বাংলাদেশ-আমিরাত তৃতীয় টি-টোয়েন্টি আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শারজায় সিরিজের প্রথম ম্যাচেই আরব আমিরাত চোখ রাঙিয়েছিল বাংলাদেশকে হারিয়ে দেওয়ার। সেই ম্যাচে কোনো অঘটন আর ঘটেনি। কিন্তু পরশু আমিরাত আর সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেনি। বাংলাদেশের একের পর এক ভুলের সুযোগে নিজেদের মাঠে ইতিহাসই গড়েছে সহযোগী দেশটি। বাংলাদেশের হারের পর সিরিজ ১-১ সমতায়। আজ একই মাঠে শেষ ম্যাচটি রূপ নিয়েছে ফাইনালে।
সিরিজের স্কোরলাইন দেখে রসিকতা করে বলতেই পারেন, শুরুতে সিরিজটা দুই ম্যাচের ছিল, ভালোই ছিল! ১-১ ড্র হওয়ায় সিরিজ হারের কোনো বিষয় থাকত না। বাড়তি এক ম্যাচ যোগ হওয়ার পর এখন সিরিজ হারের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না! শারজায় আমিরাত যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দলকে, পাকিস্তানে তাহলে লিটনদের জন্য কী অপেক্ষা করছে! পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রস্তাব দিয়েছিল পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি তিন ম্যাচে নামিয়ে আনতে। পিসিবি তাতে রাজি হয়েছে বলেই খবর। কাল পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লাহোরে ২৭, ২৯ ও ৩১ মে হবে তিন ম্যাচের সিরিজ।
পাকিস্তান সফরে কী হবে, সেই ভাবনা ভাবতে আরও সময় পাওয়া যাবে। আপাতত বাংলাদেশের ভাবনাজুড়ে আজকের ম্যাচ। সিরিজ জেতার চাপ এভাবে জেঁকে বসবে, তা কি আর লিটনরা সিরিজের শুরুতে ভেবেছিলেন! যে আমিরাত কখনো বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতেনি, তারা কিনা পরশু বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি খেলা শেখাল! যদি কোনো দল নিজেদের ভুলে প্রতিপক্ষকে এত সুযোগ দেয়, আমিরাত কেন, উগান্ডাও বাংলাদেশকে হারাতে ছাড়বে না।
শরীফুল ইসলামের অপ্রয়োজনীয় সরাসরি থ্রোয়ে ১ রানের জায়গায় ৫ রান পেয়েছে আমিরাত। শেষ দিকে আবার সময়মতো প্রয়োজনীয় থ্রো করলেন না তাওহীদ হৃদয়, বল হাতে রেখে দিলেন। তানজিম সাকিব শেষ ওভারে বোলিং করতে এসে ঠিকঠাক ইয়র্কারই করতে পারলেন না, উল্টো লোপ্পা ফুলটস দিয়ে হজম করলেন ছক্কা। লিটন দাস ম্যাচ শেষে দুষেছেন শিশিরকে। মাঠে শিশির পড়লে বোলার-ফিল্ডারদের কী করণীয়, সেটি কি তাঁদের অজানা? গত এক বছরে গতির রোমাঞ্চে মুগ্ধ করা নাহিদ রানা নিজের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেকে বুঝলেন লাল-সুবজ জার্সিতে ২০ ওভারের ম্যাচের চাপ অন্য রকম। টেস্ট অভিষেকে যেভাবে রান বিলিয়েছিলেন, বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেকও হলো তাঁর ভুলে যাওয়ার মতো।
দুই অধিনায়কের পার্থক্যও দেখুন, বাংলাদেশের লিটন করেছেন ৩২ বলে ৪০ রান আর আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম করেছেন ৪২ বলে ৮২ রান। ওয়াসিম যে ঝড় তুলতে অভ্যস্ত, তাঁর পরিসংখ্যান কি ঘাঁটাঘাঁটি করেনি বাংলাদেশ দল? ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ওয়াসিম। এক বছরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ছক্কা মারা ব্যাটারও তিনি। এত দিন তিনি ছক্কাবৃষ্টি ঝরাতেন তাঁদের মতোই সহযোগী সদস্যদের বিপক্ষে। অভ্যাস যেহেতু হয়ে গেছে, সেটি ওয়াসিম কাজে লাগাতে ভোলেননি বাংলাদেশের বিপক্ষে। এত এত ভুলের পর লিটন বলেছেন, ‘ফিল্ডিংয়ে একটু উল্টাপাল্টা করেছি। এমনকি মিডল ওভারে বোলিং ভালো হয়নি। যেকোনো হারই হজম করা কঠিন।’ নিজের ব্যাটিং নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি যা করেছি, আশানুরূপ ছিল না।’
আমিরাতের হারানোর কিছু নেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা খেলছে একেবারে ফুরফুরে মেজাজে, যা অর্জন করবে সেটাই পাওয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হুংকারও দিয়ে রেখেছেন আমিরাত অধিনায়ক ওয়াসিম, ‘তৃতীয় ম্যাচে আমরা এই শক্তি নিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, ২-১ করতে পারব।’ পাকিস্তান সফরের আগে শারজায় হাত মকশো করতে গিয়ে উল্টো চাপে বাংলাদেশ। এমনি ম্যাচ হেরে তীব্র সমালোচনার তির ছুটে যাচ্ছে, সিরিজ হারলে লিটনদের পাকিস্তানে রওনা দিতে হবে বিষম চাপ নিয়ে। এরই মধ্যে আজ বাংলাদেশ সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সালমান আলী আগার নেতৃত্বাধীন দলে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন শাহ আফ্রিদির মতো তারকাদের জায়গা হয়নি। তবু পাকিস্তান দলটা দারুণ শক্তিশালী।
শারজায় সিরিজের প্রথম ম্যাচেই আরব আমিরাত চোখ রাঙিয়েছিল বাংলাদেশকে হারিয়ে দেওয়ার। সেই ম্যাচে কোনো অঘটন আর ঘটেনি। কিন্তু পরশু আমিরাত আর সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেনি। বাংলাদেশের একের পর এক ভুলের সুযোগে নিজেদের মাঠে ইতিহাসই গড়েছে সহযোগী দেশটি। বাংলাদেশের হারের পর সিরিজ ১-১ সমতায়। আজ একই মাঠে শেষ ম্যাচটি রূপ নিয়েছে ফাইনালে।
সিরিজের স্কোরলাইন দেখে রসিকতা করে বলতেই পারেন, শুরুতে সিরিজটা দুই ম্যাচের ছিল, ভালোই ছিল! ১-১ ড্র হওয়ায় সিরিজ হারের কোনো বিষয় থাকত না। বাড়তি এক ম্যাচ যোগ হওয়ার পর এখন সিরিজ হারের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না! শারজায় আমিরাত যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দলকে, পাকিস্তানে তাহলে লিটনদের জন্য কী অপেক্ষা করছে! পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রস্তাব দিয়েছিল পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি তিন ম্যাচে নামিয়ে আনতে। পিসিবি তাতে রাজি হয়েছে বলেই খবর। কাল পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লাহোরে ২৭, ২৯ ও ৩১ মে হবে তিন ম্যাচের সিরিজ।
পাকিস্তান সফরে কী হবে, সেই ভাবনা ভাবতে আরও সময় পাওয়া যাবে। আপাতত বাংলাদেশের ভাবনাজুড়ে আজকের ম্যাচ। সিরিজ জেতার চাপ এভাবে জেঁকে বসবে, তা কি আর লিটনরা সিরিজের শুরুতে ভেবেছিলেন! যে আমিরাত কখনো বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতেনি, তারা কিনা পরশু বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি খেলা শেখাল! যদি কোনো দল নিজেদের ভুলে প্রতিপক্ষকে এত সুযোগ দেয়, আমিরাত কেন, উগান্ডাও বাংলাদেশকে হারাতে ছাড়বে না।
শরীফুল ইসলামের অপ্রয়োজনীয় সরাসরি থ্রোয়ে ১ রানের জায়গায় ৫ রান পেয়েছে আমিরাত। শেষ দিকে আবার সময়মতো প্রয়োজনীয় থ্রো করলেন না তাওহীদ হৃদয়, বল হাতে রেখে দিলেন। তানজিম সাকিব শেষ ওভারে বোলিং করতে এসে ঠিকঠাক ইয়র্কারই করতে পারলেন না, উল্টো লোপ্পা ফুলটস দিয়ে হজম করলেন ছক্কা। লিটন দাস ম্যাচ শেষে দুষেছেন শিশিরকে। মাঠে শিশির পড়লে বোলার-ফিল্ডারদের কী করণীয়, সেটি কি তাঁদের অজানা? গত এক বছরে গতির রোমাঞ্চে মুগ্ধ করা নাহিদ রানা নিজের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেকে বুঝলেন লাল-সুবজ জার্সিতে ২০ ওভারের ম্যাচের চাপ অন্য রকম। টেস্ট অভিষেকে যেভাবে রান বিলিয়েছিলেন, বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেকও হলো তাঁর ভুলে যাওয়ার মতো।
দুই অধিনায়কের পার্থক্যও দেখুন, বাংলাদেশের লিটন করেছেন ৩২ বলে ৪০ রান আর আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম করেছেন ৪২ বলে ৮২ রান। ওয়াসিম যে ঝড় তুলতে অভ্যস্ত, তাঁর পরিসংখ্যান কি ঘাঁটাঘাঁটি করেনি বাংলাদেশ দল? ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ওয়াসিম। এক বছরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ছক্কা মারা ব্যাটারও তিনি। এত দিন তিনি ছক্কাবৃষ্টি ঝরাতেন তাঁদের মতোই সহযোগী সদস্যদের বিপক্ষে। অভ্যাস যেহেতু হয়ে গেছে, সেটি ওয়াসিম কাজে লাগাতে ভোলেননি বাংলাদেশের বিপক্ষে। এত এত ভুলের পর লিটন বলেছেন, ‘ফিল্ডিংয়ে একটু উল্টাপাল্টা করেছি। এমনকি মিডল ওভারে বোলিং ভালো হয়নি। যেকোনো হারই হজম করা কঠিন।’ নিজের ব্যাটিং নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি যা করেছি, আশানুরূপ ছিল না।’
আমিরাতের হারানোর কিছু নেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা খেলছে একেবারে ফুরফুরে মেজাজে, যা অর্জন করবে সেটাই পাওয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হুংকারও দিয়ে রেখেছেন আমিরাত অধিনায়ক ওয়াসিম, ‘তৃতীয় ম্যাচে আমরা এই শক্তি নিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, ২-১ করতে পারব।’ পাকিস্তান সফরের আগে শারজায় হাত মকশো করতে গিয়ে উল্টো চাপে বাংলাদেশ। এমনি ম্যাচ হেরে তীব্র সমালোচনার তির ছুটে যাচ্ছে, সিরিজ হারলে লিটনদের পাকিস্তানে রওনা দিতে হবে বিষম চাপ নিয়ে। এরই মধ্যে আজ বাংলাদেশ সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সালমান আলী আগার নেতৃত্বাধীন দলে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন শাহ আফ্রিদির মতো তারকাদের জায়গা হয়নি। তবু পাকিস্তান দলটা দারুণ শক্তিশালী।
গল থেকে কলম্বোয় গিয়ে বাংলাদেশের সেই কাঁপাকাঁপি। প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ে দারুণ দাপট দেখিয়েছিল সফরকারীরা। কলম্বোয় সিরিজ নির্ধারণী টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেটে ২২০ রান তুলেছে বাংলাদেশ দল। বোলিংয়ে অসাধারণ কিছু না করতে পারলে, ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য পথটাও দুর্বোধ্য হয়ে উঠবে।
১১ মিনিট আগেগল টেস্টে বাংলাদেশের দাপট দেখিয়েছেন বাংলাদেশেরে ব্যাটাররা। কলম্বো টেস্টেও টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে ভাবতে হয়নি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। লক্ষ্যটা নিশ্চয় প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর গড়ে নিরাপদ অবস্থান তৈরি করা। তবে সে আশায় গুঁড়েবালি। শ্রীলঙ্কার বোলারদের সম্মিলিত আক্রমণে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম...
২ ঘণ্টা আগেটি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচের সিরিজের সূচি ঘোষণা করেছে আজ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
৩ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরী, শমিত শোম, ফাহামিদুল ইসলাম বাংলাদেশ ফুটবলে যোগ হওয়ার পরও দেশের বাইরে বেড়ে ওঠা প্রতিভাবান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বা প্রবাসী ফুটবলারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে চাপানোর। সম্প্রতি কিউবা মিচেল, জায়ান হাকিমের মতো ফুটবলাররা আলোচনায় এসেছেন এ কারণেই। তবে আগামী সপ্তাহে
৪ ঘণ্টা আগে