
একটি কাউন্টার অ্যাটাক, একটি নিখুঁত অ্যাসিস্ট; আর একটি গোল। তাতে ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর অনাবিল আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। গোল করে নায়ক শেখ মোরসালিন, তাঁকে নায়ক হওয়ার উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব শোনালেন মাঠের গল্প, অনুভূতি ও দলের পরবর্তী পথচলার কথা। গতকাল ফোনে এই উইঙ্গারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ—
আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: গোল নিয়ে তো বটেই, আপনার অ্যাসিস্ট নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। কেমন লাগছে?
রাকিব: হ্যাঁ, ভালো লাগছে। কারণ উপভোগ করে খেলতে পেরেছি। বল নিয়ে এগোতেই প্রথমে গোলের ভাবনা আসে। কিন্তু যে পজিশনে ছিলাম, ওখান থেকে আর শুট করা যায় না। আমি মোরসালিনকে ফলো করি। সে দৌড়ে আসছিল। আর তখন আমি ওকে পাসটা দিয়ে দিই। এরপর তো...। পাল্টা আক্রমণ নিয়ে একটা বিশেষ পরিকল্পনা তো ছিলই। এটি অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় জয়।
প্রশ্ন: ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর পেছনে অবদান রাখতে পেরে কতটুকু খুশি?
রাকিব: এই জয় পুরো বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই আনন্দের। ২২ বছর পর আমরা ওদের বিপক্ষে জিতেছি। ভালো লাগছে যে সবাই খুশি, কারণ বাংলাদেশের মানুষ সব সময় ভারতের বিপক্ষে জিততে চায়। আমরা জিততে পেরেছি, এ জন্য বেশি ভালো লাগতেছে। তাও ঘরের মাঠে। আসলে সবাই কিন্তু অনেক দূর থেকে আসে। সবাই কত কষ্ট করে। তো তারপর তারা খেলা দেখে। যদি খেলা দেখার মধ্যে আমরা ভালো রেজাল্ট না দিতে পারি, তখন আমাদের কাছেও খারাপ লাগে, তাদেরও খারাপ লাগে। শেষ দুটি ম্যাচে খুব কাছাকাছি গিয়েও আমরা তাদের খুশি করতে পারিনি। কিন্তু তারা মাঠে ৯০ মিনিট যেভাবে গলা ফাটিয়েছে, তা আসলে অবিশ্বাস্য।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগে কী কথা হয়েছিল?
রাকিব: হামজা ভাই, শমিত ভাই সব খেলোয়াড়কে বলেছে, আমাদের যেকোনোভাবেই জিততে হবে। আমরা পরিশ্রম করব। আল্লাহ আমাদের দেবে। ঠিক আমরা মাঠে সবাই খেলেছি কিন্তু দলের জন্য। সবাই পারফর্ম করার কারণে আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি। আমারও তাড়না ছিল, যেকোনোভাবে হোক দলের জন্য অবদান রাখব।
প্রশ্ন: ড্রেসিংরুমে অন্যরকম এক পরিবেশ দেখা গেল...
রাকিব: ক্রীড়া উপদেষ্টা আসছে, আমাদের প্রেসিডেন্ট আসছে। আমাদের বলা হয়েছে, সামনে আরও খেলা আছে। আমরা ভালো করতে চাই। এখন যে জায়গায় আছি, সে জায়গা থেকে আরও সামনে এগোচ্ছি এবং সাফে ভালো একটা রেজাল্ট করতে চাই। এরপর রাতে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম আসেনি, যেহেতু এত বড় একটা ম্যাচ ছিল।
প্রশ্ন: ম্যাচের শেষ দিকে কেমন লাগছিল?
রাকিব: আসলে ৮০ মিনিট পার হওয়ার পর অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু চেষ্টা করছিলাম যে বাকি ১০ মিনিট যেভাবেই হোক খেলব। মাঠের ভেতরে কয়েকবারই আমিন বলছিলাম, আল্লাহ আল্লাহ করছিলাম আরকি। শেষ দুই-তিনটি ম্যাচে কিন্তু আমরা শেষের দিকে গোল হজম করছি। এটার জন্য ভয় লাগছিল। মাঠে নামলে কেউই গোল হজম করতে চায় না।
প্রশ্ন: মোরসালিনের সঙ্গে আপনার রসায়নটা কেমন?
রাকিব: আসলে এখন ভিন্ন ক্লাবে খেলি। আগে তো আমরা একসঙ্গে ছিলাম, তখন আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। আর জাতীয় দলে তো একসঙ্গে খেলি। ও আমার মুভমেন্ট বোঝে, আমি ওর মুভমেন্ট বুঝি। মোরসালিনও অনেক গতিময় খেলোয়াড়। কারণ, যখন আমি বল ধরে রান করছি, সে কিন্তু আমার সঙ্গে সঙ্গে এসেছে।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া বলছিলেন আপনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গতিময় খেলোয়াড়...
রাকিব: আসলে অধিনায়ক আমার ওপর ভরসা রেখেছেন। তিনি সব সময় এই কথাগুলো বলেন; তুমি খেলতে পারবা, তুমি পারফর্ম করবা। আমি তাঁর আস্থা রাখতে পেরেছি।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে সমালোচনাটা বেশি হয়...
রাকিব: খারাপ খেললে সমালোচনা হবে, এটা স্বাভাবিক। ভালো খেললে তখন তো অন্তত বাহবা পাওয়া উচিত। তখনো যদি মানুষ সমালোচনা করে, অথবা খারাপ কিছু বলে, এই জিনিসটা খারাপ লাগে। আসলে সবাই কিন্তু একটা পতাকা অথবা একটা দেশের জন্যই খেলে। প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা বিভাজন তৈরি করি না, কিন্তু বাইরের মানুষ যদি চায় তৈরি করতে, এটা তো খারাপ।
প্রশ্ন: আসলে কি বিভাজন আছে?
রাকিব: আমাদের মধ্যে এ রকম কোনো কিছুই নেই। কিউবা, শমিত, হামজা ভাই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। আমাদের মধ্যে আমি মনে করি না কারোর সঙ্গে কিছু আছে। এমন না যে আমরা বাংলাদেশের জন্য খেলি, তারা ইতালি অথবা ইংল্যান্ডের জন্য খেলে। সবাই তো একটা দেশের জন্যই খেলে।
প্রশ্ন: জাতীয় দল নিয়ে সমর্থকদের যে আমেজ, তা ক্লাব ফুটবলে চোখে পড়ে না...
রাকিব: এখন ফেডারেশন যেভাবে জাতীয় দলকে উন্নত করেছে, আমি মনে করি এখন আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল লিগকেও ভালো একটা শেপে নেওয়া উচিত। কারণ, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রুটি-রুজি কিন্তু ফুটবল লিগ। তাই আগের দুই মৌসুমে যেভাবে লিগ হয়েছে, এবার যেন আরও ভালোভাবে হয়।
প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে জয়টা তো এলো, কিন্তু দিন শেষে এই দল নিয়েও এশিয়ান কাপে খেলতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চয় আছে?
রাকিব: আক্ষেপ তো আছেই। আমাদের দল শক্তিশালী। প্রতিপক্ষগুলো কিন্তু আমাদের থেকেও শক্তিশালী ছিল, তাই না? ধীরে ধীরে কিন্তু আমরা অনেক উন্নতি করছি। একটু সময় লাগবে। একটু সময় দিলে এই দল অনেক ভালো কিছু করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা কিন্তু ভালো ফুটবলই খেলছি প্রতি ম্যাচে। ফুটবলে এমন নিশ্চয়তা নেই যে ভালো দল হলেই আপনি কোয়ালিফাই করবেন। ইতালি কিন্তু এবারও বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি সরাসরি। মাঝেমধ্যে ভাগ্যের দরকার হয়।
প্রশ্ন: গোল নিয়ে তো বটেই, আপনার অ্যাসিস্ট নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। কেমন লাগছে?
রাকিব: হ্যাঁ, ভালো লাগছে। কারণ উপভোগ করে খেলতে পেরেছি। বল নিয়ে এগোতেই প্রথমে গোলের ভাবনা আসে। কিন্তু যে পজিশনে ছিলাম, ওখান থেকে আর শুট করা যায় না। আমি মোরসালিনকে ফলো করি। সে দৌড়ে আসছিল। আর তখন আমি ওকে পাসটা দিয়ে দিই। এরপর তো...। পাল্টা আক্রমণ নিয়ে একটা বিশেষ পরিকল্পনা তো ছিলই। এটি অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় জয়।
প্রশ্ন: ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর পেছনে অবদান রাখতে পেরে কতটুকু খুশি?
রাকিব: এই জয় পুরো বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই আনন্দের। ২২ বছর পর আমরা ওদের বিপক্ষে জিতেছি। ভালো লাগছে যে সবাই খুশি, কারণ বাংলাদেশের মানুষ সব সময় ভারতের বিপক্ষে জিততে চায়। আমরা জিততে পেরেছি, এ জন্য বেশি ভালো লাগতেছে। তাও ঘরের মাঠে। আসলে সবাই কিন্তু অনেক দূর থেকে আসে। সবাই কত কষ্ট করে। তো তারপর তারা খেলা দেখে। যদি খেলা দেখার মধ্যে আমরা ভালো রেজাল্ট না দিতে পারি, তখন আমাদের কাছেও খারাপ লাগে, তাদেরও খারাপ লাগে। শেষ দুটি ম্যাচে খুব কাছাকাছি গিয়েও আমরা তাদের খুশি করতে পারিনি। কিন্তু তারা মাঠে ৯০ মিনিট যেভাবে গলা ফাটিয়েছে, তা আসলে অবিশ্বাস্য।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগে কী কথা হয়েছিল?
রাকিব: হামজা ভাই, শমিত ভাই সব খেলোয়াড়কে বলেছে, আমাদের যেকোনোভাবেই জিততে হবে। আমরা পরিশ্রম করব। আল্লাহ আমাদের দেবে। ঠিক আমরা মাঠে সবাই খেলেছি কিন্তু দলের জন্য। সবাই পারফর্ম করার কারণে আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি। আমারও তাড়না ছিল, যেকোনোভাবে হোক দলের জন্য অবদান রাখব।
প্রশ্ন: ড্রেসিংরুমে অন্যরকম এক পরিবেশ দেখা গেল...
রাকিব: ক্রীড়া উপদেষ্টা আসছে, আমাদের প্রেসিডেন্ট আসছে। আমাদের বলা হয়েছে, সামনে আরও খেলা আছে। আমরা ভালো করতে চাই। এখন যে জায়গায় আছি, সে জায়গা থেকে আরও সামনে এগোচ্ছি এবং সাফে ভালো একটা রেজাল্ট করতে চাই। এরপর রাতে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম আসেনি, যেহেতু এত বড় একটা ম্যাচ ছিল।
প্রশ্ন: ম্যাচের শেষ দিকে কেমন লাগছিল?
রাকিব: আসলে ৮০ মিনিট পার হওয়ার পর অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু চেষ্টা করছিলাম যে বাকি ১০ মিনিট যেভাবেই হোক খেলব। মাঠের ভেতরে কয়েকবারই আমিন বলছিলাম, আল্লাহ আল্লাহ করছিলাম আরকি। শেষ দুই-তিনটি ম্যাচে কিন্তু আমরা শেষের দিকে গোল হজম করছি। এটার জন্য ভয় লাগছিল। মাঠে নামলে কেউই গোল হজম করতে চায় না।
প্রশ্ন: মোরসালিনের সঙ্গে আপনার রসায়নটা কেমন?
রাকিব: আসলে এখন ভিন্ন ক্লাবে খেলি। আগে তো আমরা একসঙ্গে ছিলাম, তখন আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। আর জাতীয় দলে তো একসঙ্গে খেলি। ও আমার মুভমেন্ট বোঝে, আমি ওর মুভমেন্ট বুঝি। মোরসালিনও অনেক গতিময় খেলোয়াড়। কারণ, যখন আমি বল ধরে রান করছি, সে কিন্তু আমার সঙ্গে সঙ্গে এসেছে।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া বলছিলেন আপনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গতিময় খেলোয়াড়...
রাকিব: আসলে অধিনায়ক আমার ওপর ভরসা রেখেছেন। তিনি সব সময় এই কথাগুলো বলেন; তুমি খেলতে পারবা, তুমি পারফর্ম করবা। আমি তাঁর আস্থা রাখতে পেরেছি।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে সমালোচনাটা বেশি হয়...
রাকিব: খারাপ খেললে সমালোচনা হবে, এটা স্বাভাবিক। ভালো খেললে তখন তো অন্তত বাহবা পাওয়া উচিত। তখনো যদি মানুষ সমালোচনা করে, অথবা খারাপ কিছু বলে, এই জিনিসটা খারাপ লাগে। আসলে সবাই কিন্তু একটা পতাকা অথবা একটা দেশের জন্যই খেলে। প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা বিভাজন তৈরি করি না, কিন্তু বাইরের মানুষ যদি চায় তৈরি করতে, এটা তো খারাপ।
প্রশ্ন: আসলে কি বিভাজন আছে?
রাকিব: আমাদের মধ্যে এ রকম কোনো কিছুই নেই। কিউবা, শমিত, হামজা ভাই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। আমাদের মধ্যে আমি মনে করি না কারোর সঙ্গে কিছু আছে। এমন না যে আমরা বাংলাদেশের জন্য খেলি, তারা ইতালি অথবা ইংল্যান্ডের জন্য খেলে। সবাই তো একটা দেশের জন্যই খেলে।
প্রশ্ন: জাতীয় দল নিয়ে সমর্থকদের যে আমেজ, তা ক্লাব ফুটবলে চোখে পড়ে না...
রাকিব: এখন ফেডারেশন যেভাবে জাতীয় দলকে উন্নত করেছে, আমি মনে করি এখন আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল লিগকেও ভালো একটা শেপে নেওয়া উচিত। কারণ, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রুটি-রুজি কিন্তু ফুটবল লিগ। তাই আগের দুই মৌসুমে যেভাবে লিগ হয়েছে, এবার যেন আরও ভালোভাবে হয়।
প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে জয়টা তো এলো, কিন্তু দিন শেষে এই দল নিয়েও এশিয়ান কাপে খেলতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চয় আছে?
রাকিব: আক্ষেপ তো আছেই। আমাদের দল শক্তিশালী। প্রতিপক্ষগুলো কিন্তু আমাদের থেকেও শক্তিশালী ছিল, তাই না? ধীরে ধীরে কিন্তু আমরা অনেক উন্নতি করছি। একটু সময় লাগবে। একটু সময় দিলে এই দল অনেক ভালো কিছু করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা কিন্তু ভালো ফুটবলই খেলছি প্রতি ম্যাচে। ফুটবলে এমন নিশ্চয়তা নেই যে ভালো দল হলেই আপনি কোয়ালিফাই করবেন। ইতালি কিন্তু এবারও বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি সরাসরি। মাঝেমধ্যে ভাগ্যের দরকার হয়।

একটি কাউন্টার অ্যাটাক, একটি নিখুঁত অ্যাসিস্ট; আর একটি গোল। তাতে ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর অনাবিল আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। গোল করে নায়ক শেখ মোরসালিন, তাঁকে নায়ক হওয়ার উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব শোনালেন মাঠের গল্প, অনুভূতি ও দলের পরবর্তী পথচলার কথা। গতকাল ফোনে এই উইঙ্গারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ—
আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: গোল নিয়ে তো বটেই, আপনার অ্যাসিস্ট নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। কেমন লাগছে?
রাকিব: হ্যাঁ, ভালো লাগছে। কারণ উপভোগ করে খেলতে পেরেছি। বল নিয়ে এগোতেই প্রথমে গোলের ভাবনা আসে। কিন্তু যে পজিশনে ছিলাম, ওখান থেকে আর শুট করা যায় না। আমি মোরসালিনকে ফলো করি। সে দৌড়ে আসছিল। আর তখন আমি ওকে পাসটা দিয়ে দিই। এরপর তো...। পাল্টা আক্রমণ নিয়ে একটা বিশেষ পরিকল্পনা তো ছিলই। এটি অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় জয়।
প্রশ্ন: ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর পেছনে অবদান রাখতে পেরে কতটুকু খুশি?
রাকিব: এই জয় পুরো বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই আনন্দের। ২২ বছর পর আমরা ওদের বিপক্ষে জিতেছি। ভালো লাগছে যে সবাই খুশি, কারণ বাংলাদেশের মানুষ সব সময় ভারতের বিপক্ষে জিততে চায়। আমরা জিততে পেরেছি, এ জন্য বেশি ভালো লাগতেছে। তাও ঘরের মাঠে। আসলে সবাই কিন্তু অনেক দূর থেকে আসে। সবাই কত কষ্ট করে। তো তারপর তারা খেলা দেখে। যদি খেলা দেখার মধ্যে আমরা ভালো রেজাল্ট না দিতে পারি, তখন আমাদের কাছেও খারাপ লাগে, তাদেরও খারাপ লাগে। শেষ দুটি ম্যাচে খুব কাছাকাছি গিয়েও আমরা তাদের খুশি করতে পারিনি। কিন্তু তারা মাঠে ৯০ মিনিট যেভাবে গলা ফাটিয়েছে, তা আসলে অবিশ্বাস্য।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগে কী কথা হয়েছিল?
রাকিব: হামজা ভাই, শমিত ভাই সব খেলোয়াড়কে বলেছে, আমাদের যেকোনোভাবেই জিততে হবে। আমরা পরিশ্রম করব। আল্লাহ আমাদের দেবে। ঠিক আমরা মাঠে সবাই খেলেছি কিন্তু দলের জন্য। সবাই পারফর্ম করার কারণে আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি। আমারও তাড়না ছিল, যেকোনোভাবে হোক দলের জন্য অবদান রাখব।
প্রশ্ন: ড্রেসিংরুমে অন্যরকম এক পরিবেশ দেখা গেল...
রাকিব: ক্রীড়া উপদেষ্টা আসছে, আমাদের প্রেসিডেন্ট আসছে। আমাদের বলা হয়েছে, সামনে আরও খেলা আছে। আমরা ভালো করতে চাই। এখন যে জায়গায় আছি, সে জায়গা থেকে আরও সামনে এগোচ্ছি এবং সাফে ভালো একটা রেজাল্ট করতে চাই। এরপর রাতে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম আসেনি, যেহেতু এত বড় একটা ম্যাচ ছিল।
প্রশ্ন: ম্যাচের শেষ দিকে কেমন লাগছিল?
রাকিব: আসলে ৮০ মিনিট পার হওয়ার পর অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু চেষ্টা করছিলাম যে বাকি ১০ মিনিট যেভাবেই হোক খেলব। মাঠের ভেতরে কয়েকবারই আমিন বলছিলাম, আল্লাহ আল্লাহ করছিলাম আরকি। শেষ দুই-তিনটি ম্যাচে কিন্তু আমরা শেষের দিকে গোল হজম করছি। এটার জন্য ভয় লাগছিল। মাঠে নামলে কেউই গোল হজম করতে চায় না।
প্রশ্ন: মোরসালিনের সঙ্গে আপনার রসায়নটা কেমন?
রাকিব: আসলে এখন ভিন্ন ক্লাবে খেলি। আগে তো আমরা একসঙ্গে ছিলাম, তখন আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। আর জাতীয় দলে তো একসঙ্গে খেলি। ও আমার মুভমেন্ট বোঝে, আমি ওর মুভমেন্ট বুঝি। মোরসালিনও অনেক গতিময় খেলোয়াড়। কারণ, যখন আমি বল ধরে রান করছি, সে কিন্তু আমার সঙ্গে সঙ্গে এসেছে।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া বলছিলেন আপনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গতিময় খেলোয়াড়...
রাকিব: আসলে অধিনায়ক আমার ওপর ভরসা রেখেছেন। তিনি সব সময় এই কথাগুলো বলেন; তুমি খেলতে পারবা, তুমি পারফর্ম করবা। আমি তাঁর আস্থা রাখতে পেরেছি।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে সমালোচনাটা বেশি হয়...
রাকিব: খারাপ খেললে সমালোচনা হবে, এটা স্বাভাবিক। ভালো খেললে তখন তো অন্তত বাহবা পাওয়া উচিত। তখনো যদি মানুষ সমালোচনা করে, অথবা খারাপ কিছু বলে, এই জিনিসটা খারাপ লাগে। আসলে সবাই কিন্তু একটা পতাকা অথবা একটা দেশের জন্যই খেলে। প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা বিভাজন তৈরি করি না, কিন্তু বাইরের মানুষ যদি চায় তৈরি করতে, এটা তো খারাপ।
প্রশ্ন: আসলে কি বিভাজন আছে?
রাকিব: আমাদের মধ্যে এ রকম কোনো কিছুই নেই। কিউবা, শমিত, হামজা ভাই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। আমাদের মধ্যে আমি মনে করি না কারোর সঙ্গে কিছু আছে। এমন না যে আমরা বাংলাদেশের জন্য খেলি, তারা ইতালি অথবা ইংল্যান্ডের জন্য খেলে। সবাই তো একটা দেশের জন্যই খেলে।
প্রশ্ন: জাতীয় দল নিয়ে সমর্থকদের যে আমেজ, তা ক্লাব ফুটবলে চোখে পড়ে না...
রাকিব: এখন ফেডারেশন যেভাবে জাতীয় দলকে উন্নত করেছে, আমি মনে করি এখন আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল লিগকেও ভালো একটা শেপে নেওয়া উচিত। কারণ, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রুটি-রুজি কিন্তু ফুটবল লিগ। তাই আগের দুই মৌসুমে যেভাবে লিগ হয়েছে, এবার যেন আরও ভালোভাবে হয়।
প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে জয়টা তো এলো, কিন্তু দিন শেষে এই দল নিয়েও এশিয়ান কাপে খেলতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চয় আছে?
রাকিব: আক্ষেপ তো আছেই। আমাদের দল শক্তিশালী। প্রতিপক্ষগুলো কিন্তু আমাদের থেকেও শক্তিশালী ছিল, তাই না? ধীরে ধীরে কিন্তু আমরা অনেক উন্নতি করছি। একটু সময় লাগবে। একটু সময় দিলে এই দল অনেক ভালো কিছু করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা কিন্তু ভালো ফুটবলই খেলছি প্রতি ম্যাচে। ফুটবলে এমন নিশ্চয়তা নেই যে ভালো দল হলেই আপনি কোয়ালিফাই করবেন। ইতালি কিন্তু এবারও বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি সরাসরি। মাঝেমধ্যে ভাগ্যের দরকার হয়।
প্রশ্ন: গোল নিয়ে তো বটেই, আপনার অ্যাসিস্ট নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। কেমন লাগছে?
রাকিব: হ্যাঁ, ভালো লাগছে। কারণ উপভোগ করে খেলতে পেরেছি। বল নিয়ে এগোতেই প্রথমে গোলের ভাবনা আসে। কিন্তু যে পজিশনে ছিলাম, ওখান থেকে আর শুট করা যায় না। আমি মোরসালিনকে ফলো করি। সে দৌড়ে আসছিল। আর তখন আমি ওকে পাসটা দিয়ে দিই। এরপর তো...। পাল্টা আক্রমণ নিয়ে একটা বিশেষ পরিকল্পনা তো ছিলই। এটি অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় জয়।
প্রশ্ন: ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর পেছনে অবদান রাখতে পেরে কতটুকু খুশি?
রাকিব: এই জয় পুরো বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই আনন্দের। ২২ বছর পর আমরা ওদের বিপক্ষে জিতেছি। ভালো লাগছে যে সবাই খুশি, কারণ বাংলাদেশের মানুষ সব সময় ভারতের বিপক্ষে জিততে চায়। আমরা জিততে পেরেছি, এ জন্য বেশি ভালো লাগতেছে। তাও ঘরের মাঠে। আসলে সবাই কিন্তু অনেক দূর থেকে আসে। সবাই কত কষ্ট করে। তো তারপর তারা খেলা দেখে। যদি খেলা দেখার মধ্যে আমরা ভালো রেজাল্ট না দিতে পারি, তখন আমাদের কাছেও খারাপ লাগে, তাদেরও খারাপ লাগে। শেষ দুটি ম্যাচে খুব কাছাকাছি গিয়েও আমরা তাদের খুশি করতে পারিনি। কিন্তু তারা মাঠে ৯০ মিনিট যেভাবে গলা ফাটিয়েছে, তা আসলে অবিশ্বাস্য।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগে কী কথা হয়েছিল?
রাকিব: হামজা ভাই, শমিত ভাই সব খেলোয়াড়কে বলেছে, আমাদের যেকোনোভাবেই জিততে হবে। আমরা পরিশ্রম করব। আল্লাহ আমাদের দেবে। ঠিক আমরা মাঠে সবাই খেলেছি কিন্তু দলের জন্য। সবাই পারফর্ম করার কারণে আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি। আমারও তাড়না ছিল, যেকোনোভাবে হোক দলের জন্য অবদান রাখব।
প্রশ্ন: ড্রেসিংরুমে অন্যরকম এক পরিবেশ দেখা গেল...
রাকিব: ক্রীড়া উপদেষ্টা আসছে, আমাদের প্রেসিডেন্ট আসছে। আমাদের বলা হয়েছে, সামনে আরও খেলা আছে। আমরা ভালো করতে চাই। এখন যে জায়গায় আছি, সে জায়গা থেকে আরও সামনে এগোচ্ছি এবং সাফে ভালো একটা রেজাল্ট করতে চাই। এরপর রাতে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম আসেনি, যেহেতু এত বড় একটা ম্যাচ ছিল।
প্রশ্ন: ম্যাচের শেষ দিকে কেমন লাগছিল?
রাকিব: আসলে ৮০ মিনিট পার হওয়ার পর অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু চেষ্টা করছিলাম যে বাকি ১০ মিনিট যেভাবেই হোক খেলব। মাঠের ভেতরে কয়েকবারই আমিন বলছিলাম, আল্লাহ আল্লাহ করছিলাম আরকি। শেষ দুই-তিনটি ম্যাচে কিন্তু আমরা শেষের দিকে গোল হজম করছি। এটার জন্য ভয় লাগছিল। মাঠে নামলে কেউই গোল হজম করতে চায় না।
প্রশ্ন: মোরসালিনের সঙ্গে আপনার রসায়নটা কেমন?
রাকিব: আসলে এখন ভিন্ন ক্লাবে খেলি। আগে তো আমরা একসঙ্গে ছিলাম, তখন আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। আর জাতীয় দলে তো একসঙ্গে খেলি। ও আমার মুভমেন্ট বোঝে, আমি ওর মুভমেন্ট বুঝি। মোরসালিনও অনেক গতিময় খেলোয়াড়। কারণ, যখন আমি বল ধরে রান করছি, সে কিন্তু আমার সঙ্গে সঙ্গে এসেছে।
প্রশ্ন: ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া বলছিলেন আপনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গতিময় খেলোয়াড়...
রাকিব: আসলে অধিনায়ক আমার ওপর ভরসা রেখেছেন। তিনি সব সময় এই কথাগুলো বলেন; তুমি খেলতে পারবা, তুমি পারফর্ম করবা। আমি তাঁর আস্থা রাখতে পেরেছি।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে সমালোচনাটা বেশি হয়...
রাকিব: খারাপ খেললে সমালোচনা হবে, এটা স্বাভাবিক। ভালো খেললে তখন তো অন্তত বাহবা পাওয়া উচিত। তখনো যদি মানুষ সমালোচনা করে, অথবা খারাপ কিছু বলে, এই জিনিসটা খারাপ লাগে। আসলে সবাই কিন্তু একটা পতাকা অথবা একটা দেশের জন্যই খেলে। প্রবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা বিভাজন তৈরি করি না, কিন্তু বাইরের মানুষ যদি চায় তৈরি করতে, এটা তো খারাপ।
প্রশ্ন: আসলে কি বিভাজন আছে?
রাকিব: আমাদের মধ্যে এ রকম কোনো কিছুই নেই। কিউবা, শমিত, হামজা ভাই সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। আমাদের মধ্যে আমি মনে করি না কারোর সঙ্গে কিছু আছে। এমন না যে আমরা বাংলাদেশের জন্য খেলি, তারা ইতালি অথবা ইংল্যান্ডের জন্য খেলে। সবাই তো একটা দেশের জন্যই খেলে।
প্রশ্ন: জাতীয় দল নিয়ে সমর্থকদের যে আমেজ, তা ক্লাব ফুটবলে চোখে পড়ে না...
রাকিব: এখন ফেডারেশন যেভাবে জাতীয় দলকে উন্নত করেছে, আমি মনে করি এখন আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল লিগকেও ভালো একটা শেপে নেওয়া উচিত। কারণ, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রুটি-রুজি কিন্তু ফুটবল লিগ। তাই আগের দুই মৌসুমে যেভাবে লিগ হয়েছে, এবার যেন আরও ভালোভাবে হয়।
প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে জয়টা তো এলো, কিন্তু দিন শেষে এই দল নিয়েও এশিয়ান কাপে খেলতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চয় আছে?
রাকিব: আক্ষেপ তো আছেই। আমাদের দল শক্তিশালী। প্রতিপক্ষগুলো কিন্তু আমাদের থেকেও শক্তিশালী ছিল, তাই না? ধীরে ধীরে কিন্তু আমরা অনেক উন্নতি করছি। একটু সময় লাগবে। একটু সময় দিলে এই দল অনেক ভালো কিছু করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা কিন্তু ভালো ফুটবলই খেলছি প্রতি ম্যাচে। ফুটবলে এমন নিশ্চয়তা নেই যে ভালো দল হলেই আপনি কোয়ালিফাই করবেন। ইতালি কিন্তু এবারও বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি সরাসরি। মাঝেমধ্যে ভাগ্যের দরকার হয়।

বাজি কেলেঙ্কারিতে কিছুদিন ধরেই টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। এই অভিযোগে গত দুই মাসে নিষেধাজ্ঞার হিড়িক চলছে দেশটিতে। এবার আরও একটি বাজে খবর এল তুর্কি ফুটবলে। অবৈধ বাজি ধরার অভিযোগে আজ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটররা। এর মধ্যে ২৯ জনই ফুটবলার।
৪ মিনিট আগে
মৌসুমের শুরুটা তারা করেছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ড্র করে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস। আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এনিয়ে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল করে বড় জয় আদায় করল মারিও গোমেসের
২৪ মিনিট আগে
পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
১ ঘণ্টা আগে
টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বাজি কেলেঙ্কারিতে কিছুদিন ধরেই টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। এই অভিযোগে গত দুই মাসে নিষেধাজ্ঞার হিড়িক চলছে দেশটিতে। এবার আরও একটি বাজে খবর এল তুর্কি ফুটবলে। অবৈধ বাজি ধরার অভিযোগে আজ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটররা। এর মধ্যে ২৯ জনই ফুটবলার।
অভিযুক্ত ফুটবলাররা কোন ক্লাবের সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে তৃতীয়-বিভাগের একটি ম্যাচে বাজি কাণ্ডে জড়ায় দুটি ক্লাব। বাজি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন খোদ ওই দুই ক্লাবের সভাপতি।
প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের আদেশে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে পুলিশ এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে আটক করেছে। পাঁচজন বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত খেলোয়াড়দের মধ্যে ২৭ জন তাদের নিজস্ব দলের ম্যাচে বাজি ধরার অভিযোগে অভিযুক্ত।
তাদের মধ্যে একজন হলেন মেতেহান বালতাচি, যিনি বর্তমান তুর্কি চ্যাম্পিয়ন গালাতাসারাইয়ের হয়ে খেলছেন। এই মাসের শুরুতে বাজি কেলেঙ্কারিতে তাঁকে নয় মাসের জন্য বরখাস্ত করেছিল তুর্কি ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযুক্ত ম্যাচটি সহজেই তদন্তকারীদের দৃষ্টিতে আসে। কারণ, সে ম্যাচে কোনো দলই গোল করার জন্য ন্যূনতম চেষ্টা করেনি। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেখান থেকেই পুরো তদন্ত শুরু হয়েছিল।
প্রসিকিউটররা তাদের নিজস্ব দলের সাথে বাজি ধরার সন্দেহে থাকা অন্য ২৬ জন খেলোয়াড়কে শনাক্ত করতে পারেননি। তবে বলেছেন যে ইস্তাম্বুলের আরেকটি প্রধান ক্লাব ফেনারবাচের হয়ে খেলা মের্ট হাকান ইয়ান্দাস অন্য কারো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাজি ধরেছিলেন।
এখন পর্যন্ত ১০০০ এর বেশি তুর্কি খেলোয়াড়কে বরখাস্ত করেছে টিএফএফ। এর মধ্যে দেশটির সুপার লিগের ২৫ জন ফুটবলার আছেন। এদের ৪৫ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ৯০০ জনেরও বেশি ফুটবলার তৃতীয় এবং চতুর্থ বিভাগের। বাজি কাণ্ডে গত অক্টোবরে প্রায় ১৫০ জন রেফারিকে বরখাস্ত করেছে টিএফএফ।

বাজি কেলেঙ্কারিতে কিছুদিন ধরেই টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। এই অভিযোগে গত দুই মাসে নিষেধাজ্ঞার হিড়িক চলছে দেশটিতে। এবার আরও একটি বাজে খবর এল তুর্কি ফুটবলে। অবৈধ বাজি ধরার অভিযোগে আজ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটররা। এর মধ্যে ২৯ জনই ফুটবলার।
অভিযুক্ত ফুটবলাররা কোন ক্লাবের সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে তৃতীয়-বিভাগের একটি ম্যাচে বাজি কাণ্ডে জড়ায় দুটি ক্লাব। বাজি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন খোদ ওই দুই ক্লাবের সভাপতি।
প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের আদেশে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে পুলিশ এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে আটক করেছে। পাঁচজন বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত খেলোয়াড়দের মধ্যে ২৭ জন তাদের নিজস্ব দলের ম্যাচে বাজি ধরার অভিযোগে অভিযুক্ত।
তাদের মধ্যে একজন হলেন মেতেহান বালতাচি, যিনি বর্তমান তুর্কি চ্যাম্পিয়ন গালাতাসারাইয়ের হয়ে খেলছেন। এই মাসের শুরুতে বাজি কেলেঙ্কারিতে তাঁকে নয় মাসের জন্য বরখাস্ত করেছিল তুর্কি ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযুক্ত ম্যাচটি সহজেই তদন্তকারীদের দৃষ্টিতে আসে। কারণ, সে ম্যাচে কোনো দলই গোল করার জন্য ন্যূনতম চেষ্টা করেনি। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেখান থেকেই পুরো তদন্ত শুরু হয়েছিল।
প্রসিকিউটররা তাদের নিজস্ব দলের সাথে বাজি ধরার সন্দেহে থাকা অন্য ২৬ জন খেলোয়াড়কে শনাক্ত করতে পারেননি। তবে বলেছেন যে ইস্তাম্বুলের আরেকটি প্রধান ক্লাব ফেনারবাচের হয়ে খেলা মের্ট হাকান ইয়ান্দাস অন্য কারো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাজি ধরেছিলেন।
এখন পর্যন্ত ১০০০ এর বেশি তুর্কি খেলোয়াড়কে বরখাস্ত করেছে টিএফএফ। এর মধ্যে দেশটির সুপার লিগের ২৫ জন ফুটবলার আছেন। এদের ৪৫ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ৯০০ জনেরও বেশি ফুটবলার তৃতীয় এবং চতুর্থ বিভাগের। বাজি কাণ্ডে গত অক্টোবরে প্রায় ১৫০ জন রেফারিকে বরখাস্ত করেছে টিএফএফ।

একটি কাউন্টার অ্যাটাক, একটি নিখুঁত অ্যাসিস্ট; আর একটি গোল। তাতে ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর অনাবিল আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। গোল করে নায়ক শেখ মোরসালিন, তাঁকে নায়ক হওয়ার উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব শোনালেন মাঠের গল্প, অনুভূতি ও দলের পরবর্তী পথচলার কথা।
১৪ দিন আগে
মৌসুমের শুরুটা তারা করেছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ড্র করে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস। আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এনিয়ে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল করে বড় জয় আদায় করল মারিও গোমেসের
২৪ মিনিট আগে
পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
১ ঘণ্টা আগে
টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মৌসুমের শুরুটা তারা করেছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ড্র করে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস। আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এনিয়ে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল করে বড় জয় আদায় করল মারিও গোমেসের দল।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে কিংসকে ৪১ মিনিটের বেশি সামলে রাখতে পারেনি ব্রাদার্স। রাকিব হোসেন ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ডানপ্রান্ত ত্রাস সৃষ্টি করা এই উইঙ্গার পেয়েছেন হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্টের স্বাদ। যদিও গোলের দেখা পাননি। দোরিয়েলতনকে দিয়ে প্রথম গোলের উপলক্ষ্য এনে দেন তিনি। ডানপ্রান্ত দিয়ে বাড়ানো ক্রস দুই ডিফেন্ডারের মাথার ওপর দিয়ে হেডে জালে পাঠান দোরিয়েলতন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। দোরিয়েলতনের শট ব্রাদার্স গোলরক্ষক ইশাক আলী ফিরিয়ে দিলেও রিবাউন্ড শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
বিরতির পর আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে কিংস। ৫০ মিনিটে রাকিবের কাটব্যাক থেকে বার ঘেঁষে গোল আদায় করেন এমানুয়েল সানডে। চার মিনিট পর আবারও রাকিবের অ্যাসিস্ট। এবার তাঁর ব্যাকপাসে ডিফ্লেক্টেড শটে বল জালে পাঠান সোহেল রানা জুনিয়র। ৭৭ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের লং পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান দোরিয়েলতন। ৯০ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান কমান ব্রাদার্সের মোজাম্মেল হোসেন নীরা।
৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করল কিংস। দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া ব্রাদার্স ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে চারে।

মৌসুমের শুরুটা তারা করেছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ড্র করে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস। আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এনিয়ে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল করে বড় জয় আদায় করল মারিও গোমেসের দল।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে কিংসকে ৪১ মিনিটের বেশি সামলে রাখতে পারেনি ব্রাদার্স। রাকিব হোসেন ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ডানপ্রান্ত ত্রাস সৃষ্টি করা এই উইঙ্গার পেয়েছেন হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্টের স্বাদ। যদিও গোলের দেখা পাননি। দোরিয়েলতনকে দিয়ে প্রথম গোলের উপলক্ষ্য এনে দেন তিনি। ডানপ্রান্ত দিয়ে বাড়ানো ক্রস দুই ডিফেন্ডারের মাথার ওপর দিয়ে হেডে জালে পাঠান দোরিয়েলতন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। দোরিয়েলতনের শট ব্রাদার্স গোলরক্ষক ইশাক আলী ফিরিয়ে দিলেও রিবাউন্ড শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
বিরতির পর আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে কিংস। ৫০ মিনিটে রাকিবের কাটব্যাক থেকে বার ঘেঁষে গোল আদায় করেন এমানুয়েল সানডে। চার মিনিট পর আবারও রাকিবের অ্যাসিস্ট। এবার তাঁর ব্যাকপাসে ডিফ্লেক্টেড শটে বল জালে পাঠান সোহেল রানা জুনিয়র। ৭৭ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের লং পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান দোরিয়েলতন। ৯০ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান কমান ব্রাদার্সের মোজাম্মেল হোসেন নীরা।
৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করল কিংস। দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া ব্রাদার্স ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে চারে।

একটি কাউন্টার অ্যাটাক, একটি নিখুঁত অ্যাসিস্ট; আর একটি গোল। তাতে ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর অনাবিল আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। গোল করে নায়ক শেখ মোরসালিন, তাঁকে নায়ক হওয়ার উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব শোনালেন মাঠের গল্প, অনুভূতি ও দলের পরবর্তী পথচলার কথা।
১৪ দিন আগে
বাজি কেলেঙ্কারিতে কিছুদিন ধরেই টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। এই অভিযোগে গত দুই মাসে নিষেধাজ্ঞার হিড়িক চলছে দেশটিতে। এবার আরও একটি বাজে খবর এল তুর্কি ফুটবলে। অবৈধ বাজি ধরার অভিযোগে আজ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটররা। এর মধ্যে ২৯ জনই ফুটবলার।
৪ মিনিট আগে
পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
১ ঘণ্টা আগে
টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
এ বছরের অক্টোবরে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আলবা। ২০২৫ এমএলএস দিয়ে শেষ করবেন তাঁর দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন আলবা। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের সময় মুহূর্তটা কেমন হবে, সেটা অনুভব করতে পারছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘এটা একেবারে আলাদা। কারণ, আমি জানি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। অবশ্যই এটা ফাইনাল ম্যাচ। এর গুরুত্ব আছে। কিন্তু এটা ক্লাব ছাপিয়ে বড় কিছু। যা-ই হোক না কেন, আমি ছেড়ে যাচ্ছি। অবশ্যই শিরোপা দিয়ে শেষ করতে চাই।’
২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১ বছর বার্সেলোনায় খেলেছেন জর্দি আলবা। যে ২০২৩ সালে মেসি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে গিয়েছেন, সে বছরই আলবা পাড়ি জমান ইন্টার মায়ামিতে। বার্সা থেকে যখন বিদায় নিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তের কথা এমএলএস কাপ ফাইনালের আগের দিন স্মরণ করেছেন। আলবা বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এটা সামলাব। সেই আবেগময় মুহূর্তটা অনুভব করা যায় না। বার্সেলোনার হয়ে আমার শেষ ম্যাচের দিনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এটা (এমএলএস কাপ ফাইনাল) তো শুধু দলবদল নয়। আমার তো এরপর আর মাঠেই নামা হবে না।’
ইন্টার মায়ামি যেন বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। মেসি, সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেতস, আলবারা ফের মিলেছেন মায়ামিতে এসে। মেসি আসার পর ২০২৩ সালে লিগস কাপ, ২০২৪ সালে সাপোর্টার্স শিল্ড—এই দুটি শিরোপা জিতেছে মায়ামি। যে স্টেডিয়ামেই ইন্টার মায়ামির ম্যাচ হোক না কেন, মেসির খেলা দেখতে গ্যালারি ভরপুর হয়ে ওঠে। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে ভক্ত-সমর্থকেরা উন্মুখ হয়ে থাকেন। গত বছর কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের যে স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার খেলা হয়েছে, সেখানে তাঁর জার্সি পরিহিত ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে দেখা গেছে।
মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে আবার যে পুনরায় একত্র হতে পেরেছেন, সেটা আলবার কাছে রোমাঞ্চকর। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেন, ‘নতুন একধরনের অভিজ্ঞতা হবে। তবে রোমাঞ্চকর। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে আবার পুনর্মিলন হয়েছে। ক্লাবটা (ইন্টার মায়ামি) কতটা গড়ে উঠেছে, সেটা স্পষ্ট। ফাইনালে ওঠা ইন্টার মায়ামির জন্য ঐতিহাসিক। তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলতে পেরে সৌভাগ্য।’ বার্সার জার্সিতে আলবা ছয়বার লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল জিতলে মায়ামির হয়ে শিরোপার হ্যাটট্রিক করবেন তিনি। মেসির মতো আলবাও মায়ামির হয়ে লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ডের শিরোপা জিতেছেন।

পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
এ বছরের অক্টোবরে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আলবা। ২০২৫ এমএলএস দিয়ে শেষ করবেন তাঁর দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন আলবা। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের সময় মুহূর্তটা কেমন হবে, সেটা অনুভব করতে পারছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘এটা একেবারে আলাদা। কারণ, আমি জানি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। অবশ্যই এটা ফাইনাল ম্যাচ। এর গুরুত্ব আছে। কিন্তু এটা ক্লাব ছাপিয়ে বড় কিছু। যা-ই হোক না কেন, আমি ছেড়ে যাচ্ছি। অবশ্যই শিরোপা দিয়ে শেষ করতে চাই।’
২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১ বছর বার্সেলোনায় খেলেছেন জর্দি আলবা। যে ২০২৩ সালে মেসি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে গিয়েছেন, সে বছরই আলবা পাড়ি জমান ইন্টার মায়ামিতে। বার্সা থেকে যখন বিদায় নিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তের কথা এমএলএস কাপ ফাইনালের আগের দিন স্মরণ করেছেন। আলবা বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এটা সামলাব। সেই আবেগময় মুহূর্তটা অনুভব করা যায় না। বার্সেলোনার হয়ে আমার শেষ ম্যাচের দিনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এটা (এমএলএস কাপ ফাইনাল) তো শুধু দলবদল নয়। আমার তো এরপর আর মাঠেই নামা হবে না।’
ইন্টার মায়ামি যেন বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। মেসি, সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেতস, আলবারা ফের মিলেছেন মায়ামিতে এসে। মেসি আসার পর ২০২৩ সালে লিগস কাপ, ২০২৪ সালে সাপোর্টার্স শিল্ড—এই দুটি শিরোপা জিতেছে মায়ামি। যে স্টেডিয়ামেই ইন্টার মায়ামির ম্যাচ হোক না কেন, মেসির খেলা দেখতে গ্যালারি ভরপুর হয়ে ওঠে। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে ভক্ত-সমর্থকেরা উন্মুখ হয়ে থাকেন। গত বছর কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের যে স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার খেলা হয়েছে, সেখানে তাঁর জার্সি পরিহিত ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে দেখা গেছে।
মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে আবার যে পুনরায় একত্র হতে পেরেছেন, সেটা আলবার কাছে রোমাঞ্চকর। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেন, ‘নতুন একধরনের অভিজ্ঞতা হবে। তবে রোমাঞ্চকর। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে আবার পুনর্মিলন হয়েছে। ক্লাবটা (ইন্টার মায়ামি) কতটা গড়ে উঠেছে, সেটা স্পষ্ট। ফাইনালে ওঠা ইন্টার মায়ামির জন্য ঐতিহাসিক। তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলতে পেরে সৌভাগ্য।’ বার্সার জার্সিতে আলবা ছয়বার লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল জিতলে মায়ামির হয়ে শিরোপার হ্যাটট্রিক করবেন তিনি। মেসির মতো আলবাও মায়ামির হয়ে লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ডের শিরোপা জিতেছেন।

একটি কাউন্টার অ্যাটাক, একটি নিখুঁত অ্যাসিস্ট; আর একটি গোল। তাতে ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর অনাবিল আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। গোল করে নায়ক শেখ মোরসালিন, তাঁকে নায়ক হওয়ার উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব শোনালেন মাঠের গল্প, অনুভূতি ও দলের পরবর্তী পথচলার কথা।
১৪ দিন আগে
বাজি কেলেঙ্কারিতে কিছুদিন ধরেই টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। এই অভিযোগে গত দুই মাসে নিষেধাজ্ঞার হিড়িক চলছে দেশটিতে। এবার আরও একটি বাজে খবর এল তুর্কি ফুটবলে। অবৈধ বাজি ধরার অভিযোগে আজ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটররা। এর মধ্যে ২৯ জনই ফুটবলার।
৪ মিনিট আগে
মৌসুমের শুরুটা তারা করেছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ড্র করে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস। আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এনিয়ে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল করে বড় জয় আদায় করল মারিও গোমেসের
২৪ মিনিট আগে
টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং বোলার নেই।
সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের বোলিং লাইনের দুর্বলতা কেমন চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজই সেটার বড় প্রমাণ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৪৯ রান করেও স্বস্তিতে ছিল না স্বাগতিকেরা। বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও অলআউট হওয়ার আগে ৩২২ রান করে অতিথিরা।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের পুঁজি ছিল আরও বেশি; ৩৫৮ রানের। এবার আর রক্ষা হয়নি লোকেশ রাহুলদের। ৪ বল এবং সমান উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮.২ ওভারে ৮৫ রান দেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ১০ ওভার বল করা হার্শিত রানার খরচ ৭০ রান। এর আগে প্রথম ম্যাচেও খরুচে বোলিং করেছিলেন আর্শদীপ সিং, রানা, কুলদীপ, রবীন্দ্র জাদেজারা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেন, ‘ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বুমরাহ ছাড়াও সিরাজ অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে। ভারত এমন সব টেস্ট জিতেছে যেখানে বুমরাহ খেলেনি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে এমন সব বোলার খুঁজে বের করতে হবে যারা ম্যাচ জেতাতে পারবে। সেটা হোক পেসার কিংবা স্পিনার। এমন স্পিনার খুঁজে বের করতে হবে যারা মাঠে নেমে উইকেট নিতে পারে। দলে কুলদীপ আছে। কিন্তু বাকিদের কী হবে?’
দারুণ ফর্মে থাকার পরও অজানা কারণে দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ শামি। যেটা নিয়ে ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে ধুয়ে দিয়েছেন হরভজন, ‘শামি কোথায়? আমি জানি না কেন তাকে খেলাতে হচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি, দলে প্রসিধ আছে। সে একজন ভালো বোলার। কিন্তু তার এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। দলে কয়েকজন ভালো বোলার ছিল। ধীরে ধীরে তাদের দলের বাইরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুমরা দলে থাকলে ভারতের বোলিং আক্রমণ ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সে না থাকলে তেমন ধার থাকে না। তাই ভারতীয় দলকে বুমরা ছাড়া আমাদের খেলা জেতার কৌশল শিখতে হবে।’

টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং বোলার নেই।
সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের বোলিং লাইনের দুর্বলতা কেমন চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজই সেটার বড় প্রমাণ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৪৯ রান করেও স্বস্তিতে ছিল না স্বাগতিকেরা। বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও অলআউট হওয়ার আগে ৩২২ রান করে অতিথিরা।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের পুঁজি ছিল আরও বেশি; ৩৫৮ রানের। এবার আর রক্ষা হয়নি লোকেশ রাহুলদের। ৪ বল এবং সমান উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮.২ ওভারে ৮৫ রান দেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ১০ ওভার বল করা হার্শিত রানার খরচ ৭০ রান। এর আগে প্রথম ম্যাচেও খরুচে বোলিং করেছিলেন আর্শদীপ সিং, রানা, কুলদীপ, রবীন্দ্র জাদেজারা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেন, ‘ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বুমরাহ ছাড়াও সিরাজ অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে। ভারত এমন সব টেস্ট জিতেছে যেখানে বুমরাহ খেলেনি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে এমন সব বোলার খুঁজে বের করতে হবে যারা ম্যাচ জেতাতে পারবে। সেটা হোক পেসার কিংবা স্পিনার। এমন স্পিনার খুঁজে বের করতে হবে যারা মাঠে নেমে উইকেট নিতে পারে। দলে কুলদীপ আছে। কিন্তু বাকিদের কী হবে?’
দারুণ ফর্মে থাকার পরও অজানা কারণে দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ শামি। যেটা নিয়ে ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে ধুয়ে দিয়েছেন হরভজন, ‘শামি কোথায়? আমি জানি না কেন তাকে খেলাতে হচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি, দলে প্রসিধ আছে। সে একজন ভালো বোলার। কিন্তু তার এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। দলে কয়েকজন ভালো বোলার ছিল। ধীরে ধীরে তাদের দলের বাইরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুমরা দলে থাকলে ভারতের বোলিং আক্রমণ ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সে না থাকলে তেমন ধার থাকে না। তাই ভারতীয় দলকে বুমরা ছাড়া আমাদের খেলা জেতার কৌশল শিখতে হবে।’

একটি কাউন্টার অ্যাটাক, একটি নিখুঁত অ্যাসিস্ট; আর একটি গোল। তাতে ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর অনাবিল আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশ। গোল করে নায়ক শেখ মোরসালিন, তাঁকে নায়ক হওয়ার উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকিব শোনালেন মাঠের গল্প, অনুভূতি ও দলের পরবর্তী পথচলার কথা।
১৪ দিন আগে
বাজি কেলেঙ্কারিতে কিছুদিন ধরেই টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। এই অভিযোগে গত দুই মাসে নিষেধাজ্ঞার হিড়িক চলছে দেশটিতে। এবার আরও একটি বাজে খবর এল তুর্কি ফুটবলে। অবৈধ বাজি ধরার অভিযোগে আজ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটররা। এর মধ্যে ২৯ জনই ফুটবলার।
৪ মিনিট আগে
মৌসুমের শুরুটা তারা করেছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ড্র করে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস। আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এনিয়ে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল করে বড় জয় আদায় করল মারিও গোমেসের
২৪ মিনিট আগে
পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
১ ঘণ্টা আগে