Ajker Patrika

মহামারিতে বেশি ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা

মহামারিতে বেশি ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা

ঢাকা: করোনা মহামারির প্রথম ধাক্কায় জনজীবন তখন বিপর্যস্ত। শহরে শহরে লকডাউন। জরুরি সেবা ছাড়া এ সময় প্রায় সবই ছিল বন্ধ। নিস্তব্ধ এ সময়েই অনেক ক্রিকেটার আবার ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন ক্রিকেট নিয়ে। সেই ব্যস্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে সবার আগে থাকবেন পাকিস্তানের আসাদ শফিক, শাহিন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।

গত বছরের শুরু থেকেই করোনা প্রাদুর্ভাবে থমকে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব। এর প্রভাব পড়েছিল ক্রিকেটাঙ্গনেও। ২০২০ সালের ৩০ মার্চ সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে ম্যাচের পর ক্রিকেট বন্ধ ছিল প্রায় সাড়ে চার মাস। ৮ জুলাই সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরে ক্রিকেট।

গত বছরের মার্চ থেকে এ বছরের মার্চ—মহামারির এই এক বছরে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান শফিক। খেলেছেন ৩১ ম্যাচ, মাঠে ছিলেন ৭৫ দিন। শাহিন খেলেছেন ৭২ দিন আর রিজওয়ান ৬৭ দিন। এ তালিকায় চারে থাকা জস বাটলার খেলেছেন ৬৬ দিন আর জাহিদ মাহমুদ মাঠে ছিলেন ৬৩ দিন। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়দের বেশির ভাগই পাকিস্তানি।

করোনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার তালিকার শীর্ষেও রয়েছেন শফিক, খেলেছেন ১৪টি ম্যাচ। সমান ১২ ম্যাচ খেলেছেন ডম সিবলি, আজহার আলী, ক্যামেরন গ্রিন ও নোমান আলি।

করোনা–পরবর্তী ক্রিকেটে গত এক বছর সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল পাকিস্তান দল। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটেই নয়, ব্যস্ত সময় পার করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও। তবে সবচেয়ে বেশি মাঠে ছিল ইংল্যান্ড দল। ইংলিশরা মাঠে ছিলেন ৬৯ দিন। গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছে ইংল্যান্ডই। এ সময়ে তারা খেলেছে ১২টি টেস্ট। এই তালিকার শেষ চারে থাকা জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড ১৫ দিনও খেলেনি গত এক বছরে।

দিনের হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন ইংল্যান্ডের জস বাটলার—৫৩ দিন। তাঁর সতীর্থ সিবলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত ছিলেন ৫২ দিন। গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ানরা । মার্কাস স্টয়নিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যারন ফিঞ্চ খেলেছেন যথাক্রমে ৩৯, ৩৮ ও ৩৫টি ম্যাচ।

পিছিয়ে ছিল না নারী ক্রিকেটও। পুরুষদের মতো হয়তো তাদের ব্যস্ততা এতটা ছিল না। তবু নিউজিল্যান্ডের মেয়েরা যতটুকু সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পার করেছেন, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরও ততটা সময় ব্যস্ত থাকা হয়নি। নিউজিল্যান্ডের অ্যামি স্যাদারওয়েট ও অ্যামেলিয়া কার সর্বোচ্চ ৪০ দিন খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত