Ajker Patrika

চট্টগ্রামকে বিদায় করে ফাইনালে কুমিল্লা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চট্টগ্রামকে বিদায় করে ফাইনালে কুমিল্লা

প্রথম কোয়ালিফায়ারেই ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারতো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু ফরচুন বরিশালের বোলিং নৈপুণ্যের কাছে হেরে যায় তারা। কিন্তু দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠার সুযোগ পেয়ে আর ভুল করেনি দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যের পর ব্যাটিংয়েও ঝড় তোলে সুনীল নারাইন-মঈন আলীরা। আর তাতেই ৭ উইকেটের জয়ে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে কুমিল্লা।

আজ বুধবার আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারের আগেই ১৪৮ রানে থামে চট্টগ্রাম। ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলিংয়েও ছন্ন ছাড়া তারা। আর তাতেই ৫০ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় কুমিল্লা।

টস জিতে ব্যাট করতে এসে ঝড়ে আভাস দিয়েই থামেন চট্টগ্রামের সফলতম ব্যাটসম্যান উইল জ্যাকস। ৯ বলে ১৬ রান করে শহিদুল ইসলামের শিকার হন তিনি। অবশ্য এর আগেই আন্দ্রে ফ্লেচার ও তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ হন এই ইংলিশ ক্রিকেটার।

চট্টগ্রামকে চেপে ধরতে পাওয়ার প্লেতে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা আঁকেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ছয় ওভারের সব কয়টিতেই ভিন্ন ভিন্ন বোলারকে ব্যবহার করেন তিনি। আর এতেই সফল কুমিল্লার বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪৩ রানে তুলেন নেয় চট্টগ্রামের চার ব্যাটসম্যান। ষষ্ঠ ওভারেই পরপর দুই বলে দুই শিকার মঈন আলীর।

চার টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানের বিদায়ে বিপাকে পড়ে চট্টগ্রাম। কিন্তু দলকে সেই চাপ মুক্ত করার আগেই অধিনায়ক আফিফ হোসেন (১০ বলে ১০) নিজেই ফেরেন সাজঘরে। ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ ও আকবর আলী। তাদের ৬১ রানের জুটি ভাঙলে সাজঘরে ফেরেন আকবর (২০ বলে ৩৩)।

সাতে এসে মিরাজের ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন বেনি হাওয়েল। এরপর ৪৪ রান করে মিরাজও ফিরলে চট্টগ্রামের রানের চাকা প্রায় থেমে যায়। যদিও শেষ দিকে পরপর দুই ছক্কায় দলকে ১৪৮ রানের পুঁজি এনে দেন মৃত্যুঞ্জয় (৯ বলে ১৫)।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় কুমিল্লা। প্রথম বলে উইকেটরক্ষকের ক্যাচবন্দি হন লিটন দাস। এরপর বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। ওপেনিংয়ে এসে চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান নারাইন। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে বিপিএলে রেকর্ড গড়ে ১৩ বলে অর্ধশতক করেন তিনি। দলে অর্ধশতকও হয় রেকর্ড ২০ বলে। ১৬ বলে ৬ ছক্কা ও ৫ চারে ৫৭ করা নারাইনকে ফেরান মৃত্যুঞ্জয়। 

যে ঝড় তুলেছেন নারাইন সেই ঝড়ের বাতাস লেগেছে ফাফ ডু প্লেসি ও মঈন আলীর ব্যাটেও। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ২৪ বলে ২২ রান করে বিদায় নিলে এই জুটি টেনে নেয় কুমিল্লাকে। তাদের ৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ভর করে সাত উইকেটে জয় নিয়ে ফাইনালে ওঠে কুমিল্লা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

মধুপুরে বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে জুতাপেটা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত