নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে শুরুর একাদশে রাখেননি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তাই অধিনায়কত্বের বাহুবন্ধনী থাকে তপু বর্মণের কাছে। কিন্তু চোটের কারণে ২১ মিনিটের বেশি খেলতে পারেননি তিনি। এরপর রহমত মিয়া থেকে ঘুরে সেটা যায় সোহেল রানার কাছেও। কিন্তু বাহুবন্ধনী যাঁর হাতেই থাকুক, সবার চোখ তো ছিল হামজা চৌধুরীর দিকে। পুরো ৯০ মিনিট জুড়েই বাংলাদেশের খেলার কলকাঠি নেড়েছেন তিনি। কখনো উপরে উঠে, কখনো নিচে নেমে, দলের প্রয়োজনে সবটুকু উজাড় করে দিয়ে খেলেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে তাঁর অভিষেক জয়ে রাঙাতে পারেনি বাংলাদেশ।
উন্মাদনার তুঙ্গে থাকা এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি ইতি টানে গোলশূন্য ড্রয়ে। এতে অবশ্য বাংলাদেশেরই দায় বেশি। ভারতের একের পর এক ভুল কাজে লাগাতে পারেনি কাবরেরার দল। উল্টো সাজিয়ে বসে গোল মিসের পসরা। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গোলের অন্তুত পাঁচটি পরিষ্কার সুযোগ ছিল।
শিলংয়ের জওহরলার নেহরু স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৫ সেকেন্ডেই গোলের সুবর্ণ এক সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মজিবর রহমান জনি। কিকঅফের পর অভিষিক্ত হামজা চৌধুরী তার উদ্দেশেই বল বাড়ান, সেই বল চলে যায় ভারতীয় গোলরক্ষক বিশাল কাইথের কাছে। তবে কাইথ উল্টো বেরিয়ে এসে জনির কাছে ভুলপাস দেন তিনি। কিন্তু ফাঁকাপোস্ট পেয়ে বল জালের ভেতর ফেলতে পারেননি জনি। তাঁর শট জালের পাশ দিয়ে চলে যায় বাইরে।
১২ মিনিটে আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ আসে বাংলাদেশের। এবারও ভুলটি ভারতীয় গোলরক্ষকের। তাঁর নেওয়া শট শাকিল তপুর গায়ে লাগায় ডি-বক্সের মধ্যে ফিরে আসে বল। আরও একবার ফাঁকা পোস্ট পায় বাংলাদেশ। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ হৃদয়। তাঁর নেওয়া দুর্বল শট সহজে ক্লিয়ার করেন শুভাশীষ বোস।
১৮ মিনিটে শেখ মোরসালিনের ক্রসে শাহরিয়ার ইমন আরেকটু ওপরে ওঠে মাথা ছোঁয়াতে পারলে গোলের উল্লাসে মেতে উঠতো বাংলাদেশ। কিন্তু এবারও সঙ্গী হয় দুর্ভাগ্য। ২০ মিনিটে আয়ুশ ছেত্রীকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন জনি। ঠিক তখনই এক ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। শাহরিয়ারের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে চোট পান তপু বর্মন। তাই স্ট্রেচারে করে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় তাঁকে। বদলি হিসেবে নামেন রহমত মিয়া
ভারত প্রথম গোলমুখে শট নেয় ২৮ মিনিটে। তবে লিস্টন কোলাসোর শট জায়গায় দাঁড়িয়ে তালুবন্দী করেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মারমা। এরপর আরও আগ্রাসী হতে থাকে ভারত। ৩০ মিনিটে উদন্ত সিংয়ের হেড প্রতিহত করেন তারিক কাজী। ফিরতি বলে সুযোগ এসেছিল ফারুকের সামনেও। তবে তাঁর শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান মিতুল।
৪১ মিনিটে আবারও হতাশ করেন জনি। শুভাশীষ ও সন্দেশ ঝিঙ্ঘনকে পেছনে ফেলে দৌড়ে ডি-বক্সের সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু গোলরক্ষকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি এই মিডফিল্ডার।
বিরতি পর শুরুর দিকে খেলায় তেমন গতি ছিল না। হামজা আরেকটু নিচে এসে খেলতে থাকেন। ভারতের লিস্টন কোলাসোকে ট্যাকল করে ডিফেন্সিভ দক্ষতাও দেখান তিনি। তবে ভারতের আক্রমণের ধার কেবল বাড়তেই থাকে। বেশ কয়েকটি কর্নারও পায় তারা। কিন্তু কোনো বিপদ তৈরি করতে পারেনি।
৬১ মিনিটে আবারও ভুল পাসে সুযোগ চলে আসে জনির সামনে। কিন্তু ব্যর্থতার ধারা এবারও বজায় রাখেন তিনি। ডিবক্সে গিয়ে হারিয়ে ফেলেন বল। এর পরের মিনিটেই তাঁকে তুলে নেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তুলে নেওয়া হয় শাহরিয়ার ইমনকেও। দুজনের পরিবর্তে মাঠে নামেন চন্দন রায় ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ৭৫ তম মিনিটে সেই ফাহিমই রাকিবের পাঠানো ক্রসকে জালে না পাঠিয়ে উল্টো আকাশে মেরেছেন।
৮৪ মিনিটে মহেশ সিংয়ের ক্রসে বলার মতো শুধু একটি সুযোগই পেয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। কিন্তু তাঁর দুর্বল হেড পোস্টের অনেকটা বাইরে দিয়েই চলে যায়। ম্যাচে এর আগে খুঁজেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। ৮৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফাহিমের দারুণ একটি শট ভারতীয় গোলরক্ষক যদি ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন। ম্যাচের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে শেষবারের মতো সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু রাকিব বল আকাশে না পাঠালে গল্পটা অন্য রকম হতে পারত। তাই আপাতত প্রাপ্তি শুধু ১ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ একাদশ: মিতুল মারমা (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ (অধিনায়ক), তারিক কাজী, শাকিল তপু, সাদ উদ্দিন, মোহাম্মদ হৃদয়, মজিবর রহমান জনি, হামজা চৌধুরী, রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন, শাহরিয়ার ইমন।
ভারত একাদশ: বিশাল কাইথ (গোলরক্ষক), রাহুল ভেকে, শুভাশিষ বোস, সন্দেশ ঝিঙ্ঘন (অধিনায়ক), লিস্টন কোলাসো, ফারুক চৌধুরী, উদন্ত সিং, সুনীল ছেত্রী, আয়ুশ ছেত্রী, আপুইয়া রালতে, বরিস সিং।
নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে শুরুর একাদশে রাখেননি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তাই অধিনায়কত্বের বাহুবন্ধনী থাকে তপু বর্মণের কাছে। কিন্তু চোটের কারণে ২১ মিনিটের বেশি খেলতে পারেননি তিনি। এরপর রহমত মিয়া থেকে ঘুরে সেটা যায় সোহেল রানার কাছেও। কিন্তু বাহুবন্ধনী যাঁর হাতেই থাকুক, সবার চোখ তো ছিল হামজা চৌধুরীর দিকে। পুরো ৯০ মিনিট জুড়েই বাংলাদেশের খেলার কলকাঠি নেড়েছেন তিনি। কখনো উপরে উঠে, কখনো নিচে নেমে, দলের প্রয়োজনে সবটুকু উজাড় করে দিয়ে খেলেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে তাঁর অভিষেক জয়ে রাঙাতে পারেনি বাংলাদেশ।
উন্মাদনার তুঙ্গে থাকা এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি ইতি টানে গোলশূন্য ড্রয়ে। এতে অবশ্য বাংলাদেশেরই দায় বেশি। ভারতের একের পর এক ভুল কাজে লাগাতে পারেনি কাবরেরার দল। উল্টো সাজিয়ে বসে গোল মিসের পসরা। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গোলের অন্তুত পাঁচটি পরিষ্কার সুযোগ ছিল।
শিলংয়ের জওহরলার নেহরু স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৫ সেকেন্ডেই গোলের সুবর্ণ এক সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মজিবর রহমান জনি। কিকঅফের পর অভিষিক্ত হামজা চৌধুরী তার উদ্দেশেই বল বাড়ান, সেই বল চলে যায় ভারতীয় গোলরক্ষক বিশাল কাইথের কাছে। তবে কাইথ উল্টো বেরিয়ে এসে জনির কাছে ভুলপাস দেন তিনি। কিন্তু ফাঁকাপোস্ট পেয়ে বল জালের ভেতর ফেলতে পারেননি জনি। তাঁর শট জালের পাশ দিয়ে চলে যায় বাইরে।
১২ মিনিটে আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ আসে বাংলাদেশের। এবারও ভুলটি ভারতীয় গোলরক্ষকের। তাঁর নেওয়া শট শাকিল তপুর গায়ে লাগায় ডি-বক্সের মধ্যে ফিরে আসে বল। আরও একবার ফাঁকা পোস্ট পায় বাংলাদেশ। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ হৃদয়। তাঁর নেওয়া দুর্বল শট সহজে ক্লিয়ার করেন শুভাশীষ বোস।
১৮ মিনিটে শেখ মোরসালিনের ক্রসে শাহরিয়ার ইমন আরেকটু ওপরে ওঠে মাথা ছোঁয়াতে পারলে গোলের উল্লাসে মেতে উঠতো বাংলাদেশ। কিন্তু এবারও সঙ্গী হয় দুর্ভাগ্য। ২০ মিনিটে আয়ুশ ছেত্রীকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন জনি। ঠিক তখনই এক ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। শাহরিয়ারের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে চোট পান তপু বর্মন। তাই স্ট্রেচারে করে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় তাঁকে। বদলি হিসেবে নামেন রহমত মিয়া
ভারত প্রথম গোলমুখে শট নেয় ২৮ মিনিটে। তবে লিস্টন কোলাসোর শট জায়গায় দাঁড়িয়ে তালুবন্দী করেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মারমা। এরপর আরও আগ্রাসী হতে থাকে ভারত। ৩০ মিনিটে উদন্ত সিংয়ের হেড প্রতিহত করেন তারিক কাজী। ফিরতি বলে সুযোগ এসেছিল ফারুকের সামনেও। তবে তাঁর শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান মিতুল।
৪১ মিনিটে আবারও হতাশ করেন জনি। শুভাশীষ ও সন্দেশ ঝিঙ্ঘনকে পেছনে ফেলে দৌড়ে ডি-বক্সের সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু গোলরক্ষকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি এই মিডফিল্ডার।
বিরতি পর শুরুর দিকে খেলায় তেমন গতি ছিল না। হামজা আরেকটু নিচে এসে খেলতে থাকেন। ভারতের লিস্টন কোলাসোকে ট্যাকল করে ডিফেন্সিভ দক্ষতাও দেখান তিনি। তবে ভারতের আক্রমণের ধার কেবল বাড়তেই থাকে। বেশ কয়েকটি কর্নারও পায় তারা। কিন্তু কোনো বিপদ তৈরি করতে পারেনি।
৬১ মিনিটে আবারও ভুল পাসে সুযোগ চলে আসে জনির সামনে। কিন্তু ব্যর্থতার ধারা এবারও বজায় রাখেন তিনি। ডিবক্সে গিয়ে হারিয়ে ফেলেন বল। এর পরের মিনিটেই তাঁকে তুলে নেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তুলে নেওয়া হয় শাহরিয়ার ইমনকেও। দুজনের পরিবর্তে মাঠে নামেন চন্দন রায় ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ৭৫ তম মিনিটে সেই ফাহিমই রাকিবের পাঠানো ক্রসকে জালে না পাঠিয়ে উল্টো আকাশে মেরেছেন।
৮৪ মিনিটে মহেশ সিংয়ের ক্রসে বলার মতো শুধু একটি সুযোগই পেয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। কিন্তু তাঁর দুর্বল হেড পোস্টের অনেকটা বাইরে দিয়েই চলে যায়। ম্যাচে এর আগে খুঁজেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। ৮৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফাহিমের দারুণ একটি শট ভারতীয় গোলরক্ষক যদি ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন। ম্যাচের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে শেষবারের মতো সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু রাকিব বল আকাশে না পাঠালে গল্পটা অন্য রকম হতে পারত। তাই আপাতত প্রাপ্তি শুধু ১ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ একাদশ: মিতুল মারমা (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ (অধিনায়ক), তারিক কাজী, শাকিল তপু, সাদ উদ্দিন, মোহাম্মদ হৃদয়, মজিবর রহমান জনি, হামজা চৌধুরী, রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন, শাহরিয়ার ইমন।
ভারত একাদশ: বিশাল কাইথ (গোলরক্ষক), রাহুল ভেকে, শুভাশিষ বোস, সন্দেশ ঝিঙ্ঘন (অধিনায়ক), লিস্টন কোলাসো, ফারুক চৌধুরী, উদন্ত সিং, সুনীল ছেত্রী, আয়ুশ ছেত্রী, আপুইয়া রালতে, বরিস সিং।
নেপাল সফরের জন্য গত পরশু শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। সে জন্য ২৪ জনের দলও সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। কিন্তু মাঠের অনুশীলন এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। এর মধ্যে নতুন খবর, ক্যাম্পের জন্য আপাতত নিজেদের খেলোয়াড়দের ছাড়ছে না বসুন্ধরা কিংস। আজ এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি বাফুফেকে জানিয়েছে তারা।
৪ ঘণ্টা আগেলিওনেল মেসির সঙ্গে ধারেকাছে কেউ এলেই হতো। দেহরক্ষী ইয়াসিন চেউকো দ্রুত তাঁকে ধরে ফেলেন। বিমানের চেয়ে যেন ক্ষিপ্রগতিতে ছুটতে পারেন চেউকো। তাঁর কারণে তাই ভক্ত-সমর্থকেরা সেলফি তোলা তো দূরে থাক, অটোগ্রাফ পর্যন্ত নিতে পারেন না।
৪ ঘণ্টা আগেভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ ফুটবল ক্লাবে (আরটিসি) খেলবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। একই ক্লাবের হয়ে খেলতে আজ তাঁর সঙ্গে ভুটানে গিয়েছেন স্বপ্না রানী। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রাথমিক পর্বে ‘ডি’ গ্রুপে খেলবে আরটিসি। মূলত এই টুর্নামেন্টের জন্য আফঈদা-স্বপ্নাকে নিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেলিওনেল মেসি তাঁর ক্যারিয়ারে কত শিরোপা জিতেছেন, সেটা তিনি যে নিজেও গুণে শেষ করতে পারবেন না। বার্সেলোনা, প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি), আর্জেন্টিনা—যে দলের হয়েই খেলেছেন, জিতেছেন শিরোপা। পরম আরাধ্য বিশ্বকাপ জিতেছেন ২০২২ সালে। একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন বলে ‘রেকর্ডের বরপুত্র’ উপাধিও পেয়েছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে