নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
এই একটু আগেও রবিউল হককে দেখে বোঝার উপায় ছিল না, কতটা আবেগতাড়িত হতে যাচ্ছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে কক্ষেই সেই আবেগ ছড়িয়ে পড়ল মুহূর্তে। রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্স ম্যাচে রংপুরের নায়ক রবিউল। ম্যাচ-সেরা হয়ে এসে রবিউল শোনালেন, বাবার মৃত্যু, তাঁর জীবনে দুই ভাইয়ের ত্যাগ, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তাঁকে কীভাবে জীবনসংগ্রামে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছেন।
রবিউলের ম্যাচ-সেরা হওয়ার গল্পটা আগে বলে নেওয়া যাক। খুলনার ১৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও বেশ হাঁসফাঁসই করে রবিউলের রংপুর। আর খুলনাকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটেও অল্পতে আটকে দেওয়ার কৃতিত্ব রবিউলের। চতুর্থ উইকেটে আজম খানের সঙ্গে ইয়াসির আলীর একটা জুটি হয়েছিল বটে। দ্রুত উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটিতে বড় রানের স্বপ্নই দেখছিল খুলনা। সেটা হতে দেননি রবিউল। নিজের প্রথম ওভারে রবিউল ১২ রান দেন।
নিজের জীবনের গল্পের মতোই পরের তিন ওভারের স্পেলে ১০ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। প্রথমে ইয়াসিরকে নাঈমের ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন। এরপর সাব্বির রহমানকে ১ রানে শামীমের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। মাঝে খুলনার আশা হয়ে থাকা আজমকে তুলে নেন রাকিবুল। ২৩ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ১ ছক্কায় আজম ৩৪ রান করেন। রবিউলের পরের দুই শিকার আমাদ বাট ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
জীবনের প্রথম সংবাদ সম্মেলন, সংবাদকর্মীদের ভিড়—স্বাভাবিকভাবে রবিউল এসবের সঙ্গে খুব একটা পরিচিত নন। কেমন লাগছে? নিজেকে সামলে নিয়ে রবিউল বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। প্রথম ম্যাচ থেকেই চেষ্টা ছিল এই বিপিএল একটা বড় সুযোগ, ভালো কিছু করতে হবে। এমন মানসিকতা, শরীরী ভাষা—সব দিক থেকেই চেষ্টা ছিল। প্রস্তুতিটাও ভালো নিতে পেরেছি, যা পেয়েছি সেটার জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’ ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে ভালো করেছেন বিসিএলের চার দিন ও এক দিনের সংস্করণেও। নিজেকে ফিট রেখে ভালো করাই রবিউলের শক্তি।
নিজেকে ফিট রাখতে আর জীবনসংগ্রামে এগিয়ে যেতে রবিউলের অনুপ্রেরণা রোনালদো। গতকাল উইকেট নিয়ে পর্তুগিজ তারকার বিখ্যাত হয়ে যাওয়া সেই উদ্যাপনও করতে দেখা গেছে তাঁকে। রোনালদোকে অনুপ্রেরণা মানার কারণ হিসেবে বলছিলেন, ‘উদ্যাপনের পেছনে যে আইকনিক মানুষটা (রোনালদো) আছেন, তিনি আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক খেলোয়াড় কাউকে না কাউকে অনুসরণ করে। আমিও একজনকে অনুসরণ করি—তাঁর কাজের ধরন, অনেক কঠোর পরিশ্রমী, অনেক শক্ত মানসিকতা—সবই। খুব খারাপ পরিস্থিতিতেও তিনি দলকে যেকোনোভাবে কামব্যাক করাতে পারেন, বড় মঞ্চেও। এ রকম একটা বিশ্ব মহাতারকার কাছ থেকে কিছুটা হলেও যদি আমি নিজের ভেতরে নিতে পারি... কঠোর পরিশ্রম বলেন, শক্ত মানসিকতা বলেন, যা-ই বলেন, সেটা আমার জন্য অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার হবে।’
রবিউল বাবাকে হারান গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি। ছেলেকে নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন এনামুল হক সরকার। রবিউলের আক্ষেপ, বাবা বেঁচে থাকলে টিভিতে তাঁর খেলা দেখতেন। বাবার পর রবিউলের জীবনে দুই ভাইয়ের অবদানই সবচেয়ে বেশি। দুই ভাইকে নিয়ে বলতে গিয়েই রবিউল আর আবেগ চেপে রাখতে পারলেন না, ‘আমার আসল দুই কোচ হচ্ছেন আমার বড় ভাই ও মেজ ভাই। সব সময় ফোন দিলেই তাঁরা আমাকে এত পরামর্শ দেন...ওরা আসলে...আমার বড় ভাই আমার হিরো। উনি জীবনের সবকিছুই ত্যাগ করেছেন আমার এই ক্রিকেট খেলার জন্য। কী বলব, আবেগী হয়ে যাচ্ছি। বড় ভাই, মেজ ভাই…তাঁরা আমার ক্যারিয়ারের জন্য সবকিছুই করেছেন।’
এই একটু আগেও রবিউল হককে দেখে বোঝার উপায় ছিল না, কতটা আবেগতাড়িত হতে যাচ্ছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে কক্ষেই সেই আবেগ ছড়িয়ে পড়ল মুহূর্তে। রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্স ম্যাচে রংপুরের নায়ক রবিউল। ম্যাচ-সেরা হয়ে এসে রবিউল শোনালেন, বাবার মৃত্যু, তাঁর জীবনে দুই ভাইয়ের ত্যাগ, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তাঁকে কীভাবে জীবনসংগ্রামে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছেন।
রবিউলের ম্যাচ-সেরা হওয়ার গল্পটা আগে বলে নেওয়া যাক। খুলনার ১৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও বেশ হাঁসফাঁসই করে রবিউলের রংপুর। আর খুলনাকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটেও অল্পতে আটকে দেওয়ার কৃতিত্ব রবিউলের। চতুর্থ উইকেটে আজম খানের সঙ্গে ইয়াসির আলীর একটা জুটি হয়েছিল বটে। দ্রুত উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটিতে বড় রানের স্বপ্নই দেখছিল খুলনা। সেটা হতে দেননি রবিউল। নিজের প্রথম ওভারে রবিউল ১২ রান দেন।
নিজের জীবনের গল্পের মতোই পরের তিন ওভারের স্পেলে ১০ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। প্রথমে ইয়াসিরকে নাঈমের ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন। এরপর সাব্বির রহমানকে ১ রানে শামীমের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। মাঝে খুলনার আশা হয়ে থাকা আজমকে তুলে নেন রাকিবুল। ২৩ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ১ ছক্কায় আজম ৩৪ রান করেন। রবিউলের পরের দুই শিকার আমাদ বাট ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
জীবনের প্রথম সংবাদ সম্মেলন, সংবাদকর্মীদের ভিড়—স্বাভাবিকভাবে রবিউল এসবের সঙ্গে খুব একটা পরিচিত নন। কেমন লাগছে? নিজেকে সামলে নিয়ে রবিউল বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। প্রথম ম্যাচ থেকেই চেষ্টা ছিল এই বিপিএল একটা বড় সুযোগ, ভালো কিছু করতে হবে। এমন মানসিকতা, শরীরী ভাষা—সব দিক থেকেই চেষ্টা ছিল। প্রস্তুতিটাও ভালো নিতে পেরেছি, যা পেয়েছি সেটার জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’ ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে ভালো করেছেন বিসিএলের চার দিন ও এক দিনের সংস্করণেও। নিজেকে ফিট রেখে ভালো করাই রবিউলের শক্তি।
নিজেকে ফিট রাখতে আর জীবনসংগ্রামে এগিয়ে যেতে রবিউলের অনুপ্রেরণা রোনালদো। গতকাল উইকেট নিয়ে পর্তুগিজ তারকার বিখ্যাত হয়ে যাওয়া সেই উদ্যাপনও করতে দেখা গেছে তাঁকে। রোনালদোকে অনুপ্রেরণা মানার কারণ হিসেবে বলছিলেন, ‘উদ্যাপনের পেছনে যে আইকনিক মানুষটা (রোনালদো) আছেন, তিনি আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক খেলোয়াড় কাউকে না কাউকে অনুসরণ করে। আমিও একজনকে অনুসরণ করি—তাঁর কাজের ধরন, অনেক কঠোর পরিশ্রমী, অনেক শক্ত মানসিকতা—সবই। খুব খারাপ পরিস্থিতিতেও তিনি দলকে যেকোনোভাবে কামব্যাক করাতে পারেন, বড় মঞ্চেও। এ রকম একটা বিশ্ব মহাতারকার কাছ থেকে কিছুটা হলেও যদি আমি নিজের ভেতরে নিতে পারি... কঠোর পরিশ্রম বলেন, শক্ত মানসিকতা বলেন, যা-ই বলেন, সেটা আমার জন্য অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার হবে।’
রবিউল বাবাকে হারান গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি। ছেলেকে নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন এনামুল হক সরকার। রবিউলের আক্ষেপ, বাবা বেঁচে থাকলে টিভিতে তাঁর খেলা দেখতেন। বাবার পর রবিউলের জীবনে দুই ভাইয়ের অবদানই সবচেয়ে বেশি। দুই ভাইকে নিয়ে বলতে গিয়েই রবিউল আর আবেগ চেপে রাখতে পারলেন না, ‘আমার আসল দুই কোচ হচ্ছেন আমার বড় ভাই ও মেজ ভাই। সব সময় ফোন দিলেই তাঁরা আমাকে এত পরামর্শ দেন...ওরা আসলে...আমার বড় ভাই আমার হিরো। উনি জীবনের সবকিছুই ত্যাগ করেছেন আমার এই ক্রিকেট খেলার জন্য। কী বলব, আবেগী হয়ে যাচ্ছি। বড় ভাই, মেজ ভাই…তাঁরা আমার ক্যারিয়ারের জন্য সবকিছুই করেছেন।’
বড় লক্ষ্য বাংলাদেশ ‘এ’ দল দিতে পারেনি মেলবোর্ন স্টারস একাডেমিকে। টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে জয়ের জন্য স্বাগতিক দলের লক্ষ্য ছিল ১৫৭। ৩ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে ৩ উইকেটে জিতেছে মেলবোর্ন স্টারস একাডেমি।
১ ঘণ্টা আগেসিলেটে নেদারল্যান্ডস সিরিজ ও এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাংলাদেশ দল। এর মধ্যেই দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে খবর—বাংলাদেশ দলের ওপেনার তানজিদ তামিম বাগদান সেরেছেন। তার নামে খোলা একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এমন পোস্ট আসায় বেশ কিছু গণমাধ্যমও উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদও প্রকাশ করে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বিপক্ষে গত মাসে ওয়ানডে সিরিজে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হাসারাঙ্গা নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। এক মাস পর এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাঁকে পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা।
২ ঘণ্টা আগে১৭তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস শুরু হচ্ছে আগামীকাল। প্রায় ৫০০ অ্যাথলেট ও কোচ অংশ নিতে যাচ্ছেন এই টুর্নামেন্টে। সামার অ্যাথলেটিকসের মূল ইভেন্ট হবে পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে।
৩ ঘণ্টা আগে