Ajker Patrika

স্ট্রাইকার ছাড়া ৬ গোল, এমন বাংলাদেশ কে দেখেছে কবে 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বেঙ্গালুরু থেকে 
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৩, ১২: ১৯
স্ট্রাইকার ছাড়া ৬ গোল, এমন বাংলাদেশ কে দেখেছে কবে 

গত ভুটান ম্যাচের পর মিক্সড জোন দিয়ে বাসে উঠছিলেন ফুটবলাররা। সংবাদ সম্মেলন শেষ করে শিষ্যদের একই পথে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও। টিম বাসে ওঠার সময় বাংলাদেশ কোচের মন্তব্য, ‘দুই ম্যাচে ৬ গোল। ইটজ নট আ ম্যাটার অব জোক (এটা মোটেও ছোট কোনো বিষয় নয়!) ’

কাবরেরার কথাটি দুই দশক আগে হলে হয়তো হেসেই উড়িয়ে দেওয়া যেত। পরিসংখ্যান বলে, এর আগেও প্রতিপক্ষকে দুই ম্যাচে গুনে গুনে ৮ ও ৭ গোল দেওয়ার বেশ কয়েকটি কীর্তি আছে বাংলাদেশের। ১৯৮৪ সাফ গেমসে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের গোল ছিল ১২টি। ভুটানকে ২, মালদ্বীপ ও নেপালকে ৫টি করে গোলের মালা পরিয়েছিল সোনালি দিনের বাংলাদেশ দল। এক বছর পর ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের দুই ম্যাচে গোল ১০টি। পাকিস্তানের সঙ্গে সেই দলটার জয়ের ব্যবধান ছিল ২-১ আর মালদ্বীপের সঙ্গে জয়টা ছিল ১০-০ গোলে।

একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের ফুটবল পথ হারালেও টানা ম্যাচে ৬-৭ গোলের পরিসংখ্যান কিন্তু একেবারে থেমে যায়নি। পরপর দুই আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের ৬ গোলের সবশেষ কীর্তি ২০১৯ সালে ভুটানের বিপক্ষে। এবারের সাফের আগে টানা দুই ম্যাচে জয় সেবারই শেষবারের মতো পেয়েছিল বাংলাদেশ দল।

মালদ্বীপের ফরোয়ার্ড হামজা মোহাম্মেদকে পরাস্ত করার চেষ্টা করছেন রাকিব

কিন্তু এরপরও বর্তমান পরিস্থিতিতে কাবরেরার কথার অর্থ বুঝতে না পারার কোনো কারণ নেই। এ বছরও বাংলাদেশ সিশেলসের মতো অপেশাদার দলের সঙ্গে জিততে পারেনি দলে গোল করতে পারা স্ট্রাইকার না থাকায়। অসংখ্য সুযোগ পেয়েও অতীতে বাংলাদেশ দল বঞ্চিত হয়েছে দলের স্ট্রাইকারদের গোল করার অভ্যাস না থাকায়। যে দলটা গোল করতে পারে না, সেই দলটা সাফে এসে দুই ম্যাচে ৬ গোল করবে, কেউ কি এমনটা ভাবতে পেরেছিল আগে!

একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, যতবারই ৬ বা তার বেশি গোলে জিতেছে বাংলাদেশ, তার অন্তত একটি হলেও গোল করেছেন কোনো না কোনো স্ট্রাইকার। অথবা করিয়েছেন। কিন্তু এবারই সম্ভবত প্রথমবারের মতো কোনো স্ট্রাইকারের অবদান ছাড়াই ৬ গোল দেওয়ার ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। মালদ্বীপ ম্যাচে ৩ গোলের ২টি করেছেন শেখ মোরসালিন ও রাকিব হোসেন। আরেকটি গোল ডিফেন্ডার তারিক কাজীর। ভুটান ম্যাচেও গোল পেয়েছেন মোরসালিন-রাকিব জুটি। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি হয়েছিল আত্মঘাতী।

মালদ্বীপ-ভুটান ম্যাচে ২টি করে গোল করা মোরসালিন ও রাকিব কিন্তু প্রথাগত স্ট্রাইকার নন। মোরসালিন খেলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনে, রাকিব উইঙ্গার। বাংলাদেশ দলে যিনি প্রথাগত স্ট্রাইকার, সেই সুমন রেজা মালদ্বীপ-ভুটানের বিপক্ষে শুরুর একাদশে জায়গাই পাননি। অর্থাৎ, কাবরেরার বাংলাদেশ দল ৬ গোল পেয়েছে কোনো স্ট্রাইকারের অবদান ছাড়াই! অবশ্য আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্ট্রাইকারের সাহায্য লম্বা সময় ধরেই পায় না বাংলাদেশ। গত পাঁচ বছরে লাল-সবুজদের বেশির ভাগ জয় এসেছে হয় ডিফেন্ডার, নয়তো কোনো উইঙ্গারের গোল থেকে।

মালদ্বীপের বিপক্ষে গোলের পর সতীর্থ জনির সঙ্গে মোরসালিনের উদ্‌যাপনএকজন স্ট্রাইকার ছাড়া বাংলাদেশ দলটা চমক দেখাচ্ছে তাদের খেলার ধরনে। প্রতি আক্রমণে খেলার অভ্যাস থেকে বের হয়ে নিচ থেকে আক্রমণ গড়ার ধরনটা বাংলাদেশ দল যে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছে, সেটা দেখা সাফের শেষ দুই ম্যাচে। দুই ম্যাচেই অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া খেলেছেন ‘ফলস নাইন’ পজিশনে। মূলত ফুটবলারদের চাপেই বিল্ডআপ ফুটবলে মনোযোগী হয়েছেন কাবরেরা। সেই বিল্ডআপ ফুটবলের ক্যারিশমাতেই শেষ চারে বাংলাদেশ। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর কাছ থেকে শুরুটা হয় আক্রমণের। এরপর মাঝমাঠে চার মিডফিল্ডার জামাল, মোহাম্মদ সোহেল রানা, সোহেল রানা ও মোহাম্মদ হৃদয় চেষ্টা করেন খেলাটা গড়ে দেওয়ার। আক্রমণের ভারটা মালদ্বীপ ম্যাচে শুরুতে সামলেছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাকিব হোসেন, ভুটান ম্যাচে রাকিব ও মোরসালিন।

ভুটানের বিপক্ষে মাঝমাঠ খানিকটা নড়বড়ে থাকলেও আক্রমণভাগে মোরসালিন-রাকিব জুটি বুঝতেই দেননি সেই অভাবটা। ভুটান ম্যাচে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথমবারের মতো দুজনের বোঝাপড়াটা বাংলাদেশকে আরও সাহস দিচ্ছে প্রথাগত কোনো স্ট্রাইকার ছাড়াই মাঠে নামার। বক্সের বাইরে থেকে মোরসালিনের ‘অন টার্গেটে’ শট রাখতে পারার সক্ষমতা রাকিবকে দিচ্ছে তার মতো খেলার স্বাধীনতা। ক্লাব ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলায় দুজনেরই বোঝাপড়াটা ভালো হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে। মাত্র চার ম্যাচেই ২ গোল করা মোরসালিন এ ক্ষেত্রে কৃতিত্বটা রাকিবকেই দিলেন বেশি, ‘রাকিব ভাই খুবই ভালো ফুটবলার। একজন অভিজ্ঞ ফুটবলার। আমাকে নিজের ভাগ্যবান মনে হয় যে তাঁদের মতো ফুটবলারদের সঙ্গে খেলতে পারছি।''

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কোন ভুলে অলরাউন্ডার গ্রিন আইপিএলে শুধুই ‘ব্যাটার’

ক্রীড়া ডেস্ক    
ক্যামেরুন গ্রিন। ছবি: এক্স
ক্যামেরুন গ্রিন। ছবি: এক্স

আগামী ১৬ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৬ এর মিনি নিলাম হবে। তার আগে আলোচনায় বেশকিছু ক্রিকেটার। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের ক্যাটাগরিতে থাকা ক্যামেরুন গ্রিন। অদ্ভুত কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা ক্রিকেটার।

গ্রিন একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও বেশ কার্যকরী তিনি। জাতীয় দল কিংবা বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বহুবার নিজের বোলিং সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। তবে আইপিএলের পরবর্তী আসরের নিলামে শুধু ‘ব্যাটার’ ক্যাটাগরিতে আছে তাঁর নাম। যেটা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা।

অনেকের ধারণা ছিল, হয়তো ফিটনেসের কারণে শুধু ব্যাটার ক্যাটাগরিতে নাম নিবন্ধন করেছেন গ্রিন। ইনজুরি কাটিয়ে গত জুনে কেবল ব্যাটার হিসেবে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। তবে চলমান অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টের অলরাউন্ডারের ভূমিকাতেই দেখা গেছে গ্রিনকে। অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে জানালেন, ইচ্ছাকৃতভাবে নয়, নিলামের নিবন্ধনের সময় ভুল বাক্সে টিক দিয়েছেন তাঁর ম্যানেজার।

গ্রিন বলেন, ‘আমি বোলিংয়ের জন্যও তৈরি আছি। হয়তো আমার ম্যানেজার মন খারাপ করতে পারে। বাস্তবতা হলো তাঁর জন্যই এই ঝামেলাটা হয়েছে। সে ‘ব্যাটার’ বোঝাতে চায়নি। আমার ধারণা, সে দুর্ঘটনাবশত সে ভুল বক্স নির্বাচন করে ফেলেছে। পুরো ব্যাপারটা যেভাবে হয়েছে তা বেশ মজার। কিন্তু ভুলটা ম্যানেজারের ছিল।’

নিলামে কী হয় সেটা দেখার অপেক্ষায় আছেন গ্রিন, ‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি আইপিএলের নিলাম দেখতে চাই। এটা দেখা সবসময়ই খুব মজার। অনেকটা লটারির মতো। কোন দলে যাব, আমার দলে আর কে কে থাকছে–এসব দেখতে বেশ মজা পাই।’

বেশকিছু ভারতীয় এবং অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমের দাবি, আইপিএলের নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হতে পারেন গ্রিন। এমনকি তিনি ঋষভ পন্তের ২৭ কোটি রুপির রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২০২৩ সালের আইপিএলে তাঁকে সাড়ে ১৭ কোটি রুপিতে কিনেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রত্যাবর্তনে রেকর্ড গড়ে কী বললেন সালাহ

ক্রীড়া ডেস্ক    
একটি গোলে অবদান রেখেছেন সালাহ। ছবি: এক্স
একটি গোলে অবদান রেখেছেন সালাহ। ছবি: এক্স

জানুয়ারির দলবদলে লিভারপুল ছাড়তে পারেন মোহাম্মদ সালাহ–গত কয়েকদিন এই আলোচনা শোনা গেছে বেশ জোরেসোরেই। বিবর্ণ পারফরম্যান্স, কোচের সঙ্গে বিরোধ, স্কোয়াডে অনিয়মতি হয়ে পড়া; সব মিলিয়ে অ্যানফিল্ডে মিশরীয় তারকার শেষ দেখে ফেলেছিলেন সবাই। তবে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির সঙ্গে সালাহর বরফ গলতে শুরু করেছে এরই মধ্যে।

লিভারপুলের হয়ে সালাহ সবশেষ পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন গত ২৭ নভেম্বর; উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে পিএসভি আইন্দহোভেনর বিপক্ষে। সে ম্যাচে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন। সান্দারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন বদলি হিসেবে। এরপর লিগে লিডস ইউনাইটেড এবং ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি তাঁর।

দলে অনিয়মিত হয়ে পড়ায় প্রধান কোচ আর্নে স্লটকে ইঙ্গিত করে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সালাহ। তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। তবে সব বিতর্কের সমাপ্তি টানেন স্লট। গত শুক্রবার তারকা ফরোয়ার্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এবং ব্রাইটনের বিপক্ষে লিগ ম্যাচের স্কোয়াডে ফেরান। স্কোয়াডে ফিরলেও শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি লিভারপুলের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজনের। ২৬ মিনিটে জো গোমেজ চোট পাওয়ায় বদলি হিসেবে মাঠে নামেন সালাহ।

অ্যানফিল্ডে ব্রাইটনের বিপক্ষে ম্যাচটি লিভারপুল জিতেছে ২-০ ব্যবধানে। দুটি গোলই করেন হুগো একিতিকে। ৬০ মিনিটে তাঁর দ্বিতীয় গোলে সহায়তা করেন সালাহ। তাতেই প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে কোনো একক দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭৭ গোলে অবদানের রেকর্ড গড়লেন তিনি। ১৮৮ গোল এবং ৮৯ অ্যাসিস্ট করে সালাহ ছাড়িয়ে গেলেন ওয়েইন রুনিকে। ২৭৬ গোলে জড়িয়ে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ফুটবলারের নাম। এদিন অ্যানফিল্ডের গ্যালারিতে সালাহকে নিয়ে স্লোগান দিয়েছেন ভক্তরা। গোল না করলেও তাই তাঁর প্রত্যাবর্তনটা হয়ে থাকল স্মরণীয়।

ম্যাচ শেষে সালাহ বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ পর আমার মনে হলো ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল। ম্যাচে আমরা যে মানসিকতা দেখিয়েছি এবং আমাদের যে চোটের সমস্যা আছে, তাতে হয়তো এমন কিছু আমাদের প্রাপ্য ছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কলকাতায় অরাজকতা হলেও সুশৃঙ্খল হায়দরাবাদ দেখলেন মেসি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৫
হায়দরাবাদে দারুণ সময় পার করেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। ছবি: এক্স
হায়দরাবাদে দারুণ সময় পার করেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। ছবি: এক্স

ভারতের লিওনেল মেসির সফরটা তিন দিনের। এশিয়ার দেশটিতে প্রথম দিনই ভিন্ন অভিজ্ঞতা হলো বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের। নানা অব্যবস্থাপনায় তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে কলকাতা ছাড়লেও হায়দরাবাদে সুশৃঙ্খল পরিবেশ পেলেন ইন্টার মায়ামি তারকা।

কলকাতার বাজে অভিজ্ঞতা সঙ্গে করে গতকাল দুপুরে হায়দরাবাদের বিমানে চড়েন মেসি। বিকেল ৫টায় হায়দরাবাদে পা রাখেন। এরপর রাত ৮টায় শহরের উপল স্টেডিয়ামে হাজির হন। তখন মাঠে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ চলছিল। ম্যাচ শেষে মাঠে নামেন মেসি এবং তাঁর দুই সতীর্থ রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ। সঙ্গে ছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। মেসিকে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গোটা গ্যালারি। হাত নেড়ে ভক্তদের অভিবাদনের জবাব দেন এই ফরোয়ার্ড।

মাঠে রেবন্ত এবং শিশুদের সঙ্গে পাসিং খেলেছেন মেসি। বেশ কয়েকবার বল শট দিয়ে গ্যালারিতে পাঠান। তাতে দর্শকদের আনন্দ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। মাঠ প্রদক্ষিণও করেছেন তিনি। প্রদর্শনী ম্যাচের জয়ী দলের হাতে ‘গোট কাপ’ ট্রফি তুলে দেন মেসি। একপর্যায়ে মেসি ও সুয়ারেজকে সম্মাননা স্মারক উপহার দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

যুবভারতীতে মেসি মাঠে নামতেই কয়েক শ মানুষ তাঁকে ঘিরে ধরে। বিশৃঙ্খলা শুরু সেখানেই। এদিক থেকে ব্যতিক্রম ছিল হায়দরাবাদের আয়োজন। উপল স্টেডিয়ামে মেসির কাঁছে ভিড়তে পারেনি কেউ। দূরত্ব বজায় রেখে ছবি তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিমানবন্দর থেকে মাঠ কিংবা হোটেল—সব জায়গায় ছিল কঠোর নিরাপত্তা।

এর আগে গতকাল হোটেলের কার্যক্রম শেষ করে যুবভারতী স্টেডিয়ামে যান এলএমটেন। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। মাঠে গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাবেক ফুটবলার, বিভিন্ন সেলিব্রিটি এবং রাজনৈতিক নেতারা। তাতে মেসি নিজেও বেশ বিরক্ত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি খারাপ দেখে দ্রুত মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।

কথা ছিল পুরো মাঠ ঘুরবেন মেসি। তাঁকে একনজর সামন থেকে দেখার জন্য এদিন কানায় কানায় পূর্ণ ছিল যুবভারতীর গ্যালারি। সবাইকে খরচ করতে হয়েছে মোটা অঙ্কের অর্থ। কিন্তু আয়োজকদের অব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠে ছাড়তে হয়েছে মেসিকে। ফুটবলের মহাতারকাকে দেখতে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দর্শকেরা। স্টেডিয়ামে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকজন আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছে। ভাঙা হয়েছে সীমানা প্রাচীর, খেলোয়াড়দের টানেল। সব মিলিয়ে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয় যুবভারতী। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় মেসি এবং দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইএল টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের বাজে দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
বল হাতে বেশ খরুচে ছিলেন কাটার মাস্টার। ছবি: এক্স
বল হাতে বেশ খরুচে ছিলেন কাটার মাস্টার। ছবি: এক্স

আইএল টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ২ ম্যাচে বল হাতে সেরাটা দিয়েছেন মোস্তাফিজু রহমান। তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তৃতীয় ম্যাচে এসে নিজেকে হারিয়ে খুঁজলেন এই বাঁ হাতি পেসার। এদিন রান বিলিয়েছেন উদার হস্তে। মোস্তাফিজ বল হাতে খরুচে থাকলেও বিপদে পড়তে হয়নি দুবাই ক্যাপিটালসকে। আবুধাবি নাইট রাইডার্সকে ৯ রানে হারিয়েছে তারা।

এ নিয়ে টানা ২ ম্যাচে নাইট রাইডার্সকে হারাল দুবাই। গত ৭ ডিসেম্বর ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে ৮৩ রানে হারিয়েছিল তারা। আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৯৬ রান তোলে দুবাই। জবাবে ১৮৭ রানে থামে নাইট রাইডার্সের ইনিংস। আন্দ্রে রাসেল ও জেসন হোল্ডারের ব্যাটে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেনি দলটি। তাঁদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পরও শেষ ৫ ওভারে ৮৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি নাইট রাইডার্স।

শেষ পর্যন্ত দুবাই হারলে দায় পড়তো মোস্তাফিজের কাঁধে। ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচ করেন কাটার মাস্টার। দুই স্পেলে দুই রকমের বোলিং করেছেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে দুই ওভারে দেন ১৪ রান। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে এসে ভেড়ক পিটুনি খান মোস্তাফিজ। ১৬ তম ওভারে বোলিংয়ে এসে খরচ করেন ১৮ রান। ১৮ তম ওভারে দেন ১৫ রান। সে ওভারে হোল্ডারকে বিদায় করেন। ম্যাচে এটা মোস্তাফিজের একমাত্র উইকেট। ৯ বলে ৩ ছক্কায় ২২ রান করেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। নাইট রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন রাসেল। সমান চারটি করে চার এবং ছয়ে সাজানো তাঁর ১৬০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংস।

দুবাইয়ে হয়ে বল হাতে সবচেয়ে বেশি হিসেবি ছিলেন মোহাম্মদ নবি। ৩ ওভারে ১৫ রানে ১ উইকেট নেন আফগান তারকা। এর আগে শায়ান জাহাঙ্গীরের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজি পায় দুবাই। ৫৪ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৯ রান করেন এই ব্যাটার। ২৪ বলে ৩৮ রান করেন রোভম্যান পাওয়েল। নাইট রাইডার্সের হয়ে হোল্ডার ও রাসেল দুটি করে উইকেট নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত