নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
খেলা শুরুর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের অন্যরা যখন ফিল্ডিং অনুশীলনে ব্যস্ত তখন উইকেটের ওপর দাঁড়িয়ে ফাফ ডু প্লেসিস যেন ধ্যানমগ্ন ঋষি। একাগ্র মনে ব্যাটিং শ্যাডো করলেন বহুক্ষণ ধরে। কখনো রক্ষণাত্মক, কখনো উড়িয়ে মারার প্রস্তুতি। যেন আগের দিনের সেই দুর্দান্ত ব্যাটিং আবারও দেখানোর বার্তা। কিন্তু সেটি আর হলো কই। ঝড় তোলার আগেই যে তাঁকে ফিরতে হয় রানআউটে কাটা পড়ার দুঃখ নিয়ে।
ডু প্লেসির এমন বিদায়ে যেন লেখা হয়ে যায় ম্যাচের চিত্রনাট্যও। শেষ পর্যন্ত এই বিপিএলে প্রথমবারের মতো মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার কাছে ৫০ রানের মলিন হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে কুমিল্লাকে।
জহুর আহমেদ চৌধুরীর রহস্যময় উইকেটে আগে ব্যাটিং করে মিনিস্টার গ্রুপের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর দুরন্ত ব্যাটিং, তামিম ইকবালের আরও একটি কার্যকরী ইনিংসে ১৮১ রানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার পর আঁটসাঁটো বোলিং আর দুর্দান্ত ফিল্ডিং। তাতেই ১৩১ রানে শেষ কুমিল্লা।
কুমিল্লার বিপক্ষে এদিন কী দুর্দান্ত ইনিংসটাই না খেললেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিংয়ে এসেছিলেন চার নম্বরে। ঢাকার অধিনায়ককে টলাতে পারেনি কুমিল্লার কোনো বোলাররই। সঙ্গী হিসেবে কাউকেই দীর্ঘক্ষণ পাননি মাহমুদউল্লাহ। কখনো শুভাগত, কখনো আন্দ্রে রাসেল আবার কখনো মোহাম্মদ নাঈম-মাশরাফি। ঘন ঘন সঙ্গী বদল হলেও রানের চাকা থামাননি মাহমুদউল্লাহ।
বিপিএলে এবার বড় ইনিংস যেন হয়েও হচ্ছিল না মাহমুদউল্লাহর। তিনবার ফিফটির পথে এগিয়েওে পা হড়কেছে শেষ পর্যন্ত। সেই হতাশা মুছে কাল খেললেন ৪১ বলে ৭০ রানের দুর্দান্ত এক অপরাজিত ইনিংস। ক্যারিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংসের দিন মাহমুদউল্লাহ নিজের অর্জনটাকেও বেশ সমৃদ্ধ করলেন। ছুঁয়েছেন দারুণ কিছু মাইলফলকও। তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে পেয়েছেন পাঁচ হাজার রান। শুধু বিপিএল হিসাব করলে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে দুই হাজার রানও হয়ে গেল ঢাকার অধিনায়কের। সব মিলিয়ে ২৭২ ম্যাচে ৫১৪৫ রান এখন মাহমুদউল্লাহর। এর আগে দেশের হয়ে পাঁচ হাজার রান পেরিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ফেরেন মোহাম্মদ শাহজাদ (৬)। এরপর তামিমের সঙ্গী হন ইমরানুজ্জামান। কিন্তু তিনিও হতাশ করেছেন। পরের গল্পটা তামিম-মাহমুদউল্লাহর। দারুণ খেলতে থাকা তামিম ফিফটির ৪ রান আগে থামলে ভাঙে জুটি। তামিম ফেরার পর পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ঢাকাকে পৌঁছে দেন রান পাহাড়ে।
জবাবে ব্যাটং করতে নেমে শুরুতে লিটনকে হারিয়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। সেই চাপ আরও বাড়ে ডু প্লেসিস ফিরলে। সেই চাপ থেকে আর বেরোতে পারেনি ইমরুল কায়েসের দল। মাঝখানে মাহমুদুল হাসান জয় ও ইমরুল চেষ্টা করলেও দলকে বেশিদূর নিতে পারেননি।
ঢাকার সব বোলারই ভালো বোলিং তো করেছেনই, সঙ্গে আগের ম্যাচে কুমিল্লার দুই হিরো ডু প্লেসিস-ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে ফিরিয়েছেন দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রানআউট করে। তাতেই ১৫ বল বাকি রেখে দিয়েই অলআউট কুমিল্লা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা
২০ ওভারে ১৮১/৬
মাহমুদউল্লাহ ৭০, তামিম ৪৬
তানভীর ২/৩৬, মোস্তাফিজ ১/২৬
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস
১৭.৩ ওভারে ১৩১/১০
জয় ৪৬, ইমরুল ২৮
রাসেল ৩/১৭, কাইস ২/২৭
ফল: মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা ৫০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা)
খেলা শুরুর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের অন্যরা যখন ফিল্ডিং অনুশীলনে ব্যস্ত তখন উইকেটের ওপর দাঁড়িয়ে ফাফ ডু প্লেসিস যেন ধ্যানমগ্ন ঋষি। একাগ্র মনে ব্যাটিং শ্যাডো করলেন বহুক্ষণ ধরে। কখনো রক্ষণাত্মক, কখনো উড়িয়ে মারার প্রস্তুতি। যেন আগের দিনের সেই দুর্দান্ত ব্যাটিং আবারও দেখানোর বার্তা। কিন্তু সেটি আর হলো কই। ঝড় তোলার আগেই যে তাঁকে ফিরতে হয় রানআউটে কাটা পড়ার দুঃখ নিয়ে।
ডু প্লেসির এমন বিদায়ে যেন লেখা হয়ে যায় ম্যাচের চিত্রনাট্যও। শেষ পর্যন্ত এই বিপিএলে প্রথমবারের মতো মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার কাছে ৫০ রানের মলিন হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে কুমিল্লাকে।
জহুর আহমেদ চৌধুরীর রহস্যময় উইকেটে আগে ব্যাটিং করে মিনিস্টার গ্রুপের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর দুরন্ত ব্যাটিং, তামিম ইকবালের আরও একটি কার্যকরী ইনিংসে ১৮১ রানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার পর আঁটসাঁটো বোলিং আর দুর্দান্ত ফিল্ডিং। তাতেই ১৩১ রানে শেষ কুমিল্লা।
কুমিল্লার বিপক্ষে এদিন কী দুর্দান্ত ইনিংসটাই না খেললেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিংয়ে এসেছিলেন চার নম্বরে। ঢাকার অধিনায়ককে টলাতে পারেনি কুমিল্লার কোনো বোলাররই। সঙ্গী হিসেবে কাউকেই দীর্ঘক্ষণ পাননি মাহমুদউল্লাহ। কখনো শুভাগত, কখনো আন্দ্রে রাসেল আবার কখনো মোহাম্মদ নাঈম-মাশরাফি। ঘন ঘন সঙ্গী বদল হলেও রানের চাকা থামাননি মাহমুদউল্লাহ।
বিপিএলে এবার বড় ইনিংস যেন হয়েও হচ্ছিল না মাহমুদউল্লাহর। তিনবার ফিফটির পথে এগিয়েওে পা হড়কেছে শেষ পর্যন্ত। সেই হতাশা মুছে কাল খেললেন ৪১ বলে ৭০ রানের দুর্দান্ত এক অপরাজিত ইনিংস। ক্যারিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংসের দিন মাহমুদউল্লাহ নিজের অর্জনটাকেও বেশ সমৃদ্ধ করলেন। ছুঁয়েছেন দারুণ কিছু মাইলফলকও। তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে পেয়েছেন পাঁচ হাজার রান। শুধু বিপিএল হিসাব করলে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে দুই হাজার রানও হয়ে গেল ঢাকার অধিনায়কের। সব মিলিয়ে ২৭২ ম্যাচে ৫১৪৫ রান এখন মাহমুদউল্লাহর। এর আগে দেশের হয়ে পাঁচ হাজার রান পেরিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ফেরেন মোহাম্মদ শাহজাদ (৬)। এরপর তামিমের সঙ্গী হন ইমরানুজ্জামান। কিন্তু তিনিও হতাশ করেছেন। পরের গল্পটা তামিম-মাহমুদউল্লাহর। দারুণ খেলতে থাকা তামিম ফিফটির ৪ রান আগে থামলে ভাঙে জুটি। তামিম ফেরার পর পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ঢাকাকে পৌঁছে দেন রান পাহাড়ে।
জবাবে ব্যাটং করতে নেমে শুরুতে লিটনকে হারিয়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। সেই চাপ আরও বাড়ে ডু প্লেসিস ফিরলে। সেই চাপ থেকে আর বেরোতে পারেনি ইমরুল কায়েসের দল। মাঝখানে মাহমুদুল হাসান জয় ও ইমরুল চেষ্টা করলেও দলকে বেশিদূর নিতে পারেননি।
ঢাকার সব বোলারই ভালো বোলিং তো করেছেনই, সঙ্গে আগের ম্যাচে কুমিল্লার দুই হিরো ডু প্লেসিস-ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে ফিরিয়েছেন দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রানআউট করে। তাতেই ১৫ বল বাকি রেখে দিয়েই অলআউট কুমিল্লা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা
২০ ওভারে ১৮১/৬
মাহমুদউল্লাহ ৭০, তামিম ৪৬
তানভীর ২/৩৬, মোস্তাফিজ ১/২৬
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস
১৭.৩ ওভারে ১৩১/১০
জয় ৪৬, ইমরুল ২৮
রাসেল ৩/১৭, কাইস ২/২৭
ফল: মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা ৫০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা)
বিসিবির বর্তমান পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হতে দেড় মাস বাকি। এর মধ্যেই নয় মাসে দুবার সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে। এখন দায়িত্বে আছেন সাবেক জাতীয় অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি নিজেও ঘোষণা দিয়েছেন, মেয়াদ শেষে নির্বাচন আয়োজন করে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের বিহারে আগামী ২৯ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে ছেলেদের হকি এশিয়া কাপ ২০২৫। এ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ হকি দল। এই উপলক্ষে আজ রোববার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ফ্যালকন হলে জাতীয় দলের জার্সি উন্মোচন ও ফটোসেশন হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিমানবাহিনী প্রধান
৪ ঘণ্টা আগেসাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের ধারায় ফিরল বাংলাদেশ। নেপালকে হারিয়েছে ৩-০ গোলে। বাংলাদেশের হয়ে গোল তিনটি করেন থুইনুই মারমা, সুরভী আকন্দ প্রীতি ও রেয়া।
৫ ঘণ্টা আগেচোট থেকে লম্বা সময় পর ট্র্যাকে ফিরেছিলেন ইমরানুর রহমান। সামার অ্যাথলেটিকসে পরশু পুনরুদ্ধার করেন দ্রুততম মানবের মুকুট। আজ ২০০ মিটার স্প্রিন্টে তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল নৌবাহিনীর। কিন্তু ৪০ মিনিট দৌড়ানোর পরই ট্র্যাকে পড়ে যান লন্ডন প্রবাসী এই অ্যাথলেট। মাঠে প্রাথমিক শুশ্রূষার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়
৫ ঘণ্টা আগে