Ajker Patrika

কেমন হলো ৯ ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
৯ ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ছবি: সংগৃহীত
৯ ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ছবি: সংগৃহীত

সার্চ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে গতকাল ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। রাত সাড়ে নয়টার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইন ২০১৮ এর ২১ ধারা অনুযায়ী ৯ ফেডারেশনের আগের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই নয়টি ফেডারেশন যথাক্রমে-ব্রিজ, টেনিস, স্কোয়াশ, কাবাডি, অ্যাথলেটিকস, বিলিয়ার্ড-স্নুকার, বাস্কেটবল, দাবা এবং হকি। যেখানে ব্রিজ ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। টেনিসের সভাপতি করা হয়েছে সাবেক খেলোয়াড় আব্দুল হাই সরকারকে। এ ছাড়া কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি হয়েছেন পুলিশের আইজিপি ময়নুল ইসলাম।

গত ৩০ আগস্ট গঠিত সার্চ কমিটির মেয়াদ দুই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত নয়টি ফেডারেশন নতুন কমিটির দেখা পেল। বাকি ফেডারেশনগুলোর কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু নয়টি ফেডারেশনের কমিটি হয়ে গেছে। এখন আমরা আরও ১৫-২০ ফেডারেশনের খসড়া প্রস্তাব পাঠাব। সেটা মন্ত্রণালয় দেখে ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করবে।’

যদিও সার্চ কমিটির কোনো প্রতিবেদন পাননি বলে একদিন আগেও এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ফেডারেশনের কমিটি গঠনের বিষয়টি দেখভাল করা ক্রীড়া-১ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সানাউল হক। কমিটি নিয়ে প্রশ্ন শুনে খানিকটা বিরক্তই হয়েছিলেন তিনি। কেন বিরক্ত, সে কারণও ব্যাখ্যা করেছেন, ‘বিষয়টি জানতে অনেকে ফোন দেন। কাউকে সদুত্তর দিতে পারছি না। আমরা এখনো সার্চ কমিটির প্রতিবেদনই পাইনি। মন্ত্রণালয় থেকে আমরা সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা এখনো প্রতিবেদনগুলো দেয়নি। প্রতিবেদনগুলো হাতে পেলে আমরা কাজ শুরু করে দেব। আমাদের তো প্রতিবেদন পাওয়া লাগবে, তাই না?’

দেশের ৫৫ ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশন-সংস্থার নিয়ন্ত্রণ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের হাতে থাকলেও সভাপতি কিংবা কমিটি গঠনের এখতিয়ার পুরোপুরি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে যৌথভাবে শুদ্ধি অভিযানে নামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তারই অংশ হিসেবে ৯টি ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি দিল মন্ত্রণালয়।

একনজরে ৯ ফেডারেশনের কমিটি

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন

সভাপতি: এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান

সহ সভাপতি: গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলমগীর (অব.), শাহিন মাহমুদ, আসিফ মাহমুদ

সাধারণ সম্পাদক: লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজুল হাসান (অব.)

যুগ্ম সম্পাদক: কাজী আবু জাফর তপন

কোষ্যাধ্যক্ষ: খাজা মাঞ্জের নাদিম

সদস্য: হোসেন ইমাম শান্টা, কাউছার আলী, শহিদ উল্লাহ দোলন, ইশতিয়াক সাদেক, বায়েজিদ হায়দার, বদরুল ইসলাম দিপু, মো. ইকবাল হোসেন, পারভীন নাছিমা পুতুল, সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি, নৌ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি ও বিকেএসপি প্রতিনিধি

অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন

সভাপতি: মেজর জেনারেল ড. নাঈম আশফাক চৌধুরী

সহ সভাপতি: বিকেএসপি ডিজি, আবদুন নাসের খান, মো. ইকবাল হোসেন

সাধারণ সম্পাদক: মো. শাহ আলম

যুগ্ম সম্পাদক: কিতাব আলী, মিজানুর রহমান

কোষাধ্যক্ষ: ড. সাব্বির আহমেদ খান

সদস্য: মজিবুর রহমান মল্লিক, ফরিদ খান চৌধুরী, ফিরোজা খাতুন, শর্মিষ্ঠা রায়, এমএম নজির আহমেদ, শিরিন আক্তার, মুজিবুর রহমান, মো. রিয়াজুল ইসলাম, সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি, নৌ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি ও বিমান ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি

বাস্কেটবল ফেডারেশন

সভাপতি : ডা. শামীম নেওয়াজ

সহ সভাপতি: শাখাওয়াত হোসেন, আসিফ আজিজ

সাধারণ সম্পাদক: মেজর (অব.) মোহাম্মদ আতিকুল হাফিজ

যুগ্ম সম্পাদক: মোহাম্মদ ফয়সাল আজিম, আ স ম আনামুল হাসান তাইমুর

কোষাধ্যক্ষ: মোহাম্মদ তানভীর তিতাস

সদস্য: মো. জাহিদুল ইসলাম (বুলু), ইকবাল হোসেন এমি, জহির উদ্দিন, নাজমুল, ক্যাপ্টেন (অব.) ফজলুর রহমান, বেগম আসরিন মৃধা, আইয়ান আনোয়ার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, অনিরুদ্ধ তালুকদার বর্ণ

টেনিস ফেডারেশন

সভাপতি: আবদুল হাই সরকার

সহ সভাপতি: আশরাফুজ্জামান খান (পুটন), মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ শাকিল খান

সাধারণ সম্পাদক: ইশতিয়াক আহমেদ

যুগ্ম সম্পাদক: মুয়াম্মার আহমেদ, মোহাম্মদ আশিকুর রহমান

কোষাধ্যক্ষ: এম এ জিন্নাহ

সদস্য: মো. শফিকুল আলম, আশরাফ কায়সার, আবদুর রব শামীম, আহমেদ জিয়াউর রহমান, হোসনে আরা রিনা, মোহাম্মদ শরিফুল আলম, জহিরুল আলম ভূঁইয়া, সাজ্জাদ আলম, এম ফরিদ আহমেদ, অর্ণব সাহা ও বিকেএসপি প্রতিনিধি

দাবা ফেডারেশন

সভাপতি: সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ

সহ সভাপতি: ড. সোয়েব রিয়াজ আলম, ড. আরিফ দৌলাহ

সাধারণ সম্পাদক: তৈয়বুর রহমান সুমন

যুগ্ম সম্পাদক: লোকমান হোসেন মোল্লা (লাভলু), নাজনিন ইসলাম

কোষাধ্যক্ষ: মীর সাজেদ উল–বাশার

সদস্য: আবু সাঈদ চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, দুলাল মাহমুদ, রাহাত হোসেন, অনন্য রায়হান, শামীম আকন্দ, মো. আরিফুজ্জামান।

স্কোয়াশ ফেডারেশন

সভাপতি: মেজর জেনারেল মো. হাসান উজ জামান

সহসভাপতি: রাশেদ চৌধুরী, মীর্জা সালমান ইস্পাহানি

সাধারণ সম্পাদক: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম (অব.)

যুগ্ম সম্পাদক: তারেক মাসুদ খান

কোষাধ্যক্ষ: কামরান টি রহমান

সদস্য: মেজর এম তানিম হাসান (অব.), এরশাদ হোসেন, রামজুল সিরাজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গনি (অব.), ফাইয়াজ রহমান, সাজ্জাদ আরেফিন আলম, সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষা ডিজি ও বিকেএসপি ডিজি/প্রতিনিধি।

বিলিয়ার্ড ও স্নুকার ফেডারেশন

সভাপতি: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরকার মুহাম্মদ শামসুদ্দিন (অব.)

সহসভাপতি: আজিজ আল মাসুদ, তাজবির সালেহিন

সাধারণ সম্পাদক: রিয়াসাত করিম ভূঁইয়া

যুগ্ম সম্পাদক: সুলতান মঈন আহমেদ রবিন

কোষাধ্যক্ষ: মনজুরুল হক মনজু

সদস্য: স্কোয়াড্রন লিড মো. খালেদ বিন সালাম (অব.), নূর উদ্দিন জাভেদ, মো. হাসানুজ্জামান, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সুব্রি মোহাম্মদ, সাইফুস সামি আলমগীর, জাহেদুন নবী, আসিফ হানিফ ও শাহ নেওয়াজ শিপন।

কাবাডি ফেডারেশন

সভাপতি: মো. ময়নুল ইসলাম, আইজিপি

সহসভাপতি: হাফিজুর রহমান খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহার হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান

সাধারণ সম্পাদক: এস এম নেওয়াজ সোহাগ

যুগ্ম সম্পাদক: আবদুল হক, গাজী মো. মোজাম্মেল হক

কোষাধ্যক্ষ: মনির হোসেন

সদস্য: মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বি এম ইউসুফ আলী, শরিফ মোহাম্মদ আরিফ মিহির, আসাদুজ্জামান শাহিন, মাসুদুর রহমান চুন্নু, বাদশাহ মিয়া, সুবিমল চন্দ্র দাস, সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি, বিজিবি ক্রীড়া ও প্রশিক্ষণ বোর্ড প্রতিনিধি ও পুলিশ ক্রীড়া সংস্থা প্রতিনিধি

ব্রিজ ফেডারেশন

সভাপতি: সৈয়দ মাহবুবুর রহমান

সহসভাপতি: সাঈদ আহমেদ রবি, মো. আবুল কাশেম

সাধারণ সম্পাদক: নাঈমুল হাসান

যুগ্ম সম্পাদক: মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম

কোষাধ্যক্ষ: মো. জাহিদ হোসেন

সদস্য: শাহ জিয়াউল হক, মো. শওকত হোসেন ভূঁইয়া, নাজমুল হক কিরন, আসিফুর রহমান রাজীব, শেখ আমিন, মাওলা আল মামুন, রাশেদুল হাসান রিপন, মো. আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ এহসানুজ্জামান, মাহমুদুল হাসান সুমন ও তানভীর আহমেদ ইমন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানকে উড়িয়ে সবার আগে সেমিফাইনালে ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।

বাংলাদেশ সময় আজ নির্ধারিত সকাল ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির বাগড়ায় ভারত-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচ এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১ ওভার কমানো হয়েছে। দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ৪৯ ওভারের ম্যাচে ভারত ৯০ রানের উড়ন্ত জয় পেয়েছে। টানা দুই জয়ে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি।

৪৯ ওভারে ২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৩.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০ রানে পরিণত হয় পাকিস্তান। পঞ্চম উইকেটে ৬৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ফারহান ইউসাফ ও হুজাইফা হাসান। পাকিস্তানের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ২৪তম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক ফারহানকে (২৩) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বৈভব সূর্যবংশী।

একপ্রান্ত আগলে রাখা হুজাইফা সতীর্থদের কাছ থেকে কোনো সমর্থন পাননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান ৪১.২ ওভারে ১৫০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন হুজাইফা। ৮৩ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। ১২ রানে পাকিস্তান হারিয়েছে শেষ ৩ উইকেট। ৪২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আলী রাজাকে (৬) ফিরিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি টানেন কিশান সিং। কিশান পেয়েছেন ২ উইকেট। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দীপেশ দেবেন্দ্রন ও কনিষ্ক চৌহান।

টস হেরে আগে ব্যাটিং পেলেও ভারত ৪৯ ওভার খেলতে পারেনি। ৪৬.১ ওভারে ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন অ্যারন জর্জ। ৮৮ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১২ চার ও ১ ছক্কা। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন চৌহান। ৪৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় করেছেন ৪৬ রান। বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৩৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুদ্ধিজীবী দিবসে সাকিব-লিটনদের শ্রদ্ধা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ১৪
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সাকিব-লিটন। ছবি: ফাইল ছবি
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সাকিব-লিটন। ছবি: ফাইল ছবি

ডিসেম্বর মানেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিজয়ের আরেক নাম। যখন বিজয়ের সুবাতাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ, তখন ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। ১৪ ডিসেম্বর দেশের চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছিল তারা।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার প্রাক্কালে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর এই দিনটাকে (১৪ ডিসেম্বর) প্রতি বছর বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় বাংলাদেশে। ৫৪ বছর আগের ১৪ ডিসেম্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সামাজিক মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন সাকিব আল হাসান-লিটন দাসরা। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আজ সাকিব লিখেছেন, ‘১৪ই ডিসেম্বর মহান বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা। যাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’ লিটন নিজের ফেসবুকে রায়েরবাজার বধ্যভূমির ছবি ফটোকার্ড হিসেবে পোস্ট করেছেন। ছবির ওপর লেখা, ‘যাঁদের কণ্ঠ থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মৃত্যু কি আর তাদের চিন্তা থামিয়ে দিতে পারে? সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা।’ ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’

মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করে পরশু সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। তানজিম সাকিব লিখেছিলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গর্ববোধ করি। যাদের ছিলো না ট্রেনিং, যারা প্রশিক্ষিত ছিলেন না, কিভাবে যুদ্ধ করতে হবে জানতেন না, তারপরও দেশের টানে মাটির টানে পাক হানাদার প্রশিক্ষিত আর্মিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন। যারা আমদের ভীতু জাতি থেকে সাহসী জাতি করেছিলেন যাদের কারণে আমি আজ বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বের বুকে ক্রিকেটের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারছি, তাদের নিয়ে আমি গর্ব বোধ করি। বাংলাদেশের প্রকৃত হিরো প্রকৃত সেলিব্রিটি আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ সাকিব আল হাসান খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে না খেললেও বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছেন তিনি। আর লিটন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হয়েছেন এ বছরের মে মাসে। তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ১২তম বিপিএল। এবারের বিপিএলেও নেই সাকিব। আর বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শেষ না হতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে লিটন-সোহানদের। ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে ৮ মার্চ সেটা হবে শ্রীলঙ্কায়। অন্যথায় ৮ মার্চ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘আপনারা সব সময় আমাদের ভুল ধরেন, আপনাদেরও ভুল ধরার চেষ্টা করব’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৩
বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হাসান সোহান। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হাসান সোহান। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ বেশ মজাই করেছেন নুরুল হাসান সোহান। মজার ছলে এমন উত্তর দিয়েছেন, অলিম্পিক ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল পড়ে গেছে। সোহান এবার সাংবাদিকদের ভুল ধরার অপেক্ষায় আছেন।

কাল থেকে শুরু হচ্ছে ৩২ দলের বিএসজেএ মিডিয়া কাপ টুর্নামেন্ট। সাংবাদিকদের নিয়ে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের লটারির অনুষ্ঠান হয়েছে আজ অলিম্পিক ভবনে বিএসজেএ’র সংবাদ সম্মেলনে। মিডিয়া কাপ টুর্নামেন্টের প্রসঙ্গ উঠতেই সোহান যে উত্তর দিয়েছেন, তাতে উপস্থিত সাংবাদিকেরা বেশ মজা পেয়েছেন। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘চেষ্টা করব যাতে মাঠে এসে আপনাদের খেলা দেখতে পারি। কারণ, আপনারা আমাদের সবসময় ভুল ধরেন। একটু আপনাদেরও ভুল ধরার চেষ্টা করব। তো এটা হলে অবশ্যই ভালো লাগবে মাঠে এসে খেলা দেখতে পারলে। একই সঙ্গে আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো একটা উদ্যোগ। যত খেলা হবে এবং আমার কাছে মনে হয় যে খেলার ভেতরে থাকলে আমাদের সবার আসলে মানে মন থেকেও খুশি লাগে। তো আমার কাছে মনে হয় যে এমন উদ্যোগ আরও বেশি দেখতে পাব ইনশা আল্লাহ।’

২ ডিসেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে বাংলাদেশের এ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা শেষ হয়েছে। এ বছর তিন সংস্করণ মিলে বাংলাদেশ খেলেছে ৪৭ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), জাতীয় ক্রিকেট লিগেও (এনসিএল) ব্যস্ত ছিলেন নুরুল হাসান সোহান-লিটন দাসরা। ২৬ ডিসেম্বর বিপিএল শুরুর আগে যে ক্যাম্পটা এখন চলছে, সেখানে ক্রিকেটারদের স্কিল নিয়ে অনেক কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সোহান। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক ব্যস্ত সূচি ছিল। এ ধরনের ক্যাম্প করার সুযোগ ছিল না। গত ৭-৮ দিন ধরে যে কাজটা আমরা করছি, সেটা অনেক উপকার করবে। বিপিএলের আগে এটুকু সময়ই আছে। বিপিএল শেষ হতে না হতেই বিশ্বকাপ। সবাই ব্যস্ত হয়ে যাবে। যেসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে, স্কিল ক্যাম্পে সেগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে।’

মিরপুরের ‘ধানখেতের উইকেট’ নিয়ে সমালোচনা তো নতুন কিছু নয়। অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সময় মিরপুরের উইকেটকে খোঁচা মেরেছিলেন আকিল হোসেন। এবারের বিপিএলে মাত্র ১০ ম্যাচ রাখা হয়েছে মিরপুরে। বাকি ২৪ ম্যাচ হবে চট্টগ্রাম ও সিলেটে। এবারের বিপিএলেও ভালো উইকেট হবে বলে আশা সোহানের, ‘গত বছর ভালো ছিল উইকেট। বিসিবিও ভালো উইকেট তৈরি করতে চায়। অনেক বেশি খেলা থাকলে বা আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে ভালো উইকেট বানানো কঠিন হয়ে যায়। তবে আমার কাছে মনে হয় ভালোই থাকবে উইকেট।’

সরাসরি চুক্তিতে সোহান ও মোস্তাফিজুর রহমানের মতো দুই স্থানীয় ক্রিকেটারকে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। নিলাম থেকে তাওহীদ হৃদয়কে নেওয়া হয়েছে ৯২ লাখ টাকায়। নাহিদ রানা ও লিটন দাসকে ৪২ লাখ ও ৭০ লাখ টাকায় নেওয়া হয়েছে। একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার থাকলেই মাঠের পারফরম্যান্সে একটা দল চমকে দেবে, সেটা মনে করেন না সোহান। বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, ‘বড় নাম দিয়ে কিছু হবে না। মাঠে পারফর্ম করতে হবে। সব সময় ভালো দল করে রংপুর। ফাইনাল খেলতে চেষ্টা করে। সবগুলো দলই ভালো হয়েছে। টুর্নামেন্টও ভালো হবে।’

২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ১২তম বিপিএল। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শেষ না হতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে লিটন-সোহানদের। ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে ৮ মার্চ সেটা হবে শ্রীলঙ্কায়। অন্যথায় ৮ মার্চ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির ‘আচরণে’ ক্ষুব্ধ তামিম

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩৫
বিসিবির ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন তামিম ইকবাল। ছবি: ফাইল ছবি
বিসিবির ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন তামিম ইকবাল। ছবি: ফাইল ছবি

নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হলো প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। ঘরোয়া ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে যা যা ঘটল, সেটা মেনে নিতে পারছেন না তামিম ইকবাল। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরুর আগে গতকাল একই দিনে দুই রকম দৃশ্য দেখা গেল। প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে অংশ নেওয়া ক্লাবের প্রতিনিধিরা বিসিবি একাডেমি ভবনের সামনে অংশ নিলেন ট্রফি উন্মোচনে। অন্য দিকে লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর ক্রিকেটাররা ছিলেন আন্দোলনে ব্যস্ত। ২০ দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ১২ দল। গতকালের এই ঘটনা নিয়ে আজ নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার ক্রিকেটাররা। অথচ গতকাল অনেক ক্রিকেটারকে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন ডিভিশনের অনেক ক্রিকেটার বিসিবিতে তাদের দাবি জানাতে গিয়েছিলেন, যেটি তাদের অধিকার, এবং যার যৌক্তিক কারণও আছে। অথচ সেই ক্রিকেটারদের গেটের বাইরে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে যদিও একটি প্রতিনিধি দলকে ভেতরে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরও অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা দুঃখজনক। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম।’

১২ দল নিয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ হচ্ছে দেখে সন্তুষ্ট বিসিবির ঢাকা মহানগর ক্লাব কমিটির (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান দীপন। তবে লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই দীপনের কাছে। গতকাল সিসিডিএম চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘আগামীকাল (আজ) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছি। (৮টি ক্লাব) হয়তো আসতে পারে। হয়তো না। অফিশিয়ালি সিসিডিএমকে তারা চিঠি দেয়নি। একটা উকিল নোটিশ দিয়েছে বোর্ডকে। সিসিডিএমের আইন কী বলে? এখানে ৪৪টি ক্লাবের কথা বলা হচ্ছে, সিসিডিএমকে চিঠি দেয়নি। আমরা ধরে নিতে পারব না ওরা খেলবে কি খেলবে না।’

সূচি অনুযায়ী পাঁচ মাঠে ১০ দলের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ রাখা হয়েছে। কোনো দল না খেলতে এলে তাদের প্রতিপক্ষকে ‘ওয়াকওভার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিসিবির। তামিম ওল্ড ডিওএইচএস দলের কাউন্সিলর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত