Ajker Patrika

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর সুযোগ কাজেই লাগাতে পারল না বাংলাদেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ৪৪
সিরিজের টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ছবি: বিসিবি
সিরিজের টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ছবি: বিসিবি

লো-স্কোরিং ম্যাচ যে কতটা রোমাঞ্চ ছড়ায়, সেটা সিলেটে আজ বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড তৃতীয় টি-টোয়েন্টি না দেখলে বোঝার উপায় নেই। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ কখনো বাংলাদেশের দিকে, কখনোবা আইরিশদের দিকে হেলে পড়তে থাকে। শেষ হাসি হেসেছে আইরিশরা।

সব রোমাঞ্চ যেন জমা ছিল শেষ ওভারের জন্য। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে ধবলধোলাই করতে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। ধবলধোলাই এড়ানোর জন্য শেষ সুযোগটুকু কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। ১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় আইরিশরা। রুদ্ধশ্বাস এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করল আয়ারল্যান্ড।

১২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে সাবলীলভাবে এগোতে থাকে আয়ারল্যান্ড। দুই ওপেনার অ্যামি হান্টার ও গ্যাবি লুইস ৪৬ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে হান্টারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন জান্নাতুল ফেরদৌস। ২৪ বলে ৩ চারে ২৮ রান করেন হান্টার।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরই খেই হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। ১৫ রান যোগ করতে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে আইরিশদের স্কোর হয়ে যায় ১১.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৭০ রান। পঞ্চম উইকেটে রেবেকা স্টোকেল ও লরা ডেলানি ৩৩ রানের জুটি গড়লেও খরচ হয়েছে ৪০ বল। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে স্টোকেলকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন নাহিদা আকতার।

শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের যখন ১৫ রান দরকার, তখন বোলিংয়ে আসেন স্বর্ণা আকতার। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে মেরে দুই রান নিতে যান লরা ডেলানি। তাতে রান আউটের ফাঁদে পড়েন আর্লেন কেলি। চাপের মধ্যে থেকে দারুণভাবে ম্যাচ বের করে আনেন ডেলানি। স্বর্ণাকে শেষ ওভারের তৃতীয় থেকে পঞ্চম-টানা তিন বলে তিন চার মেরে আইরিশদের জয় এনে দেন ডেলানি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে ডেলানির ব্যাটে।৩১ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৪ চার। ম্যাচসেরা হয়েছেন ডেলানি।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক লুইস। প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশের একটা পর্যায়ে স্কোর ছিল ১৩.৩ ওভারে ১ উইকেটে ১০৪ রান। এরপরই খেই হারায় স্বাগতিকেরা। শেষ ৩৯ বলে ১৯ রান যোগ করতে বাংলাদেশ হারিয়েছে আরও ৬ উইকেট। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৩ রানে থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। সোবহানার ৪৩ বলে ৪৫ রানই বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর। তিনি মেরেছেন ৬ চার।

আয়ারল্যান্ডের সেরা বোলার প্রেন্ডারগাস্ট নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৪ ওভারে খরচ করেন ২২ রান। যেখানে ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্বর্ণা আকতার ও রিতু মণিকে পরপর দুই বলে ফেরান প্রেন্ডারগাস্ট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সিরিজসেরা হয়েছেন প্রেন্ডারগাস্ট। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে করেছেন ৫৪ রান। নিয়েছেন ১০ উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন চীন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৩
কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের গ্রুপপর্বে ভিয়েতনাম, চীন ও স্বাগতিক থাইল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ। আজ ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ড্রয়ে পট থেকে প্রথমেই তোলা হয় বাংলাদেশের নাম। যথারীতি ‘এ’ গ্রুপেই রাখা হয় আফঈদা-সাগরিকাদের।

প্রথমবার এই আসর খেলতে যাওয়ায় অনুমিত ছিল কঠিন প্রতিপক্ষ জুটবে। হয়েছেও তাই। র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০৪ এ থাকা বাংলাদেশ প্রথমে পেয়েছে ৬৭ ধাপ এগিয়ে থাকা ভিয়েতনামকে (৩৭)। গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে পরে অন্তর্ভুক্ত হয় চীন (১৬)। যারা ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছে। কিছুদিন আগে থাইল্যান্ডে গিয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপে স্বাগতিকেরা (৫৩) জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের গ্রুপেই।

আগামী বছরের এপ্রিলে থাইল্যান্ডে হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ। তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল জায়গা করে নেবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হবে তৃতীয় হওয়া সেরা দুটি দল। এরপর সেমিফাইনালে ওঠা চার দল সরাসরি টিকিট কাটবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে পোল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপে।

কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এর আগে গত আগস্টে বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘এইচ’-এ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া, স্বাগতিক লাওস ও পূর্ব তিমুর। ৩ ম্যাচের দুই জয় ও এক পরাজয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে মূলপর্বের টিকিট কাটে বাংলাদেশ। নিয়ম অনুযায়ী, বাছাইপর্বে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের পাশাপাশি সেরা তিন রানার্সআপ দলও মূলপর্বে খেলার সুযোগ পায়।

অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের গ্রুপিং

গ্রুপ এ: বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, চীন ও ভিয়েতনাম।

গ্রুপ বি: উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও জর্ডান।

গ্রুপ সি: জাপান, অস্ট্রেলিয়া, চায়নিজ তাইপে ও ভারত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৮ বছর পর খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটারের ৯ উইকেট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৪
১৪৪ রানে ৯ উইকেট নিয়েছেন ক্রেমার। ছবি: সংগৃহীত
১৪৪ রানে ৯ উইকেট নিয়েছেন ক্রেমার। ছবি: সংগৃহীত

৭ বছরের বিরতি কাটিয়ে সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে জিম্বাবুয়ে দলে ডাক পান গ্রায়েম ক্রেমার। তবে মাঠে নামা হয়নি তাঁর। এবার লম্বা সময় পর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে নেমে বল হাতে নজরকাটা পারফরম্যান্স উপহার দিলেন ক্রেমার।

এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন ক্রেমার। ৮ বছরের বিরতি কাটিয়ে লোগান কাপে রাইনোর হয়ে সাউদার্ন রকসের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন এই লেগস্পিনার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনটা বেশ ভালোভাবেই রাঙালেন ৩৯ বছর বয়সী ক্রেমার। দুর্দান্ত বোলিয়য়ে তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট।

কিউ কিউ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বৃষ্টির কারণে কোনো দল জিততে পারেনি। তবে অসাধারণ বোলিংয়ে ম্যাচের পুরো আলোটাই কেড়ে নিলেন ক্রেমার। ম্যাথু ক্যাম্পবেলকে আউট করে এর শুরুটা করেন তিনি। মাঝে কেবল রয় কাইয়ার উইকেট নেন মাইকেল চিনুয়া। বাকি সব উইকেট পকেটে পুরেন ক্রেমার। ৯ উইকেট নেওয়ার পথে ৪৬.২ ওভারে ১৪৪ রান খরচ করেন এই স্পিনার।

জিম্বাবুয়ের চতুর্থ বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৯ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন ক্রেমার। ৯ উইকেট নেওয়া দেশটির বাকি তিনজন হলেন মাইক প্রক্টর, জন রেনি ও স্টিভেন পিয়াল।

ক্রেমারের ঘূর্ণি বোলিংয়ে অলআউট হওয়ার আগে ৩৪৭ রান তোলে রকস। সর্বোচ্চ ১০০ রানের ইনিংস খেলেন তাফাজাওয়া সিগা। পানাশে তারুভিঙ্গার অবদান ৯৩ রান।

২০০৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন ক্রেমার। দেশের হয়ে ১৯ টেস্ট, ৯৬ ওয়ানডের পাশাপাশি ২৯টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ২০১৮ সালের মার্চের পর আর দেশের জার্সিতে নামা হয়নি ক্রেমারের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হ্যাটট্রিক করে দুই কিংবদন্তির পাশে লেভা

ক্রীড়া ডেস্ক    
হ্যাট্রটিকের পর লেভা যেন উড়তে চাইলেন। ছবি: এক্স
হ্যাট্রটিকের পর লেভা যেন উড়তে চাইলেন। ছবি: এক্স

চোটের কারণে এক মাস মাঠের বাইরে থাকার পর লা লিগায় সেলতা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবার শুরুর একাদশে নামেন রবার্ট লেভানডভস্কি। ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলেন ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে। হ্যাটট্রিক করেছেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। তাতেই দুই কিংবদন্তি ফুটবল ফেরেঙ্ক পুসকাস ও আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর পাশে বসেছেন ৩৭ বছর বয়সী লেভা।

লা লিগায় এটা লেভার তৃতীয় হ্যাটট্রিক। ডি স্টেফানো ও পুসকাসের পর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ৩৫ পেরোনোর পর স্পেনের শীর্ষ লিগে তিনটি হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড। বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে ২০২২-২৩ মৌসুমে কাতালান ক্লাবে যোগ দেন লেভা। দ্বিতীয় মৌসুমে বার্সার হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান–প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া। গত মৌসুমে আলাভেসের বিপক্ষে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করেন তিনি। এবার সেলতার জালে তিনবার বল পাঠিয়ে পুসকাস ও ডি স্টেফানোর রেকর্ডে ভাগ বসালেন লেভা।

তাঁর হ্যাটট্রিকের দিনে সেলতাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বার্সা। বালাইদোস স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই দুইবার জালের দেখা পান লেভা। বিরতির পরও আরও এক গোল করেন। সফরকারী দলের হয়ে বাকি গোলটি করেন লামিনে ইয়ামাল। নিজেদের মাঠে দুই দফা সমতায় ফিরে লড়াইয়ের আভাস দিলেও আর বার্সার সঙ্গে পেরে উঠেনি সেলতা।

বার্সার জয়ের দিনে স্কোরশিটে নাম উঠেনি মার্কাশ রাশফোর্ডের। এরপরও দলের পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ায় অবদান আছে এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের। জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে দারুণ একটা দিনই পার হলো বার্সার ফরোয়ার্ডদের জন্য।

এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান তিনে নামিয়ে এনেছে বার্সা। একি দিন রায়ো ভায়োকানোর সঙ্গে হোঁচট খেয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। তাদের সংগ্রহ ৩১ পয়েন্ট। বার্সার নামের পাশে আছে ২৮ পয়েন্ট। উভয় দলই খেলেছে সমান ১২ ম্যাচ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ১১
ফুটবল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আসিফ। ছবি: সংগৃহীত
ফুটবল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। আসিফ ক্ষমা না চাইলে বড় অ্যাকশনে যাবেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

আজকের পত্রিকাকে জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘তিনি যদি ক্ষমা না চান, তাঁর বিরুদ্ধে বিশাল অ্যাকশনে যাব। বিসিবিতে আমরা চিঠি দেব তাঁকে বিতাড়িত করার। তাঁর এ কথা শুনে দেখলাম বুলবুল ভাইয়েরা তালি দিচ্ছে। এটার বিরুদ্ধে চরম অ্যাকশন হবে। মানহানির মামলা দেওয়া হবে।’

কোন ফুটবলার আসিফের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন, তা জানতে চান জাতীয় দলের ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে ফুটবল ও ফুটবলারদের নিয়ে এমন বক্তব্যকে ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ সব খেলাই আমাদের। কোনো খেলাকে ছোট করে দেখার নেই। তবে আসিফ আকবরের এমন বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। অবশ্যই এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। উনার কাছে আমি জানতে চাওয়া, কোন ফুটবল খেলোয়াড় উনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন?’

আসিফের বক্তব্যে বৈষম্যের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন আরেক ডিফেন্ডার জাহিদ হাসান শান্ত, ‘কোনো সময় ক্রিকেটকে ছোট করে দেখিনি। পদ পেয়ে আপনার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। ইউরোপের দেশগুলো যদি ক্রিকেট খেলত, তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেট কোথায় থাকত? বিশ্বে কয়টা দেশ ক্রিকেট খেলে, আর কয়টা দেশে ফুটবল খেলে? এভাবে ফুটবলকে ছোট করে আপনার কথা বলা ঠিক হয়নি। আপনি ফুটবল আর ক্রিকেটের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করলেন। আশা করি, লাইভে এসে বিষয়টা সমাধান করবেন। শেষে মারামারির কথাটা বলে বোঝালেন আপনি একটা অযোগ্য এবং সেবনকারী।’

জাতীয় দলের স্ট্রাইকার আল আমিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ফুটবল পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। জনাব আসিফ আকবর সাহেব, যে অভিব্যক্তিতে কথা বলেছেন—সেটি স্পোর্টসের ভাষা নয়। তিনি ডিসিপ্লিন ইস্যুতে কথা বলেছেন। ফুটবল অনেক শারীরিক খেলা হলেও ধৈর্য ধারণ করতে হয়, প্রতিপক্ষকে সম্মান জানিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। অসদাচরণ কিংবা ফাউলের জন্য রেফারির ইনস্ট্যান্ট সিদ্ধান্ত মেনে মাঠও ছাড়তে হয়। তা ছাড়া ন্যাশনাল ক্যাম্পে খাবার থেকে শুরু করে টাইম ম্যানেজমেন্ট সব চলে নিয়মমাফিক। নিয়মের হেরফের হলেই গুনতে হয় শাস্তি। তাই ফুটবলারদের দয়া করে ডিসিপ্লিন শেখাতে আসবেন না। আপনাকে অবশ্যই এর জন্য অনুতপ্ত হওয়া উচিত!’

ফেসবুক পোস্টে আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচ মারুফুল হক লিখেছেন, ‘ওনার স্কুল বা কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করছিলেন স্টেডিয়ামে বিপিএল এর খেলা বন্ধ করে, একজন মাঠ প্রেমিক হলে স্টেডিয়ামে অন্য অনুষ্ঠান কিভাবে করেন? বাফুফে ফুটবল চালায় ৪ জেলায়, বাকি ৬০ জেলায় ক্রিকেট এর খবর রাখেন কি জনাব?

এর আগে গতকাল ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ক্রিকেট কনফারেন্সে আসিফ বলেন, ‘ফুটবলারদের জন্য (ক্রিকেট) খেলা যাচ্ছে না সারা দেশে। তারা উইকেট ভেঙে ফেলল, উইকেট নষ্ট করে ফেলেছে। আবার ২৪ তারিখ আবাহনী-মোহামেডান ফুটবল খেলা কুমিল্লা স্টেডিয়ামে। এই সমস্যাটা শুধু কুমিল্লার না। প্রতিটা জেলার স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে ফুটবল, প্রতিটা জেলার যেখানে ফুটবলের কাজ নেই, সেখানেও ফুটবল দখল করে রেখেছে এবং ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত