Ajker Patrika

ফাইনালের আগেই ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা নাইকির

আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫: ৩৮
ফাইনালের আগেই ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা নাইকির

ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে নামার আগেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এমনই ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স দলের পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা নাইকি। অথচ ফাইনাল শুরু হতে আরও কয়েক ঘণ্টা বাকি।

আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স দুই দলই আজ তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে নামবে। ফলে আজ যে দল জিতবে, তাদের জার্সিতে একটি তারকা চিহ্ন বাড়বে। বর্তমানে তাদের জার্সিতে দুই তারকা রয়েছে। অর্থাৎ, যে দল যতবার চ্যাম্পিয়ন, তাদের জার্সিতে ততটি তারকা থাকে।

এই হিসাব করেই লুসাইল স্টেডিয়ামে দুই দলের খেলতে নামার আগে ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে তিন তারকা জার্সি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে নাইকি। কিন্তু এটি করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়েছে তাদের। প্রতিষ্ঠানটির এমন হাস্যকর কাণ্ডে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ার মুখে ফ্রান্স। কারণটা সবার জানা, আর্জেন্টিনার কাছে হারলেই ট্রোলের শিকার হতে হবে তাদের।

অতি লোভে তাতি নষ্ট—প্রবাদটি মনে হয় ভুলে গেছে জার্সি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকি। তা না হলে ব্যাক্সটারকে দেখে শিক্ষা নিতে পারত প্রতিষ্ঠানটি। ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হবে এমনটি ধরে নিয়ে ১৮ হাজার জার্সি তৈরি করেছিলেন ইংল্যান্ডের এই ব্যবসায়ী। ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়ায় মাথায় হাত দিয়েছেন তিনি।

ফুটবল বিশ্বকাপ সম্পর্কিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন

নাইকি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে কি না, তা ফাইনাল শেষ হলেই বোঝা যাবে। কিন্তু তার আগে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের বিশাল ভুলের জন্য ফরাসি সমর্থকেরা মনে করছেন এখন বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনাই জিতবে। দেশটির এক সমর্থক লিখেছেন, ‘এটি খারাপ ফল আনবে। এখন নিশ্চিতভাবেই আমরা ফাইনালে হারব।’ আরেকজন  লিখেছেন, ‘এটি দুর্ভাগ্য নিয়ে আসবে। ইতিমধ্যে দেখতে পাচ্ছি তারা (ফ্রান্স) জিতছে না।’ নিজেদের অপয়া করতেই এমন কাজটি করেছেন বলে একজন লিখেছেন ,‘তারা আমাদের অপয়া বানাবে।’ নাইকির মূর্খতা নিয়ে আরেকজন লিখেছেন, ‘ভুল থেকে তারা শিক্ষা নেয়নি।’

তবে মজার বিষয় হচ্ছে, বিক্রির জন্য নিজেদের ওয়েবসাইটে ফ্রান্সের দুই তারকার জার্সির ছবি দিয়েছে নাইকি। আর ক্যাপশনে ‘তিন তারকা’ জার্সি বিক্রির কথা লিখেছে প্রতিষ্ঠানটি। পরে বিষয়টি ভাইরাল হলে দ্রুতই ক্যাপশনটি সরিয়ে ফেলে নাইকি।

বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জন্মদিনে ডাবল সেঞ্চুরি মিসের আফসোস জয়ের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডাবল সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ মাহমুদুল হাসান জয়ের। ছবি: বিসিবি
ডাবল সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ মাহমুদুল হাসান জয়ের। ছবি: বিসিবি

দিনটা মনে রাখার মতোই হতে পারত মাহমুদুল হাসান জয়ের কাছে। ২৫তম জন্মদিনে পেতে পারেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। কাছাকাছি প্রায় চলেই গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেটা হলো না। দিন শেষে ডাবল সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ারসেরা স্কোর গতকাল দ্বিতীয় দিনে করে ফেলেছিলেন জয়। ডাবল সেঞ্চুরি করতে আজ তৃতীয় দিনে দরকার ছিল ৩১ রান। কিন্তু ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার যোগ করতে পেরেছেন কেবল ২ রান। ২৮৬ বলে ১৭১ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসে জয়ের কথায় ফুটে উঠেছে, ডাবল সেঞ্চুরি করতে না পারায় তাঁর কী যে আফসোস হচ্ছে। ২৫ বছর বয়সী এই ওপেনার বলেন, ‘২০০ করতে না পারায় অবশ্যই হতাশ। যদি চালিয়ে যেতে পারতাম, জীবনে প্রথমবার ২০০ হতো। কিন্তু খেলতে পারিনি। তাই ২০০ করার সুযোগ হারিয়েছি।

টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে আয়ারল্যান্ড ২৮৬ রানে গুটিয়ে গেছে। জবাবে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে প্রথম ইনিংসের খেলা ঘোষণা করেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ১৭১ রান এসেছে জয়ের ব্যাট থেকেই। দল ভালো অবস্থায় যেমন তিনি খুশি, একই সঙ্গে ডাবল সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়ছেন। আজ তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার বলেন, ‘সব মিলে খুশি। অনেক দিন পর দলে ফিরেছি। বড় ইনিংস খেলেছি অনেক দিন পর। ডাবল সেঞ্চুরিটা হলে আরও ভালো লাগত।’

এ বছরের এপ্রিলে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেন জয়ের। বাংলাদেশ এরপর ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে তিন ম্যাচ খেললেও সুযোগ মেলেনি তাঁর। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটেই সাড়ে ছয় মাস পর টেস্টে ফিরলেন তিনি। বাজে ফর্মের কারণে এক সময় যে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন, সেটা এখন জয়ের কাছে অতীত। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যা চলে গেছে, তা নিয়ে এখন চিন্তা করি না। সামনে যা আছে, চিন্তা করছি সেটা নিয়ে। কারণ, অতীত তো অতীত। আরও কীভাবে উন্নতি করা যায়, সেটা নিয়ে চিন্তা করছি।’

দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হক ও জয় গড়েছেন ১৭৩ রানের জুটি। আজ জয়ের আউটে ভাঙে এই জুটি। ব্যারি ম্যাকার্থির বল জয়ের ব্যাট ছুঁয়ে পৌঁছে যায় আইরিশ উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে। যেভাবে আউট হয়েছেন, সেটা নিয়েও আফসোস জয়ের, ‘দুই ধরনের চিন্তা কাজ করছিল মাথায়। আরেকটু যদি কাভার করে খেলতাম, তাহলে হয়তোবা মিসটা (ডাবল সেঞ্চুরি) হতো না।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জয় টেস্টেই শুধু নিয়মিত খেলেন। এর আগে তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেললেও সেই ম্যাচগুলো ২০২৩ সালে এশিয়ান গেমসে খেলেছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৯ টেস্টে ২৭.০২ গড়ে করেন ৯৪৬ রান। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে করেছেন ২ সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটি। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি ও চার দিনের ক্রিকেটেও তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫০০-এর মাইলফলক ছুঁয়ে তাইজুল বললেন, আলহামদুলিল্লাহ

ক্রীড়া ডেস্ক    
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: ফেসবুক
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: ফেসবুক

হ্যারি টেক্টরের বিপক্ষে তাইজুল ইসলাম আবেদন করতেই আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। কিন্তু তাঁর অপেক্ষা যে কিছুতেই ফুরোচ্ছিল না। কারণ, টেক্টরও রিভিউ নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর রিভিউটা নষ্ট হয়েছে। তাতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তাইজুল।

আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসেই তাইজুল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ২২তম ওভারের প্রথম বলে টেক্টরের (১৮) উইকেট নেওয়ার পর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের আগেই উদযাপন শুরু করে দিয়েছিলেন তাইজুল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট নেওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। তাঁর একটি ছবি পোস্ট করে সেটার ওপর লেখা ৫০০ প্রথম শ্রেণির উইকেট। ক্যাপশনে বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার লিখেছেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট। আলহামদুলিল্লাহ।’

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তাইজুল। মজার বিষয় হলো তিনজনই বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রাজ্জাক ও এনামুল হক জুনিয়র নিয়েছেন ৬৩৪ ও ৫১৩ উইকেট। রাজ্জাক এখন আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন। আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টে ইনিংস পরাজয়ের সামনে দাঁড়িয়ে। সিলেটে আজ তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ৮৬ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে আইরিশরা। ইনিংস পরাজয় এড়াতে হাতে ৫ উইকেট নিয়ে এখনো ২১৫ রান করতে হবে সফরকারীদের।

তাইজুলের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অর্ধেকের মতো উইকেট বাংলাদেশের জার্সিতে। ৫৬ টেস্টে নিয়েছেন ২৪০ উইকেট। ১৭ বার নিয়েছেন ইনিংসে ৫ উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন দুইবার। টেস্টে বাংলাদেশের জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ২৪৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী সাকিব আল হাসান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুরুর একাদশে ফিরলেন জামাল, আছেন হামজাও

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জামাল ফিরেছেন শুরুর একাদশে। তাঁর সঙ্গে আছেন হামজা চৌধুরীও। ছবি: ফাইল ছবি
জামাল ফিরেছেন শুরুর একাদশে। তাঁর সঙ্গে আছেন হামজা চৌধুরীও। ছবি: ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবশেষ বাংলাদেশ খেলেছে ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন না জামাল ভূঁইয়া। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ নেপালের বিপক্ষে জামালকে নিয়েই শুরুর একাদশ সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। অনুমিতভাবেই শুরুর একাদশে আছেন হামজা চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ম্যাচ। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে শুরুর একাদশ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। গোলরক্ষকের দায়িত্বে আছেন মিতুল মারমা। জামাল-হামজার সঙ্গে মাঝমাঠের আক্রমণে আছেন দুই সোহেল রানা। রক্ষণভাগে আছেন সাদ উদ্দিন, তপু বর্মণ, তারিক কাজী ও জায়ান আহমেদ। ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাকিব হোসেন থাকবেন আক্রমণভাগে।

নেপালের বিপক্ষে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। হংকং ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন শেখ মোরসালিন, শমিত সোম ও শাকিল আহাদ তপু। তাঁদের পরিবর্তে আজ একাদশে এসেছেন জামাল, সোহেল রানা সিনিয়র ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। নেপালের বিপক্ষে শমিত শুরুর একাদশে না থাকলেও বদলি হিসেবে নামতে পারেন। নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটা বাংলাদেশ খেলছে মূলত ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে। জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৮ নভেম্বর মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। এই ম্যাচটি এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের অন্তর্গত।

নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুর একাদশ

গোলরক্ষক: মিতুল মারমা

রক্ষণভাগ: সাদ উদ্দিন, তপু বর্মণ, তারিক কাজী, জায়ান আহমেদ

মধ্যমাঠ: জামাল ভূঁইয়া, হামজা চৌধুরী, সোহেল রানা জুনিয়র, সোহেল রানা সিনিয়র

আক্রমণভাগ: ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসেন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কয়টি ভেন্যুতে হবে ২০২৮ ইউরো, ফাইনাল কোথায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
৮ শহরের ৯ ভেন্যুতে হবে ২০২৮ ইউরো। ছবি: সংগৃহীত
৮ শহরের ৯ ভেন্যুতে হবে ২০২৮ ইউরো। ছবি: সংগৃহীত

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে গত বছর ইউরো জিতেছিল স্পেন। আগামী ইউরোতে স্প্যানিশরা নামবে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে। নতুন আসরের ইউরো শুরু হতে এখনো আড়াই বছর বাকি থাকলেও দামামা যেন বেজে হেছে। ২০২৮ সালে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্ট হবে ৯ ভেন্যুতে।

ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা গতকাল বুধবার লন্ডনে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৯ ভেন্যুতে হবে ২০২৮ ইউরো। ৯ জুন কার্ডিফে শুরু হবে আগামী ইউরোর প্রথম ম্যাচ। ফাইনাল হবে ৯ জুলাই ওয়েম্বলিতে। ৮ শহরের ৯ ভেন্যুতে ৫১ ম্যাচ হবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টে। ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড—২০২৮ ইউরো হবে এই চার দেশে। আয়োজক দেশগুলোর মধ্যে টুর্নামেন্টের মূল পর্বে যারা উঠবে, ঘরের মাঠেই তারা গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো খেলবে।

আগের বারের মতো এবার সরাসরি খেলার কোনো সুযোগ নেই। বাছাইপর্ব পেরিয়ে তাই ২০২৮ ইউরোর মূলপর্বে খেলতে হবে। প্রথমে চার আয়োজক দেশকে বাছাইপর্বে আলাদা আলাদা গ্রুপে রাখা হবে। যারা সরাসরি উঠতে পারবে না মূল পর্বে, তাদের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ের ওপরের দিকে থাকা দুই দল উঠবে মূলপর্বে। ফাইনালের পাশাপাশি সেমিফাইনাল, কোয়ার্টার ফাইনালের একটি করে ম্যাচও ওয়েম্বলিতে হবে। কোয়ার্টার ফাইনালের অন্যান্য ম্যাচগুলোর ভেন্যু ডাবলিন, গ্লাসগো ও কার্ডিফ। ওয়েম্বলি, ডাবলিন, গ্লাসগো, কার্ডিফের পাশাপাশি ম্যানচেস্টারের ইতিহাদ, নিউক্যাসলের সেন্ট জেমস পার্ক, লন্ডনের টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়াম, লিভারপুলের হিল ডিকিনসন স্টেডিয়াম ও বার্মিংহামের ভিলা পার্কে হবে আগামী ইউরো।

২০২৮ ইউরোর কারণে ২০২৮ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে প্রায় ৩৬০ কোটি পাউন্ড আয় হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে উয়েফা। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৫৭ হাজার ৮৩৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘২০২৮ ইউরোয় আমরা সবাই এক হয়ে ফুটবলের ভাষায় কথা বলব। যেখানে এই খেলার জন্ম, ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামগুলোতে লাখ লাখ সমর্থককে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকেরা।’

এখন পর্যন্ত ১৭ আসরের মধ্যে সর্বোচ্চ চারবার ইউরো জিতেছে স্পেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনবার ইউরো জিতেছে জার্মানি। দুইবার করে জিতেছে ইতালি ও ফ্রান্স। একবার করে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও গ্রিস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত