নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কদিন পরেই অনূর্ধ্ব–১৯ প্রতিযোগিতা শুরু! ওদিকে মোহাম্মদ সিরাজের তখনো জুতার জোগাড় হয়নি। ছেলের স্বপ্নপূরণে অটোরিকশা চালক বাবা নামলেন প্রাণপণ চেষ্টায়। সারা রাত অটো চালিয়ে পরের দিন জুতো কিনে দেন সিরাজকে। বাবার সেই প্রচেষ্টা বৃথা যায়নি।
গলি থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজপথে উঠে আসা সিরাজ যে এখন একনামে পরিচিত ক্রিকেটবিশ্বে। আইপিএলের নিলামে ঝড় তোলা, ভারতের জার্সি গায়ে জড়ানো, অস্ট্রেলিয়াকে কাঁপিয়ে দেওয়া–গত এক বছরে সিরাজ হয়ে উঠেছেন ভারতীয় ফাস্ট বোলিংয়ের নতুন সেনসেশন।
ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজের উষালগ্নের দিনগুলোর সঙ্গে যেন মিলে যায় সদ্য বাবা হারানো বাংলাদেশি লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের জীবনও। সিরাজের বাবা মোহাম্মদ গাউসের মতো বিপ্লবের বাবা আবদুল কুদ্দুসও ছিলেন অটোরিকশা চালক। দুই বাবাই ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার পথে কোনো দিন বাধা হয়ে দাঁড়াননি, বরং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে।
পরিস্থিতি আরও একটা জায়গায় মিলিয়ে দিল দুই দেশের দুই তরুণ ক্রিকেটারকে। গত বছরের ২০শে নভেম্বর মোহাম্মদ গাউস যখন হায়দারাবাদের একটি হাসপাতালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তখন সিরাজ দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে। আর গতকাল আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বাবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুসংবাদ শুনলেন দূরের হারারেতে থেকে। গত ডিসেম্বরে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফর, কোয়ারেন্টিনের নানা ঝক্কির কারণে তখন বাবাকে শেষবার দেখতে দেশে ফিরতে পারেননি সিরাজ। তবে শোকের সাগরে ডুবে থাকা আমিনুল ইসলামকে দ্রুত দেশে ফেরার ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। বাবাকে শেষ বিদায় দিতে আজই জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরছেন এই তরুণ লেগ স্পিনার।
ভারতের হায়দরাবাদের এক বস্তিতে জন্ম সিরাজের। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার স্বপ্নে বিভোর সিরাজ পড়ে থাকতেন মাঠে–ঘাটে। ছেলের সেই ইচ্ছে ছুঁয়েছিল বাবাকেও। কিন্তু অটোচালক বাবার পক্ষে যে ছেলেকে ক্রিকেটের সরঞ্জাম কিনে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। তবু একদিন গাউস দুই কিলোমিটার দূরের স্পোর্টস কোচিং ফাউন্ডেশনে নিয়ে যান সিরাজকে। কিন্তু কোচিংয়ের বেতন মেটানোর আয় কোথায় তাঁর? সিরাজের বোলিং পরীক্ষা নিতে অনুরোধ করেন ছোটবেলার কোচ সাইবাবাকে। খুদে সিরাজের বোলিং দেখেই চমকে ওঠেন কোচ! এরপর সাইবাবা দ্রুতই গাউসকে বলে দেন, ‘ওর বেতন লাগবে না। তার মধ্যে দারুণ প্রতিভা আছে। ওকে আমার হাতে তুলে দিন।’ সেদিন থেকেই নতুন পথে যাত্রা শুরু সিরাজের।
বিপ্লব উঠে এসেছেন বাংলাদেশের শরীয়তপুরের এক দরিদ্র পরিবার থেকে। বিপ্লবকে স্কুলে যেতে দেখে আবদুল কুদ্দুসকে তাঁর বন্ধুরা বলতেন—‘ছেলেকে পড়ালেখা করিয়ে কী হবে? গাড়ি চালানো শেখা! দিনে দুই হাজার টাকা আয় করবে।’ কিন্তু আবদুল কুদ্দুস বিভোর ছেলেকে ক্রিকেটার বানানোর স্বপ্নে। সেই স্বপ্নপূরণে ২০০৮ সালে বিপ্লবকে ওয়াহিদুল গনির একাডেমিতে নিয়ে যান তিনি।
২০১২ সালে ছেলেকে বিকেএসপিতে ভর্তি করিয়ে দেন আবদুল কুদ্দুস। অটোরিকশা চালিয়েই ছেলের কোচিংয়ের খরচ জোগাতেন তিনি। বিপ্লবও লেগে ছিলেন ক্রিকেটে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের নানা ধাপ পেরিয়ে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় বিপ্লবের। বিপ্লবের উত্থানটা সিরাজের মতো আলোড়ন তোলা না হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে একজন লেগ স্পিনার অভাব পূরণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসা এই তরুণকে নিয়ে অনেক আশা।
অটোরিকশা চালিয়ে নিরলস শ্রম আর ঘাম ঝরিয়ে ছেলেকে ঠিকই পৌঁছে দিয়েছেন জাতীয় দলের রাস্তায়। ছেলের স্বপ্নপূরণের পথের শুরুটা দেখেও গেলেন। কিন্তু বিপ্লবের সাফল্যের পুরোটা দেখা হবে না আবদুল কুদ্দুসের।
মোহাম্মদ সিরাজের মতো এই আফসোস সারা জীবন তাড়া করে ফিরবে বিপ্লবকেও।
কদিন পরেই অনূর্ধ্ব–১৯ প্রতিযোগিতা শুরু! ওদিকে মোহাম্মদ সিরাজের তখনো জুতার জোগাড় হয়নি। ছেলের স্বপ্নপূরণে অটোরিকশা চালক বাবা নামলেন প্রাণপণ চেষ্টায়। সারা রাত অটো চালিয়ে পরের দিন জুতো কিনে দেন সিরাজকে। বাবার সেই প্রচেষ্টা বৃথা যায়নি।
গলি থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজপথে উঠে আসা সিরাজ যে এখন একনামে পরিচিত ক্রিকেটবিশ্বে। আইপিএলের নিলামে ঝড় তোলা, ভারতের জার্সি গায়ে জড়ানো, অস্ট্রেলিয়াকে কাঁপিয়ে দেওয়া–গত এক বছরে সিরাজ হয়ে উঠেছেন ভারতীয় ফাস্ট বোলিংয়ের নতুন সেনসেশন।
ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজের উষালগ্নের দিনগুলোর সঙ্গে যেন মিলে যায় সদ্য বাবা হারানো বাংলাদেশি লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের জীবনও। সিরাজের বাবা মোহাম্মদ গাউসের মতো বিপ্লবের বাবা আবদুল কুদ্দুসও ছিলেন অটোরিকশা চালক। দুই বাবাই ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার পথে কোনো দিন বাধা হয়ে দাঁড়াননি, বরং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে।
পরিস্থিতি আরও একটা জায়গায় মিলিয়ে দিল দুই দেশের দুই তরুণ ক্রিকেটারকে। গত বছরের ২০শে নভেম্বর মোহাম্মদ গাউস যখন হায়দারাবাদের একটি হাসপাতালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তখন সিরাজ দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে। আর গতকাল আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বাবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুসংবাদ শুনলেন দূরের হারারেতে থেকে। গত ডিসেম্বরে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফর, কোয়ারেন্টিনের নানা ঝক্কির কারণে তখন বাবাকে শেষবার দেখতে দেশে ফিরতে পারেননি সিরাজ। তবে শোকের সাগরে ডুবে থাকা আমিনুল ইসলামকে দ্রুত দেশে ফেরার ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। বাবাকে শেষ বিদায় দিতে আজই জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরছেন এই তরুণ লেগ স্পিনার।
ভারতের হায়দরাবাদের এক বস্তিতে জন্ম সিরাজের। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার স্বপ্নে বিভোর সিরাজ পড়ে থাকতেন মাঠে–ঘাটে। ছেলের সেই ইচ্ছে ছুঁয়েছিল বাবাকেও। কিন্তু অটোচালক বাবার পক্ষে যে ছেলেকে ক্রিকেটের সরঞ্জাম কিনে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। তবু একদিন গাউস দুই কিলোমিটার দূরের স্পোর্টস কোচিং ফাউন্ডেশনে নিয়ে যান সিরাজকে। কিন্তু কোচিংয়ের বেতন মেটানোর আয় কোথায় তাঁর? সিরাজের বোলিং পরীক্ষা নিতে অনুরোধ করেন ছোটবেলার কোচ সাইবাবাকে। খুদে সিরাজের বোলিং দেখেই চমকে ওঠেন কোচ! এরপর সাইবাবা দ্রুতই গাউসকে বলে দেন, ‘ওর বেতন লাগবে না। তার মধ্যে দারুণ প্রতিভা আছে। ওকে আমার হাতে তুলে দিন।’ সেদিন থেকেই নতুন পথে যাত্রা শুরু সিরাজের।
বিপ্লব উঠে এসেছেন বাংলাদেশের শরীয়তপুরের এক দরিদ্র পরিবার থেকে। বিপ্লবকে স্কুলে যেতে দেখে আবদুল কুদ্দুসকে তাঁর বন্ধুরা বলতেন—‘ছেলেকে পড়ালেখা করিয়ে কী হবে? গাড়ি চালানো শেখা! দিনে দুই হাজার টাকা আয় করবে।’ কিন্তু আবদুল কুদ্দুস বিভোর ছেলেকে ক্রিকেটার বানানোর স্বপ্নে। সেই স্বপ্নপূরণে ২০০৮ সালে বিপ্লবকে ওয়াহিদুল গনির একাডেমিতে নিয়ে যান তিনি।
২০১২ সালে ছেলেকে বিকেএসপিতে ভর্তি করিয়ে দেন আবদুল কুদ্দুস। অটোরিকশা চালিয়েই ছেলের কোচিংয়ের খরচ জোগাতেন তিনি। বিপ্লবও লেগে ছিলেন ক্রিকেটে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের নানা ধাপ পেরিয়ে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় বিপ্লবের। বিপ্লবের উত্থানটা সিরাজের মতো আলোড়ন তোলা না হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে একজন লেগ স্পিনার অভাব পূরণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসা এই তরুণকে নিয়ে অনেক আশা।
অটোরিকশা চালিয়ে নিরলস শ্রম আর ঘাম ঝরিয়ে ছেলেকে ঠিকই পৌঁছে দিয়েছেন জাতীয় দলের রাস্তায়। ছেলের স্বপ্নপূরণের পথের শুরুটা দেখেও গেলেন। কিন্তু বিপ্লবের সাফল্যের পুরোটা দেখা হবে না আবদুল কুদ্দুসের।
মোহাম্মদ সিরাজের মতো এই আফসোস সারা জীবন তাড়া করে ফিরবে বিপ্লবকেও।
রিশাদ হোসেন ইনিংসের পঞ্চম বলে ছক্কা মারতে পারলেন না। তখনই ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে পাকিস্তান। ইনিংসের শেষ বলে হারিস রউফ ডট দিয়ে সারেন আনুষ্ঠানিকতা। বাংলাদেশ ১১ রানে হেরে যাওয়ায় এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার হতে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল।
২ মিনিট আগেবাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে জাকের আলী অনিক মেরেছেন ৩৮ ছক্কা। চারের সংখ্যা ৩৪। তাহলে তাঁর ছক্কা মারার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণ কী? কারণ, এই ছক্কাগুলোর বেশির ভাগ তিনি মেরেছেন দ্বিপক্ষীয় সিরিজে। কিন্তু মেজর টুর্নামেন্টের সময় যে ছক্কা মারতেই পারেন না ‘ফিনিশার’ তকমা পাওয়া জাকের।
৪০ মিনিট আগেপাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে যখন ১৩৫ রান উঠল, তাদের ভক্ত-সমর্থকেরা জয়ের আশা হয়তো তেমন একটা করেননি। দুবাইয়ের পিচ যতই ধীর গতির হোক, এত কম রান ডিফেন্ড করতে পাকিস্তানকে করতে হতো বিশেষ কিছুই। সালমান আলী আঘার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সেটা করে দেখিয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
২ ঘণ্টা আগেদুবাইয়ে গত রাতে বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান। এদিকে ভারত তো আগেই উঠে গেছে ফাইনালে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পরশু মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। তার আগে আজ টুর্নামেন্টের নিয়মরক্ষার ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-শ্রীলঙ্কা।
৩ ঘণ্টা আগে