নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৫ বিপিএলের ফিক্সিং অভিযোগ নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্রিকেটার ও ক্লাব কর্তারা আরও সচেতন হবেন, অন্তত দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এমনই আশা করছিল। লিগ যত শেষের দিকে যাচ্ছে, ততই যেন খেলার চেতনা পরিপন্থী ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।
বিশেষ করে ঈদের পর থেকে শুরু হওয়া শেষ তিন রাউন্ডে কিছু ম্যাচে লিগ টেবিলের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা দলগুলোর বিরুদ্ধে নিচের দিকের দলগুলোর জয়ের ধরন নিয়ে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, কিছু ম্যাচের ফল দেখে মনে হচ্ছে, নিচের দলগুলো যেন টিকে থাকতে প্রতিপক্ষের ‘সহযোগিতা’ পাচ্ছে।
৯ম রাউন্ডে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও রূপগঞ্জ টাইগার্সের ম্যাচে এমন সন্দেহ দেখা দেয়। লো-স্কোরিং ওই ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্সের ব্যাটিং ও কৌশল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, যেহেতু তারা মালিকানা এক। অনেকে মনে করেন, অবনমন এড়াতে গাজীকে জেতাতেই হয়তো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচেও দেখা গেছে আরও কিছু ‘অস্বাভাবিক’ দৃশ্য। ম্যাচের ৩৬ তম ওভারে শাইনপুকুরের দরকার ছিল ৮৯ বলে ৩৬ রান। ব্যাটিং করছিলেন রহিম আহমেদ, যিনি তখন ১৮ বলে ১৯ রানে অপরাজিত। বোলার নিহাদুজ্জামানের একটি বল খেলার সময় রহিম যেভাবে উইকেট ছেড়ে এগিয়ে এসে স্টাম্পড হন, তা দেখে অবাক ধারাভাষ্যকারেরাও। বল ছাড়ার আগেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে একটি অফ স্পিন ডেলিভারি সরাসরি ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বল গেলে সহজেই স্ট্যাম্পড হয়ে যান তিনি। ব্যাটার একবারের জন্যও পেছনে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। সাদা চোখেই মনে হবে উইকেটটা স্রেফ বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন তিনি।
এই উইকেটের পর ম্যাচ আরও গুলশানের পক্ষে ঝুঁকে পড়ে। ৪৪তম ওভারে যখন ম্যাচ জিততে মাত্র ৬ রান দরকার, তখন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির যেভাবে স্ট্যাম্পড হয়েছেন, সেটাও কম বিস্ময়কর নয়। ম্যাচের এই দুটি আউটের ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। ক্রিকেটার, কোচ, সংগঠকসহ অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কোচ রাজিন সালেহ যেমন লিখেছেন, ‘শেম, ডিপএল’। ক্রিকেটার শামসুর রহমান শুভও প্রায় একই কথা লিখেছেন, ‘সিরিয়াসলি শেম।’ বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান মেজর (অব.) রায়ান, নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই আউটের ভিডিও শেয়ার করে মজার ছলে লেখেন—‘চা পানের দাওয়াত রইল।’ বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর রায়ান আজাদ সন্দেহজনক খেলা দেখে ফেসবুকে একটু রসাত্মক সুরে লিখেছেন, ‘বোকা না চালাক আমার মত। চা পানের দাওয়াত রইল।’
এসবের মধ্যেই পারটেক্সের কোচ আনোয়ারুল মোস্তাকিম সংবাদমাধ্যমকে পরিষ্কার জানিয়েছেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু কিছু খেলোয়াড় নেতিবাচক ক্রিকেট খেলছেন, যা সন্দেহজনক। আনোয়ারুল বলেছেন, ‘আমাদের অফিশিয়ালরা নির্দেশনা দিয়েছে একরকম। তারা (ক্রিকেটাররা) খেলছে আরেক রকম। আমাদের অফিশিয়ালরা নির্দেশনা দিচ্ছে, আমার দল ১০০ রানে অলআউট হয়ে যাক, কিন্তু ইতিবাচক খেলা চাই। কিন্তু ওরা গিয়ে নেগেটিভ ক্রিকেট খেলেছে।’
২০২৫ বিপিএলের ফিক্সিং অভিযোগ নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্রিকেটার ও ক্লাব কর্তারা আরও সচেতন হবেন, অন্তত দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এমনই আশা করছিল। লিগ যত শেষের দিকে যাচ্ছে, ততই যেন খেলার চেতনা পরিপন্থী ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।
বিশেষ করে ঈদের পর থেকে শুরু হওয়া শেষ তিন রাউন্ডে কিছু ম্যাচে লিগ টেবিলের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা দলগুলোর বিরুদ্ধে নিচের দিকের দলগুলোর জয়ের ধরন নিয়ে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, কিছু ম্যাচের ফল দেখে মনে হচ্ছে, নিচের দলগুলো যেন টিকে থাকতে প্রতিপক্ষের ‘সহযোগিতা’ পাচ্ছে।
৯ম রাউন্ডে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও রূপগঞ্জ টাইগার্সের ম্যাচে এমন সন্দেহ দেখা দেয়। লো-স্কোরিং ওই ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্সের ব্যাটিং ও কৌশল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, যেহেতু তারা মালিকানা এক। অনেকে মনে করেন, অবনমন এড়াতে গাজীকে জেতাতেই হয়তো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচেও দেখা গেছে আরও কিছু ‘অস্বাভাবিক’ দৃশ্য। ম্যাচের ৩৬ তম ওভারে শাইনপুকুরের দরকার ছিল ৮৯ বলে ৩৬ রান। ব্যাটিং করছিলেন রহিম আহমেদ, যিনি তখন ১৮ বলে ১৯ রানে অপরাজিত। বোলার নিহাদুজ্জামানের একটি বল খেলার সময় রহিম যেভাবে উইকেট ছেড়ে এগিয়ে এসে স্টাম্পড হন, তা দেখে অবাক ধারাভাষ্যকারেরাও। বল ছাড়ার আগেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে একটি অফ স্পিন ডেলিভারি সরাসরি ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বল গেলে সহজেই স্ট্যাম্পড হয়ে যান তিনি। ব্যাটার একবারের জন্যও পেছনে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। সাদা চোখেই মনে হবে উইকেটটা স্রেফ বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন তিনি।
এই উইকেটের পর ম্যাচ আরও গুলশানের পক্ষে ঝুঁকে পড়ে। ৪৪তম ওভারে যখন ম্যাচ জিততে মাত্র ৬ রান দরকার, তখন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির যেভাবে স্ট্যাম্পড হয়েছেন, সেটাও কম বিস্ময়কর নয়। ম্যাচের এই দুটি আউটের ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। ক্রিকেটার, কোচ, সংগঠকসহ অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কোচ রাজিন সালেহ যেমন লিখেছেন, ‘শেম, ডিপএল’। ক্রিকেটার শামসুর রহমান শুভও প্রায় একই কথা লিখেছেন, ‘সিরিয়াসলি শেম।’ বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান মেজর (অব.) রায়ান, নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই আউটের ভিডিও শেয়ার করে মজার ছলে লেখেন—‘চা পানের দাওয়াত রইল।’ বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর রায়ান আজাদ সন্দেহজনক খেলা দেখে ফেসবুকে একটু রসাত্মক সুরে লিখেছেন, ‘বোকা না চালাক আমার মত। চা পানের দাওয়াত রইল।’
এসবের মধ্যেই পারটেক্সের কোচ আনোয়ারুল মোস্তাকিম সংবাদমাধ্যমকে পরিষ্কার জানিয়েছেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু কিছু খেলোয়াড় নেতিবাচক ক্রিকেট খেলছেন, যা সন্দেহজনক। আনোয়ারুল বলেছেন, ‘আমাদের অফিশিয়ালরা নির্দেশনা দিয়েছে একরকম। তারা (ক্রিকেটাররা) খেলছে আরেক রকম। আমাদের অফিশিয়ালরা নির্দেশনা দিচ্ছে, আমার দল ১০০ রানে অলআউট হয়ে যাক, কিন্তু ইতিবাচক খেলা চাই। কিন্তু ওরা গিয়ে নেগেটিভ ক্রিকেট খেলেছে।’
কাশ্মীরের পেহেলগামে নৃশংস হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। ভারত দাবি করেছে, এর পেছনে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা। ভারত সরকার তাদের দেশে পাকিস্তানের বিভিন্ন নিউজ সাইট, ইউটিউব চ্যানেল ব্লক কেরে দিয়েছে। ক্রিকেটাররাও জড়িয়ে গেছেন বাগ্যুদ্ধে। শোয়েব আখতারের ইউটি
৭ ঘণ্টা আগেসাত বছর চলছে সাদমান ইসলামের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন দেখা পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি, সঙ্গে পূর্ণ করলেন ১০০০ রান। বাংলাদেশের ১৮ তম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান সাদমানের।
৮ ঘণ্টা আগে৩ উইকেটে ২০৪ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল। তৃতীয় সেশনেও ব্যাটিংটা ভালোই করছিলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় ২৫৯ রান পর্যন্ত ছিল সেই তিন উইকেটই। কিন্তু শেষ বিকেলে ভিনসেন্ট মাসেকেসার ঘূর্ণি জাদুতে বেশ এলোমেলো হয়ে যায় ব্যাটিং। শেষ ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। তবু ৬৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ
১০ ঘণ্টা আগে