অনলাইন ডেস্ক
দুবাইয়ে একটি জায়গায় বাংলাদেশ-ভারত সমানে সমান। কোথায় সমান? ভারত যেখানে টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট। এক ভারতীয় সাংবাদিক বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে জানালেন, দুবাইয়ের গ্যালারির সমর্থনের বিচারে বাংলাদেশ-ভারত সমানে সমান হবে। বিদেশের মাঠ হলেও গ্যালারিতে ভারতের তেরঙার ভিড়ে লাল-সবুজ হারিয়ে যাবে না দুবাইয়ে। মূল্যবান কর্মঘণ্টা ফেলে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি পতাকা হাতে উচ্ছ্বসিত চেহারায় হাজির হবেন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
কিন্তু ম্যাচ শেষে এই উচ্ছ্বাস নিয়ে ফিরতে পারবেন তো লাল-সবুজের সমর্থকেরা? যদি ফিরতে পারেন, তাহলে মেহেদী হাসান মিরাজের কথাই ঠিক হবে –২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠার ৫০ শতাংশ কাজ ‘ডান’! কিন্তু কাজটা কি এতই সহজ? প্রতিপক্ষ ভারতের কাছে দুবাই হাতের তালুর মতো চেনা। এই টুর্নামেন্টে যে দুটি দলের কাছে দুবাই সবচেয়ে ভালো চেনাজানা—এক. পাকিস্তান দুই. ভারত। পরিসংখ্যানও দেখুন, দুবাইয়ে যে ছয়টি ওয়ানডে খেলেছে ভারত—পাঁচটিই জিতেছে, একটি টাই। দুবাইয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারত কখনো হারেনি।
মজার ব্যাপার কি জানেন, দুই দল দুবাইয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। স্মৃতিতে নিশ্চয়ই ফিরে আসছে ২০১৮ এশিয়া কাপের সেই ফাইনালটা। যে ফাইনালে হারলেও দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে বিশেষ স্মৃতিময় করে রেখেছেন লিটন দাস। ৭ বছর পর সেই দুবাইয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটের আরেকটি লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি নতুন এক প্রেক্ষাপটে। প্রেক্ষাপটটা তৈরি হয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে। অবশ্য গত এক দশকে বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি হলেই অন্য রকম উত্তেজনা-উত্তাপ থাকেই সমর্থকদের মধ্যে।
এই তো কদিন আগে দুবাইয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে উজ্জীবিত করতে গ্যালারিতে ‘আল্লাহ আকবর’ ধ্বনিও উঠেছে! দর্শকেরা নানাভাবেই তাঁদের প্রিয় দলকে উজ্জীবিত করতে পারেন। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে জিততে চাই অসাধারণ প্রস্তুতি, সেরা পরিকল্পনা, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত আর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। বাংলাদেশ কি পারছে সব বক্সে ‘টিক চিহ্ন’ দিয়ে ভারত-বাধা উতরে যেতে? শান্ত অবশ্য যথেষ্ট প্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী। পরিসংখ্যানও অনুপ্রাণিত করতে পারে শান্তদের। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে নিজেদের ৫ ওয়ানডের তিনটিই কিন্তু জিতেছে বাংলাদেশ। আর যতই আইসিসির ইভেন্ট হোক, দুবাইয়ে হাই স্কোরিং ম্যাচ দেখা যায় কমই। বরং ২৫০-২৬০ রান এখানে জেতার স্কোর। আর এ রকম উইকেটই বাংলাদেশের দিকে বেশি হাত বাড়িয়ে দেয়। গত দুই দিন বৃষ্টি হয়েছে দুবাইয়ে। আজও নাকি মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা বেশি।
এ ধরনের কন্ডিশন মানেই পেসারের মুখে হাসি! আর ম্যাচে পেসারদের মুখে যদি চওড়া হাসি ফোটে, বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্তর চেয়ে বেশি খুশি আর কে হবেন! কাল সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে ভারতীয় সাংবাদিকেরা বেশি প্রশ্ন করলেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণ নিয়ে। বাংলাদেশের মতো স্পিনিং কন্ডিশন থেকে নাহিদ রানার মতো ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করা একজন ফাস্ট বোলার উঠে আসা বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে বিরাট এক বিস্ময় বটে। রানার সঙ্গে পেস আক্রমণে আছেন তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো পরীক্ষিতরাও। অন্যদিকে ভারতীয় পেস আক্রমণ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এসেছে তাদের সেরা অস্ত্র জসপ্রীত বুমরাকে হারিয়ে। দুবাইয়ের কন্ডিশন বুঝে ভারতীয় দল বরং বেশি জোর দিয়েছে স্পিন আক্রমণে। ভারত যদি তিন স্পিনার ও তিন পেসারে যায়, বাংলাদেশের কাছেও জবাব দেওয়ার মতো শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ আছে। তিন পেসারের সঙ্গে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন।
পার্থক্য গড়ে দিতে পারে আসলে ব্যাটিং। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে নামবে ভারত। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের পার্থক্য নতুন করে বলার নেই। তবু এই ভারতকে চোখে চোখ রেখে কথা বলার সামর্থ্য বাংলাদেশ যে রাখে, অতীতে দেখা গেছে। আজ কতটা পারবেন, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। তাহলে মরুর বুকে বাংলাদেশ-ভারতের জমজমাট লড়াই দেখা যেতেই পারে।
দুবাইয়ে একটি জায়গায় বাংলাদেশ-ভারত সমানে সমান। কোথায় সমান? ভারত যেখানে টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট। এক ভারতীয় সাংবাদিক বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে জানালেন, দুবাইয়ের গ্যালারির সমর্থনের বিচারে বাংলাদেশ-ভারত সমানে সমান হবে। বিদেশের মাঠ হলেও গ্যালারিতে ভারতের তেরঙার ভিড়ে লাল-সবুজ হারিয়ে যাবে না দুবাইয়ে। মূল্যবান কর্মঘণ্টা ফেলে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি পতাকা হাতে উচ্ছ্বসিত চেহারায় হাজির হবেন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
কিন্তু ম্যাচ শেষে এই উচ্ছ্বাস নিয়ে ফিরতে পারবেন তো লাল-সবুজের সমর্থকেরা? যদি ফিরতে পারেন, তাহলে মেহেদী হাসান মিরাজের কথাই ঠিক হবে –২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠার ৫০ শতাংশ কাজ ‘ডান’! কিন্তু কাজটা কি এতই সহজ? প্রতিপক্ষ ভারতের কাছে দুবাই হাতের তালুর মতো চেনা। এই টুর্নামেন্টে যে দুটি দলের কাছে দুবাই সবচেয়ে ভালো চেনাজানা—এক. পাকিস্তান দুই. ভারত। পরিসংখ্যানও দেখুন, দুবাইয়ে যে ছয়টি ওয়ানডে খেলেছে ভারত—পাঁচটিই জিতেছে, একটি টাই। দুবাইয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারত কখনো হারেনি।
মজার ব্যাপার কি জানেন, দুই দল দুবাইয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। স্মৃতিতে নিশ্চয়ই ফিরে আসছে ২০১৮ এশিয়া কাপের সেই ফাইনালটা। যে ফাইনালে হারলেও দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে বিশেষ স্মৃতিময় করে রেখেছেন লিটন দাস। ৭ বছর পর সেই দুবাইয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটের আরেকটি লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি নতুন এক প্রেক্ষাপটে। প্রেক্ষাপটটা তৈরি হয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে। অবশ্য গত এক দশকে বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি হলেই অন্য রকম উত্তেজনা-উত্তাপ থাকেই সমর্থকদের মধ্যে।
এই তো কদিন আগে দুবাইয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে উজ্জীবিত করতে গ্যালারিতে ‘আল্লাহ আকবর’ ধ্বনিও উঠেছে! দর্শকেরা নানাভাবেই তাঁদের প্রিয় দলকে উজ্জীবিত করতে পারেন। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে জিততে চাই অসাধারণ প্রস্তুতি, সেরা পরিকল্পনা, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত আর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। বাংলাদেশ কি পারছে সব বক্সে ‘টিক চিহ্ন’ দিয়ে ভারত-বাধা উতরে যেতে? শান্ত অবশ্য যথেষ্ট প্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী। পরিসংখ্যানও অনুপ্রাণিত করতে পারে শান্তদের। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে নিজেদের ৫ ওয়ানডের তিনটিই কিন্তু জিতেছে বাংলাদেশ। আর যতই আইসিসির ইভেন্ট হোক, দুবাইয়ে হাই স্কোরিং ম্যাচ দেখা যায় কমই। বরং ২৫০-২৬০ রান এখানে জেতার স্কোর। আর এ রকম উইকেটই বাংলাদেশের দিকে বেশি হাত বাড়িয়ে দেয়। গত দুই দিন বৃষ্টি হয়েছে দুবাইয়ে। আজও নাকি মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা বেশি।
এ ধরনের কন্ডিশন মানেই পেসারের মুখে হাসি! আর ম্যাচে পেসারদের মুখে যদি চওড়া হাসি ফোটে, বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্তর চেয়ে বেশি খুশি আর কে হবেন! কাল সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে ভারতীয় সাংবাদিকেরা বেশি প্রশ্ন করলেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণ নিয়ে। বাংলাদেশের মতো স্পিনিং কন্ডিশন থেকে নাহিদ রানার মতো ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করা একজন ফাস্ট বোলার উঠে আসা বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে বিরাট এক বিস্ময় বটে। রানার সঙ্গে পেস আক্রমণে আছেন তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানের মতো পরীক্ষিতরাও। অন্যদিকে ভারতীয় পেস আক্রমণ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এসেছে তাদের সেরা অস্ত্র জসপ্রীত বুমরাকে হারিয়ে। দুবাইয়ের কন্ডিশন বুঝে ভারতীয় দল বরং বেশি জোর দিয়েছে স্পিন আক্রমণে। ভারত যদি তিন স্পিনার ও তিন পেসারে যায়, বাংলাদেশের কাছেও জবাব দেওয়ার মতো শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ আছে। তিন পেসারের সঙ্গে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন।
পার্থক্য গড়ে দিতে পারে আসলে ব্যাটিং। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে নামবে ভারত। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের পার্থক্য নতুন করে বলার নেই। তবু এই ভারতকে চোখে চোখ রেখে কথা বলার সামর্থ্য বাংলাদেশ যে রাখে, অতীতে দেখা গেছে। আজ কতটা পারবেন, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। তাহলে মরুর বুকে বাংলাদেশ-ভারতের জমজমাট লড়াই দেখা যেতেই পারে।
চ্যাম্পিয়নশিপের প্লে-অফের ফাইনালে এক পা আগেই দিয়ে রেখেছিল শেফিল্ড ইউনাইটেড। হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড গত রাতে আনুষ্ঠানিকতা সেরেছে। ব্রিস্টল সিটিকে উড়িয়ে ফাইনালের টিকিট কাটল শেফিল্ড।
২০ মিনিট আগেস্যাম কনস্টাসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়েছিল সবশেষ ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়েই। ডাকাবুকো ব্যাটিং তো বটেই। জসপ্রীত বুমরা, বিরাট কোহলিদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলেছিলেন কনস্টাস।
১ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আইপিএল। অবশেষে ভারতীয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আবার মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। নতুন সূচি অনুযায়ী ২০২৫ আইপিএল শেষ হবে জুনের প্রথম সপ্তাহে।
২ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় স্তরের ঘরোয়া ফুটবল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে একের পর এক লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন রেফারিরা। পরশু সিটি ক্লাব ও বাফুফে এলিট একাডেমির মধ্যকার ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন রেফারি জি এম চৌধুরী নয়ন।
১৩ ঘণ্টা আগে