নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সকাল থেকেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আশপাশে থিকথিকে ভিড়। কারও গায়ে লাল-সবুজ জার্সি, মাথায় বাংলাদেশের ক্যাপ। কেউ-বা কপালের চারপাশে পেঁচিয়েছে পতাকার আদলে তৈরি ফিতা। বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গগনবিদারী স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো স্টেডিয়ামপাড়া। দর্শকদের এই উন্মাদনা মাঠে ফেরার।
২০২০ সালের মার্চের ১১ তারিখ শেরেবাংলায় সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল দর্শক। এরপর করোনার থাবায় তাল কেটে যায় সবকিছুতে। তার প্রভাব পড়ে মাঠেও। থেমে যায় খেলা। যেখানে খেলাই নেই, সেখানে তো দর্শকের প্রশ্নই অমূলক।
এই বছরের জানুয়ারিতে খেলা ফিরলেও মাঠের ‘প্রাণ’ সেই দর্শক ফেরেনি। অবশেষে ৬১৭ দিন পর কাটল সেই দর্শকখরা। করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়া সাপেক্ষে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ দেখতে টিকিট কেটে মাঠে প্রবেশ করতে পারছে দর্শক। গ্যালারির ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ টিকিট ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড, ভিআইপি স্ট্যান্ড, ক্লাব হাউস, সাউদার্ন/নর্দার্ন স্ট্যান্ড ও ইস্টার্ন স্ট্যান্ড ক্যাটাগরির টিকিটের দাম পড়ছে যথাক্রমে ১০০০, ৫০০, ৩০০, ১৫০ ও ১০০ টাকা।
দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দল মাঠে আসে। এরপর সাড়ে ১২টার দিকে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। কঠোর নিরাপত্তা ও তল্লাশির মাধ্যমে দর্শকদের প্রবেশ করানো হয় গ্যালারিতে। স্টেডিয়ামের শূন্য আসনগুলোও যেন অপেক্ষায় ছিল দর্শকদের। মাঠে দর্শক প্রবেশ করতেই আসনগুলো ‘অভ্যর্থনা’ জানায় তাদের।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে আসেন আবদুল আলিম, বিলাল হোসেন ও মোহাম্মদ অনিক নামের তিন বন্ধু। স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেট এলাকায় কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। তিনজনই ছোট্ট চাকরি করেন। সেই চাকরিতে পাওয়া বেতনের টাকা জমিয়ে কিনেছেন ৩০০ টাকা দামের টিকিট। কেমন লাগছে মাঠে প্রবেশ করতে—এই প্রশ্নে যেন উচ্ছ্বাস খেলা করে গেল তিন বন্ধুর চোখে-মুখে। একসঙ্গে বলে উঠলেন, ‘এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম কত দিন ধরে। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো।’
উত্তরা থেকে ছেলেকে নিয়ে খেলা দেখতে এসেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সোহরাব উদ্দিন। মধ্যবয়সী এই ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে হারালেও আমরা মাঠে বসে খেলা দেখতে পারিনি। মনের মধ্যে এ নিয়ে কষ্ট ছিল। টিকিট ছাড়ছে শুনেই তাই গতকাল দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করলাম। আশা করছি বিশ্বকাপের বাজে স্মৃতি মুছে বাংলাদেশ দারুণ খেলবে।’
শুধু কি বাংলাদেশি সমর্থক? উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পাকিস্তানি সমর্থকও খেলা দেখতে এসেছেন মিরপুরে। তাঁরা নিজেদের দেশের জার্সি গায়ে মাঠে প্রবেশ করেন। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে অনুশীলন দেখতে দেখতে দর্শকেরা দুই দলকে দেন উৎসাহ।
সকাল থেকেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আশপাশে থিকথিকে ভিড়। কারও গায়ে লাল-সবুজ জার্সি, মাথায় বাংলাদেশের ক্যাপ। কেউ-বা কপালের চারপাশে পেঁচিয়েছে পতাকার আদলে তৈরি ফিতা। বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গগনবিদারী স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো স্টেডিয়ামপাড়া। দর্শকদের এই উন্মাদনা মাঠে ফেরার।
২০২০ সালের মার্চের ১১ তারিখ শেরেবাংলায় সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল দর্শক। এরপর করোনার থাবায় তাল কেটে যায় সবকিছুতে। তার প্রভাব পড়ে মাঠেও। থেমে যায় খেলা। যেখানে খেলাই নেই, সেখানে তো দর্শকের প্রশ্নই অমূলক।
এই বছরের জানুয়ারিতে খেলা ফিরলেও মাঠের ‘প্রাণ’ সেই দর্শক ফেরেনি। অবশেষে ৬১৭ দিন পর কাটল সেই দর্শকখরা। করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়া সাপেক্ষে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ দেখতে টিকিট কেটে মাঠে প্রবেশ করতে পারছে দর্শক। গ্যালারির ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ টিকিট ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড, ভিআইপি স্ট্যান্ড, ক্লাব হাউস, সাউদার্ন/নর্দার্ন স্ট্যান্ড ও ইস্টার্ন স্ট্যান্ড ক্যাটাগরির টিকিটের দাম পড়ছে যথাক্রমে ১০০০, ৫০০, ৩০০, ১৫০ ও ১০০ টাকা।
দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দল মাঠে আসে। এরপর সাড়ে ১২টার দিকে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। কঠোর নিরাপত্তা ও তল্লাশির মাধ্যমে দর্শকদের প্রবেশ করানো হয় গ্যালারিতে। স্টেডিয়ামের শূন্য আসনগুলোও যেন অপেক্ষায় ছিল দর্শকদের। মাঠে দর্শক প্রবেশ করতেই আসনগুলো ‘অভ্যর্থনা’ জানায় তাদের।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে আসেন আবদুল আলিম, বিলাল হোসেন ও মোহাম্মদ অনিক নামের তিন বন্ধু। স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেট এলাকায় কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। তিনজনই ছোট্ট চাকরি করেন। সেই চাকরিতে পাওয়া বেতনের টাকা জমিয়ে কিনেছেন ৩০০ টাকা দামের টিকিট। কেমন লাগছে মাঠে প্রবেশ করতে—এই প্রশ্নে যেন উচ্ছ্বাস খেলা করে গেল তিন বন্ধুর চোখে-মুখে। একসঙ্গে বলে উঠলেন, ‘এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম কত দিন ধরে। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো।’
উত্তরা থেকে ছেলেকে নিয়ে খেলা দেখতে এসেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সোহরাব উদ্দিন। মধ্যবয়সী এই ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে হারালেও আমরা মাঠে বসে খেলা দেখতে পারিনি। মনের মধ্যে এ নিয়ে কষ্ট ছিল। টিকিট ছাড়ছে শুনেই তাই গতকাল দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করলাম। আশা করছি বিশ্বকাপের বাজে স্মৃতি মুছে বাংলাদেশ দারুণ খেলবে।’
শুধু কি বাংলাদেশি সমর্থক? উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পাকিস্তানি সমর্থকও খেলা দেখতে এসেছেন মিরপুরে। তাঁরা নিজেদের দেশের জার্সি গায়ে মাঠে প্রবেশ করেন। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে অনুশীলন দেখতে দেখতে দর্শকেরা দুই দলকে দেন উৎসাহ।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ধীরেসুস্থে করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। লিটন দাসও তাড়াহুড়ো করেননি। থিতু হওয়ার দ্রুতই গিয়ার বদলান তিনি। তাঁর টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে দাপুটে জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ।
৫ মিনিট আগে১১ বছর আগে ঘরের মাঠে অঘটনের শিকার হওয়ার দুঃসহ স্মৃতি ফিরে আসছিল বারবার। সেই ঘায়ে প্রলেপ লাগাতেই এশিয়া কাপে আজ হংকংয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ-তানজিম হাসানরা বল হাতে এনে দেন দুর্দান্ত শুরু। ধারাটা ধরে রাখেন শেষ ওভার পর্যন্ত। যদিও হংকংকে অল আউট করতে পারেনি লিটন দাসের দল। রানের লাগাম টেন
২ ঘণ্টা আগে১১ বছর আগে ঘরের মাঠে অঘটনের শিকার হওয়ার দুঃসহ স্মৃতি ফিরে আসছিল বারবার। সেই ঘায়ে প্রলেপ লাগাতে এশিয়া কাপে আজ হংকংয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ-তানজিম হাসানরা বল হাতে এনে দিয়েছেন দুর্দান্ত শুরু। ব্যাটিংয়ে নেমে হংকং তাই খানিকটা হাবুডুবুই খাচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে ২ উইকেট
৩ ঘণ্টা আগে‘ইতিহাস তৈরিই হয় ভাঙার জন্য’— এশিয়া কাপের ক্যাপ্টেনস মিটে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথাটি বলেন লিটন দাস। এবার তা মাঠে প্রতিফলন করার পালা। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
৪ ঘণ্টা আগে