Ajker Patrika

নাসুম-শরীফুলদের বোলিং তোপে তামিমদের টানা হার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নাসুম-শরীফুলদের বোলিং তোপে তামিমদের টানা হার

দ্বিতীয় ম্যাচে এসে এবারের বিপিএলে প্রথম জয়ের দেখা পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মিনিস্টার ঢাকাকে তারা হারিয়েছে ৩০ রানে। চট্টগ্রামের দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটি থেকে ৪২ রান তুলে ঢাকা। তবে শুরুর ছন্দটা ইনিংসের মাঝে ধরে রাখতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। টুর্নামেন্টে এটি টানা দ্বিতীয় হার ঢাকার। 

৪২ রানের ওপেনিং জুটিতে উইকেটে যতক্ষণ ছিলেন হাপিত্যেশ করেন তামিম ইকবালের সঙ্গী মোহাম্মদ শাহজাদ। শেষ পর্যন্ত ১২ বলে ৯ রান করে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই আফগান ব্যাটার। আরেক প্রান্তে যথারীতি ধীরে চলো নীতিতে আগান তামিম। ইনিংসের ১১তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে দুই রান নিয়ে ৪২ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। টুর্নামেন্টের টানা দ্বিতীয় ফিফটিটি টি-টোয়েন্টিতে তামিমের ৪২তম পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস। 

১১৫.৫৫ স্ট্রাইক রেটে ছয় চার আর দুই ছক্কায় সাজানো ছিল তামিমের ইনিংসটি। এই ওপেনারের বিদায়ের পর ১০ রানের মধ্যে আরও তিন উইকেট হারায় ঢাকা। দ্রুতই ফিরে যান জহুরুল ইসলাম (১০), মোহাম্মদ নাঈম (৪), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৫)। এই ধাক্কা পুরো ইনিংসে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। তামিমের ৫২ রানের পর ঢাকার ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান আসে আট নম্বর ব্যাটার ইসুরু উদানার ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত ১৩১ রানে অলআউট হয়ে টানা দ্বিতীয় হারের মুখে পড়ে মাহমুদউল্লাহর দল। চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম। 

প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করে বড় স্কোর করেও হারতে হয়েছিল ঢাকাকে। এদিন তাই টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন ঢাকা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। শুরুতেই অধিনায়ককে উইকেটের উচ্ছ্বাসে ভাসান খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হতাশার দিন কাটানো রুবেল হোসেন। অনেক আলোচনার জন্ম দিয়ে এবারের বিপিএলে খেলতে আসা ক্যারিবিয়ান কেনার লুইসের উইকেট তুলে নেন এই পেসার। টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ লুইস। আরেক প্রান্তে অবশ্য ঢাকার বোলারদের শাসন করেছেন উইল জ্যাক। ২৪ বলে ছয় চার দুই ছক্কায় ৪২ রান করেন এই ইংলিশ। 

জ্যাককে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি আফিফ হোসেন। দুইবার জীবন পেয়েও ১২ বলে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি আফিফ। নিজেকে ফিরে পাওয়ার মঞ্চ হিসেবে বিপিএলকে পাখির চোখ করেছেন সাব্বির রহমান। প্রথম ম্যাচে ব্যাট কথা না বললেও আজ আশাজাগানিয়া শুরুটা টানতে পারেননি। তবে ১৭ বলে দুই ছক্কা আর দুই চারে ২৯ রানের ইনিংসটা থেকে নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি নিতে চাইবেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ব্যাটার। সাব্বিরের ১৭০.৫৮ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসের মৃত্যু ঘটান রুবেল। অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে সাব্বিরের ৪৪ রানের জুটিটা চট্টগ্রামকে ১৫০ পেরোনো সংগ্রহ এনে দিতে বড় ভূমিকা রাখে। মাহমুদউল্লাহর বলে আউট হওয়ার আগে চার চারে ২৫ বলে ২৫ রান করেন মেহেদি। 

তবে চট্টগ্রামের ইনিংসে প্রথম ম্যাচের মতো আজও ফিনিশারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বেনি হাওয়েল। শেষ দিকে তাঁর ১৯ বলে তিন ছক্কা আর এক চারে ৩৭ রানের ইনিংসে ১৬১ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন রুবেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত