রানা আব্বাস, ঢাকা
হারারে থেকে পরশু বিসিবির পাঠানো একটি ছবি ফেসবুকে বেশ ছড়িয়েছে—রঙ্গনা হেরাথ আর আবদুর রাজ্জাক দুই কিংবদন্তি একই ফ্রেমে। দুই সফল সাবেক বাঁহাতি স্পিনার এখন কাজ করছেন বাংলাদেশ দলে। একজন স্পিন পরামর্শক পরিচয়ে, আরেকজন বিসিবির নির্বাচক হয়ে। দুই ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্ক যখন এক বিন্দুতে মিলেছে, এবার কি ঘুচবে পুরোনো হাহাকারটা?
‘হাহাকার’টা তৈরি হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার নিয়ে। একটা সময় টেস্ট তো বটেই, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ ছিল বাঁহাতি স্পিননির্ভর। মোহাম্মদ রফিককে দিয়ে শুরু। পরে ১৫৩টি ওয়ানডে খেলা রাজ্জাক প্রায় এক দশক এক প্রান্তে নির্ভরতার আরেক নাম হয়ে ছিলেন। তাঁর পরে সাকিব এসে জানালেন, বাঁহাতি স্পিনের জাদু কত প্রকার, কী কী! সাদা বলের ক্রিকেট থেকে রাজ্জাক বিদায় নিতেই শুরু এই সংকটের।
টেস্টে তাইজুল ইসলাম সংকটটা বেশ দূর করতে পারলেও সাদা বলের ক্রিকেটে গত সাত বছরে বাঁহাতি স্পিনে সাকিবের আরেকজন যোগ্য ‘সঙ্গী’ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংকট দূর করতে নির্বাচকেরা চেষ্টা করিয়েছেন অনেককেই। কিন্তু কেউ আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। সময়ের সঙ্গে বেশির ভাগই ঝরে গেছেন।
২০০৬ সালের আগস্টে সাকিবের অভিষেকের পর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের আরও ১১ বিশেষজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনারের। এনামুল জুনিয়র, মোশাররফ হোসেন, সোহরাওয়ার্দী শুভ, ফয়সাল হোসেন, ইলিয়াস সানি, তাইজুল, আরাফাত সানি, সাকলাইন সজীব, সানজামুল ইসলাম, নাজমুল ইসলামের পর সর্বশেষ সংযোজন নাসুম আহমেদ। ব্যর্থ তালিকাটা ক্রমেই বাড়ছে। বিসিবি অবশ্য বেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত চার বছরে যে তিন স্পিন পরামর্শক নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড, প্রত্যেকে খেলোয়াড়িজীবনে ছিলেন কার্যকর বাঁহাতি স্পিনার। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০১৯ জুলাই পর্যন্ত কাজ করেছেন ভারতের সুনীল যোশি। ২০১৯–এর আগস্ট থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেছেন কিউই কিংবদন্তি ডেনিয়েল ভেট্টোরি। এবার যোগ হলেন টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল বাঁহাতি স্পিনার হেরাথ।
উঁচু মানের পরামর্শক পাওয়ার পরও গত চার বছরে বাঁহাতি স্পিনের সংকট তো কাটেইনি, আরও বেড়েছে। রাজ্জাক অবশ্য বলছেন ভালো স্পিনার পেতে কোচের ভূমিকা সামান্যই, ‘যখন যে দায়িত্বে থাকে (স্পিন পরামর্শক) তাঁর কাছ থেকে বুঝে নিতে হয়। না বোঝা পর্যন্ত লেগে থাকতে হয়। আমাদের একটা অভ্যাস আছে, আমরা অপেক্ষা করি। যতক্ষণ না বলা হচ্ছে, সমস্যার কথা বলি না। নিজে থেকে নিজের প্রয়োজনটা বলি না। এখানে যোগাযোগে ঘাটতি হওয়ার কিছু নেই। ক্রিকেটীয় ভাষাটা সব ক্রিকেটারই বোঝে।’
একসময় রফিকের অভাব ঘোচানোর আশা জাগানো এনামুল হক জুনিয়র অবশ্য মনে করেন হেরাথদের মতো উঁচু মানের কোচদের জাতীয় দলের চেয়ে বেশি দরকার ক্রিকেটের নিচু পর্যায়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার বললেন, ‘ভালো কোচিং দরকার নিচে। রঙ্গনা হেরাথরা কাজ করবেন নিচে। খেলোয়াড় তৈরি হয় এখানেই। ওপরে স্থানীয় কেউ থাকলেও সমস্যা নেই। ছোটখাটো–সমস্যায় আমাদের ভুগতে হয়েছে। নিচে আমাদের ভালো কোচিং ছিল না। তেমন কেউ ধরিয়ে দেয়নি। আমাদের ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে জাতীয় দলে আসার পর। ছোটখাটো ভুলত্রুটি শোধরাতে নিচের লেভেলে ভালো কোচ দরকার।’
হেরাথ বিসিবির যে বিভাগে কাজ করছেন, সেই ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান এনামুলের কথাটারই প্রতিধ্বনিত করলেন। তিনিও বলছেন, ভালো মানের স্পিনার পেতে নিচের স্তরেই হেরাথদের মতো কোচ বেশি দরকার, ‘এটা ঠিক, সাকিবের মতো বোলার পাচ্ছি না। শুধু জাতীয় দলে ভালো মানের কোচ নয়, ভালো মানের স্পিনার পেতে নিচের পর্যায়ে যেমন—এইচপি (হাইপারফরম্যান্স টিম), বয়সভিত্তিক দলে হাইপ্রোফাইল কোচ নিয়োগ দিতে হবে। ওখান থেকে ভালো মানের খেলোয়াড় তৈরি হলেই জাতীয় দলে ভালো সরবরাহ থাকবে। আশা করি ধীরে ধীরে স্পিন বিভাগের এ সংকট কেটে যাবে।’
হারারে থেকে পরশু বিসিবির পাঠানো একটি ছবি ফেসবুকে বেশ ছড়িয়েছে—রঙ্গনা হেরাথ আর আবদুর রাজ্জাক দুই কিংবদন্তি একই ফ্রেমে। দুই সফল সাবেক বাঁহাতি স্পিনার এখন কাজ করছেন বাংলাদেশ দলে। একজন স্পিন পরামর্শক পরিচয়ে, আরেকজন বিসিবির নির্বাচক হয়ে। দুই ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্ক যখন এক বিন্দুতে মিলেছে, এবার কি ঘুচবে পুরোনো হাহাকারটা?
‘হাহাকার’টা তৈরি হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার নিয়ে। একটা সময় টেস্ট তো বটেই, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ ছিল বাঁহাতি স্পিননির্ভর। মোহাম্মদ রফিককে দিয়ে শুরু। পরে ১৫৩টি ওয়ানডে খেলা রাজ্জাক প্রায় এক দশক এক প্রান্তে নির্ভরতার আরেক নাম হয়ে ছিলেন। তাঁর পরে সাকিব এসে জানালেন, বাঁহাতি স্পিনের জাদু কত প্রকার, কী কী! সাদা বলের ক্রিকেট থেকে রাজ্জাক বিদায় নিতেই শুরু এই সংকটের।
টেস্টে তাইজুল ইসলাম সংকটটা বেশ দূর করতে পারলেও সাদা বলের ক্রিকেটে গত সাত বছরে বাঁহাতি স্পিনে সাকিবের আরেকজন যোগ্য ‘সঙ্গী’ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংকট দূর করতে নির্বাচকেরা চেষ্টা করিয়েছেন অনেককেই। কিন্তু কেউ আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। সময়ের সঙ্গে বেশির ভাগই ঝরে গেছেন।
২০০৬ সালের আগস্টে সাকিবের অভিষেকের পর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের আরও ১১ বিশেষজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনারের। এনামুল জুনিয়র, মোশাররফ হোসেন, সোহরাওয়ার্দী শুভ, ফয়সাল হোসেন, ইলিয়াস সানি, তাইজুল, আরাফাত সানি, সাকলাইন সজীব, সানজামুল ইসলাম, নাজমুল ইসলামের পর সর্বশেষ সংযোজন নাসুম আহমেদ। ব্যর্থ তালিকাটা ক্রমেই বাড়ছে। বিসিবি অবশ্য বেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত চার বছরে যে তিন স্পিন পরামর্শক নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড, প্রত্যেকে খেলোয়াড়িজীবনে ছিলেন কার্যকর বাঁহাতি স্পিনার। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০১৯ জুলাই পর্যন্ত কাজ করেছেন ভারতের সুনীল যোশি। ২০১৯–এর আগস্ট থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেছেন কিউই কিংবদন্তি ডেনিয়েল ভেট্টোরি। এবার যোগ হলেন টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল বাঁহাতি স্পিনার হেরাথ।
উঁচু মানের পরামর্শক পাওয়ার পরও গত চার বছরে বাঁহাতি স্পিনের সংকট তো কাটেইনি, আরও বেড়েছে। রাজ্জাক অবশ্য বলছেন ভালো স্পিনার পেতে কোচের ভূমিকা সামান্যই, ‘যখন যে দায়িত্বে থাকে (স্পিন পরামর্শক) তাঁর কাছ থেকে বুঝে নিতে হয়। না বোঝা পর্যন্ত লেগে থাকতে হয়। আমাদের একটা অভ্যাস আছে, আমরা অপেক্ষা করি। যতক্ষণ না বলা হচ্ছে, সমস্যার কথা বলি না। নিজে থেকে নিজের প্রয়োজনটা বলি না। এখানে যোগাযোগে ঘাটতি হওয়ার কিছু নেই। ক্রিকেটীয় ভাষাটা সব ক্রিকেটারই বোঝে।’
একসময় রফিকের অভাব ঘোচানোর আশা জাগানো এনামুল হক জুনিয়র অবশ্য মনে করেন হেরাথদের মতো উঁচু মানের কোচদের জাতীয় দলের চেয়ে বেশি দরকার ক্রিকেটের নিচু পর্যায়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার বললেন, ‘ভালো কোচিং দরকার নিচে। রঙ্গনা হেরাথরা কাজ করবেন নিচে। খেলোয়াড় তৈরি হয় এখানেই। ওপরে স্থানীয় কেউ থাকলেও সমস্যা নেই। ছোটখাটো–সমস্যায় আমাদের ভুগতে হয়েছে। নিচে আমাদের ভালো কোচিং ছিল না। তেমন কেউ ধরিয়ে দেয়নি। আমাদের ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে জাতীয় দলে আসার পর। ছোটখাটো ভুলত্রুটি শোধরাতে নিচের লেভেলে ভালো কোচ দরকার।’
হেরাথ বিসিবির যে বিভাগে কাজ করছেন, সেই ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান এনামুলের কথাটারই প্রতিধ্বনিত করলেন। তিনিও বলছেন, ভালো মানের স্পিনার পেতে নিচের স্তরেই হেরাথদের মতো কোচ বেশি দরকার, ‘এটা ঠিক, সাকিবের মতো বোলার পাচ্ছি না। শুধু জাতীয় দলে ভালো মানের কোচ নয়, ভালো মানের স্পিনার পেতে নিচের পর্যায়ে যেমন—এইচপি (হাইপারফরম্যান্স টিম), বয়সভিত্তিক দলে হাইপ্রোফাইল কোচ নিয়োগ দিতে হবে। ওখান থেকে ভালো মানের খেলোয়াড় তৈরি হলেই জাতীয় দলে ভালো সরবরাহ থাকবে। আশা করি ধীরে ধীরে স্পিন বিভাগের এ সংকট কেটে যাবে।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির সাক্ষাৎ যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক মৌসুমে নকআউট পর্বে দেখা হলেও এবার প্রথম রাউন্ডেই মুখোমুখি হবে দুই দল।
৩ ঘণ্টা আগেঅনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে আগামীকাল রাতে ভিয়েতনামে রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। তবে দলের সঙ্গে এখনো যোগ দেননি ইতালিপ্রবাসী ফরোয়ার্ড ফাহামিদুল ইসলাম। প্রথম ম্যাচে তাঁকে খেলানো নিয়ে তাই রয়েছে অনিশ্চয়তা।
৪ ঘণ্টা আগেওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়েই এশিয়া কাপের দল দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। চোটে পড়ে গত মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। অভিজ্ঞ লেগ স্পিনারকে দলের রাখা হয়েছে এশিয়া কাপের ফিট থাকার শর্তে। তাঁকে পরিপূর্ণ সেরে ওঠার সময় দিতে রাখা হয়নি আগামী সপ্তাহে শুরু জিম্বাবুয়ের...
৫ ঘণ্টা আগেডারউইনে প্রথম দিনে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে ১১৪ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ‘এ’ দল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ ‘এ’।
৫ ঘণ্টা আগে