Ajker Patrika

আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত নিয়ে দুয়োধ্বনি, খেপেছেন ডি পল

আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত নিয়ে দুয়োধ্বনি, খেপেছেন ডি পল

লিওনেল মেসির ‘বডিগার্ডের’ পরিচয় তো আগেই পেয়ে গেছেন রদ্রিগো দি পল। মেসি এবার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে নেই তো কী হয়েছে। দি পল যে হয়ে গেলেন আর্জেন্টিনারই বডিগার্ড। নিজের দেশের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে ব্যঙ্গ করায় তোপ দেগেছেন আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার।

প্রায় দুই মাস পর মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া। এস্তাদিও মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে গত রাতের ম্যাচটি ছিল ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের। কলম্বিয়ার ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার ম্যাচে যে কিছু ঘটতে পারে, সেটার আশঙ্কা আগেই করেছিল আর্জেন্টিনা। কারণ গত ১৫ জুলাই মায়ামির হার্ডরকে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েই কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেই মায়ামির ম্যাচের বিশৃঙ্খলার পুনরাবৃত্তি কলম্বিয়া এবার করল মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে। কলম্বিয়ার ভক্ত সমর্থকেরা দুয়োধ্বনি দিয়েছেন আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীতের সময়। এ ব্যাপারে ম্যাচ শেষে দি পল বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সংগীতের সময় দুয়োধ্বনি দিয়ে তারা ঠিক করেনি। তবে আমরা তাদের কষ্টটা বুঝি। কোপা আমেরিকা নিয়েও তারা উত্তেজিত ছিল।’

উরুগুয়ের কাছে গত বছর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ হেরেছিল আর্জেন্টিনা। সেই হারের পর টানা ১২ ম্যাচ জিতেছিল আলবিসেলেস্তেরা। মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে গত রাতে কলম্বিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় ‘অজেয়’ আর্জেন্টিনা। ম্যাচ হারের পর দি পল বলেন, ‘এটা খেলারই একটা অংশ। এখান থেকে আপনি জিততে পারেন এবং হারতে পারেন। গত ৫ বছরে আমরা তিন ম্যাচ হেরেছি। আমাদেরই আজ হারার কথা ছিল। দক্ষিণ আমেরিকার মানুষেরা এটা দেখে অভ্যস্ত হয়েছেন যে আমরা হারি না। এটাই আমাদের আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের পরিচয়। আমরা হার মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে জানি।’

দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলে আলোচিত ঘটনা কি না ঘটে পারে! সেখানে যদি থাকে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের মতো দল, তাহলে তো কথাই নেই। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে কলম্বিয়া-আর্জেন্টিনা ম্যাচ যখন ৫৩ মিনিটে ১-১ সমতায়, তখনই ঘটেছে এক ঘটনা। এমন সময়ে নিজেদের বক্সে নিকোলাস ওতামেন্দি চ্যালেঞ্জ করেন কলম্বিয়ার দানিয়েল মুনোজকে। চ্যালেঞ্জের পর মুনোজ বসে পড়লে পেনাল্টির আবেদন করে কলম্বিয়া। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান চিলির রেফারি পিয়েরো মাজা। এই পেনাল্টি লিয়ান্দ্রো পারেদেসের কাছে বিতর্কিত মনে হয়েছে। ম্যাচ শেষে পারেদেস বলেছেন, ‘আমার মতে সেটা পেনাল্টি ছিল না। নিকো সামনে থেকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। অদ্ভুত বিষয় প্রথমার্ধে আলভারেজের ঘটনার সময়ে তারা যাচাই করেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত