নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ থেকে
আক্রমণ, গোল এবং আবারও গোল; একটি ফাইনাল উপভোগ্য হতে আর কী লাগে! বসুন্ধরা কিংস আর মোহামেডানের ফেডারেশন কাপ ফাইনালকে বর্ণনা করতে হলে আরও কিছু লিখতে হবে, রুদ্ধশ্বাস ও একই সঙ্গে উত্তেজনার। এই ম্যাচে হাতাহাতি থেকে শুরু করে সবই হলো। খেলা একসময় থামিয়েও দিতে হলো। টান টান উত্তেজনার ম্যাচ খেলেও কিন্তু বসুন্ধরাকে ইতিহাস গড়া থামাতে পারল না মোহামেডান।
রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামের ১৫ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যালারি আজ ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। কাঠফাটা রোদে মাথায় নিয়ে এই দর্শকেরা এসেছিলেন উপভোগ্য এক ফাইনালের প্রত্যাশা নিয়ে যেমনটা হয়েছিল এক বছর আগে কুমিল্লায়। ৪-৪ গোলের সমতায় থাকা সেই ফাইনালে আবাহনীকে টাইব্রেকারে জিতে নিয়েছিল মোহামেডান। সাদা-কালোদের শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে আজ প্রতিপক্ষ ছিল ট্রেবল জিতে ইতিহাসের অপেক্ষায় থাকা বসুন্ধরা। পিছিয়ে পড়ে বসুন্ধরা শেষ পর্যন্ত ইতিহাস গড়েছে। পিছিয়ে থাকা ম্যাচ ২-১ গোলে জিতে দ্বিতীয় দল হিসেবে ট্রেবল জিতেছে অস্কার ব্রুজোনের দল।
২০০৭ সালে পেশাদার লিগ শুরুর পর ২০১৩ সালে প্রথম ট্রেবল জিতেছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে মোহামেডানকে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ট্রেবল জিতল বসুন্ধরা। ইতিহাস গড়তে ব্রুজোনের দলকে বেশ কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পিছিয়ে থাকা ম্যাচে ৮৭ মিনিটে সমতায় ফেরা, সেখান থেকে ম্যাচ জিতে নেওয়া, নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই ট্রেবল জিতেছে বসুন্ধরা।
এই মৌসুমে আজকের ম্যাচের আগে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে বসুন্ধরা-মোহামেডান। একবার স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে, দুইবার লিগে। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে মোহামেডানকে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম শিরোপা জিতেছিল বসুন্ধরা, মোহামেডান সেই শোধটা তুলেছিল লিগে বসুন্ধরাকে একমাত্র হার উপহার দিয়ে। পরের দুই ম্যাচ জিতেছে বসুন্ধরা। সব মিলিয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে এই মৌসুমে তিনবার ম্যাচ জিতল ব্রুজোনের দল। কাকতালীয়ভাবে বসুন্ধরা সবগুলো ম্যাচই জিতেছে ২-১ গোলের ব্যবধানে।
ম্যাচের প্রথম পরিষ্কার সুযোগটা বসুন্ধরার। ২৭ মিনিটে রাকিব হোসেনের লম্বা করে বাড়ানো বলে দরিয়েলতন গোমেজের সামনে ছিলেন কেবল মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেন। দরিয়েলতন শট নিলেন বটে কিন্তু সুজনকে হারাতে পারলেন না।
মোহামেডানও কাজে লাগাতে পারেনি তাদের প্রথম সুযোগটি। ৪১ মিনিটে মুজাফফরভের বাড়ানো বলে সুলেমান দিয়াবাতের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে পোস্টে জোরালো শট নেন ইম্যানুয়েল সানডে। সেই শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে বল জালে জড়াতে দেননি বসুন্ধরা গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ।
দুই মিনিট বাদে শ্রাবণই আরেকবার হতাশ করেন মোহামেডান সমর্থকদের। আরিফ হোসেনের ভাসিয়ে বাড়ানো ক্রসে সুলেমান দিয়াবাতে ভলি করেছিলেন লক্ষ্যেই। তবে সতর্ক শ্রাবণ সহজেই বলের নিয়ন্ত্রণ নেন গ্লাভসে।
বিরতির পর প্রথম সুযোগটা বসুন্ধরার। ৪৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে তপু বর্মণের বাতাসে বাড়ানো বলে দর্শনীয় সাইড ভলি নিলেও বলকে জালে জড়াতে পারেননি দরিয়েলতন।
আশরাফুল হক আসিফের বদলি হিসেবে নেমে শাহরিয়ার ইমন নামার পরই বদলে যায় মোহামেডানের খেলার ধরন। ইমন প্রথমেই সুযোগ পেয়ে যান মোহামেডানকে এগিয়ে দেওয়ার। যদিও প্রথম শটে ইমন আটকে যান বসুন্ধরার রক্ষণে। পরের মিনিটে তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন বসুন্ধরা গোলরক্ষক শ্রাবণ।
এরপর শ্রাবণকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে একের পর এক শট ঠেকাতে। ৬২ মিনিটে মুজাররফের শটও ঠেকান শ্রাবণ। কিন্তু পরের মিনিটে শেষ পর্যন্ত অবশ্য হারতে মানতে হয় তাঁকে।
৬৩ মিনিটে ইমনের বাড়ানো বলে বসুন্ধরার দুই ফুটবলকে হার মানিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে এক শট নেন ইম্যানুয়েল সানডে। নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ডের বাঁ পায়ের শটে এতটাই গতি থাকল যে শ্রাবণ ঝাঁপালেন কিন্তু ঠেকাতে পারলেন না। গোলের আনন্দে মাতে মাঠে থাকা হাজার হাজার মোহামেডান সমর্থক।
গোলের পর যেন আরও ক্ষুরধার মোহামেডানের আক্রমণ। আবারও পরীক্ষার মুখে শ্রাবণ ৭২ মিনিটে মিনহাজুর আবেদিন রাকিবের শট ফেরান বসুন্ধরা গোলরক্ষক।
মোহামেডানের আক্রমণের তোড়ে তিন পরিবর্তন আনতে বাধ্য হোন বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজোন। মাঠে নামেন শেখ মোরসালিন, ইয়াসির আরাফাত ও মাসুক মিয়া জনি। আক্রমণে গতি বাড়ে বসুন্ধরার। ৭৭ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগটা পায়ে ঠেলেন দরিয়েলতন। মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজনকে একা পেয়েও মেরে বসেন গোলরক্ষকের গায়ে।
পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে মোহামেডান আরও একবার কাঁপিয়ে দেয় বসুন্ধরার রক্ষণকে। নিজেদের অর্ধ থেকে মিনহাজুরের শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান তপু বর্মণ।
৮১ মিনিটে পোস্টে আটকে যায় বসুন্ধরার গোল। সতীর্থদের সুযোগ নষ্টের মহড়া দেখে নিজেই শট নেন বসুন্ধরা অধিনায়ক রবসন রবিনহো। তার ডান পায়ের শট মোহামেডান গোলরক্ষক সুজনের হাতে লেগে দিক পাল্টে আটকে যায় পোস্টে। সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণে ওঠে মোহামেডান। সুলেমান দিয়াবাতের সামনে ছিলেন কেবল শ্রাবণ। মোহামেডান অধিনায়কও হারান ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ।
মোহামেডানকে চাপে রাখার ফল বসুন্ধরা পায় ৮৭ মিনিটে। এই গোলের পুরো কৃতিত্বটা পুরোই মিগেল দামাশিনোর। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে একে একে কাটান মোহামেডানের চার খেলোয়াড়কে। এরপর বক্সের ভেতর ঢুকে নেন বাঁ পায়ের বুলেট গতির এক শট। এতটাই গতি মিশে থাকল শটে যে গ্লাভস ছোঁয়ার সুযোগই পেলেন না মোহামেডান গোলরক্ষক। এই গোলেই হার দেখতে থাকা বসুন্ধরা খেলা নিয়ে যায় অতিরিক্ত সময়ে।
খেলা অতিরিক্ত সময়ে বদলি ডিফেন্ডার জাহিদ হোসেনের গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। আর তাতেই উত্তেজিত হয়ে খেলা থামিয়ে দেয় মোহামেডান। ১০৬ মিনিটে মিগেল দামাশিনোর কর্নার গ্লাভসে নিতে গিয়ে বল হাতছাড়া করেন মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেন। ফাঁকায় থাকা জাহিদ এই সুযোগ নষ্ট করেননি, ডান পায়ের শটে বল জড়ান জালে। রেফারি জসিম আক্তার গোলের বাঁশি দিতেই তাঁর দিকে ছুটে যান মোহামেডানের ফুটবলাররা। মাঠে নেমে পড়েন মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদও। গ্যালারি থেকে মোহামেডান সমর্থকেরা বোতল ছুঁড়ে মারা শুরু করেন বসুন্ধরার ডাগআউটে। উত্তেজিত মোহামেডানের ফুটবলাররা এক সময় মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় ১০ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। পরে অবশ্য রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে মাঠে নামে মোহামেডান।
জাহিদের গোলটাই শেষ পর্যন্ত গড়ে দিয়েছে ম্যাচের পার্থক্য। মোহামেডান একদম শেষ সময়ে মরিয়া হয়ে শেষ চেষ্টা করে আটকাতে পারেনি বসুন্ধরাকে। ১২০ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আড়াআড়ি শট নেন শাহরিয়ার ইমন। কিন্তু সাদা-কালোদের হতাশার চিত্র হয়ে রইল ইমনের নখদন্তহীন শট।
আক্রমণ, গোল এবং আবারও গোল; একটি ফাইনাল উপভোগ্য হতে আর কী লাগে! বসুন্ধরা কিংস আর মোহামেডানের ফেডারেশন কাপ ফাইনালকে বর্ণনা করতে হলে আরও কিছু লিখতে হবে, রুদ্ধশ্বাস ও একই সঙ্গে উত্তেজনার। এই ম্যাচে হাতাহাতি থেকে শুরু করে সবই হলো। খেলা একসময় থামিয়েও দিতে হলো। টান টান উত্তেজনার ম্যাচ খেলেও কিন্তু বসুন্ধরাকে ইতিহাস গড়া থামাতে পারল না মোহামেডান।
রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামের ১৫ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যালারি আজ ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। কাঠফাটা রোদে মাথায় নিয়ে এই দর্শকেরা এসেছিলেন উপভোগ্য এক ফাইনালের প্রত্যাশা নিয়ে যেমনটা হয়েছিল এক বছর আগে কুমিল্লায়। ৪-৪ গোলের সমতায় থাকা সেই ফাইনালে আবাহনীকে টাইব্রেকারে জিতে নিয়েছিল মোহামেডান। সাদা-কালোদের শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে আজ প্রতিপক্ষ ছিল ট্রেবল জিতে ইতিহাসের অপেক্ষায় থাকা বসুন্ধরা। পিছিয়ে পড়ে বসুন্ধরা শেষ পর্যন্ত ইতিহাস গড়েছে। পিছিয়ে থাকা ম্যাচ ২-১ গোলে জিতে দ্বিতীয় দল হিসেবে ট্রেবল জিতেছে অস্কার ব্রুজোনের দল।
২০০৭ সালে পেশাদার লিগ শুরুর পর ২০১৩ সালে প্রথম ট্রেবল জিতেছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে মোহামেডানকে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ট্রেবল জিতল বসুন্ধরা। ইতিহাস গড়তে ব্রুজোনের দলকে বেশ কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পিছিয়ে থাকা ম্যাচে ৮৭ মিনিটে সমতায় ফেরা, সেখান থেকে ম্যাচ জিতে নেওয়া, নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই ট্রেবল জিতেছে বসুন্ধরা।
এই মৌসুমে আজকের ম্যাচের আগে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে বসুন্ধরা-মোহামেডান। একবার স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে, দুইবার লিগে। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে মোহামেডানকে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম শিরোপা জিতেছিল বসুন্ধরা, মোহামেডান সেই শোধটা তুলেছিল লিগে বসুন্ধরাকে একমাত্র হার উপহার দিয়ে। পরের দুই ম্যাচ জিতেছে বসুন্ধরা। সব মিলিয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে এই মৌসুমে তিনবার ম্যাচ জিতল ব্রুজোনের দল। কাকতালীয়ভাবে বসুন্ধরা সবগুলো ম্যাচই জিতেছে ২-১ গোলের ব্যবধানে।
ম্যাচের প্রথম পরিষ্কার সুযোগটা বসুন্ধরার। ২৭ মিনিটে রাকিব হোসেনের লম্বা করে বাড়ানো বলে দরিয়েলতন গোমেজের সামনে ছিলেন কেবল মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেন। দরিয়েলতন শট নিলেন বটে কিন্তু সুজনকে হারাতে পারলেন না।
মোহামেডানও কাজে লাগাতে পারেনি তাদের প্রথম সুযোগটি। ৪১ মিনিটে মুজাফফরভের বাড়ানো বলে সুলেমান দিয়াবাতের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে পোস্টে জোরালো শট নেন ইম্যানুয়েল সানডে। সেই শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে বল জালে জড়াতে দেননি বসুন্ধরা গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ।
দুই মিনিট বাদে শ্রাবণই আরেকবার হতাশ করেন মোহামেডান সমর্থকদের। আরিফ হোসেনের ভাসিয়ে বাড়ানো ক্রসে সুলেমান দিয়াবাতে ভলি করেছিলেন লক্ষ্যেই। তবে সতর্ক শ্রাবণ সহজেই বলের নিয়ন্ত্রণ নেন গ্লাভসে।
বিরতির পর প্রথম সুযোগটা বসুন্ধরার। ৪৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে তপু বর্মণের বাতাসে বাড়ানো বলে দর্শনীয় সাইড ভলি নিলেও বলকে জালে জড়াতে পারেননি দরিয়েলতন।
আশরাফুল হক আসিফের বদলি হিসেবে নেমে শাহরিয়ার ইমন নামার পরই বদলে যায় মোহামেডানের খেলার ধরন। ইমন প্রথমেই সুযোগ পেয়ে যান মোহামেডানকে এগিয়ে দেওয়ার। যদিও প্রথম শটে ইমন আটকে যান বসুন্ধরার রক্ষণে। পরের মিনিটে তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন বসুন্ধরা গোলরক্ষক শ্রাবণ।
এরপর শ্রাবণকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে একের পর এক শট ঠেকাতে। ৬২ মিনিটে মুজাররফের শটও ঠেকান শ্রাবণ। কিন্তু পরের মিনিটে শেষ পর্যন্ত অবশ্য হারতে মানতে হয় তাঁকে।
৬৩ মিনিটে ইমনের বাড়ানো বলে বসুন্ধরার দুই ফুটবলকে হার মানিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে এক শট নেন ইম্যানুয়েল সানডে। নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ডের বাঁ পায়ের শটে এতটাই গতি থাকল যে শ্রাবণ ঝাঁপালেন কিন্তু ঠেকাতে পারলেন না। গোলের আনন্দে মাতে মাঠে থাকা হাজার হাজার মোহামেডান সমর্থক।
গোলের পর যেন আরও ক্ষুরধার মোহামেডানের আক্রমণ। আবারও পরীক্ষার মুখে শ্রাবণ ৭২ মিনিটে মিনহাজুর আবেদিন রাকিবের শট ফেরান বসুন্ধরা গোলরক্ষক।
মোহামেডানের আক্রমণের তোড়ে তিন পরিবর্তন আনতে বাধ্য হোন বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজোন। মাঠে নামেন শেখ মোরসালিন, ইয়াসির আরাফাত ও মাসুক মিয়া জনি। আক্রমণে গতি বাড়ে বসুন্ধরার। ৭৭ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগটা পায়ে ঠেলেন দরিয়েলতন। মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজনকে একা পেয়েও মেরে বসেন গোলরক্ষকের গায়ে।
পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে মোহামেডান আরও একবার কাঁপিয়ে দেয় বসুন্ধরার রক্ষণকে। নিজেদের অর্ধ থেকে মিনহাজুরের শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান তপু বর্মণ।
৮১ মিনিটে পোস্টে আটকে যায় বসুন্ধরার গোল। সতীর্থদের সুযোগ নষ্টের মহড়া দেখে নিজেই শট নেন বসুন্ধরা অধিনায়ক রবসন রবিনহো। তার ডান পায়ের শট মোহামেডান গোলরক্ষক সুজনের হাতে লেগে দিক পাল্টে আটকে যায় পোস্টে। সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণে ওঠে মোহামেডান। সুলেমান দিয়াবাতের সামনে ছিলেন কেবল শ্রাবণ। মোহামেডান অধিনায়কও হারান ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ।
মোহামেডানকে চাপে রাখার ফল বসুন্ধরা পায় ৮৭ মিনিটে। এই গোলের পুরো কৃতিত্বটা পুরোই মিগেল দামাশিনোর। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে একে একে কাটান মোহামেডানের চার খেলোয়াড়কে। এরপর বক্সের ভেতর ঢুকে নেন বাঁ পায়ের বুলেট গতির এক শট। এতটাই গতি মিশে থাকল শটে যে গ্লাভস ছোঁয়ার সুযোগই পেলেন না মোহামেডান গোলরক্ষক। এই গোলেই হার দেখতে থাকা বসুন্ধরা খেলা নিয়ে যায় অতিরিক্ত সময়ে।
খেলা অতিরিক্ত সময়ে বদলি ডিফেন্ডার জাহিদ হোসেনের গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। আর তাতেই উত্তেজিত হয়ে খেলা থামিয়ে দেয় মোহামেডান। ১০৬ মিনিটে মিগেল দামাশিনোর কর্নার গ্লাভসে নিতে গিয়ে বল হাতছাড়া করেন মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেন। ফাঁকায় থাকা জাহিদ এই সুযোগ নষ্ট করেননি, ডান পায়ের শটে বল জড়ান জালে। রেফারি জসিম আক্তার গোলের বাঁশি দিতেই তাঁর দিকে ছুটে যান মোহামেডানের ফুটবলাররা। মাঠে নেমে পড়েন মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদও। গ্যালারি থেকে মোহামেডান সমর্থকেরা বোতল ছুঁড়ে মারা শুরু করেন বসুন্ধরার ডাগআউটে। উত্তেজিত মোহামেডানের ফুটবলাররা এক সময় মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় ১০ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। পরে অবশ্য রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে মাঠে নামে মোহামেডান।
জাহিদের গোলটাই শেষ পর্যন্ত গড়ে দিয়েছে ম্যাচের পার্থক্য। মোহামেডান একদম শেষ সময়ে মরিয়া হয়ে শেষ চেষ্টা করে আটকাতে পারেনি বসুন্ধরাকে। ১২০ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আড়াআড়ি শট নেন শাহরিয়ার ইমন। কিন্তু সাদা-কালোদের হতাশার চিত্র হয়ে রইল ইমনের নখদন্তহীন শট।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১০ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১২ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১৩ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১৩ ঘণ্টা আগে