ক্রীড়া ডেস্ক
গাস অ্যাটকিনসন বোল্ড হতেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের উদযাপন শুরু। ইংল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া মোহাম্মদ সিরাজকে নিয়ে তখন প্রশংসার বাণী শোনাচ্ছেন ধারাভাষ্যকার মাইকেল আথারটন। লন্ডনের ওভালে গতকাল পঞ্চম দিনে ৬ রানের নাটকীয় জয়ে সিরিজ বাঁচিয়েছে ভারত।
ইংল্যান্ডের ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় যেখানে সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল, সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে সিরিজ ড্র করায় কৃতিত্বটা ভারতকেই দিচ্ছেন নাসের হুসেইন। তাঁর মতে ওভাল টেস্ট ইংল্যান্ড জিতলে সেটা হাস্যকরই হতো। সিরিজজুড়ে অধিনায়ক শুবমান গিলসহ যশস্বী জয়সওয়াল, রবীন্দ্র জাদেজা সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণারা দুর্দান্ত খেলেছেন। ৯ উইকেট পাওয়া সিরাজ পেয়েছেন পঞ্চম টেস্টের ম্যাচসেরার পুরস্কার। গিল সিরিজ সর্বোচ্চ ৭৫৪ রান করে জিতেছেন ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার। স্কাই ক্রিকেটকে নাসের বলেন, ‘ইংল্যান্ড ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে এটা হাস্যকর হতো। ২-২ ব্যবধানে ভারত যে সিরিজ ড্র করেছে, এটা তাদের প্রাপ্য। তারা এই সিরিজে দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। চূড়ান্ত স্কোরলাইনটা ঠিক আছে। শেষ উইকেটটা যে সিরাজ নিয়েছে, এটা তার সঙ্গেই ভালো মানায়।’
ওভালে ৩৭৪ রানের লক্ষ্যে নামা ইংল্যান্ডের একটা পর্যায়ে স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৩৩২ রান। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ৪২ রান এ আর কেমন কী! উইকেটে তখন ছিলেন জো রুট ও জ্যাকব বেথেল। এখান থেকেই প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে শুরু করে ভারত। সিরাজ-কৃষ্ণার আগুনে বোলিংয়ে ইংল্যান্ড ৮৫.১ ওভারে ৩৬৭ রানে গুটিয়ে যায়। ভাঙা হাত নিয়ে ক্রিস ওকস ১৬ মিনিট ব্যাটিং করেও কোনো বল মোকাবিলা করেননি। এমনকি জয় নিয়েও মাঠ ছাড়তে পারলেন না ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার।
চার দিনে যে টেস্ট শেষ হতে পারত, সেই ম্যাচ পঞ্চম দিনে গড়াতেই মূলত ভারতের দিকে ম্যাচ অনেকটা হেলে পড়ে। নতুন দিনে (পঞ্চম দিনে) প্রথম সেশনেই খেলা শেষ করে দেন সিরাজ-কৃষ্ণারা। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ৩৫ রানের সমীকরণ মেলাতে ইংল্যান্ডের আরও ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করা দরকার ছিল বলে মনে করেন মাইকেল ভন। ওভাল টেস্ট শেষে বিবিসি টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আপনারা বলবেন যে ইংল্যান্ড প্যানিক করেছে। বল সুইং করেছে। তারা (ইংল্যান্ড) অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিংয়ের দিকেই গিয়েছে। তাদের একটা জুটিরই কেবল দরকার ছিল। এটাকে প্যানিক বলতে পারবেন না। এটা তাদের খেলার ধরন। তারা যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে।’
গিলের পাশাপাশি হ্যারি ব্রুকও ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পেয়েছেন। অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ৫৩.৪৪ গড় ও ৮১.৩৮ স্ট্রাইকরেটে ৪৮১ রান করেছেন ব্রুক। দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছেন তিনি। গিলের পর সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩৭ রান করেছেন রুট। তিন সেঞ্চুরি ও এক ফিফটি এসেছে রুটের ব্যাট থেকে। গিল, রুটসহ ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৫০০-এর বেশি রান করেছেন চার ব্যাটার। লোকেশ রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা করেছেন ৫৩২ ও ৫১৬ রান।
ওভালে পঞ্চম টেস্ট হেরে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের অপেক্ষা ৭ বছরেও ফুরোল না ইংল্যান্ডের। সবশেষ ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড ৪-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারতের বিপক্ষে। এই সিরিজটি হয়েছিল ইংল্যান্ডের মাঠে। ২০১৮-এর সিরিজের পর অনুষ্ঠিত চার টেস্ট সিরিজের মধ্যে দুটি জিতেছে ভারত। অপর দুই সিরিজ ড্র হয়েছে।
গাস অ্যাটকিনসন বোল্ড হতেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের উদযাপন শুরু। ইংল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া মোহাম্মদ সিরাজকে নিয়ে তখন প্রশংসার বাণী শোনাচ্ছেন ধারাভাষ্যকার মাইকেল আথারটন। লন্ডনের ওভালে গতকাল পঞ্চম দিনে ৬ রানের নাটকীয় জয়ে সিরিজ বাঁচিয়েছে ভারত।
ইংল্যান্ডের ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় যেখানে সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল, সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে সিরিজ ড্র করায় কৃতিত্বটা ভারতকেই দিচ্ছেন নাসের হুসেইন। তাঁর মতে ওভাল টেস্ট ইংল্যান্ড জিতলে সেটা হাস্যকরই হতো। সিরিজজুড়ে অধিনায়ক শুবমান গিলসহ যশস্বী জয়সওয়াল, রবীন্দ্র জাদেজা সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণারা দুর্দান্ত খেলেছেন। ৯ উইকেট পাওয়া সিরাজ পেয়েছেন পঞ্চম টেস্টের ম্যাচসেরার পুরস্কার। গিল সিরিজ সর্বোচ্চ ৭৫৪ রান করে জিতেছেন ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার। স্কাই ক্রিকেটকে নাসের বলেন, ‘ইংল্যান্ড ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে এটা হাস্যকর হতো। ২-২ ব্যবধানে ভারত যে সিরিজ ড্র করেছে, এটা তাদের প্রাপ্য। তারা এই সিরিজে দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। চূড়ান্ত স্কোরলাইনটা ঠিক আছে। শেষ উইকেটটা যে সিরাজ নিয়েছে, এটা তার সঙ্গেই ভালো মানায়।’
ওভালে ৩৭৪ রানের লক্ষ্যে নামা ইংল্যান্ডের একটা পর্যায়ে স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৩৩২ রান। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ৪২ রান এ আর কেমন কী! উইকেটে তখন ছিলেন জো রুট ও জ্যাকব বেথেল। এখান থেকেই প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে শুরু করে ভারত। সিরাজ-কৃষ্ণার আগুনে বোলিংয়ে ইংল্যান্ড ৮৫.১ ওভারে ৩৬৭ রানে গুটিয়ে যায়। ভাঙা হাত নিয়ে ক্রিস ওকস ১৬ মিনিট ব্যাটিং করেও কোনো বল মোকাবিলা করেননি। এমনকি জয় নিয়েও মাঠ ছাড়তে পারলেন না ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার।
চার দিনে যে টেস্ট শেষ হতে পারত, সেই ম্যাচ পঞ্চম দিনে গড়াতেই মূলত ভারতের দিকে ম্যাচ অনেকটা হেলে পড়ে। নতুন দিনে (পঞ্চম দিনে) প্রথম সেশনেই খেলা শেষ করে দেন সিরাজ-কৃষ্ণারা। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ৩৫ রানের সমীকরণ মেলাতে ইংল্যান্ডের আরও ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করা দরকার ছিল বলে মনে করেন মাইকেল ভন। ওভাল টেস্ট শেষে বিবিসি টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আপনারা বলবেন যে ইংল্যান্ড প্যানিক করেছে। বল সুইং করেছে। তারা (ইংল্যান্ড) অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিংয়ের দিকেই গিয়েছে। তাদের একটা জুটিরই কেবল দরকার ছিল। এটাকে প্যানিক বলতে পারবেন না। এটা তাদের খেলার ধরন। তারা যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে।’
গিলের পাশাপাশি হ্যারি ব্রুকও ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পেয়েছেন। অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ৫৩.৪৪ গড় ও ৮১.৩৮ স্ট্রাইকরেটে ৪৮১ রান করেছেন ব্রুক। দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছেন তিনি। গিলের পর সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩৭ রান করেছেন রুট। তিন সেঞ্চুরি ও এক ফিফটি এসেছে রুটের ব্যাট থেকে। গিল, রুটসহ ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৫০০-এর বেশি রান করেছেন চার ব্যাটার। লোকেশ রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা করেছেন ৫৩২ ও ৫১৬ রান।
ওভালে পঞ্চম টেস্ট হেরে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের অপেক্ষা ৭ বছরেও ফুরোল না ইংল্যান্ডের। সবশেষ ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড ৪-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারতের বিপক্ষে। এই সিরিজটি হয়েছিল ইংল্যান্ডের মাঠে। ২০১৮-এর সিরিজের পর অনুষ্ঠিত চার টেস্ট সিরিজের মধ্যে দুটি জিতেছে ভারত। অপর দুই সিরিজ ড্র হয়েছে।
বসুন্ধরা কিংসের শুরুর একাদশে ছিলেন না কিউবা মিচেল। যা দেখে বিস্মিত হন অনেকেই। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৬৫ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ইংল্যান্ড প্রবাসী এই মিডফিল্ডার। তাঁর অভিষেক জয়ে রাঙাল বসুন্ধরা কিংস। সিরিয়ার ক্লাব আল কারামাহকে ১-০ গোলে হারিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
২ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই টি-টোয়েন্টি লিগে বাংলাদেশের কাটার মাস্টার খেলবেন দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে।
৭ ঘণ্টা আগেহাতের ব্যাটকে তলোয়ার বানালেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। কচু কাটা করলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের। ৪১ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে খেললেন রেকর্ড ১২৫ রানের ইনিংস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ এই ইনিংসই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ৫৩ রানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৮ ঘণ্টা আগেএকেকটা পাসের পর হতাশা ঝাড়ছিলেন সুলেমান দিয়াবাতে। প্রতিপক্ষে দীর্ঘদেহী ফুটবলারদের সামনে কোনোভাবেই পেরে উঠছিলেন না বাকিরা। যা লড়াই করার তা দেখা গেছে শুধু দিয়াবাতের মধ্যে। দিন শেষে বিফলেই যায় তা। আবাহনী লিমিটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূল পর্বে নাম লিখিয়েছে কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউন
৯ ঘণ্টা আগে