লাইছ ত্বোহা, ঢাকা
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলা কাভার করতে এসে কিছুদিন আগে এক বিদেশি সাংবাদিক বেশ কৌতূহল নিয়ে জানতে চাইলেন, এই স্টেডিয়াম যাঁর নামে, সেই ‘শেরেবাংলা’ কে ছিলেন?
স্টেডিয়াম যাঁর নামে হয়, তাঁকে জানার কৌতূহল তো থাকবেই। এই কৌতূহল মেটাতে বেশির ভাগ স্টেডিয়ামের মূল ফটক, স্থাপনা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, উক্তি, ফলক, ম্যুরাল, ভাস্কর্য—কিছু না কিছু থাকেই। বাংলাদেশেও আছে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মূল ফটকে ঢুকতেই যেমন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরীর ভাস্কর্য আছে। এমনকি পূর্বাচলে হতে যাওয়া শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নকশায় রাখা আছে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর একটি ভাস্কর্য। সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম।
আশির দশকের শেষ দিকে নির্মিত মিরপুর স্টেডিয়ামের প্রথম দুই দশক ফুটবলের ছিল। গত দুই দশকে স্টেডিয়ামটির পরিচিতি দেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ হিসেবে। ফুটবল থেকে ক্রিকেটের হলেও স্টেডিয়ামটি অন্তত দেশের আর দশটি বিখ্যাত স্থাপনার ‘নাম বদলের খেলার’ শিকার হয়নি! তবে অবিভক্ত বাংলার অবিসংবাদিত নেতা আবুল কাশেম ফজলুল হকের নামে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হলেও শুধু নাম ছাড়া তাঁকে মনে রাখার মতো তেমন কিছুই নেই হোম অব ক্রিকেটে। আজ তাঁর ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ক্রীড়াপ্রেমীরা প্রশ্ন করতে পারেন, শেরেবাংলায় ‘শেরেবাংলা ফজলুল হক’ কোথায়?
স্টেডিয়ামের বড় নামফলক আর ৫ নম্বর গেটের পাশে ইনডোরে ঢুকতে সাইনবোর্ডের নাম ছাড়া ‘ফজলুল হকে’র তেমন কোনো অস্তিত্ব চোখে পড়ে না। এ মাঠেই ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ, ছেলে ও মেয়েদের ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালসহ বড় বড় ম্যাচ, সিরিজ, টুর্নামেন্ট হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের কত আনন্দ-বেদনার কাব্য রচিত হয়েছে এ স্টেডিয়ামেই।
বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব মো. আমিনুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘সত্যি বলতে, এভাবে ভাবিনি। অন্তর থেকে বলছি, এটা আমার মাথায় ঢোকেনি।
আমি এসেছি অল্প কদিন হয়েছে। যা হোক, অবশ্যই আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করব। বিষয়টি আমরা ফাইল করে ফেলব।’
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আছে জহুর আহমেদ চৌধুরীর ভাস্কর্য। পূর্বাচলে হতে যাওয়া শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নকশায় রাখা আছে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর একটি ভাস্কর্য। কিন্তু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কোথাও নেই শেরেবাংলার এমন উপস্থিতি।
এনএসসির অধীনে হলেও মাঠটা ব্যবহার করে বিসিবি। দেশের বাইরে থাকায় বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি। বিসিবির পরিচালক ও অভিজ্ঞ ক্রীড়া সংগঠক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির মতে, শেরেবাংলার একটি পরিচিতি স্টেডিয়ামে অবশ্যই রাখা উচিত। তিনি বললেন, এটা অবশ্যই থাকা উচিত। উদ্যোগটা নেওয়া উচিত, একান্তই দরকার। এখানে যে স্থাপনা, তাঁর (শেরেবাংলার) পরিচিতি লেখার উদ্যোগ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও নিতে পারে, যেহেতু এটা ক্রিকেট বোর্ড ব্যবহার করছে, বিসিবিও নিতে পারে। উভয় বা যৌথভাবে নিতে পারে উদ্যোগটা।
এনএসসির ক্রীড়া শাখার পরিচালক এস এম শাহ হাবিবুর রহমান হাকিমও বললেন মাঠের বিভিন্ন জায়গায় শেরেবাংলার ছবি, পরিচিতি থাকলে মাঠেই সৌন্দর্য বাড়বে, শেরেবাংলা অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। এটা আসলে কেউ হয়তো সেভাবে খেয়াল করেনি। চিঠি পেলে কর্তৃপক্ষ আছে, মন্ত্রী মহোদয়কে বললে হয়তোবা তাড়াতাড়ি হবে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলা কাভার করতে এসে কিছুদিন আগে এক বিদেশি সাংবাদিক বেশ কৌতূহল নিয়ে জানতে চাইলেন, এই স্টেডিয়াম যাঁর নামে, সেই ‘শেরেবাংলা’ কে ছিলেন?
স্টেডিয়াম যাঁর নামে হয়, তাঁকে জানার কৌতূহল তো থাকবেই। এই কৌতূহল মেটাতে বেশির ভাগ স্টেডিয়ামের মূল ফটক, স্থাপনা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, উক্তি, ফলক, ম্যুরাল, ভাস্কর্য—কিছু না কিছু থাকেই। বাংলাদেশেও আছে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মূল ফটকে ঢুকতেই যেমন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরীর ভাস্কর্য আছে। এমনকি পূর্বাচলে হতে যাওয়া শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নকশায় রাখা আছে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর একটি ভাস্কর্য। সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম।
আশির দশকের শেষ দিকে নির্মিত মিরপুর স্টেডিয়ামের প্রথম দুই দশক ফুটবলের ছিল। গত দুই দশকে স্টেডিয়ামটির পরিচিতি দেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ হিসেবে। ফুটবল থেকে ক্রিকেটের হলেও স্টেডিয়ামটি অন্তত দেশের আর দশটি বিখ্যাত স্থাপনার ‘নাম বদলের খেলার’ শিকার হয়নি! তবে অবিভক্ত বাংলার অবিসংবাদিত নেতা আবুল কাশেম ফজলুল হকের নামে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হলেও শুধু নাম ছাড়া তাঁকে মনে রাখার মতো তেমন কিছুই নেই হোম অব ক্রিকেটে। আজ তাঁর ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ক্রীড়াপ্রেমীরা প্রশ্ন করতে পারেন, শেরেবাংলায় ‘শেরেবাংলা ফজলুল হক’ কোথায়?
স্টেডিয়ামের বড় নামফলক আর ৫ নম্বর গেটের পাশে ইনডোরে ঢুকতে সাইনবোর্ডের নাম ছাড়া ‘ফজলুল হকে’র তেমন কোনো অস্তিত্ব চোখে পড়ে না। এ মাঠেই ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ, ছেলে ও মেয়েদের ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালসহ বড় বড় ম্যাচ, সিরিজ, টুর্নামেন্ট হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের কত আনন্দ-বেদনার কাব্য রচিত হয়েছে এ স্টেডিয়ামেই।
বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব মো. আমিনুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘সত্যি বলতে, এভাবে ভাবিনি। অন্তর থেকে বলছি, এটা আমার মাথায় ঢোকেনি।
আমি এসেছি অল্প কদিন হয়েছে। যা হোক, অবশ্যই আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করব। বিষয়টি আমরা ফাইল করে ফেলব।’
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আছে জহুর আহমেদ চৌধুরীর ভাস্কর্য। পূর্বাচলে হতে যাওয়া শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নকশায় রাখা আছে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর একটি ভাস্কর্য। কিন্তু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কোথাও নেই শেরেবাংলার এমন উপস্থিতি।
এনএসসির অধীনে হলেও মাঠটা ব্যবহার করে বিসিবি। দেশের বাইরে থাকায় বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি। বিসিবির পরিচালক ও অভিজ্ঞ ক্রীড়া সংগঠক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির মতে, শেরেবাংলার একটি পরিচিতি স্টেডিয়ামে অবশ্যই রাখা উচিত। তিনি বললেন, এটা অবশ্যই থাকা উচিত। উদ্যোগটা নেওয়া উচিত, একান্তই দরকার। এখানে যে স্থাপনা, তাঁর (শেরেবাংলার) পরিচিতি লেখার উদ্যোগ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও নিতে পারে, যেহেতু এটা ক্রিকেট বোর্ড ব্যবহার করছে, বিসিবিও নিতে পারে। উভয় বা যৌথভাবে নিতে পারে উদ্যোগটা।
এনএসসির ক্রীড়া শাখার পরিচালক এস এম শাহ হাবিবুর রহমান হাকিমও বললেন মাঠের বিভিন্ন জায়গায় শেরেবাংলার ছবি, পরিচিতি থাকলে মাঠেই সৌন্দর্য বাড়বে, শেরেবাংলা অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। এটা আসলে কেউ হয়তো সেভাবে খেয়াল করেনি। চিঠি পেলে কর্তৃপক্ষ আছে, মন্ত্রী মহোদয়কে বললে হয়তোবা তাড়াতাড়ি হবে।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১২ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১৪ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১৫ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১৫ ঘণ্টা আগে