নিজস্ব প্রতিবেদক, বেঙ্গালুরু থেকে
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। শক্তিশালী কুয়েতের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে লড়াকু এক বাংলাদেশ। সমানভাবে লড়েছে দুই দল। তাতে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অমীমাংসিত দুই দলের ফল।
বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে কুয়েতের বিপক্ষে এবারের সাফে সেরা খেলাটা উপহার দিয়ে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কেউ কাউকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ-কুয়েত।
কুয়েতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যে তারিক কাজীর ফেরাটা ছিল অবধারিত। হয়েছেও সেটাই। তারিক একাদশে ফেরায় সাইড বেঞ্চে চলে গেছেন ভুটান ম্যাচে শুরুর একাদশে থাকা ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে কুয়েতের একাদশ ছিল চমকে সাজানো। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের সঙ্গে যে দলটা খেলেছে, শুরু থেকে সেই দলের মাত্র চারজন আজ খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। অর্থাৎ কুয়েত একাদশে পরিবর্তন ছিল সাতটি!
ম্যাচ শুরু হতেই গোলের আক্ষেপে পুড়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ২ মিনিটের মাথায় কুয়েত গোলরক্ষক আবদুল রাজ্জাককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি শেখ মোরসালিন। ডান প্রান্ত ধরে কুয়েতের রক্ষণ ভেঙে দারুণ এক বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রাকিব হোসেন। সেই পাস ধরে মোরসালিন কি না শট মারলেন গোলরক্ষকের গায়ে!
প্রথম সুযোগে গোল পেতে পারত কুয়েতও। ৭ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে জটলা তৈরি হয় বাংলাদেশের বক্সে। হেড নিয়েছিলেন কুয়েতের সালমান মোহাম্মদ। সেই হেডে বলে জালে জড়ানোর আগে গোল লাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করেন ঈসা ফয়সাল।
কুয়েত এরপর বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রাখলেও সুযোগ পেলেই আক্রমণে গিয়েছে বাংলাদেশ। ২৮ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের শট নেন রাকিব হোসেন। সেই শট ঠেকান কুয়েত গোলরক্ষক। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে কুয়েত। ফরোয়ার্ড ঈদ আল রশিদির শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকান বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
৩১ মিনিটে আবারও আক্রমণে বাংলাদেশ। এবার বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে বল বাড়ান মোরসালিন। বক্সে থাকা রাকিব বলে পা ছোঁয়াতে পারলে কুয়েতের বিপক্ষে এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ।
৪০ মিনিটে কুয়েতের আক্রমণ। এবারও আক্রমণে ঈদ আল রশিদি। তার বাঁকানো মাটি কামড়ানো শট ঝাঁপিয়ে ফেরান জিকো।
প্রথমার্ধের একদম অন্তিম মুহূর্তে ডান প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠেন রাকিব হোসেন। ভুটান ম্যাচের মতো এবারও নিয়েছিলেন ‘জিরো অ্যাঙ্গেল’ শট। তবে এবার আর বল জালে জড়াতে পারেননি রাকিব।
৫৪ মিনিটে আবারও আক্রমণে রাকিব। মাঝমাঠ থেকে একের পর এক কুয়েত খেলোয়াড়দের কাটিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট নেন রাকিব। বাংলাদেশের এবারও দুর্ভাগ্য, অল্পের জন্য বল খুঁজে পায়নি জাল।
৬১ মিনিটে আবারও দুর্ভাগ্যের শিকার রাকিব। জামালের পাস ধরে মোরসালিনের বাড়ানো বলে ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন রাকিব। নেন ডান পায়ের শট। সেই শট ক্রসবারে লেগে, এক লাফে মাঠের বাইরে।
৬৩ থেকে ৬৪ মিনিটে দুবার বাংলাদেশকে বাঁচিয়েছেন গোলরক্ষক জিকো। ৬৩ মিনিটে আহমেদ আলদেফারির ফ্রি কিক ফিস্ট করে ঠেকান জিকো। পরের মিনিটে আল রশিদির শটও ফেরান জিকো। ৬৯ মিনিটে বাংলাদেশকে প্রায় বিপদেই ফেলে দিয়েছিলেন কুয়েতের বদলি ফুটবলার আথবি সালেহ। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায় বাইরে।
৭০ মিনিটেও গোল না পাওয়ায় বাড়তে থাকে উত্তাপ। সেই উত্তাপ বাড়িয়ে তোলেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ ফিজিও দাভিদ মাগান। রেফারিকে কটূক্তি করে লাল কার্ড দেখেন দাভিদ।
৮৮ মিনিটে আবারও সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলেন না রাকিব। ডান প্রান্ত ধরে বদলি ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রস থেকে রাকিব বল মাথা ছোঁয়াতে পারলেই চলত।
অতিরিক্ত সময়ে বাংলাদেশকে চমকে দিয়ে শট নেন কুয়েতের বদলি ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। জোরের সঙ্গে বাঁকানো শটটা ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ায় ভাগ্য ভালো বাংলাদেশের।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। শক্তিশালী কুয়েতের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে লড়াকু এক বাংলাদেশ। সমানভাবে লড়েছে দুই দল। তাতে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অমীমাংসিত দুই দলের ফল।
বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে কুয়েতের বিপক্ষে এবারের সাফে সেরা খেলাটা উপহার দিয়ে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কেউ কাউকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ-কুয়েত।
কুয়েতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যে তারিক কাজীর ফেরাটা ছিল অবধারিত। হয়েছেও সেটাই। তারিক একাদশে ফেরায় সাইড বেঞ্চে চলে গেছেন ভুটান ম্যাচে শুরুর একাদশে থাকা ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে কুয়েতের একাদশ ছিল চমকে সাজানো। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের সঙ্গে যে দলটা খেলেছে, শুরু থেকে সেই দলের মাত্র চারজন আজ খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। অর্থাৎ কুয়েত একাদশে পরিবর্তন ছিল সাতটি!
ম্যাচ শুরু হতেই গোলের আক্ষেপে পুড়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ২ মিনিটের মাথায় কুয়েত গোলরক্ষক আবদুল রাজ্জাককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি শেখ মোরসালিন। ডান প্রান্ত ধরে কুয়েতের রক্ষণ ভেঙে দারুণ এক বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রাকিব হোসেন। সেই পাস ধরে মোরসালিন কি না শট মারলেন গোলরক্ষকের গায়ে!
প্রথম সুযোগে গোল পেতে পারত কুয়েতও। ৭ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে জটলা তৈরি হয় বাংলাদেশের বক্সে। হেড নিয়েছিলেন কুয়েতের সালমান মোহাম্মদ। সেই হেডে বলে জালে জড়ানোর আগে গোল লাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করেন ঈসা ফয়সাল।
কুয়েত এরপর বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রাখলেও সুযোগ পেলেই আক্রমণে গিয়েছে বাংলাদেশ। ২৮ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের শট নেন রাকিব হোসেন। সেই শট ঠেকান কুয়েত গোলরক্ষক। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে কুয়েত। ফরোয়ার্ড ঈদ আল রশিদির শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকান বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
৩১ মিনিটে আবারও আক্রমণে বাংলাদেশ। এবার বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে বল বাড়ান মোরসালিন। বক্সে থাকা রাকিব বলে পা ছোঁয়াতে পারলে কুয়েতের বিপক্ষে এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ।
৪০ মিনিটে কুয়েতের আক্রমণ। এবারও আক্রমণে ঈদ আল রশিদি। তার বাঁকানো মাটি কামড়ানো শট ঝাঁপিয়ে ফেরান জিকো।
প্রথমার্ধের একদম অন্তিম মুহূর্তে ডান প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠেন রাকিব হোসেন। ভুটান ম্যাচের মতো এবারও নিয়েছিলেন ‘জিরো অ্যাঙ্গেল’ শট। তবে এবার আর বল জালে জড়াতে পারেননি রাকিব।
৫৪ মিনিটে আবারও আক্রমণে রাকিব। মাঝমাঠ থেকে একের পর এক কুয়েত খেলোয়াড়দের কাটিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট নেন রাকিব। বাংলাদেশের এবারও দুর্ভাগ্য, অল্পের জন্য বল খুঁজে পায়নি জাল।
৬১ মিনিটে আবারও দুর্ভাগ্যের শিকার রাকিব। জামালের পাস ধরে মোরসালিনের বাড়ানো বলে ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন রাকিব। নেন ডান পায়ের শট। সেই শট ক্রসবারে লেগে, এক লাফে মাঠের বাইরে।
৬৩ থেকে ৬৪ মিনিটে দুবার বাংলাদেশকে বাঁচিয়েছেন গোলরক্ষক জিকো। ৬৩ মিনিটে আহমেদ আলদেফারির ফ্রি কিক ফিস্ট করে ঠেকান জিকো। পরের মিনিটে আল রশিদির শটও ফেরান জিকো। ৬৯ মিনিটে বাংলাদেশকে প্রায় বিপদেই ফেলে দিয়েছিলেন কুয়েতের বদলি ফুটবলার আথবি সালেহ। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায় বাইরে।
৭০ মিনিটেও গোল না পাওয়ায় বাড়তে থাকে উত্তাপ। সেই উত্তাপ বাড়িয়ে তোলেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ ফিজিও দাভিদ মাগান। রেফারিকে কটূক্তি করে লাল কার্ড দেখেন দাভিদ।
৮৮ মিনিটে আবারও সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলেন না রাকিব। ডান প্রান্ত ধরে বদলি ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রস থেকে রাকিব বল মাথা ছোঁয়াতে পারলেই চলত।
অতিরিক্ত সময়ে বাংলাদেশকে চমকে দিয়ে শট নেন কুয়েতের বদলি ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। জোরের সঙ্গে বাঁকানো শটটা ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ায় ভাগ্য ভালো বাংলাদেশের।
জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার ওপর গত রাতে কী ভর করেছিল, সেটা তিনিই ভালো জানেন। পিএসজির রক্ষণদুর্গে বারবার হানা দেওয়া আর্সেনালকে গোলই করতে দেননি। যত ভাবেই গোলের চেষ্টা করুক না কেন, দোন্নারুম্মার বীরত্বের কাছে বারবার হার মানতে হয়েছে আর্সেনালকে।
৩২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে এলোমেলো হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা করেছিলেন ‘আত্মহত্যা’। আজ তৃতীয় দিনের সকালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাবলীলভাবে খেলছে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে২০০৮-এর ১১ এপ্রিল ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এই মাঠে এখন পর্যন্ত এটাই সবশেষ কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। অবশেষে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ দিয়েই ইকবাল স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের অপেক্ষা ফুরোচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেসকাল থেকেই চট্টগ্রামের আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। চারপাশে গুমোট আবহাওয়া। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে যেমনটা বলা হয়েছিল, তেমনটিই দেখা যায় চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে।
৩ ঘণ্টা আগে