আহমেদ রিয়াদ, কানপুর থেকে

লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরিটা হবে তো? হলে তৃপ্তি নিয়ে লাঞ্চ করা যাবে, নাহলে টেনশন নিয়ে বিরতিতে যেতে হবে ৷ মুমিনুল হকের সামনে সমীকরণ যেন ‘টেস্টি লাঞ্চ বনাম টেনশনের লাঞ্চ’!
‘ধুচ্ছাই! ৪ রানের জন্য এত টেনশন নিয়ে লাঞ্চে যাওয়ার কোনো মানে আছে!’—এ ভাবনাতেই কিনা রবীচন্দ্রণ অশ্বিনকে সুইপে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটা তুলে নিয়েই মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেলেন মুমিনুল। উদ্যাপনে স্বভাবসুলভ সাদামাটা: এক হাতে ব্যাট, আরেক হাতে হেলমেট উঁচিয়ে ধরার পর একটা সেজদা। তবে দেখার মতো দৃশ্য হলো ড্রেসিংরুমে ফেরার সময়। প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি এগিয়ে এসে পিঠ চাপড়ে দিলেন মুমিনুলকে। ভারতের মাঠে এমন সেঞ্চুরির পর অবশ্য বাহাবা তিনি অনেকেরই পাবেন। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে রবি শাস্ত্রী, দিনেশ কার্তিকেরা প্রশংসায় ভাসালেন মুমিনুলকে। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকেই যেমন রবি শাস্ত্রী বলছিলেন, ‘আ গ্রেট ইনিংস ফ্রম দিস লিটল ম্যান।’
তামিম ইকবাল তুলে ধরছিলেন মুমিনুলের কঠিন বাস্তবতা। শুধু খেলেন টেস্ট ম্যাচ। তিন-চার বছর আগেও বাংলাদেশ বছরে খেলত ২-৩টা করে টেস্ট। এখন তবু টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে। মুমিনুলের মতো একটি সংস্করণ বিশেষ করে শুধুই টেস্ট খেলা খেলোয়াড়দের জন্য নিজেকে দারুণ কিছু করতে উজ্জীবিত করা যথেষ্ট কঠিন। মুমিনুল সেই কঠিন কাজটাই করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর ৷
৪০ রান নিয়ে মুমিনুল আজ চতুর্থ দিনে ব্যাটিং শুরু করেন। সতীর্থরা যেখানে বিলাসী শটে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন, মুমিনুল দিয়েছেন ধৈর্যের পরিচয়। সকালের শুরুতে জসপ্রীত বুমরা, আকাশ দীপ, মোহাম্মদ সিরাজদের পেস বোলিংয়ে কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও পরে সেটা মুমিনুল সামলেছেন দারুণভাবে। বলের মেরিট বুঝে কখনো আপার কাট, স্কয়ার কাট, সুইপ, স্লগ সুইপ, কখনো শৌর্যের প্রতীক পুল শট, আবার কখনো দৃষ্টিনন্দনে ড্রাইভে নিজের রানের চাকা সচল রেখেছেন। ১৭২ বলে তুলেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি। ১৫ মাস পর টেস্টে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন মুমিনুল। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে সবশেষ বেশি সেঞ্চুরি তিনি পেয়েছিলেন ২০২৩ সালের জুনে মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। কানপুরে পেসারদের বিপক্ষে ৫৬ শতাংশ রান তুলেছেন, স্পিনারদের বিপক্ষে তুলেছেন ৪৪ শতাংশ। মুমিনুল ভালো পরীক্ষাই নিচ্ছেন ভারতীয় বোলারদের ৷
বিপদে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তুলতে মুমিনুলের এই সেঞ্চুরির আরও একটি বিশেষত্ব রয়েছে। মুশফিকুর রহিমের পর ভারতের মাঠে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বনে গেলেন মুমিনুল। সেঞ্চুরির পর ভারতের ক্রিকেটারদের কাছ থেকেও তাই অভিবাদন পেয়েছেন মুমিনুল।
চেন্নাই টেস্টে (০ ও ১৩) ব্যর্থ হলেও কানপুরে এসে সেই চেনা মুমিনুল নিজেকে ফিরে পেলেন। বনে গেলেন কানপুরে বাংলাদেশের ব্যাটারদের রণের কান্ডারি। অথচ এই মুমিনুল বাংলাদেশের হয়ে মাত্র একটি ফরম্যাটে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পান আন্তর্জাতিক মঞ্চে। বিপিএলেও নিয়মিত খেলার সুযোগ পান না। বাংলাদেশের জার্সিতে সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে বিবেচনা করা হয় না অনেক দিন।
কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে আজ সকালে ধারাভাষ্যের মঞ্চে মাইক্রোফোন হাতে তামিম ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে আলাপে মুমিমুলকে নিয়ে বলছিলেন, ‘এই মুমিনুল বাংলাদেশের এমন এক ক্রিকেটার,যিনি বছরে এক সংস্করণের ক্রিকেটে খেলে নিজেকে অনুপ্রাণিত করছেন, যা সত্যি একজন ক্রিকেটারের জন্য দারুণ কষ্টকর। একই সঙ্গে কঠিনও। কিন্তু এই কঠিন কাজটাই বছরের পর বছর করে চলেছেন মুমিনুল।’

লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরিটা হবে তো? হলে তৃপ্তি নিয়ে লাঞ্চ করা যাবে, নাহলে টেনশন নিয়ে বিরতিতে যেতে হবে ৷ মুমিনুল হকের সামনে সমীকরণ যেন ‘টেস্টি লাঞ্চ বনাম টেনশনের লাঞ্চ’!
‘ধুচ্ছাই! ৪ রানের জন্য এত টেনশন নিয়ে লাঞ্চে যাওয়ার কোনো মানে আছে!’—এ ভাবনাতেই কিনা রবীচন্দ্রণ অশ্বিনকে সুইপে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটা তুলে নিয়েই মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেলেন মুমিনুল। উদ্যাপনে স্বভাবসুলভ সাদামাটা: এক হাতে ব্যাট, আরেক হাতে হেলমেট উঁচিয়ে ধরার পর একটা সেজদা। তবে দেখার মতো দৃশ্য হলো ড্রেসিংরুমে ফেরার সময়। প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি এগিয়ে এসে পিঠ চাপড়ে দিলেন মুমিনুলকে। ভারতের মাঠে এমন সেঞ্চুরির পর অবশ্য বাহাবা তিনি অনেকেরই পাবেন। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে রবি শাস্ত্রী, দিনেশ কার্তিকেরা প্রশংসায় ভাসালেন মুমিনুলকে। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকেই যেমন রবি শাস্ত্রী বলছিলেন, ‘আ গ্রেট ইনিংস ফ্রম দিস লিটল ম্যান।’
তামিম ইকবাল তুলে ধরছিলেন মুমিনুলের কঠিন বাস্তবতা। শুধু খেলেন টেস্ট ম্যাচ। তিন-চার বছর আগেও বাংলাদেশ বছরে খেলত ২-৩টা করে টেস্ট। এখন তবু টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে। মুমিনুলের মতো একটি সংস্করণ বিশেষ করে শুধুই টেস্ট খেলা খেলোয়াড়দের জন্য নিজেকে দারুণ কিছু করতে উজ্জীবিত করা যথেষ্ট কঠিন। মুমিনুল সেই কঠিন কাজটাই করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর ৷
৪০ রান নিয়ে মুমিনুল আজ চতুর্থ দিনে ব্যাটিং শুরু করেন। সতীর্থরা যেখানে বিলাসী শটে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন, মুমিনুল দিয়েছেন ধৈর্যের পরিচয়। সকালের শুরুতে জসপ্রীত বুমরা, আকাশ দীপ, মোহাম্মদ সিরাজদের পেস বোলিংয়ে কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও পরে সেটা মুমিনুল সামলেছেন দারুণভাবে। বলের মেরিট বুঝে কখনো আপার কাট, স্কয়ার কাট, সুইপ, স্লগ সুইপ, কখনো শৌর্যের প্রতীক পুল শট, আবার কখনো দৃষ্টিনন্দনে ড্রাইভে নিজের রানের চাকা সচল রেখেছেন। ১৭২ বলে তুলেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি। ১৫ মাস পর টেস্টে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন মুমিনুল। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে সবশেষ বেশি সেঞ্চুরি তিনি পেয়েছিলেন ২০২৩ সালের জুনে মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। কানপুরে পেসারদের বিপক্ষে ৫৬ শতাংশ রান তুলেছেন, স্পিনারদের বিপক্ষে তুলেছেন ৪৪ শতাংশ। মুমিনুল ভালো পরীক্ষাই নিচ্ছেন ভারতীয় বোলারদের ৷
বিপদে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তুলতে মুমিনুলের এই সেঞ্চুরির আরও একটি বিশেষত্ব রয়েছে। মুশফিকুর রহিমের পর ভারতের মাঠে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বনে গেলেন মুমিনুল। সেঞ্চুরির পর ভারতের ক্রিকেটারদের কাছ থেকেও তাই অভিবাদন পেয়েছেন মুমিনুল।
চেন্নাই টেস্টে (০ ও ১৩) ব্যর্থ হলেও কানপুরে এসে সেই চেনা মুমিনুল নিজেকে ফিরে পেলেন। বনে গেলেন কানপুরে বাংলাদেশের ব্যাটারদের রণের কান্ডারি। অথচ এই মুমিনুল বাংলাদেশের হয়ে মাত্র একটি ফরম্যাটে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পান আন্তর্জাতিক মঞ্চে। বিপিএলেও নিয়মিত খেলার সুযোগ পান না। বাংলাদেশের জার্সিতে সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে বিবেচনা করা হয় না অনেক দিন।
কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে আজ সকালে ধারাভাষ্যের মঞ্চে মাইক্রোফোন হাতে তামিম ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে আলাপে মুমিমুলকে নিয়ে বলছিলেন, ‘এই মুমিনুল বাংলাদেশের এমন এক ক্রিকেটার,যিনি বছরে এক সংস্করণের ক্রিকেটে খেলে নিজেকে অনুপ্রাণিত করছেন, যা সত্যি একজন ক্রিকেটারের জন্য দারুণ কষ্টকর। একই সঙ্গে কঠিনও। কিন্তু এই কঠিন কাজটাই বছরের পর বছর করে চলেছেন মুমিনুল।’
আহমেদ রিয়াদ, কানপুর থেকে

লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরিটা হবে তো? হলে তৃপ্তি নিয়ে লাঞ্চ করা যাবে, নাহলে টেনশন নিয়ে বিরতিতে যেতে হবে ৷ মুমিনুল হকের সামনে সমীকরণ যেন ‘টেস্টি লাঞ্চ বনাম টেনশনের লাঞ্চ’!
‘ধুচ্ছাই! ৪ রানের জন্য এত টেনশন নিয়ে লাঞ্চে যাওয়ার কোনো মানে আছে!’—এ ভাবনাতেই কিনা রবীচন্দ্রণ অশ্বিনকে সুইপে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটা তুলে নিয়েই মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেলেন মুমিনুল। উদ্যাপনে স্বভাবসুলভ সাদামাটা: এক হাতে ব্যাট, আরেক হাতে হেলমেট উঁচিয়ে ধরার পর একটা সেজদা। তবে দেখার মতো দৃশ্য হলো ড্রেসিংরুমে ফেরার সময়। প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি এগিয়ে এসে পিঠ চাপড়ে দিলেন মুমিনুলকে। ভারতের মাঠে এমন সেঞ্চুরির পর অবশ্য বাহাবা তিনি অনেকেরই পাবেন। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে রবি শাস্ত্রী, দিনেশ কার্তিকেরা প্রশংসায় ভাসালেন মুমিনুলকে। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকেই যেমন রবি শাস্ত্রী বলছিলেন, ‘আ গ্রেট ইনিংস ফ্রম দিস লিটল ম্যান।’
তামিম ইকবাল তুলে ধরছিলেন মুমিনুলের কঠিন বাস্তবতা। শুধু খেলেন টেস্ট ম্যাচ। তিন-চার বছর আগেও বাংলাদেশ বছরে খেলত ২-৩টা করে টেস্ট। এখন তবু টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে। মুমিনুলের মতো একটি সংস্করণ বিশেষ করে শুধুই টেস্ট খেলা খেলোয়াড়দের জন্য নিজেকে দারুণ কিছু করতে উজ্জীবিত করা যথেষ্ট কঠিন। মুমিনুল সেই কঠিন কাজটাই করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর ৷
৪০ রান নিয়ে মুমিনুল আজ চতুর্থ দিনে ব্যাটিং শুরু করেন। সতীর্থরা যেখানে বিলাসী শটে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন, মুমিনুল দিয়েছেন ধৈর্যের পরিচয়। সকালের শুরুতে জসপ্রীত বুমরা, আকাশ দীপ, মোহাম্মদ সিরাজদের পেস বোলিংয়ে কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও পরে সেটা মুমিনুল সামলেছেন দারুণভাবে। বলের মেরিট বুঝে কখনো আপার কাট, স্কয়ার কাট, সুইপ, স্লগ সুইপ, কখনো শৌর্যের প্রতীক পুল শট, আবার কখনো দৃষ্টিনন্দনে ড্রাইভে নিজের রানের চাকা সচল রেখেছেন। ১৭২ বলে তুলেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি। ১৫ মাস পর টেস্টে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন মুমিনুল। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে সবশেষ বেশি সেঞ্চুরি তিনি পেয়েছিলেন ২০২৩ সালের জুনে মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। কানপুরে পেসারদের বিপক্ষে ৫৬ শতাংশ রান তুলেছেন, স্পিনারদের বিপক্ষে তুলেছেন ৪৪ শতাংশ। মুমিনুল ভালো পরীক্ষাই নিচ্ছেন ভারতীয় বোলারদের ৷
বিপদে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তুলতে মুমিনুলের এই সেঞ্চুরির আরও একটি বিশেষত্ব রয়েছে। মুশফিকুর রহিমের পর ভারতের মাঠে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বনে গেলেন মুমিনুল। সেঞ্চুরির পর ভারতের ক্রিকেটারদের কাছ থেকেও তাই অভিবাদন পেয়েছেন মুমিনুল।
চেন্নাই টেস্টে (০ ও ১৩) ব্যর্থ হলেও কানপুরে এসে সেই চেনা মুমিনুল নিজেকে ফিরে পেলেন। বনে গেলেন কানপুরে বাংলাদেশের ব্যাটারদের রণের কান্ডারি। অথচ এই মুমিনুল বাংলাদেশের হয়ে মাত্র একটি ফরম্যাটে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পান আন্তর্জাতিক মঞ্চে। বিপিএলেও নিয়মিত খেলার সুযোগ পান না। বাংলাদেশের জার্সিতে সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে বিবেচনা করা হয় না অনেক দিন।
কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে আজ সকালে ধারাভাষ্যের মঞ্চে মাইক্রোফোন হাতে তামিম ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে আলাপে মুমিমুলকে নিয়ে বলছিলেন, ‘এই মুমিনুল বাংলাদেশের এমন এক ক্রিকেটার,যিনি বছরে এক সংস্করণের ক্রিকেটে খেলে নিজেকে অনুপ্রাণিত করছেন, যা সত্যি একজন ক্রিকেটারের জন্য দারুণ কষ্টকর। একই সঙ্গে কঠিনও। কিন্তু এই কঠিন কাজটাই বছরের পর বছর করে চলেছেন মুমিনুল।’

লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরিটা হবে তো? হলে তৃপ্তি নিয়ে লাঞ্চ করা যাবে, নাহলে টেনশন নিয়ে বিরতিতে যেতে হবে ৷ মুমিনুল হকের সামনে সমীকরণ যেন ‘টেস্টি লাঞ্চ বনাম টেনশনের লাঞ্চ’!
‘ধুচ্ছাই! ৪ রানের জন্য এত টেনশন নিয়ে লাঞ্চে যাওয়ার কোনো মানে আছে!’—এ ভাবনাতেই কিনা রবীচন্দ্রণ অশ্বিনকে সুইপে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটা তুলে নিয়েই মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেলেন মুমিনুল। উদ্যাপনে স্বভাবসুলভ সাদামাটা: এক হাতে ব্যাট, আরেক হাতে হেলমেট উঁচিয়ে ধরার পর একটা সেজদা। তবে দেখার মতো দৃশ্য হলো ড্রেসিংরুমে ফেরার সময়। প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি এগিয়ে এসে পিঠ চাপড়ে দিলেন মুমিনুলকে। ভারতের মাঠে এমন সেঞ্চুরির পর অবশ্য বাহাবা তিনি অনেকেরই পাবেন। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে রবি শাস্ত্রী, দিনেশ কার্তিকেরা প্রশংসায় ভাসালেন মুমিনুলকে। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকেই যেমন রবি শাস্ত্রী বলছিলেন, ‘আ গ্রেট ইনিংস ফ্রম দিস লিটল ম্যান।’
তামিম ইকবাল তুলে ধরছিলেন মুমিনুলের কঠিন বাস্তবতা। শুধু খেলেন টেস্ট ম্যাচ। তিন-চার বছর আগেও বাংলাদেশ বছরে খেলত ২-৩টা করে টেস্ট। এখন তবু টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে। মুমিনুলের মতো একটি সংস্করণ বিশেষ করে শুধুই টেস্ট খেলা খেলোয়াড়দের জন্য নিজেকে দারুণ কিছু করতে উজ্জীবিত করা যথেষ্ট কঠিন। মুমিনুল সেই কঠিন কাজটাই করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর ৷
৪০ রান নিয়ে মুমিনুল আজ চতুর্থ দিনে ব্যাটিং শুরু করেন। সতীর্থরা যেখানে বিলাসী শটে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন, মুমিনুল দিয়েছেন ধৈর্যের পরিচয়। সকালের শুরুতে জসপ্রীত বুমরা, আকাশ দীপ, মোহাম্মদ সিরাজদের পেস বোলিংয়ে কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও পরে সেটা মুমিনুল সামলেছেন দারুণভাবে। বলের মেরিট বুঝে কখনো আপার কাট, স্কয়ার কাট, সুইপ, স্লগ সুইপ, কখনো শৌর্যের প্রতীক পুল শট, আবার কখনো দৃষ্টিনন্দনে ড্রাইভে নিজের রানের চাকা সচল রেখেছেন। ১৭২ বলে তুলেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি। ১৫ মাস পর টেস্টে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন মুমিনুল। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে সবশেষ বেশি সেঞ্চুরি তিনি পেয়েছিলেন ২০২৩ সালের জুনে মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। কানপুরে পেসারদের বিপক্ষে ৫৬ শতাংশ রান তুলেছেন, স্পিনারদের বিপক্ষে তুলেছেন ৪৪ শতাংশ। মুমিনুল ভালো পরীক্ষাই নিচ্ছেন ভারতীয় বোলারদের ৷
বিপদে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তুলতে মুমিনুলের এই সেঞ্চুরির আরও একটি বিশেষত্ব রয়েছে। মুশফিকুর রহিমের পর ভারতের মাঠে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বনে গেলেন মুমিনুল। সেঞ্চুরির পর ভারতের ক্রিকেটারদের কাছ থেকেও তাই অভিবাদন পেয়েছেন মুমিনুল।
চেন্নাই টেস্টে (০ ও ১৩) ব্যর্থ হলেও কানপুরে এসে সেই চেনা মুমিনুল নিজেকে ফিরে পেলেন। বনে গেলেন কানপুরে বাংলাদেশের ব্যাটারদের রণের কান্ডারি। অথচ এই মুমিনুল বাংলাদেশের হয়ে মাত্র একটি ফরম্যাটে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পান আন্তর্জাতিক মঞ্চে। বিপিএলেও নিয়মিত খেলার সুযোগ পান না। বাংলাদেশের জার্সিতে সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে বিবেচনা করা হয় না অনেক দিন।
কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে আজ সকালে ধারাভাষ্যের মঞ্চে মাইক্রোফোন হাতে তামিম ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে আলাপে মুমিমুলকে নিয়ে বলছিলেন, ‘এই মুমিনুল বাংলাদেশের এমন এক ক্রিকেটার,যিনি বছরে এক সংস্করণের ক্রিকেটে খেলে নিজেকে অনুপ্রাণিত করছেন, যা সত্যি একজন ক্রিকেটারের জন্য দারুণ কষ্টকর। একই সঙ্গে কঠিনও। কিন্তু এই কঠিন কাজটাই বছরের পর বছর করে চলেছেন মুমিনুল।’

২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচেই রানবন্যা দেখল ভক্তরা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সিলেট টাইটান্স এবং রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ম্যাচ চাহিদ মিটিয়েছে ভক্তদের। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে সিলেটকে ৮ উককেটে হারিয়েছে ত
২৭ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলতে গিয়েই নিজের জাত চেনাচ্ছেন রিশাদ হোসেন। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শে এই বাংলাদেশি লেগস্পিনারকে দলে টানে হোবার্ট হারিকেন্স। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানটা বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন রিশাদ।
৪৩ মিনিট আগে
সোনম ইয়েশি; ক্রিকেট বিশ্বে নামটি একেবারেই অচেনা। এবার ভুটানের এই অচেনা ক্রিকেটারই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন। আজ মিয়ানমারের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে রীতিমতো হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছেন তিনি। পেছনে ফেলেছেন তাসকিন আহমেদদের মতো পেসারদের।
২ ঘণ্টা আগে
রনি তালুকদার ও সাইম আইয়ুব যখন ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন, তখনই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে শোনা যায় হর্ষধ্বনি। সিলেট টাইটান্সের ইনিংসে পুরোটা জুড়েই ভক্ত-সমর্থকেরা উল্লাস করেছেন। মাঝখানে রান তোলার গতি কিছুটা কমে গেলেও পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচেই রানবন্যা দেখল ভক্তরা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সিলেট টাইটান্স এবং রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ম্যাচ চাহিদ মিটিয়েছে ভক্তদের। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে সিলেটকে ৮ উককেটে হারিয়েছে তারা।
১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী। জিতলেও শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে তানজিম হাসান সাকিব যখন ফেরেন তখন তাদের স্কোরবোর্ড ছিল ১৯ রান। ১৯ বলে ২০ রান করে শাহিবজাদা ফারহান আউট হলে ৬২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় রাজশাহী। তাদের রানরেট তখন আটেরও নিচে। জেতার জন্য তখন ৭৩ বলে ১২৯ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় রাজশাহীর সামনে।
শান্ত ও মুশফিকের অসামান্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় এই সমীকরণ মিলিয়েছে তারা। এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি তাঁরা দুজন। তৃতীয় উইকেটে ১৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুজন। দল জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন শান্ত। ৬০ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। ৫৮ বলে তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। টি–টোয়েন্টিতে এটা তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি।
মুশফিক ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো তাঁর ৩১ বলের ইনিংস। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কের বাউন্ডারিতেই জয় নিশ্চিত হয় রাজশাহীর। রুয়েল মিয়ার করা ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরেই উদযাপন শুরু করেন। মুশফিক যেন বোঝাতে চাইলেন এখনো ফুরিয়ে যাননি তিনি।

২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচেই রানবন্যা দেখল ভক্তরা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সিলেট টাইটান্স এবং রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ম্যাচ চাহিদ মিটিয়েছে ভক্তদের। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে সিলেটকে ৮ উককেটে হারিয়েছে তারা।
১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী। জিতলেও শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে তানজিম হাসান সাকিব যখন ফেরেন তখন তাদের স্কোরবোর্ড ছিল ১৯ রান। ১৯ বলে ২০ রান করে শাহিবজাদা ফারহান আউট হলে ৬২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় রাজশাহী। তাদের রানরেট তখন আটেরও নিচে। জেতার জন্য তখন ৭৩ বলে ১২৯ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় রাজশাহীর সামনে।
শান্ত ও মুশফিকের অসামান্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় এই সমীকরণ মিলিয়েছে তারা। এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি তাঁরা দুজন। তৃতীয় উইকেটে ১৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুজন। দল জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন শান্ত। ৬০ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। ৫৮ বলে তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। টি–টোয়েন্টিতে এটা তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি।
মুশফিক ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো তাঁর ৩১ বলের ইনিংস। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কের বাউন্ডারিতেই জয় নিশ্চিত হয় রাজশাহীর। রুয়েল মিয়ার করা ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরেই উদযাপন শুরু করেন। মুশফিক যেন বোঝাতে চাইলেন এখনো ফুরিয়ে যাননি তিনি।

লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরিটা হবে তো? হলে তৃপ্তি নিয়ে লাঞ্চ করা যাবে, নাহলে টেনশন নিয়ে বিরতিতে যেতে হবে ৷ মুমিনুল হকের সামনে সমীকরণ যেন ‘টেস্টি লাঞ্চ বনাম টেনশনের লাঞ্চ’!
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলতে গিয়েই নিজের জাত চেনাচ্ছেন রিশাদ হোসেন। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শে এই বাংলাদেশি লেগস্পিনারকে দলে টানে হোবার্ট হারিকেন্স। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানটা বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন রিশাদ।
৪৩ মিনিট আগে
সোনম ইয়েশি; ক্রিকেট বিশ্বে নামটি একেবারেই অচেনা। এবার ভুটানের এই অচেনা ক্রিকেটারই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন। আজ মিয়ানমারের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে রীতিমতো হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছেন তিনি। পেছনে ফেলেছেন তাসকিন আহমেদদের মতো পেসারদের।
২ ঘণ্টা আগে
রনি তালুকদার ও সাইম আইয়ুব যখন ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন, তখনই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে শোনা যায় হর্ষধ্বনি। সিলেট টাইটান্সের ইনিংসে পুরোটা জুড়েই ভক্ত-সমর্থকেরা উল্লাস করেছেন। মাঝখানে রান তোলার গতি কিছুটা কমে গেলেও পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলতে গিয়েই নিজের জাত চেনাচ্ছেন রিশাদ হোসেন। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শে এই বাংলাদেশি লেগস্পিনারকে দলে টানে হোবার্ট হারিকেন্স। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানটা বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন রিশাদ।
নজরকাড়া বোলিংয়ে হোবার্টের হয়ে ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলে নিচ্ছেন রিশাদ। তারই ধারাবাহিকতায় বিগ ব্যাশের চলমান আসরে এখন হোবার্টের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক বনে গেলেন তিনি। সবশেষ আজ পার্থ স্করচার্জের বিপক্ষে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন রিশাদ। প্রথম ৪ ম্যাচ শেষে তাঁর সংগ্রহ ৬ উইকেট। এত উইকেট নিতে পারেনি হোবার্টের আর কোনো বোলার। সব মিলিয়ে তালিকার পাঁচে আছেন রিশাদ।
শীর্ষস্থানের দখল নিয়েছেন জ্যাক এডওয়ার্ডস। ৪ ম্যাচে সিডনি সিক্সার্সের এই অজি পেসারের শিকার ৮ উইকেট। সমান সাতটি করে উইকেট নিয়ে দুই ও তিন নম্বরে আছেন পিটার সিডল ও টম কারান। রিশাদের সমান ৬ উইকেট নিয়ে চারে আছেন জোয়েল ডেভিস।
পার্থের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেওয়ার দিনে বল হাতে কিছুটা খরুচে ছিলেন রিশাদ। ৪ ওভারের কোটায় ৮.২৫ ইকোনমিতে ৩৩ রান দেন তিনি। এই স্পিনারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন কুপার কনোলি, অ্যারন হার্ডি ও লরি ইভান্স। ২ উইকেট নেন রাইলি মেরেডিথ। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচ করেন তিনি।
সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর বিগ ব্যাশে অভিষেক হয় রিশাদের। সে ম্যাচে ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। মেলবোর্ন স্টারসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন। মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিপক্ষে ২১ রান খরচায় তুলে নেন ১ উইকেট।

প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলতে গিয়েই নিজের জাত চেনাচ্ছেন রিশাদ হোসেন। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শে এই বাংলাদেশি লেগস্পিনারকে দলে টানে হোবার্ট হারিকেন্স। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানটা বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন রিশাদ।
নজরকাড়া বোলিংয়ে হোবার্টের হয়ে ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলে নিচ্ছেন রিশাদ। তারই ধারাবাহিকতায় বিগ ব্যাশের চলমান আসরে এখন হোবার্টের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক বনে গেলেন তিনি। সবশেষ আজ পার্থ স্করচার্জের বিপক্ষে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন রিশাদ। প্রথম ৪ ম্যাচ শেষে তাঁর সংগ্রহ ৬ উইকেট। এত উইকেট নিতে পারেনি হোবার্টের আর কোনো বোলার। সব মিলিয়ে তালিকার পাঁচে আছেন রিশাদ।
শীর্ষস্থানের দখল নিয়েছেন জ্যাক এডওয়ার্ডস। ৪ ম্যাচে সিডনি সিক্সার্সের এই অজি পেসারের শিকার ৮ উইকেট। সমান সাতটি করে উইকেট নিয়ে দুই ও তিন নম্বরে আছেন পিটার সিডল ও টম কারান। রিশাদের সমান ৬ উইকেট নিয়ে চারে আছেন জোয়েল ডেভিস।
পার্থের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেওয়ার দিনে বল হাতে কিছুটা খরুচে ছিলেন রিশাদ। ৪ ওভারের কোটায় ৮.২৫ ইকোনমিতে ৩৩ রান দেন তিনি। এই স্পিনারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন কুপার কনোলি, অ্যারন হার্ডি ও লরি ইভান্স। ২ উইকেট নেন রাইলি মেরেডিথ। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচ করেন তিনি।
সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর বিগ ব্যাশে অভিষেক হয় রিশাদের। সে ম্যাচে ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। মেলবোর্ন স্টারসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন। মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিপক্ষে ২১ রান খরচায় তুলে নেন ১ উইকেট।

লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরিটা হবে তো? হলে তৃপ্তি নিয়ে লাঞ্চ করা যাবে, নাহলে টেনশন নিয়ে বিরতিতে যেতে হবে ৷ মুমিনুল হকের সামনে সমীকরণ যেন ‘টেস্টি লাঞ্চ বনাম টেনশনের লাঞ্চ’!
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচেই রানবন্যা দেখল ভক্তরা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সিলেট টাইটান্স এবং রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ম্যাচ চাহিদ মিটিয়েছে ভক্তদের। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে সিলেটকে ৮ উককেটে হারিয়েছে ত
২৭ মিনিট আগে
সোনম ইয়েশি; ক্রিকেট বিশ্বে নামটি একেবারেই অচেনা। এবার ভুটানের এই অচেনা ক্রিকেটারই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন। আজ মিয়ানমারের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে রীতিমতো হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছেন তিনি। পেছনে ফেলেছেন তাসকিন আহমেদদের মতো পেসারদের।
২ ঘণ্টা আগে
রনি তালুকদার ও সাইম আইয়ুব যখন ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন, তখনই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে শোনা যায় হর্ষধ্বনি। সিলেট টাইটান্সের ইনিংসে পুরোটা জুড়েই ভক্ত-সমর্থকেরা উল্লাস করেছেন। মাঝখানে রান তোলার গতি কিছুটা কমে গেলেও পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

সোনম ইয়েশি; ক্রিকেট বিশ্বে নামটি একেবারেই অচেনা। এবার ভুটানের এই অচেনা ক্রিকেটারই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন। আজ মায়ানমারের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে রীতিমতো হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছেন তিনি। পেছনে ফেলেছেন তাসকিন আহমেদদের মতো পেসারদের।
মায়ানমারের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইয়েশি। যা এই সংস্করণের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। সর্বোচ্চ বোলিং ফিগারের আগের রেকর্ডটি ছিল সায়াজরুল ইদরুসের দখলে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কুয়ালালামপুরে চীনের বিপক্ষে ৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার এই বোলার।
সায়াজরুল ছাড়াও টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে সমান সাতটি করে উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে অ্যাকারম্যান, তাসকিন ও আলী দাঊদের দখলে। তাদের রেকর্ড ভাঙল ভুটানের আনকোড়া এক বোলারের কাছে।
গেলেফু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন মিয়ানমারের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করেন ইয়েশি। ৮ উইকেট নেওয়ার পথে একটি মেডেনে করচ করেন মাত্র ৭ রান। ইয়েশির এমন অর্জন ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে ভুটানের সরকারী ক্রিকেট চ্যানেলগুলো। ভক্তদের কাছ থেকেও প্রশংসা পাচ্ছেন এই স্পিনার।
টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া বাকি ৩ বোলারের মধ্যে একজন কেবল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই কীর্তি গড়েন। গত ১১ ডিসেম্বর ভুটানের বিপক্ষে ১৯ রানে ৭ উইকেট নেন বাহরাইনের দাঊদ। তাসকিন ৭ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের পর্বে। ঢাকার বিপক্ষে ১৯ রান খরচায় ৭ ব্যাটারকে তুলে নেন এই গতি তারকা। অ্যাকারম্যান ৭ উইকেট নেন বিয়ারসের বিপক্ষে। ৪ ওভারে ১৮ রান দেন তিনি।

সোনম ইয়েশি; ক্রিকেট বিশ্বে নামটি একেবারেই অচেনা। এবার ভুটানের এই অচেনা ক্রিকেটারই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন। আজ মায়ানমারের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে রীতিমতো হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছেন তিনি। পেছনে ফেলেছেন তাসকিন আহমেদদের মতো পেসারদের।
মায়ানমারের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইয়েশি। যা এই সংস্করণের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। সর্বোচ্চ বোলিং ফিগারের আগের রেকর্ডটি ছিল সায়াজরুল ইদরুসের দখলে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কুয়ালালামপুরে চীনের বিপক্ষে ৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার এই বোলার।
সায়াজরুল ছাড়াও টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে সমান সাতটি করে উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে অ্যাকারম্যান, তাসকিন ও আলী দাঊদের দখলে। তাদের রেকর্ড ভাঙল ভুটানের আনকোড়া এক বোলারের কাছে।
গেলেফু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন মিয়ানমারের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করেন ইয়েশি। ৮ উইকেট নেওয়ার পথে একটি মেডেনে করচ করেন মাত্র ৭ রান। ইয়েশির এমন অর্জন ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে ভুটানের সরকারী ক্রিকেট চ্যানেলগুলো। ভক্তদের কাছ থেকেও প্রশংসা পাচ্ছেন এই স্পিনার।
টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া বাকি ৩ বোলারের মধ্যে একজন কেবল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই কীর্তি গড়েন। গত ১১ ডিসেম্বর ভুটানের বিপক্ষে ১৯ রানে ৭ উইকেট নেন বাহরাইনের দাঊদ। তাসকিন ৭ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের পর্বে। ঢাকার বিপক্ষে ১৯ রান খরচায় ৭ ব্যাটারকে তুলে নেন এই গতি তারকা। অ্যাকারম্যান ৭ উইকেট নেন বিয়ারসের বিপক্ষে। ৪ ওভারে ১৮ রান দেন তিনি।

লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরিটা হবে তো? হলে তৃপ্তি নিয়ে লাঞ্চ করা যাবে, নাহলে টেনশন নিয়ে বিরতিতে যেতে হবে ৷ মুমিনুল হকের সামনে সমীকরণ যেন ‘টেস্টি লাঞ্চ বনাম টেনশনের লাঞ্চ’!
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচেই রানবন্যা দেখল ভক্তরা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সিলেট টাইটান্স এবং রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ম্যাচ চাহিদ মিটিয়েছে ভক্তদের। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে সিলেটকে ৮ উককেটে হারিয়েছে ত
২৭ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলতে গিয়েই নিজের জাত চেনাচ্ছেন রিশাদ হোসেন। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শে এই বাংলাদেশি লেগস্পিনারকে দলে টানে হোবার্ট হারিকেন্স। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানটা বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন রিশাদ।
৪৩ মিনিট আগে
রনি তালুকদার ও সাইম আইয়ুব যখন ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন, তখনই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে শোনা যায় হর্ষধ্বনি। সিলেট টাইটান্সের ইনিংসে পুরোটা জুড়েই ভক্ত-সমর্থকেরা উল্লাস করেছেন। মাঝখানে রান তোলার গতি কিছুটা কমে গেলেও পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

রনি তালুকদার ও সাইম আইয়ুব যখন ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন, তখনই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে শোনা যায় হর্ষধ্বনি। সিলেট টাইটান্সের ইনিংসে পুরোটা জুড়েই ভক্ত-সমর্থকেরা উল্লাস করেছেন। মাঝখানে রান তোলার গতি কিছুটা কমে গেলেও পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ করেছে সিলেট।
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স-সিলেট টাইটান্স ম্যাচ দিয়ে আজ শুরু হয়েছে ১২তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আগে ব্যাটিং পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন সিলেট করেছে ১৯০ রান।শেষ ৪ ওভারে তারা যোগ করেছে ৫২ রান।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া সিলেটের দুই ওপেনার সাইম-রনি দারুণ শুরু এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে ২৫ বলে ৩৬ রান যোগ করেন তাঁরা (সাইম-রনি)। বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই নিজের উইকেটটা বিলিয়ে দিয়েছেন সাইম। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বিনুরা ফার্নান্দোকে পুল করতে যান সাইম। ডিপ স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ ধরেন তানজিদ হাসান তামিম। ১৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
৩৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায় সিলেটের। একটা পর্যায়ে মিরাজের দলের স্কোর হয়ে যায় ১৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৪ রান। সে সময় ইমনের স্কোর ছিল ১১ বলে ১৪ রান। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। চতুর্থ উইকেটে ৪১ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়েন ইমন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। এই জুটি গড়ার পথে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন ইমন।
ইনিংসের ২০তম ওভারের প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে তানজিম হাসান সাকিবকে তিনটি চার মারেন আফিফ। সেই ওভারের পঞ্চম বলে তানজিম সাকিবকে মিড উইকেটে পুশ করে ২ রান নিতে যান আফিফ। সীমানা থেকে স্ট্রাইকপ্রান্তের স্টাম্প বরাবর সাহিবজাদা ফারহান সরাসরি থ্রো করেন। ১৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। ইনিংসের শেষ বলে ইথান ব্রুকসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তানজিম সাকিব। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯০ রানে শেষ হয়েছে সিলেট টাইটান্সের ইনিংস।
সিলেটের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ইমন। ৩৩ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ৫ ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পাঁচ ছক্কার মধ্যে একটা মেরেছেন কাভারের ওপরে। রাজশাহীর সন্দীপ লামিচানে ৪ ওভারে ৩৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। সিলেটের ওপেনার রনি তালুকদার (৪১) ও টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের (২০) উইকেট দুটি নিয়েছেন লামিচানে। রনি ৩৪ বলে করেছেন ৪১ রান। জাজাই ২০ রান করতে খেলেছেন ১৮ বল।

রনি তালুকদার ও সাইম আইয়ুব যখন ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন, তখনই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে শোনা যায় হর্ষধ্বনি। সিলেট টাইটান্সের ইনিংসে পুরোটা জুড়েই ভক্ত-সমর্থকেরা উল্লাস করেছেন। মাঝখানে রান তোলার গতি কিছুটা কমে গেলেও পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ করেছে সিলেট।
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স-সিলেট টাইটান্স ম্যাচ দিয়ে আজ শুরু হয়েছে ১২তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আগে ব্যাটিং পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন সিলেট করেছে ১৯০ রান।শেষ ৪ ওভারে তারা যোগ করেছে ৫২ রান।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া সিলেটের দুই ওপেনার সাইম-রনি দারুণ শুরু এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে ২৫ বলে ৩৬ রান যোগ করেন তাঁরা (সাইম-রনি)। বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই নিজের উইকেটটা বিলিয়ে দিয়েছেন সাইম। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বিনুরা ফার্নান্দোকে পুল করতে যান সাইম। ডিপ স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ ধরেন তানজিদ হাসান তামিম। ১৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
৩৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায় সিলেটের। একটা পর্যায়ে মিরাজের দলের স্কোর হয়ে যায় ১৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৪ রান। সে সময় ইমনের স্কোর ছিল ১১ বলে ১৪ রান। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। চতুর্থ উইকেটে ৪১ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়েন ইমন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। এই জুটি গড়ার পথে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন ইমন।
ইনিংসের ২০তম ওভারের প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে তানজিম হাসান সাকিবকে তিনটি চার মারেন আফিফ। সেই ওভারের পঞ্চম বলে তানজিম সাকিবকে মিড উইকেটে পুশ করে ২ রান নিতে যান আফিফ। সীমানা থেকে স্ট্রাইকপ্রান্তের স্টাম্প বরাবর সাহিবজাদা ফারহান সরাসরি থ্রো করেন। ১৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। ইনিংসের শেষ বলে ইথান ব্রুকসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তানজিম সাকিব। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯০ রানে শেষ হয়েছে সিলেট টাইটান্সের ইনিংস।
সিলেটের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ইমন। ৩৩ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ৫ ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পাঁচ ছক্কার মধ্যে একটা মেরেছেন কাভারের ওপরে। রাজশাহীর সন্দীপ লামিচানে ৪ ওভারে ৩৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। সিলেটের ওপেনার রনি তালুকদার (৪১) ও টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের (২০) উইকেট দুটি নিয়েছেন লামিচানে। রনি ৩৪ বলে করেছেন ৪১ রান। জাজাই ২০ রান করতে খেলেছেন ১৮ বল।

লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরিটা হবে তো? হলে তৃপ্তি নিয়ে লাঞ্চ করা যাবে, নাহলে টেনশন নিয়ে বিরতিতে যেতে হবে ৷ মুমিনুল হকের সামনে সমীকরণ যেন ‘টেস্টি লাঞ্চ বনাম টেনশনের লাঞ্চ’!
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচেই রানবন্যা দেখল ভক্তরা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সিলেট টাইটান্স এবং রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ম্যাচ চাহিদ মিটিয়েছে ভক্তদের। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে সিলেটকে ৮ উককেটে হারিয়েছে ত
২৭ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলতে গিয়েই নিজের জাত চেনাচ্ছেন রিশাদ হোসেন। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শে এই বাংলাদেশি লেগস্পিনারকে দলে টানে হোবার্ট হারিকেন্স। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানটা বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন রিশাদ।
৪৩ মিনিট আগে
সোনম ইয়েশি; ক্রিকেট বিশ্বে নামটি একেবারেই অচেনা। এবার ভুটানের এই অচেনা ক্রিকেটারই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন। আজ মিয়ানমারের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে রীতিমতো হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছেন তিনি। পেছনে ফেলেছেন তাসকিন আহমেদদের মতো পেসারদের।
২ ঘণ্টা আগে