নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিকেল থেকেই সুর-সংগীতে কেঁপেছে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। কান পাতাই দায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যে বড় একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে, সেটার আভাস মিলছে তাতে। উৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে ধোয়ামোছা, সাজসজ্জা দৃশ্যমান। বাইরের চাকচিক্য যেমন ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে অন্দরমহলের চিত্রটা ঠিক উল্টো।
করোনার প্রকোপে গত বছর মাঠে গড়ায়নি ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা। এ বছর টুর্নামেন্ট আয়োজনে বিসিবি উন্মুখ হয়ে আছে। তা বাস্তবতা যত কঠিনই হোক না কেন। দেশে এখন চলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। অদৃশ্য ভাইরাসটির নতুন ধরন অমিক্রন ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। এটা যে বাড়তে পারে সেই উৎকণ্ঠাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এর প্রভাব পড়েছে বিপিএলেও। সাকিব-মুশফিকদের মতো তাই বিসিবির চ্যালেঞ্জও কম নয়।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই কয়েকজন ক্রিকেটার ও অফিশিয়াল আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাঁদের নাম জানানো তো দূরের কথা, সংখ্যাটা পর্যন্ত প্রকাশ করা হচ্ছে না। এমনই অস্বস্তিকর অবস্থায় আজ বল গড়াচ্ছে মাঠে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি যেদিকেই যাক, বিপিএল স্থগিত বা বন্ধ করার ভাবনা নেই বিসিবির। যে কোনো মূল্যে টুর্নামেন্টের ৩৪টি ম্যাচ শেষ করতে চায় তারা।
মহামারি নিয়ন্ত্রণে হাত নেই কারোরই। তবে ঝুঁকি এড়াতে সব রকম সতর্ক থাকাটাই শ্রেয়। এ জন্য জৈব সুরক্ষাবলয় নীতিই বড় হাতিয়ার হতে পারত। বিসিবির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, টোকিও অলিম্পিকের ব্যবস্থাপনাই তাঁরা অনুকরণ করছেন। যদিও বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সুরক্ষাবলয়ে ঢুকতে পারেনি অংশ নেওয়া সব কটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল।
একাডেমি মাঠে দলগুলোর অনুশীলনেও নেই শৃঙ্খলার বন্ধন। নেট বোলার, বলবয়, ব্রডকাস্টারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতোই। তাঁরা কেউই নেই সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে। অনুশীলনে ব্যাটাররা একাডেমির বাইরে যেসব বল উড়িয়ে মারছেন, সেগুলোই ফিরছে মাঠে। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই তো ১০ মিনিটের ব্যবধানে চারবার মিডিয়া সেন্টারের সামনে বল আছড়ে ফেলেছেন!
করোনা আতঙ্কের জের ধরে এবারের আয়োজনে থাকছে না আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)। বিসিবির দাবি এমনই। টুর্নামেন্টের অষ্টম আসরে নেই কোনো বিদেশি আম্পায়ার কিংবা ধারাভাষ্যকার। প্রতিযোগিতায় বিদেশি ক্রিকেটারদের উপস্থিতির স্বাভাবিক যে সংখ্যা, সেটাও নেই এবার। হাতেগোনা কয়েকজন তারকা বিদেশি এসেছেন বিপিএল খেলতে।
খেলা হবে রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে। তাতে করে ব্যাট-বলের যুদ্ধ শুরুর আগেই রোমাঞ্চে ভাটা পড়েছে। এ রকম প্রতিকূল পরিবেশে কখনোই কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করেনি বিসিবি। এসব সীমাবদ্ধতা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে আয়োজকদের। সেটা মানছেন বোর্ড পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকও।
গতকাল টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন ও পৃষ্ঠপোষক ঘোষণার অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে যেকোনো কাজ করাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিদিন ঘর থেকে বের হওয়াই চ্যালেঞ্জ। করোনা পরিস্থিতিটা একটু স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। এর মধ্যে অমিক্রন চলে আসল। বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।’
এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেই টুর্নামেন্টের সফল আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিলেন মল্লিক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এর আগে বিপিএল করেছি, প্রেসিডেন্টস কাপ করেছি, প্রিমিয়ার লিগ করলাম। চ্যালেঞ্জ থাকবেই। আমরা প্রত্যেকে–খেলোয়াড়, আম্পায়ার, সাপোর্ট স্টাফ, কোচিং স্টাফ, বিসিবির কর্মচারী, আমরা যারা দায়িত্বে আছি, সাংবাদিক টুর্নামেন্টের সাফল্যের সঙ্গে জড়িত। অতীতে আমরা যেভাবে টুর্নামেন্টগুলো যেভাবে সফল করতে পেরেছি, আশা করছি এবারও তা পারব।’
মল্লিক যেভাবে আশার কথা শোনালেন বাস্তবিক অর্থে তা পূরণ করা কঠিন। কারণ সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরও বিগ ব্যাশ, আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টগুলো স্থগিত করতে হয়েছে। ঠাসা সূচির কারণে বিসিবির হাতে সেই সুযোগ নেই। এত অস্থিরতার মধ্যে বিপিএল ঠিকঠাক শেষ হবে কিনা এটাই বড় একটা প্রশ্নবোধক রাখছে। এ নিয়ে বিপিএলের অন্যতম অভিভাবক বলেছেন, ‘আমরা তো ইন্ডিয়ার মতো দেশ না। ওরা যখন চায় তখনই আইপিএল করতে পারে। আবার বিগ ব্যাশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়া খেলে। আমরা তো ও রকম না।’
বিকেল থেকেই সুর-সংগীতে কেঁপেছে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। কান পাতাই দায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যে বড় একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে, সেটার আভাস মিলছে তাতে। উৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে ধোয়ামোছা, সাজসজ্জা দৃশ্যমান। বাইরের চাকচিক্য যেমন ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে অন্দরমহলের চিত্রটা ঠিক উল্টো।
করোনার প্রকোপে গত বছর মাঠে গড়ায়নি ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা। এ বছর টুর্নামেন্ট আয়োজনে বিসিবি উন্মুখ হয়ে আছে। তা বাস্তবতা যত কঠিনই হোক না কেন। দেশে এখন চলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। অদৃশ্য ভাইরাসটির নতুন ধরন অমিক্রন ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। এটা যে বাড়তে পারে সেই উৎকণ্ঠাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এর প্রভাব পড়েছে বিপিএলেও। সাকিব-মুশফিকদের মতো তাই বিসিবির চ্যালেঞ্জও কম নয়।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই কয়েকজন ক্রিকেটার ও অফিশিয়াল আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাঁদের নাম জানানো তো দূরের কথা, সংখ্যাটা পর্যন্ত প্রকাশ করা হচ্ছে না। এমনই অস্বস্তিকর অবস্থায় আজ বল গড়াচ্ছে মাঠে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি যেদিকেই যাক, বিপিএল স্থগিত বা বন্ধ করার ভাবনা নেই বিসিবির। যে কোনো মূল্যে টুর্নামেন্টের ৩৪টি ম্যাচ শেষ করতে চায় তারা।
মহামারি নিয়ন্ত্রণে হাত নেই কারোরই। তবে ঝুঁকি এড়াতে সব রকম সতর্ক থাকাটাই শ্রেয়। এ জন্য জৈব সুরক্ষাবলয় নীতিই বড় হাতিয়ার হতে পারত। বিসিবির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, টোকিও অলিম্পিকের ব্যবস্থাপনাই তাঁরা অনুকরণ করছেন। যদিও বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সুরক্ষাবলয়ে ঢুকতে পারেনি অংশ নেওয়া সব কটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল।
একাডেমি মাঠে দলগুলোর অনুশীলনেও নেই শৃঙ্খলার বন্ধন। নেট বোলার, বলবয়, ব্রডকাস্টারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতোই। তাঁরা কেউই নেই সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে। অনুশীলনে ব্যাটাররা একাডেমির বাইরে যেসব বল উড়িয়ে মারছেন, সেগুলোই ফিরছে মাঠে। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই তো ১০ মিনিটের ব্যবধানে চারবার মিডিয়া সেন্টারের সামনে বল আছড়ে ফেলেছেন!
করোনা আতঙ্কের জের ধরে এবারের আয়োজনে থাকছে না আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)। বিসিবির দাবি এমনই। টুর্নামেন্টের অষ্টম আসরে নেই কোনো বিদেশি আম্পায়ার কিংবা ধারাভাষ্যকার। প্রতিযোগিতায় বিদেশি ক্রিকেটারদের উপস্থিতির স্বাভাবিক যে সংখ্যা, সেটাও নেই এবার। হাতেগোনা কয়েকজন তারকা বিদেশি এসেছেন বিপিএল খেলতে।
খেলা হবে রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে। তাতে করে ব্যাট-বলের যুদ্ধ শুরুর আগেই রোমাঞ্চে ভাটা পড়েছে। এ রকম প্রতিকূল পরিবেশে কখনোই কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করেনি বিসিবি। এসব সীমাবদ্ধতা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে আয়োজকদের। সেটা মানছেন বোর্ড পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকও।
গতকাল টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন ও পৃষ্ঠপোষক ঘোষণার অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে যেকোনো কাজ করাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিদিন ঘর থেকে বের হওয়াই চ্যালেঞ্জ। করোনা পরিস্থিতিটা একটু স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। এর মধ্যে অমিক্রন চলে আসল। বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।’
এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেই টুর্নামেন্টের সফল আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিলেন মল্লিক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এর আগে বিপিএল করেছি, প্রেসিডেন্টস কাপ করেছি, প্রিমিয়ার লিগ করলাম। চ্যালেঞ্জ থাকবেই। আমরা প্রত্যেকে–খেলোয়াড়, আম্পায়ার, সাপোর্ট স্টাফ, কোচিং স্টাফ, বিসিবির কর্মচারী, আমরা যারা দায়িত্বে আছি, সাংবাদিক টুর্নামেন্টের সাফল্যের সঙ্গে জড়িত। অতীতে আমরা যেভাবে টুর্নামেন্টগুলো যেভাবে সফল করতে পেরেছি, আশা করছি এবারও তা পারব।’
মল্লিক যেভাবে আশার কথা শোনালেন বাস্তবিক অর্থে তা পূরণ করা কঠিন। কারণ সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরও বিগ ব্যাশ, আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টগুলো স্থগিত করতে হয়েছে। ঠাসা সূচির কারণে বিসিবির হাতে সেই সুযোগ নেই। এত অস্থিরতার মধ্যে বিপিএল ঠিকঠাক শেষ হবে কিনা এটাই বড় একটা প্রশ্নবোধক রাখছে। এ নিয়ে বিপিএলের অন্যতম অভিভাবক বলেছেন, ‘আমরা তো ইন্ডিয়ার মতো দেশ না। ওরা যখন চায় তখনই আইপিএল করতে পারে। আবার বিগ ব্যাশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়া খেলে। আমরা তো ও রকম না।’
নেপাল সফরের জন্য গত পরশু শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। সে জন্য ২৪ জনের দলও সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। কিন্তু মাঠের অনুশীলন এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। এর মধ্যে নতুন খবর, ক্যাম্পের জন্য আপাতত নিজেদের খেলোয়াড়দের ছাড়ছে না বসুন্ধরা কিংস। আজ এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি বাফুফেকে জানিয়েছে তারা।
৩ ঘণ্টা আগেলিওনেল মেসির সঙ্গে ধারেকাছে কেউ এলেই হতো। দেহরক্ষী ইয়াসিন চেউকো দ্রুত তাঁকে ধরে ফেলেন। বিমানের চেয়ে যেন ক্ষিপ্রগতিতে ছুটতে পারেন চেউকো। তাঁর কারণে তাই ভক্ত-সমর্থকেরা সেলফি তোলা তো দূরে থাক, অটোগ্রাফ পর্যন্ত নিতে পারেন না।
৪ ঘণ্টা আগেভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ ফুটবল ক্লাবে (আরটিসি) খেলবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। একই ক্লাবের হয়ে খেলতে আজ তাঁর সঙ্গে ভুটানে গিয়েছেন স্বপ্না রানী। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রাথমিক পর্বে ‘ডি’ গ্রুপে খেলবে আরটিসি। মূলত এই টুর্নামেন্টের জন্য আফঈদা-স্বপ্নাকে নিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেলিওনেল মেসি তাঁর ক্যারিয়ারে কত শিরোপা জিতেছেন, সেটা তিনি যে নিজেও গুণে শেষ করতে পারবেন না। বার্সেলোনা, প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি), আর্জেন্টিনা—যে দলের হয়েই খেলেছেন, জিতেছেন শিরোপা। পরম আরাধ্য বিশ্বকাপ জিতেছেন ২০২২ সালে। একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন বলে ‘রেকর্ডের বরপুত্র’ উপাধিও পেয়েছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে