Ajker Patrika

রানআউট না করেও নায়ক এই উইকেটরক্ষক

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ১৬
রানআউট না করেও নায়ক এই উইকেটরক্ষক

আবেগ-উন্মাদনা-ঐতিহ্য ছাপিয়ে ক্রিকেটে লেগেছে বাণিজ্যিকীকরণের ছোঁয়া। তবু ২২ গজে ব্যাট-বলের লড়াইটা ‘ভদ্রলোকের খেলা’ হিসেবে এখনো সমাদৃত। ক্রিকেটের সঙ্গে কেন এই শব্দযুগল ব্যবহার করা হয়, তা আরেকবার প্রমাণিত হলো। 

মাসকাটে সদ্যসমাপ্ত চার জাতির টি-টোয়েন্টি সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। টুর্নামেন্টের অন্য তিন দল স্বাগতিক ওমান, আয়ারল্যান্ড ও নেপাল।

আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গতকাল নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে নেপাল। লো স্কোরিং ম্যাচটি আইরিশরা জিতেছে ১৬ রানে। 

তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায় নেপালের উইকেটরক্ষক আসিফ শেখের মানবিকতা। আইরিশ ব্যাটার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে রানআউট করার সহজতম সুযোগ পেয়েও করেননি আসিফ। 

আগে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ড ১১৪ রানে ৮ উইকেটে হারিয়ে তখন ধুঁকছিল। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন নেপালের কমল সিং। সে সময় ননস্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ম্যাকব্রাইন রান নিতে গিয়ে পিচের মাঝপথে পা পিছলে পড়ে যান। 

বোলার কমল সঙ্গে সঙ্গে বলটা তুলে নিয়ে আসিফকে ছুড়ে দেন। রানআউট করার জন্য বিস্তর সময় ছিল আসিফের হাতে। চাইলে অনায়াসে বেল তুলতে পারতেন। কিন্তু তেমনটা না করে ম্যাকব্রাইনকে রানটি নিতে দেন। 

অপ্রত্যাশিতভাবে ‘জীবন’ পাওয়ার পরের বলেই ছক্কা মারেন ম্যাকব্রাইন। আয়ারল্যান্ড শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ১২৭ রান তুলতে সমর্থ হয়। জবাবে নেপাল গুটিয়ে যায় ১১১ রানে। 

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে প্রতিটি রান, প্রতিটি বল যখন মহাগুরুত্বপূর্ণ, তখন প্রতিপক্ষকে আউট করার সুযোগ পেয়েও লুফে না নেওয়ার ঘটনা বিরল। আসিফের এই মানবিকতার সবাই ভূয়সী প্রশংসা করছেন। ধারাভাষ্যকারও ব্যাপারটিকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেটের’ (ক্রিকেটীয় মূল্যবোধ) নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। 
নেপাল ম্যাচ হারলেও দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন আসিফ। মারেন একটি ছক্কা ও দুটি চার। 

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও প্রতিবছর ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’-এর স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। এবার বিশেষ এই সম্মাননা পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল। 

আবুধাবিতে গত ১০ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে রান প্রত্যাখ্যান করায় পুরস্কৃত করা হয়েছে ২৮ বছর বয়সী ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে। 

যেহেতু ক্রিকেটীয় মূল্যবোধের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ, নিজ দল, আম্পায়ারদের ভূমিকা ও ক্রিকেটের ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়, তাই আগামী বছর নিশ্চিতভাবেই ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কারের দৌড়ে থাকবেন নেপালের আসিফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আস্থায় বাজিমাত ইসলামী ব্যাংক

চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

‘ফের ধর্ষণচেষ্টার ক্ষোভে’ বাবাকে খুন, ৯৯৯-এ কল দিয়ে আটকের অনুরোধ মেয়ের

আ. লীগের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের বিএনপির সদস্য হতে বাধা নেই: রিজভী

১৫ স্থাপনায় পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশেই ধ্বংসের দাবি ভারতের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত