আলমগীর কবীর
নাহিদ রানা বোলিং ভালো করছে, ভালো করুক। সব সময় দোয়া করি, সুস্থ থাকুক। সাম্প্রতিক সময়ে সে শারীরিকভাবে উন্নতি করেছে। মানসিকভাবেও অনেক শক্তিশালী হয়েছে এখন। জাতীয় লিগ তো ভালো খেলতই, যেটা ঘরোয়া লিগ। জাতীয় দলে প্রথম যখন অভিষেক হলো, একটা ব্যাপার তো ছিলই। এখন সে নার্ভাসনেস কাটিয়ে উঠেছে। শুরুতে নার্ভাসনেস থাকবে স্বাভাবিক, কিন্তু এখন তার ভেতরে সেটা নেই।
এখন নার্ভাসনেস ‘জিরো’, তবে মানসিকতায় হিরো! শারীরিকভাবে অনেক শক্ত। বেশি ব্যবহার না করে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পেলে পরের ম্যাচে আরও সতেজ নাহিদ রানাকে পাওয়া যাবে। তাসকিন যেমন এখন অনেক শক্ত। বোলিং অ্যাকশন স্টিভ হার্মিসনের মতো হলেও তেমন কাউকে অনুসরণ করত না। আমিও বলতাম কাউকে অনুসরণ না করতে।
আমি রাজশাহীর ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে কাজ করার সময় ওকে পেয়েছি। বছর ছয়েক আগের কথা। সবাই বলতেন, চাঁপাইয়ের একটা ছেলে আছে। সে অনেক জোরে বোলিং করে। আমি বলতাম, তাই নাকি? ঠিক আছে। দেখব। একদিন আমরা টেপ টেনিসে ম্যাচ খেলছিলাম। তখন গ্রীষ্মকাল ছিল। আমরা কয়েক ভাগে ম্যাচ খেলছিলাম। একদিন অনেক ক্লান্ত, আর পারছিলাম না। একটা বোলার দরকার হয়ে পড়ল। তখন একজন বলল, এই ছেলেকে নেন। ও যখন বোলিং করে, তখন আমাদের একাডেমির মূল কিপার ছিল। সে ওর বল ধরতে পারেনি। তিনটা বল, তিনটাই মিস করেছে! সে বলে, স্যার, ওর বল তো দেখতেই পাচ্ছি না। কী জোরে বোলিং করে! আমি বললাম, আমাকে দাও। কিপিংয়ে যাই। আমিও তার দুইটা বল ধরতে পারিনি। তখন দেখলাম, ও তো ভালো জোরে বোলিং করে।
রানাকে বললাম, তুই এদিকে আয়। তুই কি টেপ টেনিসে করিস, নাকি ক্রিকেট বলে? সে বলল, ক্রিকেট বলেও পারি। আমি বললাম, ঠিক আছে, কাল থেকে ক্রিকেট বলেও কাজ করবি আমার সঙ্গে। শুরুতে অনেক সমস্যা ছিল, সেগুলো ধীরে ধীরে উন্নতি করেছে।
পরশু যখন বোলিং করছিল, কিমার রোচকে যখন বোলিং করছিল, ৫টার জায়গায় ৬টা উইকেট হওয়া উচিত ছিল। বিশ্বাস করছিলাম যে হতে পারে। কিন্তু ক্রস সিমে কন্টিনিউ করছে, যেটা চাচ্ছে, হচ্ছিল না। রিভার্স বোলিং করলে হতে পারত। যখন তাকে কাছে পাব, চেষ্টা করব ব্যাপারগুলো নিয়ে বিস্তারিত কাজ করার।
লেখক: সাবেক পেসার নাহিদ রানার শুরুর গুরু
নাহিদ রানা বোলিং ভালো করছে, ভালো করুক। সব সময় দোয়া করি, সুস্থ থাকুক। সাম্প্রতিক সময়ে সে শারীরিকভাবে উন্নতি করেছে। মানসিকভাবেও অনেক শক্তিশালী হয়েছে এখন। জাতীয় লিগ তো ভালো খেলতই, যেটা ঘরোয়া লিগ। জাতীয় দলে প্রথম যখন অভিষেক হলো, একটা ব্যাপার তো ছিলই। এখন সে নার্ভাসনেস কাটিয়ে উঠেছে। শুরুতে নার্ভাসনেস থাকবে স্বাভাবিক, কিন্তু এখন তার ভেতরে সেটা নেই।
এখন নার্ভাসনেস ‘জিরো’, তবে মানসিকতায় হিরো! শারীরিকভাবে অনেক শক্ত। বেশি ব্যবহার না করে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পেলে পরের ম্যাচে আরও সতেজ নাহিদ রানাকে পাওয়া যাবে। তাসকিন যেমন এখন অনেক শক্ত। বোলিং অ্যাকশন স্টিভ হার্মিসনের মতো হলেও তেমন কাউকে অনুসরণ করত না। আমিও বলতাম কাউকে অনুসরণ না করতে।
আমি রাজশাহীর ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে কাজ করার সময় ওকে পেয়েছি। বছর ছয়েক আগের কথা। সবাই বলতেন, চাঁপাইয়ের একটা ছেলে আছে। সে অনেক জোরে বোলিং করে। আমি বলতাম, তাই নাকি? ঠিক আছে। দেখব। একদিন আমরা টেপ টেনিসে ম্যাচ খেলছিলাম। তখন গ্রীষ্মকাল ছিল। আমরা কয়েক ভাগে ম্যাচ খেলছিলাম। একদিন অনেক ক্লান্ত, আর পারছিলাম না। একটা বোলার দরকার হয়ে পড়ল। তখন একজন বলল, এই ছেলেকে নেন। ও যখন বোলিং করে, তখন আমাদের একাডেমির মূল কিপার ছিল। সে ওর বল ধরতে পারেনি। তিনটা বল, তিনটাই মিস করেছে! সে বলে, স্যার, ওর বল তো দেখতেই পাচ্ছি না। কী জোরে বোলিং করে! আমি বললাম, আমাকে দাও। কিপিংয়ে যাই। আমিও তার দুইটা বল ধরতে পারিনি। তখন দেখলাম, ও তো ভালো জোরে বোলিং করে।
রানাকে বললাম, তুই এদিকে আয়। তুই কি টেপ টেনিসে করিস, নাকি ক্রিকেট বলে? সে বলল, ক্রিকেট বলেও পারি। আমি বললাম, ঠিক আছে, কাল থেকে ক্রিকেট বলেও কাজ করবি আমার সঙ্গে। শুরুতে অনেক সমস্যা ছিল, সেগুলো ধীরে ধীরে উন্নতি করেছে।
পরশু যখন বোলিং করছিল, কিমার রোচকে যখন বোলিং করছিল, ৫টার জায়গায় ৬টা উইকেট হওয়া উচিত ছিল। বিশ্বাস করছিলাম যে হতে পারে। কিন্তু ক্রস সিমে কন্টিনিউ করছে, যেটা চাচ্ছে, হচ্ছিল না। রিভার্স বোলিং করলে হতে পারত। যখন তাকে কাছে পাব, চেষ্টা করব ব্যাপারগুলো নিয়ে বিস্তারিত কাজ করার।
লেখক: সাবেক পেসার নাহিদ রানার শুরুর গুরু
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৬ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৮ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৯ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
৯ ঘণ্টা আগে