ক্রীড়া ডেস্ক
প্রিয়াংশ আর্য্য যে তাণ্ডব চালাতে পারেন, সেটা অনেকেরই জানা। এবারের আইপিএলে নিজের সেই সহজাত প্রতিভা দেখাচ্ছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। আর মুল্যানপুরের মহারাজা যাদবিন্দ্র সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল তিনি যে ছাপিয়ে গেলেন সবকিছুকেই।
মহেন্দ্র সিং ধোনি, রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে গত রাতে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের আভাস আর্য্য দিয়েছেন ইনিংসের প্রথম বলেই। চেন্নাইয়ের বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদকে পয়েন্টের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন আর্য্য। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে আর্য্য আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি আর্য্য তুলে নিয়েছেন ৩৯ বলে। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ১৮ রানের জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন পাঞ্জাব কিংসের এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪২ বলে ৭ চার ও ৯ ছক্কায় করেন ১০৩ রান।
এমন ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের রহস্য কী, সেটা আর্য্য খোলাসা করেছেন ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। পাঞ্জাবের এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘এটাই আমার ব্যাটিংয়ের ধরন। শ্রেয়াস ভাই ইনটেন্ট নিয়ে ব্যাটিং করতে বলেছিলেন। যদি আমি আউটও হই, কোনো চিন্তা ছিল না। আমার মাথায় যা কাজ করেছে সেভাবে খেলেছি।’
আর্য্য একপ্রান্তে পেটাতে থাকলেও তাঁর সতীর্থরা ছিলেন আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত। ৮ ওভারে ৮৩ রানে ৫ উইকেটে পরিণত হয় পাঞ্জাব কিংস। উদ্বোধনী জুটিতে আর্য্যর সঙ্গী প্রভিস্মরণ সিং আউট হয়েছেন শূন্য রানে। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার (৯), মার্কাস স্টয়নিস (৪), নেহাল ওয়াধেরা (৯), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১)—এই চার ব্যাটারও এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও পাঞ্জাব শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২১৯ রান করতে পেরেছে আর্য্যর ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে। হঠাৎ দিশেহারা পাঞ্জাব দিশা খুঁজে পায় ষষ্ঠ উইকেটে আর্য্য ও শশাঙ্ক সিংয়ের ৩৪ বলে ৭১ রানের জুটিতে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আর্য্য বলেছেন, ‘ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝেও খেলতে হয়েছে। নেহাল যখন আসেন, আমি সিঙ্গেল আর ডাবল নেওয়ার কথা ভাবছিলাম। তবে তিনি এসে আমার সহজাত খেলাটা খেলতে বললেন আর আমি সেভাবে খেলেছি।’
সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও গতকাল আর্য্য তাঁর রান তোলার গতি কমিয়ে দেননি। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ বলে মাথিশা পাতিরানাকে হ্যাটট্রিক ছক্কা মেরেছেন আর্য্য। সেঞ্চুরিটা আর্য্য পেয়েছেন শর্ট থার্ড ম্যান দিয়ে চার মেরে। যদিও সেই চারটা এসেছিল ব্যাটের কানায় লেগে। ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পাওয়ার পর এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘সব বোলাররাই ভালো। তাই মনে হচ্ছিল যেকোনো বোলার আমাকে ঝামেলায় ফেলতে পারেন।’
আইপিএলের আগে দিল্লি প্রিমিয়ার লিগ, মুশতাক আলী ট্রফিতেই নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছিলেন আর্য্য। দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে মেরেছিলেন ৬ বলে ৬ ছক্কা।৩৯ বলে সেঞ্চুরি করে গতকাল আইপিএল ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটার। আর্য্যর রেকর্ড সেঞ্চুরির নেপথ্যে চেন্নাইয়ের পিচ্ছিল হাতেরও অবদান রয়েছে। ব্যক্তিগত ৭৩ রানের সময় জীবন পান তিনি। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে তুলে মারেন আর্য্য। লং অফে দাঁড়িয়ে থাকা মুকেশ চৌধুরী ক্যাচ ধরেও সীমানার দড়িতে পা দিয়ে ফেলেন।
আর্য্যর চেয়ে দ্রুত গতিতে আইপিএলে সেঞ্চুরি করেছেন ত্রিস গেইল, ইউসুফ পাঠান ও ডেভিড মিলার। গেইল ৩৯ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ২০১৩ আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে। তখন তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) হয়ে খেলেছিলেন। দুই ও তিনে থাকা পাঠান ও মিলার সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন ৩৭ ও ৩৮ বলে।
প্রিয়াংশ আর্য্য যে তাণ্ডব চালাতে পারেন, সেটা অনেকেরই জানা। এবারের আইপিএলে নিজের সেই সহজাত প্রতিভা দেখাচ্ছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। আর মুল্যানপুরের মহারাজা যাদবিন্দ্র সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল তিনি যে ছাপিয়ে গেলেন সবকিছুকেই।
মহেন্দ্র সিং ধোনি, রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে গত রাতে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের আভাস আর্য্য দিয়েছেন ইনিংসের প্রথম বলেই। চেন্নাইয়ের বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদকে পয়েন্টের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন আর্য্য। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে আর্য্য আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি আর্য্য তুলে নিয়েছেন ৩৯ বলে। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ১৮ রানের জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন পাঞ্জাব কিংসের এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪২ বলে ৭ চার ও ৯ ছক্কায় করেন ১০৩ রান।
এমন ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের রহস্য কী, সেটা আর্য্য খোলাসা করেছেন ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। পাঞ্জাবের এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘এটাই আমার ব্যাটিংয়ের ধরন। শ্রেয়াস ভাই ইনটেন্ট নিয়ে ব্যাটিং করতে বলেছিলেন। যদি আমি আউটও হই, কোনো চিন্তা ছিল না। আমার মাথায় যা কাজ করেছে সেভাবে খেলেছি।’
আর্য্য একপ্রান্তে পেটাতে থাকলেও তাঁর সতীর্থরা ছিলেন আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত। ৮ ওভারে ৮৩ রানে ৫ উইকেটে পরিণত হয় পাঞ্জাব কিংস। উদ্বোধনী জুটিতে আর্য্যর সঙ্গী প্রভিস্মরণ সিং আউট হয়েছেন শূন্য রানে। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার (৯), মার্কাস স্টয়নিস (৪), নেহাল ওয়াধেরা (৯), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১)—এই চার ব্যাটারও এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও পাঞ্জাব শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২১৯ রান করতে পেরেছে আর্য্যর ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে। হঠাৎ দিশেহারা পাঞ্জাব দিশা খুঁজে পায় ষষ্ঠ উইকেটে আর্য্য ও শশাঙ্ক সিংয়ের ৩৪ বলে ৭১ রানের জুটিতে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আর্য্য বলেছেন, ‘ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝেও খেলতে হয়েছে। নেহাল যখন আসেন, আমি সিঙ্গেল আর ডাবল নেওয়ার কথা ভাবছিলাম। তবে তিনি এসে আমার সহজাত খেলাটা খেলতে বললেন আর আমি সেভাবে খেলেছি।’
সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও গতকাল আর্য্য তাঁর রান তোলার গতি কমিয়ে দেননি। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ বলে মাথিশা পাতিরানাকে হ্যাটট্রিক ছক্কা মেরেছেন আর্য্য। সেঞ্চুরিটা আর্য্য পেয়েছেন শর্ট থার্ড ম্যান দিয়ে চার মেরে। যদিও সেই চারটা এসেছিল ব্যাটের কানায় লেগে। ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পাওয়ার পর এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘সব বোলাররাই ভালো। তাই মনে হচ্ছিল যেকোনো বোলার আমাকে ঝামেলায় ফেলতে পারেন।’
আইপিএলের আগে দিল্লি প্রিমিয়ার লিগ, মুশতাক আলী ট্রফিতেই নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছিলেন আর্য্য। দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে মেরেছিলেন ৬ বলে ৬ ছক্কা।৩৯ বলে সেঞ্চুরি করে গতকাল আইপিএল ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটার। আর্য্যর রেকর্ড সেঞ্চুরির নেপথ্যে চেন্নাইয়ের পিচ্ছিল হাতেরও অবদান রয়েছে। ব্যক্তিগত ৭৩ রানের সময় জীবন পান তিনি। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে তুলে মারেন আর্য্য। লং অফে দাঁড়িয়ে থাকা মুকেশ চৌধুরী ক্যাচ ধরেও সীমানার দড়িতে পা দিয়ে ফেলেন।
আর্য্যর চেয়ে দ্রুত গতিতে আইপিএলে সেঞ্চুরি করেছেন ত্রিস গেইল, ইউসুফ পাঠান ও ডেভিড মিলার। গেইল ৩৯ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ২০১৩ আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে। তখন তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) হয়ে খেলেছিলেন। দুই ও তিনে থাকা পাঠান ও মিলার সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন ৩৭ ও ৩৮ বলে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে নৃশংস হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। ভারত দাবি করেছে, এর পেছনে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা। ভারত সরকার তাদের দেশে পাকিস্তানের বিভিন্ন নিউজ সাইট, ইউটিউব চ্যানেল ব্লক কেরে দিয়েছে। ক্রিকেটাররাও জড়িয়ে গেছেন বাগ্যুদ্ধে। শোয়েব আখতারের ইউটি
১০ ঘণ্টা আগেসাত বছর চলছে সাদমান ইসলামের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন দেখা পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি, সঙ্গে পূর্ণ করলেন ১০০০ রান। বাংলাদেশের ১৮ তম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান সাদমানের।
১১ ঘণ্টা আগে৩ উইকেটে ২০৪ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল। তৃতীয় সেশনেও ব্যাটিংটা ভালোই করছিলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় ২৫৯ রান পর্যন্ত ছিল সেই তিন উইকেটই। কিন্তু শেষ বিকেলে ভিনসেন্ট মাসেকেসার ঘূর্ণি জাদুতে বেশ এলোমেলো হয়ে যায় ব্যাটিং। শেষ ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। তবু ৬৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ
১২ ঘণ্টা আগে