Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

‘সিলেটের সেমিফাইনালে ওঠা অসম্ভব নয়’

শেষের দিকে নেমে ঝড় তুলছেন জাকের আলী অনিক। ছবি: ফেসবুক

সাদা বলের ক্রিকেটে জাতীয় দলের লোয়ার অর্ডারের অন্যতম নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন জাকের আলী অনিক। গত বিপিএলে মিডল ও লোয়ার অর্ডারে ইমপ্যাক্টফুল ব্যাটিং তাঁকে জাতীয় দলে জায়গা করে দেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দারুণ একটা সফরের পর চলতি বিপিএলেও চেষ্টা করছেন। তবে এখনো প্রত্যাশা অনুযায়ী জ্বলে উঠতে পারেননি জাকের। সামনে আবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। গতকাল চট্টগ্রামে টিম হোটেলে নিজের প্রস্তুতি, প্রত্যাশা ও ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ

আহমেদ রিয়াদ, চট্টগ্রাম থেকে

প্রশ্ন: ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের জায়গা থেকে গত বিপিএল ও চলতি বিপিএলের পার্থক্য কী?

জাকের আলী অনিক: পার্থক্য বলতে গেলে আমি সব সময় ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করেছি—গত বছরও, এবারও। তবে একটা বড় পরিবর্তন হলো, গত বিপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছিলাম। এবার বিপিএলে খেলছি জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। পার্থক্যটা মূলত প্রমাণ করার তাগিদ থেকে মান ধরে রাখার চেষ্টা।

প্রশ্ন: জাতীয় দলে দুর্দান্ত খেলে এসে এবার বিপিএল খেলার কারণে কি নিজের ওপর বাড়তি প্রত্যাশার চাপ তৈরি হয়েছে? হয়ে থাকলে এই চাপ সামলানো কি চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?

জাকের: হ্যাঁ, প্রত্যাশা অবশ্যই বেড়েছে। এখন ফিনিশারের ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছি। জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে আত্মবিশ্বাস বাড়লে পারফর্ম করা সহজ হয়ে যায়। তবে পারফরম্যান্সের চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। আমি চেষ্টা করছি সেই চাপকে ইতিবাচকভাবে নিতে। চ্যালেঞ্জ আছে, তবে মানসিক শক্তি ও প্রস্তুতিতে ভরসা রেখে এগোচ্ছি।

প্রশ্ন: ছোট সীমানা ও রানপ্রসবা উইকেটে তো আপনার মতো পাওয়ার হিটারের জন্য দারুণ সুযোগ। তবু ছন্দে ফিরতে বেগ পেতে হচ্ছে কোথায়?

জাকের: বাউন্ডারি ছোট না বড়, এটা আমার কাছে বড় বিষয় নয়। আমি সব সময় নিজের স্কিলের ওপর মনোযোগ রাখি। বল যদি আমার জোনে আসে, হিট করার চেষ্টা করি। বাউন্ডারি ছোট হলে সুবিধা হতে পারে, তবে সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য। আমার কাছে মূল বিষয় হলো, নিজের পরিকল্পনায় স্থির থাকা এবং সঠিকভাবে তা বাস্তবায়ন করা।

প্রশ্ন: গত বিপিএলে ২০০ ছুঁই ছুঁই (১৯৯) রান করতে আপনার ১৪টি ম্যাচ লেগেছিল। এবার মাত্র ৭ ম্যাচে ১৪৭ রান, রয়েছে ১২টি ছক্কাও। বিপিএল শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

জাকের: আমি সব সময় নিজের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণের চেষ্টা করি। গত বছরের পারফরম্যান্স কেমন ছিল, কতগুলো বাউন্ডারি বা ছক্কা মেরেছি—এসব নিয়ে কাজ করি। এবার সেই তাগিদ থেকে আরও ভালো করার চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন: সিলেটের টিম কম্বিনেশন নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী? কখনো মনে হয়েছে, আরও ভালো অপশন থাকলে দলের ফল ভিন্ন হতে পারত?

জাকের: সত্যি বলতে দল হিসেবে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি। সবাই একসঙ্গে ভালো করলে ফল ভিন্ন হতে পারত। আমাদের পারফেক্ট কম্বিনেশন খুঁজে পাওয়া কিছুটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দলের বেশ কিছু খেলোয়াড় লড়াই করছে ছন্দে ফিরতে। তবে দলীয় পারফরম্যান্সের উন্নতি অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তিগতভাবে আরও ভালো করতে চাই।

প্রশ্ন: বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সেমিফাইনালে ওঠা কি সম্ভব?

জাকের: আমরা বেশ কয়েকটি ম্যাচ হেরেছি। এতে পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হয়েছে। তবে এখনো সুযোগ রয়েছে। সেমিফাইনালে উঠতে হলে পরের ম্যাচগুলো জিততে হবে। আমরা যদি একসঙ্গে ভালো খেলতে পারি, সেমিফাইনালে ওঠা অসম্ভব নয়।

প্রশ্ন: সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, কতটা রোমাঞ্চিত? টুর্নামেন্টে আপনার লক্ষ্য কী?

জাকের: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আমার কাছে বিশাল সুযোগ। আমি খুবই রোমাঞ্চিত এবং নিজের ভূমিকা নিয়ে প্রস্তুত। লক্ষ্য থাকবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে পারফর্ম করে ম্যাচ জেতানো। দেশের হয়ে এমন মঞ্চে খেলা সব সময় একটি স্বপ্ন।

প্রশ্ন: গত আইসিসি ইভেন্টে আপনার পারফরম্যান্স কিন্তু ভালো হয়নি...

জাকের: গতবার পারফর্ম করতে পারিনি, যা আমার জন্য বড় শিক্ষা হয়ে এসেছে। এবার আমি সেরাটা দিয়ে দলকে ভালো ফল এনে দিতে চাই। আশা করছি, এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আমার ক্যারিয়ারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৮ বছর পর খেলতে নেমে ক্রেমারের ঘূর্ণি বোলিং

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪৪ রানে ৯ উইকেট নিয়েছেন ক্রেমার। ছবি: সংগৃহীত
১৪৪ রানে ৯ উইকেট নিয়েছেন ক্রেমার। ছবি: সংগৃহীত

৭ বছরের বিরতি কাটিয়ে সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে জিম্বাবুয়ে দলে ডাক পান গ্রায়েম ক্রেমার। তবে মাঠে নামা হয়নি তাঁর। এবার লম্বা সময় পর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে নেমে বল হাতে নজরকাটা পারফরম্যান্স উপহার দিলেন ক্রেমার।

এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন ক্রেমার। ৮ বছরের বিরতি কাটিয়ে লোগান কাপে রাইনোর হয়ে সাউদার্ন রকসের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন এই লেগস্পিনার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনটা বেশ ভালোভাবেই রাঙালেন ৩৯ বছর বয়সী ক্রেমার। দুর্দান্ত বোলিয়য়ে তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট।

কিউ কিউ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বৃষ্টির কারণে কোনো দল জিততে পারেনি। তবে অসাধারণ বোলিংয়ে ম্যাচের পুরো আলোটাই কেড়ে নিলেন ক্রেমার। ম্যাথু ক্যাম্পবেলকে আউট করে এর শুরুটা করেন তিনি। মাঝে কেবল রয় কাইয়ার উইকেট নেন মাইকেল চিনুয়া। বাকি সব উইকেট পকেটে পুরেন ক্রেমার। ৯ উইকেট নেওয়ার পথে ৪৬.২ ওভারে ১৪৪ রান খরচ করেন এই স্পিনার।

জিম্বাবুয়ের চতুর্থ বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৯ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন ক্রেমার। ৯ উইকেট নেওয়া দেশটির বাকি তিনজন হলেন মাইক প্রক্টর, জন রেনি ও স্টিভেন পিয়াল।

ক্রেমারের ঘূর্ণি বোলিংয়ে অলআউট হওয়ার আগে ৩৪৭ রান তোলে রকস। সর্বোচ্চ ১০০ রানের ইনিংস খেলেন তাফাজাওয়া সিগা। পানাশে তারুভিঙ্গার অবদান ৯৩ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হ্যাটট্রিক করে দুই কিংবদন্তির পাশে লেভা

ক্রীড়া ডেস্ক    
হ্যাট্রটিকের পর লেভা যেন উড়তে চাইলেন। ছবি: এক্স
হ্যাট্রটিকের পর লেভা যেন উড়তে চাইলেন। ছবি: এক্স

চোটের কারণে এক মাস মাঠের বাইরে থাকার পর লা লিগায় সেলতা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবার শুরুর একাদশে নামেন রবার্ট লেভানডভস্কি। ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলেন ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে। হ্যাটট্রিক করেছেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। তাতেই দুই কিংবদন্তি ফুটবল ফেরেঙ্ক পুসকাস ও আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর পাশে বসেছেন ৩৭ বছর বয়সী লেভা।

লা লিগায় এটা লেভার তৃতীয় হ্যাটট্রিক। ডি স্টেফানো ও পুসকাসের পর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ৩৫ পেরোনোর পর স্পেনের শীর্ষ লিগে তিনটি হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড। বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে ২০২২-২৩ মৌসুমে কাতালান ক্লাবে যোগ দেন লেভা। দ্বিতীয় মৌসুমে বার্সার হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান–প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া। গত মৌসুমে আলাভেসের বিপক্ষে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করেন তিনি। এবার সেলতার জালে তিনবার বল পাঠিয়ে পুসকাস ও ডি স্টেফানোর রেকর্ডে ভাগ বসালেন লেভা।

তাঁর হ্যাটট্রিকের দিনে সেলতাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বার্সা। বালাইদোস স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই দুইবার জালের দেখা পান লেভা। বিরতির পরও আরও এক গোল করেন। সফরকারী দলের হয়ে বাকি গোলটি করেন লামিনে ইয়ামাল। নিজেদের মাঠে দুই দফা সমতায় ফিরে লড়াইয়ের আভাস দিলেও আর বার্সার সঙ্গে পেরে উঠেনি সেলতা।

বার্সার জয়ের দিনে স্কোরশিটে নাম উঠেনি মার্কাশ রাশফোর্ডের। এরপরও দলের পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ায় অবদান আছে এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের। জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে দারুণ একটা দিনই পার হলো বার্সার ফরোয়ার্ডদের জন্য।

এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান তিনে নামিয়ে এনেছে বার্সা। একি দিন রায়ো ভায়োকানোর সঙ্গে হোঁচট খেয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। তাদের সংগ্রহ ৩১ পয়েন্ট। বার্সার নামের পাশে আছে ২৮ পয়েন্ট। উভয় দলই খেলেছে সমান ১২ ম্যাচ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৫
ফুটবল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আসিফ। ছবি: সংগৃহীত
ফুটবল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। আসিফ ক্ষমা না চাইলে বড় অ্যাকশনে যাবেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

আজকের পত্রিকাকে জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘তিনি যদি ক্ষমা না চান, তাঁর বিরুদ্ধে বিশাল অ্যাকশনে যাব। বিসিবিতে আমরা চিঠি দেব তাঁকে বিতাড়িত করার। তাঁর এ কথা শুনে দেখলাম বুলবুল ভাইয়েরা তালি দিচ্ছে। এটার বিরুদ্ধে চরম অ্যাকশন হবে। মানহানির মামলা দেওয়া হবে।’

কোন ফুটবলার আসিফের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন, তা জানতে চান জাতীয় দলের ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে ফুটবল ও ফুটবলারদের নিয়ে এমন বক্তব্যকে ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ সব খেলাই আমাদের। কোনো খেলাকে ছোট করে দেখার নেই। তবে আসিফ আকবরের এমন বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। অবশ্যই এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। উনার কাছে আমি জানতে চাওয়া, কোন ফুটবল খেলোয়াড় উনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন?’

আসিফের বক্তব্যে বৈষম্যের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন আরেক ডিফেন্ডার জাহিদ হাসান শান্ত, ‘কোনো সময় ক্রিকেটকে ছোট করে দেখিনি। পদ পেয়ে আপনার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। ইউরোপের দেশগুলো যদি ক্রিকেট খেলত, তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেট কোথায় থাকত? বিশ্বে কয়টা দেশ ক্রিকেট খেলে, আর কয়টা দেশে ফুটবল খেলে? এভাবে ফুটবলকে ছোট করে আপনার কথা বলা ঠিক হয়নি। আপনি ফুটবল আর ক্রিকেটের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করলেন। আশা করি, লাইভে এসে বিষয়টা সমাধান করবেন। শেষে মারামারির কথাটা বলে বোঝালেন আপনি একটা অযোগ্য এবং সেবনকারী।’

জাতীয় দলের স্ট্রাইকার আল আমিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ফুটবল পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। জনাব আসিফ আকবর সাহেব, যে অভিব্যক্তিতে কথা বলেছেন—সেটি স্পোর্টসের ভাষা নয়। তিনি ডিসিপ্লিন ইস্যুতে কথা বলেছেন। ফুটবল অনেক শারীরিক খেলা হলেও ধৈর্য ধারণ করতে হয়, প্রতিপক্ষকে সম্মান জানিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। অসদাচরণ কিংবা ফাউলের জন্য রেফারির ইনস্ট্যান্ট সিদ্ধান্ত মেনে মাঠও ছাড়তে হয়। তা ছাড়া ন্যাশনাল ক্যাম্পে খাবার থেকে শুরু করে টাইম ম্যানেজমেন্ট সব চলে নিয়মমাফিক। নিয়মের হেরফের হলেই গুনতে হয় শাস্তি। তাই ফুটবলারদের দয়া করে ডিসিপ্লিন শেখাতে আসবেন না। আপনাকে অবশ্যই এর জন্য অনুতপ্ত হওয়া উচিত!’

ফেসবুক পোস্টে আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচ মারুফুল হক লিখেছেন, ‘ওনার স্কুল বা কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করছিলেন স্টেডিয়ামে বিপিএল এর খেলা বন্ধ করে, একজন মাঠ প্রেমিক হলে স্টেডিয়ামে অন্য অনুষ্ঠান কিভাবে করেন? বাফুফে ফুটবল চালায় ৪ জেলায়, বাকি ৬০ জেলায় ক্রিকেট এর খবর রাখেন কি জনাব?

এর আগে গতকাল ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ক্রিকেট কনফারেন্সে আসিফ বলেন, ‘ফুটবলারদের জন্য (ক্রিকেট) খেলা যাচ্ছে না সারা দেশে। তারা উইকেট ভেঙে ফেলল, উইকেট নষ্ট করে ফেলেছে। আবার ২৪ তারিখ আবাহনী-মোহামেডান ফুটবল খেলা কুমিল্লা স্টেডিয়ামে। এই সমস্যাটা শুধু কুমিল্লার না। প্রতিটা জেলার স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে ফুটবল, প্রতিটা জেলার যেখানে ফুটবলের কাজ নেই, সেখানেও ফুটবল দখল করে রেখেছে এবং ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে জিতে গেল বৃষ্টি

ক্রীড়া ডেস্ক    
বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে মাঠে গড়িয়েছে ৬.৩ ওভার। ছবি: এক্স
বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে মাঠে গড়িয়েছে ৬.৩ ওভার। ছবি: এক্স

দুই দলের জন্যই ম্যাচটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিতল না কেউ। নেলসনের সাক্সটন ওভালে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে।

বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগে থেকেই। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তাই শুরুর পর ম্যাচ পরিত্যক্ত করেছেন অফিসিয়ালরা। প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টি শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় একটা বিষয় এখন নিশ্চিত–সিরিজ হারছে না নিউজিল্যান্ড। চ্যালেঞ্জ থেকেই গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সিরিজ বাঁচাতে চাইলে শেষ ম্যাচে জিততেই হবে সফরকারী দলকে। ১৩ নভেম্বর শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে দুই দল।

বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও এদিন যথাসময়েই টস হয়। ম্যাচও শুরু হয় নির্ধারিত সময়ে। পঞ্চম ওভারে প্রথমবার ম্যাচে বৃষ্টি হানা দেয়। এজন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। বৃষ্টি থামার পর ফের মাঠে বল গড়ায়। কিন্তু বেশিক্ষণ খেলা হয়নি। ৯ বল পর ফের বৃষ্টি নামলে দ্বিতীয়বারের মতো খেলা বন্ধ হয়। এই দফায় আর বৃষ্টি থামেনি।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৬.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরিসংখ্যানই বলছে–কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে অতিথি ব্যাটারদের। কাইল জেমিসন, জ্যাকব ডাফি, জেমস নিশামদের বোলিংয়ের সামনে হাতখুলে খেলতে পারেননি আমির জাঙ্গু, আলিক আথানেজরা। নিশামের করা ষষ্ঠ ওভারে ড্যারেল মিচেলের হাতে ধরা পড়েন আথানেজ। ১৮ বলে ২১ রান করেন এই ওপেনার। ১২ রান করতেই ১৮ বল খেলেন আরেক ওপেনার জাঙ্গু।

এর আগে প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টিতে দারুণ লড়াই করেছে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিনটি ম্যাচই ফয়সালা হয় শেষ ওভারে। তাই আরও একটি জমজমাট লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিল ভক্তরা। সেটা হতে দিল না প্রকৃতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত