রানা আব্বাস, কলম্বো থেকে
কলম্বোয় গত ১০ দিনে যেন অন্য এক চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের দেখা মিলল। এই কদিনে বাংলাদেশ টিম হোটেল সিনামন গ্র্যান্ডে গেলেই হাথুরুদর্শন অবধারিত ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রুমে বদ্ধ থাকতে বাংলাদেশ কোচের অনীহা, বিষয়টা আসলে তা-ও নয়।
বাংলাদেশ দলকে নিয়ে হাথুরু এসেছেন তাঁর স্বদেশে। এশিয়া কাপ কলম্বোয় হওয়ায় তাঁর বন্ধুবান্ধব, সাবেক সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতে হচ্ছে লবিতে। সাংবাদিকদের সঙ্গেও হাথুরু বেশির ভাগ সময় হাসিমুখেই কথা বলেছেন। এমনকি শ্রীলঙ্কার কাছে টানা দুই ম্যাচ হারের পরও। পেশাদারি ছাপিয়ে হাথুরুর কাছে হয়তো মনে হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আগত সবাই তাঁর অতিথিও। অতিথির সঙ্গে তাঁর সেই কড়া হেডমাস্টারের ‘লুক’টা কি আর দেখানো যায়! পরশু ভারতকে হারিয়ে বেশ ফুরফুরে হাথুরু গতকাল সকালে হোটেল লবিতে যেন তাঁর মনের দুয়ার খুলে দিলেন। সেই দুয়ারে উঁকি দিয়ে যা দেখা গেল, চুম্বক অংশ থাকল এখানে—
এশিয়া কাপটা যদি রিভিউ করতে বলা হয়...
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে: (হাসি) সত্যি বলতে, আমরা অবশেষে পেরেছি আমাদের বেঞ্চ বাজিয়ে দেখতে। এটা একটা ইতিবাচক দিক। দুর্ভাগ্য, আমরা এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে পারিনি। সে কারণেই আমরা পেরেছি তাদের সুযোগ দিতে, যারা আমাদের সঙ্গে সফরে ছিল, কিন্তু একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলাম না। বিশ্বকাপের আগে তাদের আমরা দেখতেও পেরেছি। আবার যারা বিশ্বকাপের দলে থাকার দাবিদার, তারা এশিয়া কাপে হতাশও করেছে। সব মিলিয়ে এই ফল আমি প্রত্যাশা করিনি। সে কারণে কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দরকার।
প্রশ্নগুলোর উত্তর কী হতে পারে?
আমাদের আরও তিনটি ম্যাচ আছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এশিয়া কাপের আগে আমি ভেবেছিলাম, বিশ্বকাপের আগে দল গোছাতে এই টুর্নামেন্টেই ফাইনাল টাচ দিতে পারব। এখন কিছুটা ভিন্ন পরিস্থিতি। এখনো আমাকে কিছু উত্তর খুঁজতে হচ্ছে। এশিয়া কাপে ভালো শুরু আমরা পাইনি। টপ অর্ডার নিয়ে চিন্তার বিষয়। লোয়ার মিডল অর্ডারে আমি এখনো খেলোয়াড় খুঁজছি, যে বা যারা বিশ্বকাপ দলে থাকতে পারে।
অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আর তরুণ খেলোয়াড় নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে
তরুণ ক্রিকেটারদের সমর্থন কিংবা ভবিষ্যৎ দেখা—এটা বিশ্বকাপের দুই মাস আগে নয়। আমি এই চাকরিতে যোগ দিয়েছি ছয় মাস আগে। বিশ্বকাপ দলে আমি তরুণ কিংবা সিনিয়র—এই তর্কেও যাব না। আমার চিন্তা হচ্ছে, যে ফর্মে আছে, সে-ই বিশ্বকাপে যাবে। কারণ, আমাদের হাতে বেশি সময় নেই।
টুর্নামেন্টের মাঝে সাকিবের হুট করে ঢাকায় যাওয়া নিয়ে বিতর্ক...
না, আমি এতে কোনো সমস্যাই দেখি না (হাসি)। ওই তিন দিনে আমাদের কিছুই করার ছিল না। আমরা তাদের ফ্রি করে দিয়েছিলাম, তারা যেখানে যেতে চায় যাবে। এখন সে ঢাকা, দুবাই, লন্ডন—কোথায় যাবে, সেটা আমাদের ভাবনার বিষয় নয়। কারণ, আমরা কিছুই করছিলাম না ওই সময়ে। এটা খেলোয়াড়দের সতেজ হয়ে ওঠার সময় ছিল। এই সময়ে সাকিব ঢাকায় যেতেই পারে, সে গেছেও। এটাতে কোনো সমস্যা নেই। সে যদি রাশিয়ায় যাওয়ারও চেষ্টা করত, তাতেও আমার সমস্যা ছিল না। এটাতে দলের মনোযোগে কোনোই বিঘ্ন ঘটেনি।
হাথুরুর সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে আরেকটি বিষয় এল। এশিয়া কাপের আগে তামিম ইকবাল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মিরপুরে দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প চলার সময় যখন পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া কিংবা ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করেছেন, ওই সময় কোচের সঙ্গে তাঁর কোনো কথা হয়নি। প্রসঙ্গটা হাথুরুর সামনে পাড়তেই জানালেন, তামিমের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া, অনুশীলন, অগ্রগতি—সবকিছু নিয়ে যথেষ্ট অবগত। তামিম যাঁদের সঙ্গে কাজ করছেন, সেই কোচদের কাছ থেকে নিয়মিত আপডেট জেনে থাকেন তিনি। দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে যে গুঞ্জন চারদিকে, সেটি হাথুরু এক কথায় উড়িয়ে দিয়েছেন। হাথুরু বললেন, ‘আমি কোচদের কাছ থেকে তার ব্যাপারে নিয়মিত আপডেট পাই। কোচ হিসেবে কাল (পরশু) অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক, তামিমের সঙ্গেও একই সম্পর্ক।’
কলম্বোয় গত ১০ দিনে যেন অন্য এক চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের দেখা মিলল। এই কদিনে বাংলাদেশ টিম হোটেল সিনামন গ্র্যান্ডে গেলেই হাথুরুদর্শন অবধারিত ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রুমে বদ্ধ থাকতে বাংলাদেশ কোচের অনীহা, বিষয়টা আসলে তা-ও নয়।
বাংলাদেশ দলকে নিয়ে হাথুরু এসেছেন তাঁর স্বদেশে। এশিয়া কাপ কলম্বোয় হওয়ায় তাঁর বন্ধুবান্ধব, সাবেক সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতে হচ্ছে লবিতে। সাংবাদিকদের সঙ্গেও হাথুরু বেশির ভাগ সময় হাসিমুখেই কথা বলেছেন। এমনকি শ্রীলঙ্কার কাছে টানা দুই ম্যাচ হারের পরও। পেশাদারি ছাপিয়ে হাথুরুর কাছে হয়তো মনে হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আগত সবাই তাঁর অতিথিও। অতিথির সঙ্গে তাঁর সেই কড়া হেডমাস্টারের ‘লুক’টা কি আর দেখানো যায়! পরশু ভারতকে হারিয়ে বেশ ফুরফুরে হাথুরু গতকাল সকালে হোটেল লবিতে যেন তাঁর মনের দুয়ার খুলে দিলেন। সেই দুয়ারে উঁকি দিয়ে যা দেখা গেল, চুম্বক অংশ থাকল এখানে—
এশিয়া কাপটা যদি রিভিউ করতে বলা হয়...
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে: (হাসি) সত্যি বলতে, আমরা অবশেষে পেরেছি আমাদের বেঞ্চ বাজিয়ে দেখতে। এটা একটা ইতিবাচক দিক। দুর্ভাগ্য, আমরা এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে পারিনি। সে কারণেই আমরা পেরেছি তাদের সুযোগ দিতে, যারা আমাদের সঙ্গে সফরে ছিল, কিন্তু একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলাম না। বিশ্বকাপের আগে তাদের আমরা দেখতেও পেরেছি। আবার যারা বিশ্বকাপের দলে থাকার দাবিদার, তারা এশিয়া কাপে হতাশও করেছে। সব মিলিয়ে এই ফল আমি প্রত্যাশা করিনি। সে কারণে কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দরকার।
প্রশ্নগুলোর উত্তর কী হতে পারে?
আমাদের আরও তিনটি ম্যাচ আছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এশিয়া কাপের আগে আমি ভেবেছিলাম, বিশ্বকাপের আগে দল গোছাতে এই টুর্নামেন্টেই ফাইনাল টাচ দিতে পারব। এখন কিছুটা ভিন্ন পরিস্থিতি। এখনো আমাকে কিছু উত্তর খুঁজতে হচ্ছে। এশিয়া কাপে ভালো শুরু আমরা পাইনি। টপ অর্ডার নিয়ে চিন্তার বিষয়। লোয়ার মিডল অর্ডারে আমি এখনো খেলোয়াড় খুঁজছি, যে বা যারা বিশ্বকাপ দলে থাকতে পারে।
অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আর তরুণ খেলোয়াড় নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে
তরুণ ক্রিকেটারদের সমর্থন কিংবা ভবিষ্যৎ দেখা—এটা বিশ্বকাপের দুই মাস আগে নয়। আমি এই চাকরিতে যোগ দিয়েছি ছয় মাস আগে। বিশ্বকাপ দলে আমি তরুণ কিংবা সিনিয়র—এই তর্কেও যাব না। আমার চিন্তা হচ্ছে, যে ফর্মে আছে, সে-ই বিশ্বকাপে যাবে। কারণ, আমাদের হাতে বেশি সময় নেই।
টুর্নামেন্টের মাঝে সাকিবের হুট করে ঢাকায় যাওয়া নিয়ে বিতর্ক...
না, আমি এতে কোনো সমস্যাই দেখি না (হাসি)। ওই তিন দিনে আমাদের কিছুই করার ছিল না। আমরা তাদের ফ্রি করে দিয়েছিলাম, তারা যেখানে যেতে চায় যাবে। এখন সে ঢাকা, দুবাই, লন্ডন—কোথায় যাবে, সেটা আমাদের ভাবনার বিষয় নয়। কারণ, আমরা কিছুই করছিলাম না ওই সময়ে। এটা খেলোয়াড়দের সতেজ হয়ে ওঠার সময় ছিল। এই সময়ে সাকিব ঢাকায় যেতেই পারে, সে গেছেও। এটাতে কোনো সমস্যা নেই। সে যদি রাশিয়ায় যাওয়ারও চেষ্টা করত, তাতেও আমার সমস্যা ছিল না। এটাতে দলের মনোযোগে কোনোই বিঘ্ন ঘটেনি।
হাথুরুর সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে আরেকটি বিষয় এল। এশিয়া কাপের আগে তামিম ইকবাল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মিরপুরে দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প চলার সময় যখন পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া কিংবা ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করেছেন, ওই সময় কোচের সঙ্গে তাঁর কোনো কথা হয়নি। প্রসঙ্গটা হাথুরুর সামনে পাড়তেই জানালেন, তামিমের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া, অনুশীলন, অগ্রগতি—সবকিছু নিয়ে যথেষ্ট অবগত। তামিম যাঁদের সঙ্গে কাজ করছেন, সেই কোচদের কাছ থেকে নিয়মিত আপডেট জেনে থাকেন তিনি। দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে যে গুঞ্জন চারদিকে, সেটি হাথুরু এক কথায় উড়িয়ে দিয়েছেন। হাথুরু বললেন, ‘আমি কোচদের কাছ থেকে তার ব্যাপারে নিয়মিত আপডেট পাই। কোচ হিসেবে কাল (পরশু) অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক, তামিমের সঙ্গেও একই সম্পর্ক।’
আঞ্চলিক ক্রিকেট বোর্ড বা ক্রিকেট কাঠামো তৈরির আলোচনা বেশ দীর্ঘ। যদিও সেভাবে আলোরমুখ দেখেনি বললেই চলে। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন, দেশব্যাপী ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি।
১ ঘণ্টা আগেছেলেদের ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে কানাডা ক্রিকেট দল। গতকাল কিং সিটিতে বাহামাসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে আমেরিকার প্রতিনিধিরা। আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে স্বাগতিক কানাডা টানা পঞ্চম জয় তুলে নিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেঘুমিয়ে পড়া বাংলাদেশ ফুটবল জেগে ওঠার স্বপ্ন দেখছে প্রবাসী ফুটবলারদের ঘিরে। ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে শুরুর একাদশে ৫ জনই ছিলেন প্রবাসী। যদিও ম্যাচটি জিততে পারেনি বাংলাদেশ, হেরেছে ২-১ গোলে। শুরুতে ধাক্কা খেলেও সফলতার খোঁজে বাংলাদেশ চোখ রাখতে পারে সুরিনামের দিকে।
৪ ঘণ্টা আগেক্লাব বিশ্বকাপে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। রাত ১টায় রিয়াল খেলকে পাচুয়ার বিপক্ষে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আল হিলালের সঙ্গে ড্র করেছে তারা। কাল সকাল ৭টায় ম্যানসিটি মাঠে নামবে সৌদির ক্লাব আল আইনের বিপক্ষে।
৪ ঘণ্টা আগে