নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মিরপুরের সকালটা বাংলাদেশের জন্য ছিল ভুলে যাওয়ার মতোই। দক্ষিণ আফ্রিকার আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। সকালে ব্যাটারদের হতশ্রী ব্যাটিংয়ের ক্ষতে পড়ন্ত বিকেলে কিছুটা হলেও প্রলেপ লাগাতে পেরেছেন বোলাররা।
তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান-স্বীকৃত তিন স্পিনার নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। সেটার সুফল স্বাগতিকেরা পেয়েছে দিনের শেষ ভাগে। বাংলাদেশ শেষ ভাগে এসে পেয়েছে। ৬ উইকেটে ১৪০ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাইজুল একাই পেয়েছেন ৫ উইকেট। অপর উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। সফরকারীরা এগিয়ে ৩৪ রানে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা বাংলাদেশের একটা সময় ১০০ পেরোনোই অনেক কঠিন মনে হচ্ছিল। কোনোরকমে টেনেটুনে স্কোরটাকে ১০৬ পর্যন্ত নিয়ে গেছে স্বাগতিকেরা। দক্ষিণ আফ্রিকা দ্রুতই ব্যাটিংয়ে নেমে যায়। দলীয় ৯ রানেই ভেঙে যায় সফরকারীদের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে এইডেন মার্করামকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। হাসানের ইনসুইঙ্গার স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসের শুরু থেকেই খেলতে থাকে ওয়ানডে মেজাজে। ২২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাতে পারত প্রোটিয়ারা। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে ফ্লিক করতে যান ত্রিস্তান স্টাবস। শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা মাহমুদুল হাসান জয় দুই হাতে বল ধরেও সেটা তালুবন্দী করতে পারেননি। স্টাবসের রান তখন ৮।
জীবন পেয়ে স্টাবস আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন। ১২তম ওভারের প্রথম দুই বলে তাইজুল ইসলামকে দুটি চার মারেন স্টাবস। চতুর্থ বলেই দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটারকে ফেরান তাইজুল। আউটসাইড এজ হওয়া বল স্লিপে তালুবন্দী করেন সাদমান ইসলাম। ২৭ বলে ৪ চারে ২৩ রান করেন স্টাবস। দ্বিতীয় উইকেটে স্টাবস ও দে জর্জি গড়েন ৬৪ বলে ৪১ রান। ১১.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৫০ রানে পরিণত হওয়া প্রোটিয়া চা পানের বিরতির আগে নির্বিঘ্নে পার করে। দ্বিতীয় সেশন শেষ করে ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ৬৫ রানে।
চা পানের বিরতির পর জীবন পান বেডিংহাম। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাইজুলকে কাভারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে যান বেডিংহাম। আউটসাইড এজ হওয়া বল প্রথম স্লিপে তালুবন্দী করতে পারেননি সাদমান ইসলাম। যদিও সেটা কঠিন ছিল। বেডিংহাম আউট হলে ৬৬ রানেই ৩ উইকেট পড়তে পারত দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে জুটিটা বেশিদূর এগোতে পারেনি।২০তম ওভারের তৃতীয় বলে তাইজুলকে কাট করতে যান বেডিংহাম। এজ হওয়া বল তালুবন্দী করেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস।
চতুর্থ উইকেটে আরও একটি বড় জুটি গড়ার পথে এগোতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৭ বলে ২৭ রান যোগ করেন রায়ান রিকেলটন ও টনি দে জর্জি। তাইজুল এই জুটি তো ভেঙেছেন। ২৮তম ওভারে দিয়েছেন জোড়া ধাক্কা। দ্বিতীয় বলে ফেরান দে জর্জিকে (৩০)। ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে এবার দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন জয়। একই ওভারের শেষ বলে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে যান তাইজুল। টেস্টে অভিষিক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ম্যাথু ব্রিটজেকে বলটা ছেড়ে দিয়েছেন। তাইজুলের বিষাক্ত আর্ম ডেলিভারি আঘাত হানে স্টাম্পে।
ম্যাচে নিজের পঞ্চম উইকেটও তাইজুল পেয়েছেন দ্রুতই। ৩২তম ওভারের তৃতীয় বলে রিকেলটনকে ফিরিয়ে টেস্টে ইনিংসে ১৩ বার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। তাইজুলের ঘূর্ণিতে হাঁসফাঁস করতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার স্পোর হয়ে যায় ৩১.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৮ রান। দিনের বাকি অংশে ৫৭ বলে ৩২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে শেষ করেন কাইল ভেরেইন ও উইয়ান মুল্ডার। দিনের খেলা হয়েছে ৮১.১ ওভার। আলোক স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা আগেভাগেই শেষ করেছেন আম্পায়াররা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪০.১ ওভারে ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৯৭ বলের ইনিংসে ২ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন। ৭ ব্যাটার আউট হয়েছেন ১ অঙ্কের ঘরে। যেখানে নবম উইকেটে ৪৬ বলে ২৬ রানের জুটি গড়েন নাঈম ও তাইজুল। বাংলাদেশের ইনিংসের এটাই সর্বোচ্চ জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রাবাদা, মুল্ডার ও মহারাজ। বাকি উইকেটটি নিয়েছেন পিট।
মিরপুরের সকালটা বাংলাদেশের জন্য ছিল ভুলে যাওয়ার মতোই। দক্ষিণ আফ্রিকার আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। সকালে ব্যাটারদের হতশ্রী ব্যাটিংয়ের ক্ষতে পড়ন্ত বিকেলে কিছুটা হলেও প্রলেপ লাগাতে পেরেছেন বোলাররা।
তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান-স্বীকৃত তিন স্পিনার নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। সেটার সুফল স্বাগতিকেরা পেয়েছে দিনের শেষ ভাগে। বাংলাদেশ শেষ ভাগে এসে পেয়েছে। ৬ উইকেটে ১৪০ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাইজুল একাই পেয়েছেন ৫ উইকেট। অপর উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। সফরকারীরা এগিয়ে ৩৪ রানে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা বাংলাদেশের একটা সময় ১০০ পেরোনোই অনেক কঠিন মনে হচ্ছিল। কোনোরকমে টেনেটুনে স্কোরটাকে ১০৬ পর্যন্ত নিয়ে গেছে স্বাগতিকেরা। দক্ষিণ আফ্রিকা দ্রুতই ব্যাটিংয়ে নেমে যায়। দলীয় ৯ রানেই ভেঙে যায় সফরকারীদের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে এইডেন মার্করামকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। হাসানের ইনসুইঙ্গার স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসের শুরু থেকেই খেলতে থাকে ওয়ানডে মেজাজে। ২২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাতে পারত প্রোটিয়ারা। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে ফ্লিক করতে যান ত্রিস্তান স্টাবস। শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা মাহমুদুল হাসান জয় দুই হাতে বল ধরেও সেটা তালুবন্দী করতে পারেননি। স্টাবসের রান তখন ৮।
জীবন পেয়ে স্টাবস আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন। ১২তম ওভারের প্রথম দুই বলে তাইজুল ইসলামকে দুটি চার মারেন স্টাবস। চতুর্থ বলেই দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটারকে ফেরান তাইজুল। আউটসাইড এজ হওয়া বল স্লিপে তালুবন্দী করেন সাদমান ইসলাম। ২৭ বলে ৪ চারে ২৩ রান করেন স্টাবস। দ্বিতীয় উইকেটে স্টাবস ও দে জর্জি গড়েন ৬৪ বলে ৪১ রান। ১১.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৫০ রানে পরিণত হওয়া প্রোটিয়া চা পানের বিরতির আগে নির্বিঘ্নে পার করে। দ্বিতীয় সেশন শেষ করে ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ৬৫ রানে।
চা পানের বিরতির পর জীবন পান বেডিংহাম। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাইজুলকে কাভারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে যান বেডিংহাম। আউটসাইড এজ হওয়া বল প্রথম স্লিপে তালুবন্দী করতে পারেননি সাদমান ইসলাম। যদিও সেটা কঠিন ছিল। বেডিংহাম আউট হলে ৬৬ রানেই ৩ উইকেট পড়তে পারত দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে জুটিটা বেশিদূর এগোতে পারেনি।২০তম ওভারের তৃতীয় বলে তাইজুলকে কাট করতে যান বেডিংহাম। এজ হওয়া বল তালুবন্দী করেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস।
চতুর্থ উইকেটে আরও একটি বড় জুটি গড়ার পথে এগোতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৭ বলে ২৭ রান যোগ করেন রায়ান রিকেলটন ও টনি দে জর্জি। তাইজুল এই জুটি তো ভেঙেছেন। ২৮তম ওভারে দিয়েছেন জোড়া ধাক্কা। দ্বিতীয় বলে ফেরান দে জর্জিকে (৩০)। ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে এবার দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন জয়। একই ওভারের শেষ বলে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে যান তাইজুল। টেস্টে অভিষিক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ম্যাথু ব্রিটজেকে বলটা ছেড়ে দিয়েছেন। তাইজুলের বিষাক্ত আর্ম ডেলিভারি আঘাত হানে স্টাম্পে।
ম্যাচে নিজের পঞ্চম উইকেটও তাইজুল পেয়েছেন দ্রুতই। ৩২তম ওভারের তৃতীয় বলে রিকেলটনকে ফিরিয়ে টেস্টে ইনিংসে ১৩ বার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। তাইজুলের ঘূর্ণিতে হাঁসফাঁস করতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার স্পোর হয়ে যায় ৩১.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৮ রান। দিনের বাকি অংশে ৫৭ বলে ৩২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে শেষ করেন কাইল ভেরেইন ও উইয়ান মুল্ডার। দিনের খেলা হয়েছে ৮১.১ ওভার। আলোক স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা আগেভাগেই শেষ করেছেন আম্পায়াররা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪০.১ ওভারে ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৯৭ বলের ইনিংসে ২ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন। ৭ ব্যাটার আউট হয়েছেন ১ অঙ্কের ঘরে। যেখানে নবম উইকেটে ৪৬ বলে ২৬ রানের জুটি গড়েন নাঈম ও তাইজুল। বাংলাদেশের ইনিংসের এটাই সর্বোচ্চ জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রাবাদা, মুল্ডার ও মহারাজ। বাকি উইকেটটি নিয়েছেন পিট।
২০২৪-২৫ মৌসুমেই প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) প্রথমবারের মতো পায় চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বাদ। প্যারিসিয়ানদের প্রথমবারের মতো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জিততে অসামান্য অবদান রেখেছেন জিয়ানলুইগি দোন্নারুম্মা। পিএসজির গোলপোস্টের সামনে তিনি ছিলেন ‘চীনের মহাপ্রাচীর’। কিন্তু এবার এই ক্লাবটির সঙ্গে শেষ হচ
১৪ মিনিট আগেকদিন আগে বরিশাল বিভাগীয় দলের এনসিএল টি-টোয়েন্টি নির্বাচনে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের প্রভাব বিস্তারের খবর সামনে এসেছিল। এবার একই অভিযোগ উঠল রাজশাহী বিভাগীয় দল নিয়েও।
২৯ মিনিট আগেবাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল কাল দেশে ফিরেছে দুটি সিরিজের ট্রফি নিয়ে। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের হাতে শোভা পাচ্ছিল আফ্রিকা থেকে জিতে ফেরা দুটি শিরোপা। বিমানবন্দরে তাঁদের ঘিরে ধরে উৎসাহী সমর্থকেরা।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ম্যাচ গড়াপেটা, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বকেয়া, ফ্র্যাঞ্চাইজিতে চরম অব্যবস্থাপনার মতো ইস্যুতে বারবার সমালোচিত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএলের মান বাড়াতে এবং বিতর্কমুক্ত করতে বিসিবি এবার অন্য পথে হাঁটছে।
১ ঘণ্টা আগে