অনলাইন ডেস্ক
চ্যাম্পিয়নের মতো খেলে সবার আগে ফাইনালে উঠেছে ফরচুন বরিশাল। আজ তামিমেরা দর্শকের ভূমিকায় দেখবেন, এবার কারা তাঁদের সঙ্গে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি মোহাম্মদ মিঠুনের চিটাগং কিংস।
খুলনা আর চিটাগং—দুই দলই শেষ চারে উঠেছে কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে। খুলনা টানা তিন জয়ে ফাইনালের আরও কাছে যাওয়ার পথে দুবার হারিয়েছে রংপুর রাইডার্সকে। মিরাজ বোলিং-ব্যাটিং—দুটিতেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দলে স্থানীয়-বিদেশি খেলোয়াড়দের সমন্বয় দারুণ। বিশেষ করে নাঈম শেখের ব্যাটিং বড় ভূমিকা রেখেছে খুলনা টাইগার্সের ধারাবাহিক গর্জনে। কাল পর্যন্ত ১৩ ইনিংসে ৪৪.৭২ গড়ে ৪৯২ রান করে নাঈম সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। বিদেশি উইলিয়াম বসিস্টো ভালো সার্ভিস দিচ্ছেন খুলনাকে। ধারাবাহিক রান করছেন মাহিদুল অঙ্কনও। নাসুম, আবু হায়দার রনি, হাসান মাহমুদদের নিয়ে খুলনার বোলিং লাইনআপ যথেষ্ট সমৃদ্ধ। প্লে-অফে দলে যোগ দিয়েছেন শিমরন হেটমায়ারের মতো ক্যারিবীয় তারকাও।
খুলনার এই সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে কোচ তালহা জুবায়ের আর অধিনায়ক মিরাজের দারুণ রসায়ন। আজ চিটাগং-বাধা উতরে যেতে তাঁরা দৃঢ় প্রত্যয়ী। কাল সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে খুলনার কোচ তালহা বললেন, ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। প্রতিটি ম্যাচকে আমরা ফাইনাল হিসেবে দেখছি। কোনো চাপ নিচ্ছি না। আমার মনে হয়, ফাইনালের চাপ কিংসের ওপরই বেশি থাকবে। আমাদের দলে মোমেন্টাম এখন দারুণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভরশীল হতে চাই না। দলকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি—যার যার দায়িত্ব সে মনোযোগ দিয়ে পালন করবে। আমরা নিজেদের লক্ষ্যেই মনোযোগ রাখব। যদি বিদেশিরা বিশেষ কিছু করে না দেখায়, তবু যেন ভেঙে না পড়ি।’
লিগ পর্বে খুলনার চেয়ে চিটাগং কিংস বেশি ধারাবাহিক ছিল। রংপুরকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থেকে সরাসরি কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পেয়েছে। পরশু বরিশালের কাছে হেরেও চিটাগং আজ আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে। গতকাল মিরপুরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের আগে বিশ্রামে ছিল চিটাগং কিংস। তবে সকাল থেকেই কিংসের টিম হোটেলে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় ছিল। গুঞ্জন ছিল—ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নতুন কোনো বিদেশি ক্রিকেটারকে আনছে কি না কিংস।
নতুন বিদেশি ক্রিকেটার দলে নেওয়ার সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করেছেন চিটাগং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। পরশু সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, রাতারাতি নতুন কাউকে উড়িয়ে এনে খেলানোর বিষয়টি তিনি সমর্থন করেন না। কাল টিম হোটেলেও সেই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি। মিঠুন বলেন, ‘টুর্নামেন্টে যারা খেলেছে, তারাই এখনো দলে আছে। এটা বিশ্বাস করি না যে রাতে একজন ক্রিকেটার আনলাম আর পরের দিন খেলিয়ে দিলাম। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটা বিষয় থাকে। আমাদের বিদেশিরা কেউই খারাপ খেলেনি, সবাই ভালো করেছে। তাদের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।’
চিটাগংয়ে এবার ধারাবাহিক ভালো খেলছেন শামীম পাটোয়ারি। খুলনার বিপক্ষে আজও তরুণ এই সতীর্থের দিকে তাকিয়ে থাকবেন মিঠুন। চিটাগং অধিনায়ক বলেন, ‘শামীম আমাদের বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে একটু আলাদা। সাধারণত বাংলাদেশিরা যেভাবে ব্যাটিং করে, তার চেয়ে ভিন্ন ব্যাটিংয়ের ধরন শামীমের। টি-টোয়েন্টিতে এমন শট দেখতে মজাই লাগে। আমি নিজেও শামীমের বড় ভক্ত। ফিল্ডিংয়েও সে অসাধারণ। আশা করি, পরের ম্যাচেও সে এভাবেই জ্বলে উঠবে।’
লিগ পর্বে দুই দলের মুখোমুখি ফল হিসাব করলে স্কোরলাইন ১-১। কাউকে এগিয়ে-পিছিয়ে রাখা যাচ্ছে না। সে হিসেবে মিরপুর জমজমাট একটা ‘সেমিফাইনালে’র আশা তো করাই যায়।
চ্যাম্পিয়নের মতো খেলে সবার আগে ফাইনালে উঠেছে ফরচুন বরিশাল। আজ তামিমেরা দর্শকের ভূমিকায় দেখবেন, এবার কারা তাঁদের সঙ্গে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি মোহাম্মদ মিঠুনের চিটাগং কিংস।
খুলনা আর চিটাগং—দুই দলই শেষ চারে উঠেছে কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে। খুলনা টানা তিন জয়ে ফাইনালের আরও কাছে যাওয়ার পথে দুবার হারিয়েছে রংপুর রাইডার্সকে। মিরাজ বোলিং-ব্যাটিং—দুটিতেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দলে স্থানীয়-বিদেশি খেলোয়াড়দের সমন্বয় দারুণ। বিশেষ করে নাঈম শেখের ব্যাটিং বড় ভূমিকা রেখেছে খুলনা টাইগার্সের ধারাবাহিক গর্জনে। কাল পর্যন্ত ১৩ ইনিংসে ৪৪.৭২ গড়ে ৪৯২ রান করে নাঈম সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। বিদেশি উইলিয়াম বসিস্টো ভালো সার্ভিস দিচ্ছেন খুলনাকে। ধারাবাহিক রান করছেন মাহিদুল অঙ্কনও। নাসুম, আবু হায়দার রনি, হাসান মাহমুদদের নিয়ে খুলনার বোলিং লাইনআপ যথেষ্ট সমৃদ্ধ। প্লে-অফে দলে যোগ দিয়েছেন শিমরন হেটমায়ারের মতো ক্যারিবীয় তারকাও।
খুলনার এই সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে কোচ তালহা জুবায়ের আর অধিনায়ক মিরাজের দারুণ রসায়ন। আজ চিটাগং-বাধা উতরে যেতে তাঁরা দৃঢ় প্রত্যয়ী। কাল সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে খুলনার কোচ তালহা বললেন, ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। প্রতিটি ম্যাচকে আমরা ফাইনাল হিসেবে দেখছি। কোনো চাপ নিচ্ছি না। আমার মনে হয়, ফাইনালের চাপ কিংসের ওপরই বেশি থাকবে। আমাদের দলে মোমেন্টাম এখন দারুণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভরশীল হতে চাই না। দলকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি—যার যার দায়িত্ব সে মনোযোগ দিয়ে পালন করবে। আমরা নিজেদের লক্ষ্যেই মনোযোগ রাখব। যদি বিদেশিরা বিশেষ কিছু করে না দেখায়, তবু যেন ভেঙে না পড়ি।’
লিগ পর্বে খুলনার চেয়ে চিটাগং কিংস বেশি ধারাবাহিক ছিল। রংপুরকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থেকে সরাসরি কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পেয়েছে। পরশু বরিশালের কাছে হেরেও চিটাগং আজ আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে। গতকাল মিরপুরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের আগে বিশ্রামে ছিল চিটাগং কিংস। তবে সকাল থেকেই কিংসের টিম হোটেলে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় ছিল। গুঞ্জন ছিল—ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নতুন কোনো বিদেশি ক্রিকেটারকে আনছে কি না কিংস।
নতুন বিদেশি ক্রিকেটার দলে নেওয়ার সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করেছেন চিটাগং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। পরশু সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, রাতারাতি নতুন কাউকে উড়িয়ে এনে খেলানোর বিষয়টি তিনি সমর্থন করেন না। কাল টিম হোটেলেও সেই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি। মিঠুন বলেন, ‘টুর্নামেন্টে যারা খেলেছে, তারাই এখনো দলে আছে। এটা বিশ্বাস করি না যে রাতে একজন ক্রিকেটার আনলাম আর পরের দিন খেলিয়ে দিলাম। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটা বিষয় থাকে। আমাদের বিদেশিরা কেউই খারাপ খেলেনি, সবাই ভালো করেছে। তাদের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।’
চিটাগংয়ে এবার ধারাবাহিক ভালো খেলছেন শামীম পাটোয়ারি। খুলনার বিপক্ষে আজও তরুণ এই সতীর্থের দিকে তাকিয়ে থাকবেন মিঠুন। চিটাগং অধিনায়ক বলেন, ‘শামীম আমাদের বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে একটু আলাদা। সাধারণত বাংলাদেশিরা যেভাবে ব্যাটিং করে, তার চেয়ে ভিন্ন ব্যাটিংয়ের ধরন শামীমের। টি-টোয়েন্টিতে এমন শট দেখতে মজাই লাগে। আমি নিজেও শামীমের বড় ভক্ত। ফিল্ডিংয়েও সে অসাধারণ। আশা করি, পরের ম্যাচেও সে এভাবেই জ্বলে উঠবে।’
লিগ পর্বে দুই দলের মুখোমুখি ফল হিসাব করলে স্কোরলাইন ১-১। কাউকে এগিয়ে-পিছিয়ে রাখা যাচ্ছে না। সে হিসেবে মিরপুর জমজমাট একটা ‘সেমিফাইনালে’র আশা তো করাই যায়।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১৩ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১৫ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১৫ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১৬ ঘণ্টা আগে