৯, ১৫, ৫, ৬, ১, ২০, ৭ ও ২৩—ঘরের মাটিতে টেস্টে এ হলো নাজমুল হোসেন শান্তর শেষ আট ইনিংস। তাঁর এমন ব্যাটিং দেখে শুধু একটি প্রশ্নই ঘুরছে মাথায়, ‘শান্ত ব্যাটিংয়ে অশান্ত হবেন কবে?’ বলছি না, বাংলাদেশ অধিনায়ককে লাল বলে তেড়েফুঁড়ে খেলতে হবে। টেস্টের ধৈর্যশক্তিটা দেখাক তিনি, সেটিই চাওয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে দলের দুঃসময়ে নেতার মতো দায়িত্বটা কাঁধে তোলে নেওয়া দরকার ছিল শান্তর। কিন্তু হলো উল্টো। তাড়াহুড়া যেন তাঁকেই করতে দেখা গেল বেশি। প্রথম ইনিংসে ৭ বলে ১ চারে ৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৯ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান। না, আজ একটু ধৈর্য তিনি ধরতে চেয়েছিলেন বটে। দুর্ভাগ্যের কারণে পারেননি।
তারপরও শান্তর ব্যাটিং দেখে চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের সেই বিখ্যাত গানের কথায় মনে পড়ছে, ‘তোমার কিসের এত তাড়া।’ আর প্যারোডি করে পরের লাইনটিকে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, ‘উইকেটে পড়ে থাকবে সাবধানে’। ভারত সিরিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের সিরিজেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের যা অবস্থা—কেউ প্যারোডি করলে ঘাড়ে দোষ চাপানো উচিত হবে না।
বাংলাদেশ একদিন টেস্ট খেলবে আর ব্যাটারা থাকবে আসা যাওয়ার মাঝে—সেটি ভেবেই হয়তো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বহু আগেই লিখে রেখেছিলে, ‘শুধু যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা।’ দুনিয়াজুড়ে ক্রিকেটের ভাষা পাল্টে যাচ্ছে, আর বাংলাদেশ যেন একই বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
শান্তরা ভালো করলে যেমন খুশি হয়ে ওঠেন ভক্ত-সমর্থকেরা, খারাপ করলে মুখও খারাপ করেন। সমালোচনা গায়ে মেখেই ভক্তদের খুশি রাখতে হয় ক্রিকেটারদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ থাকেই, তাই বলে সেই চাপে যদি পিষ্ট হয়ে পড়েন ক্রিকেটার, তবে কীভাবে এগোবেন!
মিরপুর টেস্ট শুরুর একদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে ফেসবুকে প্রতিদিন স্ট্যাটাস দেবেন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচিত হয়েছিলেন শান্ত। সেই সমালোচনার মধ্যেই বোঝা যায়, বাংলাদেশ অধিনায়কের থেকে দেশের মানুষ কী চান—দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দায়িত্বপূর্ণ কথাও। কিন্তু শান্তরা দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিং করছেন কোথায়!
টেস্টে ৭ বছর কাটানোর পরও শান্তর মধ্যে তেমন দেখা নেই কোনো উন্নতির। দেশে ও বিদেশে গত ১৫ ইনিংসের মধ্যে যে ফিফটিটি করেছেন সেটি গত মাসে, ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে ৮২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসের তাঁর সেই ইনিংসটি শুধু হারের ব্যবধানটুকুই কমিয়েছে। মিরপুরে আজ ৩ উইকেটে ১০১ রানে দ্বিতীয় দিন পার করেছে বাংলাদেশ। শান্ত যদি উইকেটে আরেকটু মনোযোগ ধরে রাখতে পারতেন তবে আরেকটু স্বস্তি নিয়েই দিন পার করতে পারত স্বাগতিকেরা।
ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে শান্ত বেরিয়ে আসুক। হয়ে উঠুক দেশের ক্রিকেটের দায়িত্বপূর্ণ নেতা—সেটিই তো চাওয়া সবার। টেস্টে তাঁর ব্যাটে থাকুক দৃঢ়তা আর সীমিত ওভারে হয়ে উঠুক অশান্ত।
৯, ১৫, ৫, ৬, ১, ২০, ৭ ও ২৩—ঘরের মাটিতে টেস্টে এ হলো নাজমুল হোসেন শান্তর শেষ আট ইনিংস। তাঁর এমন ব্যাটিং দেখে শুধু একটি প্রশ্নই ঘুরছে মাথায়, ‘শান্ত ব্যাটিংয়ে অশান্ত হবেন কবে?’ বলছি না, বাংলাদেশ অধিনায়ককে লাল বলে তেড়েফুঁড়ে খেলতে হবে। টেস্টের ধৈর্যশক্তিটা দেখাক তিনি, সেটিই চাওয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে দলের দুঃসময়ে নেতার মতো দায়িত্বটা কাঁধে তোলে নেওয়া দরকার ছিল শান্তর। কিন্তু হলো উল্টো। তাড়াহুড়া যেন তাঁকেই করতে দেখা গেল বেশি। প্রথম ইনিংসে ৭ বলে ১ চারে ৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৯ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান। না, আজ একটু ধৈর্য তিনি ধরতে চেয়েছিলেন বটে। দুর্ভাগ্যের কারণে পারেননি।
তারপরও শান্তর ব্যাটিং দেখে চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের সেই বিখ্যাত গানের কথায় মনে পড়ছে, ‘তোমার কিসের এত তাড়া।’ আর প্যারোডি করে পরের লাইনটিকে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, ‘উইকেটে পড়ে থাকবে সাবধানে’। ভারত সিরিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের সিরিজেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের যা অবস্থা—কেউ প্যারোডি করলে ঘাড়ে দোষ চাপানো উচিত হবে না।
বাংলাদেশ একদিন টেস্ট খেলবে আর ব্যাটারা থাকবে আসা যাওয়ার মাঝে—সেটি ভেবেই হয়তো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বহু আগেই লিখে রেখেছিলে, ‘শুধু যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা।’ দুনিয়াজুড়ে ক্রিকেটের ভাষা পাল্টে যাচ্ছে, আর বাংলাদেশ যেন একই বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
শান্তরা ভালো করলে যেমন খুশি হয়ে ওঠেন ভক্ত-সমর্থকেরা, খারাপ করলে মুখও খারাপ করেন। সমালোচনা গায়ে মেখেই ভক্তদের খুশি রাখতে হয় ক্রিকেটারদের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ থাকেই, তাই বলে সেই চাপে যদি পিষ্ট হয়ে পড়েন ক্রিকেটার, তবে কীভাবে এগোবেন!
মিরপুর টেস্ট শুরুর একদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে ফেসবুকে প্রতিদিন স্ট্যাটাস দেবেন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচিত হয়েছিলেন শান্ত। সেই সমালোচনার মধ্যেই বোঝা যায়, বাংলাদেশ অধিনায়কের থেকে দেশের মানুষ কী চান—দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দায়িত্বপূর্ণ কথাও। কিন্তু শান্তরা দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিং করছেন কোথায়!
টেস্টে ৭ বছর কাটানোর পরও শান্তর মধ্যে তেমন দেখা নেই কোনো উন্নতির। দেশে ও বিদেশে গত ১৫ ইনিংসের মধ্যে যে ফিফটিটি করেছেন সেটি গত মাসে, ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে ৮২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসের তাঁর সেই ইনিংসটি শুধু হারের ব্যবধানটুকুই কমিয়েছে। মিরপুরে আজ ৩ উইকেটে ১০১ রানে দ্বিতীয় দিন পার করেছে বাংলাদেশ। শান্ত যদি উইকেটে আরেকটু মনোযোগ ধরে রাখতে পারতেন তবে আরেকটু স্বস্তি নিয়েই দিন পার করতে পারত স্বাগতিকেরা।
ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে শান্ত বেরিয়ে আসুক। হয়ে উঠুক দেশের ক্রিকেটের দায়িত্বপূর্ণ নেতা—সেটিই তো চাওয়া সবার। টেস্টে তাঁর ব্যাটে থাকুক দৃঢ়তা আর সীমিত ওভারে হয়ে উঠুক অশান্ত।
এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৩২ মিনিট আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১ ঘণ্টা আগেতাহলে কি এবার বিশ্বকাপ জিতবে লাতিন আমেরিকার কোনো ক্লাব? এই প্রশ্নে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর কোচ ফিলিপে লুইসের উত্তর অন্তত ‘হ্যাঁ’। তাঁর ভাষায়, ‘যে কোনো দলই জিততে পারে (ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ)। এটাই ফুটবল। যদি কোনো দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব জেতে আমি অবাক হব না।’
৩ ঘণ্টা আগে