলে বড় সুযোগ। তবে এটা নির্বাচকেরা বুঝবেন। ম্যানেজমেন্ট আছেন। আমার কাজ হলো কীভাবে নিয়মিত পারফর্ম করতে পারি।’ সবশেষ বিপিএলে শান্ত বরিশালের হয়ে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবার কি দেখা যাবে বোলার শান্তকে—এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মজার ছলে রাজশাহী অধিনায়ক বলেন, ‘আগের বছর তো উইকেটরক্ষকের কাজ করেছিলাম। দেখি এবার বোলিংও করব।’
সিলেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল সিলেট টাইটানস-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ১২তম বিপিএল। স্বাগতিক দর্শকদের বিপক্ষে খেলাটা যে চ্যালেঞ্জিং, সেটা জানা আছে শান্তরও। বিপিএল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সব ম্যাচেই সিলেটের গ্যালারি পূর্ণ হয়ে ওঠে। সিলেটে আজ সংবাদমাধ্যমকে রাজশাহী অধিনায়ক বলেন, ‘স্বাগতিক দর্শকদের বিপক্ষে খেলাটা রোমাঞ্চকর। আমার দলের ক্রিকেটাররা এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’
১২তম বিপিএল শুরু হচ্ছে সিলেট পর্ব দিয়ে। শেষ হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। বিপিএল শেষে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ভারত-শ্রীলঙ্কায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২ লাখ টাকা দাম উঠেছে হৃদয়ের। তাঁকে কিনেছে রংপুর রাইডার্স। একই দল লিটনকে কিনেছে ৭০ লাখ টাকায়। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নেই এবারের বিপিএলে। নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালকেও দেখা যাবে না ২০২৬ বিপিএলে।

মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।
০২ নভেম্বর ২০২৫
২০২৬ বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগেই পরিবেশ উত্তপ্ত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ অনুশীলনের মাঝপথেই রাগান্বিত অবস্থায় মাঠ ছেড়ে চলে যান নোয়াখালী এক্সপ্রেসের দুই কোচ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুর দৃষ্টিতে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাওয়া নোয়াখালী
৬ ঘণ্টা আগে
১২তম বিপিএল শুরু হতে ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। সিলেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় সিলেট টাইটান্স-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে নতুন বিপিএল। তার আগেই আজ পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ক্ষোভে মাঠ ছাড়লেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের।
৮ ঘণ্টা আগে
বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একের পর এক গোল করে ওলটপালট করে দিচ্ছেন রেকর্ড বইয়ের পাতা। ৪০ পেরোনোর পরও যেভাবে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। ফুটবলপ্রেমীরা তো বটেই, ছন্দে থাকা রোনালদোকে দেখে প্রতিপক্ষ দলের মুখেও শোনা যায় প্রশংসা।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১২তম বিপিএল শুরু হতে ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। সিলেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় সিলেট টাইটান্স-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে নতুন বিপিএল। তার আগেই আজ পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ক্ষোভে মাঠ ছাড়লেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের।
আগামীকাল ম্যাচ রয়েছে প্রথমবার বিপিএলে অংশ নিতে যাওয়া নোয়াখালী এক্সপ্রেসেরও। চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে নোয়াখালী। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বাস থেকে ক্রিকেটাররা নেমেছিলেন। হঠাৎ করেই স্টেডিয়াম ছাড়তে দেখা যায় প্রধান কোচ সুজন ও সহকারী কোচ তালহাকে। দুজনই খুব ক্ষুব্ধ ছিলেন। সিএনজিতে করে যখন তাঁরা (সুজন-তালহা) মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন সাংবাদিকদের বুম-ক্যামেরা ঘিরে ধরে তাঁদের। তালহা জুবায়েরকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমার জীবনে অনেক বিপিএল করেছি। সবচেয়ে বিরক্তিকর বিপিএল লেগেছে এটা।’ সুজনকে এরপর তালহা জুবায়ের প্রশ্ন করেন, ‘আপনি করবেন কি না জানি না। আমি করব না।’
তালহার সুরে সুর মিলিয়েছেন সুজনও। সাংবাদিকদের নোয়াখালীর প্রধান কোচ বলেন,‘আজ আমি কিছু করতেই পারব না। মেজাজ অনেক খারাপ। পরে দেখব। সে (তালহা) বল চুরি করবে নাকি বেচে খাবে? বলের টাকাও তো নিইনি আমরা। কাজ করতে ইচ্ছা করছে না। করব না বিপিএল।’ এমনকি এবারের বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কোচের দায়িত্বেও থাকতে চান না বলে সুজন জানিয়েছেন। তাহলে কে নেবেন নোয়াখালীর প্রধান কোচের দায়িত্ব—এমন প্রশ্নের উত্তরে সুজন বলেন, ‘অনেক কোচ আছেন। তাঁরা নিতে পারবেন।’
১২তম বিপিএল শুরু হচ্ছে সিলেট পর্ব দিয়ে। শেষ হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২ লাখ টাকা দাম উঠেছে হৃদয়ের। তাঁকে কিনেছে রংপুর রাইডার্স। একই দল লিটনকে কিনেছে ৭০ লাখ টাকায়। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নেই এবারের বিপিএলে। নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালকেও দেখা যাবে না ২০২৬ বিপিএলে।

১২তম বিপিএল শুরু হতে ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। সিলেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় সিলেট টাইটান্স-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে নতুন বিপিএল। তার আগেই আজ পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ক্ষোভে মাঠ ছাড়লেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের।
আগামীকাল ম্যাচ রয়েছে প্রথমবার বিপিএলে অংশ নিতে যাওয়া নোয়াখালী এক্সপ্রেসেরও। চট্টগ্রাম রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে নোয়াখালী। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বাস থেকে ক্রিকেটাররা নেমেছিলেন। হঠাৎ করেই স্টেডিয়াম ছাড়তে দেখা যায় প্রধান কোচ সুজন ও সহকারী কোচ তালহাকে। দুজনই খুব ক্ষুব্ধ ছিলেন। সিএনজিতে করে যখন তাঁরা (সুজন-তালহা) মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন সাংবাদিকদের বুম-ক্যামেরা ঘিরে ধরে তাঁদের। তালহা জুবায়েরকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমার জীবনে অনেক বিপিএল করেছি। সবচেয়ে বিরক্তিকর বিপিএল লেগেছে এটা।’ সুজনকে এরপর তালহা জুবায়ের প্রশ্ন করেন, ‘আপনি করবেন কি না জানি না। আমি করব না।’
তালহার সুরে সুর মিলিয়েছেন সুজনও। সাংবাদিকদের নোয়াখালীর প্রধান কোচ বলেন,‘আজ আমি কিছু করতেই পারব না। মেজাজ অনেক খারাপ। পরে দেখব। সে (তালহা) বল চুরি করবে নাকি বেচে খাবে? বলের টাকাও তো নিইনি আমরা। কাজ করতে ইচ্ছা করছে না। করব না বিপিএল।’ এমনকি এবারের বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কোচের দায়িত্বেও থাকতে চান না বলে সুজন জানিয়েছেন। তাহলে কে নেবেন নোয়াখালীর প্রধান কোচের দায়িত্ব—এমন প্রশ্নের উত্তরে সুজন বলেন, ‘অনেক কোচ আছেন। তাঁরা নিতে পারবেন।’
১২তম বিপিএল শুরু হচ্ছে সিলেট পর্ব দিয়ে। শেষ হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২ লাখ টাকা দাম উঠেছে হৃদয়ের। তাঁকে কিনেছে রংপুর রাইডার্স। একই দল লিটনকে কিনেছে ৭০ লাখ টাকায়। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নেই এবারের বিপিএলে। নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালকেও দেখা যাবে না ২০২৬ বিপিএলে।

মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।
০২ নভেম্বর ২০২৫
২০২৬ বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগেই পরিবেশ উত্তপ্ত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ অনুশীলনের মাঝপথেই রাগান্বিত অবস্থায় মাঠ ছেড়ে চলে যান নোয়াখালী এক্সপ্রেসের দুই কোচ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুর দৃষ্টিতে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাওয়া নোয়াখালী
৬ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ বছরের ১৯ মে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির পর জাতীয় দলের জার্সিতে আর খেলার সুযোগ মেলেনি তাঁর। শান্ত তাই এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) পাখির চোখ করছেন। কারণ, এই বিপিএল শেষ হতে না হতেই শুরু হবে দশম টি-টোয়েন্টি
৭ ঘণ্টা আগে
বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একের পর এক গোল করে ওলটপালট করে দিচ্ছেন রেকর্ড বইয়ের পাতা। ৪০ পেরোনোর পরও যেভাবে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। ফুটবলপ্রেমীরা তো বটেই, ছন্দে থাকা রোনালদোকে দেখে প্রতিপক্ষ দলের মুখেও শোনা যায় প্রশংসা।
৯ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একের পর এক গোল করে ওলটপালট করে দিচ্ছেন রেকর্ড বইয়ের পাতা। ৪০ পেরোনোর পরও যেভাবে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। ফুটবলপ্রেমীরা তো বটেই, ছন্দে থাকা রোনালদোকে দেখে প্রতিপক্ষ দলের মুখেও শোনা যায় প্রশংসা।
মাঠে তো বটেই, অনুশীলনেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না রোনালদো। ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করেন পর্তুগালের তারকা ফুটবলার। ২০২৬ বিশ্বকাপ আসতে আসতে তাঁর বয়স হয়ে যাবে ৪১ বছর। আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে শুরু হতে যাওয়া পর্তুগালের বিশ্বকাপ পরিকল্পনা স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে। পর্তুগালের প্রধান কোচ রবার্তো মার্তিনেজের মতে রোনালদো শুরুর একাদশে থাকার মতো অপরিহার্য খেলোয়াড়।
রোনালদোকে নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কাকে কদিন আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনেক কথাই বলেছেন মার্তিনেজ। কোচের মতে তিনটি গুণের কারণে রোনালদোকে এখনো পর্তুগালের অনেক প্রয়োজন। পর্তুগাল কোচ বলেন, ‘প্রতিভা, অভিজ্ঞতা, মানসিকতা—সব সময় এই তিনটা জিনিস আমরা দেখি। দলের জন্য কিছু করতে সদা তৎপর থাকে সে। একারণেই সে জাতীয় দলের অপরিহার্য অংশ। সেরা হওয়ার ক্ষুধাটা তার মধ্যে অনেক কাজ করে। মাঠে সে অনেক বড় অবদান রাখতে পারে।’
ফুটবল ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ১০০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করার লক্ষ্যের কথা আগেই বলেছিলেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক দল, ক্লাব ফুটবল সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ বছরের বেশি সময় খেলে তিনি করেছেন ৯৫৪ গোল। তাঁর সেই ১০০০ গোলের প্রসঙ্গ এসেছে পর্তুগাল কোচ মার্তিনেজের কাছেও। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোচ বলেন, ‘সে (রোনালদো) এখন তার ক্যারিয়ারের দারুণ এক অবস্থায় আছে। তার গোলের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা হলে সে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কথাবার্তা কম বলে। ১০০০ সংখ্যাটা আমার মতে গোল নয়। কত দিন পরে সে অবসর নেবে, তেমনই কিছু মনে হচ্ছে। তার সাফল্যের রহস্য হচ্ছে আজ ও কাল সব সময় নিজের সেরাটা দেওয়া।’
২০০৬ থেকে শুরু করে ২০২২ পর্যন্ত পাঁচ বিশ্বকাপেই খেলেছেন রোনালদো। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ। আগামী বছরই ফুটবল বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন বলে কয়েক মাস আগে জানিয়েছেন রোনালদো। তবে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল কবে ছাড়বেন, তা এখনো জানাননি তিনি। পর্তুগালের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ২২৬ ম্যাচে ১৪৩ গোল করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখনো তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা। গত রাতে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টুতে তাঁর দল আল নাসর ৫-১ গোলে হারিয়েছে আল জাওরাকে। গোল না পেলেও সতীর্থকে দিয়ে একটি গোল করিয়েছেন তিনি।

বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একের পর এক গোল করে ওলটপালট করে দিচ্ছেন রেকর্ড বইয়ের পাতা। ৪০ পেরোনোর পরও যেভাবে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। ফুটবলপ্রেমীরা তো বটেই, ছন্দে থাকা রোনালদোকে দেখে প্রতিপক্ষ দলের মুখেও শোনা যায় প্রশংসা।
মাঠে তো বটেই, অনুশীলনেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না রোনালদো। ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করেন পর্তুগালের তারকা ফুটবলার। ২০২৬ বিশ্বকাপ আসতে আসতে তাঁর বয়স হয়ে যাবে ৪১ বছর। আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে শুরু হতে যাওয়া পর্তুগালের বিশ্বকাপ পরিকল্পনা স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে। পর্তুগালের প্রধান কোচ রবার্তো মার্তিনেজের মতে রোনালদো শুরুর একাদশে থাকার মতো অপরিহার্য খেলোয়াড়।
রোনালদোকে নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কাকে কদিন আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনেক কথাই বলেছেন মার্তিনেজ। কোচের মতে তিনটি গুণের কারণে রোনালদোকে এখনো পর্তুগালের অনেক প্রয়োজন। পর্তুগাল কোচ বলেন, ‘প্রতিভা, অভিজ্ঞতা, মানসিকতা—সব সময় এই তিনটা জিনিস আমরা দেখি। দলের জন্য কিছু করতে সদা তৎপর থাকে সে। একারণেই সে জাতীয় দলের অপরিহার্য অংশ। সেরা হওয়ার ক্ষুধাটা তার মধ্যে অনেক কাজ করে। মাঠে সে অনেক বড় অবদান রাখতে পারে।’
ফুটবল ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ১০০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করার লক্ষ্যের কথা আগেই বলেছিলেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক দল, ক্লাব ফুটবল সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ বছরের বেশি সময় খেলে তিনি করেছেন ৯৫৪ গোল। তাঁর সেই ১০০০ গোলের প্রসঙ্গ এসেছে পর্তুগাল কোচ মার্তিনেজের কাছেও। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোচ বলেন, ‘সে (রোনালদো) এখন তার ক্যারিয়ারের দারুণ এক অবস্থায় আছে। তার গোলের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা হলে সে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কথাবার্তা কম বলে। ১০০০ সংখ্যাটা আমার মতে গোল নয়। কত দিন পরে সে অবসর নেবে, তেমনই কিছু মনে হচ্ছে। তার সাফল্যের রহস্য হচ্ছে আজ ও কাল সব সময় নিজের সেরাটা দেওয়া।’
২০০৬ থেকে শুরু করে ২০২২ পর্যন্ত পাঁচ বিশ্বকাপেই খেলেছেন রোনালদো। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ। আগামী বছরই ফুটবল বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন বলে কয়েক মাস আগে জানিয়েছেন রোনালদো। তবে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল কবে ছাড়বেন, তা এখনো জানাননি তিনি। পর্তুগালের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ২২৬ ম্যাচে ১৪৩ গোল করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখনো তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা। গত রাতে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টুতে তাঁর দল আল নাসর ৫-১ গোলে হারিয়েছে আল জাওরাকে। গোল না পেলেও সতীর্থকে দিয়ে একটি গোল করিয়েছেন তিনি।

মহিলা দাবায় একক রাজত্ব করছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বার জিতলেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করলেও দাবাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সাদা-কালো বোর্ডে দাপট দেখিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেকে রঙিনভাবে ফুটিয়ে তোলার। লক্ষ্য এখন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।
০২ নভেম্বর ২০২৫
২০২৬ বিপিএল মাঠে গড়ানোর আগেই পরিবেশ উত্তপ্ত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ অনুশীলনের মাঝপথেই রাগান্বিত অবস্থায় মাঠ ছেড়ে চলে যান নোয়াখালী এক্সপ্রেসের দুই কোচ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুর দৃষ্টিতে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাওয়া নোয়াখালী
৬ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ বছরের ১৯ মে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির পর জাতীয় দলের জার্সিতে আর খেলার সুযোগ মেলেনি তাঁর। শান্ত তাই এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) পাখির চোখ করছেন। কারণ, এই বিপিএল শেষ হতে না হতেই শুরু হবে দশম টি-টোয়েন্টি
৭ ঘণ্টা আগে
১২তম বিপিএল শুরু হতে ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। সিলেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় সিলেট টাইটান্স-রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে নতুন বিপিএল। তার আগেই আজ পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ক্ষোভে মাঠ ছাড়লেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের।
৮ ঘণ্টা আগে