Ajker Patrika

আমার পাশে একবার বসলেই টের পাবে সব, প্রীতিকে পন্টিং

ক্রীড়া ডেস্ক    
প্রীতি জিনতার সঙ্গে হাস্যরসাত্মক কথা বলেন রিকি পন্টিং। ছবি: সংগৃহীত
প্রীতি জিনতার সঙ্গে হাস্যরসাত্মক কথা বলেন রিকি পন্টিং। ছবি: সংগৃহীত

খেলোয়াড় হিসেবে রিকি পন্টিং কতটা সফল, সেটা বলবে তাঁর পরিসংখ্যান। রানের পর রান করে রেকর্ড গড়েছেন। তাঁর ক্যাবিনেটেও আছে একগাদা শিরোপা। হার না মানা মানসিকতা নিয়ে খেলে অসংখ্য হারা ম্যাচ জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি।

মাঠে যতটা আগ্রাসী চরিত্রের অধিকারী পন্টিং, তাঁকে অন্য সময় দেখা যায় ভিন্ন রূপে। কদিন আগে শেষ হওয়া আইপিএলে পাঞ্জাব কিংস যে ফাইনালে উঠেছে, সেখানে প্রধান কোচ হিসেবে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ক্রিকেটাররা মাঠে স্নায়ুচাপের পরীক্ষা দিলেও ডাগআউটে পন্টিং বেশির ভাগ সময় নির্ভার, ভাবলেশহীন থাকতেন। মাঠে আগ্রাসী পন্টিং কীভাবে এত ঠাণ্ডা থেকেছেন এবারের আইপিএলে, সেটার জবাবে মজার এক উত্তর দিয়েছেন পাঞ্জাব কিংসের সত্ত্বাধিকারী প্রীতি জিনতাকে।

পাঞ্জাব কিংস নিজেদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে গত রাতে এক ভিডিও প্রকাশ করেছে। বলতে গেলে পন্টিংয়ের এক রকম সাক্ষাৎকারই নিয়েছেন প্রীতি।আলাপচারিতা কতটা মজাদার, সেটা ভিডিওটা দেখলেই বোঝা যাবে। সে যা-ই হোক, ভিডিওতে এক পর্যায়ে পন্টিংয়ের কাছে প্রীতি প্রশ্ন করেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আগ্রাসী হলেও কোচ হিসেবে ডাগআউটে আপনি শান্ত ও চুপচাপ থাকেন কীভাবে? প্রশ্ন শুনে অবাকই হয়েছেন পন্টিং। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেন, ‘ডাগআউটে আমার পাশে তুমি একবার বসো। বিষয়টা আসলে কেমন, সেটা তখন বুঝতে পারবে। ক্রিকেট নিয়ে যখন কাজ করি, তখন এমনিতেই আগ্রাসী থাকি।’

এবারের আইপিএলে পাঞ্জাব লিগ পর্ব শেষ করেছিল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে। যেখানে চন্ডীগড়ের মূল্যানপুরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ১১১ রান করেও জিতেছিল পাঞ্জাব। পুরো টুর্নামেন্টে পাঞ্জাব একটা দল হিসেবে খেলেছিল। দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য্য, প্রভসিমরান সিংয়ের পাশাপাশি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের ধারাবাহিক ব্যাটিং, মিডল অর্ডারে শশাঙ্ক সিংয়ের ঝড়, ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং—সব মিলিয়ে পাঞ্জাব হয়ে উঠেছিল পরিপূর্ণ এক প্যাকেজ। পন্টিং-আইয়ার জুটি অনেক প্রশংসা পেয়েছিল সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে।

কোচ হিসেবে নিজের উন্নতি ও ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে আনতে কী করেন, সেটা খোলাসা করেন পন্টিং। প্রীতিকে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেন, ‘ক্রিকেটের বাইরে আমি মজা করি, গল্প করি। কিন্তু ক্রিকেটের সময়ে আমার কাজ হলো দলের সেরা পারফরম্যান্স নিশ্চিত করা। এক মিনিট, এক দিন এমনকি একটি অনুশীলন সেশনও নষ্ট করতে রাজি না।’

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ৩ জুন রাতে যে জিতত, সে-ই হতো প্রথমবারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন। শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরে বেঙ্গালুরু। চতুর্থবার ফাইনালে উঠে বেঙ্গালুরু কাটাল শিরোপাখরা। ম্যাচ শেষে আহমেদাবাদের স্টেডিয়াম হয়ে ওঠে কোহলিময়। সবার মুখে মুখেই তখন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারের নাম। অন্যদিকে পাঞ্জাব ২০১৪ সালের পর ফাইনালে উঠেও রানার্সআপ হয়েই থাকতে হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত