অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হচ্ছে রেকর্ডের বন্যা। হোবার্টের বেলেরিভ ওভালের রেকর্ড দুদিনের মধ্যেই ভেঙে গেল অ্যাডিলেড ওভালে। অ্যাডিলেডে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হয়েছে দুই দলের মধ্যকার সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। ৩৪ রানের জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেভাগেই জিতে নিল অজিরা।
২৪২ রানের লক্ষ্যে দলীয় ১১ রানেই ভেঙে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে উইন্ডিজ ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে ফেরান জশ হ্যাজলউড। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন দলটির উইকেটরক্ষক ব্যাটার নিকোলাস পুরান। ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলা শুরু করেন তিনি। তৃতীয় ওভার বোলিংয়ে আসা জেসন বেহেরনডর্ফের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ—টানা তিন বলে ছক্কার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পুরান। তাঁকে (পুরান) দেখাদেখি হাত খুলে মারতে থাকেন আরেক ওপেনার জনসন চার্লসও। ঝড় তুলতে থাকা চার্লস-পুরানের জুটি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে পুরানকে ফেরান স্পেনসার জনসন। ১০ বলে ৩ ছক্কায় ১৮ রান করেন পুরান।। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ৪.৩ ওভারে ২ উইকেটে ৪২ রান।
পুরান আউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে সাময়িক ধস নামে। ২ উইকেটে ৪২ রান থেকে ৫ উইকেটে ৬৩ রান হয়ে যায় উইন্ডিজদের ইনিংসে। যেখানে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল দেখেছেন দুই সতীর্থ চার্লস ও শারফেন রাদারফোর্ডের বিদায়। আন্দ্রে রাসেল যখন ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন উইন্ডিজের ইনিংসের পাশে ৬.৩ ওভার। ১৩.৩ ওভারে দরকার ১৭৯ রান, ওভারপ্রতি ১৩.২৬ রান। এমন পরিস্থিতিতে রাসেল ও পাওয়েল চার-ছক্কা মেরে যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভক্ত-সমর্থকদের আশা বাড়াচ্ছিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে ২৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন রাসেল ও পাওয়েল। ১১ তম ওভারের চতুর্থ বলে রাসেলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মার্কাস স্টয়নিস। ১৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান করেন রাসেল।
রাসেলের বিদায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ১০.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১১০ রান। এরপর সপ্তম উইকেটে রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন পাওয়েল। এই জুটি গড়ার পথেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি করেন পাওয়েল। ১৬ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইন্ডিজ অধিনায়ক ফিফটির দেখা পেয়েছেন বেহেরনডর্ফকে ছক্কা মেরে। একই ওভারের চতুর্থ বলে শেফার্ডকে ফিরিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি ভাঙেন বেহেরনডর্ফ। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ১৫.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান। রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অবশ্য পেরে ওঠেনি উইন্ডিজ। ২০ ওভারে উইন্ডিজ করেছে ৯ উইকেটে ২০৭ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন পাওয়েল। ৩৬ বলের ইনিংসে ৫ চার ও ৪ ছক্কা মেরেছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন স্টয়নিস। দুই ইনিংস মিলে হয়েছে ৪৪৮ রান, যা অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
অস্ট্রেলিয়ার ৩৪ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫৫ বলে ১২ চার ও ৮ ছক্কায় ১২০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পাঁচ সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় রোহিত শর্মার পাশে বসলেন ম্যাক্সওয়েল।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে অস্ট্রেলিয়া রেকর্ড গড়ার খেলায় মেতে ওঠে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৪১ রান করে অস্ট্রেলিয়া। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অজিদের সর্বোচ্চ স্কোর। ম্যাক্সওয়েলের ১২০ রানই ইনিংস সর্বোচ্চ রান অস্ট্রেলিয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন জেসন হোল্ডার। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আলজারি জোসেফ ও রোমারিও শেফার্ড।
অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হচ্ছে রেকর্ডের বন্যা। হোবার্টের বেলেরিভ ওভালের রেকর্ড দুদিনের মধ্যেই ভেঙে গেল অ্যাডিলেড ওভালে। অ্যাডিলেডে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হয়েছে দুই দলের মধ্যকার সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। ৩৪ রানের জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেভাগেই জিতে নিল অজিরা।
২৪২ রানের লক্ষ্যে দলীয় ১১ রানেই ভেঙে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে উইন্ডিজ ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে ফেরান জশ হ্যাজলউড। এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন দলটির উইকেটরক্ষক ব্যাটার নিকোলাস পুরান। ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলা শুরু করেন তিনি। তৃতীয় ওভার বোলিংয়ে আসা জেসন বেহেরনডর্ফের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ—টানা তিন বলে ছক্কার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পুরান। তাঁকে (পুরান) দেখাদেখি হাত খুলে মারতে থাকেন আরেক ওপেনার জনসন চার্লসও। ঝড় তুলতে থাকা চার্লস-পুরানের জুটি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে পুরানকে ফেরান স্পেনসার জনসন। ১০ বলে ৩ ছক্কায় ১৮ রান করেন পুরান।। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ৪.৩ ওভারে ২ উইকেটে ৪২ রান।
পুরান আউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে সাময়িক ধস নামে। ২ উইকেটে ৪২ রান থেকে ৫ উইকেটে ৬৩ রান হয়ে যায় উইন্ডিজদের ইনিংসে। যেখানে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল দেখেছেন দুই সতীর্থ চার্লস ও শারফেন রাদারফোর্ডের বিদায়। আন্দ্রে রাসেল যখন ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন উইন্ডিজের ইনিংসের পাশে ৬.৩ ওভার। ১৩.৩ ওভারে দরকার ১৭৯ রান, ওভারপ্রতি ১৩.২৬ রান। এমন পরিস্থিতিতে রাসেল ও পাওয়েল চার-ছক্কা মেরে যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভক্ত-সমর্থকদের আশা বাড়াচ্ছিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে ২৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন রাসেল ও পাওয়েল। ১১ তম ওভারের চতুর্থ বলে রাসেলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মার্কাস স্টয়নিস। ১৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান করেন রাসেল।
রাসেলের বিদায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ১০.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১১০ রান। এরপর সপ্তম উইকেটে রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন পাওয়েল। এই জুটি গড়ার পথেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি করেন পাওয়েল। ১৬ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইন্ডিজ অধিনায়ক ফিফটির দেখা পেয়েছেন বেহেরনডর্ফকে ছক্কা মেরে। একই ওভারের চতুর্থ বলে শেফার্ডকে ফিরিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি ভাঙেন বেহেরনডর্ফ। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ১৫.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান। রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অবশ্য পেরে ওঠেনি উইন্ডিজ। ২০ ওভারে উইন্ডিজ করেছে ৯ উইকেটে ২০৭ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন পাওয়েল। ৩৬ বলের ইনিংসে ৫ চার ও ৪ ছক্কা মেরেছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন স্টয়নিস। দুই ইনিংস মিলে হয়েছে ৪৪৮ রান, যা অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
অস্ট্রেলিয়ার ৩৪ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫৫ বলে ১২ চার ও ৮ ছক্কায় ১২০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পাঁচ সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় রোহিত শর্মার পাশে বসলেন ম্যাক্সওয়েল।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে অস্ট্রেলিয়া রেকর্ড গড়ার খেলায় মেতে ওঠে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৪১ রান করে অস্ট্রেলিয়া। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অজিদের সর্বোচ্চ স্কোর। ম্যাক্সওয়েলের ১২০ রানই ইনিংস সর্বোচ্চ রান অস্ট্রেলিয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন জেসন হোল্ডার। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আলজারি জোসেফ ও রোমারিও শেফার্ড।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ১৫৮। ২০০৯ সালে ব্রিসবেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং ২০২২ সালে পার্থে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই রান তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই রেকর্ড ভেঙে গতকাল কেয়ার্নসে নতুন রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া।
৯ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান শাহিনসের কাছে বাজেভাবে হেরে অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। আজ ডারউইনে নেপাল জাতীয় দলকে হারিয়েছে ৩২ রানে।
১০ ঘণ্টা আগেআসছে অক্টোবরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাদা বলের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ৩টি টি-টোয়েন্টি ও সমান ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজের সূচিও গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
১২ ঘণ্টা আগেএএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে একই গ্রুপে পড়েছে ভারতীয় ক্লাব এফসি গোয়া ও সৌদি ক্লাব আল নাসর। সব ঠিক থাকলে ভারতে আসছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেজন্য ম্যাচটি রূপ নিয়েছে ঐতিহাসিকে। এফসি গোয়ার প্রধান নির্বাহী রবি পুষ্কুরের কাছে তা জীবনে একবার আসার মতো মুহূর্ত।
১২ ঘণ্টা আগে