
আবারও আকবর আলীর মুখে শিরোপার হাসি। ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবে যেন নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন। এনসিএল টি-টোয়েন্টির পর তাঁর নেতৃত্বে রংপুর জিতেছে জাতীয় লিগের শিরোপাও। পরশু শিরোপা জিতে ফোনে যে প্রতিক্রিয়া জানালেন, সেটি সাক্ষাৎকারে রূপ নিল। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: ডাবল জেতার অনুভূতি কী?
আকবর আলী: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।
প্রশ্ন: জাতীয় লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে হেরে যাওয়ায় রংপুরকে শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কীভাবে?
আকবর: শুধু এই ছয় নম্বর ম্যাচটা হারায় আমরা একটু পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া আমরা এক নম্বরেই ছিলাম প্রায় পুরো লিগে। এমনকি যখন পাঁচ নম্বর রাউন্ড শুরু করি, তখনো এক নম্বরে ছিলাম। ছয় নম্বর রাউন্ডে আমরা হেরে গিয়ে একটু পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সিলেট জিতে গেলে তো হতো না। সিলেটের আর ময়মনসিংহের নেতিবাচক ফল দরকার ছিল আমাদের জন্য।
প্রশ্ন: এনসিএল টি-টোয়েন্টি যখন শেষ করলেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে। তখন আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পরবর্তী লক্ষ্য লাল বলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া। লক্ষ্য পূরণ হলো।
আকবর: চ্যাম্পিয়নশিপের তো একটা লক্ষ্য থাকেই। সাধারণত ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ। আর যখন আপনি বেশি ম্যাচ জিতবেন, সাধারণত যেটা হয় যে চার দিনের যখন ছয়—এবারই তো প্রথম সাত রাউন্ডের ম্যাচ খেলছি। সাধারণত আগে ছয় রাউন্ডের খেলা হতো। তো ছয় রাউন্ডে যেটা হয় যে আপনি তিনটা ম্যাচ জিতলে আর একটা-দুইটা ড্র করলে, একটা যদি হেরেও যাই, তা-ও দেখা যায়, চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে যায়। এবার যেহেতু সাত রাউন্ড ছিল, আমরা আশা করেছিলাম, দল চারটা ম্যাচ জিতবে, তারাই চ্যাম্পিয়ন হবে। তো চারটা হয়নি, তিনটা হয়েছে। বাকি সব কটি ড্র ছিল, একটা হার ছিল। এভাবে আসলে হয়ে গেছে।
প্রশ্ন: ঠিক, জয় যত বেশি, তার ঘরে ট্রফি আসার সম্ভাবনা বেশি।
আকবর: স্বাভাবিক। কারণ, আপনার ড্রয়ে হচ্ছে ২ পয়েন্ট; আর জিতলে ৮ পয়েন্ট। এটা অনেক বড় কিছু। কোনো দল চারটা ম্যাচ ড্র করল আর একটা দল তিন ম্যাচ হেরে একটা জিতল, শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট একই। লাল বলের ক্রিকেটে জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে উইকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: এ কারণে সিলেট পাঁচ ড্র, দুই জয়, কোনো হার নেই; তবু চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না।
আকবর: এ রকম আমাদেরও একবার হয়েছিল। ২০২৩ সালে সম্ভবত। যে আমরা দুটি ম্যাচ জিতেছিলাম, চারটি ড্র করেছিলাম। একটা ম্যাচও হারিনি। অপরাজিত ছিলাম। কিন্তু তারপরও আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। ঢাকা বিভাগ ৩ ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে। ৩ ম্যাচ জিতেছিল। তারা মনে হয় একটা না, দুইটা হার ছিল। তারপরও ওরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন: তার মানে, লাল বলে ফলটা খুব জরুরি।
আকবর: অবশ্যই। অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় রংপুরের কেউ নেই। তবু আপনাদের চ্যাম্পিয়ন হতে সমস্যা হয়নি।
আকবর: (হাসি) এর কারণ হলো, যখন যার প্রয়োজন ছিল, সে পারফর্ম করেছে। হ্যাঁ, অবশ্যই সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হলে ভালো লাগত রংপুর বিভাগ থেকে। তখন আরও দাপট দেখিয়ে জিততে পারতাম। কিন্তু আসলে, ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্স ছিল আমাদের অনেকের।
প্রশ্ন: ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্সের কথা বললে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর কথা আসবে।
আকবর: আমার মনে হয়, পুরো টুর্নামেন্টের সেরা বোলার ছিল সে। সাধারণত আমি তার ভক্ত। কারণ, সে যদি ফর্মে থাকে, ফিট থাকে—বাংলাদেশে অন্যতম সেরা বোলার।
প্রশ্ন: মুগ্ধর কোন দিকটা আপনার বেশি ভালো লাগে?
আকবর: সে অনেকটাই স্বাভাবিক। যা চায়, সেটা আসলে করতে পারে। সে যদি চায় ইন সুইং করাবে, ইন সুইং করাতে পারে। আউট সুইং করাতে চাইলে তা-ও পারে। আল্লাহর রহমতে অনেক স্বাভাবিক প্রতিভা। বিকেএসপিতে আমরা একসঙ্গে ছিলাম অনেক দিন। তাকে যেটা দেখেছি, অনেক পেসার যেমন এক সপ্তাহ, এক মাস অনুশীলন করে যেটা করতে পারে না, মুগ্ধ এক দিনের অনুশীলনেই সেটা করতে পারে।
প্রশ্ন: শিরোপার ডাবল তো হলো। কিন্তু একটা আফসোস কি থেকে গেল নাকি যে কাতারে রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ জিততে পারলেই এ বছর ট্রেবল জেতার একটা সুযোগ ছিল আপনার?
আকবর: সেই আফসোস আছে। এখনো আছে। মনে হয়, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের এটা সারা জীবন থাকবে। যতবার এটার কথা মনে করাবেন, এই যে এখন মনে করালেন, এখন আবার আফসোস হচ্ছে। যখন কোনো কিছু জেতেন, সেটার ভালো মুহূর্তগুলো আপনার সব সময় মনে থাকে এবং যতবার আপনি সেটা শোনেন, সেটার ছবি দেখেন, উৎফুল্ল থাকেন। একইভাবে যেমন কোনো একটা খারাপ বিষয়, সেটার স্মৃতি সব সময় থাকবে।
প্রশ্ন: ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পরিবর্তনটা কেমন দেখছেন?
আকবর: আমার অভিষেকের পর থেকে দেখছি, সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট হয়েছে এবার। যদি টেকনিক্যালি দেখেন, শেষ রাউন্ডে পাঁচ দলেরই সুযোগ ছিল চ্যাম্পিয়নশিপের। তো এ রকম প্রতিযোগিতা আগে কখনোই দেখিনি। একটু উনিশ-বিশ হলে যারা পাঁচ নম্বরে ছিল, সম্ভবত চট্টগ্রাম বা বরিশাল, তারাও চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারত। ভালো প্রতিযোগিতা ছিল এবার।
প্রশ্ন: উইকেট, সুযোগ-সুবিধা—সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কী ধরনের পরিবর্তন দেখছেন?
আকবর: সুযোগ-সুবিধার কথা যদি বলেন, ভেন্যুতে খুবই ভালো পেয়েছি। হয়তোবা কক্সবাজারে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু সিলেট, বগুড়া, রাজশাহী খুবই ভালো ছিল। যদিও রাজশাহীতে এ বছর খেলিনি। যতটুকু শুনছি, খুবই ভালো ছিল। তবে সবাই জানি, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা উইকেট বগুড়ায়।
প্রশ্ন: বিপিএল সামনে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ট্রেবল জেতার সুযোগ নিশ্চয় আছে?
আকবর: ইনশা আল্লাহ, চেষ্টা করব। সেটা নির্ভর করছে আমরা দল (রাজশাহী) হিসেবে কীভাবে খেলতে পারছি।
প্রশ্ন: ডাবল জেতার অনুভূতি কী?
আকবর আলী: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।
প্রশ্ন: জাতীয় লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে হেরে যাওয়ায় রংপুরকে শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কীভাবে?
আকবর: শুধু এই ছয় নম্বর ম্যাচটা হারায় আমরা একটু পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া আমরা এক নম্বরেই ছিলাম প্রায় পুরো লিগে। এমনকি যখন পাঁচ নম্বর রাউন্ড শুরু করি, তখনো এক নম্বরে ছিলাম। ছয় নম্বর রাউন্ডে আমরা হেরে গিয়ে একটু পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সিলেট জিতে গেলে তো হতো না। সিলেটের আর ময়মনসিংহের নেতিবাচক ফল দরকার ছিল আমাদের জন্য।
প্রশ্ন: এনসিএল টি-টোয়েন্টি যখন শেষ করলেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে। তখন আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পরবর্তী লক্ষ্য লাল বলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া। লক্ষ্য পূরণ হলো।
আকবর: চ্যাম্পিয়নশিপের তো একটা লক্ষ্য থাকেই। সাধারণত ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ। আর যখন আপনি বেশি ম্যাচ জিতবেন, সাধারণত যেটা হয় যে চার দিনের যখন ছয়—এবারই তো প্রথম সাত রাউন্ডের ম্যাচ খেলছি। সাধারণত আগে ছয় রাউন্ডের খেলা হতো। তো ছয় রাউন্ডে যেটা হয় যে আপনি তিনটা ম্যাচ জিতলে আর একটা-দুইটা ড্র করলে, একটা যদি হেরেও যাই, তা-ও দেখা যায়, চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে যায়। এবার যেহেতু সাত রাউন্ড ছিল, আমরা আশা করেছিলাম, দল চারটা ম্যাচ জিতবে, তারাই চ্যাম্পিয়ন হবে। তো চারটা হয়নি, তিনটা হয়েছে। বাকি সব কটি ড্র ছিল, একটা হার ছিল। এভাবে আসলে হয়ে গেছে।
প্রশ্ন: ঠিক, জয় যত বেশি, তার ঘরে ট্রফি আসার সম্ভাবনা বেশি।
আকবর: স্বাভাবিক। কারণ, আপনার ড্রয়ে হচ্ছে ২ পয়েন্ট; আর জিতলে ৮ পয়েন্ট। এটা অনেক বড় কিছু। কোনো দল চারটা ম্যাচ ড্র করল আর একটা দল তিন ম্যাচ হেরে একটা জিতল, শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট একই। লাল বলের ক্রিকেটে জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে উইকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: এ কারণে সিলেট পাঁচ ড্র, দুই জয়, কোনো হার নেই; তবু চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না।
আকবর: এ রকম আমাদেরও একবার হয়েছিল। ২০২৩ সালে সম্ভবত। যে আমরা দুটি ম্যাচ জিতেছিলাম, চারটি ড্র করেছিলাম। একটা ম্যাচও হারিনি। অপরাজিত ছিলাম। কিন্তু তারপরও আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। ঢাকা বিভাগ ৩ ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে। ৩ ম্যাচ জিতেছিল। তারা মনে হয় একটা না, দুইটা হার ছিল। তারপরও ওরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন: তার মানে, লাল বলে ফলটা খুব জরুরি।
আকবর: অবশ্যই। অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় রংপুরের কেউ নেই। তবু আপনাদের চ্যাম্পিয়ন হতে সমস্যা হয়নি।
আকবর: (হাসি) এর কারণ হলো, যখন যার প্রয়োজন ছিল, সে পারফর্ম করেছে। হ্যাঁ, অবশ্যই সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হলে ভালো লাগত রংপুর বিভাগ থেকে। তখন আরও দাপট দেখিয়ে জিততে পারতাম। কিন্তু আসলে, ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্স ছিল আমাদের অনেকের।
প্রশ্ন: ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্সের কথা বললে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর কথা আসবে।
আকবর: আমার মনে হয়, পুরো টুর্নামেন্টের সেরা বোলার ছিল সে। সাধারণত আমি তার ভক্ত। কারণ, সে যদি ফর্মে থাকে, ফিট থাকে—বাংলাদেশে অন্যতম সেরা বোলার।
প্রশ্ন: মুগ্ধর কোন দিকটা আপনার বেশি ভালো লাগে?
আকবর: সে অনেকটাই স্বাভাবিক। যা চায়, সেটা আসলে করতে পারে। সে যদি চায় ইন সুইং করাবে, ইন সুইং করাতে পারে। আউট সুইং করাতে চাইলে তা-ও পারে। আল্লাহর রহমতে অনেক স্বাভাবিক প্রতিভা। বিকেএসপিতে আমরা একসঙ্গে ছিলাম অনেক দিন। তাকে যেটা দেখেছি, অনেক পেসার যেমন এক সপ্তাহ, এক মাস অনুশীলন করে যেটা করতে পারে না, মুগ্ধ এক দিনের অনুশীলনেই সেটা করতে পারে।
প্রশ্ন: শিরোপার ডাবল তো হলো। কিন্তু একটা আফসোস কি থেকে গেল নাকি যে কাতারে রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ জিততে পারলেই এ বছর ট্রেবল জেতার একটা সুযোগ ছিল আপনার?
আকবর: সেই আফসোস আছে। এখনো আছে। মনে হয়, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের এটা সারা জীবন থাকবে। যতবার এটার কথা মনে করাবেন, এই যে এখন মনে করালেন, এখন আবার আফসোস হচ্ছে। যখন কোনো কিছু জেতেন, সেটার ভালো মুহূর্তগুলো আপনার সব সময় মনে থাকে এবং যতবার আপনি সেটা শোনেন, সেটার ছবি দেখেন, উৎফুল্ল থাকেন। একইভাবে যেমন কোনো একটা খারাপ বিষয়, সেটার স্মৃতি সব সময় থাকবে।
প্রশ্ন: ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পরিবর্তনটা কেমন দেখছেন?
আকবর: আমার অভিষেকের পর থেকে দেখছি, সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট হয়েছে এবার। যদি টেকনিক্যালি দেখেন, শেষ রাউন্ডে পাঁচ দলেরই সুযোগ ছিল চ্যাম্পিয়নশিপের। তো এ রকম প্রতিযোগিতা আগে কখনোই দেখিনি। একটু উনিশ-বিশ হলে যারা পাঁচ নম্বরে ছিল, সম্ভবত চট্টগ্রাম বা বরিশাল, তারাও চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারত। ভালো প্রতিযোগিতা ছিল এবার।
প্রশ্ন: উইকেট, সুযোগ-সুবিধা—সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কী ধরনের পরিবর্তন দেখছেন?
আকবর: সুযোগ-সুবিধার কথা যদি বলেন, ভেন্যুতে খুবই ভালো পেয়েছি। হয়তোবা কক্সবাজারে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু সিলেট, বগুড়া, রাজশাহী খুবই ভালো ছিল। যদিও রাজশাহীতে এ বছর খেলিনি। যতটুকু শুনছি, খুবই ভালো ছিল। তবে সবাই জানি, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা উইকেট বগুড়ায়।
প্রশ্ন: বিপিএল সামনে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ট্রেবল জেতার সুযোগ নিশ্চয় আছে?
আকবর: ইনশা আল্লাহ, চেষ্টা করব। সেটা নির্ভর করছে আমরা দল (রাজশাহী) হিসেবে কীভাবে খেলতে পারছি।

আবারও আকবর আলীর মুখে শিরোপার হাসি। ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবে যেন নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন। এনসিএল টি-টোয়েন্টির পর তাঁর নেতৃত্বে রংপুর জিতেছে জাতীয় লিগের শিরোপাও। পরশু শিরোপা জিতে ফোনে যে প্রতিক্রিয়া জানালেন, সেটি সাক্ষাৎকারে রূপ নিল। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: ডাবল জেতার অনুভূতি কী?
আকবর আলী: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।
প্রশ্ন: জাতীয় লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে হেরে যাওয়ায় রংপুরকে শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কীভাবে?
আকবর: শুধু এই ছয় নম্বর ম্যাচটা হারায় আমরা একটু পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া আমরা এক নম্বরেই ছিলাম প্রায় পুরো লিগে। এমনকি যখন পাঁচ নম্বর রাউন্ড শুরু করি, তখনো এক নম্বরে ছিলাম। ছয় নম্বর রাউন্ডে আমরা হেরে গিয়ে একটু পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সিলেট জিতে গেলে তো হতো না। সিলেটের আর ময়মনসিংহের নেতিবাচক ফল দরকার ছিল আমাদের জন্য।
প্রশ্ন: এনসিএল টি-টোয়েন্টি যখন শেষ করলেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে। তখন আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পরবর্তী লক্ষ্য লাল বলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া। লক্ষ্য পূরণ হলো।
আকবর: চ্যাম্পিয়নশিপের তো একটা লক্ষ্য থাকেই। সাধারণত ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ। আর যখন আপনি বেশি ম্যাচ জিতবেন, সাধারণত যেটা হয় যে চার দিনের যখন ছয়—এবারই তো প্রথম সাত রাউন্ডের ম্যাচ খেলছি। সাধারণত আগে ছয় রাউন্ডের খেলা হতো। তো ছয় রাউন্ডে যেটা হয় যে আপনি তিনটা ম্যাচ জিতলে আর একটা-দুইটা ড্র করলে, একটা যদি হেরেও যাই, তা-ও দেখা যায়, চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে যায়। এবার যেহেতু সাত রাউন্ড ছিল, আমরা আশা করেছিলাম, দল চারটা ম্যাচ জিতবে, তারাই চ্যাম্পিয়ন হবে। তো চারটা হয়নি, তিনটা হয়েছে। বাকি সব কটি ড্র ছিল, একটা হার ছিল। এভাবে আসলে হয়ে গেছে।
প্রশ্ন: ঠিক, জয় যত বেশি, তার ঘরে ট্রফি আসার সম্ভাবনা বেশি।
আকবর: স্বাভাবিক। কারণ, আপনার ড্রয়ে হচ্ছে ২ পয়েন্ট; আর জিতলে ৮ পয়েন্ট। এটা অনেক বড় কিছু। কোনো দল চারটা ম্যাচ ড্র করল আর একটা দল তিন ম্যাচ হেরে একটা জিতল, শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট একই। লাল বলের ক্রিকেটে জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে উইকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: এ কারণে সিলেট পাঁচ ড্র, দুই জয়, কোনো হার নেই; তবু চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না।
আকবর: এ রকম আমাদেরও একবার হয়েছিল। ২০২৩ সালে সম্ভবত। যে আমরা দুটি ম্যাচ জিতেছিলাম, চারটি ড্র করেছিলাম। একটা ম্যাচও হারিনি। অপরাজিত ছিলাম। কিন্তু তারপরও আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। ঢাকা বিভাগ ৩ ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে। ৩ ম্যাচ জিতেছিল। তারা মনে হয় একটা না, দুইটা হার ছিল। তারপরও ওরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন: তার মানে, লাল বলে ফলটা খুব জরুরি।
আকবর: অবশ্যই। অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় রংপুরের কেউ নেই। তবু আপনাদের চ্যাম্পিয়ন হতে সমস্যা হয়নি।
আকবর: (হাসি) এর কারণ হলো, যখন যার প্রয়োজন ছিল, সে পারফর্ম করেছে। হ্যাঁ, অবশ্যই সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হলে ভালো লাগত রংপুর বিভাগ থেকে। তখন আরও দাপট দেখিয়ে জিততে পারতাম। কিন্তু আসলে, ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্স ছিল আমাদের অনেকের।
প্রশ্ন: ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্সের কথা বললে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর কথা আসবে।
আকবর: আমার মনে হয়, পুরো টুর্নামেন্টের সেরা বোলার ছিল সে। সাধারণত আমি তার ভক্ত। কারণ, সে যদি ফর্মে থাকে, ফিট থাকে—বাংলাদেশে অন্যতম সেরা বোলার।
প্রশ্ন: মুগ্ধর কোন দিকটা আপনার বেশি ভালো লাগে?
আকবর: সে অনেকটাই স্বাভাবিক। যা চায়, সেটা আসলে করতে পারে। সে যদি চায় ইন সুইং করাবে, ইন সুইং করাতে পারে। আউট সুইং করাতে চাইলে তা-ও পারে। আল্লাহর রহমতে অনেক স্বাভাবিক প্রতিভা। বিকেএসপিতে আমরা একসঙ্গে ছিলাম অনেক দিন। তাকে যেটা দেখেছি, অনেক পেসার যেমন এক সপ্তাহ, এক মাস অনুশীলন করে যেটা করতে পারে না, মুগ্ধ এক দিনের অনুশীলনেই সেটা করতে পারে।
প্রশ্ন: শিরোপার ডাবল তো হলো। কিন্তু একটা আফসোস কি থেকে গেল নাকি যে কাতারে রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ জিততে পারলেই এ বছর ট্রেবল জেতার একটা সুযোগ ছিল আপনার?
আকবর: সেই আফসোস আছে। এখনো আছে। মনে হয়, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের এটা সারা জীবন থাকবে। যতবার এটার কথা মনে করাবেন, এই যে এখন মনে করালেন, এখন আবার আফসোস হচ্ছে। যখন কোনো কিছু জেতেন, সেটার ভালো মুহূর্তগুলো আপনার সব সময় মনে থাকে এবং যতবার আপনি সেটা শোনেন, সেটার ছবি দেখেন, উৎফুল্ল থাকেন। একইভাবে যেমন কোনো একটা খারাপ বিষয়, সেটার স্মৃতি সব সময় থাকবে।
প্রশ্ন: ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পরিবর্তনটা কেমন দেখছেন?
আকবর: আমার অভিষেকের পর থেকে দেখছি, সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট হয়েছে এবার। যদি টেকনিক্যালি দেখেন, শেষ রাউন্ডে পাঁচ দলেরই সুযোগ ছিল চ্যাম্পিয়নশিপের। তো এ রকম প্রতিযোগিতা আগে কখনোই দেখিনি। একটু উনিশ-বিশ হলে যারা পাঁচ নম্বরে ছিল, সম্ভবত চট্টগ্রাম বা বরিশাল, তারাও চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারত। ভালো প্রতিযোগিতা ছিল এবার।
প্রশ্ন: উইকেট, সুযোগ-সুবিধা—সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কী ধরনের পরিবর্তন দেখছেন?
আকবর: সুযোগ-সুবিধার কথা যদি বলেন, ভেন্যুতে খুবই ভালো পেয়েছি। হয়তোবা কক্সবাজারে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু সিলেট, বগুড়া, রাজশাহী খুবই ভালো ছিল। যদিও রাজশাহীতে এ বছর খেলিনি। যতটুকু শুনছি, খুবই ভালো ছিল। তবে সবাই জানি, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা উইকেট বগুড়ায়।
প্রশ্ন: বিপিএল সামনে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ট্রেবল জেতার সুযোগ নিশ্চয় আছে?
আকবর: ইনশা আল্লাহ, চেষ্টা করব। সেটা নির্ভর করছে আমরা দল (রাজশাহী) হিসেবে কীভাবে খেলতে পারছি।
প্রশ্ন: ডাবল জেতার অনুভূতি কী?
আকবর আলী: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।
প্রশ্ন: জাতীয় লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে হেরে যাওয়ায় রংপুরকে শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কীভাবে?
আকবর: শুধু এই ছয় নম্বর ম্যাচটা হারায় আমরা একটু পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া আমরা এক নম্বরেই ছিলাম প্রায় পুরো লিগে। এমনকি যখন পাঁচ নম্বর রাউন্ড শুরু করি, তখনো এক নম্বরে ছিলাম। ছয় নম্বর রাউন্ডে আমরা হেরে গিয়ে একটু পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সিলেট জিতে গেলে তো হতো না। সিলেটের আর ময়মনসিংহের নেতিবাচক ফল দরকার ছিল আমাদের জন্য।
প্রশ্ন: এনসিএল টি-টোয়েন্টি যখন শেষ করলেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে। তখন আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পরবর্তী লক্ষ্য লাল বলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া। লক্ষ্য পূরণ হলো।
আকবর: চ্যাম্পিয়নশিপের তো একটা লক্ষ্য থাকেই। সাধারণত ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ। আর যখন আপনি বেশি ম্যাচ জিতবেন, সাধারণত যেটা হয় যে চার দিনের যখন ছয়—এবারই তো প্রথম সাত রাউন্ডের ম্যাচ খেলছি। সাধারণত আগে ছয় রাউন্ডের খেলা হতো। তো ছয় রাউন্ডে যেটা হয় যে আপনি তিনটা ম্যাচ জিতলে আর একটা-দুইটা ড্র করলে, একটা যদি হেরেও যাই, তা-ও দেখা যায়, চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে যায়। এবার যেহেতু সাত রাউন্ড ছিল, আমরা আশা করেছিলাম, দল চারটা ম্যাচ জিতবে, তারাই চ্যাম্পিয়ন হবে। তো চারটা হয়নি, তিনটা হয়েছে। বাকি সব কটি ড্র ছিল, একটা হার ছিল। এভাবে আসলে হয়ে গেছে।
প্রশ্ন: ঠিক, জয় যত বেশি, তার ঘরে ট্রফি আসার সম্ভাবনা বেশি।
আকবর: স্বাভাবিক। কারণ, আপনার ড্রয়ে হচ্ছে ২ পয়েন্ট; আর জিতলে ৮ পয়েন্ট। এটা অনেক বড় কিছু। কোনো দল চারটা ম্যাচ ড্র করল আর একটা দল তিন ম্যাচ হেরে একটা জিতল, শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট একই। লাল বলের ক্রিকেটে জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে উইকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: এ কারণে সিলেট পাঁচ ড্র, দুই জয়, কোনো হার নেই; তবু চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না।
আকবর: এ রকম আমাদেরও একবার হয়েছিল। ২০২৩ সালে সম্ভবত। যে আমরা দুটি ম্যাচ জিতেছিলাম, চারটি ড্র করেছিলাম। একটা ম্যাচও হারিনি। অপরাজিত ছিলাম। কিন্তু তারপরও আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। ঢাকা বিভাগ ৩ ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে। ৩ ম্যাচ জিতেছিল। তারা মনে হয় একটা না, দুইটা হার ছিল। তারপরও ওরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন: তার মানে, লাল বলে ফলটা খুব জরুরি।
আকবর: অবশ্যই। অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় রংপুরের কেউ নেই। তবু আপনাদের চ্যাম্পিয়ন হতে সমস্যা হয়নি।
আকবর: (হাসি) এর কারণ হলো, যখন যার প্রয়োজন ছিল, সে পারফর্ম করেছে। হ্যাঁ, অবশ্যই সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হলে ভালো লাগত রংপুর বিভাগ থেকে। তখন আরও দাপট দেখিয়ে জিততে পারতাম। কিন্তু আসলে, ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্স ছিল আমাদের অনেকের।
প্রশ্ন: ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্সের কথা বললে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর কথা আসবে।
আকবর: আমার মনে হয়, পুরো টুর্নামেন্টের সেরা বোলার ছিল সে। সাধারণত আমি তার ভক্ত। কারণ, সে যদি ফর্মে থাকে, ফিট থাকে—বাংলাদেশে অন্যতম সেরা বোলার।
প্রশ্ন: মুগ্ধর কোন দিকটা আপনার বেশি ভালো লাগে?
আকবর: সে অনেকটাই স্বাভাবিক। যা চায়, সেটা আসলে করতে পারে। সে যদি চায় ইন সুইং করাবে, ইন সুইং করাতে পারে। আউট সুইং করাতে চাইলে তা-ও পারে। আল্লাহর রহমতে অনেক স্বাভাবিক প্রতিভা। বিকেএসপিতে আমরা একসঙ্গে ছিলাম অনেক দিন। তাকে যেটা দেখেছি, অনেক পেসার যেমন এক সপ্তাহ, এক মাস অনুশীলন করে যেটা করতে পারে না, মুগ্ধ এক দিনের অনুশীলনেই সেটা করতে পারে।
প্রশ্ন: শিরোপার ডাবল তো হলো। কিন্তু একটা আফসোস কি থেকে গেল নাকি যে কাতারে রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ জিততে পারলেই এ বছর ট্রেবল জেতার একটা সুযোগ ছিল আপনার?
আকবর: সেই আফসোস আছে। এখনো আছে। মনে হয়, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের এটা সারা জীবন থাকবে। যতবার এটার কথা মনে করাবেন, এই যে এখন মনে করালেন, এখন আবার আফসোস হচ্ছে। যখন কোনো কিছু জেতেন, সেটার ভালো মুহূর্তগুলো আপনার সব সময় মনে থাকে এবং যতবার আপনি সেটা শোনেন, সেটার ছবি দেখেন, উৎফুল্ল থাকেন। একইভাবে যেমন কোনো একটা খারাপ বিষয়, সেটার স্মৃতি সব সময় থাকবে।
প্রশ্ন: ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পরিবর্তনটা কেমন দেখছেন?
আকবর: আমার অভিষেকের পর থেকে দেখছি, সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট হয়েছে এবার। যদি টেকনিক্যালি দেখেন, শেষ রাউন্ডে পাঁচ দলেরই সুযোগ ছিল চ্যাম্পিয়নশিপের। তো এ রকম প্রতিযোগিতা আগে কখনোই দেখিনি। একটু উনিশ-বিশ হলে যারা পাঁচ নম্বরে ছিল, সম্ভবত চট্টগ্রাম বা বরিশাল, তারাও চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারত। ভালো প্রতিযোগিতা ছিল এবার।
প্রশ্ন: উইকেট, সুযোগ-সুবিধা—সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কী ধরনের পরিবর্তন দেখছেন?
আকবর: সুযোগ-সুবিধার কথা যদি বলেন, ভেন্যুতে খুবই ভালো পেয়েছি। হয়তোবা কক্সবাজারে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু সিলেট, বগুড়া, রাজশাহী খুবই ভালো ছিল। যদিও রাজশাহীতে এ বছর খেলিনি। যতটুকু শুনছি, খুবই ভালো ছিল। তবে সবাই জানি, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা উইকেট বগুড়ায়।
প্রশ্ন: বিপিএল সামনে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ট্রেবল জেতার সুযোগ নিশ্চয় আছে?
আকবর: ইনশা আল্লাহ, চেষ্টা করব। সেটা নির্ভর করছে আমরা দল (রাজশাহী) হিসেবে কীভাবে খেলতে পারছি।

৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। গতকাল দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই।
২ ঘণ্টা আগে
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।
২ ঘণ্টা আগে
৮১ বলে ২৩ ছক্কা ও ১৪ চারে ২২৯ রান। স্ট্রাইকরেট ২৮২.৭১। কেমন ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন স্কট এডওয়ার্ডস, সেটা আর বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এমন তাণ্ডব চালিয়েও যে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিতে পারবেন না তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডসে গত বছর টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে রেকর্ড তো কম করেননি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো অধিনায়কত্ব করেননি তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। আজ দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই। তিতাস শেষ ম্যাচে হারলেও গেম পয়েন্টে এগিয়ে থাকবে নৌবাহিনীর চেয়ে।
শেষ রাউন্ডে খেলাঘর দাবা সংঘের মুখোমুখি হওয়ার আগে ৯ খেলায় তিতাসের গেম পয়েন্ট ৩১.৫। আর নৌবাহিনী ১০ খেলায় ২৮.৫ পয়েন্টের বেশি অর্জন করতে পারেনি। আজ দাবা ফেডারেশন কক্ষে বাংলাদেশ পুলিশকে ৩.৫-১.৫ গেম পয়েন্টে হারিয়েছে তিতাস। ক্লাবটির হয়ে জয়ের দেখা পান ফিদে মাস্টার সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ, আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান ও ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া। মিসরীয় গ্র্যান্ডমাস্টার ফওজি আদম অবশ্য ড্র করেন। এবার তিতাসের হয়ে খেলেছেন উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার এবং সদ্য জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়াজ মোর্শেদও।
এ নিয়ে তৃতীয়বার ঘরোয়া দাবার শীর্ষ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলো তিতাস। ২০০০ সালে প্রথমবার শিরোপা জেতে তারা। তখন অবশ্য দাবার শীর্ষ স্তর ছিল প্রথম বিভাগ। ২০১১ সালে তা রূপ নেয় প্রিমিয়ার লিগে। গত বছর করতে না পারায় এই বছর ৭ মাসের ব্যবধানে দুবার লিগ আয়োজন করছে ফেডারেশন। দুবারই চ্যাম্পিয়ন হলো তিতাস। ক্লাবটি মূলত সরকারি প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
গত লিগে চারে থাকলেও এবার তিতাসের সামনে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দাঁড় করায় নৌবাহিনী। আজ ৪-০ গেম পয়েন্টে জনতা ব্যাংক অফিসান ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে হারায় তারা। ৯ খেলায় ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। লিওনাইন চেস ক্লাব ৯ খেলায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ৯ পয়েন্ট করে নিয়ে মানহা’স ক্যাসেল ও সাধারণ বীমা করপোরেশন স্পোর্টিং ক্লাব যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। আজ দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই। তিতাস শেষ ম্যাচে হারলেও গেম পয়েন্টে এগিয়ে থাকবে নৌবাহিনীর চেয়ে।
শেষ রাউন্ডে খেলাঘর দাবা সংঘের মুখোমুখি হওয়ার আগে ৯ খেলায় তিতাসের গেম পয়েন্ট ৩১.৫। আর নৌবাহিনী ১০ খেলায় ২৮.৫ পয়েন্টের বেশি অর্জন করতে পারেনি। আজ দাবা ফেডারেশন কক্ষে বাংলাদেশ পুলিশকে ৩.৫-১.৫ গেম পয়েন্টে হারিয়েছে তিতাস। ক্লাবটির হয়ে জয়ের দেখা পান ফিদে মাস্টার সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ, আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান ও ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া। মিসরীয় গ্র্যান্ডমাস্টার ফওজি আদম অবশ্য ড্র করেন। এবার তিতাসের হয়ে খেলেছেন উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার এবং সদ্য জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়াজ মোর্শেদও।
এ নিয়ে তৃতীয়বার ঘরোয়া দাবার শীর্ষ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলো তিতাস। ২০০০ সালে প্রথমবার শিরোপা জেতে তারা। তখন অবশ্য দাবার শীর্ষ স্তর ছিল প্রথম বিভাগ। ২০১১ সালে তা রূপ নেয় প্রিমিয়ার লিগে। গত বছর করতে না পারায় এই বছর ৭ মাসের ব্যবধানে দুবার লিগ আয়োজন করছে ফেডারেশন। দুবারই চ্যাম্পিয়ন হলো তিতাস। ক্লাবটি মূলত সরকারি প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
গত লিগে চারে থাকলেও এবার তিতাসের সামনে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দাঁড় করায় নৌবাহিনী। আজ ৪-০ গেম পয়েন্টে জনতা ব্যাংক অফিসান ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে হারায় তারা। ৯ খেলায় ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। লিওনাইন চেস ক্লাব ৯ খেলায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ৯ পয়েন্ট করে নিয়ে মানহা’স ক্যাসেল ও সাধারণ বীমা করপোরেশন স্পোর্টিং ক্লাব যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

আবারও রানা আব্বাসর মুখে শিরোপার হাসি। ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবে যেন নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন। এনসিএল টি-টোয়েন্টির পর তাঁর নেতৃত্বে রংপুর জিতেছে জাতীয় লিগের শিরোপাও।
২ দিন আগে
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।
২ ঘণ্টা আগে
৮১ বলে ২৩ ছক্কা ও ১৪ চারে ২২৯ রান। স্ট্রাইকরেট ২৮২.৭১। কেমন ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন স্কট এডওয়ার্ডস, সেটা আর বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এমন তাণ্ডব চালিয়েও যে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিতে পারবেন না তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডসে গত বছর টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে রেকর্ড তো কম করেননি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো অধিনায়কত্ব করেননি তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।
লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগসহ সবশেষ ৮ ম্যাচের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ কেবল ২ ম্যাচ জিতেছে। তিনটি করে ম্যাচ হেরেছে ও ড্র করেছে। সেলতা ফিগোর বিপক্ষে ৭ ডিসেম্বর লা লিগায় হারানোর পর আলোনসোর চাকরি হারানো নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। এমন অবস্থায় পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরে বসে রিয়াল। পরশু আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচটি এখন রিয়াল কোচ আলোনসোর জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ। তবে লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস তেমন কিছু (আলোনসোর চাকরি হারানো) মনে করছেন না। সাংবাদিকদের তেবাস বলেন, ‘এমন নাটক আমি আগেও অনেকবার দেখেছি। রিয়াল মাদ্রিদ এমন এক দল যারা এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।’
রিয়াল মাদ্রিদের কোচ এ বছর হয়েছেন আলোনসো। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে খেলেছেন ২৩৬ ম্যাচ। একবার করে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগার শিরোপা জিতেছেন তিনি। পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়াতে ওস্তাদ রিয়াল যেকোনো কিছু করতে পারে বলে মনে করেন তেবাস। খেলোয়াড় জীবনের অভিজ্ঞতা কোচ হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন বলে বিশ্বাস তেবাসের। লা লিগা সভাপতি বলেন, ‘জাবি আলোনসোর মধ্যে মাদ্রিদের ডিএনএ আছে। আমার বিশ্বাস সে, খেলোয়াড় ও ক্লাব সামনে এগিয়ে যাবে। তাদের শৈশব থেকেই এমন মানসিকতা। খেলোয়াড়ি জীবনে সেটা এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
সরাসরি না হলেও পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হারের পর চাকরি হারানোর ব্যাপারে প্রশ্ন এসেছিল আলোনসোর কাছে। রিয়াল কোচ অবশ্য এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না। সিটির কাছে হারের পর আলোনসো বলেছিলেন, ‘আমাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। ভুল-ত্রুটি শুধরে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে। বাজে ফল হলেও ইতিবাচক ব্যাপার রয়েছে এখানে।’
৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের লিগ পর্বে ম্যানচেস্টার সিটি অবস্থান করছে চার নম্বরে। পিএসজি, আতালান্তার ১৩ পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানের কারণে তারা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। পিএসজি ও আতালান্তা অবস্থান করছে তিন ও পাঁচ নম্বরে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আর্সেনাল। দুইয়ে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট ১৫। ১২ পয়েন্টে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ সাত নম্বরে। প্রত্যেকেই ছয়টি করে ম্যাচ খেলেছে। এদিকে লা লিগায় ১৬ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বার্সেলোনা। পরশু মেন্দিজোরোজা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হবে লা লিগার আলাভেস-রিয়াল ম্যাচ।

বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।
লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগসহ সবশেষ ৮ ম্যাচের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ কেবল ২ ম্যাচ জিতেছে। তিনটি করে ম্যাচ হেরেছে ও ড্র করেছে। সেলতা ফিগোর বিপক্ষে ৭ ডিসেম্বর লা লিগায় হারানোর পর আলোনসোর চাকরি হারানো নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। এমন অবস্থায় পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরে বসে রিয়াল। পরশু আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচটি এখন রিয়াল কোচ আলোনসোর জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ। তবে লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস তেমন কিছু (আলোনসোর চাকরি হারানো) মনে করছেন না। সাংবাদিকদের তেবাস বলেন, ‘এমন নাটক আমি আগেও অনেকবার দেখেছি। রিয়াল মাদ্রিদ এমন এক দল যারা এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।’
রিয়াল মাদ্রিদের কোচ এ বছর হয়েছেন আলোনসো। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে খেলেছেন ২৩৬ ম্যাচ। একবার করে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগার শিরোপা জিতেছেন তিনি। পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়াতে ওস্তাদ রিয়াল যেকোনো কিছু করতে পারে বলে মনে করেন তেবাস। খেলোয়াড় জীবনের অভিজ্ঞতা কোচ হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন বলে বিশ্বাস তেবাসের। লা লিগা সভাপতি বলেন, ‘জাবি আলোনসোর মধ্যে মাদ্রিদের ডিএনএ আছে। আমার বিশ্বাস সে, খেলোয়াড় ও ক্লাব সামনে এগিয়ে যাবে। তাদের শৈশব থেকেই এমন মানসিকতা। খেলোয়াড়ি জীবনে সেটা এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
সরাসরি না হলেও পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হারের পর চাকরি হারানোর ব্যাপারে প্রশ্ন এসেছিল আলোনসোর কাছে। রিয়াল কোচ অবশ্য এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না। সিটির কাছে হারের পর আলোনসো বলেছিলেন, ‘আমাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। ভুল-ত্রুটি শুধরে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে। বাজে ফল হলেও ইতিবাচক ব্যাপার রয়েছে এখানে।’
৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের লিগ পর্বে ম্যানচেস্টার সিটি অবস্থান করছে চার নম্বরে। পিএসজি, আতালান্তার ১৩ পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানের কারণে তারা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। পিএসজি ও আতালান্তা অবস্থান করছে তিন ও পাঁচ নম্বরে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আর্সেনাল। দুইয়ে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট ১৫। ১২ পয়েন্টে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ সাত নম্বরে। প্রত্যেকেই ছয়টি করে ম্যাচ খেলেছে। এদিকে লা লিগায় ১৬ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বার্সেলোনা। পরশু মেন্দিজোরোজা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হবে লা লিগার আলাভেস-রিয়াল ম্যাচ।

আবারও রানা আব্বাসর মুখে শিরোপার হাসি। ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবে যেন নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন। এনসিএল টি-টোয়েন্টির পর তাঁর নেতৃত্বে রংপুর জিতেছে জাতীয় লিগের শিরোপাও।
২ দিন আগে
৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। গতকাল দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই।
২ ঘণ্টা আগে
৮১ বলে ২৩ ছক্কা ও ১৪ চারে ২২৯ রান। স্ট্রাইকরেট ২৮২.৭১। কেমন ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন স্কট এডওয়ার্ডস, সেটা আর বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এমন তাণ্ডব চালিয়েও যে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিতে পারবেন না তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডসে গত বছর টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে রেকর্ড তো কম করেননি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো অধিনায়কত্ব করেননি তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

৮১ বলে ২৩ ছক্কা ও ১৪ চারে ২২৯ রান। স্ট্রাইকরেট ২৮২.৭১। কেমন ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন স্কট এডওয়ার্ডস, সেটা আর বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এমন তাণ্ডব চালিয়েও যে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিতে পারবেন না তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি ডিভিশন ওয়ান ক্লেঞ্জো গ্রুপ শিল্ডের চতুর্থ রাউন্ডে এডওয়ার্ডস ২২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন। ভিক্টোরিয়ার আলটোনা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি উইলিয়ামস ল্যান্ডিং এসসির বিপক্ষে। এমন বিধ্বংসী ইনিংস খেলে তিনি হইচই ফেলে দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু ক্রিস গেইলের ১৭৫ রানের রেকর্ড টপকে সেটা নিজের নামে লেখাতে পারলেন না এডওয়ার্ডস। কারণ, ক্লেঞ্জো গ্রুপ শিল্ডকে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ধরা হয় না। এটা অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বিভাগের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
উইলিয়ামস ল্যান্ডিং এসসির বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে এডওয়ার্ডস শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখী। ২৩ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন। টানা দুই বলে দুই ছক্কা মেরে ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। ইনিংসের ১১তম ওভারে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তিনি। সেঞ্চুরির পর বেশ বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনি। ১৬ ওভার শেষে ভিক্টোরিয়ার আলটোনা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ২১২। সেখান থেকে নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের স্কোর হয়েছে ২ উইকেটে ৩০৪ রান। শেষ চার ওভারে ৯২ রান দলটি করতে পেরেছে মূলত এডওয়ার্ডসের ঝড়েই।
এডওয়ার্ডসের তাণ্ডব চালানোর ম্যাচে আলটোনা জিতেছে ১৮৬ রানে। ৩০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উইলিয়ামস ল্যান্ডিং ১১৮ রানে আটকে যায়। পয়েন্ট টেবিলে আলটোনা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ছয় দলের টি-টোয়েন্টি ডিভিশন ওয়ান ক্লেঞ্জো গ্রুপে চার নম্বরে উইলিয়ামস ল্যান্ডিং। ২২৯ রান করা এডওয়ার্ডসের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোনো সেঞ্চুরি নেই। সর্বোচ্চ ৯৯ রান গত বছর ওমানের বিপক্ষে করেছেন। এদিকে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ক্রিস গেইলের ১৭৫ রানের রেকর্ডটা এখনো অক্ষতই রয়ে গেল। ২০১৩ আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ৬৬ বলে ১৩ চার ও ১৭ ছক্কায় ১৭৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। খেলেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে।

৮১ বলে ২৩ ছক্কা ও ১৪ চারে ২২৯ রান। স্ট্রাইকরেট ২৮২.৭১। কেমন ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন স্কট এডওয়ার্ডস, সেটা আর বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এমন তাণ্ডব চালিয়েও যে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিতে পারবেন না তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি ডিভিশন ওয়ান ক্লেঞ্জো গ্রুপ শিল্ডের চতুর্থ রাউন্ডে এডওয়ার্ডস ২২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন। ভিক্টোরিয়ার আলটোনা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি উইলিয়ামস ল্যান্ডিং এসসির বিপক্ষে। এমন বিধ্বংসী ইনিংস খেলে তিনি হইচই ফেলে দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু ক্রিস গেইলের ১৭৫ রানের রেকর্ড টপকে সেটা নিজের নামে লেখাতে পারলেন না এডওয়ার্ডস। কারণ, ক্লেঞ্জো গ্রুপ শিল্ডকে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ধরা হয় না। এটা অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বিভাগের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
উইলিয়ামস ল্যান্ডিং এসসির বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে এডওয়ার্ডস শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখী। ২৩ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন। টানা দুই বলে দুই ছক্কা মেরে ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। ইনিংসের ১১তম ওভারে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তিনি। সেঞ্চুরির পর বেশ বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনি। ১৬ ওভার শেষে ভিক্টোরিয়ার আলটোনা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ২১২। সেখান থেকে নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের স্কোর হয়েছে ২ উইকেটে ৩০৪ রান। শেষ চার ওভারে ৯২ রান দলটি করতে পেরেছে মূলত এডওয়ার্ডসের ঝড়েই।
এডওয়ার্ডসের তাণ্ডব চালানোর ম্যাচে আলটোনা জিতেছে ১৮৬ রানে। ৩০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উইলিয়ামস ল্যান্ডিং ১১৮ রানে আটকে যায়। পয়েন্ট টেবিলে আলটোনা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ছয় দলের টি-টোয়েন্টি ডিভিশন ওয়ান ক্লেঞ্জো গ্রুপে চার নম্বরে উইলিয়ামস ল্যান্ডিং। ২২৯ রান করা এডওয়ার্ডসের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোনো সেঞ্চুরি নেই। সর্বোচ্চ ৯৯ রান গত বছর ওমানের বিপক্ষে করেছেন। এদিকে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ক্রিস গেইলের ১৭৫ রানের রেকর্ডটা এখনো অক্ষতই রয়ে গেল। ২০১৩ আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ৬৬ বলে ১৩ চার ও ১৭ ছক্কায় ১৭৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। খেলেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে।

আবারও রানা আব্বাসর মুখে শিরোপার হাসি। ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবে যেন নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন। এনসিএল টি-টোয়েন্টির পর তাঁর নেতৃত্বে রংপুর জিতেছে জাতীয় লিগের শিরোপাও।
২ দিন আগে
৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। গতকাল দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই।
২ ঘণ্টা আগে
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।
২ ঘণ্টা আগে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডসে গত বছর টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে রেকর্ড তো কম করেননি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো অধিনায়কত্ব করেননি তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডসে গত বছর টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে রেকর্ড তো কম করেননি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো অধিনায়কত্ব করেননি তিনি। এবার ৪৩ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি।
ল্যাঙ্কাশায়ার তাদের পরের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অ্যান্ডারসনকে পূর্ণকালীন অধিনায়ক করেছে। নেতৃত্ব পেয়ে রোমাঞ্চিত ৪৩ বছর বয়সী ইংল্যান্ডের এই পেসার বলেন, ‘গত মৌসুমে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব করা ছিল অনেক সম্মানের বিষয়। নতুন মৌসুম সামনে রেখে পূর্ণকালীন নেতৃত্ব পেয়ে সম্মানিত অনুভব করছি। আমাদের একঝাঁক দারুণ ক্রিকেটার রয়েছে। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে তৈরি করা হয়েছে এই দলটা। আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করতে পারি। প্রথম বিভাগে ফিরে যাওয়াই হচ্ছে সর্বপ্রথম লক্ষ্য।’
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে ল্যাঙ্কাশায়ারকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। কিন্তু চার দিনের ক্রিকেটে এবার তাঁকে স্থায়ী অধিনায়ক করল কাউন্টি ক্লাব। গত বছরের মে মাসে ক্লাবটির লাল বলের ক্রিকেট থেকে কিটং জেনিংস অধিনায়কত্ব ছাড়াতেই অ্যান্ডারসন পেয়ে যান নেতৃত্ব। গত বছরের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন। ৪৩ বছর বয়সী অ্যান্ডারসনকে নিয়ে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রধান কোচ স্টিভেন ক্রফট বলেন, ‘জিমি অসাধারণ এক নেতা। সে দলকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারে। ক্রিকেটে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। অধিনায়ক হওয়ার জন্য সেই যোগ্য।’
ভাইটালিটি ব্লাস্টে ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়কই থাকছেন কিটন জেনিংস। সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে আছেন জশ বোহানন। এ বছরের ভাইটালিটি ব্লাস্টে ২০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই ক্লাবটির সঙ্গেই গত বছরের নভেম্বরে এক বছরের নতুন চুক্তি করেছিলেন। ডিভিশন টুতে থাকা ইংল্যান্ডের এই ক্লাবকে এবার পূর্ণকালীন নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন তিনি। নতুন বছরের ৩ এপ্রিল ল্যাঙ্কাশায়ার তাদের চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করবে। ২০০২ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৪০১ ম্যাচে পেয়েছেন ৯৯১ উইকেট। যার মধ্যে ১৯১ টেস্টে নিয়েছেন ৭০৪ উইকেট। মুত্তিয়া মুরালিধরন ও শেন ওয়ার্নের পর টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী অ্যান্ডারসন। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে মুরালিধরন ও ওয়ার্ন নিয়েছেন ৮০০ ও ৭০৮ উইকেট। টেস্টে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী অ্যান্ডারসন কদিন আগে নাইটহুড উপাধি পেয়েছেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডসে গত বছর টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে রেকর্ড তো কম করেননি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো অধিনায়কত্ব করেননি তিনি। এবার ৪৩ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি।
ল্যাঙ্কাশায়ার তাদের পরের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অ্যান্ডারসনকে পূর্ণকালীন অধিনায়ক করেছে। নেতৃত্ব পেয়ে রোমাঞ্চিত ৪৩ বছর বয়সী ইংল্যান্ডের এই পেসার বলেন, ‘গত মৌসুমে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব করা ছিল অনেক সম্মানের বিষয়। নতুন মৌসুম সামনে রেখে পূর্ণকালীন নেতৃত্ব পেয়ে সম্মানিত অনুভব করছি। আমাদের একঝাঁক দারুণ ক্রিকেটার রয়েছে। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে তৈরি করা হয়েছে এই দলটা। আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করতে পারি। প্রথম বিভাগে ফিরে যাওয়াই হচ্ছে সর্বপ্রথম লক্ষ্য।’
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে ল্যাঙ্কাশায়ারকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। কিন্তু চার দিনের ক্রিকেটে এবার তাঁকে স্থায়ী অধিনায়ক করল কাউন্টি ক্লাব। গত বছরের মে মাসে ক্লাবটির লাল বলের ক্রিকেট থেকে কিটং জেনিংস অধিনায়কত্ব ছাড়াতেই অ্যান্ডারসন পেয়ে যান নেতৃত্ব। গত বছরের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন। ৪৩ বছর বয়সী অ্যান্ডারসনকে নিয়ে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রধান কোচ স্টিভেন ক্রফট বলেন, ‘জিমি অসাধারণ এক নেতা। সে দলকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারে। ক্রিকেটে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। অধিনায়ক হওয়ার জন্য সেই যোগ্য।’
ভাইটালিটি ব্লাস্টে ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়কই থাকছেন কিটন জেনিংস। সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে আছেন জশ বোহানন। এ বছরের ভাইটালিটি ব্লাস্টে ২০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই ক্লাবটির সঙ্গেই গত বছরের নভেম্বরে এক বছরের নতুন চুক্তি করেছিলেন। ডিভিশন টুতে থাকা ইংল্যান্ডের এই ক্লাবকে এবার পূর্ণকালীন নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন তিনি। নতুন বছরের ৩ এপ্রিল ল্যাঙ্কাশায়ার তাদের চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করবে। ২০০২ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৪০১ ম্যাচে পেয়েছেন ৯৯১ উইকেট। যার মধ্যে ১৯১ টেস্টে নিয়েছেন ৭০৪ উইকেট। মুত্তিয়া মুরালিধরন ও শেন ওয়ার্নের পর টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী অ্যান্ডারসন। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে মুরালিধরন ও ওয়ার্ন নিয়েছেন ৮০০ ও ৭০৮ উইকেট। টেস্টে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী অ্যান্ডারসন কদিন আগে নাইটহুড উপাধি পেয়েছেন।

আবারও রানা আব্বাসর মুখে শিরোপার হাসি। ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবে যেন নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন। এনসিএল টি-টোয়েন্টির পর তাঁর নেতৃত্বে রংপুর জিতেছে জাতীয় লিগের শিরোপাও।
২ দিন আগে
৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। গতকাল দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই।
২ ঘণ্টা আগে
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।
২ ঘণ্টা আগে
৮১ বলে ২৩ ছক্কা ও ১৪ চারে ২২৯ রান। স্ট্রাইকরেট ২৮২.৭১। কেমন ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন স্কট এডওয়ার্ডস, সেটা আর বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এমন তাণ্ডব চালিয়েও যে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিতে পারবেন না তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে