ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা দুটো দলেরই এরই মধ্যে ২০২৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে। নেট রানরেটে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে থাকলেও ম্যাচ বেশি জেতায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ভারত। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে রয়েছে শীর্ষে ওঠার সুযোগ। প্রোটিয়াদের ৩২৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত।
কলকাতায় টস জিতে আজ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। স্বাগতিকদের ইনিংসে রান তোলার গতি ছিল রোলার কোস্টারের মতো। কখনো টি-টোয়েন্টি মেজাজে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং, কখনো ধীরে সুস্থে ইনিংস গড়ছিল ভারত। বিশেষ করে অধিনায়ক রোহিতের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে প্রথম পাঁচ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬১ রান করেছিল ভারতীয়রা। তবে স্বাগতিক অধিনায়কের ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে কাগিসো রাবাদাকে অফ সাইডে তুলে মারতে যান রোহিত। মিড অফে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ২৪ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান করেছেন রোহিত। শুবমান গিলের সঙ্গে ৩৫ বলে ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
রোহিতের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন বিরাট কোহলি। গিলকে নিয়ে সাবলীলভাবে খেলতে থাকেন কোহলি। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯১ রান করেছে ভারত। তবে প্রথম পাওয়ারপ্লের পরই গিল-কোহলির দ্বিতীয় উইকেটে জুটি ভেঙে যায়। ১১ তম ওভারের তৃতীয় বলে কেশব মহারাজের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ২৪ বলে ২৩ রান করা গিল। ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১০.৩ ওভারে ২ উইকেটে ৯৩ রান।
রোহিত, গিল-দুই ওপেনারের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন শ্রেয়াস আয়ার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে আয়ার, কোহলি ধীরেসুস্থে ব্যাটিং করতে থাকেন। যেখানে ১২২ রানেই ভারতের তৃতীয় উইকেট পড়তে পারত। ২০ তম ওভারের প্রথম বলে তাবরেইজ শামসিকে ফ্লিক করতে যান কোহলি। তুলনামূলক কঠিন ক্যাচ মিস করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। ব্যক্তিগত ৩৬ রানে জীবন পাওয়া কোহলি এরপর ফিফটি পেয়েছেন ২৯ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। লং অফে সিঙ্গেল নিয়ে নিজের ৩৫ তম জন্মদিনে পেয়েছেন ৭১ তম ওয়ানডে ফিফটি।
কোহলির মতো ফিফটি তুলে নিয়েছেন আয়ার। ফিফটির পর আয়ার বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন। মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়ার আক্ষেপ আজ ঘোচাবেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি আয়ারের। ৩৭ তম ওভারের পঞ্চম বলে লুঙ্গি এনগিদিকে তুলে মারতে যান আয়ার। টপ এজ হওয়া বল মিড অনে তালুবন্দী করেছেন এইডেন মার্করাম। তাতে ভেঙে যায় আয়ার ও কোহলির তৃতীয় উইকেটে ১৫৮ বলে ১৩৪ রানের জুটি। ৮৭ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭৭ রান করেছেন আয়ার।
আয়ারের বিদায়ের পর লোকেশ রাহুল উইকেটে এসেও আশানুরূপ ইনিংস খেলতে পারেননি। ১৭ বলে ৮ রান করেছেন রাহুল। যেখানে ৪৩ তম ওভারের প্রথম বলে মার্কো ইয়ানসেনকে তুলে মারতে যান রাহুল। ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে দৌড়ে এসে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন রাসি ফন ডার ডাসেন। আয়ার, রাহুলের দ্রুত বিদায়ের পর সূর্যকুমার যাদব উইকেটে এসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে ১৪ বলে ৫ চারে ২২ রান করে আউট হয়েছেন সূর্যকুমার। যেখানে ৪৬ তম ওভারের শেষ বলে শামসিকে রিভার্স সুইপ করতে যান সূর্য। এজ হওয়া বল ডাইভ দিয়ে দুর্দান্তভাবে ক্যাচ ধরেছেন ডি কক। তাতে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৪৬ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮৫ রান।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মধ্যে কোহলি খেলছিলেন ধীরে সুস্থে। নিজের ৩৫ তম জন্মদিনকে এরপর স্মরণীয় করে রেখেছেন দারুণভাবে। ৪৯ তম ওভারের তৃতীয় বলে রাবাদাকে কাভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে কোহলি গড়েছেন রেকর্ড। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৯ তম সেঞ্চুরি করে কোহলি ভাগ বসিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ডে। শচীনের রেকর্ডে ভাগ বসাতে কোহলির লেগেছে ১১৯ বল। কোহলির সেঞ্চুরির অনুপ্রেরণা থেকেই যেন শেষ ওভারে জ্বলে উঠেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। শেষ ওভার বোলিং করতে আসা মার্কো ইয়ানসেনকে একটি ছক্কা ও দুই চার মেরেছেন জাদেজা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২৬ রান করেছে ভারত। ইনিংস সর্বোচ্চ ১০১ রান এসেছে কোহলির ব্যাট থেকে। ১২১ বলের ইনিংসে ১০টা চার মেরেছেন, কোনো ছক্কা মারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে ১টি করে লুঙ্গি এনগিদি, ইয়ানসেন, রাবাদা, মহারাজ ও শামসি। তার মধ্যে সবচেয়ে কম ৩০ রান দিয়েছেন মহারাজ। ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯৪ রান খরচ করেছেন ইয়ানসেন।
ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা দুটো দলেরই এরই মধ্যে ২০২৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে। নেট রানরেটে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে থাকলেও ম্যাচ বেশি জেতায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ভারত। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে রয়েছে শীর্ষে ওঠার সুযোগ। প্রোটিয়াদের ৩২৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত।
কলকাতায় টস জিতে আজ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। স্বাগতিকদের ইনিংসে রান তোলার গতি ছিল রোলার কোস্টারের মতো। কখনো টি-টোয়েন্টি মেজাজে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং, কখনো ধীরে সুস্থে ইনিংস গড়ছিল ভারত। বিশেষ করে অধিনায়ক রোহিতের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে প্রথম পাঁচ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬১ রান করেছিল ভারতীয়রা। তবে স্বাগতিক অধিনায়কের ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে কাগিসো রাবাদাকে অফ সাইডে তুলে মারতে যান রোহিত। মিড অফে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ২৪ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান করেছেন রোহিত। শুবমান গিলের সঙ্গে ৩৫ বলে ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
রোহিতের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন বিরাট কোহলি। গিলকে নিয়ে সাবলীলভাবে খেলতে থাকেন কোহলি। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯১ রান করেছে ভারত। তবে প্রথম পাওয়ারপ্লের পরই গিল-কোহলির দ্বিতীয় উইকেটে জুটি ভেঙে যায়। ১১ তম ওভারের তৃতীয় বলে কেশব মহারাজের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ২৪ বলে ২৩ রান করা গিল। ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১০.৩ ওভারে ২ উইকেটে ৯৩ রান।
রোহিত, গিল-দুই ওপেনারের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন শ্রেয়াস আয়ার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে আয়ার, কোহলি ধীরেসুস্থে ব্যাটিং করতে থাকেন। যেখানে ১২২ রানেই ভারতের তৃতীয় উইকেট পড়তে পারত। ২০ তম ওভারের প্রথম বলে তাবরেইজ শামসিকে ফ্লিক করতে যান কোহলি। তুলনামূলক কঠিন ক্যাচ মিস করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। ব্যক্তিগত ৩৬ রানে জীবন পাওয়া কোহলি এরপর ফিফটি পেয়েছেন ২৯ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। লং অফে সিঙ্গেল নিয়ে নিজের ৩৫ তম জন্মদিনে পেয়েছেন ৭১ তম ওয়ানডে ফিফটি।
কোহলির মতো ফিফটি তুলে নিয়েছেন আয়ার। ফিফটির পর আয়ার বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন। মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়ার আক্ষেপ আজ ঘোচাবেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি আয়ারের। ৩৭ তম ওভারের পঞ্চম বলে লুঙ্গি এনগিদিকে তুলে মারতে যান আয়ার। টপ এজ হওয়া বল মিড অনে তালুবন্দী করেছেন এইডেন মার্করাম। তাতে ভেঙে যায় আয়ার ও কোহলির তৃতীয় উইকেটে ১৫৮ বলে ১৩৪ রানের জুটি। ৮৭ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭৭ রান করেছেন আয়ার।
আয়ারের বিদায়ের পর লোকেশ রাহুল উইকেটে এসেও আশানুরূপ ইনিংস খেলতে পারেননি। ১৭ বলে ৮ রান করেছেন রাহুল। যেখানে ৪৩ তম ওভারের প্রথম বলে মার্কো ইয়ানসেনকে তুলে মারতে যান রাহুল। ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে দৌড়ে এসে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন রাসি ফন ডার ডাসেন। আয়ার, রাহুলের দ্রুত বিদায়ের পর সূর্যকুমার যাদব উইকেটে এসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে ১৪ বলে ৫ চারে ২২ রান করে আউট হয়েছেন সূর্যকুমার। যেখানে ৪৬ তম ওভারের শেষ বলে শামসিকে রিভার্স সুইপ করতে যান সূর্য। এজ হওয়া বল ডাইভ দিয়ে দুর্দান্তভাবে ক্যাচ ধরেছেন ডি কক। তাতে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৪৬ ওভারে ৫ উইকেটে ২৮৫ রান।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মধ্যে কোহলি খেলছিলেন ধীরে সুস্থে। নিজের ৩৫ তম জন্মদিনকে এরপর স্মরণীয় করে রেখেছেন দারুণভাবে। ৪৯ তম ওভারের তৃতীয় বলে রাবাদাকে কাভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে কোহলি গড়েছেন রেকর্ড। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৯ তম সেঞ্চুরি করে কোহলি ভাগ বসিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ডে। শচীনের রেকর্ডে ভাগ বসাতে কোহলির লেগেছে ১১৯ বল। কোহলির সেঞ্চুরির অনুপ্রেরণা থেকেই যেন শেষ ওভারে জ্বলে উঠেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। শেষ ওভার বোলিং করতে আসা মার্কো ইয়ানসেনকে একটি ছক্কা ও দুই চার মেরেছেন জাদেজা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২৬ রান করেছে ভারত। ইনিংস সর্বোচ্চ ১০১ রান এসেছে কোহলির ব্যাট থেকে। ১২১ বলের ইনিংসে ১০টা চার মেরেছেন, কোনো ছক্কা মারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে ১টি করে লুঙ্গি এনগিদি, ইয়ানসেন, রাবাদা, মহারাজ ও শামসি। তার মধ্যে সবচেয়ে কম ৩০ রান দিয়েছেন মহারাজ। ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯৪ রান খরচ করেছেন ইয়ানসেন।
ভারতের আপত্তিতে গত বছর এশিয়া কাপ হয়েছিল হাইব্রিড মডেলে। এবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে ২০২৫ এশিয়া কাপ হওয়া নিয়ে। এশিয়ার ক্রিকেটীয় সৌন্দর্যই যেন প্রায় বিলীন ভারত-পাকিস্তানের রেষারেষিতে। সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চলছে চরম উত্তেজনা।
৪ ঘণ্টা আগেআগের রাতে জিততে ঘাম ছুটে গিয়েছিল বার্সেলোনার। যদিও রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল সাজিয়েছিল তারা। তবে আজ সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে পূর্ণ শক্তি নিয়েই মাঠে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। শুরুতে দাপট দেখানোর পরও তারা মাঠ ছেড়েছে ৩-২ ব্যবধানের কষ্টের জয় নিয়ে। তবে দুই দল স্বস্তি পাচ্ছে এই ভেবে যে এল ক্
৬ ঘণ্টা আগেটি-টোয়েন্টিতে নতুন যুগের শুরুটা তাহলে করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যার শুরুটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) হয়েছে লিটন দাসকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক ঘোষণা করে। পাকিস্তান-সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এই দুই দলের সিরিজ দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব শুরু হচ্ছে লিটনের।
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছে গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই সিরিজে লিটন দাস ছিলেন অধিনায়ক। এবার তাঁকেই স্থায়ীভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয়েছে। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক।
১০ ঘণ্টা আগে