নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এশিয়া কাপের আগে সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি- টোয়েন্টি সিরিজটা ছিল মূলত প্রস্তুতির মঞ্চ । গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে আবুধাবিতে । সেই মাঠে টি - টোয়েন্টিতে গড় স্কোর সাধারণত ১৭০-১৮০ , কখনো ১৯০ । সিলেটের স্পোর্টিং উইকেটে বাংলাদেশ কতটা তৈরি হতে পারল , এটিই ছিল মূল বিষয় । জুলাইয়ে মিরপুরে পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারানোর পর কাল ছিল বেঞ্চের ক্রিকেটারদের যাচাই করার সুযোগ। পাঁচটি পরিবর্তন এনে যে একাদশ খেলানো হলো , তাতে আসলে বোঝা গেল না , বাংলাদেশ কোন ধরনের ক্রিকেট খেলতে চাইছে । প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতেও দুর্বল নেদারল্যান্ডসকে তাড়া করতে হয়েছে ১৩৭ ও ১০৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে । স্বাগতিকেরা ম্যাচও জিতেছে অনায়াসে । কাল বৃষ্টির বাধায় পুরো ২০ ওভারও খেলা যায়নি । এশিয়া কাপের মতো মঞ্চে বড় লক্ষ্য তাড়া করা কিংবা আগে ব্যাটিং করে বড় স্কোর গড়ার ‘ অনুশীলন'টা ঠিক হলো না । তবে প্রস্তুতিতে কমতি রাখেনি বাংলাদেশ । ভালোভাবেই তৈরি হয়ে রোববার আবুধাবিতে যাচ্ছেন লিটনরা ।
ব্যাটারদের অতৃপ্তি
বাংলাদেশ যদি প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং করত , তবে ব্যাটিং গভীরতার চিত্রটা পরিষ্কার হতো । ওপেনিংয়ে ইমনের চেয়ে তানজিদ তামিম বেশ আস্থা তৈরি করেছেন , দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন ফিফটি । তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা সেভাবে প্রমাণের সুযোগ পাননি । এশিয়া কাপের আগে এখানে একটা খামতি থেকে গেল ।
দুর্দান্ত লিটন
নেদারল্যান্ডস সিরিজ এশিয়া কাপের মতো মঞ্চে বড় লক্ষ্য তাড়া করা কিংবা আগে ব্যাটিং করে বড় স্কোর গড়ার ‘ অনুশীলন'টা ঠিক হলো না । তবে প্রস্তুতিতে কমতি রাখেনি বাংলাদেশ ।
প্রথম ম্যাচে ফিফটির পর শেষ ম্যাচে খেললেন ৪৬ বলে ৭৩ রানের ইনিংস , চারটি ছক্কাসহ । তিন ম্যাচে অপরাজিত থেকে গড় দাঁড়িয়েছে অবিশ্বাস্য ১৪৫। সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন । এই সিরিজেই সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন ( ১৪ টি ) । ধারাবাহিকতায় লিটন এই সিরিজে ছিলেন এককথায় বড় ভরসা । এশিয়া কাপে এটা ধরে রাখতে পারলেই হয় ।
ঝালিয়ে নিলেন পেসাররা তাসকিন আহমেদ দারুণ করেছেন । প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট , দ্বিতীয় ম্যাচে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে । মোস্তাফিজও ইকোনমি ছয়ের নিচে রেখেছেন নিয়মিত । তানজিম সাকিবও সীমিত সুযোগে আস্থা জাগিয়েছেন । পেস আক্রমণে স্বস্তি আছে যথেষ্ট ।
স্পিনারদের ভেলকি
সিলেটের উইকেটে স্পিনারদের সুযোগ কম থাকলেও নাসুম আহমেদ , সাইফ হাসান পুরো সিরিজে লিটন দাস ছিলেন অসাধারণ । দুজনেই দেখিয়েছেন কার্যকর স্পেল । নাসুম
আহমেদ দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা । নাসুমের ৩ উইকেটের পারফরম্যান্স এশিয়া কাপের আগে টিম ম্যানেজমেন্টকে দিয়েছে বাড়তি আত্মবিশ্বাস ।
সাইফের ফেরা
লম্বা বিরতির পর ফেরার সিরিজে সাইফ হাসান প্রথম ম্যাচে ব্যাটে - বলে ছিলেন কার্যকর —১৯ বলে ৩৬ রান আর ২ উইকেট । তবে ওপেনিংয়ে প্রমোশন পাওয়া শেষ ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন । ইনিংসটা বড় করতে পারেননি , করেছেন মাত্র ১২ রান । তবু তাঁর ইন্টেন্ট ছিল ইতিবাচক ।
কোচের চোখে সিরিজ
প্রধান কোচ ফিল সিমন্স শুরুতেই বলেছিলেন , জয়ের চেয়ে ইন্টেন্ট বেশি গুরুত্বপূর্ণ । ব্যাটাররা যদি আক্রমণাত্মক মনোভাব ধরে রাখতে গিয়ে হেরে যায় , তাতেও আপত্তি নেই । সিরিজ শেষে তিনি নিশ্চয়ই লিটন , তানজিদ , জাকের কিংবা সোহানের মধ্যে সেই ইতিবাচক মানসিকতা খুঁজে পেয়েছেন । এখন সেটা এশিয়া কাপে বাংলাদেশ কতটা ধরে রাখতে পারে , সেটিই দেখার । পাওয়ার হিটিংয়ের কার্যকারিতা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অন্যতম দুর্বল জায়গা হচ্ছে পাওয়ার হিটিং । তৃতীয় ম্যাচে নুরুল হাসান সোহান আর জাকের আলী অনিক ছক্কা - চারে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন । জাকের ১৩ বলে ২০ , সোহান ১১ বলে ২২ রান করেছেন । বৃষ্টি না হলে এই দুজনের পারফরম্যান্স আরও বড় হতে পারত । তবে প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ পরে ব্যাটিং করে সহজ লক্ষ্য তাড়া করায় জুলিয়ান উড়ের পাওয়ার হিটিংয়ের ক্লাসের কার্যকরিতা খুব একটা যাচাই করার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের ব্যাটারদের ।
আন্তর্জাতিক টি- টোয়েন্টিতে লিটন দাসের ফিফটি ; যা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ । ১৩ ফিফটি নিয়ে এই রেকর্ড আগে ছিল সাকিব আল হাসানের ।
এশিয়া কাপের আগে সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি- টোয়েন্টি সিরিজটা ছিল মূলত প্রস্তুতির মঞ্চ । গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে আবুধাবিতে । সেই মাঠে টি - টোয়েন্টিতে গড় স্কোর সাধারণত ১৭০-১৮০ , কখনো ১৯০ । সিলেটের স্পোর্টিং উইকেটে বাংলাদেশ কতটা তৈরি হতে পারল , এটিই ছিল মূল বিষয় । জুলাইয়ে মিরপুরে পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারানোর পর কাল ছিল বেঞ্চের ক্রিকেটারদের যাচাই করার সুযোগ। পাঁচটি পরিবর্তন এনে যে একাদশ খেলানো হলো , তাতে আসলে বোঝা গেল না , বাংলাদেশ কোন ধরনের ক্রিকেট খেলতে চাইছে । প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতেও দুর্বল নেদারল্যান্ডসকে তাড়া করতে হয়েছে ১৩৭ ও ১০৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে । স্বাগতিকেরা ম্যাচও জিতেছে অনায়াসে । কাল বৃষ্টির বাধায় পুরো ২০ ওভারও খেলা যায়নি । এশিয়া কাপের মতো মঞ্চে বড় লক্ষ্য তাড়া করা কিংবা আগে ব্যাটিং করে বড় স্কোর গড়ার ‘ অনুশীলন'টা ঠিক হলো না । তবে প্রস্তুতিতে কমতি রাখেনি বাংলাদেশ । ভালোভাবেই তৈরি হয়ে রোববার আবুধাবিতে যাচ্ছেন লিটনরা ।
ব্যাটারদের অতৃপ্তি
বাংলাদেশ যদি প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং করত , তবে ব্যাটিং গভীরতার চিত্রটা পরিষ্কার হতো । ওপেনিংয়ে ইমনের চেয়ে তানজিদ তামিম বেশ আস্থা তৈরি করেছেন , দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন ফিফটি । তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা সেভাবে প্রমাণের সুযোগ পাননি । এশিয়া কাপের আগে এখানে একটা খামতি থেকে গেল ।
দুর্দান্ত লিটন
নেদারল্যান্ডস সিরিজ এশিয়া কাপের মতো মঞ্চে বড় লক্ষ্য তাড়া করা কিংবা আগে ব্যাটিং করে বড় স্কোর গড়ার ‘ অনুশীলন'টা ঠিক হলো না । তবে প্রস্তুতিতে কমতি রাখেনি বাংলাদেশ ।
প্রথম ম্যাচে ফিফটির পর শেষ ম্যাচে খেললেন ৪৬ বলে ৭৩ রানের ইনিংস , চারটি ছক্কাসহ । তিন ম্যাচে অপরাজিত থেকে গড় দাঁড়িয়েছে অবিশ্বাস্য ১৪৫। সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন । এই সিরিজেই সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন ( ১৪ টি ) । ধারাবাহিকতায় লিটন এই সিরিজে ছিলেন এককথায় বড় ভরসা । এশিয়া কাপে এটা ধরে রাখতে পারলেই হয় ।
ঝালিয়ে নিলেন পেসাররা তাসকিন আহমেদ দারুণ করেছেন । প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট , দ্বিতীয় ম্যাচে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে । মোস্তাফিজও ইকোনমি ছয়ের নিচে রেখেছেন নিয়মিত । তানজিম সাকিবও সীমিত সুযোগে আস্থা জাগিয়েছেন । পেস আক্রমণে স্বস্তি আছে যথেষ্ট ।
স্পিনারদের ভেলকি
সিলেটের উইকেটে স্পিনারদের সুযোগ কম থাকলেও নাসুম আহমেদ , সাইফ হাসান পুরো সিরিজে লিটন দাস ছিলেন অসাধারণ । দুজনেই দেখিয়েছেন কার্যকর স্পেল । নাসুম
আহমেদ দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা । নাসুমের ৩ উইকেটের পারফরম্যান্স এশিয়া কাপের আগে টিম ম্যানেজমেন্টকে দিয়েছে বাড়তি আত্মবিশ্বাস ।
সাইফের ফেরা
লম্বা বিরতির পর ফেরার সিরিজে সাইফ হাসান প্রথম ম্যাচে ব্যাটে - বলে ছিলেন কার্যকর —১৯ বলে ৩৬ রান আর ২ উইকেট । তবে ওপেনিংয়ে প্রমোশন পাওয়া শেষ ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন । ইনিংসটা বড় করতে পারেননি , করেছেন মাত্র ১২ রান । তবু তাঁর ইন্টেন্ট ছিল ইতিবাচক ।
কোচের চোখে সিরিজ
প্রধান কোচ ফিল সিমন্স শুরুতেই বলেছিলেন , জয়ের চেয়ে ইন্টেন্ট বেশি গুরুত্বপূর্ণ । ব্যাটাররা যদি আক্রমণাত্মক মনোভাব ধরে রাখতে গিয়ে হেরে যায় , তাতেও আপত্তি নেই । সিরিজ শেষে তিনি নিশ্চয়ই লিটন , তানজিদ , জাকের কিংবা সোহানের মধ্যে সেই ইতিবাচক মানসিকতা খুঁজে পেয়েছেন । এখন সেটা এশিয়া কাপে বাংলাদেশ কতটা ধরে রাখতে পারে , সেটিই দেখার । পাওয়ার হিটিংয়ের কার্যকারিতা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অন্যতম দুর্বল জায়গা হচ্ছে পাওয়ার হিটিং । তৃতীয় ম্যাচে নুরুল হাসান সোহান আর জাকের আলী অনিক ছক্কা - চারে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন । জাকের ১৩ বলে ২০ , সোহান ১১ বলে ২২ রান করেছেন । বৃষ্টি না হলে এই দুজনের পারফরম্যান্স আরও বড় হতে পারত । তবে প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ পরে ব্যাটিং করে সহজ লক্ষ্য তাড়া করায় জুলিয়ান উড়ের পাওয়ার হিটিংয়ের ক্লাসের কার্যকরিতা খুব একটা যাচাই করার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের ব্যাটারদের ।
আন্তর্জাতিক টি- টোয়েন্টিতে লিটন দাসের ফিফটি ; যা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ । ১৩ ফিফটি নিয়ে এই রেকর্ড আগে ছিল সাকিব আল হাসানের ।
এশিয়া কাপ খেলতে রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল। ১৯৮৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ বার এশিয়া কাপে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণ মিলিয়ে সেরা সাফল্য ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ এশিয়া কাপের রানার্সআপ হওয়া। সোনার হরিণ হয়ে থাকা এশিয়া শিরোপা এবার জয়ের স্বপ্ন দেখছেন তাসকিন আহমেদ।
৬ ঘণ্টা আগেনাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত নেপালের বিপক্ষে খেলছেন না হামজা চৌধুরী। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে লেস্টার সিটির হয়ে শেষ ম্যাচে চোটে পড়েন তিনি। চোটের মাত্রা গুরুতর না হলেও অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ মাথায় রেখে তাঁকে নেপালে খেলানোর ঝুঁকি নিতে চাননি বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
৭ ঘণ্টা আগেলিওনেল মেসির ম্যাচ আগে আর্জেন্টিনায় হলে দেখা যেত খুশির আবহ। কিন্তু আজ বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-ভেনেজুয়েলা ম্যাচের চিত্রটা ছিল ভিন্ন। মেসি কেঁদেছেন বারবার। ভক্ত-সমর্থকেরাও আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেসীমিত ওভারের ক্রিকেটে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ইংল্যান্ডের। লর্ডসে গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া রানের পাহাড় টপকানোর কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ ইংলিশরা। এই হারের পর অনেকটা বেকায়দায় পড়ে গেছে হ্যারি ব্রুকের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড।
৯ ঘণ্টা আগে