আরমান হোসেন, ঢাকা

‘অবশেষে স্বপ্ন হলো সত্যি। পর্তুগাল জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েছি...’—গত ১৫ আগস্ট ফেসবুকে সুসংবাদটা এভাবেই দিয়েছিলেন সিরাজ উল্লাহ খাদেম নিপু।
নিপুর হাত ধরে ইউরোপিয়ান ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেল আরও এক বাংলাদেশির। কদিন আগে সুইডেন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন খুলনার হুমায়ূন কবির জ্যোতি। এখন পর্তুগাল দলে খেলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিপু। ১২ বছর আগের দুর্ঘটনায় জীবনটা এলোমেলো না হলে এই নিপুর গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত। সাকিব-মুশফিক-তামিমদের সঙ্গে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে আলো ছড়ানো নিপু পর্তুগাল দলের নয়, গায়ে জড়াতে পারতেন বাংলাদেশের জার্সি!
পরশু শেষ হয়েছে পর্তুগাল, জিব্রাল্টা ও মাল্টাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজে বাঁহাতি স্পিনে নিয়মিত দ্যুতি ছড়িয়েছেন নিপু। ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা বোলার তিনিই। গতকাল ফোনে যখন তাঁর সঙ্গে কথা হলো, খুলে দিলেন মনের দুয়ার।
ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখেছেন, হয়েছেনও। তবে যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে কিছুই হয়নি। চাওয়া-পাওয়ার আকাশ-পাতাল এই পার্থক্যটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে একটি হার না-মানা জীবনের গল্প। যে গল্পটার শুরু হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, সেটিই পূর্ণতা পেয়েছে পর্তুগালের লিসবনে।
মুশফিক-সাকিব-তামিমদের সঙ্গে ২০০৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন নিপু। বয়সভিত্তিক সিঁড়ি পেরিয়ে যখন বন্ধুদের মতো আরও ওপরে ওঠার স্বপ্ন চোখে, তখনই ঘটে চোখের দুর্ঘটনা। ২০০৯ সালের কথা, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ সামনে রেখে হবিগঞ্জে শুরু করেছিলেন অনুশীলন। অনুশীলনেই বল লাগে তাঁর বাঁ চোখে। দুর্ঘটনার বিষয়টি বিসিবিকে জানিয়েছিলেন নিপু। বিসিবি অবশ্য কোনো সহায়তা করেনি বলেই অভিযোগ তাঁর। ১২ বছর আগের দুঃসহ স্মৃতিটা নিয়ে নিপু বলছিলেন এভাবে, ‘চোখে বল লাগার পর বিসিবিকে জানিয়েছিলাম, প্রায় অন্ধ হয়ে যাচ্ছি আমার দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দরকার। বিসিবি আমাকে সহায়তা করেনি।’
বিকেএসপির পাঠ শেষ করার আগেই নিপুর অভিষেক হয়েছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় যুব বিশ্বকাপ খেলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। অস্ট্রেলিয়ার পালমারস্টন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৮৮ রানের পাশাপাশি নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
সবকিছু ভালোই চলছিল। এরপরই হঠাৎ ছবিটা বদলে যায়। এবার নিপুর ক্ষোভ নির্বাচকদের ওপর, ‘জাতীয় দলের তখনকার নির্বাচক যাঁরা ছিলেন, তারাই বয়সভিত্তিক দল নির্বাচন করতেন। অস্ট্রেলিয়া সফরের পর পুরো নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন আসে। তখনই আমাদের সবকিছু বদলে যায়। এরপর প্রিমিয়ার লিগ খেলি। সেখানে ভালো করেও নিয়মিত দলে জায়গা পেতাম না।’
নিপুর পথ হারিয়ে ফেলার শুরু সেখান থেকেই। পরে অবশ্য তিনি ইংল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের ঘরোয়া লিগে খেলেছেন। এরপর অনুশীলনে চোখে বল লেগে বাংলাদেশ দলে খেলা স্বপ্নটার সলিলসমাধি! নিপু বলছিলেন, ‘চোখের একটা অস্ত্রোপচার করেছিলাম। চিকিৎসকেরা এক বছর বিশ্রামে থাকতে বলেছিলেন। খেলা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এভাবেই কাটে প্রায় তিন বছর।’
জীবন যখন চরম অনিশ্চয়তায়, তখনো নিপুর চিন্তায় জুড়ে ছিল শুধুই ক্রিকেট। স্বপ্নবাজ নিপু তখনো স্বপ্ন দেখেছেন আবারও মাঠের ক্রিকেটে ফিরবেন। এ চিন্তা থেকেই ২০১৪ সালে পাড়ি জমান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালে। সেখানে গিয়ে আগে চোখের চিকিৎসা করান। প্রায় এক বছর পর ধীরে ধীরে পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন। আবারও ফিরে আসেন ক্রিকেটে। তাঁর হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নটাও ফিরে আসে, তবে অন্যভাবে।
নিপু ঠিক করেন, একদিন তিনি খেলবেন পর্তুগাল জাতীয় ক্রিকেট দলে। প্রায় ছয় বছরের কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য আর অধ্যবসায়ের পর অবশেষে স্বপ্নটা হাতের মুঠোয় এসেছে তাঁর।
কঠিন এই পথ পাড়ি দিতে নিপুকে প্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁর বাবা, যিনি এখন আর পৃথিবীতে নেই। ১৯ আগস্ট পর্তুগালের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত নিপু তাঁর স্বপ্ন পূরণের দিনে খুঁজে ফেরেন আকাশের তারা হয়ে যাওয়া বাবাকে, ‘খারাপ সময়ে সবচেয়ে বেশি সমর্থন জুগিয়েছেন আমার বাবা। তিনি বেঁচে থাকলে আজ অনেক খুশি হতেন।’

‘অবশেষে স্বপ্ন হলো সত্যি। পর্তুগাল জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েছি...’—গত ১৫ আগস্ট ফেসবুকে সুসংবাদটা এভাবেই দিয়েছিলেন সিরাজ উল্লাহ খাদেম নিপু।
নিপুর হাত ধরে ইউরোপিয়ান ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেল আরও এক বাংলাদেশির। কদিন আগে সুইডেন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন খুলনার হুমায়ূন কবির জ্যোতি। এখন পর্তুগাল দলে খেলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিপু। ১২ বছর আগের দুর্ঘটনায় জীবনটা এলোমেলো না হলে এই নিপুর গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত। সাকিব-মুশফিক-তামিমদের সঙ্গে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে আলো ছড়ানো নিপু পর্তুগাল দলের নয়, গায়ে জড়াতে পারতেন বাংলাদেশের জার্সি!
পরশু শেষ হয়েছে পর্তুগাল, জিব্রাল্টা ও মাল্টাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজে বাঁহাতি স্পিনে নিয়মিত দ্যুতি ছড়িয়েছেন নিপু। ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা বোলার তিনিই। গতকাল ফোনে যখন তাঁর সঙ্গে কথা হলো, খুলে দিলেন মনের দুয়ার।
ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখেছেন, হয়েছেনও। তবে যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে কিছুই হয়নি। চাওয়া-পাওয়ার আকাশ-পাতাল এই পার্থক্যটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে একটি হার না-মানা জীবনের গল্প। যে গল্পটার শুরু হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, সেটিই পূর্ণতা পেয়েছে পর্তুগালের লিসবনে।
মুশফিক-সাকিব-তামিমদের সঙ্গে ২০০৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন নিপু। বয়সভিত্তিক সিঁড়ি পেরিয়ে যখন বন্ধুদের মতো আরও ওপরে ওঠার স্বপ্ন চোখে, তখনই ঘটে চোখের দুর্ঘটনা। ২০০৯ সালের কথা, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ সামনে রেখে হবিগঞ্জে শুরু করেছিলেন অনুশীলন। অনুশীলনেই বল লাগে তাঁর বাঁ চোখে। দুর্ঘটনার বিষয়টি বিসিবিকে জানিয়েছিলেন নিপু। বিসিবি অবশ্য কোনো সহায়তা করেনি বলেই অভিযোগ তাঁর। ১২ বছর আগের দুঃসহ স্মৃতিটা নিয়ে নিপু বলছিলেন এভাবে, ‘চোখে বল লাগার পর বিসিবিকে জানিয়েছিলাম, প্রায় অন্ধ হয়ে যাচ্ছি আমার দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দরকার। বিসিবি আমাকে সহায়তা করেনি।’
বিকেএসপির পাঠ শেষ করার আগেই নিপুর অভিষেক হয়েছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় যুব বিশ্বকাপ খেলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। অস্ট্রেলিয়ার পালমারস্টন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৮৮ রানের পাশাপাশি নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
সবকিছু ভালোই চলছিল। এরপরই হঠাৎ ছবিটা বদলে যায়। এবার নিপুর ক্ষোভ নির্বাচকদের ওপর, ‘জাতীয় দলের তখনকার নির্বাচক যাঁরা ছিলেন, তারাই বয়সভিত্তিক দল নির্বাচন করতেন। অস্ট্রেলিয়া সফরের পর পুরো নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন আসে। তখনই আমাদের সবকিছু বদলে যায়। এরপর প্রিমিয়ার লিগ খেলি। সেখানে ভালো করেও নিয়মিত দলে জায়গা পেতাম না।’
নিপুর পথ হারিয়ে ফেলার শুরু সেখান থেকেই। পরে অবশ্য তিনি ইংল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের ঘরোয়া লিগে খেলেছেন। এরপর অনুশীলনে চোখে বল লেগে বাংলাদেশ দলে খেলা স্বপ্নটার সলিলসমাধি! নিপু বলছিলেন, ‘চোখের একটা অস্ত্রোপচার করেছিলাম। চিকিৎসকেরা এক বছর বিশ্রামে থাকতে বলেছিলেন। খেলা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এভাবেই কাটে প্রায় তিন বছর।’
জীবন যখন চরম অনিশ্চয়তায়, তখনো নিপুর চিন্তায় জুড়ে ছিল শুধুই ক্রিকেট। স্বপ্নবাজ নিপু তখনো স্বপ্ন দেখেছেন আবারও মাঠের ক্রিকেটে ফিরবেন। এ চিন্তা থেকেই ২০১৪ সালে পাড়ি জমান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালে। সেখানে গিয়ে আগে চোখের চিকিৎসা করান। প্রায় এক বছর পর ধীরে ধীরে পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন। আবারও ফিরে আসেন ক্রিকেটে। তাঁর হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নটাও ফিরে আসে, তবে অন্যভাবে।
নিপু ঠিক করেন, একদিন তিনি খেলবেন পর্তুগাল জাতীয় ক্রিকেট দলে। প্রায় ছয় বছরের কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য আর অধ্যবসায়ের পর অবশেষে স্বপ্নটা হাতের মুঠোয় এসেছে তাঁর।
কঠিন এই পথ পাড়ি দিতে নিপুকে প্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁর বাবা, যিনি এখন আর পৃথিবীতে নেই। ১৯ আগস্ট পর্তুগালের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত নিপু তাঁর স্বপ্ন পূরণের দিনে খুঁজে ফেরেন আকাশের তারা হয়ে যাওয়া বাবাকে, ‘খারাপ সময়ে সবচেয়ে বেশি সমর্থন জুগিয়েছেন আমার বাবা। তিনি বেঁচে থাকলে আজ অনেক খুশি হতেন।’
আরমান হোসেন, ঢাকা

‘অবশেষে স্বপ্ন হলো সত্যি। পর্তুগাল জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েছি...’—গত ১৫ আগস্ট ফেসবুকে সুসংবাদটা এভাবেই দিয়েছিলেন সিরাজ উল্লাহ খাদেম নিপু।
নিপুর হাত ধরে ইউরোপিয়ান ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেল আরও এক বাংলাদেশির। কদিন আগে সুইডেন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন খুলনার হুমায়ূন কবির জ্যোতি। এখন পর্তুগাল দলে খেলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিপু। ১২ বছর আগের দুর্ঘটনায় জীবনটা এলোমেলো না হলে এই নিপুর গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত। সাকিব-মুশফিক-তামিমদের সঙ্গে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে আলো ছড়ানো নিপু পর্তুগাল দলের নয়, গায়ে জড়াতে পারতেন বাংলাদেশের জার্সি!
পরশু শেষ হয়েছে পর্তুগাল, জিব্রাল্টা ও মাল্টাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজে বাঁহাতি স্পিনে নিয়মিত দ্যুতি ছড়িয়েছেন নিপু। ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা বোলার তিনিই। গতকাল ফোনে যখন তাঁর সঙ্গে কথা হলো, খুলে দিলেন মনের দুয়ার।
ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখেছেন, হয়েছেনও। তবে যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে কিছুই হয়নি। চাওয়া-পাওয়ার আকাশ-পাতাল এই পার্থক্যটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে একটি হার না-মানা জীবনের গল্প। যে গল্পটার শুরু হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, সেটিই পূর্ণতা পেয়েছে পর্তুগালের লিসবনে।
মুশফিক-সাকিব-তামিমদের সঙ্গে ২০০৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন নিপু। বয়সভিত্তিক সিঁড়ি পেরিয়ে যখন বন্ধুদের মতো আরও ওপরে ওঠার স্বপ্ন চোখে, তখনই ঘটে চোখের দুর্ঘটনা। ২০০৯ সালের কথা, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ সামনে রেখে হবিগঞ্জে শুরু করেছিলেন অনুশীলন। অনুশীলনেই বল লাগে তাঁর বাঁ চোখে। দুর্ঘটনার বিষয়টি বিসিবিকে জানিয়েছিলেন নিপু। বিসিবি অবশ্য কোনো সহায়তা করেনি বলেই অভিযোগ তাঁর। ১২ বছর আগের দুঃসহ স্মৃতিটা নিয়ে নিপু বলছিলেন এভাবে, ‘চোখে বল লাগার পর বিসিবিকে জানিয়েছিলাম, প্রায় অন্ধ হয়ে যাচ্ছি আমার দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দরকার। বিসিবি আমাকে সহায়তা করেনি।’
বিকেএসপির পাঠ শেষ করার আগেই নিপুর অভিষেক হয়েছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় যুব বিশ্বকাপ খেলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। অস্ট্রেলিয়ার পালমারস্টন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৮৮ রানের পাশাপাশি নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
সবকিছু ভালোই চলছিল। এরপরই হঠাৎ ছবিটা বদলে যায়। এবার নিপুর ক্ষোভ নির্বাচকদের ওপর, ‘জাতীয় দলের তখনকার নির্বাচক যাঁরা ছিলেন, তারাই বয়সভিত্তিক দল নির্বাচন করতেন। অস্ট্রেলিয়া সফরের পর পুরো নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন আসে। তখনই আমাদের সবকিছু বদলে যায়। এরপর প্রিমিয়ার লিগ খেলি। সেখানে ভালো করেও নিয়মিত দলে জায়গা পেতাম না।’
নিপুর পথ হারিয়ে ফেলার শুরু সেখান থেকেই। পরে অবশ্য তিনি ইংল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের ঘরোয়া লিগে খেলেছেন। এরপর অনুশীলনে চোখে বল লেগে বাংলাদেশ দলে খেলা স্বপ্নটার সলিলসমাধি! নিপু বলছিলেন, ‘চোখের একটা অস্ত্রোপচার করেছিলাম। চিকিৎসকেরা এক বছর বিশ্রামে থাকতে বলেছিলেন। খেলা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এভাবেই কাটে প্রায় তিন বছর।’
জীবন যখন চরম অনিশ্চয়তায়, তখনো নিপুর চিন্তায় জুড়ে ছিল শুধুই ক্রিকেট। স্বপ্নবাজ নিপু তখনো স্বপ্ন দেখেছেন আবারও মাঠের ক্রিকেটে ফিরবেন। এ চিন্তা থেকেই ২০১৪ সালে পাড়ি জমান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালে। সেখানে গিয়ে আগে চোখের চিকিৎসা করান। প্রায় এক বছর পর ধীরে ধীরে পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন। আবারও ফিরে আসেন ক্রিকেটে। তাঁর হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নটাও ফিরে আসে, তবে অন্যভাবে।
নিপু ঠিক করেন, একদিন তিনি খেলবেন পর্তুগাল জাতীয় ক্রিকেট দলে। প্রায় ছয় বছরের কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য আর অধ্যবসায়ের পর অবশেষে স্বপ্নটা হাতের মুঠোয় এসেছে তাঁর।
কঠিন এই পথ পাড়ি দিতে নিপুকে প্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁর বাবা, যিনি এখন আর পৃথিবীতে নেই। ১৯ আগস্ট পর্তুগালের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত নিপু তাঁর স্বপ্ন পূরণের দিনে খুঁজে ফেরেন আকাশের তারা হয়ে যাওয়া বাবাকে, ‘খারাপ সময়ে সবচেয়ে বেশি সমর্থন জুগিয়েছেন আমার বাবা। তিনি বেঁচে থাকলে আজ অনেক খুশি হতেন।’

‘অবশেষে স্বপ্ন হলো সত্যি। পর্তুগাল জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েছি...’—গত ১৫ আগস্ট ফেসবুকে সুসংবাদটা এভাবেই দিয়েছিলেন সিরাজ উল্লাহ খাদেম নিপু।
নিপুর হাত ধরে ইউরোপিয়ান ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেল আরও এক বাংলাদেশির। কদিন আগে সুইডেন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন খুলনার হুমায়ূন কবির জ্যোতি। এখন পর্তুগাল দলে খেলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিপু। ১২ বছর আগের দুর্ঘটনায় জীবনটা এলোমেলো না হলে এই নিপুর গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত। সাকিব-মুশফিক-তামিমদের সঙ্গে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে আলো ছড়ানো নিপু পর্তুগাল দলের নয়, গায়ে জড়াতে পারতেন বাংলাদেশের জার্সি!
পরশু শেষ হয়েছে পর্তুগাল, জিব্রাল্টা ও মাল্টাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজে বাঁহাতি স্পিনে নিয়মিত দ্যুতি ছড়িয়েছেন নিপু। ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা বোলার তিনিই। গতকাল ফোনে যখন তাঁর সঙ্গে কথা হলো, খুলে দিলেন মনের দুয়ার।
ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখেছেন, হয়েছেনও। তবে যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে কিছুই হয়নি। চাওয়া-পাওয়ার আকাশ-পাতাল এই পার্থক্যটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে একটি হার না-মানা জীবনের গল্প। যে গল্পটার শুরু হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, সেটিই পূর্ণতা পেয়েছে পর্তুগালের লিসবনে।
মুশফিক-সাকিব-তামিমদের সঙ্গে ২০০৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন নিপু। বয়সভিত্তিক সিঁড়ি পেরিয়ে যখন বন্ধুদের মতো আরও ওপরে ওঠার স্বপ্ন চোখে, তখনই ঘটে চোখের দুর্ঘটনা। ২০০৯ সালের কথা, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ সামনে রেখে হবিগঞ্জে শুরু করেছিলেন অনুশীলন। অনুশীলনেই বল লাগে তাঁর বাঁ চোখে। দুর্ঘটনার বিষয়টি বিসিবিকে জানিয়েছিলেন নিপু। বিসিবি অবশ্য কোনো সহায়তা করেনি বলেই অভিযোগ তাঁর। ১২ বছর আগের দুঃসহ স্মৃতিটা নিয়ে নিপু বলছিলেন এভাবে, ‘চোখে বল লাগার পর বিসিবিকে জানিয়েছিলাম, প্রায় অন্ধ হয়ে যাচ্ছি আমার দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দরকার। বিসিবি আমাকে সহায়তা করেনি।’
বিকেএসপির পাঠ শেষ করার আগেই নিপুর অভিষেক হয়েছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় যুব বিশ্বকাপ খেলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। অস্ট্রেলিয়ার পালমারস্টন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৮৮ রানের পাশাপাশি নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
সবকিছু ভালোই চলছিল। এরপরই হঠাৎ ছবিটা বদলে যায়। এবার নিপুর ক্ষোভ নির্বাচকদের ওপর, ‘জাতীয় দলের তখনকার নির্বাচক যাঁরা ছিলেন, তারাই বয়সভিত্তিক দল নির্বাচন করতেন। অস্ট্রেলিয়া সফরের পর পুরো নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন আসে। তখনই আমাদের সবকিছু বদলে যায়। এরপর প্রিমিয়ার লিগ খেলি। সেখানে ভালো করেও নিয়মিত দলে জায়গা পেতাম না।’
নিপুর পথ হারিয়ে ফেলার শুরু সেখান থেকেই। পরে অবশ্য তিনি ইংল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের ঘরোয়া লিগে খেলেছেন। এরপর অনুশীলনে চোখে বল লেগে বাংলাদেশ দলে খেলা স্বপ্নটার সলিলসমাধি! নিপু বলছিলেন, ‘চোখের একটা অস্ত্রোপচার করেছিলাম। চিকিৎসকেরা এক বছর বিশ্রামে থাকতে বলেছিলেন। খেলা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এভাবেই কাটে প্রায় তিন বছর।’
জীবন যখন চরম অনিশ্চয়তায়, তখনো নিপুর চিন্তায় জুড়ে ছিল শুধুই ক্রিকেট। স্বপ্নবাজ নিপু তখনো স্বপ্ন দেখেছেন আবারও মাঠের ক্রিকেটে ফিরবেন। এ চিন্তা থেকেই ২০১৪ সালে পাড়ি জমান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালে। সেখানে গিয়ে আগে চোখের চিকিৎসা করান। প্রায় এক বছর পর ধীরে ধীরে পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন। আবারও ফিরে আসেন ক্রিকেটে। তাঁর হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নটাও ফিরে আসে, তবে অন্যভাবে।
নিপু ঠিক করেন, একদিন তিনি খেলবেন পর্তুগাল জাতীয় ক্রিকেট দলে। প্রায় ছয় বছরের কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য আর অধ্যবসায়ের পর অবশেষে স্বপ্নটা হাতের মুঠোয় এসেছে তাঁর।
কঠিন এই পথ পাড়ি দিতে নিপুকে প্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁর বাবা, যিনি এখন আর পৃথিবীতে নেই। ১৯ আগস্ট পর্তুগালের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত নিপু তাঁর স্বপ্ন পূরণের দিনে খুঁজে ফেরেন আকাশের তারা হয়ে যাওয়া বাবাকে, ‘খারাপ সময়ে সবচেয়ে বেশি সমর্থন জুগিয়েছেন আমার বাবা। তিনি বেঁচে থাকলে আজ অনেক খুশি হতেন।’

এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
৫ ঘণ্টা আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
৭ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
দিল্লি ভ্রমণ করে আজ ভারত সফর শেষ হলো মেসির। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাঠে ঢুকতেই দর্শকেরা ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান দিয়েছেন। আর্জেন্টাইন ফলোয়ার্ডের বরণ অনুষ্ঠানে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহান জেটলি উপস্থিত ছিলেন। মেসিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের টিকিট উপহার দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, মেসিকে একটা ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সিও উপহার দেওয়া হয়েছে। এমন আপ্যায়নে মুগ্ধ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘ভারতে এই কয় দিনে যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সত্যি বলতে এটা ছিল আমাদের জন্য ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা। যদিও অনেক সংক্ষিপ্ত সফর ছিল, তবে সবার ভালোবাসা পেয়ে ভালো লাগছে। প্রথমবারের মতো এমন অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ।’
মুম্বাইয়ে গতকাল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীন টেন্ডুলকার, সুনীল ছেত্রী, মেসি—একসঙ্গে তিন কিংবদন্তিকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের। শচীনের কাছ থেকে ১০ নম্বর জার্সি উপহার পেয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তখন ব্যাপারটাকে ‘দুই নম্বর টেনের’ একসঙ্গে সাক্ষাৎ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ওয়াংখেড়েতেও শোনা গেছে ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান। ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর—এই তিন দিনে মেসি ভক্ত-সমর্থকসহ সবার কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তাতে আবারও ভারত সফরের ইচ্ছা তাঁর অনেক বেড়ে গেল। এবার কোনো ম্যাচ না খেললেও সেবার একটা ফুটবল ম্যাচ খেলতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। মেসি বলেন, ‘আপনারা এই কদিনে যারা করেছেন, সত্যি বলতে অসাধারণ। অসংখ্য ধন্যবাদ। কোনো না কোনোদিন অবশ্যই ফিরব। হয়তো একটা ম্যাচ খেলা হবে। তবে অবশ্যই ফিরছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।’
মেসির আজ সকালে দিল্লিতে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তাঁর চার্টার্ড ফ্লাইটের একটু দেরি হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সোজা দিল্লির লিলা প্যালেস হোটেলে চলে যান। মেসির এই সফরে পুরোটা জুড়েই ছিলেন রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ। মেসির মতো দি পল-সুয়ারেজকেও ফ্রেমে বাঁধানো ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সি দেওয়া হয়েছে। ভারতের সাবেক গোলরক্ষক অদিতি চৌহান তাঁর স্বাক্ষরিত টি-শার্ট উপহার দিয়েছেন মেসি, সুয়ারেজ, দি পলকে। এর আগে সবশেষ ২০১১ সালে মেসি ভারত সফর করেছিলেন।

এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
দিল্লি ভ্রমণ করে আজ ভারত সফর শেষ হলো মেসির। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাঠে ঢুকতেই দর্শকেরা ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান দিয়েছেন। আর্জেন্টাইন ফলোয়ার্ডের বরণ অনুষ্ঠানে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহান জেটলি উপস্থিত ছিলেন। মেসিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের টিকিট উপহার দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, মেসিকে একটা ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সিও উপহার দেওয়া হয়েছে। এমন আপ্যায়নে মুগ্ধ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘ভারতে এই কয় দিনে যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সত্যি বলতে এটা ছিল আমাদের জন্য ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা। যদিও অনেক সংক্ষিপ্ত সফর ছিল, তবে সবার ভালোবাসা পেয়ে ভালো লাগছে। প্রথমবারের মতো এমন অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ।’
মুম্বাইয়ে গতকাল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীন টেন্ডুলকার, সুনীল ছেত্রী, মেসি—একসঙ্গে তিন কিংবদন্তিকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের। শচীনের কাছ থেকে ১০ নম্বর জার্সি উপহার পেয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তখন ব্যাপারটাকে ‘দুই নম্বর টেনের’ একসঙ্গে সাক্ষাৎ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ওয়াংখেড়েতেও শোনা গেছে ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান। ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর—এই তিন দিনে মেসি ভক্ত-সমর্থকসহ সবার কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তাতে আবারও ভারত সফরের ইচ্ছা তাঁর অনেক বেড়ে গেল। এবার কোনো ম্যাচ না খেললেও সেবার একটা ফুটবল ম্যাচ খেলতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। মেসি বলেন, ‘আপনারা এই কদিনে যারা করেছেন, সত্যি বলতে অসাধারণ। অসংখ্য ধন্যবাদ। কোনো না কোনোদিন অবশ্যই ফিরব। হয়তো একটা ম্যাচ খেলা হবে। তবে অবশ্যই ফিরছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।’
মেসির আজ সকালে দিল্লিতে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তাঁর চার্টার্ড ফ্লাইটের একটু দেরি হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সোজা দিল্লির লিলা প্যালেস হোটেলে চলে যান। মেসির এই সফরে পুরোটা জুড়েই ছিলেন রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ। মেসির মতো দি পল-সুয়ারেজকেও ফ্রেমে বাঁধানো ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সি দেওয়া হয়েছে। ভারতের সাবেক গোলরক্ষক অদিতি চৌহান তাঁর স্বাক্ষরিত টি-শার্ট উপহার দিয়েছেন মেসি, সুয়ারেজ, দি পলকে। এর আগে সবশেষ ২০১১ সালে মেসি ভারত সফর করেছিলেন।

নিপুর হাত ধরে ইউরোপিয়ান ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেল আরও এক বাংলাদেশির। কদিন আগে সুইডেন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন খুলনার হুমায়ূন কবির জ্যোতি। এখন পর্তুগাল দলে খেলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিপু। ১২ বছর আগের দুর্ঘটনায় জীবনটা এলোমেলো না হলে এই নিপুর গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত। সাকিব-মুশফিক-তামিমদের সঙ্গে বয়সভিত্তিক
২৪ আগস্ট ২০২১
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
৭ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
বিগ ব্যাশে আজ মুখোমুখি হয়েছে মেলবোর্ন রেনেগেডস-ব্রিসবেন হিট। ব্রিসবেনের জার্সিতে খেলা শাহিন আজ বিগ ব্যাশে প্রথম কোনো ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে তাঁর অভিষেকটা হলো ভুলে যাওয়ার মতোই। বিশেষ করে রেনেগেডসের ইনিংসে ১৮তম ওভারে তাঁর উল্টাপাল্টা বোলিংয়ের কারণে। ওভারের তৃতীয় বলে টিম সাইফার্টকে কোমরের ওপরের সমান ডেলিভারি করেছেন শাহিন আফ্রিদি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও একই রকম ডেলিভারি শাহিন আফ্রিদির। এবার ব্যাটার রেনেগেডসের ওলিভার পিক। এক ওভারে দুটো বিমার ছোড়ার কারণে আম্পায়ার শাহিনকে আর ওভারের বাকি অংশ করতে দেননি আম্পায়ার।
১৮তম ওভারে শাহিন বৈধ চার ডেলিভারি করেছেন। তবে তিন নো বলসহ করেছেন সাত বল। আরেকটা নো বল হয়েছে ফ্রন্ট ফুটের কারণে। সেই ওভারের শেষ দুই বলে নাথান ম্যাকসুইনি খরচ করেন ৫ রান। শাহিনের বোলিং শেষ করতে হয়েছে ২.৪ ওভারে ৪৩ রানে। কোনো উইকেট তিনি পাননি। শাহিনের এমন বোলিং নিয়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘‘তার রাত এখানেই শেষ। সে একই ওভারে কোমরের সমান উচ্চতায় দুটি বল ছুড়ল। আম্পায়ার বললেন, ‘সরি, তুমি আর বোলিং করতে পারবে না।’’ মাইকেল ভন বলেন, ‘বলগুলো বিপজ্জনক হয়েছে।’
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া মেলবোর্ন রেনেগেডস করেছে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১২ রান। ৫৬ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় সাইফার্ট করেন ১০২ রান। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৮ রানে আটকে যায় ব্রিসবেন হিট। মেলবোর্নের ১৪ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাইফার্ট। শাহিন পরাজিত হলেও ১১ বছর আগে আবদুর রেহমান বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পেরেছিলেন। ২০১৪ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দেওয়া ৩২৭ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান ১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জিতেছিল। সেবার রেহমান কোনো বল না করেই খরচ করেছিলেন ৮ রান।

২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
বিগ ব্যাশে আজ মুখোমুখি হয়েছে মেলবোর্ন রেনেগেডস-ব্রিসবেন হিট। ব্রিসবেনের জার্সিতে খেলা শাহিন আজ বিগ ব্যাশে প্রথম কোনো ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে তাঁর অভিষেকটা হলো ভুলে যাওয়ার মতোই। বিশেষ করে রেনেগেডসের ইনিংসে ১৮তম ওভারে তাঁর উল্টাপাল্টা বোলিংয়ের কারণে। ওভারের তৃতীয় বলে টিম সাইফার্টকে কোমরের ওপরের সমান ডেলিভারি করেছেন শাহিন আফ্রিদি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও একই রকম ডেলিভারি শাহিন আফ্রিদির। এবার ব্যাটার রেনেগেডসের ওলিভার পিক। এক ওভারে দুটো বিমার ছোড়ার কারণে আম্পায়ার শাহিনকে আর ওভারের বাকি অংশ করতে দেননি আম্পায়ার।
১৮তম ওভারে শাহিন বৈধ চার ডেলিভারি করেছেন। তবে তিন নো বলসহ করেছেন সাত বল। আরেকটা নো বল হয়েছে ফ্রন্ট ফুটের কারণে। সেই ওভারের শেষ দুই বলে নাথান ম্যাকসুইনি খরচ করেন ৫ রান। শাহিনের বোলিং শেষ করতে হয়েছে ২.৪ ওভারে ৪৩ রানে। কোনো উইকেট তিনি পাননি। শাহিনের এমন বোলিং নিয়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘‘তার রাত এখানেই শেষ। সে একই ওভারে কোমরের সমান উচ্চতায় দুটি বল ছুড়ল। আম্পায়ার বললেন, ‘সরি, তুমি আর বোলিং করতে পারবে না।’’ মাইকেল ভন বলেন, ‘বলগুলো বিপজ্জনক হয়েছে।’
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া মেলবোর্ন রেনেগেডস করেছে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১২ রান। ৫৬ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় সাইফার্ট করেন ১০২ রান। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৮ রানে আটকে যায় ব্রিসবেন হিট। মেলবোর্নের ১৪ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাইফার্ট। শাহিন পরাজিত হলেও ১১ বছর আগে আবদুর রেহমান বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পেরেছিলেন। ২০১৪ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দেওয়া ৩২৭ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান ১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জিতেছিল। সেবার রেহমান কোনো বল না করেই খরচ করেছিলেন ৮ রান।

নিপুর হাত ধরে ইউরোপিয়ান ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেল আরও এক বাংলাদেশির। কদিন আগে সুইডেন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন খুলনার হুমায়ূন কবির জ্যোতি। এখন পর্তুগাল দলে খেলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিপু। ১২ বছর আগের দুর্ঘটনায় জীবনটা এলোমেলো না হলে এই নিপুর গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত। সাকিব-মুশফিক-তামিমদের সঙ্গে বয়সভিত্তিক
২৪ আগস্ট ২০২১
এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
৫ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
পেশাদার ক্যারিয়ারে শোয়েব আখতার গতির ঝড়ে ব্যাটারদের কাবু করে দিতেন হরহামেশাই। কখনো ব্যাটারদের হেলমেটে, কখনোবা তাঁর আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে হাঁটু-কব্জিসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেতেন ব্যাটাররা। বাউন্সার তো বটেই, মাঝেমধ্যে তাঁর গতিতে স্টাম্প উড়ে চলে যেত অনেক দূরে। তরুণ প্রজন্মের অনেক পেসারই আদর্শ মনে করেন পাকিস্তানি এই গতিতারকাকে। কিন্তু তাঁর সময়ের যে পেসারদের আগ্রাসন, সেটা এখন খুব একটা দেখা যায় না বলে আজ শেরাটনে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দোষ দিতে চাই না। তাঁদের জন্ম এই টি-টোয়েন্টি যুগে। অনেক ভ্রমণ করতে হয়।’
ব্যাঙের ছাতার মতো টি-টোয়েন্টি, টি-টেনসহ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের অনেকবার টানা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। এমনকি চোটে পড়ে অনেক সময় ম্যাচও মিস করেন তাঁরা। এ কারণে বর্তমানের ক্রিকেটাররা অতটা আগ্রাহী হয়ে উঠতে পারেন না। ঢাকার শেরাটনে আজ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি গতিতারকা বলেন, ‘ম্যাচ খেলে পরদিন সকালে আবার খেলতে হচ্ছে। দ্রুত গতিতে বোলিং করতে দ্রুত ফিট হয়ে ওঠার সময় নেই। তবে ছয় মাস বিশ্রাম নিতে পারলে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারত। যে মাত্রায় আগ্রাসন দেখতে চাই, সেটা এখন দেখতে পাই না।’
ঢাকা ক্যাপিটালসের পরামর্শক হিসেবে ২০২৬ বিপিএলে কাজ করবেন শোয়েব আখতার। ঢাকার শেরাটন হোটেলে আজ যখন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এলেন, তাঁর পাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। ক্যারিয়ার, পছন্দের ক্রিকেটার, বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে পার্থক্য—এসব ব্যাপার নিয়েই শেরাটনে আলাপ-আলোচনা হয়েছে বেশি। শোয়েব আখতারও যে এই সংবাদ সম্মেলন উপভোগ করেছেন, সেটা তাঁর কথাবার্তা শুনেই বোঝা গেছে। মজার ছলে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘আমার প্রিয় তিন ডেলিভারি হচ্ছে, শচীনকে প্রথম বলে আউট করা। দ্বিতীয়টা হলো ব্রায়ান লারার ঘাড়ে আঘাত করা। তিন নাম্বারটা হলো গ্যারি কারস্টেনের বুকে আঘাত করা। আরে না না। মজা করেছি আমি। আমার সেরা তিন ডেলিভারি হচ্ছে— ২০০২ সালে শচীন ও কলম্বোতে গিলক্রিস্টকে ইয়র্কারে আউট করা। তিন-চার নম্বরটা হলো টেস্টে দ্রুত গতির ডেলিভারিতে জ্যাক ক্যালিসের উইকেট নেওয়া।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যে চাপের কথা শোয়েব আখতার বলেছেন, সেটা একেবারে অযৌক্তিক নয়। তবে পেসাররা আগ্রাসী হতে গেলে কঠিন শাস্তি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সিরাজরা আইসিসির থেকে তিরস্কারের পাশাপাশি জরিমানাও গুনেছেন। এ বছরের ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে ১২তম বিপিএল। সিলেটে হবে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ। ২৩ জানুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল মাঠে গড়াবে মিরপুর শেরেবাংলায়।

বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
পেশাদার ক্যারিয়ারে শোয়েব আখতার গতির ঝড়ে ব্যাটারদের কাবু করে দিতেন হরহামেশাই। কখনো ব্যাটারদের হেলমেটে, কখনোবা তাঁর আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে হাঁটু-কব্জিসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেতেন ব্যাটাররা। বাউন্সার তো বটেই, মাঝেমধ্যে তাঁর গতিতে স্টাম্প উড়ে চলে যেত অনেক দূরে। তরুণ প্রজন্মের অনেক পেসারই আদর্শ মনে করেন পাকিস্তানি এই গতিতারকাকে। কিন্তু তাঁর সময়ের যে পেসারদের আগ্রাসন, সেটা এখন খুব একটা দেখা যায় না বলে আজ শেরাটনে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দোষ দিতে চাই না। তাঁদের জন্ম এই টি-টোয়েন্টি যুগে। অনেক ভ্রমণ করতে হয়।’
ব্যাঙের ছাতার মতো টি-টোয়েন্টি, টি-টেনসহ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের অনেকবার টানা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। এমনকি চোটে পড়ে অনেক সময় ম্যাচও মিস করেন তাঁরা। এ কারণে বর্তমানের ক্রিকেটাররা অতটা আগ্রাহী হয়ে উঠতে পারেন না। ঢাকার শেরাটনে আজ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি গতিতারকা বলেন, ‘ম্যাচ খেলে পরদিন সকালে আবার খেলতে হচ্ছে। দ্রুত গতিতে বোলিং করতে দ্রুত ফিট হয়ে ওঠার সময় নেই। তবে ছয় মাস বিশ্রাম নিতে পারলে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারত। যে মাত্রায় আগ্রাসন দেখতে চাই, সেটা এখন দেখতে পাই না।’
ঢাকা ক্যাপিটালসের পরামর্শক হিসেবে ২০২৬ বিপিএলে কাজ করবেন শোয়েব আখতার। ঢাকার শেরাটন হোটেলে আজ যখন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এলেন, তাঁর পাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। ক্যারিয়ার, পছন্দের ক্রিকেটার, বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে পার্থক্য—এসব ব্যাপার নিয়েই শেরাটনে আলাপ-আলোচনা হয়েছে বেশি। শোয়েব আখতারও যে এই সংবাদ সম্মেলন উপভোগ করেছেন, সেটা তাঁর কথাবার্তা শুনেই বোঝা গেছে। মজার ছলে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘আমার প্রিয় তিন ডেলিভারি হচ্ছে, শচীনকে প্রথম বলে আউট করা। দ্বিতীয়টা হলো ব্রায়ান লারার ঘাড়ে আঘাত করা। তিন নাম্বারটা হলো গ্যারি কারস্টেনের বুকে আঘাত করা। আরে না না। মজা করেছি আমি। আমার সেরা তিন ডেলিভারি হচ্ছে— ২০০২ সালে শচীন ও কলম্বোতে গিলক্রিস্টকে ইয়র্কারে আউট করা। তিন-চার নম্বরটা হলো টেস্টে দ্রুত গতির ডেলিভারিতে জ্যাক ক্যালিসের উইকেট নেওয়া।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যে চাপের কথা শোয়েব আখতার বলেছেন, সেটা একেবারে অযৌক্তিক নয়। তবে পেসাররা আগ্রাসী হতে গেলে কঠিন শাস্তি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সিরাজরা আইসিসির থেকে তিরস্কারের পাশাপাশি জরিমানাও গুনেছেন। এ বছরের ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে ১২তম বিপিএল। সিলেটে হবে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ। ২৩ জানুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল মাঠে গড়াবে মিরপুর শেরেবাংলায়।

নিপুর হাত ধরে ইউরোপিয়ান ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেল আরও এক বাংলাদেশির। কদিন আগে সুইডেন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন খুলনার হুমায়ূন কবির জ্যোতি। এখন পর্তুগাল দলে খেলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিপু। ১২ বছর আগের দুর্ঘটনায় জীবনটা এলোমেলো না হলে এই নিপুর গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত। সাকিব-মুশফিক-তামিমদের সঙ্গে বয়সভিত্তিক
২৪ আগস্ট ২০২১
এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
৫ ঘণ্টা আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হকি ফেডারেশন। বিমানবাহিনী দেবে ২০ লাখ টাকা।
৬০ লাখ টাকার বাইরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা আমিরুল ইসলাম আলাদা করে পাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কুর্মিটোলা ঘাঁটির শাহিন দ্বীপে আজ অনূর্ধ্ব-২১ দল ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা দিয়েছে হকি ফেডারেশন।
বিমানবাহিনী প্রধান ও ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খেলোয়াড়দের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমি সবাইকে বলেছিলাম মাঠে লড়াকু মানসিকতা দেখতে চাই। বলেছিলাম নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে খেলতে। তোমাদের এখন থেকে ২০২৬ এশিয়ান গেমস ও পরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দেশের হকির উন্নয়নে আমরা আগের চেয়ে আরো বেশি বিস্তৃত ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করব।’
বোনাসে অঙ্ক শুনে বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিকে ১৮ গোল করা আমিরুল বলেন, সংবর্ধনা পেয়ে দলের সবচেয়ে বড় তারকা আমিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই সংবর্ধনার পাওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। অন্যান্য খেলায় সাফল্য ফেলে সরকার থেকে অনেক পুরস্কার দেওয়া হয়। আমাদের বিষয়গুলোও যদি দেখা হয় তাহলে ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো হবে। পাশাপাশি আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা করা হয় তাহলে আগামীতে আমরা আরো ভালো করতে পারব।’
হকি সেভাবে তেমন কোনো কাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান আমিরুল, ‘আমরা যদি ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে পারি তাহলে আমাদের সমস্যার কথাগুলো বলতে পারতাম।’
বিশ্বকাপ খেলে আসার পরও ঘরোয়া হকি মাঠে গড়ানোর ব্যাপারে এখনো কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, প্রথম বিভাগ লিগ চালু করার জন্য এই মাসেই ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠানো হবে।
বিশ্বকাপের দল ছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৮ নারী দলকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত জুলাইয়ে চীনের দাঝুতে অনুষ্ঠিত নারীদের অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। সেই টুর্নামন্টে কাজাখস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক জেতেন মেয়েরা। সোমবারের সংবর্ধনায় দলকে ১০ লাখ টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন ফেডারেশন সভাপতি।

প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হকি ফেডারেশন। বিমানবাহিনী দেবে ২০ লাখ টাকা।
৬০ লাখ টাকার বাইরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা আমিরুল ইসলাম আলাদা করে পাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কুর্মিটোলা ঘাঁটির শাহিন দ্বীপে আজ অনূর্ধ্ব-২১ দল ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা দিয়েছে হকি ফেডারেশন।
বিমানবাহিনী প্রধান ও ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খেলোয়াড়দের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমি সবাইকে বলেছিলাম মাঠে লড়াকু মানসিকতা দেখতে চাই। বলেছিলাম নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে খেলতে। তোমাদের এখন থেকে ২০২৬ এশিয়ান গেমস ও পরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দেশের হকির উন্নয়নে আমরা আগের চেয়ে আরো বেশি বিস্তৃত ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করব।’
বোনাসে অঙ্ক শুনে বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিকে ১৮ গোল করা আমিরুল বলেন, সংবর্ধনা পেয়ে দলের সবচেয়ে বড় তারকা আমিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই সংবর্ধনার পাওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। অন্যান্য খেলায় সাফল্য ফেলে সরকার থেকে অনেক পুরস্কার দেওয়া হয়। আমাদের বিষয়গুলোও যদি দেখা হয় তাহলে ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো হবে। পাশাপাশি আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা করা হয় তাহলে আগামীতে আমরা আরো ভালো করতে পারব।’
হকি সেভাবে তেমন কোনো কাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান আমিরুল, ‘আমরা যদি ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে পারি তাহলে আমাদের সমস্যার কথাগুলো বলতে পারতাম।’
বিশ্বকাপ খেলে আসার পরও ঘরোয়া হকি মাঠে গড়ানোর ব্যাপারে এখনো কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, প্রথম বিভাগ লিগ চালু করার জন্য এই মাসেই ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠানো হবে।
বিশ্বকাপের দল ছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৮ নারী দলকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত জুলাইয়ে চীনের দাঝুতে অনুষ্ঠিত নারীদের অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। সেই টুর্নামন্টে কাজাখস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক জেতেন মেয়েরা। সোমবারের সংবর্ধনায় দলকে ১০ লাখ টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন ফেডারেশন সভাপতি।

নিপুর হাত ধরে ইউরোপিয়ান ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেল আরও এক বাংলাদেশির। কদিন আগে সুইডেন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন খুলনার হুমায়ূন কবির জ্যোতি। এখন পর্তুগাল দলে খেলছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিপু। ১২ বছর আগের দুর্ঘটনায় জীবনটা এলোমেলো না হলে এই নিপুর গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত। সাকিব-মুশফিক-তামিমদের সঙ্গে বয়সভিত্তিক
২৪ আগস্ট ২০২১
এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
৫ ঘণ্টা আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
৭ ঘণ্টা আগে