Ajker Patrika

এত সেঞ্চুরি আগে কখনো দেখেনি বিপিএল

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭: ৪৮
২০২৫ বিপিএলে এখনো ১৯ ম্যাচ বাকি, এর মধ্যেই সেঞ্চুরি হয়েছে ৭টি। ছবি: সৌজন্য
২০২৫ বিপিএলে এখনো ১৯ ম্যাচ বাকি, এর মধ্যেই সেঞ্চুরি হয়েছে ৭টি। ছবি: সৌজন্য

বল-ব্যাটের বাইরে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছেই। বিপিএলের আগের সংস্করণগুলো বাদ যায়নি বিতর্কের হাত থেকে। এই টুর্নামেন্টের ইস্যুতে বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রেস সচিবের মধ্যে তর্কের কথা উঠে এল সংবাদমাধ্যমে, বিসিবি সভাপতির সঙ্গে পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের দ্বন্দ্বের কথাও এল, চিটাগং কিংসের প্লাস্টিক মোড়ানো হেলমেট, দুর্বার রাজশাহীর পারিশ্রমিক পরিশোধে গড়িমসি—আগের মতো এবারও অপ্রত্যাশিত অনেক কিছুই ছিল বিপিএলে।

ক্রিকেট খেলা তো ব্যাট-বলের, সে বিবেচনায় এই বিপিএল কি এখন পর্যন্ত কিছুটা হলেও ছাড়িয়ে যায়নি আগের ১০ সংস্করণকে? হাই স্ট্রাইকরেট, ছক্কা-চারের ফুলঝুরি, সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি, ২০০ পেরোনো ইনিংস—সবকিছুতেই ছাড়িয়ে যাওয়া ২০২৫ বিপিএল। এ যেমন দেখুন, চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত ম্যাচ হলো ২৭টি। এর মধ্যেই সেঞ্চুরি হয়ে গেল ৭টি। এত সেঞ্চুরি আগের কোনো বিপিএলে দেখে যায়নি। এখনো বাকি ১৯ ম্যাচ।

বিপিএলের আগের ১০ সংস্করণে কয়টা সেঞ্চুরি হয়েছিল—২০২৪, ২০২০, ২০১৭ ও ২০১৩ বিপিএলে সেঞ্চুরি হয়েছিল ৩টি করে, ২০২৩ সালে ৪টি, ২০২২ বিপিএলে ৪টি, ২০১৯ বিপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরি হয়েছিল। ২০১৫ ও ২০১৬ বিপিএলে ১টি করে এবং ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম সংস্করণে সেঞ্চুরি হয়েছিল ৪টি।

২০২৫ বিপিএলে এখন পর্যন্ত একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন পাকিস্তানের উসমান খান, ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস ও গ্রাহাম ক্লার্ক, শ্রীলঙ্কান থিসারা পেরেরা, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম ও এনামুল হক বিজয়। চার বিদেশির সঙ্গে তিন বাংলাদেশি সেঞ্চুরি করেছেন। দেশি-বিদেশি ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেটও বেশ দুর্দান্ত।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন ২০০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করা যেন নিয়মিত দৃশ্য! অথচ ২০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের কাছে ২০০ স্ট্রাইকরেট কঠিন এক কাজই ছিল এত দিন। চলতি বিপিএলে সে কাজটি যেন অনায়াসে করে চলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। গতকাল সন্ধ্যায় খুলনা টাইগার্স-দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচের আগপর্যন্ত চলতি বিপিএলের স্ট্রাইকরেটের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের ব্যাটারদের দাপটই বেশি। এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ রান করেছেন, এ রকম ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনজনের স্ট্রাইকরেট ২০০ ছাড়িয়েছে। ২৫০.০০ স্ট্রাইকরেটে সবার ওপরে বরিশালের ফাহিম আশরাফ থাকলেও ২০০ পেরোনো স্ট্রাইকরেটের তালিকায় বাকি দুটি নাম নুরুল হাসান সোহান (২০১.৮৮) ও সাব্বির রহমান (২০০.০০)।

গত তিন বিপিএলের পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারেরই স্ট্রাইকরেট ২০০ পেরোয়নি। এমনকি ১৫০ স্ট্রাইকরেটের ব্যাটারও খুঁজে পাওয়া কঠিন। শুধু সাকিব আল হাসান নিয়মিত ১৫০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করতে পেরেছেন। টি-টোয়েন্টিতে মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারে নামা ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেট একটু বেশিই থাকে। যখন তাঁরা নামেন, তাঁদের প্রধান কাজই থাকে নেমে ঝড় তোলা। এবার লিটন দাস (ঢাকা), জাকির হাসান (সিলেট), তানজিদ হাসান তামিমদের (ঢাকা) মতো টপ অর্ডার ব্যাটাররাও এগোচ্ছেন ভালো স্ট্রাইকরেটে।

২৭ ম্যাচ পর্যন্ত—২০০ কিংবা তার বেশি রানের দলীয় ইনিংস পেরিয়েছে ১১টি। এর মধ্যে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৫৪ রান করে রেকর্ড গড়েছে ঢাকা ক্যাপিটাল। ৫৪ ইনিংস পর্যন্ত ১৮০ থেকে ১৯৯ পর্যন্ত স্কোর হয়েছে ১১টি। ১৫০ থেকে ১৭৯ রানের মধ্যে স্কোর হয়েছে ১৬টি। আগের চেয়ে বেশ স্বাস্থ্যবান স্কোর হচ্ছে নিয়মিত।

তানজিদ তামিম (২২), ইয়াসির আলী রাব্বি (১৮), সাব্বির রহমান (১৬), জাকির হাসান (১৬), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (১৬), লিটন দাসরা (১৫) ছক্কার ফুলঝুরিও ছুটিয়ে চলেছেন। টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত এই সংখ্যা নিশ্চয়ই আরও অনেক বাড়বে। নানা বিতর্কের মাঝেও ব্যাটে-বলে আগের চেয়ে কিছুটা আলাদা বিপিএল এবার বলাই যায়।

বিপিএলে যত সেঞ্চুরি

বিপিএল সেঞ্চুরি

২০২৫ (চলমান) ৭

২০২৪ ৩

২০২৩ ৪

২০২২ ৪

২০২০ ৩

২০১৯ ৬

২০১৭ ৩

২০১৬ ১

২০১৫ ১

২০১৩ ৩

২০১২ ৪

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৮ বছর পর খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটারের ৯ উইকেট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৪
১৪৪ রানে ৯ উইকেট নিয়েছেন ক্রেমার। ছবি: সংগৃহীত
১৪৪ রানে ৯ উইকেট নিয়েছেন ক্রেমার। ছবি: সংগৃহীত

৭ বছরের বিরতি কাটিয়ে সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে জিম্বাবুয়ে দলে ডাক পান গ্রায়েম ক্রেমার। তবে মাঠে নামা হয়নি তাঁর। এবার লম্বা সময় পর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে নেমে বল হাতে নজরকাটা পারফরম্যান্স উপহার দিলেন ক্রেমার।

এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন ক্রেমার। ৮ বছরের বিরতি কাটিয়ে লোগান কাপে রাইনোর হয়ে সাউদার্ন রকসের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন এই লেগস্পিনার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনটা বেশ ভালোভাবেই রাঙালেন ৩৯ বছর বয়সী ক্রেমার। দুর্দান্ত বোলিয়য়ে তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট।

কিউ কিউ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বৃষ্টির কারণে কোনো দল জিততে পারেনি। তবে অসাধারণ বোলিংয়ে ম্যাচের পুরো আলোটাই কেড়ে নিলেন ক্রেমার। ম্যাথু ক্যাম্পবেলকে আউট করে এর শুরুটা করেন তিনি। মাঝে কেবল রয় কাইয়ার উইকেট নেন মাইকেল চিনুয়া। বাকি সব উইকেট পকেটে পুরেন ক্রেমার। ৯ উইকেট নেওয়ার পথে ৪৬.২ ওভারে ১৪৪ রান খরচ করেন এই স্পিনার।

জিম্বাবুয়ের চতুর্থ বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৯ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন ক্রেমার। ৯ উইকেট নেওয়া দেশটির বাকি তিনজন হলেন মাইক প্রক্টর, জন রেনি ও স্টিভেন পিয়াল।

ক্রেমারের ঘূর্ণি বোলিংয়ে অলআউট হওয়ার আগে ৩৪৭ রান তোলে রকস। সর্বোচ্চ ১০০ রানের ইনিংস খেলেন তাফাজাওয়া সিগা। পানাশে তারুভিঙ্গার অবদান ৯৩ রান।

২০০৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন ক্রেমার। দেশের হয়ে ১৯ টেস্ট, ৯৬ ওয়ানডের পাশাপাশি ২৯টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ২০১৮ সালের মার্চের পর আর দেশের জার্সিতে নামা হয়নি ক্রেমারের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হ্যাটট্রিক করে দুই কিংবদন্তির পাশে লেভা

ক্রীড়া ডেস্ক    
হ্যাট্রটিকের পর লেভা যেন উড়তে চাইলেন। ছবি: এক্স
হ্যাট্রটিকের পর লেভা যেন উড়তে চাইলেন। ছবি: এক্স

চোটের কারণে এক মাস মাঠের বাইরে থাকার পর লা লিগায় সেলতা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবার শুরুর একাদশে নামেন রবার্ট লেভানডভস্কি। ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলেন ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে। হ্যাটট্রিক করেছেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। তাতেই দুই কিংবদন্তি ফুটবল ফেরেঙ্ক পুসকাস ও আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর পাশে বসেছেন ৩৭ বছর বয়সী লেভা।

লা লিগায় এটা লেভার তৃতীয় হ্যাটট্রিক। ডি স্টেফানো ও পুসকাসের পর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ৩৫ পেরোনোর পর স্পেনের শীর্ষ লিগে তিনটি হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড। বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে ২০২২-২৩ মৌসুমে কাতালান ক্লাবে যোগ দেন লেভা। দ্বিতীয় মৌসুমে বার্সার হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান–প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া। গত মৌসুমে আলাভেসের বিপক্ষে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করেন তিনি। এবার সেলতার জালে তিনবার বল পাঠিয়ে পুসকাস ও ডি স্টেফানোর রেকর্ডে ভাগ বসালেন লেভা।

তাঁর হ্যাটট্রিকের দিনে সেলতাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বার্সা। বালাইদোস স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই দুইবার জালের দেখা পান লেভা। বিরতির পরও আরও এক গোল করেন। সফরকারী দলের হয়ে বাকি গোলটি করেন লামিনে ইয়ামাল। নিজেদের মাঠে দুই দফা সমতায় ফিরে লড়াইয়ের আভাস দিলেও আর বার্সার সঙ্গে পেরে উঠেনি সেলতা।

বার্সার জয়ের দিনে স্কোরশিটে নাম উঠেনি মার্কাশ রাশফোর্ডের। এরপরও দলের পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ায় অবদান আছে এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের। জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে দারুণ একটা দিনই পার হলো বার্সার ফরোয়ার্ডদের জন্য।

এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান তিনে নামিয়ে এনেছে বার্সা। একি দিন রায়ো ভায়োকানোর সঙ্গে হোঁচট খেয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। তাদের সংগ্রহ ৩১ পয়েন্ট। বার্সার নামের পাশে আছে ২৮ পয়েন্ট। উভয় দলই খেলেছে সমান ১২ ম্যাচ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৫
ফুটবল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আসিফ। ছবি: সংগৃহীত
ফুটবল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। আসিফ ক্ষমা না চাইলে বড় অ্যাকশনে যাবেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

আজকের পত্রিকাকে জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘তিনি যদি ক্ষমা না চান, তাঁর বিরুদ্ধে বিশাল অ্যাকশনে যাব। বিসিবিতে আমরা চিঠি দেব তাঁকে বিতাড়িত করার। তাঁর এ কথা শুনে দেখলাম বুলবুল ভাইয়েরা তালি দিচ্ছে। এটার বিরুদ্ধে চরম অ্যাকশন হবে। মানহানির মামলা দেওয়া হবে।’

কোন ফুটবলার আসিফের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন, তা জানতে চান জাতীয় দলের ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে ফুটবল ও ফুটবলারদের নিয়ে এমন বক্তব্যকে ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ সব খেলাই আমাদের। কোনো খেলাকে ছোট করে দেখার নেই। তবে আসিফ আকবরের এমন বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। অবশ্যই এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। উনার কাছে আমি জানতে চাওয়া, কোন ফুটবল খেলোয়াড় উনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন?’

আসিফের বক্তব্যে বৈষম্যের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন আরেক ডিফেন্ডার জাহিদ হাসান শান্ত, ‘কোনো সময় ক্রিকেটকে ছোট করে দেখিনি। পদ পেয়ে আপনার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। ইউরোপের দেশগুলো যদি ক্রিকেট খেলত, তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেট কোথায় থাকত? বিশ্বে কয়টা দেশ ক্রিকেট খেলে, আর কয়টা দেশে ফুটবল খেলে? এভাবে ফুটবলকে ছোট করে আপনার কথা বলা ঠিক হয়নি। আপনি ফুটবল আর ক্রিকেটের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করলেন। আশা করি, লাইভে এসে বিষয়টা সমাধান করবেন। শেষে মারামারির কথাটা বলে বোঝালেন আপনি একটা অযোগ্য এবং সেবনকারী।’

জাতীয় দলের স্ট্রাইকার আল আমিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ফুটবল পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। জনাব আসিফ আকবর সাহেব, যে অভিব্যক্তিতে কথা বলেছেন—সেটি স্পোর্টসের ভাষা নয়। তিনি ডিসিপ্লিন ইস্যুতে কথা বলেছেন। ফুটবল অনেক শারীরিক খেলা হলেও ধৈর্য ধারণ করতে হয়, প্রতিপক্ষকে সম্মান জানিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। অসদাচরণ কিংবা ফাউলের জন্য রেফারির ইনস্ট্যান্ট সিদ্ধান্ত মেনে মাঠও ছাড়তে হয়। তা ছাড়া ন্যাশনাল ক্যাম্পে খাবার থেকে শুরু করে টাইম ম্যানেজমেন্ট সব চলে নিয়মমাফিক। নিয়মের হেরফের হলেই গুনতে হয় শাস্তি। তাই ফুটবলারদের দয়া করে ডিসিপ্লিন শেখাতে আসবেন না। আপনাকে অবশ্যই এর জন্য অনুতপ্ত হওয়া উচিত!’

ফেসবুক পোস্টে আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচ মারুফুল হক লিখেছেন, ‘ওনার স্কুল বা কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করছিলেন স্টেডিয়ামে বিপিএল এর খেলা বন্ধ করে, একজন মাঠ প্রেমিক হলে স্টেডিয়ামে অন্য অনুষ্ঠান কিভাবে করেন? বাফুফে ফুটবল চালায় ৪ জেলায়, বাকি ৬০ জেলায় ক্রিকেট এর খবর রাখেন কি জনাব?

এর আগে গতকাল ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ক্রিকেট কনফারেন্সে আসিফ বলেন, ‘ফুটবলারদের জন্য (ক্রিকেট) খেলা যাচ্ছে না সারা দেশে। তারা উইকেট ভেঙে ফেলল, উইকেট নষ্ট করে ফেলেছে। আবার ২৪ তারিখ আবাহনী-মোহামেডান ফুটবল খেলা কুমিল্লা স্টেডিয়ামে। এই সমস্যাটা শুধু কুমিল্লার না। প্রতিটা জেলার স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে ফুটবল, প্রতিটা জেলার যেখানে ফুটবলের কাজ নেই, সেখানেও ফুটবল দখল করে রেখেছে এবং ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে জিতে গেল বৃষ্টি

ক্রীড়া ডেস্ক    
বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে মাঠে গড়িয়েছে ৬.৩ ওভার। ছবি: এক্স
বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে মাঠে গড়িয়েছে ৬.৩ ওভার। ছবি: এক্স

দুই দলের জন্যই ম্যাচটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিতল না কেউ। নেলসনের সাক্সটন ওভালে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে।

বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগে থেকেই। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তাই শুরুর পর ম্যাচ পরিত্যক্ত করেছেন অফিসিয়ালরা। প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টি শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় একটা বিষয় এখন নিশ্চিত–সিরিজ হারছে না নিউজিল্যান্ড। চ্যালেঞ্জ থেকেই গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সিরিজ বাঁচাতে চাইলে শেষ ম্যাচে জিততেই হবে সফরকারী দলকে। ১৩ নভেম্বর শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে দুই দল।

বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও এদিন যথাসময়েই টস হয়। ম্যাচও শুরু হয় নির্ধারিত সময়ে। পঞ্চম ওভারে প্রথমবার ম্যাচে বৃষ্টি হানা দেয়। এজন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। বৃষ্টি থামার পর ফের মাঠে বল গড়ায়। কিন্তু বেশিক্ষণ খেলা হয়নি। ৯ বল পর ফের বৃষ্টি নামলে দ্বিতীয়বারের মতো খেলা বন্ধ হয়। এই দফায় আর বৃষ্টি থামেনি।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৬.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরিসংখ্যানই বলছে–কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে অতিথি ব্যাটারদের। কাইল জেমিসন, জ্যাকব ডাফি, জেমস নিশামদের বোলিংয়ের সামনে হাতখুলে খেলতে পারেননি আমির জাঙ্গু, আলিক আথানেজরা। নিশামের করা ষষ্ঠ ওভারে ড্যারেল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন আথানেজ। ১৮ বলে ২১ রান করেন এই ওপেনার। ১২ রান করতেই ১৮ বল খেলেন আরেক ওপেনার জাঙ্গু।

এর আগে প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টিতে দারুণ লড়াই করেছে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিনটি ম্যাচই ফয়সালা হয় শেষ ওভারে। তাই আরও একটি জমজমাট লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিল ভক্তরা। সেটা হতে দিল না প্রকৃতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত