Ajker Patrika

বগুড়ায় কেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় না, ব্যাখ্যা দিল বিসিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া থেকে
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ১৪
বগুড়ায় কেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় না, ব্যাখ্যা দিল বিসিবি

সর্বশেষ ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল বগুড়াবাসীর। এরপর একে একে কেটে গেছে ১৬টি বছর। বাংলাদেশের তৃতীয় টেস্ট ভেন্যু বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে যেন একপ্রকার হিসাবের বাইরে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে। তারপর থেকে অবহেলায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করার মতো মান হারিয়েছে মাঠটি। মাঝে মাঝে ঘরোয়া ক্রিকেটের কয়েকটি ম্যাচ হয়েছে কিন্তু অনিয়মিতভাবে। এই মাঠেই অনুশীলন করে বাংলাদেশকে প্রথম বিশ্বকাপ উপহার দিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। মাঠের উইকেট ও গ্রাউন্স নিয়েও প্রশংসার কমতি নেই। 

কেন এই মাঠকে ঘিরে এত অনীহা বিসিবির? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট করতে হলে কিছু ব্যাপার আছে। আইসিসির একটা নিয়ম আছে। তাদের কিছু মৌলিক শর্ত আছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা, লজিস্টিক সুবিধা, হোটেল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। এই দিকগুলো বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে আরও সময় লাগবে। তবে এখানে ঘরোয়া ক্রিকেট তো চলছে।’ 

বগুড়ার মাঠ নিয়ে ক্রিকেটারদের মাঝে বাড়তি একটা আগ্রহ দেখা গেছে। বাংলাদেশ টাইগার্স প্রোগ্রামের জন্য এই মাঠই বেছে নিয়েছেন সাদা পোশাকের অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রথমবার জাতীয় দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রোগ্রাম নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ টাইগার্সের চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদও। 

ইনাম আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি যেন ভালো হয়, এ জন্য এই প্রোগ্রামের আয়োজন করা। তাছাড়া এই ভেন্যুটাও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সামনেও আমরা এই ভেন্যু বিবেচনায় রাখব, যেন আরও বেশি খেলা কিংবা অনুশীলন ক্যাম্প এখানে চালু রাখা যায়। শুধু জাতীয় দলই গুরুত্বপূর্ণ নয়। নারী দল, অনুর্ধ্ব-১৯ দলসহ অন্যান্য বয়সভিত্তিকও দলও গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডের জন্য।’

অনুশীলন ক্যাম্পগুলো সাধারণত একটা সেশনে হয়। কিন্তু সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ টাইগার্স দলের অনুশীলন ক্যাম্প হবে দিনব্যাপী। সারা দিন ধরে কেন অনুশীলন সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ইনাম আহমেদ, ‘আমাদের কোচিং স্টাফদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখানে লাল বল ও সাদা বলের অনুশীলন হবে। তবে এটা কিন্তু মূলত টেস্ট দলের প্রস্তুতির জন্যই আয়োজন করা হয়েছে। কারণ আমরা জানি টেস্ট ম্যাচে লম্বা সময় ব্যাটিং করতে হয়, বোলারদের একটানা দীর্ঘক্ষণ বোলিং করতে হয়। সেজন্য বিরতি দিয়ে দিয়ে দিনব্যাপী অনুশীলন হবে। এ নিয়ে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ, নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলে সেভাবেই প্রোগ্রামটা সাজানো হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত